![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বিনোদন প্রেমি মানুষ, অনেক আগ থেকে ব্লগ লিখছি...
বিশ্ববাসীর কাছে সমকালীন পরিচিত একটি মহামারী রোগের নাম "করোনাভাইরাস"। এই করোনাভাইরাসের জন্ম চীনে—
কেউ কেউ ধারণা করছে এই ভাইরাস চিনের তৈরি, কেউ বলছেন এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে এখনো পযন্ত ধারণা করা যায় এটা আসলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেহেতু সবাই প্রমাণ করতে ব্যার্থ এটা চায়নার তৈরি ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের কথা যখন বিশ্বের নানান প্রান্তে দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সেদিক থেকে বাংলাদেশের হিসাবনিকাশ ছিলো ভিন্ন।
করোনা কালে সরকার জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। নানান আয়োজনের মাধ্যমে পালনের ঘোষণা আসলো সরকারের পক্ষথেকে, এদিকে চায়নাতে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
তবে সরকার সেইসব বিষয় আমলে না নিয়ে জন্মবার্ষিকী উৎযাপন সহ নানান অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরেই ঘোষণা দিলো বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে সহ ইত্যাদি।
আস্তে আস্তে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ার ফলে। লকডাউন ঘোষণা করা হলো সারাবাংলাদেশে—
লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নানান রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মী এবং রাজনৈতিক দল গুলো।সরকারের পক্ষথেকেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।তবে সরকারি ত্রাণ বণ্টন না হয়ে যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে অবশ্য সবাই জানেন।
আওয়ামীলীগ অনেক সিনিয়র জুনিয়র নেতাকর্মীদের বাড়ীতে ও গোডাউনে সরকারি রিলিফের চাউল ও নানান সামগ্রী সহ গ্রেফতারের একটা মৌসুম গিয়েছিলো।
করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে মুখের মাস্ক নিয়েও অনেক হট্টগোল ও লুটপাট করেছে আওয়ামীলীগের এমপিমন্ত্রীরা—
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার আগেই লকডাউন বন্ধ করে সীমিত আকারে সবকিছু খুলে দেওয়ার পরপরেই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার রূপ নেয়।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মুখশ উন্মোচন হলো। করোনাভাইরাসের আগে সাবেক ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা চিৎকার করে করে উন্নয়নের বাণী শুনিয়ে যেতেন। টেলিভিশনের পর্দায় অথবা রাজনৈতিক মঞ্চে।
তবে, এখন আর কেউ চিৎকার করে বলে না।আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত। এখন আর কেউ চিৎকার করে বলে না। আমরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে চাই। কেন না করোনার আগেও তারা বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত বলার পরেও জ্বর, সর্দি, কাঁশি সহ নানান ছোট-বড় সমস্যা হলেই উন্নত চিকিৎসার জন্যে সিঙ্গাপুর সহ নানা দেশে চলে যেতেন।
করোনাভাইরাসের ফলে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এমন বেহাল দশার অবস্থা বেড়িয়ে আসলো।সবাই চিৎকার করে বলে। ভাই একটা আই.সি.ইউ'র ব্যবস্থা করে দেন। ভাই একটা অক্সিজেনের বোতলের ব্যবস্থা করে দেন।ভাই ও ভাই প্লিজ, একটা হাসপাতালের কেভিনের ব্যবস্থা কইরা দেন।
একসময় আমরা যে-সব নেতা ও এমপি মন্ত্রীদের মুখে উন্নয়নের গান শুনতাম। ঢাকঢোল পিটিয়ে জানান দিয়েছিলো দেশ এখন সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে ইত্যাদি।
তারা সবাই উন্নয়নের গান ভুলে গিয়ে চিৎকার করে বলতেছে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাও ইত্যাদি।
ঢাকঢোলের উন্নয়নের কথা ভুলে গিয়ে ফেসবুকে আন্দোলনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অনেক সুশীল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ জনসাধারণ।
আসলেই আমরা স্বার্থপর, কেন না নিজের স্বার্থে আঘাত না হলে টনকনড়ে না।তাই আমরা স্বার্থপর—
তবে আমরা বাংলাদেশের জনগণ সবকিছুর মাঝে রাজনীতি ও রাজনৈতিক গন্ধখুজি।তবে একটুও চিন্তা করি না।যে সব নেতাদের পক্ষে আমরা চিৎকার করে কথা বলি। তাদের মাঝে কিছু আসলেই দুর্নীতি বাজ ও মীরজাফর।
তারা দেশের টাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। দেশের টাকা লুটপাট করে দেশের মাটিতে নয় বিদেশের মাটিতে রাখছে।সেখানে ব্যাংকের একাউন্টে টাকার অংক বাড়াচ্ছে।
হাসপাতাল গুলোর উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে।রাস্তাঘাটে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে। নিজেদের পকেটে ডুকাচ্ছে জনসাধারণের টাকা। স্বাস্থ্য খাতের লুটপাটের চিত্র গুলোর কথা কি মনে করিয়ে দিবো? নাকি দেওয়া লাগবে না মনে আছে সকলের?
এইবার সত্যি কথা শুনুন। বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রীরা যদি সত্যিকারের উন্নয়নের নামে যদি ৫০% কাজ করতো এবং অগ্রিম প্রস্তুতি গ্রহণ করতো। তাহলে করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগ কালিন মুহূর্তে চিকিৎসার অভাবে অন্তত এতবেশী মানুষের মৃত্যু হতো না।
প্রতি বছর বাজেটের সময়ে যে পরিমাণ বাজেট ঘোষণা হয়। যে পরিমাণ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি হয়।সেইভাবে কি পরবর্তীতে কাজের কাজ কিছু হয়?
কোন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কি নিজের বুকে হাত দিয়ে। মহান আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলতে পারবে তারা লুটপাট করে না?
আজ বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মৌলিক অধিকারের কথা বলতে গেলেই নানান অপকর্মের অজুহাত দিয়ে মামলা হামলার শিকার হতে হয়। দেশের সুশীল সমাজ একটা নীরব ভূমিকা পালন করে।কেউ কেউ চাটুকারিতা করেতে ব্যস্ত। সত্যি কথা বলার মত সৎ সাহস কারো কাছে নেই। তাহলেও মামলার ভয়ে চুপ থাকে অনেকে—
দেশের মানুষের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং সবার জন্যে চিকিৎসা বাস্তবায়ন করা অথচ সরকারের দায়িত্বের মাঝে পড়ে।
তবে আন্দোলনের সময় এখন। আসুন সত্য ও ন্যায় এবং সুন্দরের পক্ষে লিখি। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করি।
নামের আধুনিক ও উন্নয়নের বাংলাদেশ চাই না। সত্যিকারের উন্নয়ন চাই।জনগণের টাকার হিসাব চাই।স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন চাই।দূর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির নামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার সময় এখন। যেখানে দুর্নীতি সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।
বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্তি হলে উন্নতি হতে সময় লাগবে না।রাজনীতির নামে ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।
লুটপাট নিপাত যাক বাংলাদেশ মুক্তি পাক—
লেখকঃনুর হাসান সন্দ্বীপী
©somewhere in net ltd.