![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
্মানবতাবাদি মনুষ হওয়ার প্রচেষ্টায় ব্রতি
হাত ধরে হাটছি । কখনো কখনো একটা বা দুটো আঙ্গুল । আলোর শেষে যখন রাস্তায় অন্ধকার পড়লো তখন হাতটায় জোড়ে ধরতাম । এটাই ভালোবাসা । হ্যাঁ এটাই ছোট্ট বেলার ভালোবাসা ।
এই ভালোবাসা আবার কখনো রূপ নিতো চরম বিরক্ততায় তা সময় বাড়ার সাথে সাথে । কেননা সময়ের সাথে সাথে মানুষগুলোও যে বড় হতে থাকতাম ।
এই পূজো আসার সময় হলেই আমাদের ৪-৫ জনের একটা দল ছিলো যেটা পারিবারিক দলই বলা যায় । সেই সদস্য দের মধ্যে রয়েছে আমি (নিহার সরকার অংকুর),মেঝদা (প্রিতম সরকার) লম্বু ভাই( সুভোন দত্ত মজুমদার) আদা (আদনান খান,প্রয়াত) উল্লেখযোগ্য। মাঝে মধ্যে এই দলে অন্য কেউ কেউ যোগ হতো তবে সংখ্যাটা অল্প । সেই দলের ছোট ছিলাম আমি তবে সবার বয়স কাছাকাছি । তাই মিল যেমন ছিলো ঝগড়ার পরিধিও ছিলো বেশ । মারটা বেশী আমিই খেতাম ছোট ছিলাম বলে ।
এই পরিবেশটা বেশী ক্রিয়াশীল হতো পূজোর সময় । পূজোয় প্রতিযোগিতা হতো কার কাছে বেশী টাকা আছে এই নিয়ে । এই জায়গায় ছোট থাকার দরুন পিছিয়েই থাকতাম তবে কাছাকাছিই থাকতাম । সপ্তমী তে আমি পেতাম ১০টাকা ক্ষেত্র বিশেষ ১৫ টাকা, ওরা পেতো ২০-২৫ টাকা। দিন বাড়তো আর তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তো টাকার পরিমান । যার সর্বোচ্চ ছিলো ৫০টাকা । কে পেতো আমাদের তখন। যাই পেতাম আমি ছোট ছিলাম তাই অনেকটা চুপচাপ থাকতাম এই ভেবে যে যদি নিয়ে না যায় । আমাদের মধ্যে এমনও ছিলো যে টাকা খরচ করতো না বরং তা জমাতো এবং তা দিয়ে আধিপত্ত্ব দেখাতো আর সেই ব্যক্তিটা হলো সুভোন দা । কিছু হলেই পিঠের মধ্যে দিতো বসিয়ে । তবে যখন পিঠে সবার পড়ে যেতো তখন ঘটতো তার বিপত্তি । তখন সে থাকতো দৌড়ের উপর । আমরা বন্ধু ছিলাম ভাই ছিলাম ।
৫টাকা দিয়ে চটপটি ফুল প্লেট খেতাম তখন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ১প্লেটে ২ জন করে খেতাম আর তখন ৫০ পয়সাটা ছিলো তাই ভাগ করতে সমস্যা হতো না। সময়ের আবর্তনে আজ আর একসাথে হতে পারিনা সবাই ।
আমাদের মধ্যে একসাথে এখন আর কেউ নেই । শিক্ষা জীবন এর দাবিতে এক একজন এক এক জায়গায় । একজনতো চলেই গেলো না ফেরার দেশে । আর সেই পাগলটা হলো আদনান যাকে আমরা আদর করে বলতাম আদা। বিশ্বাস কর তোর শেষ যাত্রার সময় আমি থাকলে একটা কানমলা দিতাম আর বলতাম আদায় এতো ঝাল কেনরে ? তোকে কতোটা ভালোবাসতাম তা আমি জানিরে । খুব অভিমান হয় । আজ তুই নেই সেই ৪ সংখ্যা এখন ৩ এ । এই ৩ জনও যাবে এক সময় কিন্তু তোর যাওয়াটা অনেক অনেক আগে হয়ে গেলোরে । তুই ভালো থাকিস হাড়ামি । আমার কইলজার (কলিজা) ভাই ।
আমাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হতো বেশী হতো মেঝ দা আর আমার মধ্যে যেখানে রেফারি থাকতো সুভোন দা আর এই ঝগড়া করানোই হতো আমায় যেন না নিয়ে যেতে হয় । তখন মধ্যপন্থী হয়ে আবির্ভাব ঘটতো আদনান এর । যদিও বা সে ও আমার মতো শিকার হতো ।
খুব মজা হতো । শহরের এমন কোন মন্ডপ ছিলো না যা আমরা দেখিনি । আর এখন বলতেও পারিনা কয়টা দেখেছি । তখন দশমী তে খুব খারাপ লাগতো তবে একজন আরেকজনকে বলতাম সামনে বার তো আইতেসেই( সামনে বছর আবার হবে)। আমরা তখন বিসর্জনের আগে সুভোনদা মূর্তির ত্রিশূল সহ বিভিন্ন কিছু মুর্তি বিসর্জনের পর নিয়ে আসতো । আর তা নিয়েও খেলা হতো ।
আজ সেই ১০ টাকার সপ্তমি, উৎসবের সপ্তমি বা পূজো নেই আমাদের কাছে । নতুন পোষাক পড়ার সেই ইচ্ছেও জাগে না। আসলেই জানতে খুব ইচ্ছে হয় যে দিন গেছে সে দিনকি একেবারেই গেছে?
আবার খুব ফিরে পেতে ইচ্ছে করে সেই পূজো কে যে পূজোয় ঘুরতাম। তারাবাতি জ্বালাতাম, নতুন জুতোয় পা কাটতাম । খুব ইচ্ছে করে …
আজ ২০১৮ তে এসে সেই ৪ জন এর খবর বললে একজন দেশের বাইরেই অবস্থান করছে, একজন খেলতে দেশের বাইরে যাচ্ছে, একজন ছুটিতে বাসায় এসে একা অসুস্থ হয়ে আছে আর অন্যজন মাটির ৪ দেয়ালে শুয়ে আছে ।
সবাই ভালো থাকিস । সেই স্মৃতিটাকে আজও মনে আছে । ভালোবাসি তোদের ।
চল একটা গান গাই । আক্ষরিক অর্থে আমরা ভাই তবে বন্ধুও বটে তাই গানটা গাওয়া যেতেই পারে – কেন বাড়লে বয়স ছোট বেলার বন্ধু হাড়িয়ে যায়।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছোটবেলার কোনো বন্ধু নাই।
কে কোথায় আছে জানি না।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছোটবেলার কোনো বন্ধু নাই।
কে কোথায় আছে জানি না।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১১
নিহার সরকার বলেছেন: একদম ঠিক
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা ভাই তবে বন্ধুও বটে তাই গানটা গাওয়া যেতেই পারে – কেন বাড়লে বয়স ছোট বেলার বন্ধু হাড়িয়ে যায়।
.................................................................বড় হলে যুক্তি আর মর্জি যায় পাল্টে, সেই সাথে আছে জীবনের নিত্য দিনের
কার্যক্রম ...এতএব ছোট বেলার বন্ধু হারায়ে যায় কালের গর্ভে