![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রহকে কেন্দ্র করে যা ঘুরে তা হল উপগ্রহ। সে হিসেবে চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর একটি উপগ্রহ এবং একমাত্র উপগ্রহ। কারণ, একমাত্র চাঁদই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে। চাঁদের কক্ষপথ বৃত্তাকার। তাই চাঁদ কখনও পৃথিবীর নিকট দিয়ে যায়, আবার কখনও সামান্য দূর দিয়ে যায়। চাঁদ কিভাবে সৃষ্টি হল? নবজাতক পৃথিবী যখন উত্তপ্ত অবস্থায় ঘুরাফেরা করছিল, তখন পৃথিবীর মতই আরেকটি নবজাতক গ্রহের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়। এতে বিরাট একটি অংশ সংঘর্ষের ফলে ছিটকে বেরিয়ে যায়। পৃথিবী থেকে অপেক্ষাকৃত অনেক ছোট সেই ছিটকে পড়া অংশটিই হল আমাদের আজকের চাঁদ মামা।
চাঁদের ব্যাস ৩৪৭৪ কিলোমিটার, যেখানে পৃথিবীর ব্যাস হল ১২৭৪২ কিলোমিটার। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হল ৩৮৪৩৯৯ কিলোমিটার। পৃথিবীর খুব কাছে বলে এটি পৃথিবীর মহাকর্ষের টানে বাঁধা পড়ে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের ভর এত কম যে, প্রায় ৮১টি চাঁদের ভর একত্র করলে একটি পৃথিবীর ভরের সমান হবে। তাই চাঁদের অভিকর্ষ বল, পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মাত্র ছয় ভাগের একভাগ।
চাঁদ যে আলো দেয় তা হচ্ছে সূর্যের প্রতিফলিত আলো। কারণ, যেহেতু চাঁদ একটি উপগ্রহ, তাই এর নিজস্ব আলো নেই।
চাঁদকে যখন রাতের আকাশে পূর্ণরূপে দেখা যায়, তখন তাকে বলে পূর্ণিমা। পূর্ণিমার পরদিন থেকে শুরু হয় কৃষ্ণপক্ষ। পনেরোদিন এক এক কলা করে চাঁদ ক্ষয় হয়ে অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত সময়কে বলে কৃষ্ণপক্ষ। যেদিন কৃষ্ণপক্ষ শেষ হয়, অর্থ্যাৎ চাঁদ অদৃশ্য হয় সেদিনকে বলা হয় অমাবস্যা। অমাবস্যার পরদিন থেকে চাঁদকে আবার এক কলা করে দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। চাঁদের এই বৃদ্ধিকালকে বলা হয় শুক্লপক্ষ। শুক্লপক্ষের শেষ হয় যেদিন চাঁদ পূর্ণ হয়, অর্থ্যাৎ পূর্ণিমা হয়। আমাবস্যার প্রায় পনেরো দিন পর পূর্ণিমা হয়। তাই এক পূর্ণিমা থেকে আরেক পূর্ণিমা হতে বা এক অমাবস্যা থেকে আরেক অমাবস্যা হতে সময় লাগে সাড়ে উনত্রিশ দিন।
চাঁদের গায়ে বড় বড় খাদ আছে। এই খাদে সূর্যের আলো এসে পড়লেও সেখান থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে পৌঁছে না। তাই চাঁদের গায়ে পূর্ণিমার দিন আমরা স্পষ্ট কিছু কালো দাগ দেখি, যাকে বলা হয় চাঁদের কলঙ্ক। এই কলঙ্ক চাঁদের গায়ের বড় বড় খাদ বা গর্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
চাঁদের সারা পৃষ্ঠ জুড়েই ছোট বড় গর্ত আর পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেখানে কোনও হাওয়া নেই, পানি নেই। আর তাই সেখানে কোনও প্রাণী নেই। চাঁদের যে অংশে রোদ পড়ে সেখানে ভয়ংকর গরম আর যে অংশে ছায়া পড়ে সেখানে ভয়ংকর ঠাণ্ডা। হাওয়া নেই বলে সেখানে কোনও শব্দ উৎপন্ন হয়না বা প্রবাহিত হয়না। উঁচু উঁচু পাহাড়, লম্বা লম্বা ফাটল, গভীর খাদ, পাথর- ইত্যাদি নিয়েই চাঁদের রুক্ষ পৃষ্ঠদেশ।
এবারে দেখা যাক, চন্দ্রগ্রহণ কি। সূর্য যখন পৃথিবীর একপৃষ্ঠে আলো দেয়, তখন পৃথিবীর অন্য পৃষ্ঠে অন্ধকার থাকে। সূর্যের আলো কেউ হাত দিয়ে আটকালে সেই হাতের ছায়া মাটিতে বা দেয়ালে পড়ে। তারমানে পৃথিবীর একপৃষ্ঠ যখন দিনের বেলায় সূর্যের আলো আটকে রেখেছে, তখন বিপরীত অন্ধকার পৃষ্ঠের ছায়া আকাশে গিয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ছায়া দেখতে হলে তো পৃথিবীর বিপরীত পাশের আকাশে কিছু থাকতে হবে। যখন চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সেই বিপরীত পাশে এসে অবস্থান নেয়, ঠিক তখনই পৃথিবীর ছায়া আমরা চাঁদের মধ্যে দেখতে পাই। একেই বলে চন্দ্রগ্রহণ। অর্থ্যাৎ এটা হচ্ছে চাঁদের এমন একটি অবস্থান, যেখানে প্রথমে সূর্য, পরে পৃথিবী ও তারপরে চাঁদ ঠিক এক লাইন বরাবর মুখ করে অবস্থান নেয়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২০
বিজন রয় বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
++++