নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ শবনম কাহিনী ২ - প্রায়শ্চিত্ত!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭



অলস বিকাল বেলা। সাড়ে চারটা বাজে। আরাম করে নিজের রুমে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খাচ্ছি। দুপুরের খাবার খেতে এমনতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। রুমের বাইরে শুনি হটাত হইচই। থানায় এসব হইচই খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। পাত্তা দিলাম না। খাওয়া শেষ করে এসির টেম্পারেচার তা একটু কমিয়ে দিয়ে আয়েস করে একটা বেনসন ধরালাম। সিগারেটা আজকাল বেশিই খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। নিজে না কিনলে যা হয় আরকি! হিসাব থাকে না। বাইরে থেকে এসে রুমে ঢুকলেই দেখতাম আস্ত কার্টুন টেবিলের নিচে রাখা। প্রথম দিকে অসস্তি লাগত এখন আর গায়ে লাগে না। এথিকস বলে কিছু আছে নাকি এখন? ব্যাটা মরে অনেক আগেই ভূত হয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। পুরা দেশ টাই পঁচে গেছে আমি ভাল থেকে কি হবে? এই দেশে ভাল মানুষের কোন দাম নেই। চিল্লাচিল্লি একটু বেড়ে গেল মনে হয় বাইরে। ২ টা এস আই আছে বাইরে। ওরাই সামলাক। ৩ মাস হল এই থানায় এসেছি। একটা দিন ও শান্তি পেলাম না। শুধু হাউকাউ আর হাউকাউ!

এক
দরজা খুলে শাড়ি পড়া এক মহিলা দৌড়ে আমার কাছে এসে ম্যাওপ্যাও শুরু করল। কি মুস্কিল? একে আমার রুমে ঢুকতে দিল কে? সমস্যা কি এর? পিছনে পিছনে দেখি এস আই রবিউল এসে হাজির।
-কি হয়েছে এর? কেস কি?
-ইয়াবা কেস বস। হারামজাদা কে কয়েকদিন ধরে ট্র‍্যাক করতেছি আমরা। রেগুলার ইয়াবা কিনে। ৩২ নম্বর এর সামনে গাড়ি সহ ধরছি। ২০০ পিস ইয়াবা পাইছি গাড়িতে। ড্রাইভার টারে ধরতে পারি নাই। গাড়ি রাইখা দৌড় দিছে। মাদারচুদ। হাতের কাছে একবার পাইয়া নেই।
-এই মহিলা কে?
-কয় তো হারামজাদার বউ।
-ড্রাইভারের?
-না।
-কি বলে?
-কয়, আমার জামাই এ সব কিছু জানে না। ওরে নাকি কে ফাসায়া দিছে।
-এর জামাই রে ভিতরে নিয়ে একটু আদর আপ্যায়ন কর, দেখ কি বলে?
-করছি বস। হালারপুত প্রথমে কয় না। উপ্রে ছাদে ঝুলাইয়া যখন কিছু আদর দিছি তখন কয় আর কোন দিন করব না। বাসায় নাকি পার্টি আছে। সেজন্য কিনছে।
-মাল করে কি?
-কয় তো কোন ঢাকার প্রাইভেট ভার্সিটির প্রফেসার।
মেজাজটা সাথে সাথেই খারাপ হয়ে গেল। এই বাইনচুত গুলির জন্যই দেশের এই অবস্থা।
-কোন পলিটিকাল লিংক আছে?
-৪ ঘন্টা হয়ছে এখন পর্যন্ত কোন ফোন পাইনি।
-আবার রুমে ঢুকাও। খুব ভাল মত জিজ্ঞেসাবাদ কর। বাকি গুলার খোঁজ নাও।
-ঠিক আছে বস। তয়, বস মাইয়া টারে কি করুম?
-কন মাইয়া?
-হালারপুতের গাড়িতে পাইছি। পিছনের সিটে এইটার সাথে বইসা ছিল।
-কি রকম মাইয়া?
-কয় তো প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ে। ভাব চক্কর তো ভাল মনে হয় নি। প্রথমে ধমকাইছি স্বীকার করে না। কইসা এক টা থাপ্পর দিয়া কানপট্টি ফাটায়া ফেলছি। তখন কানতে কানতে কয় খ্যাপ মারা পার্টি। ইউনিভার্সিটির কার্ড আছে। স্টুডেন্ট। মাগি পার্ট টাইম খ্যাপ মারে। আরেক ইয়াবা খোর। পার্টির জন্য নাকি এই হালারপুত ভাড়া করছে আজকে। এই গাড়িতে করে নিয়া বাসায় যাচ্ছিল। এটাই নাকি প্রথম বার না। আগেও এই ভাবে এই মাগিরে ভাড়া করছে। কক্সবাজারেও নাকি কয়েকবার ট্রিপ মারছে।

মনের অজান্তেই মহিলার সামনেই মুখটা খারাপ হয়ে গেল।
-মাদারচুদ রে নিয়া ইচ্ছা মত সাইজ কর। ওর পার্টি ওর পিছন দিক দিয়া ঢুকাইয়া দে। কুত্তার বাচ্চা। মাগিবাজি করে বেড়ায় আবার স্টুডেন্ট পড়ায়! কি বাল ছাল পড়ায় একটু বাইর কর। না পারলে আমারে দে। আজকে ওরে আমি পড়াই!
সত্যি দেখি হাতটা নিসপিস করছে। মাঝে মাঝে আমি একদম রাগ কনট্রল করতে পারি না।
-বস আপনি রেস্ট নেন। আমি থাকতে আপনি কষ্ট করবেন ক্যান? আমি দেখতাছি হালারপুত ক্লাসে কেমনে পড়ায়?

আমাদের কথা বার্তা শুনে মহিলা ধপ করে আমার টেবিলের সামনে রাখা একটা চেয়ারে বসে পড়ল।
মুখ রক্ত শুন্য হয়ে সাদা গেছে। হোক। আমার কি?
নিজের জামাই রে সামলাইতে পারে না। এখন আসছে থানায় বাল ছিড়তে! ইচ্ছা করছে থাবরাইয়া সব কয়টা দাঁত ফেলে দেই। যখন শরীরের গরম থামান দরকার তখন কিছু করেনি এখন আসছে থানায় প্রেম পিরিতি দেখাতে। এর প্রেম পিরিতির আমি খ্যাতা পুরি। হাবিলদার এসে জিডির খাতা খুলে নাম এন্ট্রি করবে নাকি জিজ্ঞেস করল। মহিলা কে নাম জিজ্ঞেস করলাম।
-ইসরাত শবনম।
নামটা শুনে হঠাৎ একটু অবাক হয়ে মহিলার দিকে তাকালাম। এত কিছু পর এই নাম আমি ভুলি কি করে! চেহারাটাও মনে পড়ে গেল। স্বাস্থ্য একটু ভাল হয়েছে আর চোখে চশমা দিয়েছে। এই জন্যই প্রথমে চিনতে পারি নি। শবনম! অনেকদিন পরে মুখের ভিতরে তিতা তিতা লাগছে। কত দিন হবে? চার পাঁচ বছর তো হবেই। সময় কত দ্রুত চলে যায়? নির্ঘাত আমাকে চেনেনি। চিনবে কিভাবে? আমি এখন পুলিশ, মানুষ না। মানুষ হলে হয়ত চিনতে পারত। মাথার সামনের দিকের চুল পড়ে টাক বের হয়েছে। ঘুষের টাকার ভূড়িও বের হয়েছে।
-আমার রুমে ঢুকেছেন কেন?
-আমার হ্যাজবেন্ড কে থানায় ধরে এনেছেন কেন?
নতুন করে বেহায়াপনা শিখেছে দেখি? সামনে দাড়িয়ে সব কথা শুনল আর এখন বলে কি? এই মেয়ে তো কঠিন চীজ, ভূলে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ত্যাদরামি। বের করছি!
-আমার হাজবেন্ড…
আবার শুরু করছিল কিন্তু এবার আমার চেহারার দিকে তাকিয়ে থেমে গেল।
-কি বলছিলেন আপনার হাজবেন্ড নিয়ে?
আপনারা অন্য কারো সাথে মিলিয়ে ফেলছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।
তাই, আচ্ছা, তোমার জামাই তাহলে ফেরেশতা! দাঁড়াও আসমানে খবর পাঠাচ্ছি।
-রবিউল, মাইয়া টারে আমার রুমে পাঠাও।
শবনম একটু উত্তেজিত হয়ে বললঃ
-আমাকে বলেছে মাঝে মাঝে পার্টি দিতে হয় স্ট্যাটাস মেইন্টেইন করার জন্য। ওর ফ্রেন্ডরা আসে। একটু আকটু হট ড্রিংক্সস করে। বেশী কিছু না।
স্ট্যাটাস এর মায়রে বাপ! মেজাজ টা এমন গরম হয়ে গেল যে ইচ্ছা করছে একটা থাপ্পর দিয়া শবনমের কানপট্টি ফাটায়া ফেলি। জামাই খ্যাপ মারা পার্টি ভাড়া করে মৌজ ফুর্তি করে আর বউ জানেনা! নখরামি করার আর জায়গা পায় না। তাও আবার পুলিশের সাথে? নির্ঘাত আমাকে মগা পুলিশ মনে করছে। এরে একটু স্ক্র টাইট দেবার সময় হয়েছে।

দুই
রবিউল মাইটারে রুমে নিয়ে এসেছে। কড়া মেকাপ। উগ্র মেয়েলি সেন্টের গন্ধে রুম টা ভরে গেল। এত টাইট ড্রেস পড়ছে যে পুরো শরীরের আঁকবাক ভাঁজ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আরে, এইটারেই তো থানার শ্বশুরবাড়ি তে আগে ঢুকান দরকার! বিয়ের আগেই এই মেয়েরে শ্বশুরবাড়ি কি জিনিস চেনানো দরকার। এই মেয়ের আজকে খবর আছে! বেশ কয়েকদিন ধরে থানায় কোন পার্টি হয় না। পার্টি কি কত প্রকার সেটা এই মেয়ে আজকে টের পাবে!
-নাম কি তোর?
-ফারিয়া। ফারিয়া হক।
-যা জিজ্ঞেস করব সোজা উত্তর দিবি! ভংচং করবি তো তোর খবর আছে!
-পার্টি কখন আর কথায় হয়? চোখ গরম করে তাকালাম।
-সন্ধ্যার সময় থেকে শুরু হয়। রাত ১০-১১ টা পর্যন্ত চলে। ধানমন্ডির X রোডের X বিল্ডিং এর পাঁচ তলার ১৪ নাম্বার ফ্লাটে। এখানেই পার্টি টা বেশি হয় তবে আরও কয়েক টা জায়গা আছে। সব গুলি জায়গা আমি চিনি না। আমাকে বিভিন্ন লোকেশন থেকে তুলে নেয়। আমি নিজে কখন একা যাইনা। নিষেধ আছে।
শবনম মেয়েটার কাছে আরেকবার অ্যাড্রেস টা শুনল। শোনার পর মুখটা দেখি কাল হয়ে গেছে। মজা তো কেবল শুরু! রবিউল দেখি মেয়ে টারে হাল্কার উপর ডলা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আমার কিছু করতে হবে না। স্টার্ট বাটন চাপ দিলেই মাইক স্টার্ট হয়ে যাবে!
-পার্টিতে এই রকম স্যার রা কয়জন থাকে?
-৪ জন। আমি সবসময় ৪ জনই দেখেছি।
-তোর সাথে আরো মেয়ে থাকে?
-ঠিক নাই। একেক সময় একেক রকম। আমাকেও সব সময় ডাকে না।
-পার্টি রেট কত নিস? ঠিক ঠাক মতো কথা বলবি। নাইলে ধরে এমন ডলা দিব তোরে যে পার্টি রেট তো পার্টি রেট তোর বাপের ম্যারেজ ডেট পর্যন্ত মনে পড়ে যাবে।
-৫০০০ টাকা আর তার সাথে কিছু টিপস দেয়
-কতদিন ধরে তুই এই সব পার্টিতে যাস?
-৮/৯ মাস ধরে। আমাদের ইউনিভার্সিটির এক সিনিয়র আপু পরিচয় করে দিয়েছে। আগে উনিই যেতেন। রিছেন্টলি বিয়ের পর আমাকে কাজটা দিয়ে উনি শুনেছি এসব বাদ দিয়েছেন।
-ইয়াবার কাহিনি কি? কে কে খায়?
-পার্টিতে ড্রিংক্স করার পর সবাই উনারা ইয়াবা খায়। আমাদের ও খাওয়ায়। এটা খাবার কিছুখন পর সবাই হট হয়ে যায়। তারপর আমাদের উপর উঠে।
সাবাস! আমি ব্যাপক মজা পাচ্ছি। এক ফাঁকে শবনমের মুখটা দেখে নিলাম। মাথা নিচু করে আছে। আজকে শবনমের খবর আছে! ওর সব নখরামি আজকে আমি টিপে টিপে বের করব!
-এদের সাথে তুই নাকি কক্সবাজারে ও কয়েকবার ট্রিপ মারসছ। সত্যি নাকি?
-জী। দুই তিন মাস পরে পরে উনার কক্সবাজারে প্লেজার ট্রিপ দেয়। আমাদের কাউকে না কাউকে উনাদের সাথে যেতে হয়। না গেলে অনেক রাগ করে। পরে সহজে আর পার্টিতে ডাকে না।
-এই লম্পট প্রফেসরের সাথে লাস্ট কবে গিয়েছিলি?
-গত মাসের ১০ তারিখে। উনার সাথে উনার এক বন্ধুও ছিল। উনিও প্রফেসর। দুই দিন তিন রাত ছিলাম। প্লেনে গিয়েছি, প্লেনে এসেছি।
এত মালদার পার্টি দেখি? তো কোন হোটেলে ছিলি?
-হোটেল সায়মন এ।
হোটেল সায়মনের নামটা শুনে মনটা জানি কেমন কেমন লাগছে? কত দিন কক্সবাজারে যাই না। শালার পুলিশের চাকরির মায়রে বাপ। ছুটিই তো পাইনা। একটু রিলাক্স করব, ফুর্তি ফার্তা করব সেই উপাই টাও নেই। জনগনের সেবার খ্যাতা পুরি। মেজাজটা আস্তে আস্তে গরম হচ্ছে। শবনমের দিকে ঘুরলাম। দেখি এই মেয়ে কি বলে?
-এই মেয়ে কি সত্যি কথা বলছে? গত মাসের ১০ তারিখে আপনার হ্যাজবেন্ড কোথায় ছিল? বাসায়? আপনার সাথে? ঠিক করে বলেন। আমি কিন্তু সব জায়গায় খোঁজ নিব। হোটেলে ফোন দিব।

এতক্ষণ হাউকাউ করা পার্টি এখন চুপ। চুপ থাকলে তো হবে না। কষে একটা ধমক দিলাম। ইতরামি, আমার সাথে ইতরামি। সোজা আঙুলে কোন দিন ঘি উঠে না। আঙুল তো আমি অনেক আগেই বাঁকা করেছি।
-কথার উত্তর দিচ্ছেন না কেন? কথা না বললে আমি কিন্তু আপনার আদরের জামাইরে এখানে এনে এমন ডলা দিব যে সুর সুর করে সব কথা বের হয়ে আসবে। এই কেস আমি অনেক অনেক দূর নিব। চিন্তা করবেন না।

ডেস্পারেট ভংগিতে আমার দিকে তাকাল শবনম। এরকম অসহায় আর ডেস্পারেট ভংগির সাথে আমরা পুলিশরা অনেক পরিচিত।
আমি কিন্তু আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি!
শবনম এবারও চুপ করে থাকলো।
-আপনার ভাব চক্কর দেখে তো মনে হচ্ছে ও সত্যি কথা বলেছে। শেষ পর্যন্ত দুই জন মিলে এত টুক একটা মেয়ের সাথে! ছি ছি!
শবনম এখন ও চুপ। দেখি কতখন চুপ থাকতে পারে?
-কি জামাইরে বেড রুমে ঢুকতে দেন না, নাকি বেড রুমে ঢুকলে বেডে উঠতে দেন না? নাকি বেডে উঠলেও………..
আর সহ্য করতে পারল না শবনম। ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল-
-অসভ্য অস্লিল কথা বলছেন কেন?
-সভ্য শ্লীল কথা শুনতে চাইলে শান্তি নিকেতনে চলে যান। এখানে থানায় এসেছেন কেন?

হাতের ইসারায় হাবিলদার কে ডেকে ফারিয়া কে নিয়ে যেতে বললাম। চোখে পানি চলে এসেছে শবনমের। এটাই তো চাই! মাথা ঘুরিয়ে চারপাশ টা একবার দেখলো। আহ, একেবারে কপি বুক অ্যাকশন। যা ভেবেছি তাই হতে যাচ্ছে। মোবাইল বের করে রেকর্ডিং টা অন করলাম। হে হে, একে আমি ভাল মতো ফাঁসাবো। শুভর আজকের দিনটা শেষ পর্যন্ত শুভ ভাবেই শেষ হবে দেখছি! দেখি শবনম কতদূর যেতে পারে! যত দূর যাবে ততই মজা। আসল মজা এখনই শুরু হবে। শবনম মরিয়া হয়ে বললঃ
-পুরো ব্যাপার টা সামলাতে কত খরচ করতে হবে?
আমি বুঝে ও না বুঝার ভান করলাম।
-খরচ? কিসের খরচ?
-আপনার। থানার। সবার। যা খরচ লাগে। আমি ঝামেলা টা এড়াতে চাচ্ছি।
সাবাস, শবনম। ইচ্ছে করছে উঠে যেয়ে একবার শবনমের সাথে হ্যান্ডসেক করে আসি। বুকের পাটা লাগে এ এস পির রুমে বসে তার রেট জিজ্ঞেস করার জন্য। শবনম আমাকে আমার জীবনে দ্বিতীয় বারের মতো মুগ্ধ করল। জীবনে যে কত কিছু মিস করেছি এই মেয়েই তার জলজান্ত প্রমান। শালার পুরো জীবনটাই ব্যর্থ! এই রকম মেয়ে কারো বাসায় থাকলে আর কিছু লাগে নাকি! সো হট! আরেক টু খেলি। শবনমের সাথে খেলতে ভালোই লাগছে এখন!
-আপনি কি আমাকে ঘুষ সাধছেন? আপনার সাহস তো কম না দেখি? এই রকম কথা বলার জন্য আমি এখন আপনাকে অ্যারেস্ট করতে পারি এটা জানেন?
শবনম এখন পুরোপুরি কনফিউজড। আমতা আমতা করে বললঃ
-না না আপনি সেটা ভাবছেন কেন? আমি জাস্ট আপনারা এত কষ্ট করছেন সেজন্য বলছিলাম।
-কি উলটা পাল্টা কথা বলছেন। কষ্ট কিসের? এটা তো আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। জনগনের সেবা করাই তো আমাদের একমাত্র কাজ।

শবনম আমার মুখে পুলিশের দায়িত্বের কথা শুনে বেকুব মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আহ, কি আনন্দ! খরচ পাতির কথা শুনে রবিউল এক বার রুমে উঁকি দিল। আমি ডাকি নাকি সেজন্য! আমার থানায় টাকা পয়সা নেগছিয়েশনের দায়িত্ব ওর। উপরে নীচে সব কিছু ওকেই সামলাতে হয়। শবনমের সাথে আমার কথা বার্তা শুনে দেখি রবিউল ও বেকুব হয়ে গেল। সাধারণত এর আগেই আমি কেস ওর কাছে ট্রান্সফার করে দেই। হাতের ইসারায় ওকে আমি চলে যেতে বললাম। এই কেস আমার। এটা আমিই সামলাব।

তিন
আমার মাথার কোয়াড কোর প্রসেসর এখন ফুল স্পীডে চলছে। শবনম আর ওর ইতর জামাই টারে কি করা যায় তার সব রকম অপশন চিন্তা করছি। দেনা পাওনা অনেক বেশী। অল্পতে পোষাবে না।

হাবিলদার কে ডেকে শবনম কে এক গ্লাস পানি দিতে বললাম। মেয়ের মনে হয় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। মেয়ে পানি খাক আর আমি এই ফাঁকে আরো বিনোদনের ব্যবস্থা করি।

রবিউলের রুমে যেয়ে দেখি দরজা বন্ধ করে রেখেছে। সর্বনাশ। ফারিয়া মেয়েটাকে তো এদিকেই পাঠিয়েছিলাম। এই ভর বিকেল বেলা দরজা বন্ধ করে রবিউল কি পার্টি শুরু করে দিল নাকি? ঠক ঠক করে দরজা নক করলাম। শবনমের জামাই এর কেস নিয়ে এমনতেই ঝামেলার মধ্যে আছি সেখানে যদি আবার এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হয় তাহলে খবর আছে। সাংবাদিকরা আর কিছু না হোক পুলিশ কে নিয়ে লেখার সময় সারা জীবনের সব রস ঢেলে দেয়। এই সব লেখা পড়লে পিত্তি পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। ইচ্ছা হয় দুই একটা কে থানায় এনে…….। যাই হোক সাথে সাথেই দরজা খুলে দিল। ভিতরে ঢুকে দেখি কোন মেয়ে নেই। যাক বাঁচা গেল। রবিউল কে শবনমের জামাই এর বাকি তিন আকাম কুকামের পার্টনার সহ এদের সাথে যে মেয়ে গুলি খ্যাপ মারতো সব গুলিকে যে ভাবেই হোক আজকে রাতের মধ্যে থানায় ধরে নিয়ে আসতে বললাম।

আপাতত কাজ শেষ। আমার এখন রেষ্ট নেবার সময়। কিন্তু কোথায় নিব? রুমে উঁকি দিয়ে দেখি শবনম আমার অফিসের টেবিলে মাথা রেখে ব্যাপক কান্নাকাটি করছে। এত দূর থেকে শব্দ শোনা যাচ্ছে। এর একটু প্রাইভেসী দরকার। রুমে ঢুকে সিগারেট আর লাইটার টা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। শবনমের কোন খবরই নাই। মেয়েটা মনে হয় ব্যাপক শক পেয়েছে। বদমাশ জামাই টা যে ওকে দিনের পর দিন ঠকিয়ে এসেছে, বন্ধু বান্ধব নিয়ে মৌজ ফুর্তি করে বেরিয়েছে সেটা এখন টের পেয়েছে। শবনম কে আমি যতদূর চিনি ও জানি, যদি এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যাপক পরিবর্তন না হয়ে থাকে ও এত সহজে ওর সাথে বেঈমানি করা ছেড়ে দেবে না। আমি নিশ্চিত ওর জামাই এর খবর আছে। আমার কাজ এখন সত্যিই খুব সোজা। শুধু এই সব কয়টার চরিত্র ল্যাংটা করে শবনমের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই জন্যই তো সব কয়টাকে থানায় ধরে আনতে বলেছি। সব কয়টার বিশেষ করে, ওর জামাইটার ইন্টারোগেশন সময় শবনম কে অবশ্যি ওই রুমে ঢুকাতে হবে। যে দৃশ্য দেখতে পাবো আর শুনতে পাবো বিশেষ করে, শবনমের যে চেহারা দেখতে পাবো তাতে নিশ্চিত আগামি এক বছরের বিনোদন হয়ে যাবে। হাত ঘড়ি দেখলাম, সাড়ে পাঁচটা বাজে। রবিউলের হিরোইক এ্যাকশন শেষ হতে মিনিমাম ২ থেকে ৩ ঘন্টা লাগবে। আয়েস করে একটা ঘুম দিতে পারলে মন্দ হতো না! থানার একটা টোকাই কে ডেকে গেষ্ট রুমটা ঝেড়ে পরিষ্কার করতে বল্লাম। এই ফাঁকে আমি বারান্দায় যেয়ে একটা সিগারেট খেয়ে আসি। হাবিলদার একটা ডেকে শবনম কে ডিস্টার্ব করতে মানা করলাম। বেচারি এখন একটু একা থাক। কিসের মধ্যে দিয়ে ও এখন যাচ্ছে সেটা ওর কান্নাকাটি দেখেই কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। এই মেয়ে যে কান্নাকাটি করতে পারে সেটাই আমার জন্য চরম বিস্ময়ের। তবে ও খুব শিগগরি রিকভারি করে ফেলবে। এই ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ও আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসুক। জামাইটার প্রতি জমানো ফ্যাসিনেশন কাটুক ততক্ষনে আমি একটা সুন্দর করে ঘুম দিয়ে নেই!

চার
রবিউল আমাকে বেকুব বানিয়ে দিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যেই বাকি তিন লম্পট আর তার সাথে আরও তিন টা মেয়ে ধরে থানায় নিয়ে আসলো। কেবল ঘুমটা লেগে এসেছে। রবিউল এসে আমার কাঁচা ঘুম টা ভাংগালো। মেজাজটা গরম হয়ে গেল সাথে সাথেই। কে ওকে এমন কুইক হিরোইক এ্যাকশন দেখাতে বলেছে? রাগ করলেও রবিউল কে কিছু বলা যাবে না। ও এই থানায় আমার ডান হাত। তাছাড়া কালকে একটা কাজের প্লান আছে মাথায়, ওকে আমার লাগবে। কাহিনী কি জিজ্ঞেস করলাম, এত তাড়াতাড়ি কি ভাবে ধরলো? রবিউল দেখি ব্যাপক ত্যাঁদর, প্রথমেই ধানমন্ডির ওই ১৪ নাম্বার ফ্লাটে হানা দেয়। যেয়ে দেখে পার্টি আজকে আগেই ষ্টার্ট করে দিয়েছে। শবনমের জামাইয়ের খবর পায়নি তখনো। রুমে যেয়ে দেখি তিন জনই ইনটক্সিকেটেড। নেশায় চোখ ঢুলু ঢুলু করছে। রবিউল কে পানি থেরাপি দিতে বললাম। সেন্স আসুক না হলে কথা বলে কোন লাভ হবে না। আর রাত আট টার আগে আমাকে ডাক দিতে মানা করলাম। ঘুম টা ক্লিয়ার করা দরকার। মাথা জ্যাম থাকলে কোন কাজ হবে না।

পাঁচ
আট টার আগেই আমার ঘুম ভেংগে গেল। হাত মুখ ধুয়ে রবিউলের রুমে গেলাম। ইন্টারোগেশন শুরু করা দরকার। আগে প্রত্যেক টাকে ভালো মতো ছালা থেরাপি দিতে বললাম। ইন্টারোগেশন সময় অনেকেই দেখি ত্যানা প্যাচায়। মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন হয়ে যায়। তাই আমি এই নিয়ম করেছি। এটা দেবার পর বাবুরা প্রশ্ন করার আগেই সব বলে দেয়। একটা ছোট কাগজে কি কি বিষয়ে জিজ্ঞেস করবে তার একটা লিস্ট লিখে দিলাম। শবনমের জামাই য়ের জন্য আলাদা লিস্ট। এই লম্পট টার কাছে আমি অনেক কিছু শুনতে ও শবনম কে শোনাতে চাই। থেরাপি দিয়ে রিমান্ড রুমে নেবার পর আমাকে জানাতে বললাম। আমার রুমে যেয়ে দেখি শবনম চুপচাপ একটা চেয়ারে বসে আছে। ওর সাথে কথা বলা দরকার।
-আপনার হ্যাজবেন্ড কে একটু পরে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে। আমার মনে হয় আপনার সবকিছু জানা ও শোনা উচিত। উনি আপনাকে দেখতে পারবেন না। আলাদা ব্যবস্থা আছে। আপনার কোন আপত্তি আছে?
-না। আমি ওই সময় অবশ্যই থাকতে চাই। আমার আসল ঘটনা জানতে হবে।
সাবাস শবনম। আমি জানতাম তুমি জানতে চাইবে। সেই জন্য আমি সব রকম ব্যবস্থা নিব। বেল টিপে দুই কাপ চায়ের ব্যবস্থা করতে বললাম। চা খেতে খেতে আসল কাজের সময় হয়ে যাবে আশা করি।

জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আলাদা রুম আছে। রুম টা দুই ভাগ। এক ভাগে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয় আর তার ঠিক পিছনে গ্লাস দিয়ে আড়াল করা আরেক টা জায়গা আছে। শবনম কে নিয়ে আমি এই আড়াল করা জায়গায় এলাম। অলরেডি লম্পট টাকে রুমে নিয়ে এসে চেয়ারে বসানো হয়েছে। মাথার উপরে ১০০ পাওয়ারের ৪ টা লাইট জলছে। হাত পিছনে বাধা। রবিউল শুরু করলো। আজকে থেকে আস্তে আস্তে পিছনে যাচ্ছে, যেমন টা আমি চেয়েছিলাম। লম্পট টা ঝাড়ি খেয়ে বলা শুরু করলো। কিছুটা শুনে আমি বেকুব! বলে কি হারামজাদা? টাকা পয়সা মানুষের থাকতেই পারে তাই বলে এত জঘন্য চরিত্র। এ দেখি আজন্ম পাপি! মেয়ে মানুষ নিয়ে নষ্টামি তো আজকে থেকে নয়। বহু পুরানো অভ্যাস। পার্টির এই মেয়ে গুলি ছাড়াও আরো অনেক মেয়ে সে রেগুলার ভাড়া করে। ধানমন্ডির ওই বাসায় যত আকাম কুকাম করে বেড়ায়। সব মিলিয়ে ৯ টা মেয়ের নাম বলল। ফোন নাম্বার ও দিল। এই ৪ টা বাদে আরো ৫ টা। এত দেখি সিংহ পুরুষ! শবনম একে সামলায় কিভাবে? অবশ্য শবনমও আরেক সিংহি! বাসায় না জানিয়ে কিভাবে এসব করে বেড়ায় জিজ্ঞেস করতেই বলল আরেকটা মোবাইল আছে। ওটা দিয়েই এইসব ডিলিংস চলে। কথায় বলে না চোরের উপর বাটপার থাকে। ধানমন্ডির ফ্লাট নিজেদের। বাসার সবাই জানে ওটা ভাড়া দেয়া আছে। সাবাস! ইয়াবা রেছেন্টলি শুরু করেছে। কার কাছে জানি শুনেছে ইয়াবা খেলে আসল পুরুষ হওয়া যায়! এনার্জি ও নাকি বেশি পাওয়া যায়। অনেক মেয়ের সাথে থাকতে হয়। এটা ছাড়া সবাই কে তো সামলাতে পারবে না। ঘুরে শবনম কে দেখলাম একবার। চুপ করে দাঁড়িয়ে একমনে শুনে যাচ্ছে। চোখ বেয়ে জল পড়ছে। আমার হাতের মুঠিটা শক্ত হয়ে যাচ্ছে। একবার শবনম বলুক না, এটাকে আমি নিজের হাতে জবাই করে দেবো। শবনমের চোখের জল দেখে আমিই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। ওর স্ত্রী এসব জানেন কিনা বলতেই বলল, না, সব সময় সর্তকতা মেনে চলা হতো। বাকি তিন জন কে ওর স্ত্রী ভালো করেই চেনে, পারিবারিক সর্ম্পক আছে। সবার বাসায়ই একই অবস্থা। লাইফ তো একটাই তাই যেভাবে ইচ্ছে এঞ্জয় করা উচিত বলে রবিউল কে আবার উপদেশ ও দিল! যখন ইংল্যান্ড এ পড়তে গিয়েছিলো তখনই লাইফ ষ্টাইল চেঞ্জ করেছে। মেয়ে নিয়ে ঘাটাঘাটির অভ্যাস নাকি সেখান থেকেই হয়েছে। এটা শুনার পর দেখি শবনম বিড়বিড় করে কি জানি বলছে। স্পষ্ট বুঝা গেল না। এ্যাকশান শুরু হয়ে গেছে তাহলে! টানা ১৫ মিনিট জিজ্ঞেসাবাদ করা হলো। হান্টার দিয়ে ছালা থেরাপি ভালোই দিয়েছে রবিউল। কোন ত্যানা পেচায় নি সরাসরি উত্তর দিয়েছে। বুঝা যাচ্ছে থানার আদর আগে টেস্ট করেনি। এটার কাছ থেকে যা যা জানার মোটামুটি বলে দিয়েছে। আপাতত এতেই চলবে। এটার জিজ্ঞেসাবাদ শেষ হবার পর শবনম কে জিজ্ঞেস করলাম বাকি তিন জনের টাও শুনতে চায় নাকি? আমার দিকে তাকিয়ে বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। রাজি হলো না। কি আর করার। আমি তো আরও শুনাতে চেয়েছিলাম। না শুনলে কি করব?
রুম থেকে বের হয়ে এসে শবনম কে জিজ্ঞেস করলাম যে, আনফিশিয়ালি, এসব কথাবার্তার একটা রেকর্ড রাখা হয়, ও চাইলে আমি একটা কপি দিতে পারবো। পরে যদি ওর হ্যাজবেন্ড স্বীকার না করে তখন প্রমান করা যাবে। শবনম আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বললঃ
-লাগবে না। আমি যা শুনেছি এটাই যথেষ্ট। আপনার আর কষ্ট করতে হবে না। যা করেছেন সেটাই অনেক।

আমি চুপচাপ কোন কথা না বলে শবনম কে আমার রুমে নিয়ে এসে বসতে বললাম। ও হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রাজি হলো না।
-আমার গাড়ি তো আপনারা থানায় ধরে নিয়ে এসেছেন। সহজে ছেড়ে দিবেন মনে হয় না! এত রাতে আমি বাসায় যাব কিভাবে? থানার একটা গাড়ি কি ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে? শুধু বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসবে?
শবনমের দিকে তাকিয়ে খারাপ লাগছে। বেচারির খুবই বাজে সময় যাচ্ছে। থানার গাড়ি দেয়া কোন ব্যাপার না, কিন্তু গাড়ি গুলির অবস্থা ভালো না। সরকারি মাল, সবাই ব্যবহার করে। অন্য কিছু চিন্তা করতে হবে। শবনম কে অপেক্ষা করতে বলে আমি গেলাম গাড়ির ব্যবস্থা করতে। ফিরে এসে দেখি রুমে চুপ করে বসে আছে। আমার সাথে আসতে বললাম।

নীল রংয়ের নিশান পেট্রল গাড়িটা দেখে একটু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাল তবে মুখে কিছু না বলে পিছনের সীটে গাড়িতে উঠে বসল। গাড়ি ছাড়ার আগে উইন্ডো গ্লাস টা নামিয়ে বললঃ
-গাড়িটা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত! জনগনের সেবা করে তো বেশ ভালোই আছেন দেখি। ভালো, খুব ভালো!
আমি চুপ করে শবনমের চলে যাওয়া দেখলাম। এই মেয়ে এক ফোটাও বদলায় নি। প্রশ্নই উঠে না। যাবার আগে যেভাবে আমাকে দিয়ে গেল সেটাই বলে দিচ্ছে ও দ্রুত রিকোভার করছে আর রিকোভারী পিরিওড শেষ হলেই ওর জামাইয়ের খবর আছে। সাদা কাগজে আমি এটা লিখে, ডেট সহ সই পর্যন্ত করে দিতে রাজি আছি। জীবন থেকে নেয়া বাস্তব অভিজ্ঞতা! ভুল হবার প্রশ্নই উঠে না!

ছয়
পরের দিন, সন্ধ্যার সময়। বাইরে থেকে ঘুরে কেবল রুমে এসে বসেছি। আয়েস করে কফি খাচ্ছি। ক্যাপিচিনো কফি। থানার উল্টা দিকের দোকানটা থেকে আসে। রোজ সন্ধ্যার সময় থানার অফিসারদের ফ্রি ফ্রি ক্যাপিচিনো কফি খাওয়ায়। অর্ধেক টা খাওয়া হয়েছে এই সময় আমার “নুর জেহান” এসে হাজির। একদিনে ভালোই রিকোভার করেছে দেখি! হাল্কা সাজগোজও করেছে। জিজ্ঞেস না করেই সামনে রাখা চেয়ারে বসে পড়ল। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো, আমিও তাকিয়ে আছি।
-আমার হ্যাজবেন্ডের নাম থানায় এন্ট্রি করেন নি কেন? আপনার প্লান কি?
প্রশ্নের ষ্টাইল শুনে বেকুব হয়ে গেছি। কিভাবে এই ইনফরমেশন বের করলো? শালা নিজের লোকজন যদি বেইমানি করে তাহলে আমি কই যাই? কোন উত্তর না দিয়ে আমি চুপ করে আছি।
শবনম এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি পাত্তা না দিয়ে চুপচাপ কফি খাচ্ছি।
-শুভ, দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আসুন। আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আমি এমন চমকে উঠলাম যে আরেকটু হলেই হাত থেকে কফির কাপটা পড়ে ভেংগে যেত। সর্বনাশ, এই মেয়ে কিভাবে এটা বের করলো? জীবনে তৃতীয় বারের মতো শবনম নিয়ে আমি মুগ্ধ হলাম। আস্তে উঠে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে ওর সামনে আমার চেয়ারে বসলাম।
-অবাক হচ্ছেন? আমাকে নিয়ে তো আপনার অন্ততঃ অবাক হবার কথা না।
ঠিক বলেছে। She is always full of surprises, a complete package. You will never know what comes next!
-কবে জেনেছেন? গতকালকে না আজকে খোঁজ খবর নিয়ে বের করেছেন?
-সেটা ইম্পরট্যান্ট কোন বিষয় না। আপনি ওকে নিয়ে কি করতে চাচ্ছেন সেটা শুনতে চাচ্ছি!
আমার মনে অতি সূক্ষ্ম একটা চিন্তা এক ঝলক দিয়ে চলে গেল। এটা কি সম্ভব? তবে শবনমের পক্ষে কোন কিছুই অসম্ভব না। আজকে ওকে বেশিই ঠান্ডা দেখছি। কাহিনী নিশ্চিত খারাপ। কালকে যা শুনেছে তাতে সব ফ্যাসিনেশন মনে হয় অলরেডী কর্পূরের মতো উবে গেছে। আগে দেখি ও কি বলে?
-কি, মোবাইল বের করে রেকর্ডিং করবেন না?
আমার প্রায় মাথায় হাত অবস্থা। গতকালকে কিভাবে ও টের পেল? বাপরে বাপ! কোন বাপ একে জন্ম দিয়েছিল? লম্বা একটা স্যালুট দিয়ে আসা দরকার! পরাজিত সৈনিকের মতো সারেন্ডার করে মোবাইল টা বের করে ওর সামনে টেবিলে রাখলাম। কোন কথা বলাই বিপদ এখন!

সূক্ষ্ম একটা হাসি মুখে নিয়ে শবনম আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বুকটা হটাত মোচড় দিয়ে উঠল। একটা সময় ছিল যখন ওর এরকম একটা হাসির জন্য আমি হেঁটে প্যারিস যেয়ে অ্যাইফেল টাওয়ারের উপর উঠে সেখান থেকে লাফ দিতেও রাজি ছিলাম। এটা কি করলে তুমি শবনম? কাকে তুমি বেছে নিয়েছিলে? কেন? কোথায় আমি তোমাকে রাখতাম আর এখন কোথায় তুমি? বুক থেকে বের হয়ে আসা বড় দীর্ঘ শ্বাষটা বুকের মাঝেই চাপা দিয়ে দিলাম। চুপ করে আছি আমি।

-মাঝে মাঝেই তো আপনাদের বিভিন্ন এ্যাকশন নিউজ দেখি পত্রিকাতে ইয়াবা নিয়ে।
এটা কি ইংগিত দিল শবনম? মাই গড! জীবনে চতুর্থ বারের মতো শবনম কে নিয়ে আমি মুগ্ধ হলাম। ক্লাস, একেবারে জেনুইন ক্লাস। আমি কালকেই যা ভেবে ছিলাম। বলেছিলাম না ইতরটার কপালে খারাপি আছে। আমাকে কি কম প্যারা দিয়েছিল? সেই স্মৃতি ভূলি কি করে কিন্তু চার জন? মাথা নাড়লাম। সম্ভব না।
-চার জন একটু বেশী হয়ে যায়? হইচই পড়ে যাবে!
-বাকি তিন টাকে নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
যাক বাঁচা গেল। এটা কোন ব্যাপারই না। এটা তো অলরেডী প্লান করা। আজকে রাতে এমনিতেই লম্পট টা ইতিহাস হয়ে যেত! শবনম ১১০% কনফার্ম করলো, এই আরকি!
শবনমের প্রোপজাল শুনে আমি দাঁত বের করে হাসি দিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা দুই জন কোন এক বিষয়ে একমত হতে পারলাম। খারাপ কি?
-আপনাদের খরচ আর দায়িত্ব নিয়ে গত কালকে আমাকে টীজ করেছেন। আপনার দেখি সাহস হয়েছে খুব! আমাকে ঘাটাবেন না। আগের বারের কথা ভুলে গেছেন, এত তাড়াতাড়ি?
মাথা নাড়লাম দুই দিকে, ভূলিনি। কি করে ভূলি। যত টুকু ভূলে ছিলাম ওকে দেখে আবার সব মনে পড়ে গেছে।
-গতকালকে যা বলেছিলাম সেটা আজকের জন্যও প্রযোজ্য। আপনি এমনিতেই ফ্রি করে দিতেন সেটা আমি জানি। অনেকদিন পর ওকে বাটে পেয়েছেন, অনেক পুরানো হিসাব। কিন্তু একা পারবেন না। বাকিদের তো খরচ লাগবে, তাইনা?
সত্য কথা। এসব এক্সক্লুসিভ কাজ ফ্রি ফ্রি হয়না। আমি যদি করাতাম তবে অন্য দিক দিয়ে পুষিয়ে দিতাম। শবনমের সাথে আরগুমেন্ট করে কোন লাভ নেই।
-সব কিছু সুন্দর করে সামাল দিবেন । আমি কিন্তু আপনার পারফরমেন্স চেক করবো।
লাষ্ট কবে শবনম আমার সাথে এত সুন্দর করে কথা বলেছে মনে করতে পারলাম না। আমাকে তো শুধু রাখতো কঠিন ঝাড়ির উপর!
-ঠিক আছে আপনি যেরকম চান।
সুন্দর করে একটা হাসি দিল শবনম। তারপর বললঃ
-আমি কিছুই চাই না, জানিও না। এটার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি শুধু একটা চেক সাইন করে রেখেছি। এই নিন। এ্যামাউন্টটা বসিয়ে দিয়েছি আমার পক্ষে সর্বোচ্চ যা সম্ভব।
চেকটা হাতে নিয়ে দেখলাম একটা ছোট সাদা কাগজ চেকের সাথে ষ্টাপল করা। এটা আবার কি? উল্টে দেখলাম একটা মোবাইল নাম্বার লেখা। মুখ উচু করে শবনমের দিকে তাকালাম।
-আমার মোবাইল নাম্বার। একসময় তো এটা খুঁজতে খুঁজতে প্রায় কেয়ামত বানিয়ে ফেলেছিলেন।
কিছু না বলে চেকটা ভালো করে দেখলাম। সব ঠিক আছে শুধু প্রাপকের নাম লিখে নাই। এমাউন্ট পাঁচ লাখ। ভালো এমাউন্ট দিয়েছে। এত লাগতো না।
-বেশী দিয়ে ফেলেছেন। ইচ্ছে করলে কমিয়ে দিতে পারেন। অর্ধেকেই আমি সামলে নিতে পারবো।
-যেটা আছে সেটাই থাক। কম লাগলে অন্য কোথাও খরচ করব ফেলবেন।
-শুধু শুধু বেশী দিচ্ছেন কেন?

কিছু না বলে শবনম উঠে দাড়ালো। মনে হয় চলে যেতে চাইছে। যাক। দরজার কাছে যেয়ে আমার দিকে ঘুরে বললঃ
-এটা আমার মোহরানার টাকা। কাছে রাখতে ঘৃণা লাগছে। বাকিটা আপনার যা ইচ্ছে তাই করুন, কিন্তু আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না, প্লীজ।

জীবনে প্রথম বারের মতো শবনম আমাকে প্লীজ বলল, আমি কিভাবে ওকে ফিরিয়ে দেই? এটা কি আসলেও আমার পক্ষে সম্ভব?
আর একটা কথাও না বলে দরজা খুলে শবনম চলে গেল। আর আমি ওর চেকটা হাতে নিয়ে আমার অফিসের চেয়ারে অবাক হয়ে বসে আছি। জীবন টা আসলেই কত অদ্ভুত, কত রকমের ট্যুইস্ট, কখন যে কি ঘটবে আমরা কেউই জানি না। আজকে যে রাজা বাদশাহ কালকে তার হয়তো অস্তিত্বও নেই। এরই মাঝে বেঁচে থাকাটা একেবারে মন্দ নয়, কি বলেন?


এর আগের পর্বগুলি পড়ে আসুন এখান থেকে:
গল্প - শবনম কাহিনী ১ - কুসুম কুসুম প্রেম (প্রথম পর্ব)
গল্প - শবনম কাহিনী ১ - কুসুম কুসুম প্রেম (শেষ পর্ব)

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: শবনম আর শুভ।
রবিউল কে?


বয়স মানুষকে বদলে দেয় । অনেক ক্ষেত্রেই বদলে দেয় । বাঘকেও হরিণে রুপান্তর করে দেয় আচার-আচরণে । এক ধরনের অসহায়ত্বও পেয়ে বসে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, রবিউল চরিত্র টা যেখান থেকে শুরু করেছি সেখানেই তার পরিচয় দেয়া আছে। আপনার জন্য আবারও বলছি, এস আই।

অত্যাধিক টাকা পয়সা মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দেয়। পদস্খলন সেখান থেকেই শুরু হয়।

প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গল্পটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম । কিন্তু আমি কোন ১৮ + পোস্ট বা গল্প পড়িনা :||

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: হায় হায়, এটা কি বল্লেন আপনি? আপনাকে অগ্রিম দাওয়াত দিয়ে এনেছি না আমি শবনম ক্যারাক্টার টা পড়ার জন্য? উল্টা পালটা থাকলে কখনো বলতাম, বলেন? নিচে কায়সার ভাইয়ের মন্তব্য পরে আসেন, উনি ১৮+ টা বাদ দিতে বলেছেন।

ফাকিবাজি বন্ধ করেন! ;) শবনম ক্যারাক্টার টা এক জন মেয়ে হিসেবে কেমন হয়েছে, কোন সাজেশন আছে নাকি, ডিটেইল আলোচনা চাই!

পুরো লেখাটা গল্প হিসেবে কেমন হয়েছে? ভালো ভাবে পড়ে জানাবেন।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল লাগল। খুবই ভাল লাগল। +++++

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো কষ্ট করে এসে পড়া জন্য! আপনি আমার একজন প্রিয় সহ ব্লগার এবং লেখক। আমার শবনম ক্যারাক্টার সম্পর্কে পড়ার পর কেমন লেগেছে জানতে ইচ্ছে করছে?

সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: একটু বড় মনে হল।
শবনমের সাথে প্রথম পরিচয় পর্ব থেকে পড়ে আসলে আরও ভালো লাগতো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় সহ ব্লগার, তারেক ফাহিম ভাই, আমার ব্লগে আসার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ। চমতকার মন্তব্যের জন্য রইল আমার কাছ থেকে শুভ কামনা।

কাহিনী টা বড়, সে জন্যই তো হেডিং দিয়েছি পুর্ণ দৈঘ্য কাহিনী। প্রথম পর্ব সম্পর্কে লেখার মধ্যেই ব্যাখা দিয়েছি। খুব শিগগরি
শবনমের সাথে প্রথম পরিচয় পর্ব পাবেন। এটা ড্রাফট মোডে আছে। শবনম আমার সেরা সৃস্টি। অতন্ত্য যত্ন নিয়ে আমি এই সিরিজ টা লিখছি। একটু সময় দিতে হবে। কোয়ালিটি নিয়ে আমি কম্প্রোমাইজ করবো না।

আমার সাথে থাকার ও লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।


৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! সুন্দর লাগলো। পোড়খায়ওয়া পুলিশ অফিসারের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে মনে হল। একটু বড় হলেও টানটান উত্তেজনায় শেষ হল।


শুভকামনা রইল।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই, এত বড় একটা গল্প লিখলাম আর আপনি আমার সব চেয়ে কাছের মানুষ হয়ে মাত্র ২ লাইন লিখলেন।
ব্যাপক সমালোচনা চাই। ভূল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দেন।

শবনম আমার সেরা সৃস্টি। অতন্ত্য যত্ন নিয়ে আমি এই সিরিজ টা লিখছি। এর কোয়ালিটি নিয়ে আমি কম্প্রোমাইজ করবো না। আপনাদের সমালোচনা, সাজেশন আমার জন্য পাথেয়।

আপনার মন্তব্য আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান।

আমার পাশে থাকবেন, সব সময়।

সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভাল লেগেছে পড়ে। তবে, ১৮+ লেখার কোন প্রয়োজন ছিল না।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
১৮+ টা পুলিশের কিছু ভাষা, টপিক এবং ব্যবহার এর জন্য ব্যান খাবার ভয়ে দিয়েছি। অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
সাজেশনের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প পড়লাম (গালিগুলো বাদ দিয়ে)।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় সহ ব্লগার, আমার ব্লগে আসার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ। চমতকার মন্তব্যের জন্য রইল আমার কাছ থেকে শুভ কামনা। চরিত্রের প্রয়োজনে গালি গুলি আনতে হয়েছে, আশাকরি সেটা পড়ার সময় বুঝতে পেরেছেন।

আমার সাথে থাকার ও লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই, রবিউল চরিত্র টা যেখান থেকে শুরু করেছি সেখানেই তার পরিচয় দেয়া আছে। আপনার জন্য আবারও বলছি, এস আই।
অত্যাধিক টাকা পয়সা মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দেয়। পদস্খলন সেখান থেকেই শুরু হয়।
প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে সব সময় ধন্যবাদ। আপনি আমার একজন প্রিয় ব্লগার।

আমার সাথে থাকার ও লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। সত্যিকথা বলছি, দিনের ব্যস্ততার মধ্যে সামান্য একটু সময় পেলে ব্লগে ঢুঁ দিই। আবার লক্ষ্য থাকে প্রিয়জনের পোস্টে প্রথমদিকে যেন কমেন্ট থাকে। আজ আপনার পোস্টে যখন ঢুকি তখন জী এস ভায়ের পোস্টটিও ছিল। তার আগে দুবার ঢুকেও কমেন্ট করার মত সময় হয়ে ওঠেনি। সে কারনে দুজনের পোস্টেই উপস্থিতির জানান দিয়েছি । ফলে পরে আবার সময় নিয়ে আসছি। এখন আবার রাস্তাতে আছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার কথার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: অপিসে এসে আপনার লেখাটা খুঁজে বের করে পড়লাম, কারণ কথা দিয়েছিলাম পড়ব। বড় লেখা পড়িনা কারন অপিসে কাজের ভুল হয়। আপনার লেখাটা খুবই ভাল লেগেছে। পদে পদে ডায়ালগ গুলো খুব সুন্দর ছিল। জড়তা নেই। চরিত্র নির্মাণও খুব সুন্দর। একটা বিষয় ভাল লাগেনি সেটা হল ছবিটা। এসব ব্যাপারে ছবিটা আমি বিমূর্তে ভালবাসি। ধরুণ একটা ছবি দিলেন হাতে আঁকা ছবি একজন নারীন ব্যাক সাইড। তাহলে তার চেহারা দেখার একটা অনুভূতি যেমন সৃষ্টি হয় আর গল্পের নায়িকা ভেবেও ভাল লাগে। চেহার যখন দেখা যায়না তায় পাঠক নিজ থেকেই একটা ফেইস ভেবে নেবে।
আপনার ছবিটা ভারতে একজন নায়ীকার ছবির সাথে মিল আছে, তারকার ছবি ব্যবহার করলে গল্পটা তারকার চাইতে ছোট হয়ে যায়। অথচ আমার কাছে গল্পটাই বড়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: এই জন্যিই আপনি আমার এত প্রিয়! এত সুন্দর সমালোচনা কার ভাগ্যে জোটে? আবার ফিরে এসে ছবির ব্যাপারে যা বল্লেন সেটা আমি আমার পরবর্তি লেখার সময় মনে রাখবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন সব সময়।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: বাকপ্রবাস ছবি এবং কাওসার ভাই ১৮+ এর ব্যাপারে যা বলেছেন আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে। এডিট করে ঠিক করে দিলাম।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার পাশে থাকার জন্য।

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, আপনি সত্যি হয়ত একজন ঘুষখোর পুলিশ অফিসার! চরিত্রগুলো একেবারেই বাস্তব হয়েছে। তবে এইটিন প্লাস কথাটা না লেখা থাকলেই হতো। ব্লগে এইটিন প্লাস বলে যে পোস্ট আসে, সেগুলো এইটিন প্লাস এর মতই।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: কি চমতকার মন্তব্য! এত কষ্টটা যেন সার্থক হলো আমার!

ভাবছিলাম, আপনি সত্যি হয়ত একজন ঘুষখোর পুলিশ অফিসার! চরিত্রগুলো একেবারেই বাস্তব হয়েছে - এটাই লেখার যোগ্যতা।আপনাকে এটা মনে করাতে পেরেছি সেজন্য আমি খুশি। আমি তো এটাই চেয়েছিলাম। শুধু শুভ চরিত্র টা জন্য আমাকে বেশ কিছু দিন পড়াশোনা করতে হয়েছে। আমি অবশ্যই পুলিশ না।

এইটিন প্লাস কথাটা না লেখা থাকলেই হতো। ব্লগে এইটিন প্লাস বলে যে পোস্ট আসে, সেগুলো এইটিন প্লাস এর মতই। - আমি অলরেডি এটা বাদ দিয়ে দিয়েছি। আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

অনেকদিন পরে আমার ব্লগে আসলেন। কি যে ভালো লাগছে? একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।



২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম - প্রথম পর্ব সম্পর্কে লেখার মধ্যেই ব্যাখা দিয়েছি। খুব শিগগরি শবনমের সাথে প্রথম পরিচয় পর্ব পাবেন। এটা ড্রাফট মোডে আছে। শবনম আমার সেরা সৃস্টি। অতন্ত্য যত্ন নিয়ে আমি এই সিরিজ টা লিখছি। একটু সময় দিতে হবে। কোয়ালিটি নিয়ে আমি কম্প্রোমাইজ করবো না।

আমার পাশে থাকবেন।

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫

ওমেরা বলেছেন: গল্পটায় আকর্ষন আছে । পর্ব যদি হয় তাহলে আর একটু ছোট করে দিয়েন ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: ওমেরা আপু, আসার জন্য ধন্যবাদ।

গল্পটায় আকর্ষন আছে - আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

পর্ব যদি হয় তাহলে আর একটু ছোট করে দিয়েন - লিখতে লিখতে বড় হয়ে গেছে। মাঝখানে তো আর শেষ করতে পারি না। তবে পরের পর্ব লেখার সময় আপনার কথা মাথায় রাখবো।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নীলআকাভাই,

আগেও বলেছি, এখনও বলছি আপনার লেখার হাত চমৎকার। কবিতা লেখার ক্ষেত্রে আমার দৃষ্টিতে যতটা গভীরতা আছে বলে মনে হয়,গল্পের ক্ষেত্রেও আজ ততটাই দক্ষ বলে মনে হয়েছে।

সাধারনত সময় থাকলে দীর্ঘ কমেন্ট করা যায়। আর এর উল্টোটা হলে সংক্ষেপে কাজ মেটাতে হয়,। যেমনটি আজ করতে হয়েছে।

আজ আপনার পোস্টটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। যদি কিছু মনে না,করেন তাহলে ভালো দিকের পাশে খারাপ দিকগুলিও উল্লেখ করবো। ♥♥♥

গল্পে বর্তমান সমাজে ভয়ংকর অবক্ষয়তা ফুঁটে উঠেছে। প্রাইভেট বা পাবলিক, যেটাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর যেভাবে যৌন সম্ভোগের জন্য একদিকে নিষিদ্ধ মাদক ও ব্যাভিচারে মত্ত হয়ে পার্টি কালচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তা অত্যন্ত ভয়াবহ। ২- কলেজ পড়ুয়া মেয়ে যেভাবে দেহ ব্যবসায় নিজেকে ট্রিপ দিচ্ছে তাতে শহুরের স্কুল / কলেজ পড়ুয়াদের চাকচিক্য জীবন যাপনের একটি নগ্ন দিক ফুঁটে উঠেছে।
৩- শবনমের অভিযোগ তাঁর স্বামীকে ফাঁসায়ে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে। স্বামী অন্ত গৃহবধূ তাঁর সরলতার সুযোগে কীভাবে ফস্তিনস্তি করে চলেছে , সেখানে স্বামী - স্ত্রীর একতরফা ভালোবাসা বা অন্ধবিশ্বাস ফুঁটে উঠেছে।
৪-পুলিশ সম্পর্কে আমাদের চিরাচরিত ধারনা সুন্দরভাবে গল্পে উঠে এসেছে। একদিকে ঘুষখোর স্বভাব, অপরদিকে সুযোগ পেলে আইনের প্যাঁচে ফেলে নারী সঙ্গের মত অতিরিক্ত পাওনা নিতে যে তারা কুন্ঠিত হয়না, সেটা ধরা পড়েছে। সারাদিন চোর- দস্যুদলের সঙ্গে থাকতে থাকতে তারা যে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে এই বোধটি লুপ্ত হয়েছে - গল্পে অত্যন্ত নিপুনভাবে পুলিশের আদর্শরূপটি ফুঁটে উঠেছে। ফুঁটে উঠেছে পুলিশের দীর্ঘদিন ছুটি না পাওয়ার অবসাদও।

এবার আসি একটু সমালোচনার দিকে।
১- সাধারনত নিষিদ্ধ মাদক সর্বরাহকারীদের ধরে দ্রুত পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে নেওয়া হয়। কাউন্টার অ্যাটার্কের ভয় পুলিশেরও থাকে। সেখানে চার ঘন্টা ধরে রবিউল সাহেবের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করাটা বেমানান ঠেকলো। এই সময়ে রবিউল সাহেব তাঁর বসকে না জানানোটাও খুব বিচক্ষণ লাগলো না। বিচক্ষণ লাগেনি উপর মহলের ফোন অফিসার নিজের কাছে না আসায় রবিউলের কাছে খোঁজ নেওয়াতে।
২- পুলিশের মুখে যতটা গালি বসিয়েছেন, শবনম বিবিরমত তর্কের খাতিরে একজন বহিরাগতের সামনে এতটা নিজেদের গোপন পলিসি বা,গালি দেওয়াটা বড্ড বেশি মনে হয়েছে।
৩- শবনম বিবির সঙ্গে যে পুলিশ অফিসারের একদা সম্পর্ক ছিল সেটা গল্পে পরিষ্কার।একদা যার মুখে একটু হাসির জন্য আইফেল টাওয়ারে যেতে পারতেন সেখানে গুনে গুনে জীবনে মুগ্ধতা ১, মুগ্ধতা ২ বা মুগ্ধতা ৩ বলাটা বেমান লাগলো।
৪ - শবনম বিবি মাত্র পাঁচ বছরে পুলিশ অফিসারকে মোটাসোটা হয়ে ভুঁড়ি হওয়ার জন্য চিনতে পারেনি বা পুলিশ অফিসারও চশমা পরিহিত শবনমকে প্রথমে চিনতে পারেননি বা পরে পারলেও না চেনার ভান করে একটার পর একটা কর্তব্য পালন করে গেছেন, এত কম সময়ের মধ্যে একসময়ের আইফেল টাওয়ারের এভাবে করুন পরিনতী একটু অড লাগলো। আবার পরে স্বামীর এগনেস্টে কোনও কেস না দেওয়াই যেভাবে ইনফর্মড হয়ে শবনম এসেছে সেখানে চরিত্রটি বেশ দুর্বল লাগলো। আগাগোড়া চরিত্রটি বলিষ্ঠ হয়ে ওঠেনি। মাঝে কক্সবাজারে হোটেলের নামটিও যেখানে চেনা চেনা লাগছে।
৫ - সবশেষে শবনমের একবার জামাই আবার একবার স্বামীর জন্য তদ্বির করার মধ্যে জামাই ও স্বামীর কনসেপ্টটি একটু গুলিয়ে গেছে মনে হল।
৬ - অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি ছাত্র- ছাত্রীদেরকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর কারিগর যারা সেই শিক্ষক সমাজের একজনকে এভাবে চিহ্নিত করার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে গল্পের গ্রহনযোগ্য কিছুটা হলেও কমতে বাধ্য। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে পাই যারা রিসার্চ, এমফিল বা সাধারন পরীক্ষায় ছাত্রী সঙ্গ পাওয়ার জন্য এমন কাজ করেন। মাঝে মাঝে পেপারে কিছু খবরও প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেটা মাথায় রেখেও বলবো সমাজ এখনও শিক্ষকদের উচ্চাসনে রেখেছে, দু - একজনের জন্য গোটা সমাজকে এভাবে দেখাটা তাই আমার বেমানান মনে হয়েছে।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনাকে।


২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: সাধে কি আপনাকে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ মানি? কে আমাকে এত সুন্দর করে ভূল গুলি ধরিয়ে দেবে। এজন্যই তো আপনাকে বলেছি।

আমি খুটিয়ে খুটিয়ে আপনার লেখা পড়ে, বুঝে, মনে রেখে তবেই মন্তব্য করবো। একটু সময় চেয়ে নিলাম।

আমি যদি কোন দিন ভালো লেখক হতে পারি সেটা একমাত্র আপনার অবদান।

সাজেশনের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: এবার আসি একটু সমালোচনার দিকে।
১- সাধারনত নিষিদ্ধ মাদক সর্বরাহকারীদের ধরে দ্রুত পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে নেওয়া হয়। কাউন্টার অ্যাটার্কের ভয় পুলিশেরও থাকে। সেখানে চার ঘন্টা ধরে রবিউল সাহেবের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করাটা বেমানান ঠেকলো। এই সময়ে রবিউল সাহেব তাঁর বসকে না জানানোটাও খুব বিচক্ষণ লাগলো না। বিচক্ষণ লাগেনি উপর মহলের ফোন অফিসার নিজের কাছে না আসায় রবিউলের কাছে খোঁজ নেওয়াতে।
২- পুলিশের মুখে যতটা গালি বসিয়েছেন, শবনম বিবিরমত তর্কের খাতিরে একজন বহিরাগতের সামনে এতটা নিজেদের গোপন পলিসি বা,গালি দেওয়াটা বড্ড বেশি মনে হয়েছে।
৩- শবনম বিবির সঙ্গে যে পুলিশ অফিসারের একদা সম্পর্ক ছিল সেটা গল্পে পরিষ্কার।একদা যার মুখে একটু হাসির জন্য আইফেল টাওয়ারে যেতে পারতেন সেখানে গুনে গুনে জীবনে মুগ্ধতা ১, মুগ্ধতা ২ বা মুগ্ধতা ৩ বলাটা বেমান লাগলো।
৪ - শবনম বিবি মাত্র পাঁচ বছরে পুলিশ অফিসারকে মোটাসোটা হয়ে ভুঁড়ি হওয়ার জন্য চিনতে পারেনি বা পুলিশ অফিসারও চশমা পরিহিত শবনমকে প্রথমে চিনতে পারেননি বা পরে পারলেও না চেনার ভান করে একটার পর একটা কর্তব্য পালন করে গেছেন, এত কম সময়ের মধ্যে একসময়ের আইফেল টাওয়ারের এভাবে করুন পরিনতী একটু অড লাগলো। আবার পরে স্বামীর এগনেস্টে কোনও কেস না দেওয়াই যেভাবে ইনফর্মড হয়ে শবনম এসেছে সেখানে চরিত্রটি বেশ দুর্বল লাগলো। আগাগোড়া চরিত্রটি বলিষ্ঠ হয়ে ওঠেনি। মাঝে কক্সবাজারে হোটেলের নামটিও যেখানে চেনা চেনা লাগছে।
৫ - সবশেষে শবনমের একবার জামাই আবার একবার স্বামীর জন্য তদ্বির করার মধ্যে জামাই ও স্বামীর কনসেপ্টটি একটু গুলিয়ে গেছে মনে হল।
৬ - অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি ছাত্র- ছাত্রীদেরকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর কারিগর যারা সেই শিক্ষক সমাজের একজনকে এভাবে চিহ্নিত করার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে গল্পের গ্রহনযোগ্য কিছুটা হলেও কমতে বাধ্য। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষককে পাই যারা রিসার্চ, এমফিল বা সাধারন পরীক্ষায় ছাত্রী সঙ্গ পাওয়ার জন্য এমন কাজ করেন। মাঝে মাঝে পেপারে কিছু খবরও প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেটা মাথায় রেখেও বলবো সমাজ এখনও শিক্ষকদের উচ্চাসনে রেখেছে, দু - একজনের জন্য গোটা সমাজকে এভাবে দেখাটা তাই আমার বেমানান মনে হয়েছে।




আপনার সমালোচনার জবাব অবশ্যই দিতে হবে.....নিন...আমার লেখার সময় যা মনে করে লিখেছি............
১। অ্যামাচেরিস মিসটেক। দারুন ধরেছেন। লেখার ছন্দে উপর নীচ মিলিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে সাবধান থাকবো।
২। শবনমের পরিচয় পাবার পর কিন্তু একটা গালি ও দেই নি। আবার পড়ে দেখুন। আমি এটা ভালো করে চেক করে দিয়েছি। বাকি পুলিশের ভাষা নরমাল।
৩। মুগ্ধতা ১, মুগ্ধতা ২ বা মুগ্ধতা ৩ বলাটা ব্যাপার টা কিভাবে যেন মাথায় ঢুকে গিয়েছিল কোন ভাবে এটা বের করতে পারিনি। ভবিষ্যতে সাবধান থাকবো।
৪। শবনম চরিত্র টাই এরকমের। সে সব সময় সব কিছু ইনফর্মড হয়ে কথা বলে। সেল্ফ কনফিডেন্স খুবই বেশী। পরের পর্বে তার আসল পরিচয় পাবেন। আসলে এটা দ্বিতীয় পর্ব হবার কারনে এটা মনে হয়েছে......। পাঁচ বছর অনেক বড় সময় রে ভাই। টাইম ফ্রেম টা হিসেব করেই দিয়েছি। ব্যস্ততার জন্য শুভ প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে কিন্তু চিনতে অসুবিধা হয় নি। শুভ শবনমের সাথে শুরুতে কিন্তু কোন কথা বলেনি তার মনযোগ ছিল রবিউলের প্রতি........... । হোটেল টা কক্সবাজারের খুবইও পরিচিত একটা হোটেল। রিয়ালিস্টিক করার জন্যই রিয়াল হোটেলের নাম ব্যবহার করেছি।
৫। এটাি শবনমের ক্যারিশমা। সে যেটা বিশ্বাষ করে সেটা কেই ঠিক মনে করে তবে সে খুবই বিচক্ষন মেয়ে। বাস্তবতা বুঝতে সে বেশী সময় নেয় নি।
৬। মাঝে মাঝে পেপারে কিছু খবরও প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেটা মাথায় রেখেও বলবো সমাজ এখনও শিক্ষকদের উচ্চাসনে রেখেছে, দু - একজনের জন্য গোটা সমাজকে এভাবে দেখাটা তাই আমার বেমানান মনে হয়েছে। - এই দু-একজন কেই আমার গল্প নিয়ে এসেছি। কারন এই দু-একজন জন্যই পুরো শিক্ষক সমাজের নামে কলংক ছড়িয়ে পড়ে।

পরিশেষে, এটাই বলতে চাই, আমার সব লেখা এভাবেই মূল্যায়ন করবেন। খুটিয়ে খুটিয়ে লেখা পড়ে, বুঝে তবেই মন্তব্য করবেন। ভূল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দিবেন। এটাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ।

সাজেশনের জন্য আবারও ধন্যবাদ।
সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মুজতবা আলীর শবনমে মুগ্ধ হয়েছিলাম, আপনার শবনম কে ও ভালো লাগলো।

বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় ভাষার ব্যবহারে , শুরু তে পড়তে সমস্যা হচ্ছিল যদিও;
কিন্তু ইটস ওকে , কিছু জিনিস র ই থাক।

খুব ভালো লিখেছেন !!!!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে এসে কষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনারা যখন পাশে থাকেন তখন অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে!

মনিরা আপু, আপনি আমাকে তো ব্যাপক লজ্জায় ফেলে দিলেন! যার লেখার সাথে তুলনা দিলেন তাতে তো আমাকে দ্বিতীয় পর্বের সময় অন্তত ১০০ বার রিভিশন দিতে হবে!

বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় ভাষার ব্যবহারে , শুরু তে পড়তে সমস্যা হচ্ছিল যদিও; কিন্তু ইটস ওকে , কিছু জিনিস র ই থাক। - চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য সব রকম চেস্টা করেছি। যা কিছু করেছি, লিখেছি সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। কি করব বলুন, এদেশে পুলিশ কে নায়ক বানিয়ে কয়জন লেখে? আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করেছি রিয়ালিস্টিক করার জন্য। আর আপনি যা বলেছেন সেটাই সত্যই, পুলিশের চরিত্র টাই আসলে Raw.

খুব ভালো লিখেছেন !!!!! - কৃতজ্ঞতা আপনার জন্য। কি চমতকার মন্তব্য! এত কষ্টটা যেন সার্থক হলো আমার!

একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।


১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

চাঙ্কু বলেছেন: আপনি ভালো লেখেন। লেখা বন্ধ করবেন না। শবনমকে পছন্দ হইছে! :)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: : ভাই, আমার মন টা আনন্দে ভরে দিলেন। কি দিয়ে যে আপনাকে এত রাতে আপ্যায়ন করবো?

এই চরিত্র গুলি বিশেষ করে শুভর জন্য আমাকে লাস্ট ১ মাস টানা পুলিশ কে নিয়ে পড়ালেখা করতে হয়েছে। কত টা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। চরিত্র গুলি ফুটিয়ে তোলার জন্য সব রকম চেস্টা করেছি। যা কিছু করেছি, লিখেছি সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। কি করব বলুন, এদেশে পুলিশ কে নায়ক বানিয়ে কয়জন লেখে? আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করেছি রিয়ালিস্টিক করার জন্য।

কৃতজ্ঞতা আপনার জন্য। কি চমতকার মন্তব্য! এত কষ্টটা যেন সার্থক হলো আমার!
একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প পটভূমি দারুণ। তবে লিখনীর দৃষ্টতার প্রশংসা ছাড়া বেমানান মন্তব্য লেখকে হতাশ না আবার করে! যাই হোক এক কথায় গল্প অসাধারণ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে এসে কষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনারা যখন পাশে থাকেন তখন অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে!

প্রিয় সহ ব্লগার, আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। চমতকার মন্তব্যের জন্য রইল আমার কাছ থেকে শুভ কামনা।

এটার পরের পর্ব লিখছি তবে এছাড়া বেশ কিছু গল্প লেখা হয়ে গেছে। একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মাঝে মধ্যে গালিও একটি গল্পকে স্বয়ংসম্পূর্ণ রুপ দিয়ে থাকে।যাক ভালো লিখেছেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২২

নীল আকাশ বলেছেন: চরিত্রের প্রয়োজনে গালি গুলি আনতে হয়েছে, আশাকরি সেটা পড়ার সময় বুঝতে পেরেছেন।

প্রিয় সহ ব্লগার, আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। চমতকার মন্তব্যের জন্য রইল আমার কাছ থেকে শুভ কামনা।

ভালো থাকবেন সব সময়।

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। বড় হলেও এক টানে পড়ে ফেলেছি।

শবনমের চাইতে আমার কিন্তু শুভকে বেশী ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। আপনি শুভকে খুব সুন্দর চিত্রায়ন করেছেন। যে গালাগালি ব্যবহার করেছেন সেটা চরিত্রের প্রয়োজনে এসেছে আর তাই ১৮+ বলার দরকার ছিলো না।

আশা করছি আপনার কাছ থেকে আরো কিছু সুন্দর গল্প পাবো সামনে। শুভকামনা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: শিখা আপু, প্রথমেই আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য স্বাগতম এবং ধন্যবাদ। এত রাতে এসেছেন কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করবো? আপনারা যখন পাশে থাকেন তখন অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে!

গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। বড় হলেও এক টানে পড়ে ফেলেছি। - লিখতে লিখতে বড় হয়ে গেছে। মাঝখানে তো আর শেষ করতে পারি না। তবে প্লট টা ভালো তবে বড় ছিল।

শবনমের চাইতে আমার কিন্তু শুভকে বেশী ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। আপনি শুভকে খুব সুন্দর চিত্রায়ন করেছেন। - এই চরিত্র গুলি বিশেষ করে শুভর জন্য আমাকে লাস্ট ১ মাস টানা পুলিশ কে নিয়ে পড়ালেখা এবং স্টডি করতে হয়েছে। কত টা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। চরিত্র গুলি ফুটিয়ে তোলার জন্য সব রকম চেস্টা করেছি। যা কিছু করেছি, লিখেছি সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। কি করব বলুন, এদেশে পুলিশ কে নায়ক বানিয়ে কয়জন লেখে? আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করেছি যতটা সম্ভব রিয়ালিস্টিক করার জন্য।

যে গালাগালি ব্যবহার করেছেন সেটা চরিত্রের প্রয়োজনে এসেছে আর তাই ১৮+ বলার দরকার ছিলো না। - আমি আপনার সাথে একমত। অলরেডি এডিট করে ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পাশে থাকার জন্য।

আশা করছি আপনার কাছ থেকে আরো কিছু সুন্দর গল্প পাবো সামনে। শুভকামনা। - এটার পরের পর্ব লিখছি তবে এছাড়া বেশ কিছু গল্প লেখা হয়ে গেছে। একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

আরজু পনি বলেছেন: বেশ বড় লেখা। না পড়ে মন্তব্য করতে চাই না। সময় নিয়ে পড়ে তারপর মতামত দিবো।
শুভকামনা রইলো।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: আরজু পনি আপু, প্রথমেই আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য স্বাগতম এবং ধন্যবাদ। কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করবো?

আপনার মতো এক জন সিনিওর ব্লগারের মতামতের জন্য আমি অবশ্যই অপেক্ষায় থাকবো।

একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড় লেখা। সময় করেই পড়লাম। এককথায় চমৎকার।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য স্বাগতম এবং ধন্যবাদ ।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।

ভালো থাকবেন সব সময়।

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওরে বাবা! আজকে এতবড় গল্প পড়লে আমি শ্যাষ। সময় নিয়ে পড়তে হবে...


জনসমাগম দেখে মনে হচ্ছে, মজার গল্প। লেখায় বেশ কিছু গালি আছে। এই জন্যই প্রথম দিনে ১৮ লিখেছিলেন। যার জন্য না পড়ে চলে গিয়েছিলাম।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম আসার জন্য শুভেচ্ছা............


সময় নিয়ে পড়তে হবে... - মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম...।

২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:


পড়লাম নীল ভাই! :-B
এই প্লটে গল্পটি বেশ সার্থকভাবে তুলে ধরলেন । কিছু উপস্থাপনা বাস্তব অভিজ্ঞতা বা গভীর চিন্তাভাবনা না করলে এভাবে তুরে ধরা কঠিন । কিন্তু আপনি দেখলাম পারলেন । প্রথমে ভাবলাম গল্পকার বিখ্যাত একটি চরিত্র(শবনম) কে নিয়ে কি লিখছে ! পরে বুদ্ধিমতি ও মানবিক আবেগী শবনম কে দেখে ভালো লাগছে । গল্পকার কাছে প্রশ্ন প্রথম কবে ,কিভাবে শবনমে মুগ্ধ হয়েছিলো ? নাকি সেটা প্রথম পর্বে ! দ্বিতীয় পর্ব মনে হচ্ছে এটা । সাধারণত প্রথম পর্ব পড়ার পর দ্বিতীয় পর্ব পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয় । এখন দেখছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে প্রথম পর্ব পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হলো । বেশ কিছু নেতিবাচক শব্দ এনেছেন ।স্বাভাবিকভাবে দেখছি । কেননা এই সেক্টরে ভেতরে এমন লোক আছে । সবাই না । ওদের ভাষাটা ঠিক এমনই । আপনার যদি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকে ঐ সেক্টরে তাহলে বলবো ,আপনি যথেষ্ট পরিশ্রমী ও সময় নিয়ে লিখেছেন । শবনম এবারও মুগ্ধ করলো আমাকেও । তারপর কি শবনম কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিবে ! শুভর ব্যাপারেও লেখক বেশি কিছু জানাইনি ।
আরেকটি কথা গল্পের প্রথম শিরোনাম কেন সেটা বোধগম্য হয়নি আমার ।

পদাতিক ভাইয়ার মন্তব্য দেখে শেখার চেষ্টা করলাম । দারুণ পাঠক তিনি । মনিরা আপুর সাথে একমত । গল্পটি একটু বড় পর্ব করে দিলে ভালো হবে ।

শুভকামনা ভাই !! :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: পদাতিক ভাইয়ের মন্তব্য এর প্রতি উত্তর রেডি করছি। উনার টা আগে দিয়ে নেই তারপর আপনার টা। বিস্তারিত বলবো তবে একটু সময় দিতে হবে।

রাকু ভাই, ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের বিস্তারিত তুলে ধরলাম নীচে............

এই প্লটে গল্পটি বেশ সার্থকভাবে তুলে ধরলেন । কিছু উপস্থাপনা বাস্তব অভিজ্ঞতা বা গভীর চিন্তাভাবনা না করলে এভাবে তুলে ধরা কঠিন । কিন্তু আপনি দেখলাম পারলেন । প্রথমে ভাবলাম গল্পকার বিখ্যাত একটি চরিত্র(শবনম) কে নিয়ে কি লিখছে ! পরে বুদ্ধিমতি ও মানবিক আবেগী শবনম কে দেখে ভালো লাগছে।
ভাই, ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। শবনম আমার সেরা সৃস্টি। অতন্ত্য যত্ন নিয়ে আমি এই সিরিজ টা লিখছি।

গল্পকার কাছে প্রশ্ন প্রথম কবে ,কিভাবে শবনমে মুগ্ধ হয়েছিলো ? নাকি সেটা প্রথম পর্বে ! দ্বিতীয় পর্ব মনে হচ্ছে এটা । সাধারণত প্রথম পর্ব পড়ার পর দ্বিতীয় পর্ব পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয় । এখন দেখছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে প্রথম পর্ব পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হলো
প্রথম পর্ব সম্পর্কে লেখার মধ্যেই ব্যাখা দিয়েছি। খুব শিগগরি শবনমের সাথে শুভর প্রথম পরিচয় পর্ব-কুসুম কুসুম প্রেম কাহিনী পাবেন। এটা ড্রাফট মোডে আছে। একটু সময় দিতে হবে। কোয়ালিটি নিয়ে আমি কম্প্রোমাইজ করবো না। কথা দিচ্ছি প্রথম পর্ব ও দারুন হবে..........

বেশ কিছু নেতিবাচক শব্দ এনেছেন ।স্বাভাবিকভাবে দেখছি । কেননা এই সেক্টরে ভেতরে এমন লোক আছে । সবাই না । ওদের ভাষাটা ঠিক এমনই। আপনার যদি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকে ঐ সেক্টরে তাহলে বলবো, আপনি যথেষ্ট পরিশ্রমী ও সময় নিয়ে লিখেছেন ।
এই চরিত্র গুলি বিশেষ করে শুভর জন্য আমাকে লাস্ট ১ মাস টানা পুলিশ কে নিয়ে পড়ালেখা এবং স্টডি করতে হয়েছে। কত টা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। চরিত্র গুলি ফুটিয়ে তোলার জন্য সব রকম চেস্টা করেছি। যা কিছু করেছি, লিখেছি সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। কি করব বলুন, এদেশে পুলিশ কে নায়ক বানিয়ে কয়জন লেখে? আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করেছি যতটা সম্ভব রিয়ালিস্টিক করার জন্য। যে গালাগালি ব্যবহার করেছি সেটা চরিত্রের প্রয়োজনে এসেছে আর সেগুলি না দিলে হয়তো শুভ চরিত্র টা এত ইনটারেসটিং হতো না...........

শবনম এবারও মুগ্ধ করলো আমাকেও । তারপর কি শবনম কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিবে ! শুভর ব্যাপারেও লেখক বেশি কিছু জানাইনি ।
সবার আগ্রহ দেখে তৃতীয় পর্ব লেখার ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছি। ভালো প্লট মাথা আসুক। ইনসাল্লাহ আমার সবোর্চ্চ চেস্টা করব।

আরেকটি কথা গল্পের প্রথম শিরোনাম কেন সেটা বোধগম্য হয়নি আমার ।
কাহিনী টা বড়, সে জন্যই তো হেডিং দিয়েছি পুর্ণ দৈঘ্য কাহিনী।

পদাতিক ভাইয়ার মন্তব্য দেখে শেখার চেষ্টা করলাম । দারুণ পাঠক তিনি । মনিরা আপুর সাথে একমত । গল্পটি একটু বড় পর্ব করে দিলে ভালো হবে ।
পদাতিক ভাই গুরু মানুষ । উনার কাছে থেকে অনেক অনেক কিছু শেখার আছে। উনার মন্তব্য এর প্রতি উত্তর রেডি করেছি। আজকের মধ্যেই উত্তর দিয়ে দিব।
মনিরা আপু আর শিখা আপু দারুন মন্তব্য করেছেন। উনাদের মতো ব্লগার আমার পাশে পেয়ে আমি অনেক খুশি। গল্পটা বেশ বড় । অনেক কষ্ট হয়েছে লিখতে তবে লিখতে লিখতে বড় হয়ে গেছে। মাঝখানে তো আর শেষ করতে পারি না। তবে প্লট টা ভালো ছিল। পরের পর্ব লেখার সময় সাইজ টা দেখে ভাগ করবো নাকি চিন্তা করে দেখবো।

সব শেষে, রাকু ভাই, ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প, বাস্তবতার নিরীখে কিছু লিখলে গালি বাদ দেয়া যায় না।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, প্রথমেই আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য স্বাগতম এবং ধন্যবাদ। আমার ব্লগে এসেছেন কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করবো? আপনারা যখন পাশে থাকেন তখন অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে!
চরিত্রের প্রয়োজনে গালি গুলি আনতে হয়েছে, আশাকরি সেটা পড়ার সময় বুঝতে পেরেছেন।

আপনার কবিতা গুলি খুবই চমৎকার হয়। কিভাবে এত সুন্দর কবিতা ছন্দে ছন্দে লিখেন?

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

মিথী_মারজান বলেছেন: ওয়াও!
মনেহল একঘন্টার একটা প্যাকেজ নাটক দেখলাম।
গল্পটা, শবনম, শুভ'র এক্সপ্রেশন, ডায়লগ অনেক প্রাণবন্ত।
একটু বড়, তবে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য একটা আগ্রহ কাজ করছিলো।
আর হ্যাঁ, শুভ - শবনমের পরিচয় পর্বটার জন্যও ইন্টারেস্টেড আমরা।
সিকুয়্যালটা জলদি রিলিজ করবেন কিন্তু।:)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: মিথী_মারজান আপু, প্রথমেই আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য স্বাগতম এবং ধন্যবাদ। আমার ব্লগে এসেছেন কি দিয়ে যে আপনাকে আপ্যায়ন করবো? আপনারা যখন পাশে থাকেন তখন অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে!

ওয়াও! মনেহল একঘন্টার একটা প্যাকেজ নাটক দেখলাম। গল্পটা, শবনম, শুভ'র এক্সপ্রেশন, ডায়লগ অনেক প্রাণবন্ত। - আমার এই লেখায় আপনার চেয়ে ভালো কোন মন্তব্য আমি পাইনি। আমি মুগ্ধ। নিন আমার নিজের হাতে ফুটানো গোলাপ। আমার লেখায় সেরা মন্তব্যকারী দের আমি এভাবেই সম্মান দেই।

আর হ্যাঁ, শুভ - শবনমের পরিচয় পর্বটার জন্যও ইন্টারেস্টেড আমরা। সিকুয়্যালটা জলদি রিলিজ করবেন কিন্তু।:) প্রথম পর্ব সম্পর্কে লেখার মধ্যেই ব্যাখা দিয়েছি। খুব শিগগরি শবনমের সাথে প্রথম পরিচয় পর্ব পাবেন। এটা ড্রাফট মোডে আছে। শবনম আমার সেরা সৃস্টি। অতন্ত্য যত্ন নিয়ে আমি এই সিরিজ টা লিখছি। একটু সময় দিতে হবে। কোয়ালিটি নিয়ে আমি কম্প্রোমাইজ করি না।

সবাই দারুন দারুন মন্তব্য করেছেন। উনাদের মতো ব্লগারদের আমার পাশে পেয়ে আমি অনেক খুশি। গল্পটা বেশ বড় । অনেক কষ্ট হয়েছে লিখতে তবে লিখতে লিখতে বড় হয়ে গেছে। মাঝখানে তো আর শেষ করতে পারি না। তবে প্লট টা ভালো ছিল। পরের পর্ব লেখার সময় সাইজ টা দেখে ভাগ করবো নাকি চিন্তা করে দেখবো।

শবনমের নতুন পর্বের মাঝে বেশ কিছু গল্প শেষ হয়ে আসছে। খুব শিগগিরি প্রকাশ করবো। একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

২৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

মিথী_মারজান বলেছেন: সো সুইট অফ ইউ।
খুব সুন্দর তো গোলাপটা!
এমন সুন্দর উপহারে অনেক খুশি হলাম।
আমিও মুগ্ধ আপনার আন্তরিকতায়।:)
আর,শবনম মানে জানেন তো?
আপনার গোলাপটিতেও দেখি শবনমের বিচরণ।
আপনার শবনম সিরিজের সাথে অবশ্যই আছি আমরা।
শুভ কামনা।:)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: সো সুইট অফ ইউ। - থ্যান্ক ইউ।
আপনাকে আবার আমার ব্লগে পেয়ে আমি খুবই খুশি হয়েছি।
আর, শবনম মানে জানেন তো? - ভোরের শিশির।
অনেক সখ করে এই নাম টা সিলেক্ট করেছি। শবনম কে নিয়ে আমার অনেক লেখার ইচ্ছে আছে।
কালকে একটা গল্প দেবার ইচ্ছে আছে। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।

২৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে । অতিশয় ভালো লেগেছে । খুব সুন্দর গোছানো ও পরিপাটি । এর বেশী বলার মত যোগ্যতা আমার নেই ।

আর শবনম ? তাহার জন্য মায়া লাগছে আর বাস্তবে দেখতে ইচ্ছে করছে ।

শবনমের সাথে শুভর প্রেম কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম ।

(এত চমৎকার চমৎকার লেখাগুলো কেনযে এতদিন পোস্ট না করে ড্রাফ্‌ট করে রেখেছিলেন)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আমার সব প্রিয় মানুষদের মন্তব্য গুলি অবশেষে পেয়ে গেলাম। এই লেখা টার ব্যাপারে আমি তো আপনাকে আগেই বলেছিলাম,এটা আমার সেরা সৃস্টি। শবনম নামটার ও একটা মাহাত্য আছে। একমাত্র মিথী_মারজান আপুই সেটা ধরতে পেরেছেন। শবনমের চরিত্রের সাথে ওর নামের একটা মিল আছে। ভোরের শিশির যেমন দীর্ঘ স্থায়ী নয় শবনম ও তেমনই। বাকিটা পরের পর্ব পড়ার পর বুঝবেন।

আর শবনম ? তাহার জন্য মায়া লাগছে আর বাস্তবে দেখতে ইচ্ছে করছে। - ছবি একটা দিয়েছিলাম। বাকপ্রবাস ভাই সেটা সরিয়ে দিতে বলেছেন। স্যরি :P

শবনমের সাথে শুভর প্রেম কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম। - শিগ্রী আসছে। তবে আপনি সহ প্রিয় মানুষরা আগেই জানবেন।

(এত চমৎকার চমৎকার লেখাগুলো কেন যে এতদিন পোস্ট না করে ড্রাফ্‌ট করে রেখেছিলেন) - আপনার ঠেলা খাবার জন্য ;) । কালকে সম্ভবত আরেকটা গল্প দিব। পড়ে দেখবেন।

সব সময় আমার সাথে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

২৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শবনম-শুভ?
গল্পটি ভালো হয়েছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শবনম-শুভ? - কি বল্লেন কিছুই বুঝলাম না।
গল্পটি ভালো হয়েছে। - ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে আসার জন্য শুভ কামনা রইল।

২৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

আরজু পনি বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়লাম না। মূলগল্প পড়তেই অনেক সময় লেগে গেছে।
তবে ভালো লেগেছে। গালি যা দিয়েছেন তাতে বাহবা দিচ্ছি একারণেই যে, বাস্তবিক মনে হয়েছে গালিগুলোর জন্যে। যদিও থানা-পুলিশের গালির সাথে পরিচিত নই।
লিখুন...অনেক ভালো করবেন, বোঝাই যাচ্ছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপু, অনেক অনেক ভালো লাগলো সকাল বেলা আপনার কথা শুনে। কি যে খুশি হয়েছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না!

এই গল্পটার জন্য আমি ব্লগে অনেকের সাথেই এবার পরিচিত হয়েছি। আপনারা যার বহু দিন ধরে ব্লগে আছেন তার আসলে ছায়ার মতো সামু কে ধরে রেখেছেন। আগে নতুন যখন তখন ভাবতাম কখন আপনারা আমার ব্লগে এসে মন্তব্য করবেন? এখন বুঝতে পারছি। আমি যদি ভালো লিখতে পারি, তখন আপু ভাইয়ারা এমনিতেই পড়তে আসবেন।

একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার পাশে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

৩০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কাতিআশা বলেছেন: ভালো লাগলো..।একটানা পড়ে যাওয়ার মত লেখা আপনার!++++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: কাতিআশা বলেছেন: ভালো লাগলো..। একটানা পড়ে যাওয়ার মত লেখা আপনার!++++++

এত রাতে আপনার মন্তব্য পরে কি যে ভালো লাগছে সেটা মনে হয় আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। অসাধারণ একটা মন্তব্য করেছেন আপনি।

নতুন একটা গল্প দিয়েছি, আশা করি পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো?

একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার পাশে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন সব সময়।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: পরের পর্ব টা দিয়েছি, যদি পড়ে যেতেন! এটাও আশা করি ভালো লাগবে আপনার।

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার বললেও কম বলা হবে। বিশেষ করে পুলিশি চরিত্রগুলো নিপুণভাবে ফুটে তুলেছেন।

তবে শবনমকে প্রথমে চিনতে না পারাটা কেমন যেন খাপ খাচ্ছে না।

গল্প বলার ঢং টা বেশ ভালো লেগেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার বললেও কম বলা হবে। বিশেষ করে পুলিশি চরিত্রগুলো নিপুণভাবে ফুটে তুলেছেন। - সেই রকম লজ্জা দিলেন ভাই! আমি একজন শিক্ষানবীস লেখক। উল্টা পাল্টা কি সব লিখি, যা মনে চায় তাই লিখি। কষ্ট করে এসে আমার ব্লগে পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করব না তবে অনুরোধ করব আমার লেখার পাশে থাকবেন, সব সময়।

তবে শবনমকে প্রথমে চিনতে না পারাটা কেমন যেন খাপ খাচ্ছে না। - পরের পর্ব আগে দিয়ে দিয়েছি সে জন্যই এই সমস্যা! প্রথম পর্বের ১ম অংশ প্রকাশ করেছি। আপনাকে অনুরোধ করব পড়ার জন্য।

গল্প বলার ঢং টা বেশ ভালো লেগেছে। - আমি এই ঢং টাতে লিখি, আপনার ভাল লেগেছে দেখে বড়ই তৃপ্তি পেলাম মনে।

একটু কষ্ট করে মাঝে মাঝে এসে ভুল ত্রুটি গুলি সংশোধন করার জন্য উপদেশ দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে লিখি। সব সময় আমার পাশে থাকার ও সব লেখা পড়ার জন্য আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
শুভ রাত্রি।

৩২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুন বলেছেন: ডিটেইলস লিখেছেন থানার ভেতরের কায় কারবার :|
এতে বোঝা যাচ্ছে এর সাথে আপনার সম্যক পরিচয় আছে ;)
কুসুম কুসুম প্রেম না বলে কাঁঁটা কাঁঁটা প্রেম বলুন #:-S
কারন যা গালি দিলেন :P

ড্রাফট খোলার অপেক্ষায় :)
+

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল জুন আপু ।
ডিটেইলস লিখেছেন থানার ভেতরের কায় কারবার :| এতে বোঝা যাচ্ছে এর সাথে আপনার সম্যক পরিচয় আছে ;)
গল্পটার আসল কায় কারবার তো সব থানার ভিতরে, এই জন্য, এই চরিত্র গুলি বিশেষ করে শুভর জন্য আমাকে লাস্ট ১ মাস টানা পুলিশ & থানা কে নিয়ে পড়ালেখা এবং স্টাডি করতে হয়েছে। কত টা কষ্ট করতে হয়েছে সেটা আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। চরিত্র গুলি ফুটিয়ে তোলার জন্য সব রকম চেস্টা করেছি। যা কিছু করেছি, লিখেছি সবই চরিত্রের প্রয়োজনে। কি করব বলুন, এদেশে পুলিশ কে নায়ক বানিয়ে কয়জন লেখে? আমি আমার সর্বোচ্চ চেস্টা করেছি যতটা সম্ভব রিয়ালিস্টিক করার জন্য। আপননাদের লেখা পড়ে মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছি আর আমার কষ্ট টাও কাজে লেগেছে..........।

কুসুম কুসুম প্রেম না বলে কাঁঁটা কাঁঁটা প্রেম বলুন #:-S কারন যা গালি দিলেন :P
থানা সম্পর্কে আইডিয়া থাকলে বুঝতেন আমি যে সব গালি ব্যবহার করেছি সেসব তো নিতান্ত ভদ্র গালি, ওখানে যে কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করে পরিচিত কোন পুলিশ থাকলে জিগ্গেস করে দেখতে পারেন ;)
যে গালাগালি ব্যবহার করেছি সেটা চরিত্রের প্রয়োজনে এসেছে আর সেগুলি না দিলে হয়তো শুভ চরিত্র টা এত ইন্টারেসটিং হতো না...........১১০% গ্যারান্টি। এমন কি আখেনাটেন বলেছেন ভাই পর্যন্ত বলেছেন: চমৎকার বললেও কম বলা হবে। বিশেষ করে পুলিশি চরিত্রগুলো নিপুণভাবে ফুটে তুলেছেন।

ড্রাফট খোলার অপেক্ষায় :) +
ড্রাফট খুলে তো কুসুম কুসুম প্রেম এর প্রথম পর্বের প্রথম অংশ তো দিয়ে দেয়েছি। বাকি অংশ প্রায় শেষ পর্যায়ে.......

ভালো থাকবেন আপু আর মাঝে মাঝে এসে পদধুলি রেখে যাবেন :P
শুভ কামনা রইল।

৩৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: থানা সম্পর্কে আইডিয়া থাকলে বুঝতেন আমি যে সব গালি ব্যবহার করেছি সেসব তো নিতান্ত ভদ্র গালি, ওখানে যে কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করে পরিচিত কোন পুলিশ থাকলে জিগ্গেস করে দেখতে পারেন ;)
ভাই নীলাকা কাকে আর জিজ্ঞেস করবো যাকে এক সেকেন্ডের মধ্যেই জিজ্ঞেস করতে পারতাম সে আমার আব্বা । তিনি পুলিশের এসপি ছিলেন, দীর্ঘদিন বিভিন্ন ব্রাঞ্চে যেমন সিআইডি, ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ এবং স্পেসশাল ব্রাঞ্চে। অত্যন্ত হ্যান্ডসাম হাসি খুশী সাহিত্যপ্রেমী ধার্মিক আমার আব্বাকে কখনো গালি দিতে দেখিনি । এমনকি আমাদেরকেও কখনো বকা দেয় নি। আমাদের গল্প কবিতা আবৃতি করে শোনাতেন । আমাদের একদিন বলেছিল আসামীর মুখ থেকে কথা বের করার জন্য যেসব শাস্তি দিত সেটা সহ্য করতে না পেরে উনি দূরে সরে যেতেন। জীবনে এক টাকাও ঘুষ খায়নি , ঢাকার বাসিন্দা, আজীবন ঢাকা শহরে থেকেও ভাড়া বাড়িতে থেকে গেছেন একখন্ড জমি কেনার সাধ্য হয়নি । আজ ছয় বছর হয় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাই আমরা ভাইবোনেরা প্রত্যকে নিজ নিজ স্থানে ভালো অবস্থানে আছি। শাসন যা আমার মা ই করতো =p~
অনেক কথা বলে ফেললাম :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো মানুষ আছেন দেখেই পৃথিবী টা এখনো এত সুন্দর লাগে! আপনার মন কাড়া মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু সত্য কথা হলো বর্তমানে পুলিশের ব্যবহার কত টা খারাপ হয়েছে ভুক্তভুগিরাই বলে দিতে পারবে। নতুন একটা গল্প লিখছি। আপনার বলার আগে থেকেই। ভালো পুলিশ কে নিয়ে। গল্প টা খুব মন দিয়ে লিখেছি। পড়ার দাওয়াত দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
শুভ কামনা রইল।

৩৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওমা :|| আজই কাচ্চি বিরিয়ানী খেলাম.....
আপনার দেওয়া লিংক দেখতে দেখতে এখানে আগমন.....

ভালোভাবে পড়েটড়ে একেএকে মন্তব্য করবো B-))

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: তাহলে তো শুভর সাথে আপনার মিল দেখা যাচ্ছে! এটাই আমার প্রথম হিট করা গল্প। এটা দেয়ার পর পুরো ব্লগ গরম হয়ে গিয়েছিল! পড়ুন, পড়লেই বুঝবেন কি লিখেছি!

৩৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অশ্লীল বানানটা ঠিক করুন....

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ। তখন বাংলা বানান এত ভালো পারতাম না। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন মনে হয়! অন্য কারো চোখেই পড়েনি!

৩৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Oh boy ! You used that package sentence on my post's comment B:-)
তবে ঠিকই আছে ;)

শবনমের সাথে তো ভালোই মাইন্ডগেম চললো....
মেয়েরা কিন্ত নিজেরাও মাইন্ডগেম খেলে আবার অন্য কেউ খেললেও পছন্দ করে B-))

আপনার লেখার হাত চমৎকার....

শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিলো....

দারুণ লাগলো.....

ধীরেধীরে বাকি পার্টগুলো পড়বো.....

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আজকে সকালে মুখস্ত লিখেছি। আমার মনেই ছিল না এটা এখানে দিয়েছিলাম। তবে লাইনটা দারুন। শবনম আর আর আপনি দুই জনের জন্যই পারফেক্ট।
বলেছিলাম না আমার বাকি গল্প গুলি পড়ে দেখুন! কুসুম কুসুম প্রেম পড়ুন! ওটা আরও ফাটাফাটি হয়েছে....

৩৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গল্পটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম । কিন্তু আমি কোন ১৮ + পোস্ট বা গল্প পড়িনা
=p~ =p~ =p~

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: উনি সম্পুর্ন পড়েই তারপর এই কমেন্ট করেছে। আমাকে অন্য কোন জায়গায় যে বলেছিল, এটা দুস্টামি করে বলেছে।

৩৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার চোখ ঠিক জায়গাতেই পড়ে ;)


ললনাকূল সাবধান :P

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

নীল আকাশ বলেছেন: সাবাস! দারুন!

৩৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন: গল্পটা পড়ে আমি শবনমের ভক্ত হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর করে কিভাবে লিখেন? ফুটিয়ে তুলেছেন খুবই নিখুঁতভাবে। প্রতিটি চরিত্র তৈরি করেছেন বাস্তবতা নিয়ে।
একজন নারী সমাজ ও লোক লজ্জার কথা ভেবে নিজের Husband এর অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখে।
থানার পুলিশের কথোপকথন ১০০ তে ১০০। আমাদের দেশের পুলিশ পারে না, এমন কোন কাজ নেই। সবই পারে, টাকা হলে।
গল্পে ভালোলাগা রইলো। আরও লিখলেন না
কেন? লিখলে মনে হয় ভালোই হতো। একটানে পড়লাম ও কমেন্ট করলাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আমি সব সময় বাস্তবিক ঘটনা নিয়েই লিখি। আমার লেখার থীমই এই রকম। জীবন্ত মনে হয়।
শবনম কে নিয়ে আরও লিখব তবে এই চরিত্রটা এতই চমৎকার ভাবে ২টা গল্পে ফুটিয়ে তুলেছি যে ভালো কোন থীম না পেলে লেখা ঠিক হবে না........।
আমার বাকি গল্পগুলিও পড়বেন। অনেক দারুন দারুন গল্প আছে এখনও পড়েন নি।
ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।

৪০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পের শেষাংশে মোহরানার টাকার চেক গল্পটিকে অন্যমাত্রা দিয়েছে। গল্প হিসেবে অবশ্যই ভাল, সাহিত্যের মাপকাঠিতে পরিমাপ না করতে যাওয়াই উত্তম (মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্য পড়ার পর, এই অধম বোকা মানুষের বক্তব্য)।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ আমার গল্পগুলি এক এক করে পড়ার জন্য।

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা ভালো হয়েছে। চরিত্রের প্রয়োজনে যে কোন ভাষা আসতে পারে। যাদের এই ক্ষেত্রে সমস্যা তারা শিশুতোষ বই পড়ুক। কাভা ভাইয়ের এই কথাটা আমার আরেকটা গল্পের বলেছিল। এটা এখানে খাটে। উনি আমাকে প্রথম দিকে মারাত্মক সাহায্য করেছেন গল্প লেখার জন্য। পারফেক্ট মডারেটর।

সাহিত্যের মাপকাঠিতে পরিমাপ না করতে যাওয়াই উত্তম সাহিত্যের মাপকাঠি কি? এটা নিয়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন আছে। হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন বাদ এর ভাষা কি ছিল মনে আছে নিশ্চয়ই। সেই তুলনায় এটা তো দুধ ভাত।

আমি সব সময় খুব বেশি বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখার চেস্ট করি, যা সাধারনত আমাদের চারপাশেই ঘটে থাকে। মোহরানার টাকার চেক ফেরত দেয়ার মধ্যে দিয়ে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে শবনম খুব বিরক্ত ওর স্বামীর এই সব আচরনে। শবনম আমার খুব পছন্দের চরিত্র। ভালো প্লট পেলে আমি অবশ্যই শবনমকে নিয়ে ফিরে আসব।

আপনি খুব ভালো একজন ব্লগার। স্বাধীনতা আমার অহংকার! গল্পটা পড়ার পর আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি। ঠিক এই বিষয়ে আরও লিখব নাকি সেটা বুঝতে পারছি না...........

এইভাবে সব সময় আপনাকে যেন পাশে পাই।
আপনাদের মতো পাঠকদের জন্যই তো এত কষ্ট করে এত সব লেখা লিখি।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!




৪১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৪

শায়মা বলেছেন: হা হা হাসছি এটা দেখে যে রাগে ওর বরটাকে এত খারাপ বানায় দিলে!!!!!!!!!!!!!!

নিজেই পোলিশ অফিসার হয়ে শিক্ষা দীক্ষা!!!! হাহাহাহাহাহাহাহাহহা

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
মজার ব্যাপার হলো এই পর্বই প্রথম লিখেছিলাম। তখন বাকি আর কিছু লেখার কথা মাথায় ছিল না।
সবাই শবনমের আরও পর্ব চাইলো দেখে আস্তে আস্তে ১ম এবং ৩য়, ৪র্থ পর্ব লিখেছি।
এটা একটা কমপ্লিট গল্প।
ধন্যবাদ।

৪২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সর্বনাশ কী হতে কী হয়ে যাচ্ছে
ভাইয়া তুমি তো দেখি বিরাট মানসম্মত লেখক। উফ পড়েই ফেললাম

কিন্তু সময়ের বারোটা বাইজা গেলো যে :(

তবুও তৃপ্তি পেয়েছি পড়ে। সবগুলো পড়বো ইনশাআল্লাহ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমা আপু,
শবনম সিরিজ বন্ধ করতে ইচ্ছে করছিল না তবে ভালো জিনিস অল্পতেই শেষ করে দিতে হয়।
পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.