![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
্মানবতাবাদি মনুষ হওয়ার প্রচেষ্টায় ব্রতি
নির্বাচন নাকি নির্বাসন
“এক সৎ দরিদ্র কাঠুরি নদীর ধারে জঙ্গলে গাছ কাটতে গিয়ে হাত পিছলে তার একমাত্র সম্বল লোহার কোঠারটি পাসের নদীতে পরে যায় । সে পাশে বসেই কাঁদতে থাকে । তখন গঙ্গা দেবী তাকে একটি সোনার কুঠার দেখিয়ে বলে এটি কি তোমার ? সে উত্তরে বলে না এটি আমার না পরবর্তীতে একটি রুপার কুঠার দেখিয়ে বলে এটি তোমার সে আবারও বলে না । তখন গঙ্গা দেবী তার সততায় তুষ্ট হয়ে সোনা, রুপা, লোহার তিনটি কুঠারই তাকে উপহার দিলো ।”
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কাঠুরির মতো নির্বাচন কমিশনের কাছে পরিক্ষা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে ! দেখতে এমন মনে হলেও বাস্তবতা তার বিপরীত । দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একাদ্বশ নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান বিপরীতমুখী যার শুরু ৫ জানুয়ারি ২০১৪ এ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে । বিএনপি চেয়েছিলো তত্বাবধায়ক সরকার অন্যদিকে আওয়ামীলীগ এর বক্তব্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আসতে হবে নির্বাচনে । যদিও বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রীক কথার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনে অংশ নেয়নি । যদিও এই নিয়ে দলের মধ্যে সমালোচনার ব্যাপক ঝড় বয়ে গেছে বিএনপি তে । দলের অনেকেই মনে করেন নির্বাচনে না যাওয়া ছিলো বিএনপির সব থেকে বড় ভুল ।যে ভুল তারা শুরু করেছিলো নির্বাচন প্রতিহতের ঢাক দিয়ে জামায়াত-বিএনপির সারা দেশ ব্যাপী তান্ডব , মানুষ হত্যা । যার দরুন সাধারনের কাছে নিজের কবর নিজেই খোরার সামিল বলে মনে হয়েছিলো । রাজনীতিতে প্রতিহিংসা বর্তমানে সব থেকে কমন বা সাধারন বিষয় । একদল ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস ও অন্যদল(বিএনপি) গণতন্ত্র রক্ষা বা পুনরুদ্ধার দিবস হিসেবে পালন করে । যদিওবা এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র বলতে এখন কেবল পাঁচ বছর পর পর নির্বাচনে ভোট দেয়াকেই বুঝে আর তাই শিখিয়ে তুলছে এই পুজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ।এই দুই দলের কোন দলই গণতন্ত্র লালন বা ধারন করে বলে মনে হয় না ।
নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন তো, আপনি কি কথা বলতে পারছেন ? অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারছেন ? সভা ,সমাবেশ করতে পারছেন? গণমাধ্যম কি পারছে তার স্বাধীনতা নিয়ে চলতে ?আপনার মেয়ে বাসায় কি ভালো ভাবে ফিরবে তার নিরাপত্তা দিতে পারছে ? নাকি পেরেছে তনু, আফসানাদের ধর্ষনকারীদের বিচার করতে ? উত্তরটা আপনি নিজের কাছে নিজেকেই দিবেন ,কিন্তু আমি উত্তরে বলবো এগুলোর একটিও আমি পাই নি ।তাই ভেবে দেখবেন আপনি কোন পক্ষে যাবেন ?
আমি বলছি না এই দুই দলের মধ্যেই কাউকে বেছে নিতে । দেশে এই মুহুর্তে এই দুই জোটের বাইরে দৃশ্যমান কোন রাজনৈতিক শক্তির প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না । তবে গৃহপালিত রাজনৈতিক বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় পার্টি নিরুপায় । তারা সংসদে কোন ভূমিকা নিতে পারছে না অবশ্য তার পেছনের কারন কিন্তু ভিন্ন । জাতীয় পার্টিকে বিরোধীদল বানিয়েছে কারা তার উত্তর পেলেই বুঝবেন কেন তাদের ভূমিকা নেই ।
তবে বর্তমান সময়ে দেশে বামদের ঐক্যের যে কথা চলছে তার অগ্রগতি অনেকটা দৃশ্যমান হলেও ছোট ছোট দলে বিভক্ত এবং সারা দেশে তেমন প্রভাব বিস্তারে সম্ভব করে উঠতে পারে নি । তবে বামদের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাসদ (খালেকুজ্জামান) এর জোট সারা দেশে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে যাবার চেষ্টা করছে ।সম্প্রতি সিপিবি , বাসদ ও বাম মোর্চা একত্রিত হয়ে জোট গঠন ও একসাথে আন্দোলনের যে ঢাক দিয়েছে তা অনেকটা আশার সঞ্চার করবে বলে প্রত্যাশা করি । তবে শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক, বা শহর কেন্দ্রিক নয় তৃণমূলে পৌছে যেতে হবে সিপিবি সহ প্রত্যেক বামদল গুলোকে ।আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে গ্রহন করে পার্লামেন্টে রাজনৈতীক দলগুলো সাংসদ নির্ধারন করবেন । এর জন্যে হলেও তৃণমূলে অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে ।
তবে আসল প্রশ্ন নির্বাচন পদ্ধতি কে ঠিক করবেন ? কে পরিচালনা করবে ?
নির্বাচন কমিশন নাকি সরকার ! এই প্রশ্ন জাগাটা খুব স্বাভাবিক কেননা সরকারের গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিরা বলেই বেরাচ্ছে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচন হওয়ার পূর্বেই যদি এই এক নায়কতন্ত্রের প্রকাশ দেখায় তবে সরকারের অধীনে নির্বাচন কেমন হবে তা আর বুঝতে বাকী থাকে না । নির্বাচন কমিশন নিজেই নিজের কাছে স্বচ্ছ নয় তাই তাদের মধ্যেই বক্তব্যের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায় । তাদের মধ্যেই অনেকের বক্তব্য আসন্য নির্বাচনে “না” ভোট চালু এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন । আসল বিষয়টা ঠিক না করেই কি থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে গপ্প , অনেকটা ময়মনসিংহ এর আঞ্চলিক ভাষাইয় বলা হয়ে থাকে “গাই কিনার আগে দুনা কিনা ।”
শুরুতে ঠিক করুন কোন সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হবে । এটা জাতীয় স্বার্থে সকল রাজনৈতীক দলগুলোর সাথে বসে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ।
তবে একটা উক্তি আছে এমন যে “রাজনীতিতে চিরবন্ধু আর চিরশত্রু বলতে কোন কথা নেই ।” কিন্তু আওয়ামীলীগ আর বিএনপি মুখোমুখি । আওয়ামীলীগ যদিও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদান কারী সংগঠন তবু বর্তমান সময়ে তার রুপ হারিয়ে এখন সৈরতন্ত্রের রুপ ধারন করেছে । আওয়ামিলীগ সাপ হয়ে ধ্বংসন করবে আবার ওযা হয়ে ঝারবে ।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা । সেখানে সরকারি দল সহ বিএনপি , জাতিয়পার্টি , সিপিবি ও বাম মোর্চারাও পিছিয়ে নেই ।তবে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির পরবর্তী করনীয় নিয়ে তর্ক , বিতর্ক চলছে দলের হাই কমান্ডে । এই মূহুর্তে বিএনপি চেয়ারপার্সনের দেশের বাইরে যাওয়ায় সেই বিতর্কের পালে আরো বাতাস লাগছে বলে মনে হচ্ছে । তবে যে যাই বলুক মা- ছেলের বৈঠক তো হবেই । অনেকর ভাবনা গ্রেফতারের ভয়ে দেশে নাও ফিরতে পারেন বেগম জিয়া । তবে কি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাসনেই পাঠালো বেগম জিয়াকে ?
দেশে এই এক ধারার বাইরে এসে নতুন বিকল্প শক্তির খুব জরুরী । সেই আসা বাম রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই প্রত্যাশা করি তবে ভয়ও পাই । প্রত্যাশা রইলো বিকল্পের সন্ধানে বামদের কাছে সেই সাথে সাধারন জনগনের কাছে । এই তথাকথিতের বাইরে এসে চিন্তা করার আহবান জানাই সকল আমজনতাকে ।
দেশে এই মুহুর্তে বিকল্পের কোন বিকল্প নেই ।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: এই দেশের ১০০ মানুষকে এক জায়গায় দার করান। এদের মধ্যে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ভিক্ষুক সবাই থাকতে হবে, এর পর সবাইকে জিজ্ঞাসা করুন, গণতন্ত্র কাকে বলে? বিশ্বাস করেন আপনি যে উত্তর পাবেন তা শুনে আপনার মাথা দেয়ালে পিটিয়ে ফাটিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করবে। যে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ জানে না, গনতন্ত্র কি, সেই দেশের নেতা নেত্রির কাছ থেকে আমি আপনি গণতন্ত্রের কথা আশা করি কি ভাবে।
১২ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
নিহার সরকার বলেছেন: সহমত ,আপনার সাথে
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
আলআমিন১২৩ বলেছেন: আল্লাহ লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।তাই বলে কি তার misuse করা ঠিক?মাঝে মাঝে এমন সব রাজনৈতিক প্রচারনা দেখি মনে হয় গোয়েবলস ও লিখা দেখলে এদের Salute করতো।