নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রূদ্রনীল আকাশ যদি কালো হয়ে যায়, কি\'ইবা করার আছে, কে\'ইবা করতে চায়!

নিহান ওয়াহিদ

রুদ্রনিল আকাশ যদি কালো হয়ে যায়,

নিহান ওয়াহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

I am GPA5 নিয়ে আমাদের অবস্থানটা কতটুকু যৌক্তিক?

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৫

জিপিএ ৫ নিয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিও টি নিয়ে যথেষ্ট ফান করেছি
টিভি চ্যানেলের টিআরপি ও বেড়েছে নিশ্চিত
দিনশেষে লাভটা কি হল?? শিক্ষার মান কি বেড়ে গেছে?
.
মনে আছে, জিপিএ৫ না পাওয়ায় কয়েকটা ছাত্র আত্বহত্যা করেছিল? তারা ধরে নিয়েছিল তারা লাঞ্ছিত হয়েছে, তারা আর মুখ দেখাতে পারবে না। অতএব..........। আফসোস হয় তাদের জন্য। প্রতিদিনকার সকাল মুখরিত হবে পাখির কলকাকলিতে, কিংবা রাত্রের আকাশ আলো করে ফুটবে জোৎস্না। সূর্য রক্তিম আভা ছড়াবে উদয় আর অস্তের সময়। কিন্তু তারা তা আর দেখতে পারবে না। এবং তারা জানতেও পারবে না হয়তো তাদের দ্বারা উপকৃত হতে পারতো তারা নিজে এবং অন্যরা।
.
আর ভিডিওর সেই ছাত্ররা! তারা লাঞ্ছিত হয়েছে সারা দেশের কাছে, তারা মুখ দেখাবে কিভাবে? তারা কি আর সহজ হতে পারবে তাদের আশেপাশের মানুষদের সাথে?
.
আচ্ছা, তাদের মধ্যে যদি কেউ আত্বহত্যা করে বসে? সেই দায়টা শুধু কি মুর্খ সাংবাদিকের উপর পড়বে?
.
জিপিএ৫ পাওয়াটা অপরাধ নয়। জিপিএ৫ পাওয়ার পরে I am GPA5 বলাটা হয়তো অপরাধ। এই অপরাধের জন্য কি শুধু ছাত্রটা অপরাধী?? যদি না হয়, তাহলে কেন তাদের এভাবে অপমানিত করা হল? শুধু কি তাই, এর দ্বারা পরোক্ষভাবে অপমানিত করা হচ্ছে আসল মেধাবি ছাত্রদেরও, যারা I am GPA5 বলে না, যারা জানে পিথাগোরাস কে আর মাউন্ট এভারেস্ট কোথায়।
.
এসএসসি পরিক্ষা দেয়ার সময় আমি এই প্রশ্ন গুলোর কতটার সঠিক উত্তর দিতে পারতাম আমি জানি না, আর এটাও জানি না ক্যামেরার সামনে আমার মানসিক অবস্থা কেমন হত।
.
যারা জিপিএ৫ পেয়েছে তাদের উচিৎ এইসব জানা, বাংলাদেশি হিসেবে আপনার আমারও উচিৎ বাংলা বর্নমালা ধারাবাহিকভাবে বলে যাওয়া। পারবেন?
ভিডিওটি ভাইরাল করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, এরা তা জানে না যা তাদের জানা উচিৎ। এবার আমি নিজেকে বিচার করি, আর যদি না পারি তাহলে নিজের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেই, ক্যাপশন "এই লোকটা সেটা জানে না যেটা তার জানা উচিৎ "। সাহস আছে? তা যদি করতে না পারি তাহলে আমার কোন অধিকার নেই আরেকজনের কম জ্ঞানের কারনে তাকে অপমান করা।
.
সত্য কথাটা বলা ভাল, কিন্তু কিভাবে সত্য তুলে ধরতে হয় তা আমাদের জানা আবশ্যক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৭

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: নাহ এরা আত্মহত্যা করবেনা, গ্যারান্টি। যদি সে মানসিকতারই হতো তাহলে ঠিকমতো পড়াশোনার চেষ্টা করতো বা তাদের "পারিপার্শিকতা" সেরকম হতো।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৯

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: আমি চাই না কেউ আত্মহত্যা করুক। আসলে কেউই চায় না। পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৮

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: দেশে এখন যে যার ইচ্ছা মতো কাজ করে চলেছে। কথা বলার মতো কেউ নেই।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:০০

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: আছে না আবার। আমি আছি, আপনি আছেন। আমরা সবাই আছি আর আমাদের সবাইকে নিয়েই তো দেশ।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারার মুল দোষ তাদের নয়, মুল দোষ সরকারের, শিক্ষামন্ত্রীর। শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে নির্দেষ আছে শিক্ষকদের উপর যে খাতায় কোন লেখা থাকলেই ব্যপক মার্ক দিতে হবে। সে কারনেই জিপিএ ৫ পাওয়ার হিড়িক উঠেছে, ছাত্ররা যখন দেখছে সহজেই জিপিএ ৫ পাওয়া যায় তাহলে পড়ালেখার কি দরকার।
সাংবাদিকের উদ্দেশ্য সরকারের এ নিতির কারনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার মানের কি করুন অবস্থায় দাড়িয়েছে তা দেখিয়ে দেয়। এটা সরকারকে হুশ ফিরাতে যদি কিছুটা সহায়তা করে তাহলে সাংবাদিক ভাই তার বিশাল কৃতিত্ব পায়। সাংবাদিক ভাইকে এ ধরনের মহৎ উদ্যেগ নেয়ায় আমরা স্বাগত জানায়।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:১০

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: আপনার সাথে কিছুটা একমত। মুল দোষ তাদের নয়। আবার সব কিছুর জন্য সরকারকে একচেটিয়া দোষারোপ করাও কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। দেখেন, দুনিয়ার কোন দেশের সরকারই পুরোপুরিভাবে দুর্নীতিমুক্ত নয়। তারা চাইবেই তাদের আমলে পাশের হার বাড়াতে। যদিও এটা ঠিক নয়, কিন্তু আপনি আমি তো পারিনা আমাদের ভাই বোন কিংবা সন্তানদের কোচিং মুখি করতে। একটা ছাত্রের প্রতি সরকারের, শিক্ষাব্যবস্থার অথবা শিক্ষকদের যতটা দায়িত্ব, অভিবাবকদের দায়িত্ব তার চাইতে কম নয়।
আরেকটা কথা আমি শেষে বলেছিলাম, সত্য প্রকাশের ধরণ থাকা উচিৎ। সেই ছাত্রদের মুখ সারা দেশকে এভাবে না দেখালেও চলতো। সাংবাদিকের উচিৎ ছিল মুখ গুলো ব্লার করে দেয়া। একটা বার চিন্তা করেন, এখন তাদের মানসিক অবস্থাটা কি হতে পারে

৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সাজানো চিত্রনাট্য।
সদ্য এসএসসি পেরোনো একটি ছাত্র যখন পীথাগোরাসের পরিচয় দিল ঔপন্যাসিক বলে!
সাইন্সের একটা ফেল্ডুস ছাত্রও যদি হুবুহু নকল করেও পরীক্ষা দেয়, তবু তাকে জীবনে কম করেও হলেও পঞ্চাশবার পিথাগোরাসের নামটা দেখতে হয়েছে। উপপাদ্যটা জানুক বা না জানুক, এই নামটা নিয়ে তার ভুল কোনদিনই হবে না।

আচ্ছা, ধরে নিলাম সে আরো খারাপ ছাত্র, পীথাগোরাসের নামটা না জানার মত অগা ছাত্র বা টোকাই। তাহলে, ওই লেভেলের একটা টোকাই ‘ঔপন্যাসিক’-এর মত একটা জটিল শব্দ মুখ দিয়ে কীভাবে বের করল?
বড়জোর সে লেখক শব্দটা বলতে পারত। ‘ঔপন্যাসিক’-এর মত একটা জটিল শব্দ তার মুখ দিয়ে বেরোনো দূরের কথা, মাথাতেও আসার কথা না। তাহলে এই সাজানো চিত্রনাট্যের স্ক্রিপ্ট দুর্বল না স্ট্রং?

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:০২

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: হতে পারে, সিনেমাটোগ্রাফিতে আমরা দুর্বল। এটা হয়তোবা তার উত্তরনের একটা প্রচেষ্টা

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যি যদি বলতে হয়, তাহলে বলবো প্রথাগত বাংলাদেশের শিক্ষার মান খুব একটা ভালো নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করে এসে যদি আমেরিকায় এসে কফি শপে চাকরি খুঁজতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে শিক্ষা ব্যবস্থার কোথাও কোন ভুল হচ্ছে। যেটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের লোকজনরাও করেনা।

ভালো মার্ক পাওয়ার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ার জন্য পড়াশোনা আর শেখার জন্য পড়াশোনার বিস্তর ব্যবধান আছে। সেটা আইনস্টাইন থেকে শুরু করে হালের ফেইসবুকের জাকারবার্গ সবাই প্রমাণ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, পড়াশোনা জ্ঞান অর্জনের একটা পবিত্র মাধ্যমে। এখানে নম্বরের চেয়ে ইচ্ছে আর চেষ্টার একটা বিশাল অবদান যেটা আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কখনোই শেখানো হয়না। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪০

নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: প্রথাগত শিক্ষার মান ভাল নয় কথাটা হয়তো সত্যি। বিষয়টা যে ররাতারাতি পাল্টে ফেলা যাবে এমনও নয়। এ থেকে উত্তোরনের দায়ীত্ব যাদের হাতে তাদের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। আবার আমাদের দেশটা শত সমস্যায় জর্জরিত। একদিক দেখতে গেলে আরেকদিকে টান পড়ে যায়।
তবে শিক্ষার দিকটা ধিরে ধিরে ভাল হচ্ছে। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট এখন আর নেই। ধিরে ধিরে বাকি সমস্যার সমাধানও হবে ইনশাল্লাহ

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অাপনি বলেছেন, "বিষয়টা যে ররাতারাতি পাল্টে ফেলা যাবে এমনও নয়। এ থেকে উত্তোরনের দায়ীত্ব যাদের হাতে তাদের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।"
অাপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এসব নিয়ে অভিযোগ করতে করতে অনেকের জীবন শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়াবে, তাতে শুধু ঐ ব্যক্তিরই ক্ষতি হবে। খুব সম্ভবত এই বিষয়টা অনেকেই ভালোভাবে বুঝতে পারেন, তাই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেলে কেউ দেশে ফিরতে চাননা। অনেকে, চিরকালই প্রবাসে থেকে যান। যাইহোক, দিন শেষে এ বিষয়ে সফলতা যত তারাতারি অজর্ন করা যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট এর সমস্যা আমাদের সময় ছিলো, এখন নেই জেনে ভালো লাগছে। সবশেষে একটা কথা আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই, জ্ঞান অর্জনটা বরাবরই ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.