![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারিখ ২০৬৫, ৫ এপ্রিল।
ঘুম থেকে উঠেই এককালে নাকি সূর্যের সোনালী আলো ভাঙ্গা জানালায় উকি দিতো। কিন্তু আজকের যুগে তা কল্পনাবিলাসী মানুষদের সুন্দর কল্পনার দৃষ্টান্ত মাত্র। প্রেমিক নাকি এককালে প্রেমিকা কে বলতো “তুমি যদি চাও তবে চাঁদ এনে দেবো তোমার হাতে” কিন্তু আজ আর এ কথা কোনো প্রেমিক-ই বলে না। কারণ চাঁদ হাতে আনা আজকের মামুলি ব্যাপার। স্পেস ট্রাভেলার কোম্পানি গুলোর সবচেয়ে জনপ্রিয় আর সস্তা ট্রাভেল প্যাকেজ হলো চাঁদ ভ্রমন। শনি বা ইউরেনাসে নিযে যাওয়ার কথা বললে তবুও প্রেমিকে ইজ্জত থাকত, কিন্তু কিপ্টা টা চাঁদে নিয়ে যেতে চেয়েছে! এর পরেও কি গার্লফ্রেন্ডের মাথা ঠিক থাকে? সো ব্রেক আআআআআপ…
যা বলছিলাম, প্রেমিকের বলা উচিত “তুমি যদি চাও তবে তোমার জানালায় আমি সূর্যের সোনালী আলো এনে দেবো।” এতে প্রেমিকা খুশি হয়ে প্রেমিকের গালে একটা হামি ও দিতে পারে।
জানালায় সূর্যের আলো এ অসম্ভব ব্যাপার। না, বড় বড় সব দালান কোঠার জন্য নয়। পৃথিবীর চারপাশে মহাশূন্যে মানুষের স্থাপিত “স্যাটেলাইট” গুলোর জন্য। হ্যা মহাশুন্যে পৃথিবী থেকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে এতো স্যাটেলেইট স্থাপন করা হয়েছে যে, সেই স্যাটেলাইটের বাঁধাতে পৃথিবীতে সূর্যের আলো পর্যন্ত আসতে পারেনা। তাতে কি? দিন রাত ২৪ ঘন্টার পারমাণবিক বিদ্যুত ব্যাবস্থা আছে না। ওতেই আরামে সব প্রয়োজন মেটে মর্ত্যবাসীর।
ও হ্যা স্পেস বাচাও আন্দোলন এর কথা হচ্ছিলো। এটা পৃথিবীর মানুষদের কোনো আন্দলোন নয়। আশেপাশের গ্যালাক্সি গুলোর কয়েকটি গ্রহের “এলিয়েন” রা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তাদের অভিযোগ হলো, প্রুযুক্তিবিদ্যায় পিছিয়ে থাকা “আদিম” “বর্বর” পৃথিবীর এলিয়েন(মানুষ) গুলো “মধ্যযুগীয়” কান্ডকারখানা শুরু করেছে। তারা তাদের গ্রহের(পৃথিবীর) চারপাশে এত্তো স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে যে সূর্যের আলো তো দূরে থাক সেটা ভেদ করে একটা সূচ পর্যন্ত পৃথিবীতে ঢুকতে গেলে কোনো না কোনো স্যাটেলাইটের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। তাছাড়া তারা নষ্ট আর অকেজো স্যাটেলাইট গুলোও সরানোর ব্যাবস্থা করে না। অথচ পৃথিবীর এলিয়েন গুলো বলে পৃথিবী নাকি উন্নতির জোয়ারে ভাসছে। পৃথিবী গ্রহ টার সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। শুধু পরিবর্তন হয়নি “বাংলাদেশ” নামক একটি রাষ্ট্রের সরকার। আওমীলীগ নামক একটি পার্টি কবে থেকে যে ক্ষমতায় আছে তা শুধু পৃথিবীর বুড়ো এলিয়েন গুলোই বলতে পারে।
এটা কোনো ব্যাপার না।
কথা হলো, পৃথিবীর এলিয়েন গুলো তাদের নিজেদের গ্রহের পরিবেশ নষ্ট করছে ঠিক আছে, কিন্তু তারা এখন এই গোটা ইউনিভার্সের-ই পরিবেশ নষ্ট করতে শুরু করেছে। প্রুযুক্তিতে অজ্ঞ পৃথিবীর এলিয়েন রা স্পেস অভিযানে বিভিন্ন সেকেলে, অনুন্নত সব মহাকাশযান মহাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করতেছে। যেগুলো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ধংস হয়ে আবর্জনা সৃষ্টি করে ইউনিভার্সের পরিবেশ-ই নষ্ট করে দিচ্ছে।
ইউনাইটেড-ইউনিভার্সের সদস্য গ্রহ হয়ে তাদের এসব মানবতাবিরোধী কুকর্ম করতে দেওয়া যেতে পারে না। অচিরেই পৃথিবীর এলিয়েন দের এসব কুকর্ম থামাতে হবে নাহলে দেশীয় ফুয়েল বম্ব মেরে পৃথিবীর সব মহাকাশ যান-এ আগুন দেওয়া হবে।
©somewhere in net ltd.