![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য জানা, কিন্তু যাত্রা পথের পাথেয় অপ্রতুল। আবার অনত্র যাওয়ার বিকল্পও নেই। চিন্তিত মন, ক্লান্ত শরীর - পথ বিপদসংকুল।
চল্লিশ পেরিয়েছে অনেক আগেই। আর সেই বয়স চল্লিশ থেকে সুমনের যে গানটা মাঝে মাঝেই ভিতর থেকে বের হয়.......
....আজকে যে শিষ দিয়ে গান গায়...
চুপচাপ হয়ে যাবে কাল সে
....শয্যা-সঙ্গী শুধু চশমা...
চল্লিশ পেরোলেই চালশে।
যে কোন ধরনের নড়াচড়া [move] তা ছোট-বড় যেটাই হোক শরীরের জড়তা কাটায়, মনের মরিচা দুর করে।
ঘোরা, বেড়ানো তথা নড়াচড়া আমার চারিত্রিক একটা বৈশিষ্ট্য এবং আমার মনের এক বড় চাহিদাও।
নেতিবাচকভাবে বলা যায় এটা আমার এক প্রকার অস্থিরতাও। সেই অস্থিরতাই আমার নড়াচড়ার প্রনোদনা হবে হয়ত। জানি না।
কিন্তু এবার এই ইদ-ছুটিটা কাটালাম পুরো অলসভাবে। কোত্থাও বের হইনি। শুয়ে-বসে-ঘুমিয়ে কাটালাম। ইদের পর ঢাকা ও ঢাকার বাহীরে মিলে তিনটা প্রোগ্রাম ছিল। একটাকে আরেকটার উছিলা দিয়ে কাটিয়েছি। মজার ব্যাপার হল কৈফিয়তগুলো অন্য কাউকে দেইনি।
আমি যেন দু'টো "আমি" হয়ে গেছি। এক আমি সেই চির-চেনা - চঞ্চল-দুরন্ত-অস্থির। মন চায় উঁচু মসৃন পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া এক বৃত্তাকার পাথর হতে। আরেক আমি বলছে - ইশ্! পাহাড়ের কোন খাঁজে বা বড় কোন বৃক্ষের গোড়ায় বা আরো বড় কোন আটকে থাকা পাথরের ভাজে যদি ঠেকে যেতে পারতাম! তবে নিজেকে আর দূষতে হোত না, বলতে পারতাম - আমি তো চলছিলামই, ঐ কারনগুলোর কোন একটার জন্যই আটকে গেলাম।
থামার জন্য মনের কাছে আজ আমার একটা উছিলা দরকার।
মনটা সেরকমই ছুটছে অতীতের বল্গাহীন গতিতে; কিন্তু শরীর জড়তার আরাম খুঁজছে।
চুপচাপ এক কোনে বসে তারিয়ে তারিয়ে সব কিছু দেখে যাওয়ার এক আরামদায়ক জড়তা আজকাল পেয়ে বসছে যেন।
©somewhere in net ltd.