![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুদ্রনিল আকাশ যদি কালো হয়ে যায়,
বিমানবন্দর দখলে, বড় বড় রাস্তাঘাট কিংবা ব্রিজ ও দখলে।
দখলে বড় বড় সরকারি অফিস এবং টিভি চ্যানেল।
সারা দেশে কারফিউ জারী। সেনাপ্রধান জিম্মি।
.
প্রেসিডেন্ট কুতায়ে কুতায়ে উনার আইফোন দিয়ে একটা ভিডিও বার্তা পাঠালেন জাতীর উদ্দেশ্যে। সবাইকে রাস্তায় নামার আহবান করলেন।
দশ মিনিটের ভেতর গণেশ পুরাই উলটে গেল। আক্ষরিক অর্থে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায়, এমনকি কোলের শিশুটিকে নিয়েও।
বিরোধীদলের নেতারাও প্রেসিডেন্টকে সমর্থন জানালো। দাঁড়িয়ে গেল সবাই এক কাতারে।
.
একজন নেতা কতটুকু জনপ্রিয় হলে এরকম অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের দেশে কি এমন জনপ্রিয় নেতা আছেন? আমাদের জনপ্রিয় নেতাদের লিস্ট শেরে বাংলা থেকে শুরু করে ভাসানি আর বঙ্গবন্ধু হয়ে জিয়াউর রাহমানে শেষ।
কেন জানেন?
কারন জাতী হিসেবে এখন আমরা অন্যের সমালোচনা ছাড়া আর কিছু করতে পারি না। আর আমাদের নেতারা এই আমাদের মধ্যে থেকেই উঠে আসেন। তাই তারা এই গন্ডির মধ্যেই থাকেন।
.
প্রশ্নঃজাতী হিসেবে আমরা এমন কেন?
উত্তরঃ সব বিরোধী দলের চক্রান্ত।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৬
নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
এরদোগান তখন আঙ্কারায় ছিলেন না। আর মিডিয়াও আর্মির দখলে। তাই উনার আইফোন দিয়ে একটা ভিডিও করেন, অনেকটা কুতায়েই বলতে হয়।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪০
মহা সমন্বয় বলেছেন: সব বিরোধী দলের চক্রান্ত।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
নিহান ওয়াহিদ বলেছেন:
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এরদোগানকে এখনও তুর্কীদের প্রয়োজন রয়েছে। বিনামূল্যে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ইত্যাদির নিশ্চয়তা এর আগে কেউ দিতে পারে নি। এরদোগান এমনকি আইএমএফ এর অর্থ পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন। অর্থনীতি ঘোড়ার গতিতে ছুটছে এবং সেই সাথে চলছে নাগরিক সেবা। যে ল্যাম্পপোস্ট ঠিক করতে সিটি আগে এক সপ্তাহ নিত, সেটা এখন কয়েক ঘন্টায় ঠিক করে দেয়া হয়।
বিরোধী মত দমন, কর্তৃত্বপরায়নতা ইত্যাদি যেসব অভিযোগ আনা হয়, সেগুলো তুরষ্কে নূতন কিছু নয়। তবে এরদোগান তার কর্তৃত্বশালী মনোভাব অটুট রাখলে তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে। বিশেষত সিরিয়া কিংবা কুর্দ ইস্যুতে এতটা জড়ানো ঠিক হচ্ছে কিনা তা এরদোগানকে নূতন ভাবে ভাবতে হবে। এতে করে তুরষ্কের স্থিতিশীলতা অনেকটাই নষ্ট হচ্ছে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে আমি বিশেষজ্ঞ নই। যতটা বুঝি, কোন মানুষই ১০০% পারফেক্ট নয়। আর সুপ্রিম লিডারকে অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি কিংবা দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী ক্ষতি মেনে নেয়া। আবার অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় নিজে এবং পুরো জাতি। এরদোগানও এর বাইরে নয়। আসলে কেউই নয়।
জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকন, ম্যান্ডেলা কিংবা গান্ধীজীর ও অনেক সমালোচনা করার মত ইস্যু আপনি পাবেন। কিন্তু দিন শেষে তারা তাদের জাতীর কাছে আদর্শ হিসেবে থেকে যান।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৮
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকন, ম্যান্ডেলা কিংবা গান্ধীজীর ও অনেক সমালোচনা করার মত ইস্যু আপনি পাবেন।"
মানুষতো প্রকৃতিগত ভাবে অনিখুত। সবারই দোষত্রুটি রয়েছে। কিন্তু এরদোগান বেশ কর্তৃত্ববাদী। বিরোধীদের প্রতি তাকে আরো বেশী উদার হতে হবে। একজন জননায়ক যিনি ৫০% ভোট পেয়ে নির্বাচিত, তার পক্ষে সেটাই মানানসই।
হযরত আলী (রা) খারেজীদের প্রতি অত্যন্ত উদারসুলভ নীতি নিয়েছিলেন - "আমার বিরোধিতা, এমনকি হত্যার সংকল্পেও আমি কিছু বলব না। যতক্ষন না তোমরা সশস্ত্র পন্থা অবলম্বন কর।" আলী (রা) খারেজীদের হাতে নিহত হয়েছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি নীতিচ্যুত হন নি। আমি এরদোগানের কাছ থেকে আলী (রা) এর মত উদারতা আশা করিনা। কিন্তু সাধারন গনতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় এরদোগানকে দিতে হবে, না হলে এটা তার কলংক হয়ে থাকবে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৭
নিহান ওয়াহিদ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আপনার কথা আর আমার কথা প্রায় একই। দেখেন, যতটুকু আমার মনে হয় এরদোগানকে উনার দেশের মানুষ আইডল মনে করে। একজন নেতার জন্য এর চাইতে বেশী আর কি চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখাটা সিরিয়াস কিন্তু ভীষণ মজাদার ছিলো
প্রেসিডেন্ট কুতায়ে কুতায়ে উনার আইফোন দিয়ে একটা ভিডিও বার্তা পাঠালেন জাতীর উদ্দেশ্যে।
ভাই আপনি পারেনও।
প্রশ্নঃজাতী হিসেবে আমরা এমন কেন?
উত্তরঃ সব বিরোধী দলের চক্রান্ত।
টু দি পয়েন্ট-এর উত্তর আসছে।
লিখার জন্য ধন্যবাদ।