![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্তব্য জানা, কিন্তু যাত্রা পথের পাথেয় অপ্রতুল। আবার অনত্র যাওয়ার বিকল্পও নেই। চিন্তিত মন, ক্লান্ত শরীর - পথ বিপদসংকুল।
"সাহিত্য কাকে বলে?" লিখে গুগলে সাহিত্যের সজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে পেলাম -
লিখন-শিল্প ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা, চেতনা, অনুভুতি, সৌন্দর্য্য ও শিল্পের লিখিত প্রকাশকে সাহিত্য বলে।
তো সে হিসাবে বব ডিলনের লিখা গানগুলো কেন সাহিত্য হবে না, তা আমার মাথায় ধরে না।
বব ডিলনের গানগুলো যুগোত্তীর্ণ কি না?
তাঁর গানগুলো সাহিত্যের মানদন্ডে কতটা উঁচু?
আর কোন বড় সাহিত্যিকের সাহিত্য ডিলনের লেখাকে ছাড়িয়েছে কি না?
এই সাহিত্য-পুরষ্কারে কোন প্রকার পক্ষপাত হয়েছে কি না?
..............এ সমস্ত ব্যাপারগুলো আলোচনায় আসতে পারে বা সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু বব ডিলন একজন গীতিকার, তিনি এই সাহিত্য বিভাগে পুরষ্কার কেন পাবেন - এরকম আঁতলামী-মার্কা কথা তো চলতে পারে না। গান তো সাহিত্যের'ই একটা শাখা। ডিলন তো গায়ক হিসাবে পুরষ্কারটা পান নাই, গীতিকার হিসাবেই পেয়েছেন।
নোবেল-কমিটির বিচারে ডিলনের গানের সাহিত্যিক মান এবং মানুষের মনোলোকে তার আবেদন ও প্রভাব, এগুলোই বিচার্য্য।.......... হয়ত।
আর এই আঁতেলদের চিন্তা বা তথ্যে কি এটা নাই যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সেই ১৯১৩ [খৃঃ] এ সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন তা গানের জন্যই, কোন গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-নাটক-কবিতা লেখার জন্য নয়।
গীতাঞ্জলি তো কোন কবিতার বই না, গানের বই।
তাই তো?!
এক আঁতেল আমাকে তুড়ি মেরে, মাথা ঝাকিয়ে খুব বিজ্ঞের সাথে বললেন - গীতাঞ্জলি গীতি না, উহা গীতিকবিতা।
বুঝলাম।
©somewhere in net ltd.