নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
দরজায় সামনে দাড়িয়ে রুপন এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। এটা সম্ভবত মাঘ মাস, গতকালের দৈনিক পত্রিকায় ও পড়েছিল। অথচ এই শীতকালেও টের পাচ্ছে ওর পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। এটা ওর নিজের রুম, তারপরও ভিতরে ঢুকতে ইচ্ছে করছে না ওর। পিছনে তাকিয়ে দেখে, সবাই ওর দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে! সব ছেলেরা বিয়ের পর নিজের বাসর ঘরে ঢুকার জন্য যেখানে অস্থির হয়ে থাকে, সেখানে ও ইচ্ছে করেই টালবাহানা করছে সময় কাটানোর। আসলে ও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না ওর ভিতরে আসলে ঢুকা ঠিক হবে কিনা! দরজার হ্যান্ডলে ধরা ওর ডান হাতটা হালকা কাঁপছে। সবাই হয়ত মনে করছে ওর লজ্জায় রকম হচ্ছে। কিন্তু ওর কাছে এখন লজ্জার চেয়ে দ্বিধাটাই বড় হয়ে দাড়িয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই মোবাইলে শোনা কথা গুলি বারবার ঘুরে ঘুরে ওর দুই কানে বাজছে।
এক
- আস্লালামালিকুম, আপনি কি রুপন ভাই বলছেন?
- জি৷ আপনি কে?
- আপনি আমাকে চিনবেন না। আমি আপনার ক্লাসমেট রিমা আপুর কাজিন। আপনার ফোন নাম্বার আমি আপুর কাছ থেকে পেয়েছি।
- ও আচ্ছা। ফোন করেছেন কেন? কিছু বলবেন?
- রুপন ভাই, রিমা আপু একটা বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলতে বলেছেন। কিছু মনে না করলে কয়েকটা কথা বলি?
- বলুন।
- আপনি কি মুমু নামের কোন মেয়েকে বিয়ে করছেন?
- বিয়ে হয়ে গেছে অলরেডি। কিন্তু কেন মুমুর ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন?
- আপনি কি আগে থেকেই এই মেয়েটাকে চিনতেন?
- না, কেন? ওর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে।
- মুমুর সাথে বিয়ের আগে আপনার কোন কথাবার্তা হয়নি?
- না, তেমন একটা না। কেন?
- মুমু কি ওর আগের এ্যাফেয়ার নিয়ে আপনাকে কিছু জানিয়েছে?
- কি বললেন আপনি?
রুপন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না? কি শুনল ও এটা? তাও বিয়ের দিন রাতেই! এখনও বাসর ঘরেই ও ঢুকেনি!
- রুপন ভাই, একটা বড় সমস্যা হয়েছে। মুমুর রাফি নামের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করে মুমু আপনাকে বিয়ে করে ফেলেছে শুনে রাফি অনেক ক্ষেপে গেছে।
-রাফি কে? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনি রাফিকে চেনেন কিভাবে?
-আপনি চিনবেন না। মুমু চেনে। খুব ভালো করেই চেনে। আমার সাথেই পড়ে। ছেলেটা খুব একটা সুবিধার না। আমাদের মাথায় ঢুকত না কিভাবে মুমু এই ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াত।
- কি বলছেন আপনি এসব?
- রাফি আজকে মুমুর বিয়ের কথা শুনে ড্রিঙ্কস করে এসে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে প্রচুর উল্টা পাল্টা কথা বলছে। ওর কাছে নাকি মুমুর সাথে ঘনিষ্ট বেশ কিছু ছবি আর ভিডিও আছে। মুমু যদি ওর কাছে ফিরে না আসে, তাহলে ও মুমুকে নাকি কঠিন শাস্তি দেবে। ছেলেটা একেবারেই বাজে ছেলে। আমার ভয় হচ্ছে রাফি বড় কোন অঘটন না ঘটায়! আপনি মুমু বা ওর বাসায় এক্ষুনি বিষয়টা জানান। আমার কাছে ওর ফোন নাম্বার নেই, থাকলে ওকেই বলতাম।
-মুমুর সাথে এখন এই বিষয় নিয়ে আমার কথা বলতে হবে? তাও আজকেই!
রুপনের মাথা বন বন করে ঘুরতে শুরু করেছে। হায় আল্লাহ, এই মেয়েকে বিয়ে করে আমি কি বিপদে পড়লাম? কি করব এখন আমি? এই মেয়েকে ও নিজে পছন্দ করে বিয়ে করছে তাও না। বাসার সবাই পছন্দ হয়েছে দেখে ও আর মানা করেনি।
- মুমুকে বলবেন রাফিকে ঠান্ডা মাথায় সামলাতে। নাহলে শুধু ও না, আপনিও কঠিন বিপদে পড়বেন।
- আপনি কেন গায়ে পড়ে আমার উপকার করতে চাচ্ছেন?
- দেখুন, আমি আপনাকে চিনতামও না। রিমা আপু আমার পাশের বাসায় থাকেন। একটু আগে নীচে আপুর সাথে দেখা। আপনার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এসেছে। এত রাতে কোথায় গিয়েছিল জিজ্ঞেস করতেই আপনাদের বিয়ের ছবি দেখাল। মুমুকে ছবিতে দেখে আমি হতভম্ব! আপুকে সবকিছু খুলে বলতেই, আপু আপনার নাম্বার দিয়ে এক্ষুনি ফোন করে আপনাকে রাফির ঘটনা জানাতে বলল।
- আমি কিন্তু রিমার সাথে অবশ্যই কথা বলব। শুধু শুধু মুমুর নামে বাজে কথা বলছেন না তো?
- প্লিজ, আপনি আমাকে খারাপ কিছু ভাববেন না। আমার ভয় হচ্ছে সিচুয়েশন অনেক খারাপ দিকে যেতে পারে। আপনি প্লিজ মুমুর সাথে কথা বলেন। কথা বললেই বুঝতে পারবেন। আর আমার কথা বিশ্বাস না হলে রিমা আপুর সাথে কথা বলুন। আস্লা লামালিকুম ভাইয়া, আমি ফোন রাখছি।
হতভম্ব হয়ে হাতে মোবাইল নিয়ে দাড়িয়ে রইল রুপন কিছুক্ষন!
দুই
একটু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পরই রিমাকে ফোন করে রুপন আরো ডিটেইলস জানতে পারল। ফোন করেই বুঝতে পারল রিমা আসলে ওর ফোনের জন্যই অপেক্ষা করছিল। সুমন অনেক কিছুই ওকে বিস্তারিত ভাবে বলেনি, সম্ভবত ওকে বিব্রত করতে চায়নি। সব কিছু শুনার পর রুপনের মাথায় হাত অবস্থা! কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা ও। কি ঘটতে পারে আর কত বড় বিপদে ও পড়তে যাচ্ছে এর কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে রুপন। হাত পা তখন থেকেই ওর ঠান্ডা হয়ে আসছে।
মুমুর সাথে কথা বলার সামান্য রুচিও রুপনের হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও ওকে কথা বলতে হবে। সত্যি না মিথ্যা জানতে হবে! সত্যি হলে পুরো ঘটনাটা জানতে হবে, ইন ডিটেইলস। Ins and Out. ওর আজকে মাত্র বিয়ে করা স্ত্রীর সাথে আরেকটা ছেলের! ওহ, গড। ওর বাবা মা যখন জানবে, অবশ্যই জানবে তখন? ও নিজের বাবা মার কাছে মুখ দেখাবে কিভাবে? আচমকা দেয়াল ঘড়িতে এলার্ম বেজে উঠলো, সাথে সাথে রুপনের ভাবনাতেও ছেদ পড়লো। ঠিক রাত বারোটা বাজে। বিয়ে বাড়ি বলে বাইরে এখনও খানিকটা কোলাহল রয়েছে। প্রতিটা কোলাহল যেন ওর বুকে এসে বুলেটের মতো আঘাত করছে।
সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ পাশ কাটিয়ে দরজা খুলে রুপন বাসর ঘরে এসে ঢুকল। টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ - ঘড়ির কাটার চলমান শব্দ ক্রমেই স্পস্ট হয়ে উঠছে ওর কানে। রুপন ঘরে ঢুকে মাথার পাগড়ীটা খুলে টেবিলের উপর রাখলো। তারপর বড় করে একটা নিশ্বাস নিয়ে মুমুর দিকে ফিরে তাকাল....
তিন
বাসর ঘরে ফুলে ফুলে সুসজ্জিত ওরই খাটের উপর বধূবেশে বসে আছে মুমু। রুপনের বিবেক একবার এসে খোঁচা দিয়ে গেল - এই পবিত্র রাতে ও কিভাবে মুমুকে এত জঘন্য একটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবে? ও অনেক রিজনেবল একটা ছেলে কিন্তু সত্যই ওর কিছুই করার নেই আজকে। ওকে জানতেই হবে। সত্য যতই তিক্ত হোক, যতই ভয়ংকর হোক! ওকে জানতে হবে মুমু কি সত্যই ওকে এত জঘন্য ভাবে ঠকিয়েছে? রুমের ডিম লাইটটা জ্বালিয়ে দিয়ে এনার্জি লাইটটা বন্ধ করলো। মাথা এখন চরম ঠান্ডা রাখতে হবে। কোনভাবেই হইচই করা যাবে না এত রাতে। সারা বাসা ভর্তি আত্মীয় স্বজন। এতোক্ষনে নিশ্চয়ই বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়া শুরু করেছে!
রুপনের ঘরটা বেশ পরিপাটি। এটাচ্ড বাথ। ঘরের একপাশে একটি টেবিল ও বুক সেল্ফ। সেলফে অনেকগুলো গল্পের বই সাজানো। অন্যপাশে একটি আলনা, তাতে যত্ন করে কাপড় গুলি গোছানো। বিছানাটা দরজার একদম বিপরীতে। ফুলে ফুলে খাট টা সাজানো। নানান রকমের ফুল, তবে বেশীর ভাগই গোলাপ আর রজনীগন্ধা। ডিম লাইটের সবুজ আলোতে ঘরের ভিতরটা অদ্ভুত সুন্দর লাগছে! কিন্তু এসবের কোন কিছুই রুপনকে আজকে স্পর্শ করতে পারছে না।
রুপন বিছানায় এসে বসলো। ওর হৃদস্পন্দন হঠাৎ-ই বেড়ে গেলো। মাথা নীচু করে কিছুক্ষন বিছানায় বসে রইলো। ও দ্বিধাগ্রস্ত, কি বলবে, কিভাবে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছে না।
- মুমু, আমি আপনার কাছে একটা ব্যাপারে সত্যি কথা জানতে চাই?
মুমু চুপ করে আছে দেখে রুপন আবার শুরু করলো।
- রাফি কে? তার সাথে আপনার কি ধরনের সম্পর্ক আছে বা ছিল সেটা আমি জানতে চাই?
মুমু হঠাৎ ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মতো চমকে উঠল। হতভম্ব হয়ে রুপনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
- কথা বলছেন না কেন? অবাক হয়েছেন?
মুমু এখনও চুপ করে আছে দেখে রুপন একটু বিরক্ত হলো।
- আমি অলরেডি এই বিষয়ে অনেক কিছু শুনে এসেছি। সত্যি কি মিথ্যা জানি না। আমি আপনার মুখ থেকে আসল সত্যটা জানতে চাই। এটা আমার অধিকার।
মুমু মাথা নীচু করে ফেলল, এখন নীচু করে লাভ কি?
- বিয়ের আগে একটা মেয়ের অ্যাফিয়ার থাকতেই পারে, কিন্তু আপনি আমাকে মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম বিয়ের আগে। তাইনা?
- আমি আপনাকে সেদিন বলতে পারিনি। আমার পক্ষে সেটা বলা সম্ভব ছিল না। আপনার সাথে তখন আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।
- বাহ, যখন আরেকজনের কাছ থেকে আপনার মজাদার কাহিনী শুনব, আমার কেমন লাগবে সেটা কি কখনো ভেবেছেন? সুমন কি নিশ্চয়ই চিনেন? ও আমার এক ক্লাসমেটের ছোট ভাই।
- আমি স্যরি। আমার আসলে বলা উচিত ছিল।
- স্যরি? কোনটার জন্য স্যরি? আমাকে আগে না বলার জন্য, না যা বিয়ের আগে করে এসেছেন সেটার জন্য?
- সবকিছুর জন্য।
- এত সহজ? সব কিছু এতই সহজ। আমি আপনার কোন কথা কিভাবে আর বিশ্বাস করবো? আপনি তো সেই ছেলেকে নিজের সব কিছুই দিয়ে এসেছেন। একবারও কি বিয়ের আগে ভাবছেন, এটা কত বড় একটা প্রতারনা করছেন আমার সাথে? আমি আপনার সাথে কি অপরাধ করেছিলাম? আপনাকে বিয়ে করতে চেয়েছি এটাই তো মনে হচ্ছে আমার মস্ত বড় অপরাধ?
- আমার সাথে রাফির এখন কোন সম্পর্ক নেই। আপনি চাইলেই বা ইচ্ছা করলেই আমরা এটা একদম ভুলে যেতে পারি!
- তাই কি? কিন্তু আপনার প্রেমিক পুরুষ রাফি তো কিছুতেই ভুলতে চাচ্ছে না। এত এত সুন্দর অন্তরঙ্গ ছবি আর ভিডিও করে এখন নিজেই ভুলে যেতে চাইছেন। এটা কেমন কথা?
ছবি আর ভিডিওর কথা শুনে মুমু মাথা আরও নীচু করে ফেলল।
- মুমু, আমি আপনার আর রাফির মধ্যের সম্পর্কের পুরোটা শুনতে চাই। আর গোপন করে কি করবেন? প্রায় সবই তো শুনে আসলাম! দেখি, এবার আপনি কতটুকু সত্য কথা বলেন?
- কতটুকু আর কতবার নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে আমার কাছে এসেছেন, সেটা আপনার মুখ থেকেই শুনি। কি বলেন?
মুমু হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। বারবার করজোরে করে মাপ চাইলো। কিন্তু রুপনের এক কথা। আমি প্রথম থেকে সব কিছু শুনতে চাই, তারপর আমি আপনার ব্যাপারে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নিবো।
চার
মুমুর কাছ থেকে বার বার জেরা করে এই অবৈধ সম্পর্কের আদ্যপান্ত শোনার পর রুপনের সমস্ত পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে এলো। যেন হুট করে একটা ঘন কালো পর্দা এসে ওকে সমস্ত পৃথিবী থেকে আচমকাই আলাদা করে ফেলল। প্রচন্ড ঘৃনা নিয়ে বেড থেকে উঠে আসল ও। এটা প্রতারনা, চরম প্রতারনা। ও এটা কোনভাবেই ডিসার্ভ করে না, কোন ভাবেই না। মুমু দিকে তাকিয়ে ওর বমি পাচ্ছে। স্পর্শ করা তো দুরের কথা, মুমুর দিকে এখন তাকাতেও ইচ্ছে করছে না। সমস্ত স্বপ্নকে বনবাসে পাঠিয়ে আজ বাস্তবতার রাজত্বে এক নিতান্তই তুচ্ছ আর নিঃস্ব একজন মানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে। আমি এখন কি করবো? আমার কি করা উচিত? কোন কিছুই এখন ওর মাথায় ঢুকছে না। আজ আমার বাসর - একটি স্বপ্নহীন বাসর। না না এটা, জাহান্নামের বাসর। এই মেয়েটা হতে পারতো ওর সারাজীবনে স্বপ্ন অথচ নির্মম বাস্তবতা ওর সমস্ত স্বপ্নকে টুকরো টুকরো করে দিলো! কি অসহ্য মানসিক যন্ত্রনা ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, এটা একমাত্র ওই জানে! এর চেয়ে বরং এই মেয়েকে বিয়েটা না করাই অনেক ভালো ছিল!
পাঁচ
বাসর রাত, যে রাত অজানা দু’টো মানুষের একান্তই কাছে আসার সময়, অচেনা দু’টোর হৃদয় নিজেদেরকে চেনার সময়, অনুভব করার সময়, সেখানে সুতীব্র একটা ঘৃনা নিয়ে রুপন মুমুর দিকে ফিরে তাকালো। একটা মানুষকে কতটা গভীর ভাবে কতটা অবিশ্বাস নিয়ে ঘৃনা করা যায় ও জানে না, কিন্তু এই জীবনে এর চেয়ে বেশি আর কাউকে ও কখনো ঘৃনা করেনি। বাসর রাতটা রুপনের কাছে মনে হচ্ছে চরম অভিশপ্ত কোনো এক রাত। একটা জঘন্য কুৎসিত দুঃস্বপ্ন। ও যা নিজের কানে শুনেছে, তা শোনার চেয়ে মরে যাওয়াও মনে হয় ভালো ছিল। কি অপরাধ করেছিল ও? এমনকি এই ধরনের সমস্যা হতে পারে দেখে, বিয়ের আগে মুমুকে সামনা সামনি এবং সরাসরি এই বিষয়ে জিজ্ঞেসও করেছিল। মেয়েটা এত বড় বদ যে, কথাটা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। মুমুর দিকে আবার মুখ ফিরে তাকাল রুপন। বদ মেয়েটা ওর জীবনের বিয়ের স্বপ্নকে ধংস করে দিয়ে এখন কি সুন্দর মাথা নীচু করে বেডে বসে আছে! ওর ইচ্ছে করছে উঠে যেয়ে মেয়েটার ফর্সা গলাটা এখনই টিপে ধরতে। গলাটা টিপে ধরে মেরে ফেলতে! তারপর যা হবার হবে! মানুষ কখন খুন করে, কোন পরিস্থিতি করে, হঠাৎ করেই আজকে ও বুঝতে পারলো।
রাত একটা বাজে। একটু আগে বাথরুমে যেয়ে ভালো করে মাথা মুখ ধুয়ে এসেছে। ওর মাথার পিছনে ঘাড়ে দপ দপ করে ব্যথা করছে। রুপন ভালোভাবেই বুঝতে পারছে, ওর প্রেসার আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে। যে ভাবেই হোক নিজেকে ওর কন্ট্রোল করা দরকার। এই বদ মেয়ের জন্য ওর লাইফের সব স্বপ্নগুলি নষ্ট করতে দেয়া যায় না, উচিৎও না। আবারও মুমুর সাথে ওর বাকি কথোপকথন গুলি আবার মনে পড়ে যাচ্ছে।
- আপনার যখন এই ছেলেকেই পছন্দ তাহলে ওকেই বিয়ে করতেন? ওকে বিয়ে করলেন না কেন?
- ও আমাকে use করতো। প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে জানতে পারি ওর এরকম আরো কয়েকটা মেয়ের সাথে relationship ছিল। জানার পর আমি ব্রেকআপ করে চলে আসি।
- আপনাদের relationship কত দিনের lasting করেছিল?
- প্রায় দেড় বছর।
- দেড় বছর ফুর্তিফার্তা করে এখন এসেছেন আমার সাথে সংসার করতে? লজ্জা করে না বলতে? প্রস মেয়েদের সাথে আপনার পার্থক্য কোথায়? অন্তত সেই মেয়েগুলি তো পেটের দায়ে শরীর দেয় আর আপনি? ওই ছেলেকে আমি কেন পুরোপুরি দোষ দিবো? আপনি প্রশ্রয় দিয়েছেন দেখেই তো সবকিছু হয়েছে? অস্বীকার করতে পারেন?
মুমু কোন শব্দ না করে চুপ করে মাথা নীচু করে রইল। ওর বলার কি বা আছে এখন!
ছয়
মুমুর আর কোন কথা শোনার ইচ্ছে হচ্ছে না রুপনের। কোন মানেও হয় না। ঘরের লাগোয়া বারান্দার দরজাটা খুলে ও বাইরে বের হয়ে আসল। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওর, ফ্রেস বাতাসে ওর বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিতে ইচ্ছে করছে। নিজের বিয়ে, বউ আর সংসার নিয়ে ওর কতই না চমৎকার সব স্বপ্ন ছিল! ওকে যখন প্রথম বিয়ের কথা মা এসে বলেছিল, সেদিন ও অনেক অনেক লজ্জা পেয়েছিল। প্রথম যে মেয়েটার ছবি ওর হাতে পেয়েছিল, তখন ওর হাত প্রায় কাঁপছিল। কেন যেন মেয়েটার সাথে ওর বিয়ে হয়নি। কথাবার্তা ভেংগে যাবার তিনদিন পরে রাতে ও একটা অদ্ভুত সুন্দর স্বপ্ন দেখেছিল। স্বপ্নে একটা ডানাকাটা পরীর মতো মেয়ে সবুজ শাড়ী পড়ে ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে হাসছে আর ডানহাতটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কি যে অসহ্য ভালো লাগার একটা অনুভূতি ওর মনকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল যে, এখনও মাঝে মাঝে ও সেটা বুকের মাঝে অনুভব করে! যখনই কোন মেয়ের ছবি মা ওর হাতে এনে দেয়, ও ভালো করে মিলিয়ে দেখে মেয়েটা ওর স্বপ্নে দেখা সবুজ পরীর মতো নাকি! মুমুর ছবিটা অনেক ভালো লেগেছিল ওর, ভেবেছিল হয়ত এই সেই ওর স্বপ্নে দেখা সবুজ পরী। নির্মম বাস্তবতা যখন ওর সব স্বপ্নগুলি ভেঙ্গেচুড়ে একাকার করে দিল, তখন ও ওর বুকে শুধু নি:সীম হাহাকার ছাড়া আর কিছু অনুভব করতে পারছে না। মুমু ওর সবুজ পরী না, হতেই পারে না, কখনো না, প্রশ্নই উঠে না। ও ওর সবুজ পরীকে এখনো খুঁজে পায়নি। ওর মন বলছে, ওর সবুজ পরী ওর জন্য এখনও অপেক্ষায় আছে, কোথাও। ওকে খুঁজে বের করতে হবে। যত দিন লাগবে লাগুক। ওর শুন্যতায় তৃষিত হাহাকার করে উঠা বুকটা যেন বারবার সেই সবুজ পরীকেই খুঁজে ফিরছে!
বারান্দায় রুপন ভোরের আলোয় একটা নতুন দিনের নতুন স্বপ্ন শুরু হবার জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইল….
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর, ২০১৮
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মতামতের জন্য অপেক্ষায় থাকবো।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: রুপম আর মুমুর কাহিনি পড়লাম।
আর একটু গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করুন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আপ্রান চেস্টা করছি। কেমন লাগলো, বললেন না?
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
নজসু বলেছেন: সমাজের একটি দুঃখজনক অংশ এটি।
আমাদের সমাজে অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে। মুমুদের উচিত রাফির মতো মতলববাজদের সনাক্ত করা। তাদের ফাঁদে পা না দেওয়া।
দোষ উভয় পক্ষেরই থাকে।
পরিণাম কেউ ভাবে না। পরিণাম ভেবে কেউ বিপথে পাও বাড়ায় না।
যাই হোক দেখা যাচ্ছে রাফিরা বেঁচে যায়; রূপন আর মুমুরা তার মাশুল দেয়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২০
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এভাবেই আমাদের সমাজ টা ধংস হয়ে যাচ্ছে।
আমার ব্লগে নিয়মিত পড়ার আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
এ.এস বাশার বলেছেন: সম্পূর্ণটাই পড়লাম.... ভালো লেগেছে.......
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি।
ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগলো।
আমার ব্লগে নিয়মিত পড়ার আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীলআকাভাই,
আমার বেশ ভালো লেগেছে বাসর রাত । রুপনের জন্য শুভকামনা রইল।
শুভকামনা জানবেন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগের প্রিয় বড় ভাই, আপনার ভালো লেগেছে দেখে মন টা খুশিতে ভরে গেল।
আমি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি সবাই কে। এই ধরনের লেখার কারন এটাই। সবাই যদি এই মেসেজ টা অনুধাবন করতে পারে তাহলেই এত কষ্ট করে লেখাটা সার্থক হবে।
আপনিও শুভকামনা জানবেন। ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: লেখায় মেদ আছে। এসব বিষয় কবিতার প্রতিকি শব্দ ব্যবহার করা যায় তাতে শিল্পসম্মত ভাবটা বজায় থাকে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: আমার প্রিয় বাকপ্রবাস ভাই কে এখানে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।
লেখায় মেদ আছে। - আমার লেখাটা সার্থক!
এসব বিষয় কবিতার প্রতিকি শব্দ ব্যবহার করা যায় তাতে শিল্পসম্মত ভাবটা বজায় থাকে। - আমি যত টা সম্ভব শিল্পসম্মত ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনার উপদেশ আমার মনে থাকবে।
আমি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি সবাই কে। এই ধরনের লেখার কারন এটাই। সবাই যদি এই মেসেজ টা অনুধাবন করতে পারে তাহলেই এত কষ্ট করে লেখাটা পরিপূর্ন হবে।
ছবি নিয়ে যখন কিছু বলেন নি তার মানে ছবি টা ঠিক আছে। ছবি দেয়ার সময় আপনার উপদেশ আমার মাথায় ছিল। ইনডাইরেক্ট ছবি দেয়ার চেষ্টা করেছি।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে দেখে খুশি হয়েছি।
আমার ব্লগে সব লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকুন।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: যে সব মেয়েরা সব কিছু বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা দেখায় তারাই আবার সব কিছু খুইয়ে চিৎকার করে বেশি । সসস্যা হলো রুপনের মতো লোকগুলোর । এদের দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়ার চিন্তা না করায় ভালো । এ সকল নারীরা ভিষণ সুযোগ সন্ধানী ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: ছোট্ট করে আমার পুরো লেখার শানে নযুল এত সুন্দর করে বলে দিলেন? আমিও আপনার সাথে একমত। এই সব মেয়েদের আসলেও কান্ড জ্ঞান জাগ্রত হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ব্লগে সব লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকুন।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
বাকপ্রবাস বলেছেন: হুম ছবিটা পারফেক্ট ছিল। চেহারা না দেখালে পাঠক এর কাছে অপশন থাকে, সেও পড়তে পড়তে নিজে একটা কারেক্টার বানাবে, ওমুক সাথে (নিজের চারপাশে পরিচিত কেউ) মিলে গেলে ওমুককে সেই জায়গায় রেখে পড়বে, কিংবা নিজেই একটা চেহারা বানিয়ে নেবে নিজের মতো করে, কিন্তু ফেইসটা আপনি দিয়ে দিলে সে গভীরে যেতে পারবেনা, ছবিটা তাকে আকড়ে ধরবে।
ছবির মতো গল্পেও আবছা ভাব রাখা যায়। সিনেমায় যেমন তুমুল ঝড়ের একটা রাত দেখায়, তার মানে শুরু হল দুঃখ দুর্দশার। আপনার গল্পটা আরো ছোট করা যায় কিন্তু ভাবটা ঠিকই তির্যক থাকবে। আমি যেহেতু আপনার মতো গল্প লেখক নই, তায় উদাহরণটা দিলামনা, অণুগল্পের প্রতি আামার একটা ভাল লাগা থাকে, তায় আপনার এই গল্পটা অণুগল্পের ধাচে লেখা হলেও খাঁটি একটা বিষয় হবে। যেমন ধরুণ পুরু গল্পে আবেগ, উৎকন্ঠা ঢেলে দিলেন শেষ লাইনে এসে জানা গেল স্ত্রী বিয়ের আগেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেই ভাবনাটা স্বামীর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আর পাঠকও ভাবছে স্বামীর এখন করনিয় কি? কিন্তু আপনার গল্প শেষ, পাঠক এখন মাঝ দরীয়ায়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: শুধু ছবি টা আপনার কথা মতো দেবার জন্য আমি পুরো একদিন ব্যয় করেছি। যখন এটা পেয়েছি প্রথমই মনে হয়েছে যে বাকপ্রবাস
ভাই এটা ঠিক আছে বলবেন।
ছোট গল্পের ব্যাপারে আপনার উপদেশ মনে রাখবো। তবে আমি ইচ্ছে করেই পাঠকদের মাঝ দরীয়ায় ফেলে দিয়েছি। আমি চেয়েছি সবাই বুঝুক রুপনের অনুভূতি গুলো কেমন ছিল, কেমন লাগছিল?
ভালো থাকবেন, আর এভাবেই আমাকে সব সময় গাইড করবেন।
ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের সময়ের বেশ অন্ধকার একটা দিক তুলে এনেছেন ; লেখায় এপনি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন।
এ ধরনের লেখাগুলো দরকার।
শবনম কবে পাচ্ছি ?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: মনিরা আপু, মাঝে মাঝেই পত্র পত্রিকা তে ঠিক এই ধরনের লেখা গুলি আসে। আমরা পড়ি এবং ভুলে যাই। ব্যর্থতা আমাদের। এরা আমাদেরই সমাজের একটা অংশ। আজকে না হয় কালকে আমাদেরই কাউকে না কাউকে এই রকম ব্যর্থতা গ্রহন করতে হবে যেটা আমাদের প্রথমেই কন্ট্রল করা উচিত ছিল। আমি এই মেসেজ দিতে চেয়েছি সবাই কে। এই ধরনের লেখার কারন এটাই। সবাই যদি এই মেসেজ টা অনুধাবন করতে পারে তাহলেই এত কষ্ট করে লেখাটা পরিপূর্ন হবে।
আমাদের সময়ের বেশ অন্ধকার একটা দিক তুলে এনেছেন ; লেখায় এপনি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন।
এ ধরনের লেখাগুলো দরকার। - কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে! আমিই না হয় একটু কষ্ট করে শুরু করলাম।
পুরোদমে শবনম এর প্রথম পর্বের কাজ চলছে। ভাবছি সবার আগ্রহে জন্য অর্ধেক অংশ রিলিজ দেব। ইনসাল্লাহ খুব শিগগিরই পাবেন।
আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি হচ্ছি, ''ধরো তক্তা মারো পেরেক'' টাইপের মানুষ।
এক্ষেত্রে, পরদিন রুপমের প্রথম কাজ হবে যতো দ্রুত সম্ভব তালাক দিয়ে দেয়া।
অবশ্য মাথা ঠান্ডা রেখে কথোপকথনের পুরোটা রেকর্ড করা উচিত ছিল।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি। অনেক দিন পরে আমার ব্লগে আসলেন? মাঝে মাঝে এসে পদধুলি রেখে যাবেন!
আপনি যা বলেছেন সেটাই হলো চরম বাস্তবতা এবং বেসিরভাগ ছেলেরাই আসলে সেটাই করে এবং এটাই উচিত। আপনার সাথে একমত। এই সব মেয়েদের আসলেও কান্ড জ্ঞান জাগ্রত হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে। দুঃখের বিষয় হলো চোখের সামনে শত শত উদাহরণ দেখেও এইসব মেয়েরা কিছুই শেখে না।
আমার ব্লগে সব লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
ভালো থাকুন।
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: দুইটা প্রশ্ন ? মুমু যদি বিয়ের আগে রুপন কে সবকিছু বলতো তাহলে কি রুপন তাকে গ্রহন করতো ?
রুপনের জায়গায় যখন রাফির বউ থাকবে তখন তার প্রতিক্রিয়া কি হবে ?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
নীল আকাশ বলেছেন: সারাদিন চিন্তাভাবনা করে সব চেয়ে কঠিন দুইটা প্রশ্ন আমার জন্য বের করেছেন, না? বিপদে ফেলার বুদ্ধি!
এখানে আমি সমাজ সংশকারক, ব্যক্তিগত উত্তর দেয়া যাবে না।
চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিব। একটু সময় চেয়ে নিলাম।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: দুইটা প্রশ্ন?
মুমু যদি বিয়ের আগে রুপন কে সবকিছু বলতো তাহলে কি রুপন তাকে গ্রহন করতো?
আমার উত্তর হবে, না। এখানে রুপন কে সমাজের ভালো ছেলেদের একটা প্রতিনিধি হিসাবে দেখানো হয়েছে যে এখনো পারিবারিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং বিয়ের ব্যাপারে ট্রাডিশনাল প্রোছিডিউরে বিশ্বাসী। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এসব ছেলেরাই সাফারার হয় বেশি।
রুপনের জায়গায় যখন রাফির বউ থাকবে তখন তার প্রতিক্রিয়া কি হবে?
অতন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে মেয়েটা রাফি নামক ছেলেদের বউ হবে সে হয়ত কিছুই জানতে পারবে না। কারন ছেলেদের চরিত্র কেমন সেটা প্রমানের কোন ফিজিক্যাল প্রোছিডিউর নেই। আর এই সব ছেলেরা আমি যা ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি, খুবই বদ আর চালাক প্রকিতির হয়। হয়ত এত পরে জানতে পারবে তখন আর কোন কিছু করার নেই। এখানেও আরেকটা মেয়ে সাফার করে। পুরো ব্যাপারটা তে শুধু মেয়েরাই দিনের পর দিন ঠকে যায়। ঠিক এই ব্যাপারটাই আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। এই সব মেয়েদের ভবিষ্যত পরিনিতি কি হবে এটাই এই লেখার মুল প্রতিপাদ্য। মনিরা সুলতানা আপুর মন্তব্যটা উপরে আছে। ওটা আর আমার প্রতি মন্তব্য কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
শুভ রাত্রি। আপনার মন্তব্য দেবার জন্য জেগে আছি। ভালো থাকবেন।
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বর্তমান সময়ে এমনটাই ঘটছে। প্রেমের নামে বিয়ের আগেই লুতুপুতু।
গল্পের ফিনিশিংটা মন মত হল না। শেষে কী ঘটল?
মুমু না হয় একটা আকাম করেছে, রুপন কেমন ছিল? তার অতীতের কথাও জানা দরকার। তারপর সীদ্ধান্ত নেয়া যাবে, ডিভোর্স হবে কিনা...
মুমুর কাহিনী হতাশাজনক। অমন পরিস্থতিতে কিছু করার থাকে না। সে বিয়ের আগে সত্যিটা বললে কোন পুরুষ তাকে বিয়ে করার কথা নয়। এমন কি লুতুপুতু করা ছেলেরাও নয়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: অবশেষে আমার ব্লগে আসলেন। সু স্বাগতম। এরপর থেকে যে সব সময় পাশে পাই!
গল্পের ফিনিশিংটা মন মত হল না। শেষে কী ঘটল? - রুপন একটা নতুন দিনের জন্য অপেক্ষায়, তার সবুজ পরীকে সে পায় নি।
আকাম করেছে, রুপন কেমন ছিল? তার অতীতের কথাও জানা দরকার। তারপর সীদ্ধান্ত নেয়া যাবে, ডিভোর্স হবে কিনা... - রুপন কেমন ছেলে সেটা তার বিয়ে, মেয়ের ছবি হাতে নিয়ে যে অনুভুতি সেটা দিয়ে বুঝানো হয়েছে। আপনাকে একটু ধীরে আবার পড়তে হবে। আমি খুব যত্ন করে রুপনের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছি।
মুমুর কাহিনী হতাশাজনক। অমন পরিস্থতিতে কিছু করার থাকে না। সে বিয়ের আগে সত্যিটা বললে কোন পুরুষ তাকে বিয়ে করার কথা নয়। এমন কি লুতুপুতু করা ছেলেরাও নয়। - ঠিক এই ব্যাপারটাই আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। এই সব মেয়েদের ভবিষ্যত পরিনিতি কি হবে এটাই এই লেখার মুল প্রতিপাদ্য। মনিরা সুলতানা আপুর মন্তব্যটা উপরে আছে। ওটা আর আমার প্রতি মন্তব্য কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার পর আগের সম্পর্ক নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। যেহেতু জিজ্ঞেস করার পরও সে মিথ্যে বলেছিল সেটা তার অপরাধ। তবে এখন কার ছেলে মেয়েরা বিয়ের আগেই এসব ব্যপার স্বীকার করে নেয়া ভাল। বিয়ের পর কখনোই আগের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। অভিভাবকদেরও সন্তানদের সাথে বসতে হবে। কোন সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর জোর করে আরেক জায়গায় বিয়ে দেয়া উচিত নয়...
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: অবশেষে আমার ব্লগে আসলেন। সু স্বাগতম। এরপর থেকে যে সব সময় পাশে পাই! আপনার প্রত্যেক টা মন্তব্যের জবাবই আমি নীচে দিচ্ছি।
পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার পর আগের সম্পর্ক নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। - সেটা নির্ভর করছে আগে কি করে এসেছে তার উপর। তবে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভুয়া মফিজ কি বলেছেন উপরে দেখে আসুন।
যেহেতু জিজ্ঞেস করার পরও সে মিথ্যে বলেছিল সেটা তার অপরাধ। তবে এখন কার ছেলে মেয়েরা বিয়ের আগেই এসব ব্যপার স্বীকার করে নেয়া ভাল। - মিথ্যাচার ই তো সমস্ত সমস্যার মূল কারন।
বিয়ের পর কখনোই আগের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। - উত্তর টা আগেই দিয়ে দিয়েছি।
অভিভাবকদেরও সন্তানদের সাথে বসতে হবে। কোন সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর জোর করে আরেক জায়গায় বিয়ে দেয়া উচিত নয়...- এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত তবে রাফির মতো ছেলেরা শুধু মধু খেয়ে পালায়।
১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: এখনও ব্যাচেলর থাকার অন্যতম কারণ এটি। কোন মেয়েকেই বিশ্বাস করতে পারছি না। মেয়ে গুলো শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কেন যে ভিডিও করতে দেয়, সেটা আমার মাথায় আসে না। প্রভার কথা মনে আছে। সে বিপুল উৎসাহে পোজ দিচ্ছিল
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এভাবেই আমাদের সমাজ টা ধংস হয়ে যাচ্ছে
এখনও ব্যাচেলর থাকার অন্যতম কারণ এটি। কোন মেয়েকেই বিশ্বাস করতে পারছি না। মেয়ে গুলো শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কেন যে ভিডিও করতে দেয়, সেটা আমার মাথায় আসে না। প্রভার কথা মনে আছে। সে বিপুল উৎসাহে পোজ দিচ্ছিল- ঠিক এই ব্যাপারটাই আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। এই সব মেয়েদের ভবিষ্যত পরিনিতি কি হবে এটাই এই লেখার মুল প্রতিপাদ্য। মনিরা সুলতানা আপুর মন্তব্যটা উপরে আছে। ওটা আর আমার প্রতি মন্তব্য কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
আমার ব্লগে নিয়মিত পড়ার আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৯
শামচুল হক বলেছেন: পুরো কাহিনী পড়লাম, বর্তমানের বাস্তবতার নিরীখেই লেখা। ধন্যবাদ
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এভাবেই আমাদের সমাজ টা ধংস হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটাই আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। এই সব মেয়েদের ভবিষ্যত পরিনিতি কি হবে এটাই এই লেখার মুল প্রতিপাদ্য। মনিরা সুলতানা আপুর মন্তব্যটা উপরে আছে। ওটা আর আমার প্রতি মন্তব্য কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
আমার ব্লগে নিয়মিত পড়ার আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ভালো থাকবেন, সব সময়।
১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০
শিখা রহমান বলেছেন: গল্পটা ভালো এগোচ্ছিলো। মেসেজটাও ভালো আর সমসাময়িক ঘটনাকে ধারণ করেছে। তবে শেষটা এলোমেলো লেগেছে।
আপনি শেষে গিয়ে গল্প থেকে হঠাত পাঠকের সাথে সারাসরি কথোপকথনে জড়িয়ে গেছেন।। আমার মনে হয়েছে শেষের দুটো প্যারাগ্রাফও পটভুমিতে চলে যেতে পারে।
আপনি ভালো লেখেন। আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা গল্পকার।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ভালো লেখেন। আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা গল্পকার। - শিখা আপু, আপনি আমাকে নিয়ে শেষে যা বলেছেন তাতে আমি অনেক অনেক লজ্জা পেয়েছি। কেবল এটা মাত্র ৩ না ৪ নাম্বার গল্প, আমি এখনও ওটা হতে পারিনি তবে আমার আরও অনেক কিছু শেখার আছে।
আপনি শেষে গিয়ে গল্প থেকে হঠাত পাঠকের সাথে সারাসরি কথোপকথনে জড়িয়ে গেছেন।। আমার মনে হয়েছে শেষের দুটো প্যারাগ্রাফও পটভুমিতে চলে যেতে পারে। - আপনি ঠিক বলেছেন। এটা এমেচারিস মিসটেক। এটা অবশ্যই পটভুমিতে যাওয়া উচিত। পরবর্তিতে এই ধরনের লেখা দেবার সময় আপনার উপদেশ মাথায় রাখব।
মনিরা আপু বলেছেনঃ আমাদের সময়ের বেশ অন্ধকার একটা দিক তুলে এনেছেন ; লেখায় আপনি একটা মেসেজ দিতে চেয়েছেন।
এ ধরনের লেখাগুলো দরকার। আমি বলেছিঃ কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে! আমিই না হয় একটু কষ্ট করে শুরু করলাম। এই মেসেজ টা দিতে যেয়েই লোকেশন ভুল হয়ে গেছে।
আমার সব লেখা গুলি এভাবে পড়ে ভুল গুলি সংশোধন করে দিয়ে যাবেন। আমি খুবই খুশি হবো।
আপনার জন্য আমার মন থেকে শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকুন, সব সময়।
১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আপ্রান চেস্টা করছি। কেমন লাগলো, বললেন না?
সব মিলিয়ে সুন্দর হয়েছে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩০
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: আপনি ভালো লেখেন। আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: সকাল বেলা আপনর মন্তব্য টা পড়ে মন টা খুশিতে ভরে গেল। কি যে ভালো লাগছে.........।
আমার মতো একজন অধম লেখকের লেখা আপনার ভালো জেনে আমার বাকি লেখা গুলিও পড়ার আমন্ত্রন দিলাম। এর ঠিক আগের গল্পটা পড়ে দেখবেন।
আপনার জন্য আমার মন থেকে শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকুন, সব সময়।
২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
এহতেশাম আহমেদ বলেছেন: যদি অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও না থাকতো, তবে কি রুপন মুমুকে মেনে নিত?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বতর্মান সমাজের প্রেক্ষাপট টাই তুলে ধরার চেস্টা করেছি। এভাবেই আমাদের সমাজ টা ধংস হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটাই আমার লেখার মুল উদ্দেশ্য। এই সব মেয়েদের ভবিষ্যত পরিনিতি কি হবে এটাই এই লেখার মুল প্রতিপাদ্য। মনিরা সুলতানা আপুর মন্তব্যটা উপরে আছে। ওটা আর আমার প্রতি মন্তব্য কষ্ট করে পড়ে নিবেন।
সম্পুর্ন বিষয় টাকে আপনি "অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও" এর মধ্যে নিয়ে এসেছেন। এটা খুব সামান্য, নগন্য একটা বিষয়। এটা না থাকলেও কিছু যেত আসতো না। প্রাক বৈবাহিক শারিরিক সম্পর্কের নোংরা দিক টাি এখানে মুখ্য।
আপনার জন্য আমার থেকে শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকুন, সব সময়।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
এহতেশাম আহমেদ বলেছেন: তবে কি যে মানুষ গুলো জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবেসে র শেষে এসে প্রতারিত হলো ভন্ড প্রেমিকের কাছে তাদের কোন অধিকার নেই জীবনকে নতুন করে সাজানোর? আর ভন্ডগুলো একের পর এক এধরনের ব্লাকমেল করে ফুর্তি করে যাবে নিরন্তর। যারা হয়তো আমাদেরই কেউ অথবা আমাদেরই ভাই/সন্তান। তাহলেতো এই দুনিয়ায় বিশ্বাস, প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু থাকবে না।
কিন্তু যদি রুপনরা মুমুদের কষ্টটা বুঝে তাদের ঘৃনা না করে, রাফিদের মতো কুলাঙ্গারদের মুখোমুখি দাড়িয়ে মুমুর হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করতো তাহলে রাফি রা এমন ঘটনা ২য় বার ঘটানোর সাহস পেত না। তখন হয়তো রক্ষা পেত আমাদের বোন/মেয়েরা, খুজে পেত প্রকৃত সেই মানুষকে যে কিনা কোন মেয়ের জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবাসার মতো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনার লেখা অতন্ত্য যুক্তিযুক্ত, এটাও আমিও চাই তবে আমি সব চেয়ে আগে যেটা চাই সেটা হলো মেয়েদের আত্ম সচেতনতা।
তবে কি যে মানুষ গুলো জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবেসে র শেষে এসে প্রতারিত হলো ভন্ড প্রেমিকের কাছে তাদের কোন অধিকার নেই জীবনকে নতুন করে সাজানোর? আর ভন্ডগুলো একের পর এক এধরনের ব্লাকমেল করে ফুর্তি করে যাবে নিরন্তর। যারা হয়তো আমাদেরই কেউ অথবা আমাদেরই ভাই/সন্তান। তাহলেতো এই দুনিয়ায় বিশ্বাস, প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু থাকবে না। - আপনি আমার লাইন টা পড়েন নি, শরীর দিয়ে কাউকে বেধে রাখা যায় না। এটা ভালোবাসা না। এটা নোংরামি।
কিন্তু যদি রুপনরা মুমুদের কষ্টটা বুঝে তাদের ঘৃনা না করে, রাফিদের মতো কুলাঙ্গারদের মুখোমুখি দাড়িয়ে মুমুর হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করতো তাহলে রাফি রা এমন ঘটনা ২য় বার ঘটানোর সাহস পেত না। তখন হয়তো রক্ষা পেত আমাদের বোন/মেয়েরা, খুজে পেত প্রকৃত সেই মানুষকে যে কিনা কোন মেয়ের জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবাসার মতো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য। - এটা সিনেমাটিক ডায়ালগ। বাস্তবে আমি বা আপনি কেউ জেনেশুনে এদের গ্রহন করবেন? আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এটা যে সম্ভব না সেজন্যই ইসলামে বিয়ের আগে বালেগ ছেলে মেয়েদের দেখা করতে না বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ চেয়ে আমরা কেউ বেশি কিছু জানি না। পাশ্চাত্য সমাজ এভাবেই পুরোপুরি ধংশ হয়ে গিয়ে, আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে আমাদেরও তাই হবে।
আমার সাথে ও পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার সব লেখা পড়ার ও মন্তব্য করার অনুরোধ দিয়ে গেলাম।
শুভ কামনা রইল।
২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮
এহতেশাম আহমেদ বলেছেন: ভাই সিনেমা বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন। কে জানে বাস্তবে আমি বা আপনি কেউ হয়তো জেনে শুনে এদের গ্রহন করে অনেক ভালোবেসে আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সুন্দর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আনন্দ আর সুখ ঊপভোগ করছে........
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আমাদের মানষিকতার পরিবর্তন অবশ্যই দরকার। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদেত কাউ না কাউকে তো এদের পাশে এসে দাড়াতে হবে। আপনার সাথে আমি পুর্ণ স হ ম ত
ভাই সিনেমা বাস্তব জীবনেরই প্রতিফলন। কে জানে বাস্তবে আমি বা আপনি কেউ হয়তো জেনে শুনে এদের গ্রহন করে অনেক ভালোবেসে আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সুন্দর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আনন্দ আর সুখ ঊপভোগ করছে
- আপনার এই লাইন টা আমার খুব ভালো লেগেছে। সম্ভবত এই লেখার অন্যতম সেরা মন্তব্য এটা।
ধন্যবাদ আপনাকে ঘুরে আবার আসার জন্য।
আমার সব লেখায় আপনাকে আমি পাশে চাই।
শুভ কামনা রইল।
২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
এহতেশাম আহমেদ বলেছেন: শুভ কামনা রইল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও।
২৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। যদিও সিনেমাটিক মনে হল।
সামনের দিনগুলিতে আমাদের হয়ত অারো অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে। তবে দিনশেষে মুমুরাই দোষী থেকে যায়। রাফি, রুপনরা সমসময়ের জন্যই সাধুুপুরুষ। কারণ তাদের যে কখনও সেক্সটেপ বের হয় না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: যদিও সিনেমাটিক মনে হল - বেশির ভাগ সিনেমার কাহিনী জীবন থেকে নেয়া। আপনি অহরহ এসব নিউজ পত্র পত্রিকাতে পাবেন। আমি ও সেখান থেকে দেখেই লিখেছি। এসব বিষয় এখন হরহামেশাই হচ্ছে। চারপাশে চোখ খুলে তাকান।
সামনের দিনগুলিতে আমাদের হয়ত অারো অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে। তবে দিনশেষে মুমুরাই দোষী থেকে যায় -
ঠিক এই কথাটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি। সে হিসাবেই দেখুন না কেন শেষ পর্যন্ত কোন না কোন মেয়ে ঠকে। আর বাজে ছেলেরা অপকর্ম করে পালায়। এত এত উদাহরণ দেখে তারপর ও কেন মেয়েরা শেখে না? এটাই আমার দুঃখ। এই মেসেজটাই আমি বর্তমান সমাজ কে দিতে চেয়েছি।
সেক্সটেপ ছেলে মেয়ে সবারই বের হয়, এই সমাজ শুধু মেয়েদেরকে দোষারোপ করে যায়।
এখানেও শেষ পর্যন্ত কোন না কোন মেয়ে ঠকে। এই গোলক ধাধায় শুধু মেয়েরাই দিন শেষে ঠকে ঘরে ফিরে আসে সব হারিয়ে।
ভালো থাকবেন আর আমি খুব খুশি হয়েছি আপনাকে পেয়ে। আশা করব সব সময় আমার পাশে থাকবেন।
শুভ রাত্রি।
২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
বিবেকবান জড় বলেছেন: আর কতো কিছু হলে মুমুদের বোধোদয় ঘটবে!
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী এবং স্বাগতম আমার গল্পের উঠানে...
খুব বেছে বেছে এই গল্পটাই পড়লেন?
কন্ট্রোভারসিয়াল এই লেখা নিয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে আমার এই লেখা নিয়ে বির্তক হয়েছে। আমি যেটা নিজে বিশ্বাস করি সেটাই লিখে গেছি।
যে সব মেয়েরা সব কিছু বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা দেখায় তারাই আবার সব কিছু খুইয়ে চিৎকার করে বেশি । সমস্যা হলো রুপনের মতো লোকগুলোর। এরাই ঠকে যেয়ে সব কষ্ট বুকে চেপে চুপ করে থাকে। এই সব মেয়েদের বোধোদয় কখনই ঘটবে না কারন এরা নিজেরাই এজন্য সব চেয়ে বেশি দায়ী। এই কথা কেন বল্লাম সেটাও বলে দিচ্ছি-
মধু খাওয়া শিখিয়ে ভ্রমরের ডানা গজিয়ে দিয়ে আশা করছ, ভ্রমর এক ফুলেই, এক স্বাদের মধু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে? …….…
আপনাকে আমি আমার প্রায়শ্চিত্ত গল্পটা পড়ার জন্য অনুরোধ করব। প্রায় একই ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে লেখা। ভাল লাগবে পড়তে, ব্লগে খুবই হিট করা গল্প এটা.....
ধন্যবাদ আর আমার ব্লগের সব লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
শুভ কামনা রইল!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯
আরজু পনি বলেছেন: আপনার শবনম কাহিনি পড়তেই আমার সকাল শেষ।
এটা সামনের আরেক সময় পড়বো।