![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বিনোদন প্রেমি মানুষ, অনেক আগ থেকে ব্লগ লিখছি...
বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙ্গালী জাতির জন্ম।ভাষা ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য থাকায় পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধা করে বিজয় অর্জন করেছিলো৷বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরথেকে অনেক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ভালো ও মন্দের মাঝেও বিরাজমান ছিলো। এখানকার গনতান্ত্রিক সরকারের প্রতিষ্ঠার লক্ষে বারবার আন্দোলন করতে হয়েছে।
স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে নুর হোসেন নামের একজন ব্যক্তি রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন।সে আন্দোলনের মাঝে স্বৈরাচার এরশাদকে প্রতিহত করতে পারলেও।সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের মাটিতে সঠিক গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়নি।স্বৈরাচারী মনোভাব এখনো বিরাজমান।
২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই যাবতকালে যত নির্বাচন হয়েছে। সবগুলো নির্বাচন জনগণের রায় প্রতিপলন হয়নি বলে অনেক চিৎকার চেচামেচি করলেও।সরকার থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ কেউ কোনভাবেই কোন বিষয় আমলে নেয়ননি।
উন্নয়নের মহা গল্প শুনিয়ে প্রতিনিয়ত হয়েছে লুটপাট ও অর্থ প্রচার। দেশের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি ফেরিঘাট সহ সবখানেই লুটপাটের চিত্র বিরাজমান। তারপরও নানান প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিলো লুটপাট বন্ধের কিন্তু কে শুনে কার কথা? কয়েকদিন পরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধরা হলো ক্যাসিনো কারবারি সহ অনেকজন যুবলীগ, যুব মহিলালীগের নেতাকর্মীদের—
দেশের আইনকানুনের অবনতির কারণে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সন্ত্রাসবাদ ও সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ধর্ষণ এবং লুটপাট। সকলপ্রকার সমস্যার মাঝে আরো একটা নতুন সমস্যা যোগ হলো। এই সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশের জন্যে নয়। এই সমস্যাটা পুরো পৃথিবী জুড়ে চলমান।
করোনাভাইরাস একটি ভাইরাস যুক্ত রোগের নাম।এই ভাইরাসের প্রথম দেখা মিলেছে চায়নাতে, চায়না শহর থেকে এই ভাইরাস বিশ্বের নানান দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চায়না সহ অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকারতে যখন মানুষের মৃত্যুর হার বাড়ছে। ঠিক তখনো বাংলাদেশ সরকার কোনপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে। বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উৎযাপনের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত।
মুজিববর্ষ পালন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে। সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন লকডাউন দিলো সারাদেশে ততক্ষণে যাহা ক্ষতি হওয়ার তা শেষ। এদিকে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলে উঠলেন। আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী। এমন কথার কারণে মন্ত্রীকে অনলাইন দুনিয়াতে মাশুল দিতে হয়েছিলো।
ভিডিওঃ আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী
করোনাভাইরাসের মহামারীতে বাংলাদেশের সরকার একদিকে অন্যদিকে বিরোধী দল। সরকার যখন নানান সমস্যা সৃষ্টি করে আবার সেইসব সমস্যা গুলো সমাধান করতে ব্যস্ত তখন করোনাভাইরাসের মহামারীতে বিশ্ব সহ বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।সরকারের দেওয়া ত্রাণসামগ্রী লুটপাটে ব্যস্ত আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঅঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বিএনপি সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেত্রাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সাহায্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।কিছুকিছু স্থানে সরকার দলিয় লোকজন বিএনপিকে ত্রাণ দিতেও বাঁধা দিয়েছে এমন প্রমানো মিলেছে।
দেশের এমপি মন্ত্রীরা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসায় যখন যখন লুটপাট করতে ব্যস্ত। করোনাভাইরাসের মহামারীতে জনসাধারণের জীবন যেন দুর্ভোগ কাটছে না।বাংলাদেশের মাটিতে বসবাস করা বি.আই.পিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসার জন্যে বিশ্বের অন্যদেশে যেতে পারতেছেনা।এই মহামারীর আগে যখন বাংলাদেশ সরকার থেকে শুরু করে বি.আই.পিরা বিশ্বের অন্য দেশে চিকিৎসা নিতে যেতো তারাও এখন দেশের চিকিৎসার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তবে চরমভাবে সত্যি কথা হলো।বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একদম ধংস।কয়েকদিন আগেও এস.আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যু সহ আরো অনেক পুলিশ সদস্য ও বি.আই.পি ও রাজনৈতিক নেতারা মৃত্যু বরণ করেছেন চিকিৎসার অভাবে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রাজনৈতিক নেতারা জনগণের ভোট চুরি ও জোড়জবস্তি ভাবে নিতে পারলেও দোয়া কিন্তু চেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ওনারা ভুলতেই বসেছিলেন। ওনাদের একদিন জনগণের দুয়ারে ভিক্ষা করতে আসতে হবে।আজ কিন্তু সেই সময় এসেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন ডাঃ জাফর উল্যাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অপরদিকে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।দেশের জনসাধারণ ডাক্তার জাফরের জন্যে প্রাণভরে দোয়া করলেও একজন সাবেক মন্ত্রীর জন্যে দোয়া করছেন না।
ওনারা এখন জনগণের কাছে দোয়া ভিক্ষা করে নিতে হয়। কিন্তু ওনারা আজকে ভিক্ষা করা লাগতো না।যদি ওনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো।
©somewhere in net ltd.