![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র হচ্ছে সূর্য। এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম তারা। আসুন, সূর্য সম্পর্কে জেনে নেই কিছু সাধারণ তথ্য।
কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল সূর্য? আমরা জানি, মহাশূন্যে সবসময়ই গ্যাস বা ধূলিকণা ভেসে বেড়ায়। সেই সাথে মৃত নক্ষত্রের কিংবা মৃত তারার অবশিষ্ট শক্তিও তরঙ্গাকারে মহাশূন্যে ভেসে বেড়ায়। সূর্য নামক আমাদের কাছের তারাটি আজ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল মহাশূন্যে ভেসে বেড়ানো এরকমই কিছু গ্যাসীয় কণা এবং মৃত কোনো তারার অবশিষ্ট তরঙ্গ শক্তি নিয়ে। ভেসে বেড়ানো হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসীয় কণাগুলোকে দূর থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ শক্তি ধাক্কা দিয়ে একত্রিত করে। এরপরে সেখানে তৈরি হয় গ্যাসীয় মেঘ। গ্যাসীয় কণাগুলো পরস্পরের নিকটবর্তী হয়ে মাধ্যাকর্ষণ বলের আকর্ষণে এরা পুঞ্জীভূত হয়ে একটি গ্যাসীয় পিণ্ডে পরিণত হয়। মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে কণাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষও হয়, যার ফলে কণাগুলো চার্জিত হয়। ফলে এরা আয়নিত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে প্লাজমা অবস্থায় পরিণত হয়। প্লাজমা মানে হচ্ছে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা। আমরা সাধারণত পদার্থের তিনিটি অবস্থার কথা জানি। এগুলো হল- কঠিন, তরল ও বায়বীয়। এই তিন অবস্থা ছাড়াও চার্জিত বা আয়নিত গ্যাসীয় অবস্থাকে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলে। প্লাজমা অবস্থায় গ্যাসীয় কণাগুলোকে দূর থেকে দেখলে অগ্নিময় দানা দানা রূপে দেখা যায়। যাই হোক, এরপরে সৃষ্ট গ্যাস পিন্ডের চার্জিত গ্যাসীয় কণাগুলোর মধ্যে ফিউশন বিক্রিয়া শুরু হয়। অর্থাৎ হাইড্রোজেন গ্যাস ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হিলিয়াম গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। এতে শক্তি হিসেবে আলো নির্গত হয়। সূর্যের বেশীর ভাগ অংশ মানে প্রায় ৭৩ ভাগ হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ২৫ ভাগ হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা গঠিত। বাকী অংশগুলো অক্সিজেন, কার্বন,নিয়ন এবং আয়রন দ্বারা গঠিত। তবে এগুলোর সবই জ্বলন্ত এবং আয়নিত অবস্থায় রয়েছে। সূর্যকে বলা হয় সুষম প্লাজমা গোলক।
আগেই বলেছি সূর্যের বয়স ৫০০ কোটি বছর। এটি আয়তনে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩ লক্ষগুণ বড়। এর ভর পৃথিবীর ভরের চেয়ে ৩৩০০০০ গুণ ভারী। সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৬৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় ৩০০০০০০০ (তিন কোটি) ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি পৃথিবী থেকে গড়ে ১৪ কোটি ৮৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। তাই সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে ৮ মিনিট সময় লাগে। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন আনুমাণিক আরো ৫০০ কোটি বছরের মধ্যেই সূর্যের হাইড্রোজেন জ্বালানী নিঃশেষ হয়ে যাবে। সূর্যের মধ্যে নিয়ত সঙ্ঘটিত হওয়া ফিউশন বিক্রিয়ায় যে আলো উৎপন্ন হয় তার রং সাদা। আমরা জানি, সাদা রং মৌলিক নয়, যৌগিক। এটি মূলতঃ সাতটি রং-এর সমন্বয়ে গঠিত। সেই সাতটি রং হল- বেগুনী, ঘন নীল, আসমানী নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। সূর্যের আলো হচ্ছে পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল প্রাণের শক্তির একমাত্র উৎস।
সূর্য নামক নক্ষত্র না থাকলে আমাদের এই পৃথিবীতে কোনোদিন প্রাণের উৎপত্তিই হত না।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
আলগা কপাল বলেছেন: সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬৫০০ নয় ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৭৭৭ কেলভিন)।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সূর্য পৃথিবীতে আলো দেয় । সূর্য থেকে আমরা তাপ পাই ।সৌর শক্তি প্রায় অফুরান্ত । একে ধরার নানা কায়দা আবিষ্কার হয়েছে এবং হচ্ছে।বস্তুতঃ সৌর শক্তি নামেই বিরাট আলোচনা রাখে । সাধারণ ভাবে বলা যায়,গাছ-পালা তরু লতা ইত্যাদি যে শক্তি লুকিয়ে আছে সবটুকু সূর্যের দান । সুর্য পৃথিবীর শক্তি সংগ্রহের মূল উৎস।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে দেখা যাচ্ছে যে সূর্যের আয়ু সব মিলিয়ে ১০০০ কোটি বছর। আমার ধারনা, সূর্য সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য বিজ্ঞানীদের জানার বাঁকি আছে। আগামীতে নিশ্চয় আরও নতুন নতুন তথ্য জানা যাবে।
ধন্যবাদ অনন্ত নিগার।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১
অনন্ত নিগার বলেছেন: সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য ও তথ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে। ভুল-ত্রুটি হবেই। আপনাদের পরামর্শ ও উপদেশ এভাবে নিয়মিত পেলে আশা করি আমি নিজেও আরো অনেক কিছু শিখতে পারব।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুর্য্যের বর্তমান দুরত্ব থেকে ১ লাখ ভাগের এক ভাগ দুরে গেলে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুল মারা যাবে, আবার একলাখ ভাগের এক ভাগ কাছে চলে আসলে পৃথিবী পুড়ে ছাই হয়ে যাবে! ধন্যবাদ।