![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বিনোদন প্রেমি মানুষ, অনেক আগ থেকে ব্লগ লিখছি...
জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং স্বাধীনতার ঘোষক ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগনের উপর হামলা করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং স্বশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল। তার পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে স্মৃতি কথা বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান—
আব্বু খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতেন। প্রায়ই তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তেন। তারপর বাসার আঙ্গিনায় অর্থাৎ খোলা জায়গায় জগিং করতেন। ফজরের নামাজের আযান শোনার পর তিনি নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতেন। মাঝে মাঝে ব্যায়াম শেষ করে বাসার বাইরে ব্যারাকে অবস্থানরত সৈনিকদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তাদেরকে নিয়ে এক সঙ্গে নামাজ পড়তেন।
.
অনেক সময় হাবিলদার মুজিব ও হাবিলদার লুৎফর বেশি রাত ডিউটি করার ফলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করত। তখন আব্বা তাদের দরজায় হাত দিয়ে ঠুক ঠুক আওয়াজ করতেন এবং নাম ধরে ডাকতেন। কখনও কখনও তাদের ঘুম ভাঙতে ৫/১০ মিনিট লাগত। তিনি কিছুই মনে করতেন না। বরং তাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য অনুতপ্ত হতেন এবং পরক্ষণেই বলতেন আমি এভাবে ঘুম না ভাঙ্গালে তোমরা ফজরের নামাজ আদায় করবে না। তাই বাধ্য হয়েই তোমাদেরকে জাগাতে হয়। প্রত্যেক মুসলমানেরই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা কর্তব্য। তোমরা আমার বাসায় ডিউটিরত। সুতরাং তোমরা আমার পরিববারের সদস্য এবং ছোট ভাইয়ের মতো। অভিভাবক হিসেবে, বড় ভাই হিসেবে তোমরা যাতে নামাজ পড় সেটা দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব। নয়তো তার জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা হয়তো ছোট ছিলাম বিধায় তখন আব্বুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।
.
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
"আমার বাবা" শীর্ষক লেখনী থেকে সংগ্রহীত।
জিয়াউর রহমানের একটি ভাষণের খন্ড বিশেষ—
জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন স্টাইলিশ আইকন—
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু যোদ্ধা, স্বাধীনতার ঘোষক , রাষ্ট্রপতি, দেশপ্রেমিকই ছিলেন না।সেই সময় ৩৫ বছর থেকে ৫০ বয়সী পুরুষের ফ্যাশন আইকন ছিলেন তিনি।শার্ট বা সাফারী ড্রেসের সাথে গলায় মাফলার ব্যবহার করা, সাথে রেবন সানগ্লাস, হাটা চলায় নিজ আত্ন বিশ্বাস ও ডেম কেয়ার ভাব যা কারও সাথেই তুলনা চলে না।বেঁচে থাকলে আমাদের দেশ আর মাহাথিরের মত শাসক চাইতোনা বরং বিশ্ব জিয়ার মতো প্রেসিডেন্ট চাইতো।
©somewhere in net ltd.