![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা সকালে হাতে নিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় চোখ পড়তেই আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম! গাইবান্ধা সদরের কামারজানি নামক ইউনিয়নে একটি স্কুল পোড়ানো হয়েছে। দুর্বত্তরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্কুলটিতে আগুন লাগিয়ে দিলে স্কুলটির অফিস কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, লাইব্রেরি, ১০টি শ্রেণিকক্ষ, আসবাবপত্র, শিক্ষা সরঞ্জামসমূহ, ২০ হাজার এসএসসি ও জেএসসি পাস শিক্ষার্থীর সনদপত্র এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এটা ঠিক যে জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, শনিবার মানে আজ থেকেই যেন শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে এবং দিনাজপুর বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন করে এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল- বিদ্যালয়ের মত পবিত্র স্থানে আগুন দেওয়া হল কোন পাপের কারণে? পাপটা হল- জুয়া, মাদক, অশ্লীল নাচ-গান আর অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারে সমাবেশ করেছিল। আর এই পাপের কারণেই প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে বিদ্যালয়ের চিতায় আগুন লাগিয়ে আর আগুন নেভানো হয়েছে শত শত বিদ্যার্থীদের অশ্রু দিয়ে।
কি লিখব বুঝতে পারছিনা। এদেশে সব পুড়ানো হয়। তবে বিদ্যালয় পুড়ানো যেতে পারে এহেন বুদ্ধি কারো মাথায় আসতে পারে তা আগে কখনও আমার মাথায় আসেনি। কারণ, আমার মতে বিদ্যালয় পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান, যেখানে অর্ধমানুষকে জ্ঞানের আলো দিয়ে পূর্ণ মানুষে পরিণত করা হয়। যেকোনো কারখানায়ই প্রায়ই নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন দেওয়া হয় এদেশে। শুধু মানুষ গড়ার কারখানা বাকী ছিল। এখন আর সেটাও বাকী রইল না।
যারা এ অপকর্ম করেছে, আমি শুধু তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, 'আগুন দিয়ে যেকোনো জিনিসই পুড়ানো সহজ, কিন্তু কাউকে বছরের পর বছর ধরে পড়িয়ে মানুষ করা অনেক কঠিন! আগুন লাগিয়ে আধাঘন্টা-একঘন্টায় একটি স্কুল পুড়িয়ে ফেলা যায়। কিন্তু আধাঘন্টা-একঘন্টা পড়িয়ে কাউকে মানুষ বানানো যায় না। আফসোস, যদি তোমাদের মত দুর্বৃত্তরা এ কথাটা কোনোদিন বুঝতে পারত!'
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি জঘন্য
কি ঘৃণ্য!!
নিন্দা জানানোর ভাষা নেই...
আফসোস, যদি তোদের মত আগুন লাগানো দুর্বৃত্তরা যদি শিক্ষার মূল্য কোনোদিন বুঝতে পারত!'