নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
প্রায় মাঝ রাত। বিছানায় শুয়ে ছটফট করছি। চোখে ঘুম আসছে না। দুই হাতের আংগুল গুলি দুই কানে চেপে ধরে আছি। কান দুইটাকে কিছুতেই বন্ধ করতে পারছি না। পাশের রুম থেকে ভেসে আসা আদিম অনুভুতির তীক্ষ্ণ শীতকার গুলি আমার দুই কান দিয়ে ঢুকে মনকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলছে। কি অসহ্য পাশবিক কষ্ট যে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে সহ্য করছি তার কোন সীমা নাই! আমার অব্যক্ত অনুভুতি গুলো যেন দুই চোখ দিয়ে অবিরত জল হয়ে বের হয়ে এসে বালিশটা ভিজিয়ে ফেলছে। কতদিন কতক্ষন ধরে এই জাহান্নামের মধ্যে আমাকে বেঁচে থাকতে হবে আমি জানি না। গত সাতটা দিন প্রত্যেক রাতে প্রতি মুহূর্তে আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করছিল। আত্মহত্যা যদি এত বড় পাপ না হতো, তাহলে আমি প্রথম দিন প্রথম মুহূর্তেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এই রুমেই আত্মহত্যা করতাম। নিজের স্বামী কে আরেকটা মেয়ের সাথে এসব করতে দেখা বা শুনার চাইতে মরনও অনেক ভালো! পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে কত শত মানুষ কত না কত ভাবে মৃত্যু বরন করে অথচ আমার কেন মরন হয় না? আমি তো মরতে চাই, আমি আমার স্বেচ্ছায় মৃত্যু চাই। এই জঘন্য স্বার্থপর পৃথিবী থেকে অনেক, অনেক দূরে চলে যেতে চাই!
এক
আমি মিথিলা। সাগর আর আমার বিয়ের আজ প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হয়ে গেল। আমাদের বিয়ে পারিবারিক ভাবেই হয়েছিল যদিও প্রথমে সাগর আমাকে আমার এক কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখে পছন্দ করে। দুই গায়ে হলুদের দিন পিছনে পিছনে ঘুরে ও যখন বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন আমাকে সরাসরি প্রোপজ করল, আমি মাথা নীচু করে ওকে আমার বাসায় যোগাযোগ করতে বললাম। ছেলেটাকে বেশ ভালোই লেগেছিল, বাসায় যদি পছন্দ করে তাহলে তো কোন সমস্যাই থাকে না। আমার কাছ থেকে বাসার অ্যাড্রেস নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল। ঢাকা ভার্সিটি থেকে ফিনান্সে মাস্টার্স করে এখন ভালো একটা ব্যাংকে জব করে। ক্যারিয়ার ভালো। বাবা আমার ইচ্ছার কথা শুনে আর না করলেন না। ঢুমঢাম করে হটাৎ বিয়ে হয়ে গেল!
বিয়ের পর প্রথম দুই বছর ভালই কাটল। সমস্যা শুরু হলো যখন দুই বছর পর বাচ্চা নেয়ার জন্য আমরা চেস্টা শুরু করলাম। চার মাস দুই জনের আপ্রান চেস্টা পরেও যখন কিছু হলো না তখন প্রথম আমরা ডাক্তারের কাছে গেলাম। তিন জন ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সবোর্চ্চ চেস্টার পরও পরবর্তি দেড় বছরে কোন লাভ হলো না। সাগর আমাকে সব কিছ খুলে বলত না। এই সব বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে উল্টা পালটা উত্তর দিয়ে আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেত। মনের মধ্যে ভয় আস্তে আস্তে প্রবেশ করছিল। সমস্যাটা কি শুধু আমার না ওর? আমাকে ও কিছুই বলতো না। আড়াই বছর পর যখন কোন কিছুই লাভ হলো না, সাগর আমাকে নিয়ে ভারতের চেন্নাইতে এক নাম করা স্পেসালাইজড ফার্টিলিটি হাসপাতালে নিয়ে গেল। এক বুক আশা নিয়ে দুই জন সেখানে গেলাম। যত রকমের টেস্ট করান যায়, সব গুলি টেস্ট আমাদের দুই জনকে করান হলো। যেদিন ফাইনাল রিপোর্ট দেবে, সাগর আমাকে না বলে চুপচাপ একাই চলে গেল। সাগর যখন ফিরে আসল ফাইনাল রিপোর্ট নিয়ে, ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় টা পেলাম। ও আমাকে কিছুই বলতে চাচ্ছিল না। ওর হাত থেকে ফাইনাল রিপোর্ট টা জোড় কেড়ে নিয়ে পড়ার পর আমি সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। সমস্যাটা আমার, ভয়াবহ সমস্যা। আমি কোনদিনও একবারের জন্য হলেও মা হতে পারব না। এর কোন চিকিৎসাও নেই। রোগের নাম লেখা ছিল “জেনেটিক ক্রোমজম ডিসঅর্ডার” যা মাত্র পৃথিবীর ৫-৮% মেয়েদের হতে পারে। আমি সেই চরম হতভাগ্য অল্প কিছু মেয়েদের একজন, যাদের জন্য কোন সুচিকিৎসা আজোও আবিষ্কার হয়নি। ভারত থেকে ফিরে এলাম এক বুক চরম হতাশা নিয়ে। সমস্ত পৃথিবী শুধুই আমার জন্য নিকষ কালো অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই না। জীবন টা বদলে গেল কিছু বুঝে উঠার আগেই………
দুই
দেশে ফেরার অল্প কিছু দিন পর থেকেই সাগর আস্তে আস্তে বদলে যেতে লাগল। দেরী করে বাসায় ফেরা প্রায় প্রতি দিনের রুটিন হয়ে গেল। আমার সাথে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না। ও যে প্রতিনিয়ত নিজের মনের সাথে কঠিন যুদ্ধ করছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু আজ আমার কিছুই করার নেই। নিজের জীবনের প্রতি ধীরে ধীরে ঘৃনা জমতে থাকল। ঠিক আমার এই চরম দুঃসময়ের মধ্যে বাবা আমাকে ফেলে একবারে চলে গেলেন। মা মারা গিয়েছিলো আগেই, পুরোপুরি এতীম হয়ে গেলাম। ওদের বাসার সবাই আস্তে আস্তে জেনে গেল, সাগরের উপর চাপ বাড়তে থাকল নতুন কিছু চিন্তা করার। শ্বাশুড়ীর চরম খারাপ ব্যবহার মুখ বুঝে সহ্য করে থাকতাম। আমি একটা অপয়া, বাযা, তার ছেলের জীবন আমি নষ্ট করে দিচ্ছি এসব বলে সারা দিন গালমন্দ করেন। পারলে প্রতিদিন সকাল বেলা উঠেই আমাকে ঘর থেকে বের করে দেন এই অবস্থা! সাগর এসব শুনেও না শুনার ভান করে থাকে। চার মাস পরে শ্বাশুড়ী এসে সরাসরি প্রস্তাব দিলেন, হয় সাগরের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে হবে, না হয় তালাকের ব্যবস্থা করা হবে। একদিনের মধ্যে আমাকে আমার মতামত জানাতে বলা হলো। রাতে সাগর বাসায় ফিরলে কান্না করতে করতে যখন আমি এটা ওকে বললাম, সাগর চুপ করে থাকল। একটা শব্দও করল না। বুঝলাম ওর নিজেরও সায় আছে এতে। এতটা অসহায় আর নিরুপায় আমি যে, আমার বলার বা প্রতিবাদ করার কেউ পাত্তাই দিল না। এক মাস পরে আমার চোখের সামনে সাগরের বিয়ে হয়ে গেল। আমার কোথাও যাবার জায়গা নেই। আমাকে নিজের বেড রুম ছেড়ে দিয়ে অন্য ছোট একটা রুমে আশ্রয় নিতে হলো। অধিক শোকে পাথর হয়ে গেলাম, জানি না বাকি জীবন টা কিভাবে কাটবে…………….
তিন
খুব মন থেকে চেস্টা করেছিলাম ওর নতুন বউ এর সাথে মানিয়ে নিতে। বাসায় কাজের মেয়ের চেয়েও আমার অবস্থা করুন। মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে দিন কাটাতাম। সাগর আমার কাছে প্রায় আসতোই না। পরে জেনেছিলাম আমার শ্বাশুড়ি সাগর কে আমার রুমে যেতে মানা করে দিয়েছিল। ও এখন খুব মায়ের কথা শুনে, আমি এখন আর ওর কেউ না। প্রথম বছরেই সাগরের নতুন বউ কনসিভ করল। শ্বাশুড়ি নতুন বউ কে কোন কাজই করতে দেয় না, সব কাজই আমার করতে হয়। একা একা চুপচাপ কাজ করে যাই, কারো সাথে প্রায় কথাই হয় না। সাগর ওর নতুন বউ কে নিয়ে মহা ব্যস্ত থাকে। আমার কোন খোঁজও নেয় না। হাসপাতাল থেকে বাচ্চা টাকে বাসায় আনার পর সবাই বাসায় হইচই করে আনন্দ ফুর্তি করল, আমার কেউ খোঁজও নিল না। আমার শ্বাশুড়ি আমাকে ডেকে নিয়ে বাচ্চার কাছে যেতে মানা করে দিলেন। আমি অপয়া, বাচ্চা কোলে নিলে বা আদর করলে বাচ্চার ক্ষতি পারে এই ভয় ওনার। চুপ করে শুনে আমার নিজের রুমে কান্নায় ভেঙে পরলাম। এত মানুষ মারা যায় আমি কেন বেঁচে আছি? আর এভাবে কত কষ্ট আমাকে সহ্য করতে হবে? একদিন বাচ্চাটা কান্না করছে, কাছে কেউ নেই। খুব লোভ হলো বাচ্চাটা কোলে নেবার। ছেলেটা অবিকল সাগরের মতো হয়েছে। লোভ সামলাতে পড়লাম না। নিজে তো কখনো মা হতে পারব না। অন্যের বাচ্চা কোলে নেয়া ছাড়া উপাই কি? আমার কপাল সব সময়ই খারাপ। শ্বাশুড়ি দেখে ফেললেন, যা তা ভাষায় বকাঝকা করলেন। বাচ্চার মা এসে দেখে সেটা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটাল। ভয় পেয়ে আমি নিজের রুমে যেয়ে চুপ করে শুয়ে আছি। না জানি আজকে আমার কপালে কি আছে? সাগর বিকাল বেলা আসতেই এটা নিয়ে হইচই আবার শুরু হয়ে গেল শ্বাশুড়ির ইন্ধনে। সাগরের নতুন বউ বিয়ের পর থেকেই সুযোগ খুজছিল আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে চিরতরে রাস্তা পরিষ্কার করার। এবার সেই সুযোগ পেয়ে গেল। সরাসরি সাগরকে বলে দিল আমি যদি এই বাসায় থাকি তাহলে ও বাচ্চা নিয়ে বাপের বাড়ি একবারে চলে যাবে। সাগর পড়ল উভয় সংকটে। আমি আমার বেডে শুয়ে অবিরত কান্না করে যাচ্ছি। এই সময় সাগর অনেক দিন পরে আমার রুমে এল। অনেকখন চুপ করে আমার পাশে বসে থাকল। হয়ত আমাকে কি বলবে সেটা ঠিক করছে মনে মনে। আমার বর্তমান অবস্থা ওর চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না।
-মিথিলা, এত অপমান সহ্য করে কতদিন এখানে তুমি টিকে থাকবে, বলো? এর চেয়ে আমি তোমাকে আলাদা বাসা ভাড়া করে দেই। এত অপমান সহ্য করার চেয়ে সেখানে অনেক ভালো থাকবে।
কান্না থামিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে সাগরের দিকে তাকিয়ে আছি। যেই ছেলে আমাকে বিয়ের আগে একবার একপলক দেখার জন্য বাসার বাইরের গেটের সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে থাকত, আজ সেই আমাকে আলাদা করে দিতে চাচ্ছে! সময় কত দ্রুতই না সব কিছু বদলে দেয়? এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আমাকে আর কত কিছু দেখে যেতে হবে? আমি সাগরকে অনেক বুঝানোর চেস্টা করলাম, আমি কখনো একা থাকিনি, একা একা ভয়ে আমি মরেই যাবো। কিন্তু কে শুনে কার কথা? ও মনে হয় ঠিক করেই এসেছে এটা।
-আমি বাসায় শান্তি তে থাকতে চাই। এত ঝামেলা নিয়ে আমি থাকতে চাই না।
আমি এখন তাহলে ওর কাছে শুধুই ঝামেলা! আর তর্ক করলাম না। কি লাভ? কিছুক্ষন আগে শুনলাম শ্বাশুড়ি সাগরকে বলছে আমাকে তালাক দিয়ে একবারে বের করে দিতে। বাসায় অনেকদিন কুকুর বেড়াল থাকলে যে রকম মায়া জন্মায় হয়ত সে কারনে এখন আমাকে তালাক দিচ্ছে না। আমি যদি বেশি জিদ করি তাহলে হয়ত শেষ পর্যন্ত এই মায়া নাও থাকতে পারে! সাগরের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম। তালাকের চেয়ে এটা ভালো! অন্ততঃ কিছু একটা সম্পর্ক তো থাকলো! সেটাও বা আমার জন্য কম কিসের…………
চার
আজ নিয়ে প্রায় তিন মাস হলো। সাগর আমার এই বাসায় আসেই না। আগে এসে অন্তত প্রতি মাসে বাসা ভাড়ার টাকাটা দিয়ে যেত। এখন তাও আসে না। একলা একটা মেয়ে কিভাবে দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে বেঁচে না মরে গেছে সেটার খোঁজও নেয় না। আগে মোবাইলে ফোন দিত, কি যে ভালো লাগত ওর গলাটা শুনতে পেলে! আমি তীর্থের কাকের মতো শুধু ওর গলাটা শুনার জন্য দিন রাত অপেক্ষা করে থাকতাম। এখন তাও দেয় না। আমি ফোন দিলে দুই একটা অতি প্রয়োজনীয় কথা বলে লাইন কেটে দেয়, একবার জিজ্ঞেসও করে না আমি কেমন আছি? ও এখন খুব ব্যস্ত নতুন বউ, একমাত্র ছেলে আর নিজের সংসার নিয়ে। সবাই কিছু না কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছে। আমার যে কিছুই নেই! যা কিছু নিজের ছিল, ছিল বলে ভাবতাম, তাও সবাই আমার কাছ থেকে একে একে কেড়ে নিয়ে গেল! তারপরও যে কিভাবে কিভাবে দিন গুলি কেটে যাচ্ছে জানি না। প্রতি দিন সুর্যদোয় হয় আবার সুর্যাস্ত হয় নিয়ম করে, কিন্তু মাঝখানের সময় গুলি কোন দিক দিয়ে পার হয়ে যায় আমি জানি না! জানতেও চাইও না। কোন কিছুই আর ভালো লাগে না। জীবনে বেঁচে থাকার নুন্যতম আগ্রহটাও অনেক আগেই আমি হারিয়ে ফেলেছি…………..
পাঁচ
বাড়িওয়ালা আংকেল খুব ভালো মানুষ। মনুষত্ব্য শব্দ টা যে আজও কিছু মানুষ বিশ্বাস করে সেটা তাকে দেখে শিখলাম। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল। গত দুই মাসের ভাড়া এমনিতেই দিতে পারিনি। কোন রকমে এক বেলা রান্না করে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি, ভাড়ার টাকা দিব কোথা থেকে? আজও যখন উনি আমাকে ডেকে পাঠালেন, কি যে লজ্জা লাগছিল! মনে মনে চাইছিলাম ধরনী তুমি দ্বিধা হয়, তোমার চরনে আশ্রয় নেই। মাথা নীচু করে চাচা'র সামনে দাড়িয়ে চুপ করে রইলাম, কি বলব? চাচা আমাকে সামনে রাখা সোফায় বসতে বললে খুব লজ্জা লাগছিল বসতে। আমার চোখ মনে হয় জলে ভিজে গিয়েছিল। অনেক অনেক দিন হলো কেউ আমার সাথে এত ভালো করে কথা বলে না।
-মা, তুমি তো এভাবে দিনের পর দিন চলতে পারবে না? তোমার জামাই তোমার সাথে যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছে না এটা কেন বুঝতে পারছ না? তুমি একটা শিক্ষিত মেয়ে, কেন আরেক জনের উপর নির্ভর করে এইভাবে বেঁচে আছ? এটা কোন বেঁচে থাকা হলো! আল্লাহ মানুষকে দুটা হাত আর দুইটা পা দিয়েছেন। যতদিন এইগুলি ঠিক থাকবে কারো কাছে হাত পাতবে না।
-কালকে থেকে কিছু করার চেস্টা শুরু কর। মেয়েদের এখন চাকরীর অনেক সুযোগ তৈরী হয়েছে। এই ভাবে চুপচাপ ঘরে বসে থাকা চলবে না। আমিও দেখি তোমার জন্য কিছুর ব্যবস্থা করা যায় কিনা?
-আর, শোন, যতদিন টাকা পয়সা রোজগার করার ব্যবস্থা করতে না পারবে, ততদিন বাসা ভাড়া নিয়ে লজ্জা পেতে হবে না। তুমি ভাড়া নেবার আগে ছাদের এই এক রুমের বাসাটা এমনিতেই তালা মেরে রাখতাম। তুমি আমার মেয়ের মতন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন, শুকরিয়া করে তার শেষ করতে পারব না। যেদিন প্রথম বেতন পাবে সেদিন থেকে ভাড়া দেয়া শুরু করবে। আমি খুশি হয়ে নিজের হাতে তোমার হাত থেকে ভাড়া নিব।
বাবা মারা গেছেন প্রায় দুই বছর হলো। বড় ভাইয়ের নিজের সংসার। ভাবীর ব্যবহার ভালো না। সামান্য কারনে চরম দুরব্যবহার করেন। আমাকে একটা উটকো ঝামেলা মনে করেন। আত্ম সম্মানের ভয়ে ভাইয়ার বাসায় আশ্রয় নেই নি। ভাইয়া নিজের সীমাবদ্ধতা জানেন। লজ্জায় আমার সাথে দেখা করেন না। বাসায় লোক দিয়ে অনেক বাজার আর টাকা পয়সা পাঠিয়ে দেন। সেটার উপরই এত দিন বেঁচে আছি। বাবা মারা যাবার পর কত দিন এই নিষ্ঠুর পৃথিবী তে আমার সাথে কেউ এত ভালো ব্যবহার করেনি। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না! চিৎকার করে কেঁদে উঠে চাচা'র পা দুটো জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম আর বাবা বাবা বলে ডাকতে থাকলাম। চাচা আমাকে ইচ্ছে করেই কাদতে দিলেন, মনে হয় বুক টা হাল্কা করার জন্য। সস্নেহে শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। একটু যখন স্বাভাবিক হয়ে এসেছি, চাচা খুব নরম ভাষায় বললেনঃ
-আমার একটা মেয়ের খুব শখ ছিল। আল্লাহ একটা দিয়েও ছিলেন। দেড় বছরের মাথায় মাত্র একদিনের জ্বরে আমাকে ফেলে চলে গিয়েছিল। মা, তুমি নিজেকে শক্ত কর। এত ভেঙে পড়লে চলবে না। আমি তোমার কষ্ট গুলি বুঝি। বাবা ছাড়া এই পৃথিবী তে মেয়ের কষ্ট কেউ বুঝে না।
অসম্ভব একটা ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে নিজের বাসায় ফিরে আসলাম। চাচা যা বলেছেন সেটাই ঠিক। আমাকে শক্ত হতে হবে। এত সহজে জীবনের হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। ইচ্ছে করলে একটা মেয়েও যে অনেক কিছু করতে পারে সেটা প্রমান করে দিতে হবে। অনেক, অনেক দিন পরে ব্যাগ খুলে শিক্ষা জীবনের সব সার্টিফিকেট গুলি বের করলাম, ধুলা ময়লা লেগে একটু অপরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে ভালো করে মুছলাম। এখন এগুলিই আমার একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন……………
ছয়
লেখাপড়াটা শেখাটা মেয়েদের জন্য খুবই জরুরী। বাবা যখন জোড় দিয়ে শুধু লেখাপড়ার কথা বলত তখন মনে হত কি হবে মেয়েদের এত লেখাপড়া দিয়ে? শেষ পর্যন্ত তো ওই রান্না ঘরের হাড়িই তো ঠেলতে হবে? কি দরকার এত কষ্ট করার? আজ বুঝতে পারলাম কেন বাবা এসব বলত। হাতের জমান টাকা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিছু একটা শুরু করতেই হবে। ঢাকা ভার্সিটি থেকে কেমিস্ট্রিতে মাস্টার ডিগ্রী নিয়ে ঘরে বসে ছিলাম শুধুই সাগর চাইত না দেখে। মেয়েদের চাকরি করা ও কোন ভাবেই পছন্দ করত না। ওর জন্য চাকরি শুরু করব করব বলেও শেষ পর্যন্ত করা হয়ে উঠল না। বাবা যখন আমার ইচ্ছে বুঝল তখন খুব করে বকা দিয়েছিল আর বলেছিল একদিন না একদিন এর ফল আমি নিজের হাতেই পাব। আজ বাবা'র কথা গুলির হাতে নাতে ফল পেলাম। জীবনে কখন কোথাও কারো কাছে কিছু নিজের জন্য চাইতে শিখিনি। না পাওয়ার কষ্ট গুলি বুকের মাঝেই পাথর চাপা দিতাম। সময় মনে হয় খুব কাছে চলে এসেছে কিছু স্বভাব বদলে ফেলার। নিজেকে বদলে ফেলার…………
সাত
প্রতি দিন সকাল বেলা করে বাড়িওয়ালারা বাসায় যেয়ে নিউজ পেপারে জব অফারিংস গুলি দেখে আসি। প্রায় সব জায়গায় অভিজ্ঞতা চায়, এটা আমি কোথায় পাব? বিয়ের পর থেকেই তো শুধু রান্না ঘরের হাড়িই ঠেলে এসেছি! রিসিপশনিস্ট বা এরকম দুই একটা জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়ে আসলাম। মামা চাচার জোড় না থাকলে হবে না। একটা জায়গায় জব পেলাম একমাস পরে কিন্তু একদিন চাকরী করার পরেই ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। যার আন্ডারে চাকরী করতে হবে সেই লোক টা ভালো না, চোখের দৃষ্টিও ভালো না। আমার বর্তমান অবস্থা শুনে আকার ইংগিতে অন্য কিছু বুঝালেন। এতটা নীচে মনে হয় নামতে পারব না। মেয়ে হয়ে জন্ম নিলে অনেক সমস্যা, অনেক কিছু কাউকে বলাও যায় না। কয়েক টা এনজিও তে কথা বললাম। বাইরে বাইরে কাজ করতে হবে। সারা জীবন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি আর বাসা ছাড়া কোথাও যাই নি। বাবা মেয়েদের অযথা বাইরে ঘুরাঘুরি করা পছন্দ করতেন না। মনও সায় দিল না। যা পারব না আর মনও চায় না সেখানে চেস্টা করে লাভ কি? দেখি না আর কয়েক দিন। দেয়াল পিঠ ঠেকে গেল না হয় ছোটো খাট কিছু একটা করা যাবে। আপাতত চেস্টাটা বন্ধ করা যাবে না। যার কেউ থাকে না আল্লাহ তার সহায়। আমার মত এরকম একজন অসহায় এতীম মেয়ের দিকে কি একবারও কি তিনি মুখ তুলে তাকাবেন না?
তিন তলার ভাবী আমার প্রায় সমবয়সি। মাঝে মাঝে আমার বাসায় এসে গল্প করে যান। সেদিন সকাল বেলা হুট করে এসে হাজির। এই সময়ে সাধারণত উনি আসেন না। দরজা খুলে দিতেই এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে আমাকে বেডে নিয়ে বসালেন।
-তোমার জন্য একটা সুখবর আছে। আমার মেঝ খালা ঢাকার একটা বেসরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। গতকালকে আমার বাসায় তিনি বেড়াতে এসেছিলেন। কথায় কথায় তোমার বিষয়ে বলতেই উনি বললেন যে উনার স্কুলে একটা পোস্ট সম্প্রতি ফাঁকা হয়েছে। কালকে উনি সরাসরি ইন্টারভিউ নিবেন। তোমাকে একটা ভালো সিভি আর ছবি সহ কালকেই যেতে বলেছেন। যাবার আগে আমার কাছ থেকে আড্রেস নিয়ে যাবে। আমি খালাকে খুব করে তোমার জন্য বলে দিয়েছি। বেতন খুব একটা বেশি না, তাতে কি? তোমার তো কিছু একটা শুরু করা দরকার। আমি নিউজ পেপার থেকে তোমার জন্য এই অ্যাড টা ছিড়ে নিয়ে এসেছি, এই নাও।
কথা গুলি শুনে চোখে পানি চলে আসল। গায়ে পড়ে এভাবে কারো কেউ উপকার করতে পারে বিশ্বাস হচ্ছে না! প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস টু থেকে ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে হবে। আমার জন্য যথেষ্ঠ।
-কি বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দিব তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি এখনই কাগজ পত্র গুলি রেডি করছি। বিকাল বেলা তোমার কাছ থেকে আড্রেস টা নিয়ে আসব।
ভাবী আর বসলেন না। স্কুল থেকে উনার ছোট মেয়েকে আনতে হবে, তাড়াতাড়ি চলে গেলেন……..
আট
সকাল সকাল আমি সব কাগজ পত্র সহ ঐ স্কুলে হাজির হলাম। সাত আট জনের মতো ক্যান্ডিডেট বসে আছে। আমার সিভি টা জমা দিয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়লাম। একে একে সবাই কে সিরিয়াল ধরে ডাকছে। সবশেষে আমার পালা এলো। দরজা খুলে ছালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। একজন বয়স্ক মহিলা আর তার সাথে আরো দুইজন ভদ্রলোক বসে আছেন। আমাকে সামনে রাখা চেয়ারে বসতে বলে আমার সিভি টা সবাই ভালো করে পড়ল। বয়স্ক মহিলাই শুরু করলেনঃ
-আপনি সিভি তে বৈবাহিক অবস্থা জানি না লিখেছেন কেন?
আমি চুপ করে আছি দেখে আবারও একি প্রশ্ন করলেন।
এই বার চুপ থাকা টা মনে হয় ঠিক হবে না। তাই বললামঃ
-আমি আমার বৈবাহিক অবস্থা আসলে এখন কি, তা সত্যই আমি জানি না, তাই এটা লিখেছি।
-আমি আপনার ব্যাপারে হালকা কিছু শুনেছি। আপনি আপনার বর্তমান অবস্থা খুলে বলুন। আমরা বিস্তারিত জানতে চাই। লজ্জা করার কিছু নেই। সাথের দুই জনকে আমি অলরেডি আপনার ব্যাপারে কিছুটা জানিয়েছি। তারাও পুরোটা শুনতে চান। আর আপনি এই পোষ্ট এর জন্য অবশ্যই উপযুক্ত।
আমি মাথা নীচু করে আমার এই অনিশ্চিত জীবনের সব কথা লজ্জার শরম ত্যাগ করে সুন্দর করে বুঝিয়ে বললাম।
সব শোনার পর, সবাই কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তারপর একজন ভদ্রলোক আমাকে বললেনঃ
-এই চাকরীটা আপনার চেয়ে বেশী কারো দরকার হতে পারে না। আপনি ভয় পাবেন না। আমরা আপনার পাশে আছি। বেতন শুরুতে খুব বেশি দিতে পারব না, তাতে কি, আপনার তো অন্তত একটা কিছু দরকার। আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আমরা চেস্টা করে দেখি আপনার জন্য কিছু করতে পারি কিনা!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি, আমি কল্পনাও করতে পারিনি এত বড় সুযোগ আমি পাবো। সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। বেতন শুরুতে বারো হাজার দিবে আর যদি ভালো করতে পারি তাহলে ছয় মাস পর থেকে আরো বাড়িয়ে দেবে। চেয়ার থেকে উঠে ভাবীর মেঝ খালাকে পা ছুঁয়ে ছালাম করলাম। বাকিদেরও করতে চেয়েছিলাম তারা দিলেন না। আমাকে দুই একদিন অপেক্ষা করতে বললেন এপয়েনমেন্ট লেটারের জন্য। অনেক দিন পরে আমার জীবনে একটা সুখবর পেলাম। খুব খুশি খুশি মন নিয়ে ঘরে ফিরে আসলাম।
দুপুর বেলা ভাবীর মেঝ খালা আমাকে ফোন দিল।
-আসলে সামনা সামনি বলতে পারছিলাম না, তোমার যেই অবস্থা তাতে কিভাবে যে বলি, এই চাকরীর জন্য কিছু টাকা তোমাকে খরচ করতে হবে। স্কুল কমিটি জন্য পচিশ হাজার আর স্কুলের ফান্ডে পচিশ হাজার লাগবে। আমরা অনেক চেস্টা করে তোমার জন্য স্কুলের ফান্ডের পচিশ হাজার মাপ করিয়েছি, কিন্তু স্কুল কমিটির সভাপতি কোন ছাড় দিবেন না। পলিটিক্যাল লোক তো, এদের মধ্যে কোন মনুষত্ব্য বলে কিছু নেই। তুমি কি যে কোন ভাবে এই টাকাটা জোগার করতে পারবে? পারলে কালকেই টাকাটা নিয়ে আস, আমি পারলে কালকেই এপয়েনমেন্ট লেটার টা তোমার নামে ইসু করে দিব। যত দেরি হবে ততই ক্যান্ডিডেট বাড়তে থাকবে। পরে হয়ত আমার হাতে কিছু করারও থাকবে না।
আমি ফোনেই আমার রাজি হবার কথা বলে দিলাম আর বললাম আমি কালকে স্কুলে টাকা টা দিয়ে আসব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ভালো সুযোগ বারবার আসে না, যেভাবেই হোক এই টাকাটা আমাকে আজকের মধ্যে জোগার করতেই হবে………
সাগরের বাসা থেকে চলে আসার সময় আমার বিয়ের সর্নালংকার গুলি সাথে নিয়ে এসেছিলাম। এই গুলি একান্তই আমার। মাঝে মাঝে বিপদের সময় কিছু বিক্রি করেছিলাম যে দোকানে, সেখানেই মা'র দেয়া বিয়ের গলার হাড় টা নিয়ে গেলাম। নিয়ে যাবার আগে হাউমাউ করে কিছুক্ষণ কাদলাম। মায়ের স্মৃতি বলতে এটাই শুধু আমার কাছে ছিল, আজ এটাও বিক্রি করে দিচ্ছি। কিছুই করার নেই, আমি এখন ডেস্পারেট হয়ে গেছি, এই চাকরী টা আমার লাগবেই, যেভাবেই হোক………
দুই দিন পরে স্কুল থেকে দুই কপি এপয়েনমেন্ট লেটার পাঠাল স্কুলের পিয়ন কে দিয়ে সরাসরি আমার বাসায়। পিয়ন কে দাড়া করিয়ে সাথে সাথেই সাইন করে অফিস কপি ফেরত পাঠালাম যেভাবে আমাকে ভাবীর মেঝ খালা বলে দিয়েছিলেন……..
নয়
প্রথম মাসের বেতনটা যখন হাতে পেলাম কি যে ভালো লাগছিল! আগেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম কি করব! স্কুল থেকে বের হয়েই আড়ং এ যেয়ে চাচার জন্য একটা সুন্দর পাঞ্জাবি আর পায়জামা কিনলাম। ফেরার পথে তিন তলার ভাবীর জন্য কিনলাম একটা আন স্ট্রীচ থ্রি পিছ। এরা দুইজনই আমার জন্য যা করেছে সারা জীবনেও এর শোধ হবে না। সন্ধ্যার পরে চাচার আর ভাবীর হাতে নিজেই কাপড় গুলি দিয়ে আসলাম। জমান টাকা আর বেতন মিলিয়ে হাতে ভালোই জমেছে। মা'র হাড় টা দুই ভড়ির উপরে ছিলো। স্কুলের টাকাটা দেবার পরও হাতে অনেক রয়ে গিয়েছিল। গত তিন মাসের বকেয়া সহ বাড়ি ভাড়াও দিয়ে আসলাম। অনেক লজ্জার মধ্যে ছিলাম এই কয়দিন। চাচার হাতে ভাড়ার টাকাটা যখন দিলাম উনি কেঁদে ফেললেন, উনাকে কাঁদতে দেখে আমিও কেঁদে ফেললাম। আগের বার কেঁদেছিলাম আমি কষ্টে আর এবার দুই জনই খুশিতে………………
দশ
দেখতে দেখতে আট মাস চলে গেল! প্রথম স্কুলের চাকরি টাই এখনও করছি। খুব মনোযোগ দিয়ে ক্লাসে পড়াই। ছুটি নেই না বললেই চলে। একা একা ছুটি নিয়ে কি করব! বেতন বাড়িয়ে আঠারো হাজার করে দিয়েছে। আমাকে এখন উপরের ক্লাসের কেমিস্ট্রি পড়াতে হয় আর কেমিস্ট্রি ল্যাবে প্র্যাকটিক্যালও করাতে হয়। কি যে ভালো লাগে ছেলেমেয়ে গুলি কে পড়াতে! অনেক অনেক আদর লাগে! আমি কক্ষনো বকাঝকা করি না। দুস্টামি করলে কিংবা ভুল করলে মাথায় হাত দিয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেই।
বাসার পাশেই একটা নতুন কোচিং সেন্টার খুলেছে। কেমিস্ট্রির টিচার শুনে বাসায় এসে জবের অফার দিল। স্কুলের ক্লাস শেষ হবার পর এখানে ক্লাস নিতে বলল। আপত্তি করলাম না। স্কুল থেকে ফেরার পর বাসায় তেমন কোন কাজ থাকে না। তাছাড়া টাকা পয়সা ভালোই দিবে। টাকা পয়সার মুল্য কি জীবনে এক সময় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কালকে থেকে জয়েন করবো বলে দিলাম।
এগারো
সপ্তাহ দুই পরে একদিন স্কুলের পর কোচিং এর ক্লাস শেষ করে বাজারে গেলাম কেনা কাটার জন্য। বাজার শেষ করে বাসায় ফিরছি। বাসার একটু দূরে বড় রাস্তাটা আটকান। আমি রিকশায় বসে আছি সারা মাসের বাসার সদাই নিয়ে। এত গুলি বাজার হাতে নিয়ে হেটে যেতে পারবো না। প্রায় দশ মিনিটের মতো বসে আছি। ভীড় কমছেই না দেখে রিকশা থেকে নেমে দেখতে গেলাম কি হয়েছে। ভীড় ঠেলে সামনে যেয়ে দেখি ভয়াবহ এক্সিডেন্ট! একটা মধ্য বয়স্ক মহিলা, সম্ভবত ভিখারিনী হবে, পোষাক দেখে তাই মনে হচ্ছে, রাস্তার উপর পরে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হয়ে সারা রাস্তা ছয়লাব! দেখে আমার প্রায় বমি চলে আসছিল। হটাত কান্নার শব্দ শুনে ভালো করে তাকিয়ে দেখি একটা সম্ভবত দেড় বা দুই বছরের বাচ্চা চিৎকার করে কাদছে। কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?
-ফকিরনী টা এই ছোট্ট বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে বড় রাস্তা টা পার হচ্ছিল। ওই দিক থেকে একটা প্রাইভেট কার অনেক জোড়ে এদিকে আসছিল। নতুন ড্রাইভার মনে হয়, সামলাতে পারেনি, মেরে দিয়ে চলে গেছে। আহা, এতটুকু বাচ্চা টাকে একদম এতীম করে দিয়ে গেল।
কথা গুলি শুনে আমার মনের ভিতর কি হলো আমি জানি না, আমি এগিয়ে যেয়ে রাস্তায় পরে থাকা কান্নারত বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলাম। গায়ে ময়লা কাপড়, হাত পা ময়লা লেগে কালো হয়ে আছে। আমি কোলে নিলাম পর বাচ্চাটা কান্না থামিয়ে আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে! এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে কে ওকে কোলে নিল বুঝতে পারছে না। জলে ভেজা চোখে কান্না থামিয়ে বড়বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। লোকজন আস্তে আস্তে যে যার মতো চলে যাচ্ছে। বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে আমি রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে আছি, কি করব বুঝতে পারছি না…….
বার
ঘরের দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকতেই সোমা আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ল। আধো আধো বুলি তে বললঃ
-মা, আমার চলকেট কই?
আমি হেসে ভেনিটি ব্যাগ খুলে ক্যাডবেরীর একটা বড় প্যাকেট খুলে ওর হাতে দিলাম। সোমা তখনই বেডে বসে ওর চলকেট খাওয়া শুরু করে দিল। আমি ভেনিটি ব্যাগটা আলমিরায় রেখে ঘরে পড়ার কাপড় নিলাম ড্রেস চেঞ্জ করার। সোমা কিছু চাইলে আমি কখনো না করি না, যা চায় কিনে দেই। আমার সব কিছু তো ওর জন্যই। বাচ্চাটার দিকে যখনই তাকাই থানার ওসি সাহেব কে মনে মনে ধন্যবাদ দেই। সেদিন উনি রাস্তায় আমার সব কিছু শুনে বাচ্চাটা আমাকে দিয়ে দিলেন। সাত দিন পর চাইল্ড কাস্টোডিয়ানের কাগজ পত্র কিভাবে যেন জোগাড় করে আমার বাসায় এসে দিয়ে গেলেন! এই সব কিছু কিছু ভাল মানুষের জন্যই পৃথিবী টা এখন এত সুন্দর লাগে, এত মায়া মায়া লাগে! শত নিরাশার মাঝেও নতুন আশার আলোর দ্বীপ জ্বেলে দিয়ে যায়। নতুন করে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে আবার ভালোবাসতে…………….
পরের পর্ব পড়ে আসুন এখান থেকে গল্প - মিথিলার ভালোবাসা
পটভুমিঃ শিখা রহমান আপুর পর পর নতুন দুইটা গল্প পড়ার পর হঠাৎ করেই মেয়েদের নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করল! আপুকে মন্তব্যের ঘরে বলেও এসেছিলাম। বরাবরের মতো এবারো অড টপিক নিয়ে লিখলাম। জানি না কেমন হয়েছে? মূল্যায়নের দায়ভার আমার পাঠকদের কাছেই ছেড়ে দিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ,অক্টোবর, ২০১৮
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম। আশা করি সব সময় আপনাকে আমি আমার পাশে পাবো।
ভালো।।। বাস্তব।।। আমার মতে এই রকম লোকেরা বলদ আর আহাম্মাক যারা স্ত্রীর বাচ্চা না হলে আরেকটা বিয়ে করে। ছাগলের চার নাম্বার বাচ্চা এরা। বাংলাদেশে কত বাচ্চা অনাহারে মরে।কত হাসপাতালে মা মারা যায় শিশু রেখে। এদের তারা বাবা মার আদর দিতে পারতো। আমি গল্প পড়লাম। জানি এটা গল্প। তবে আমি বাস্তাবের ওই লোকদের বলছি যারা এমন।
আপনি উপরে যা বলেছেন সেটা হলে কতই না ভালো হতো! কত অসহায় মেয়েদের জীবন টাই বদলে যেত তাহলে, পৃথিবী টা আরও কত সুন্দর হতে পারতো!
আবার ধন্যবাদ আমার চাচ্চুকে। যে ২০বছরেও তার স্ত্রীকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করেনি। তারপর একটা বেবি এডপ্ট নিয়েছে। তারপরেও আরেকটা বিয়ে করেনি।।। এইটাকেই ভালোবাসা বলে। আর সেটা যে নষ্ট করে সে একটা বলদ ছাড়া কিছুনা
আপনার চাচ্চু কে আমার মন প্রান থেকে দেয়া ভালোবাসা পৌছিয়ে দিবেন। তাদের মতোও ভালো মানুষদের জন্যই মনুষ্যত্ব শব্দটা আজও পৃথিবীতে টিকে আছে.........।
ভালো থাকবেন, সব সময় & শুভ কামনা রইল।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, মন খারাপ করার মতোই গল্প এটা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
নজসু বলেছেন: মাতৃত্ব একজন নারীর পূর্ণতা পায় সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে।
নারীর এক নতুন জন্ম যা তাকে দেয় সৃষ্টির আনন্দ,
সন্তানের হাসিতে হারিয়ে যাওয়ার সুখ খোঁজে নারী।
জীবন ও পৃথিবী কে নতুনভাবে উপলব্ধি করার ঐশ্বরিক এক ক্ষমতা পায় নারী।
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ কোন কোন নারী সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
একে মা হতে না পারার জ্বালা, উপরন্ত পরিবার, সমাজ থেকে নানা কটূক্তি শুনতে হয়।
অনেক সময় সতীন নামক আরেকজনকে গ্রহণ করতে হয়।
কষ্টে কষ্টে শেষ হয়ে যায় একজন বন্ধ্যা নারী।
মামুন ভাই বললেন-বাংলাদেশে কত বাচ্চা অনাহারে মরে।কত হাসপাতালে মা মারা যায় শিশু রেখে। এদের তারা বাবা মার আদর দিতে পারতো।
সম্পূর্ণ একমত আমি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই নজসু, জীবনের বাস্তবতা গুলি খুব কঠিন আর নির্মম হয়। এই মেয়েদের জীবন যে কতটা কষ্টের সেটা আমি কেন, কোন লেখকই লিখে বুঝাতে পারবো না। প্রতি পদে পদে কত লান্ছনা এদের সহ্য করতে সহ্য করতে হয় তার কোন শেষ নেই!
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, সব সময় & শুভ কামনা রইল।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বাস্তবতা । তবে মন খারাপ হয়ে গেল ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।
মন খারাপ করার মতোই গল্প এটা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
আশা করি সব সময় আপনাকে আমি আমার পাশে পাবো।
শুভ কামনা রইল।
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
হাবিব বলেছেন:
কতো আশা নিয়ে পড়াশুরু করলাম। হয়তো মজার কিছু পাবো। আপনি ইচ্ছা করলে পারতেন বন্ধ্যা মেয়েটির সুন্দর একটা ইতি করতে। শেষমেশ তাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। ভাষা শহীদদের ৫২র আত্মত্যাগ সার্থক । বাংলা ভাষার অদ্ভুত মেল বন্ধনে সুন্দর কথার গাঁথুনি।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই হাবিব, মন খারাপ করার মতোই গল্প এটা, মজার কিছু না এটা। জীবনের এই সব বাস্তবতা গুলি খুব কঠিন আর নির্মম হয়। এই মেয়েদের জীবন যে কতটা কষ্টের সেটা আমি কেন, কোন লেখকই লিখে বুঝাতে পারবো না। প্রতি পদে পদে কত লান্ছনা এদের সহ্য করতে সহ্য করতে হয় তার কোন শেষ নেই!
আপনি ইচ্ছা করলে পারতেন বন্ধ্যা মেয়েটির সুন্দর একটা ইতি করতে। শেষমেশ তাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। - আমি তাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেইনি। তার একটা নতুন জীবন শুরু করার ইংগিত দিয়েছি শেষে, দত্ক মেয়ে টাকে নিয়ে........
ভাষা শহীদদের ৫২র আত্মত্যাগ সার্থক । বাংলা ভাষার অদ্ভুত মেল বন্ধনে সুন্দর কথার গাঁথুনি। - কি দারুন একটা মন্তব্য আপনি করেছেন! লেখাটা মনে হয় সার্থক হলো!
আশা করি সব সময় আপনাকে আমি আমার পাশে পাবো।
শুভ কামনা রইল।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
কানিজ রিনা বলেছেন: শিক্ষিত মেয়েরা স্বামীর উপর নির্ভরশীলতা
একটা বোকামী। যা আপনার গল্পে সুন্দর
উপস্থাপনে উঠে এসেছে। সংশারীক পরিশ্রমের
মুল্যায়ন কয়টা মেয়ে পায়। দিনশেষে খাওয়া
পড়ার খুটাও শুনতে হয়। তাই মেয়েরা
সাবল্বী হয়ে নিজের সংশার সন্তান স্বামীকে
সহায়তা করলে অনেক সুন্দর জীবন কাটে।
বিশেষ করে মেয়েরা যখন অসহায় হয়ে পড়ে।
আজকাল একজনের উপার্জনে সংশার চলেনা
যাদের চলেনা যদি শিক্ষিত নারীরা কোনও
কাজ করে সংশারের অভাব দুর করবে।
বেশ সুন্দর শিক্ষনীয় গল্প ভাললাগা রেখে
গেলাম। অভিনন্দন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: কানিজ আপু, প্রথমেই স্বাগতম আমার ব্লগে............
দারুন একটা মন্তব্য করেছেন আপনি, আমি পুরো লেখায় মেয়েদের এই পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না..........
আমি তাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেইনি। তার একটা নতুন জীবন শুরু করার ইংগিত দিয়েছি শেষে, দত্তক একটা মেয়ে নিয়ে আবার নতুন জীবন শুরু করার.........
আশা করি সব সময় আপনাকে আমি আমার পাশে পাবো।
শুভ কামনা রইল।
৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাস্তব গল্প । এমন কত শত বন্ধ্যা মেয়ে আছে সমাজে । কেউ কেউ স্বামী ও পরিবারের সাপোর্ট পায় কেউ পায়না ।
তবে মেয়েদের সবসময়ই পড়াশোনা করা উচিত, চাকরী করার ইচ্ছে থাকুক আর না থাকুক । কে জানে জীবন কখন কোন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় । পড়াশোনা সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং সাপোর্ট যেটা কেউ কখনো আমার থেকে নিতে পারবেনা ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: হুম, এই গল্পটা আসলেই একটা বাস্তব জীবনের গল্প। এ রকম শত শত কাহিনী হয়ত আমাদের সামনেই ঘটে যাচ্ছে, হয়ত চোখেও পড়ছে না। এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প........
আমি পুরো লেখায় মেয়েদের পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না..........
তবে মেয়েদের সবসময়ই পড়াশোনা করা উচিত, চাকরী করার ইচ্ছে থাকুক আর না থাকুক । কে জানে জীবন কখন কোন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় । পড়াশোনা সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং সাপোর্ট যেটা কেউ কখনো আমার থেকে নিতে পারবেনা। - এটাই আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চেয়েছি যে, এটার কোন বিকল্প নেই।
আশা করি ভালো আছেন। গল্প টা কেমন হয়েছে সেটা তো বললেন না! জানার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা রইল।
৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটি গল্প। +++
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: মন টা ছুয়ে গেল আপনার মন্তব্য।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
মিঠু পারভেজ বলেছেন: পড়েছি
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: আচ্ছা, ধন্যবাদ আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য।
শুভ কামনা রইল.........
১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: বাস্তবধর্মী চমৎকার গল্প।
ভাল লেগেছে, অবশ্য মন খারাপ হয়েছে
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আমি তো মন ভালো করার গল্প লিখি না।
আমি এই ধরনের সামাজিক বিষয় গুলি নিয়েই লিখি, আমার পাঠকদের কে একটা মেসেজ দেবার জন্য লিখি।
নতুন করে পুরানো সব কিছু আবার দেখার জন্য বলি, নতুন ভাবে।
বাস্তবধর্মী চমৎকার গল্প। - এই গল্পটা আসলেই একটা বাস্তব জীবনের গল্প। এ রকম শত শত কাহিনী হয়ত আমাদের সামনেই ঘটে যাচ্ছে, হয়ত চোখেও পড়ছে না। এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প........
আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারো খুব ভালো লাগলো।
সব সময় পাশে থাকার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম।
শুভ কামনা রইল।
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: নীল আপনি যে শুধু একজন ভালো লেখক তাই না, আপনি একজন সংবেদনশীল পাঠকও বটে। ফুটনোটে আমার নাম দেখে অভিভূতঁ হলাম। আমার সামান্য লেখারা যে আপনাকে এমন সুন্দর গল্প লিখতে উৎসাহিত করেছে জেনে লেখালেখি সার্থক মনে হলো।
গল্পটা ভালো লেগেছে। বরাবরের মতোই আপনি নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মেয়েদের বাস্তবতা নিয়ে আমার বেশ কিছু গল্প আছে, কয়েকটা ব্লগে দিয়েছি। আপনি সময় পেলে "উদাসীন সঙ্গম," "বাতাসে নষ্ট গন্ধ," "আগুনের ফুল," বা "যূথী ও তার প্রেমিকেরা" পড়ে দেখবেন। আমার নিজের খুব প্রিয় অবশ্য "উদাসীন সঙ্গম।"
ভালো থাকবেন। সুন্দর সব গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা দুটা পড়ে আমি অনেক টা ঘোরের মধ্য চলে গিয়েছিলাম। কিছু একটা লিখতে হবে, কি লিখব লিখব ভাবছিলাম? হটাৎ মাথায় এটা আসল। একটানে লিখে ফেললাম। বাকি সব লেখা বন্ধ!
আমি তো মন ভালো করার গল্প লিখি না। আমি এই ধরনের সামাজিক বিষয় গুলি নিয়েই লিখি, আমার পাঠকদের কে একটা মেসেজ দেবার জন্য লিখি। নতুন করে পুরানো সব কিছু আবার দেখার জন্য বলি, নতুন ভাবে।
গল্পটা ভালো লেগেছে। বরাবরের মতোই আপনি নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
- লজ্জা পেলাম আপু, আমি আমার চেষ্টা করি সব সময়, জানি না কেমন হয়?
মেয়েদের বাস্তবতা নিয়ে আমার বেশ কিছু গল্প আছে, কয়েকটা ব্লগে দিয়েছি। আপনি সময় পেলে "উদাসীন সঙ্গম," "বাতাসে নষ্ট গন্ধ," "আগুনের ফুল," বা "যূথী ও তার প্রেমিকেরা" পড়ে দেখবেন। আমার নিজের খুব প্রিয় অবশ্য "উদাসীন সঙ্গম।"
- মেয়েদের নিয়ে লেখাটা অনেক কঠিন। আপনি জানেন সেটা। অনেক সংবেদনশীল মন, অনেক কিছু ব্যাখ্যাতীত। তারপরও লিখতে ইচ্ছে করে.........। আপনার উপদেশ কথোপকথনের সময় এবার ব্যবহার করেছি। আপনি ঠিক বলেছেন। এটা দিলে আসলেও ভালো লাগে দেখতে। আর আপনার লেখা গুলি তো অবশ্যই পড়ব, তবে আস্তে আস্তে পড়ব, সময় নিয়ে, বুঝে। আমার এখনও অনেক কিছু শেখার আছে।
আপনার মন্তব্যের জন্যই এতক্ষন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম।
সব সময় পাশে থাকার জন্য কি বলে যে ধন্যবাদ দিব আপনাকে! কোন ভুল ত্রুটি দেখলে সাথে সাথে মনে করিয়ে দেবেন। এটা আপনার কাছে আমার অনুরোধ।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
কে ত ন বলেছেন: এজন্যে বিয়ের আগেই ফার্টিলিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়। আপনার গল্পে অসম্পূর্ণ একটি দিক আছে। প্রথম প্রেম প্রতিটি পুরুষের কাছেই অনন্য একটি ব্যাপার। পরে তিনটা চারটা বিয়ে করলেও প্রথম বৌয়ের আকর্ষণ অন্য কেউ তৈরি করতে পারেনা। আমাদের নবীজী (সঃ) এগারোটা বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে তিনি এক মূহুর্তের জন্যেও ভুলতে পারেননি। আমার চাচাও দুটা বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী বয়েসে ছয় বছরের বড় ছিলেন, কিন্তু তিনি মারা যাবার পর বলতে গেলে খাওয়া দাওয়াই বন্ধ করে দেন। তার সুন্দরী দ্বিতীয় স্ত্রী কোন দিক থেকেই প্রথম স্ত্রীর অভাব পূরণ করতে পারেনি।
আপনার গল্পের সাগর দ্বিতীয় স্ত্রী পেয়ে মিথিলাকে একেবারে রাস্তায় ফেলে দিল - এটা কি করে সম্ভব?
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে এসে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। নীচে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিঃ
এজন্যে বিয়ের আগেই ফার্টিলিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়। - এটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আপনি খোজ নিয়ে দেখুন তো এই ভাবে কয় জন আমাদের দেশে বিয়ে করে? আমার জানা মতে আমি কাউকেই আজ পর্যন্ত করতে শুনিনি। তাছাড়া শুধু শুধু এইসব টেস্ট কেন সবাই আগে করে রাখবে, বলুন? আপনি কি বিয়ের আগে করেছিলেন? আমি তো করিনি!
অসম্পূর্ণ একটি দিক আছে। প্রথম প্রেম প্রতিটি পুরুষের কাছেই অনন্য একটি ব্যাপার। পরে তিনটা চারটা বিয়ে করলেও প্রথম বৌয়ের আকর্ষণ অন্য কেউ তৈরি করতে পারেনা। আমাদের নবীজী (সঃ) এগারোটা বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে তিনি এক মূহুর্তের জন্যেও ভুলতে পারেননি। আমার চাচাও দুটা বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী বয়েসে ছয় বছরের বড় ছিলেন, কিন্তু তিনি মারা যাবার পর বলতে গেলে খাওয়া দাওয়াই বন্ধ করে দেন। তার সুন্দরী দ্বিতীয় স্ত্রী কোন দিক থেকেই প্রথম স্ত্রীর অভাব পূরণ করতে পারেনি। - এই সব খুচরা ঘটনা ব্যাতিক্রম ছাড়া আর কিছুই না। পত্র পত্রিকাতে নিয়মিত দেখুন, আমি সেখান থেকেই লিখেছি। আপনার মতো আরও একজন এই রকম উদাহরণ দিয়েছে, এরা সমাজের মুস্টিমেয় ভালো লোকদের একজন। আমি গন বাস্তবতা কে তুলে ধরতে চেয়েছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরকমই ঘটে।
আপনার গল্পের সাগর দ্বিতীয় স্ত্রী পেয়ে মিথিলাকে একেবারে রাস্তায় ফেলে দিল - ফেলে দেয়নি, যোগাযোগ আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়েছে। এটাই বাস্তব, আমি কিছু এরকম ঘটনা নিজের চোখেই দেখেছি, তবে বেশির ভাগ সময় তালাক হয়ে যায়!
পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ, সব সময় যেন পাশে পাই।
শুভ কামনা রইল।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: আর একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম, এটা গল্প। আপনাকে বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে পেরেছি এটাই আমার লেখক হিসেবে সার্থকতা। এ রকম শত শত কাহিনী হয়ত আমাদের সামনেই ঘটে যাচ্ছে, হয়ত চোখেও পড়ছে না। এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প........
আমি পুরো লেখায় মেয়েদের পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না..........
পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ, সব সময় যেন পাশে পাই।
শুভ কামনা রইল।
১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
সাাজ্জাাদ বলেছেন: গল্প হিসেবেই পড়েছি। বাস্তবতার সাথে মিল খুজিনি।
পড়তে গিয়ে কয়েকবার চোখে পানি এসেছিলো।
মেয়েটার দুঃখে না, ভালো মানুষ গুলোর কথা শুনে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: মন ছুয়ে যাবার মতো একটা মন্তব্য করলেন। আমার নিজেরও কয়েকবার চোখে পানি এসেছিল যখন বার বার পড়ছিলাম। এই পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ আছে দেখেই পৃথিবী টা এখন সুন্দর।
পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ, সব সময় যেন পাশে পাই।
শুভ কামনা রইল।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: সুন্দর। খুবই সুন্দর।
প্রথম ব্যারার বয়ানটার সাথে পুরো গল্পের একটা আবছা অসংযোগ লেগেছে আমার কাছে। কোন সময় বা স্তরে বা অবস্থায় প্রথম পর্বটা আসল, সেই ভাবনাটা কবে ভেবেছে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি। পাশে রুমের শব্দ যখন পাচ্ছে তখন আগের সংসারেই আছে সেই অবস্থানটা ধরে নেয়া যায়। তবুও আমার কাছে একটু অস্পষ্ট লাগছে চিত্রটা মনষ্পটে আনতে।
আমি হয়তো বোঝাতে পারবনা আমি কী বলতে চাইছি।
গল্প খুবই ভাল হয়েছে আবারো বলছে। কিছু টাইপো ধরার চেষ্টা করলাম, ভয় হয় আবার টাইপোতেও কোন ভুল করলাম কিনা।
গলার হাড়টা - হারটা (টাইপো) দাড়া করিয়ে - দাঁড় করিয়ে (টাইপো) , মার হারটা দুই ভড়ির উপরে ছিল - মা'র হারটা দুই ভরির উপরে ছিল (টাইপো) হেটে - হেঁটে (টাইপো) ছয়লাব - সয়লাব (টাইপো) হটাত - হটাৎ(টাইপো), কাদছে - কাঁদছে(টাইপো), জোড়ে - জোরে(টাইপো),
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০
নীল আকাশ বলেছেন: বাকপ্রবাস ভাই, দারুন একটা মন্তব্য করেছেন। এই জন্যই আপনাকে আমি এত পছন্দ করি।
প্রথম ব্যারার বয়ানটার সাথে পুরো গল্পের একটা আবছা অসংযোগ লেগেছে আমার কাছে। কোন সময় বা স্তরে বা অবস্থায় প্রথম পর্বটা আসল, সেই ভাবনাটা কবে ভেবেছে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি। পাশে রুমের শব্দ যখন পাচ্ছে তখন আগের সংসারেই আছে সেই অবস্থানটা ধরে নেয়া যায়। তবুও আমার কাছে একটু অস্পষ্ট লাগছে চিত্রটা মনষ্পটে আনতে।
- এটা একটা নতুন স্টাইল গল্প লেখার। প্রথমে ছোট্ট করে চিত্র দেয়া হয় পাঠকদের কে, তারপর পুরো গল্প। পাঠকরা পড়তে পড়তেই বুঝে নিবে এটা কোন দৃশ্যের......আমি চেস্টা করে দেখলাম। দৃশ্যেটা হলো সাগরের দ্বিতীয় বিয়ের পরের সাত দিন, মিথিলা কে যখন নিজের বেডরুম ছেড়ে দিয়ে অন্য ছোট পাশের একটা রুমে চলে যেতে হয়েছে। আশা করি এখন এটা পরিস্কার হয়েছে....।
গল্প খুবই ভাল হয়েছে আবারো বলছি। - ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে, লজ্জা লাগছে কিছুটা।
কিছু টাইপো ধরার চেষ্টা করলাম, ভয় হয় আবার টাইপোতেও কোন ভুল করলাম কিনা। গলার হাড়টা - হারটা (টাইপো) দাড়া করিয়ে - দাঁড় করিয়ে (টাইপো) , মার হারটা দুই ভড়ির উপরে ছিল - মা'র হারটা দুই ভরির উপরে ছিল (টাইপো) হেটে - হেঁটে (টাইপো) ছয়লাব - সয়লাব (টাইপো) হটাত - হটাৎ(টাইপো), কাদছে - কাঁদছে(টাইপো), জোড়ে - জোরে(টাইপো),
- এই গুলির জন্য আমি পুরোপুরি দায়ী না। আমি মোবাইলে লিখি। এনড্রয়েড রিদমিক বাংলায়। এদের বাংলা ডিকশনারিতে আমি চেক করি ত্রুটির জন্য। এরা যেটা বলে আমি সেটা দেই। মনে হচ্ছে এদের কে ১০০% বিশ্বাস করে ঠিক হয় নি। পরের বার থেকে সাবধান থাকবো। ভূল ধরিয়ে দেবার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
সব সময় যেন পাশে পাই।
শুভ কামনা রইল।
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীলআকাভাই,
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। গল্প পড়তে গিয়ে বাস্তবে চোখে জল চলে এসেছে । একজন প্রকৃত শিল্পীই কেবল পারে নিজের আবেগকে দিয়ে এত সংবেদনশীল লেখা লিখতে। ++++
শুভকামনা জানবেন ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় দাদা, এই গল্প টা লেখার সময় আমি অনেক টা ঘোরের মধ্য চলে গিয়েছিলাম। এতটাই ভিতরে চলে গিয়েছিলাম যে বাকি সব লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমি এই ধরনের সামাজিক বিষয় গুলি নিয়েই লিখি, আমার পাঠকদের কে একটা মেসেজ দেবার জন্য লিখি। নতুন করে পুরানো সব কিছু আবার দেখার জন্য বলি, নতুন ভাবে।
গল্প পড়তে গিয়ে বাস্তবে চোখে জল চলে এসেছে । একজন প্রকৃত শিল্পীই কেবল পারে নিজের আবেগকে দিয়ে এত সংবেদনশীল লেখা লিখতে। ++++
মন ছুয়ে যাবার মতো একটা মন্তব্য করলেন। আমার নিজেরও কয়েকবার চোখে পানি এসেছিল যখন বার বার পড়ছিলাম। শিখা আপু উপরে বলেছে আমি নাকি সংবেদনশীল পাঠক, মনে হচ্ছে আমার মতো অনেকই আছে এরকম........।
অনেক কষ্ট করে এটা লিখেছি, দিন রাত, একটানা। শেষ না করা পর্যন্ত মনের ভিতর শান্তি পাচ্ছিলাম না। আপনাদের কথা গুলি শুনে মনে হচ্ছে কষ্টটা সার্থক হয়েছে।
আপনার ও আপনার বাসার সবার জন্য শুভকামনা রইল।
১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
রক বেনন বলেছেন: যখন পড়া শুরু করলাম, খারাপ লাগায় আক্রান্ত হয়েছিলাম, কিন্তু শেষে এসে অদ্ভুত এক ভালো লাগায় মনটা ভরে গেল। চমৎকার গল্প, ব্লগার!!
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি কি আমার আগের কোন লেখা পড়েছেন? না পড়লে আগের কিছু এই ধরনের লেখা আছে, পড়ে দেখতে পারেন। হয়ত সেগুলিও ভালো লাগতে পারে..............
লেখাটা শুরু করেছিলাম খারাপ লাগার অনুভুতি দিয়ে আর শেষ করেছি নতুন ভালো লাগার সূচনা দিয়ে। কোন লেখা পাঠকের মন কে যদি স্পর্শ করতে পারে সেটা যে লেখকের কত ভালো লাগে সেটা আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না। সংবেদনশীল পাঠক হিসেবে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অভিন্দন।
পুরো লেখাটায় সবাই কে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছিলাম, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন! সেটা হলো: -
এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প........
আমি পুরো লেখায় মেয়েদের পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে ঘুরে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না........
ভালো থাকবেন, সব সময়।
আশা করি আপনাকে আমার পাশে পাবো আমার প্রতিটা লেখায়।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
দিপু দিপু বলেছেন: রাত যতই গভীর হোক না কেন, তা ফুরায়। তাকে ফুরাতে হয়, প্রকৃতির নিয়মে। পূর্ব আকাশে রাঙিয়ে আবার একটা দিন হয়। এভাবেই চলতে থাকে অনন্তকাল। মরে যাওয়া মাঝে মাঝে বেঁচে থাকার চেয়ে সহজ হয়ে পরে। সেই সময় মাটি কামড়ে পরে থাকে কিছু বীর যাদের গল্পগুলো অজানায় থেকে যায়। অসম্ভব সুন্দর গল্প।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।
রাত যতই গভীর হোক না কেন, তা ফুরায়। তাকে ফুরাতে হয়, প্রকৃতির নিয়মে। পূর্ব আকাশে রাঙিয়ে আবার একটা দিন হয়। এভাবেই চলতে থাকে অনন্তকাল। মরে যাওয়া মাঝে মাঝে বেঁচে থাকার চেয়ে সহজ হয়ে পরে। সেই সময় মাটি কামড়ে পরে থাকে কিছু বীর যাদের গল্পগুলো অজানায় থেকে যায়। অসম্ভব সুন্দর গল্প।
কি দারুন একটা কথা বলে গেলেন! আমি মুগ্ধ আর বাক্যহারা হয়ে গেলাম। এই পোষ্টে এত সুন্দর মন্তব্য আগে কেউ করেনি।
কোন লেখা পাঠকের মন কে যদি স্পর্শ করতে পারে সেটা যে লেখকের কত ভালো লাগে সেটা আমি আপনাকে বুঝাতে পারবো না। সংবেদনশীল পাঠক হিসেবে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
আপনি কি আমার আগের কোন লেখা পড়েছেন? না পড়লে আগের কিছু এই ধরনের লেখা আছে, পড়ে দেখতে পারেন। হয়ত সেগুলিও ভালো লাগতে পারে..............
ভালো থাকবেন, সব সময়।
আশা করি আপনাকে আমার পাশে পাবো আমার প্রতিটা লেখায়।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, আপনি লিখতে চাইছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যে সকল ব্লগাররা নতুন ব্লগে এসেছেন, তাদের একটা ইতিবাচক দিক হচ্ছে, তারা সব কিছুকে উৎসাহ দেন, একটা সময় একে বলা হতো পিঠ চাপড়াচাপড়ি মন্তব্য। সত্যি বলতে এই ধরনের মন্তব্য থেকে শেখার সুযোগ কম থাকে।
পাঠক হিসেবে আপনার গল্পটির কিছু দিক আলোচনা করতে চাই। পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে, লেখক হিসেবে আপনার শব্দ প্রয়োগে কিছুটা ঘাটতি এবং নান্দনিকতার অভাব হয়েছে। 'আমি একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি' কেন যেন কোন গল্পের নাম হিসেবে শ্রুতি মধুর শোনায় না। সামগ্রিক বিষয়টিকে হয়ত আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে প্রকাশ করা যেতো।
দ্বিতীয়ত, গল্পটির দৃশ্যায়নগুলো কিছুটা একঘেয়ে। রয়েছে উপযুক্ত বাক্য বিন্যাশ, ডায়লগ এবং প্রেজেন্টেশনের অভাব। পাশাপাশি, অপ্রয়োজনীয় বর্ণনার আধিক্যও আছে। বিশেষ করে লাস্ট যে টুইস্ট আপনি দিয়েছেন, সেটাতে আরো একটু কাজ করা যেতো।
তৃতীয়ত, এই গল্পটি থেকে কি ম্যাসেজ পাচ্ছি, তা ঠিক সঠিকভাবে বোধগম্য নয়। কারন পুরো লেখাটি পড়ে আমার কাছে গল্পের চাইতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা বলে মনে হয়েছে।
কিছু টাইপো বা উচ্চারন জনিত ভুল আছে আছে। যেমন ছালাম< সালাম হবে।
শেষ কথা, এই লেখাটি আপনার অন্যান্য লেখার তুলনায় কিছুটা ভালো হয়েছে। ধীরে ধীরে আপনি ভালো করছেন। তাই আমি সমালোচনামুলক একটি মন্তব্য করলাম। কারন, আপনি যদি না শিখেন, নিজের ভুলগুলো না সংশোধন করে শুধু বাহবা গ্রহন করেন, তাহলে খুব দ্রুত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আপনার আগের প্রকাশিত লেখাগুলোর চাইতে, এই লেখাটি তুলনামুলক ভালো হয়েছে। পোষ্টে তাই লাইক দিলাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: কাভা ভাই, রাগে অনেক দিন এই পোষ্টে আসিনি। আপনার মন্তব্যের উত্তরও দেই নি। দু:খিত।
পাঠক হিসেবে আপনার গল্পটির কিছু দিক আলোচনা করতে চাই। পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে, লেখক হিসেবে আপনার শব্দ প্রয়োগে কিছুটা ঘাটতি এবং নান্দনিকতার অভাব হয়েছে। 'আমি একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি' কেন যেন কোন গল্পের নাম হিসেবে শ্রুতি মধুর শোনায় না। সামগ্রিক বিষয়টিকে হয়ত আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে প্রকাশ করা যেতো।
একদম ঠিক কথা বলেছেন, এটা যদি গল্পটা দেয়ার আগে জানতাম তাহলে অনেক অনেক সমস্যা এড়ানো যেত! আপনাকে অনুরোধ এই ধরনের কোন কিছু মনে হলে এসে ভূল ধরিয়ে দিয়ে যাবেন।
দ্বিতীয়ত, গল্পটির দৃশ্যায়নগুলো কিছুটা একঘেয়ে। রয়েছে উপযুক্ত বাক্য বিন্যাশ, ডায়লগ এবং প্রেজেন্টেশনের অভাব। পাশাপাশি, অপ্রয়োজনীয় বর্ণনার আধিক্যও আছে। বিশেষ করে লাস্ট যে টুইস্ট আপনি দিয়েছেন, সেটাতে আরো একটু কাজ করা যেতো।
তৃতীয়ত, এই গল্পটি থেকে কি ম্যাসেজ পাচ্ছি, তা ঠিক সঠিকভাবে বোধগম্য নয়। কারন পুরো লেখাটি পড়ে আমার কাছে গল্পের চাইতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা বলে মনে হয়েছে।
পরবর্তি লেখা সময় আপনার কথা গুলি মাথায় থাকবে, ধন্যবাদ।
শেষ কথা, এই লেখাটি আপনার অন্যান্য লেখার তুলনায় কিছুটা ভালো হয়েছে। ধীরে ধীরে আপনি ভালো করছেন। তাই আমি সমালোচনামুলক একটি মন্তব্য করলাম। কারন, আপনি যদি না শিখেন, নিজের ভুলগুলো না সংশোধন করে শুধু বাহবা গ্রহন করেন, তাহলে খুব দ্রুত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আপনার আগের প্রকাশিত লেখাগুলোর চাইতে, এই লেখাটি তুলনামুলক ভালো হয়েছে। পোষ্টে তাই লাইক দিলাম।
এটাই দিন শেষে আসল কথা, আমাকে আরো অনেক অনেক লিখতে হবে, যত লিখব ততই ভূল গুলি বুঝতে পারব আর সেগুলি এড়িয়ে যেতে পারব।
আপনার আগের প্রকাশিত লেখাগুলোর চাইতে, এই লেখাটি তুলনামুলক ভালো হয়েছে। পোষ্টে তাই লাইক দিলাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ব্লগের মডারেটরের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য পাওয়া সত্যি দারুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশে থাকার জন্য এবং সব সময় আমার ভুল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দেয়ার প্রত্যাশায়,
শুভ রাত্রি ও শুভ কামনা রইল।
১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
মিথী_মারজান বলেছেন: গল্পের প্লট খুব হৃদয়ছোঁয়া।
ঠিক এমনই একটা গল্প আমি বেশ কিছুদিন আগে ফেইসবুকের পেইজ ক্যানভাসে পড়েছিলাম।
Sazia afrin sapna নামের ঐ রাইটারের গল্প আর আপনারটা অদ্ভুতভাবে অনেক মিল!
লিংক দিলাম, মিলিয়ে দেখুন -
view this link
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
নীল আকাশ বলেছেন: মিথী আপু, আপনি তো আমাকে বিশাল বিপদের মহা সমুদ্রে ফেলে দিলেন। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। আপনার লিংকটা মোবাইলে খোলার চেষ্টা করলাম অনেক অনেক লেখা আসছে। খুজে পাচ্ছি না। আপনি কি এই মেয়ে, পোষ্ট টা কবে দিয়েছে সেটা দিতে পারবেন? দিন আর সময়। আমি পড়ে দেখতে চাচ্ছিলাম। খুবই হাস্যকার ব্যাপার। নিজের কাছেই কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে...। এত কষ্ট করে লেখার পর যদি শুনি কারোও মাথায় এটা আগেই এসেছিল তাহলে কই যাবো! কোন লেখা দেবার আগে তো দেখি সারা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখতে হবে.............।
২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
মিথী_মারজান বলেছেন: দুঃখিত।
লিংক ভুল দিয়েছিলাম।
এখানে দেখুন - view this link
বিপদে ফেলতে লিংক দেইনি ভাইয়া।
শুধু অনেকটা মিলে গেল জন্য আপনাকে পড়ে দেখার জন্য লিংক দিলাম।
২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্!
এবারো বোধহয় সঠিক লিংক দিতে পারলাম না।
লেখাটি ক্যানভাসে ২৪শে জানুয়ারিতে পোস্ট করা হয়েছিল।
বন্ধ্যা শিরোনামে।
লেখক- sazia afrin sapna
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: মনিরা আপু, নীচে গল্প টা দিয়েছে। আপনার আর কষ্ট করতে হবে না। আমাকে একটু সময় দিন। আগে এটা পড়ে দেখি। না পড়ে মন্তব্য করবো না। আর দুইটার মাঝে তুলনা মুলক আলোচনা তো থাকবেই।
২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার থীমে লেখা !! পড়ে চোখ আদ্র হয়ে এসছিলো ।
মিথী_মারজানের লিঙ্ক ও পড়লাম;
লেখক বলেছেন উনি খুঁজে পাচ্ছেন নাঃ-
"বন্ধ্যা"
Written by-Sazia Afrin Sapna
আজ আমার স্বামীর গায়ে হলুদ, ওর গায়ে প্রথম হলুদ আমিই ছুঁইয়ে দিলাম। ক'টা নারী এত সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে! ছলছল দুটি নয়ন নিয়ে নয়না তার স্বামীর কপালে হলুদ ছুইয়ে দিলো। রবির চোখ দুটোও শুষ্ক নয়, প্রচুর বৃষ্টির পরে মাটি যেমন ভিজে থাকে ঠিক তেমন হয়ে আছে রবির চোখ দুটো।
রবিকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি আমার বেড রুমে এলাম। কি বিশাল শূন্য লাগছে ঘরটাকে! এত আসবাব পত্রের মাঝেও ঘরটা শূন্য ফাঁকা। এই আট বছরের মধ্যে আজকেই প্রথম আমি রবিকে ছাড়া ঘুমাবো। ঘুম কি আসবে আজ? বা কোনো কালেও কি ঘুম আসবে এই দু চোখে?
শূন্য বিছানায় হাত রেখে ছুইয়ে দেখছি এই খানে মানুষটা শুয়ে থাকতো। আট বছরের কত খুনসুটি কত স্মৃতি কত ভালোবাসা সব এই ঘরটার সাথে জড়িয়ে আছে। মনে পড়ছে আমার বাসর রাতের কথা। কত লাজুক লাজুক সেই অনুভূতি! চোখ তুলে রবির দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছিলাম না আর রবিও হুট করে সেদিন লাজুক হয়ে গেছিল। দু'জনই আসামীর মত মাথা নিচু করে বসে ছিলাম। সেই দিনটার স্মৃতি আজ চোখ ভরা জল নিয়ে ভাবছি।
মনে পড়ছে আমাদের টু ইন বেবীর গল্প, মনে পড়ছে বেবীদের নাম রাখা নিয়ে আমাদের সেই টক মিষ্টি ঝগড়ার কথা।
সব আজ স্মৃতি হয়ে গেছে শুধুই স্মৃতি।
হে আল্লাহ এত কিছু সইবার ক্ষমতা কেনো দিচ্ছো? সব সহ্য ক্ষমতা তুলে নাও। কি লাভ এত কিছু সহ্য করে এই বেঁচে থেকে? একজন অক্ষম নারী তার স্বামীকে অন্য একটা নারীর সাথে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে কতটা নির্লজ্জের মত বেঁচে আছে! এই লজ্জা এই অপমান নিয়ে আমি এখনো নির্লজ্জের মত শ্বাস নিচ্ছি।
আমি বন্ধ্যা আমার এই অক্ষমতা ঢাকবার মত পৃথিবীতে এমন কোনো গোপন স্থান আছে কি?
নেই, কোত্থাও নেই। আট বছরের সংসার জীবনে আমাদের কোনো সন্তান হয়নী। একটা বেবী এডপট করতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু শ্বাশুড়ী মা সরাসরিই রবি কে বললেন-
--কার না কার পাপের ফল অনাথ আশ্রমে রাইখা আসে, বৈধ সন্তান হইলে ঠিকই কোনো না কোনো আত্মীয় ঐ বাচ্চার দায়িত্ব নিতো। আর ঐ সব পাপ আমি আমার সংসারে রাখতে পারবো না। বউ বাচ্চা দিতে পারতেছে না এইটা তার অক্ষমতা তাই তাকে বল তোর দ্বিতীয় বিয়েতে সে যেনো সম্মতি দেয়।
আমি আর রবি দু জনই আম্মার রুমে দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনছি। কথা গুলো শুনছি আর আঁচল দিয়ে চোখ মুছতেছি। রবি সংসারের কোনো ব্যাপারে কথা বলে না কিন্তু একটা এডপট বেবী আমিই ওর কাছে আবদার করে ছিলাম। কিন্তু এই বাড়িতে শ্বাশুড়ী মায়ের বিনা হুকুমে কিছুই হয় না। তাই একটা এডপট বেবী চাই সেই দরখাস্ত নিজের মায়ের কাছে দিতে গিয়েই এত কথা শুনতে হলো রবিকে। অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর রবি বললো-
--আম্মা দত্তক বাচ্চা বাসায় উঠতে দেবেন না ঠিক আছে তাই বলে সন্তানের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করবো এটা কেমন কথা?
--এইটা কেমন কথা বলতেছিস তুই রবি? তুই আমার একটাই ছেলে আর সে যদি নিঃসন্তান হয় তাহলে বংশ তো এখানেই শেষ! আট বছর অপেক্ষা করেছি আর নয় এবার আমি নাতীর মুখ দেখতে চাই!
--আম্মা একটু বোঝার চেষ্টা করেন, এই যুগে মানুষ দ্বিতীয় বিয়েটাকে ভালো চোখে দেখে না। আর নয়নার কি হবে?
--মানুষের ভালো দেখাদেখি দিয়ে তো আর আমার চলবে না! আর নয়না তোর দ্বিতীয় বিয়ের পর যদি এই বাড়িতে থাকতে চায় তবে থাকবে আর না চাইলে বাপের বাড়ী চলে যাবে।
--এটা কেমন কথা আম্মা? এটা তার সাথে অন্যায় করা হবে!
--তোকে ন্যায় অন্যায় নিয়ে ভাবতে হবে না। তুই যদি বিয়ে না করিস তবে এই মুহূর্ত থেকেই আমি আহার ত্যাগ করলাম।
দু'দিন হলো আম্মা পানি পর্যন্তও খায়নী। বয়স্ক মানুষ সুগার আছে,অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার আনা হয়ে ছিল কিন্তু ডাক্তারকে উনি তার রুমে ঢুকতে দেননী। সারা বাড়ি জুড়ে অশান্তি বিরাজ করছে। রবির মুখের দিকে তাকাতে পারছি না, কি যে বলবো বুঝেই উঠতে পারছি না। দু দিন ধরে আমরা দু টো মানুষ দুই ধরনের লজ্জায় কেউ কারো মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। আমার লজ্জা আমি বন্ধ্যা আর রবির লজ্জা তার মা তাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেবার জন্য এত কঠর একটা পণ করেছে সেটা। আমি কিভাবে সব কিছু ম্যানেজ করবো ভেবে পাচ্ছি না আর রবিকেই বা আমার কি বলা উচিত! তবুও কিছু বলাটা জরুরী কারণ নিজেকে অপরাধী রূপে আর দেখতে পারছি না। একটা সন্তান জন্ম দিতে পারছি না, বংশ রক্ষা করতে পারছি না এই কষ্ট কি একাই ওদের? আমার কি কষ্ট হয় না? আমার হৃদয় কি ক্ষতবিক্ষত হয় না?
মা হতে না পারার অক্ষমতার যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখে বললাম-
--তুমি দ্বিতীয় বিয়ে করো রবি
কথাটা বলতে মুখ না আটকালেও বুকটা যে আটকালো সেটা শ্বাস নিতে গিয়েই টের পেলাম। রবির আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো-
--তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে নয়না?
--একবার ভেবে দেখো রবি আম্মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে এভাবে আর দু দিন চললে উনি আর বাঁচবেন না। আর আমি কারো মৃত্যুর দায় ভার নিতে পারবো না।
--কিন্তু আমি কি ভাবে আরেকটা বিয়ে করতে পারি বলো?
--পারবে, অনেকেই পারে।
--অনেকের কথা জানি না, আমি জানি তোমাকে ছাড়া অন্য নারীর কথা আমি ভাবতেও পারি না।
--আমি এসব শুনতে চাই না রবি।
--একটা অশান্তি নিভাতে গিয়ে আমি চিরকালের অশান্তি বাড়িতে আনতে পারি না।
--কি করবে তাহলে? যাও তোমার মাকে সুস্থ করো।
--আমি কি করবো নয়না তুমি বলে দাও?
কথাটা বলেই রবি হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করলো। কি শান্তনা দেবো তাকে? আর নিজেকেই বা কি বলে বোঝাবো? তবুও আমার কিচ্ছু করার নেই। আমার সামনে এই একটাই অপশন হলো আমি নিরুপায়।
আমি শ্বাশুড়ী মায়ের রুমে গিয়ে বললাম-
--আম্মা রবি বিয়ে করতে রাজী হয়েছে আর আমিও রাজী। আপনি প্লীজ এখন খেয়ে নিন!
--বাচ্চা ভোলাতে এসেছো? রবি এসে আমার মাথায় হাত রেখে কসম করলে তবেই আমি খাবো এখন তুমি যাও আর অকারণে আমার রুমে আসবা না।
আমি হতাশ হয়ে ফিরে এলাম। ছলছল জল নিয়ে রবির দিকে তাকিয়ে বললাম-
--প্লীজ একবার রাজী হয়ে যাও!
রবি অসহায়ের মত আমার দিকে চেয়ে আছে। শ্বাশুড়ী মায়ের শারীরিক অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ কারণ উনি খাবারসহ ঔষধ খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। আজ যদি উনার নিজের মেয়ে থাকতো আমার পজিশনে তবে কি উনি এমনটা করতে পারতেন?
আমি রবির পায়ে পড়ে হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম। রবি আমাকে টেনে দাড় করিয়ে বললো-
--এই পাগলী নিজের কথা ভেবেছো একটি বার?
যে নারী সন্তান জন্মদানে ক্ষমতা রাখে না তার বোধ হয় নিজের কথা ভাবা উচিত নয়। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম-
--ভেবেছি তো! আমি জানি তুমি সারাটা জীবন আমাকে ভালোবাসবে। আর তোমার সন্তানকে বুকে নিয়েই আমি মাতৃসুখ অনুভব করবো।
আমার কথা শুনে রবি হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করলো। আমি জানি রবি তুমি সারা জীবন আমাকে ভালোবাসতে পারবে না। আমি এই পরিবারের ছাই ফেলা ভাঙা কুলো হয়ে যাবো।
অবশেষে রবির খালাত বোন ভূমিকে বিয়ে করতে রাজী হলো রবি।
এই সব নানান ভাবনায় আমার রাত শেষ হলো।
ভোর হয়ে গেছে ছাদে গেলাম প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন করতে। কিন্তু আকাশ বাতাস প্রকৃতি সব কিছুকেই ধূসর মনে হলো তাই চলে এলাম। নাস্তা রেডী করলাম, এতটা বছর ধরে এই সংসারের সব কাজ আমিই করেছি, অথচ আজ নিজেকে বাড়ির বুঁয়া মনে হচ্ছে। কি আজব মানুষের অনুভূতি! স্বামী থাকলে কাজ করাকে সংসার করা মনে হয় আর স্বামী বিহীন কাজ গুলো দাসী বানিয়ে দেয়। অথচ এই সংসারটার জন্যই আমি উচ্চ শিক্ষিত হওয়া শর্তেও কোনো চাকরী করিনী আর সেই সংসারেই আমি আজ গ্রেজুয়েট দাসী।
আমি টেবিলে খাবার রেডী করতেই নতুন বউ রুম থেকে বাহিরে এলো। ভূমির চোখে মুখে লাজুক লাজুক খুশি ছড়িয়ে আছে, সেটাই তো স্বাভাবিক কারণ বাসর রাত একজন নারীর জীবনে শত জনমের শ্রেষ্ঠ্য রাত। একটা রাত একই বাড়িতে দুটো নারীর দুই ভাবে পোহালো।
আমি রবির জন্য অপেক্ষা করছি সে কখন বাহিরে আসবে! সারাটা রাত ওকে দেখিনী। সারা রাত কি অনেক দীর্ঘ সময়? আমার কাছে তো এক যুগ মনে হয়েছে।
রবি আধা ঘন্টা পরে বেরিয়ে এলো, আমার চোখের সাথে সে চোখ মেলাতে পারছে না কিন্তু আমি অপলক ওর দিকে চেয়ে আছি। আমি ওকে খাবার বেড়ে দিতে যেতেই ভূমি আমার হাত থেকে খাবারের বাটি নিয়ে বললো-
--আমি দিচ্ছি
আমি ওখান থেকে সরে আসতেই রবি বললো-
--নয়না খাবার বেড়ে দাও
রবির কথা শুনে আমার চোখে জল চলে এলো, মরার চোখে যে কি হয়েছে কারণে অকারণেই শ্রাবণ বয়! আমি মাথা নিচু করে রবিকে খাবার বেড়ে দিচ্ছি হঠাৎ টপটপ করে কয়েক ফোটা অশ্রু রবির হাতে পড়তেই রবি চমকে উঠে আমার দিকে তাকালো। আমি চোখ মুছে রুমে চলে গেলাম।
কি করে আমার রাত দিন কাটবে রবি? কি ভাবে আমি বেঁচে থাকবো তোমাকে ছাড়া? এত বড় জীবনটা কবে ফুরাবে?
রবি নাস্তা না করেই আমার রুমে এলো। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললাম-
--উঠে এলে কেনো? যাও নাস্তা করে নাও
রবি কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকলো। আমার মনে পড়ে গেলো আমার বিয়ের পরের দিনের কথা। রবি নাস্তার প্লেট রুমে এনে বলে ছিল-
--এই যে দেখো নাস্তার প্লেট, কি ভেবেছো তোমার জন্য এনেছি? উ হু এখন তুমি আমাকে খাইয়ে দেবে।
নতুন বিয়ে হয়েছে, কি লজ্জার কথা! তবুও সেদিন রবি জোর করে আমাকে খাইয়ে দিতে বাধ্য করে ছিল। এছাড়াও এই আট বছরে অসংখ্যবার আমি তাকে খাইয়ে দিয়েছি। আমাদের মধ্যে সব ছিল, ভালোবাসা, মায়া, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, শুধু একটা সন্তানই ছিল না। একটা শূন্যতা এত গুলো পূর্ণতাকে ভুল প্রমান করে দিয়েছে। এত এত স্মৃতি আমি কোথায় লুকিয়ে রাখবো আল্লাহ্? কোথায় বা নিজেকেই লুকাবো?
--রাতে একটুও যে ঘুমাওনী সেটা তোমার চোখ বলে দিচ্ছে নয়না
--তুমিও তো ঘুমাওনী তাই না?
আমার কথা শুনে রবি অপরাধীর মত মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইল। এই কথাটা বোধ আমার বলা উচিত হয়নী! নিজে তো কষ্ট পাচ্ছি আর সারাটা জীবন এই কষ্ট বয়ে বেড়াবো তাই বলে মানুষটাকেও কষ্ট দেবো? নাহ এটা অনাচার হবে। মানুষটার চোখ দুটোও জলে ভরে গেছে। আমি নিজেকে স্বাভাবিক করে বললাম-
--আজকেও কি তোমাকে আমার খাইয়ে দিতে হবে?
আমার কথা শুনে রবি আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করলো। আমিও আর নিজেকে সামলে নিতে পারলাম না। রবির বুকে মুখ গুঁজে আর্তনাদ করে কাঁদলাম। জানি এর পর হয়ত আর কখনোই ওর বুকে মুখ গুঁজে কাঁদার ভাগ্য আমার আর হবে না। স্বামীর ভাগ দিইনী আমি, আমার স্বামী পুরোটাই অন্যের হয়ে গেছে।
বিয়ের এক মাস পর রবির নতুন বউ কন্সিভ করলো। সারা বাড়িতে খুশির হাওয়া বইছে। রবির মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম যে, আট বছর ধরে এই খুশিটাকে সে আড়ালে লুকিয়ে রেখে ছিল। আমি অভাগীনি বলেই এতটা বছর এই খুশিটাকে বাহিরে আনতে পারিনী। হয়ত সে অনেক কষ্টও চেপে রেখে ছিল যা আমাকে কখনো টের পেতেও দেয়নী।
আজকাল সবাই নতুন বউ ভূমিকে নিয়ে খুব ব্যস্ত। আমার চোখের সামনে আমার ভালোবাসার মানুষটিও একটু একটু করে বদলে গেলো।
রবিও নিজের গর্ভবতী বউয়ের যত্নের ত্রুটি রাখে না। টাইমলী খাবার খাওয়ানো ঔষধ খাওয়ানো সব কিছুর সে খেয়াল রাখে। আমার কথা ভাবার মত কেউ নেই এ বাড়িতে।আমি খেলাম কি খেলাম না তার খোঁজ কেউ রাখে না। বরং ভূমির যত্নের ত্রুটি হলে রবির কাছে আমাকে জবাব দিহি করতে হয়। শ্বাশুড়ীমা ভূমির ঘরে আমাকে যেতে দেয় না, যদি আমি ভূমির গর্ভের বেবীর কোনো ক্ষতি করে ফেলি সেই ভেবে। যার ভেতরের মা হবার এত আকাঙ্খা সে কি করে পারবে কোনো অনাগত শিশুর ক্ষতি করতে? সতীনরা বোধ হয় এমন নিম্ন শ্রেণীর কাজ করতেই পারে!
আমি এ বাড়ির পার্মানেন্ট বুঁয়া হয়ে গেলাম। দিন রাত পরিবারের সবার খেয়াল রাখাটা বোধ হয় বুঁয়ার কাজ নয়। কিন্তু স্বামী বিহীন এই সংসারে আমার অবস্থান কোথায় সেটা কি কেউ বলতে পারবে?
আমার বাবা বহুবার এসেছে আমাকে নিতে কিন্তু আমি যাইনী। কিছু না হোক রোজ তো রুবিকে দেখতে পাই এই টুকুই বা কম কিসে? কিন্তু এ বাড়ির কেউ এই টুকুও আমাকে দিতে চায় না।
রবির ছেলে অবিকল রবির মত দেখতে হয়েছে। আমার স্বামীর সন্তান অথচ ঐ সন্তানের মা আমি নই এমন কি ঐ বাচ্চাটাকে আমার কোলে নেয়ার কোনো অধিকারও নেই, আমি বন্ধ্যা তাই কল্যাণ অকল্যাণ বলেও তো কিছু কথা থাকে।
আজকাল সেই কল্যাণ অকল্যাণ রবিও মানে। সেটা দেখে অবশ্য আমি অবাক হইনা কারণ নিজের সন্তানের প্রতি এমন দূর্বলতা প্রতিটা বাবারই থাকে।
রোজ নিজের এই অবহেলিত রূপ দেখে দেখেও আমি মাটি কাঁমড়ে এ বাড়িতেই পড়ে আছি। কিন্তু বাচ্চাটার অসুখ করলেই ভূমি বলে আমার মত বাঁজা নারীর দৃষ্টি লেগে নাকি বাচ্চা অসুস্থ। আল্লাহ আর কত লাঞ্ছনা আমার কপালে লিখে রেখেছো? নিজের স্বামীকে ভালোবাসার দায়ে এর চেয়ে যদি আমার ফাঁসি হতো তবুও হয়ত সম্মান নিয়ে মরতে পারতাম।
আর এই ধরনের কথা রবিও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। এক দিন রবি আমার রুমে এসে বললো-
--নয়না আমি একটা বাসা দেখেছি তুমি গোছ গাছ করে নাও, এখন থেকে তুমি ওখানেই থাকবে
--কেনো রবি?
--রোজ অফিস থেকে ফিরে একই রকমের অশান্তি আর ভাল্লাগে না
--আচ্ছা ঠিক আছে
কথাটা বলেই রবি চলে যাচ্ছিল, আজকাল রবি আমার রুমে আসাই ভুলে গেছে। আমি ওকে পেছন থেকে ডেকে বললাম-
--সেই নতুন বাসাতে মাঝে মাঝে তুমি যাবে তো?
সে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো-
--যাবো, তোমার খরচাদি দিতে যেতে তো হবেই
এক বছর ধরে আমি এই নতুন বাসাতে একা থাকি না, একটা পথশিশুকে নিজের কাছে রেখেছি। ওর নাম দিয়েছি আঁখি। পাঁচ বছরের আঁখি রাস্তায় ভিক্ষা করতো। এক দিন ওর সাথে আমার দেখা হয় রাস্তায়, ভিক্ষা চাই ছিল। সে জানেই না তার বাবা মা কে। এমন কি ওর নিজের নামটাও ছিল না। কত বছর ধরে সে পথে পথে ভিক্ষা করতো সেটাও সে জানতো না।
আমি একটা বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকতা করছি, আঁখিকেও স্কুলে ভর্তি করেছি। আঁখি আমাকে মা বলে ডাকে। রবি মাসে এক দু বার আসে কিন্তু দশ পনেরো মিনিটের বেশী থাকে না। আমি আর রবির থেকে কোনো টাকা নিই না। আমাদের মা মেয়ের সংসার আমার অল্প রোজগারেই বেশ চলে যায়। রবির টাকার দরকার আমার কোনো কালেও ছিল না, চেয়ে ছিলাম রবিকেই। সেই রবি আমাকে ভুলে যায়নী, বাস্তবতা রবির মন থেকে নয়নাকে মুছে দিয়েছে। আর বাস্তবতাই হয়ত একজন বন্ধ্যা নারীকে আঁখির মা বানিয়ে দিয়েছে।
#সমাপ্ত
বিঃদ্রঃ গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক তাই বিতর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়।
২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বন্ধ্যা
মিথী' লিঙ্ক এর পর আবার লিঙ্ক দিতেই ভয় লাগছে
তাও দিলাম নীলআকাশ ৩৯ আপনার সুবিধার জন্য। লেখাটা ২৩-০১-২০১৮ তে ক্যানভাস ফেসবুক গ্রুপে প্রকাশিত।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম লিংক ২ টা কাজ করছিল না। আমি খুলে দেখি অন্য কিছু, তাই বলছিলাম খুজে পাচ্ছি না। আপনিও দেখুন। লেখাটা দিয়ে ভালো করেছেন। খুব কমন একটা টপিক। আগে পড়ে দেখি উনি কি এ্যাংগেল থেকে লিখেছেন। একটু সময় দিতে হবে।
২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @মনিরা আপা, এখানে তো দেখি পুরোই আলৌকিক ব্যাপার চলছে!!
২৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @মিথি আপু আপনাকেও ধন্যবাদ, একটি আলৌকিক ব্যাপার আমাদের সামনে আনার জন্য।
২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @লেখককে বলছিঃ অনুগ্রহ করে এই পোষ্টটি ড্রাফট করবেন না। আমাদের অনুমুতি ব্যতীত এই পোষ্টটি ড্রাফট করলে আমরা পুনরায় তা ফিরিয়ে আনব। এই পোষ্টে কিছু বিষয়ে আলোচনার সুযোগ আছে, যা সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ন। শুধু মাত্র আমরাই প্রয়োজন বোধ করলে বা উপযুক্ত প্রেক্ষাপট তৈরী হলে এই পোষ্টটি ড্রাফট করার সুযোগ থাকবে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমি একটু আগেই বলেছি আমাকে সময় দিতে ভালো করে পড়ার জন্য। আমি তো নিজেই চেয়েছি পড়ার জন্য। এই লেখা টা পড়ার পর আমি সম্পুর্ণ মন্তব্য করব। কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই কে বলছি, আমি প্রকাশিত একটা লেখা কেন আবার ড্রাফটে নিব? এরকম আজগুবি চিন্তা কিভাবে আপনার মাথায় আসলো? ড্রাফটে নিয়ে কি হবে? আলৌকিক ব্যাপার এর কিছুই নেই এখানে। আমি খুবই কমন একটা টপিক নিয়ে লিখেছি। দুই জন কোন দিক নিয়ে আলোকপাত করেছে সেটাই আসল।
ধন্যবাদ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: কাল্পনিক ভাই, নীচে আমার কথা গুলি ব্যাখ্যা করেছি। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য দেরী হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা পড়ে লগ ইন করলাম মন্তব্য করব বলে। কিন্তু তারপর সবকটা মন্তব্য পড়ার পর এখন কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা.......
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আমি সত্য লজ্জিত যে সেই সময় আপনার এই মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য করে যেতে পারিনি। আশা করি নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন। ঐ সময়ে আমি অন্য বিষয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি কিন্তু এখনও এই আমার এই লেখাটা আপনার কেমন লেগেছিল সেটা জানতে চাই।
শুভ কামনা রইল।
২৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার জীবনের গল্প।
কিন্তু গল্প পড়ে নিচে মন্তব্যের মিথী ও মনিরা আপার দেওয়া গল্প পড়ে একটু টাসকি খেলাম। এত মিল হয় কি করে? শুধু চরিত্রের নামগুলো ছাড়া গল্পের খুব একটা হেরফের নেই। থিমটা পুরোপুরি এক। অলৌকিকই বটে।
এরকমভাবে মিলে গেলে লেখকের খারাপ লাগারই কথা। বিশেষ করে লেখক যদি ঐ গল্প কখনও না পড়ে থাকেন।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনাকে আলাদা করে কি বলব বুঝতে পারছি না। কষ্ট করে নীচে আমার বক্তব্য ব্যাখ্যা করেছি সেটা যদি পড়ে আসতেন!
৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন ভাই, আমাদের কতিপয় ব্লগারদের উপর পর্যবেক্ষন রয়েছে। সেই পর্যবেক্ষনের সুত্র হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে গঠনমুলক সমালোচনার কোন মুল্য নেই। চলছে পিঠ চাপড়া চাপড়ি কমেন্ট আর ব্লগিং। প্রমান উপরেই আছে, যেমন সনেট কবি এবং উনার সহ নিক। আপনি ১০০টা পোষ্ট পড়বেন, সেখানে উনার মন্তব্য পড়লাম, বেশ ছাড়া কিছুই না। শুধু মাত্র মন্তব্য করার জন্য মন্তব্য - এই সব ফেসবুকে চলে, ব্লগে না।
আখেনাটেন ভাই সহ সকলকে জানাতে চাই যে, আমরা ব্লগে মান বজায় রাখতে সকলেই চেষ্টা করছি। আপনারা দেখেছেন সম্প্রতি ব্লগারদের জন্য একটি অ্যাপ নির্মানের প্রাথমিক কাজও শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা শতভাগ চেষ্টা করছি আমাদের ব্লগের কন্টেন্টের মান বৃদ্ধির জন্য। আমরা ব্লগের কন্টেন্টের মান বৃদ্ধির জন্য সাংঘর্ষিক হবে এমন কোন কিছুকে গ্রহণ করবো না।
পাশাপাশি, কেউ যদি কোন ভুল করে থাকেন, সেই ব্যাপারে তিনি যদি সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেন, তাহলে বিষয়টি সম্পূর্ন মিটে যাবে। আমরা যুক্তিতে বিশ্বাস করি, আলৌকিকত্বে না।
৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বর্তমানে গঠনমুলক সমালোচনার কোন মুল্য নেই। -- মন্দ বলেন নি কাভা ভাই। কিছু ব্লগারের কর্মকান্ড ভীষণ হতাশার। আমিও একজন জনপ্রিয় ব্লগারকে অনেকদিন থেকে লক্ষ করছি। বেশ ভালো লেখেন। অামি নিজে কিছু ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলাম। তির্যকভাবে উনি আমার সে কথাকে ফেলে দিলেন কোনো প্রকার যুক্তি ছাড়াই এবং অবশ্যই বিনয়ের অবতার হয়ে। অাপনি প্রোগ্রামিং না জেনে যদি অন্যকে এ বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেমন লাগে বলেন তো? এছাড়াও ইঙ্গিতে উনার কিছু অনৈতিক ব্লগিং নিয়েও সতর্ক করেছি। কিন্তু যে লাউ সেই কদু। এগুলো ব্লগিং এর সমস্যা বাড়ায়।
অার গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে যদি খাস্তা খেজুর টাইপের উত্তর 'ধন্যবাদ' 'শুভেচ্ছা' কিংবা অপ্রয়োজনীয় ব্লাবারিং পাওয়া যায়, সেখানে এই রকম মন্তব্য করতেও উৎসাহ পাওয়া যায় না।
পাশাপাশি, কেউ যদি কোন ভুল করে থাকেন, সেই ব্যাপারে তিনি যদি সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেন, তাহলে বিষয়টি সম্পূর্ন মিটে যাবে। আমরা যুক্তিতে বিশ্বাস করি, আলৌকিকত্বে না। -- আমরাও আশাই থাকলাম।
শুভ হোক সবার ব্লগিং এর পথচলা।
৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
পাঠক০০৭ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে কমেন্ট পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ! এতটা মিল কিভাবে থাকতে পারে? মিল কাছাকাছি থাকতে পারে, কিন্তু এখানে দেখলাম, গল্পের নামে, ঘটনা প্রবাহে সব দিক দিয়াই মিল আছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার।
যাইহোক, কাভা ঠিক বলেছেন, বর্তমানে গঠনমুলক সমালোচনার কোন মুল্য নেই। এই পোষ্টেই তো দেখলাম, লেখক সাহেব মেয়েদের কমেন্টের জবাব দিচ্ছেন, কিন্তু যে কমেন্টে সমালোচনা করা হইছে, সেই কমেন্টের কোন খবর নাই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগের বাইরেও আমার একটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন আছে। এর মাঝে সময় বের করা যথেষ্ট কঠিন। তারপর যেহেতু আমার ব্লগে এই রকম মন্তব্য এসেছে তাই কষ্ট হলেও ব্যাপক ভাবে নীচে উত্তর দিলাম। আমার লেখায় প্রতিটি মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য দেয়া আমি কর্তব্য মনে করি। কষ্ট করে নীচে পড়ে আসুন।
এই পোষ্টেই তো দেখলাম, লেখক সাহেব মেয়েদের কমেন্টের জবাব দিচ্ছেন, কিন্তু যে কমেন্টে সমালোচনা করা হইছে, সেই কমেন্টের কোন খবর নাই। - শুধু শুধু নিজেকে ছোট করছেন কেন? আমি উপরে কার মন্তব্যের উত্তর দেই নি, বলুন তো? আমি তো বলেই নিয়েছি আমার সময় লাগবে। না পড়ে, খুটিনাটি না জেনে কিভাবে উত্তর দেব? বলুন? আন্দাজে, যে ভাবে আপনি এই মন্তব্যটা করলেন?
ধন্যবাদ।
৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২২
তারেক ফাহিম বলেছেন: জীবনের গল্প পড়ে মন খারাপ হলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই তারেক, মন খারাপ করার মতোই গল্প এটা, মজার কিছু না এটা। জীবনের এই সব বাস্তবতা গুলি খুব কঠিন আর নির্মম হয়। এই মেয়েদের জীবন যে কতটা কষ্টের সেটা আমি কেন, কোন লেখকই লিখে বুঝাতে পারবো না। প্রতি পদে পদে কত লান্ছনা এদের সহ্য করতে সহ্য করতে হয় তার কোন শেষ নেই!
শুভ কামনা রইল।
৩৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্পটার রেশ কেটে গেল মন্তব্যের ঝড়ে
দুটোই পড়লাম।
থিমটা একই ছাঁচের হলেও ব্লগের গল্পে শুরুর যাতনা, চিকিৎসা, ভারত যা্ওয়া, একাকী সার্ভাইব করা, ভাল মানুষ চরিত্রগুলো
, চাকুরী বাজারের বাস্তবতা, এইরকম অনেক খুটিনাটি কাজ ফেসবুকেরটা থেকে পৃথক এবং ডিটেইলড বলেই মনে হল।
যদিও ফ্রেমিং ষ্ট্রাকচারটা মোষ্টলি সেইম! শুরু এবং সমাপ্তীর ধাঁচ একই।
দেখা যাক, লেখক কি বলেন।
উনার ট্রু কনফেস আশা করছি।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আমি লজ্জিত কালকে আপনার প্রতি মন্তব্য না করার জন্য। আমি আসলে ফ্যামিলির কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম তার উপরে আবার বিশাল ব্যাখ্যা লিখতে হয়েছে। স্যরি।
থিমটা একই ছাঁচের হলেও ব্লগের গল্পে শুরুর যাতনা, চিকিৎসা, ভারত যা্ওয়া, একাকী সার্ভাইব করা, ভাল মানুষ চরিত্রগুলো
, চাকুরী বাজারের বাস্তবতা, এইরকম অনেক খুটিনাটি কাজ ফেসবুকেরটা থেকে পৃথক এবং ডিটেইলড বলেই মনে হল। - একমাত্র আপনাকেই পেলাম যে আসলে গল্প টা খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছেন। নীচ যদিও আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি তারপরও আমার মনে হলো আপনাকে আসলেও ধন্যবাদ দেয়া দরকার।
যদিও ফ্রেমিং ষ্ট্রাকচারটা মোষ্টলি সেইম! শুরু এবং সমাপ্তীর ধাঁচ একই। - আমি একটা খুব কমন টপিক নিয়ে লিখেছি। বন্ধ্যাত্ব নিজেই আসলে ফ্রেমিং ষ্ট্রাকচার, আমি পাঠকদের কে এটা প্রথমে দেখিয়ে মিথিলার ফাইটব্যাক দেখাতে চেয়েছিলাম, ওটাই ছিল থিম, যারা মিল খুজে পে্য়েছে বন্ধ্যাত্ব শব্দ টাতে, আর কিছু না। শুরু টা অবশ্যই এক নয়, আবার পরে দেখুন।
আপনাকে পেয়ে ভালোই লাগলো।
শুভ সকাল এবং শুভ কামনা রইল।
৩৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
যবড়জং বলেছেন: গল্পের শেষ অংশে সে ভালো আছে জেনে ।ভালো লাগলো , বাস্তব এমন হলে কতই না ভালো হতো ।।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক এটাই আমি দেখাতে চেয়েছিলাম। বাস্তব এমন হলে কতই না ভালো হতো - ঠিক বলেছেন।
এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প এটা, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প এটা, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প এটা........আমি পুরো লেখায় মেয়েদের পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে ঘুরে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না...
শুভ কামনা রইল।
৩৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাদের গল্পটা পড়েছি, সত্য কথা হচ্ছে বেশ ভাল ভাবেই পড়েছি। আমিও আসলে জানতে চাচ্ছিলাম ঘটনা কি? এই লেখাটা পাবার পর আমি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে এর আরও কয়েক টা ভার্সন পেয়েছি, মোটামুটি একই ধরনের। যাই হোক, যেটা নিয়ে কথা উঠেছে সেটা নিয়েই আলোচনা হোক।
১। কাল্পনিক ভাই আসলেও ঠিক কথা বলেছেন, নাম টা অন্যরকম হতে পারত, মিথিলা বা জীবন যুদ্ধে একা বা এমন কোন নাম যেখানে বন্ধ্যা শব্দ টা নেই। তাহলেই কোন সমস্যাই হতো না। আমি নিজে বলছি টাইপের নাম দিতে যেই ঝামেলা পাকিয়েছি। শিরোনাম টা মিলে যাবার কারনে সব সমস্যা শুরু হয়েছে, কেন সেটা নীচে বলছি………
২। বন্ধ্যা খুব কমন টার্ম। আমি আমার লেখাতে বিষদ ভাবে ব্যাখা করেছি মিথিলার অসুখ কি, কেন সে বন্ধ্যা। ইভেন, এটার জন্য আমাকে ইন্টারনেটে ভালো ভাবে আমাকে ঘাটাঘাটি করে অসুখ টা বের করতে হয়েছে, কিভাবে তার চিকিৎসা হয়েছিল সেটাও বলেছি। বিবাহিত দম্পতিদের বাচ্চা নেবার জন্য প্রকৃয়া এটাই। ওই গল্পে কি সেটা আছে? খুজে বের করুন কোথায় সেটা ওই গল্পে?
২। সাগর আমার এখানে একজন টাইপিক্যাল স্বার্থপর স্বামী বা ছেলে। যখন প্রয়োজন ছিল পছন্দ করে ঘুরেছে, বিয়ে করেছে আবার যখন বুঝেছে মিথিলা কিছু দিতে পারবেনা, স্বার্থপরের মতন মায়ের সাথে মিলে দ্বিতীয় বিয়ে স্বেচ্ছায় করেছে। পরে দরকার মতন নিজেই আলাদা করে দিয়েছে। ওই গল্পে কি সেটা হয়েছে? অনর্থক স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু তে প্রেম পিরিতি দেখিয়ে পরে আবার আলাদা করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিল কোথায় পেলেন আপনারা, বলুন?
৩। দ্বিতীয় বউ আমার কাছে নিতান্ত নগন্য চরিত্র, আমি নাম পর্যন্ত দেই নি, কি দরকার, আমি তো মিথিলার ফাইট ব্যাকের গল্প লিখব, শুধু শুধু অনর্থক চরিত্র বাড়িয়ে লাভ কি? মিলিয়ে দেখুন?
৪। বাচ্চা দত্তক নেয়ার কাহিনী আমি কোথায় লিখেছি, খুজে বের করুন? স্বার্থপর স্বামী সাগর তো নিজেই বিয়ে করতে চায়, দত্তক নিবে কেন?
৫। শ্বাশুড়ি চরিত্র টা গিট্টু লাগিয়ে দিয়েছে। টাইপিক্যাল শ্বাশুড়ি দেখাতে যেয়ে কিছুটা মিলে গেছে কিন্তু কখনই এটা আমার গল্পে মুখ্য চরিত্র ছিল না। তার একটা সরাসরি ডায়ালগ ও আমি ব্যবহার করিনি। একে ক্যাটালিস্ট হিসেবে আমি নিয়ে এসেছি তাড়াতাড়ি মিথিলা কে একাকি করার জন্য, কারন আমার গল্প শুরুই হয়েছে মিথিলা যখন পুরোপুরি একা হয়ে গেল। মিলিয়ে দেখুন?
৬। মিথিলার একা থাকা থেকেই আমি আমার গল্প শুরু করেছি। আগের সব কিছু শুধু ফ্ল্যাস ব্যাক। রেফারেন্স দেবার জন্য। মিথিলার একাকি জীবন সে কিভাবে শুরু করেছিল, কিভাবে তার জীবন কাটছিল, চাকরি করতে যেয়ে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হলো সেটা বিষদ ভাবে ব্যাখা করেছি। কিভাবে সে তার চাকরি টা পেল সেটা বিষদ ভাবে ব্যাখা করেছি। অভিজ্ঞতা ছাড়া যে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলেও যে মামা চাচা না থাকলে চাকরি পাওয়া যায় না সেটা দেখিয়েছি। ওই গল্পে কোথায় সেগুলি, খুজে বের করুন, দরকার পরলে আমার প্রপিক থেকে আমার দুরবিন টাও কাজে লাগাতে পারেন। খুজে বের করে আমাকে জানান?
৭। বাড়িওয়ালা, তিন তলার ভাবী, ইন্টারভিউ এর দুই জন ভদ্রলোক, প্রধান শিক্ষিকা এই চরিত্র গুলি ওই গল্পে খুজে বের করুন। দেখুন অলৌকিক ভাবে কিছু বের করতে পারেন নাকি? আমি এদের কে ডেলিবারেটলি নিয়ে এসেছি আমাদের সমাজের ভালো মানুষদের প্রতিনিধি হিসেবে। এখানেও দরকার পরলে আমার প্রপিক থেকে আমার দুরবিন টাও কাজে লাগাতে পারেন। খুজে বের করে আমাকে জানান?
৮। দ্বিতীয় বিয়ের হলুদের গল্প আমি কোথায় লিখেছি ফখুজে পেলাম না। কেউ পেলে আমাকে জানাবেন?
৯। স্বার্থপর স্বামী সাগর এর সাথে মিথলার যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছি। মিথিলার নতুন জীবনে সাগরের কোন ভুমিকাই নেই। ওই গল্পের শেষে পড়ে দেখুন কি লিখেছে?
১০। মিথিলা এখানে এতীম, বাবা মা মারা গেছেন, ভাই ভাবীর জন্য নিজের কাছে নিতে পারেন না, ওই গল্প এই সব কোথায় আছে, বের করে দেখান?
১১। মাতৃত্ব একটা মেয়ে জীবনে পুর্নাঙ্গতা এনে দেয়। বন্ধ্যা একটা মেয়ে জীবনে যেহেতু মা হতে পারবে না, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে এই মেয়েরা তাদের এই অভাব বিকল্প ভাবে পুরন করার চেস্টা করবে। এখানেও দুই গল্পে সেটা দুই ভাবে এসেছে। আবার পড়ে দেখুন।
১২। ওই গল্প যেখানে শেষ, আমার গল্পের মুল থিম সেখান থেকে শুরু। আমি মিথিলাকে অর্থনৈতিক নিরাপদ দেখানোর পরেই তার ইচ্ছে টা প্রকাশ করেছি। সে নতুন করে আবার বাচতে চায়, ভালোবাসতে চায়। আমার মিথিলার গল্প একখানেই শেষে হয়ে যায়নি। তাকে নিয়ে বা তার নতুন জীবন নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে আমার।
১৩। এরকম আরও অনেক কিছু লিখতে পারতাম। আর ইচ্ছে করছে না। যথেষ্ট হয়েছে। গল্প দুইটা কেউ ভালো ভাবে পড়লেই বুঝতে পারবে। আমাকে এত বলতে হবে না।
আমি মনিরা আপু, মিথী আপু আর কাল্পনিক ভাইয়ের পরবর্তি মন্তব্যের অপেক্ষা থাকলাম।
ব্লগের বাইরেও আমার একটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন আছে। এর মাঝে সময় বের করা যথেষ্ট কঠিন। তারপর যেহেতু আমার ব্লগে এই রকম মন্তব্য এসেছে তাই কষ্ট হলেও ব্যাপক ভাবে উত্তর দিলাম। আমার লেখায় প্রতিটি মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য দেয়া আমি কর্তব্য মনে করি।
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল। শুভ রাত্রি।
৩৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আর একটা কথা, আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। এটা আমি আমার আগের একটা লেখায় বলেছি। লেখাটা দুঃখজনক হলেও আজকেই প্রথম পড়েছি। এত বিব্রতকর অবস্থায় পরবো আগে জানলে এই লেখাই দিতাম না। অনিচ্ছাকৃত কিছু মিলে যাওয়ার জন্য আমি কি বলব নিজেই বুঝতে পারছি না!
ধন্যবাদ।
৩৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
আরোগ্য বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। খুবই ভাল লিখেছেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে আমি এত খুশি হয়েছি যে, কি ভাবে আপনাকে কি বলব বুঝতে পারছি না?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার আরো লেখা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
কালকে মনে হয় আরেক টা গল্প দিব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
শুভ কামনা রইল।
৩৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০২
আখেনাটেন বলেছেন: অাপনার ডিফেন্স দেখলাম।
দেখুন একটি গল্প বা উপন্যাসের প্লট থাকে। যেটাকে কংকালও বলতে পারেন। অার বাকি সব মাংস আর মেদ। সেটা কে কীভাবে কত সুন্দরভাবে লাগাতে পারে, সেই মুন্সিয়ানা হচ্ছে লেখকের চমৎকারিত্ব। কিন্তু কংকালটা লেখার মূল।
সমস্যা হচ্ছে আপনার গল্প ও ফেসবুকে পাওয়া গল্পের কংকালটা হুবুহু এক। সেজন্যই পাঠকের ঐ দ্বিধা। তবে আপনি যেহেতু বলছেন 'লেখাটা দুঃখজনক হলেও আজকেই প্রথম পড়েছি। ' সেহেতু আপনার কথাকেই আপাত সত্য বলে ধরে নিতেই হবে।
তবে একটি কথা না বললেই নয়, আপনার প্রতিমন্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সহনশীল হলে খুশি হতুম। খুজে বের করে আমাকে জানান? বের করে দেখুন। তাকান। -- ইত্যাদি শব্দ চয়ন কিছুটা উদ্ধত মনে হয়েছে। কিছু মনে করবেন না এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
আপনি সত্যিই যদি কোনো প্রকার কুম্ভীলকবিদ্যাতে না জড়িয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মানসিক অবস্থাটা আমি কিছুটা অনুধাবন করতে পারছি।
শুভকামনা আপনার জন্য।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: আখেনাটেন ভাই, ফিরে এত রাতে আসার জন্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটা সাজেশন দিয়েছেন, আবার ও ধন্যবাদ।
ভাই, আপনি আমার লেখা আগেও পড়েছেন। মন্তব্যও পড়েছেন। আমি প্রতি মন্তব্যের জন্য যথেষ্ঠ সহনশীল। এই ঘটনা দেবার আগে আমার প্রতি মন্তব্য গুলি পড়ে দেখুন।
আমি আমার লেখাটা লিখতে শুরু করব সেই সময় দেখলাম একজন মন্তব্য করেছে এরকম: এই পোষ্টেই তো দেখলাম, লেখক সাহেব মেয়েদের কমেন্টের জবাব দিচ্ছেন, কিন্তু যে কমেন্টে সমালোচনা করা হইছে, সেই কমেন্টের কোন খবর নাই। এটা কি ধরনের মন্তব্য, শিস্টাচারের কি ধরনের নমুনা এটা? এটা দিয়ে সে কি বুঝাতে চেয়েছে? আপনি বলুন এই ধরনের মন্তব্য পড়ার পর কার মেজাজ ঠিক থাকে? আমিই তো ঐ গল্প টা নিজেই চেয়েছি মিথী আপুর কাছ থেকে, উনি তো প্রথম দেন নি। আমার যদি মাথায় কুবুদ্ধি থাকতো, আমি ওখানেই চুপচাপ হয়ে যেতাম। মনিরা আপুকে দিতে বলতাম না। আমি একটু সময় চেয়েছি ভালো ভাবে পড়ার জন্য। সেটা আমি প্রতি মন্তব্যে বলেওছি। তারপরও এই ধরনের মন্তব্য দেবে? আমার তো ইচ্ছে করছিলো.........। অনেকে কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করেছি।
ব্লগের লেখালিখি অনেক টা নিজের ঘরে খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন! স্বেচ্ছা শ্রমের পর এই ধরনের মন্তব্য পড়লে কার মাথা ঠিক থাকে?
শুভ সকাল।
৪০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫৯
রাকু হাসান বলেছেন:
গল্প মন্তব্য পড়ে ভেবে পাচ্ছি না বলবো । বলার অপেক্ষা রাখে না যে গল্পটি যথেষ্ট ভালো মানের । যা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেটার ভালো একটা সমাধান হোক চাই । প্রসঙ্গ যখন এসেছে তাহলে গঠনমূলক মন্তব্য নিয়ে একটু কথা বলতে চাই ।
কাভা ভাইয়া-
শুনে খুব ভালো লাগছে যে সামু লেখার মান বৃদ্ধিতে প্রতিজ্ঞতাবন্ধ এবং কাজ করছেন । যা খুব ভালো খবর আমাদের জন্য ।
গঠনমূলক মন্তব্য
চেষ্টা করা হয় গঠনমূলক মন্তব্য রাখতে ,তবে সব সময় যে করি ,তাও না । ছোট ছোট মন্তব্য আমিও করি । সম্প্রতি এক ব্লগার খুব অল্প কিছু লাইন লিখে ,ইমোজি ও স্পেস ব্যবহার করে প্রথম পাতায় পোস্ট করে দেয় । ক্লিক করে স্বাভাবিকভাবে হতাশ । সেখানে দেখলাম শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী স্যার গঠনমূলক মন্তব্য রাখলেন । উনার সাথে সহমত জানিয়ে আমিও কয়েকটা লাইন লিখলাম । পোস্টটি কোনো ভাবেই প্রথম পাতায় আসতে পারে না । সে যোগ্যতা নেই । এমন পোস্ট অনেকে এড়িয়ে চলে , অধিকাংশ ব্লগারদের সমালোচনাবা গঠনমূলক মন্তব্য হজম করার শক্তি নেই । তাই হয়ত তারা শুধু অন্যের কাছে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাই না । তারপর নিচে দেখলাম রাজীব ভাইয়াও গঠনমূলক মন্তব্য রাখলেন । অনেকক্ষণ পর তিনি প্রতি উত্তর দিলেন । মানে উল্টো আমাদের একদম ধুয়ে দিলেন । বিন্দুমা্ত্র সৌজন্যবোধ বা অনুশোচনা দেখলাম না । তখন কি গঠনমূলক মন্তব্য রাখার ইচ্ছাটা থাকে ! এমন অনেক হচ্ছে । গঠনমূলক সমালোচনা তো সোনার হরিণের মত ব্লগে । যথাযথ যুক্তি দিয়ে
গঠনমূলক মন্তব্য,দ্বিমত বা সমালোচনা করলেও রেগে যাই । তখন বিষয়টা এমন হলেই হয়ত ভালো হয় ‘ভালো,ভালো লাগছে ,ভালো লিখেছেন ,সহমত ইত্যাদি ইত্যাদি । এতে অনন্ত কেউ মন খারাপ করবে না । কিন্তু এভাবে ব্লগিং করতেও পারবো না । বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত আমি । গঠনমূলক মন্তব্য কে উৎসাহিত করা হোক । ফেসবুকীয় পোস্ট বন্দ করতে ব্যবস্থা নেওয়াে হোক । (বিঃদ্র--এই মন্তবের জন্যও অনেকের কাছে রাগের কারণ হবো ,তবু জানালাম)
শুভরাত্রি ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: রাকু ভাই, আপনার মন্তব্য পড়েছি। আপাতত ঝামেলা টা ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত নতুন বিষয় বা লেখাই দেব না........ আপনার প্রতি মন্তব্য টা পরে করবো। স্যরি।
শুভ সকাল।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: রাকু ভাই, অনেক পরে আসলাম এই লেখা টায়। অনেক ভালো ভালো মন্তব্যেরও উত্তর দিতে পারিনি। মন ভালো ছিলো না। যাই হোক। আমি আমার কথা বলে দিয়েছি, কে কি মনে করল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
গল্প মন্তব্য পড়ে ভেবে পাচ্ছি না বলবো। বলার অপেক্ষা রাখে না যে গল্পটি যথেষ্ট ভালো মানের।
দিন শেষে লেখকের জন্য এটাই আসল পুরষ্কার। আপনাকে ধন্যবাদ বলে আর ছোট করবো না.........।
ভালো থাকবেন আর শুভ কামনা রইল।
৪১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮
আরজু পনি বলেছেন: সময়ের অভাবে মূল পোস্ট আর মনিরার মন্তব্যের গল্প এখন পড়ে শেষ করতে পারলাম না।
তবে আমার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে একটা গল্প লিখেছিলাম। কিন্তু খুব অদ্ভুতভাবে শিরোনাম মিলে যায় ৯৯%। যদিও যার সাথে শিরোনাম মিলে গেছে তারটা অন্য বিষয়ে কবিতা ছিল। আমারটা ছিল গল্প। আমি নিজেও অবাক হয়েছিলাম কেমন করে এটা সম্ভব!! তবে আমার গল্পের শিরোনামের সাথে শতভাগ মিলে যায় এমন গল্প পেয়েছি। করার কিছু নেই। শরৎবাবু না লিখলে আমিই লিখতাম 'চরিত্রহীন' নিয়ে একটা গল্প। ভদ্রলোক আটকে দিয়েছেন।
এই ব্লগে সম্ভবত মাহমুদ এর লেখা একটা গল্প পড়েছিলাম। পরে দেখি প্রায় একই রকম একটা গল্প অন্য একজন নামী গল্পকার লিখেছেন। আমি বলেওছিলাম যে এমন একটা লেখা আগে পড়েছি। নামী গল্পকার এতে খুব মাইন্ড করেছিলেন।
এই গল্পটা আর লিঙ্কের গল্পটা অবশ্যই পড়বো। কাউকে ছোট করতে নয়। বরং বুঝতে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১১
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আমিও অনুরোধ করবো পরুন। তবে পড়ার সময় বা আগে বা মন্তব্য করার আমি যে তুলনা মুলক আলোচনা টা দিয়েছি সেটাও পড়ে দেখবেন। এটা কিভাবে সম্ভব কে কোন জায়গায় কি লিখেছে সেটা মুখস্ত রাখা? অবাক হয়ে আমিই তো ঐ গল্প টা নিজেই চেয়েছি মিথী আপুর কাছ থেকে, উনি তো প্রথম দেন নি। আমার যদি মাথায় কুবুদ্ধি থাকতো, আমি ওখানেই চুপচাপ হয়ে যেতাম। আবার আপুদের কে দিতে বলতাম না। আমি একটু সময় চেয়েছি ভালো ভাবে পড়ার জন্য। সেটা আমি প্রতি মন্তব্যে বলেওছি। কি যে বিপদে পড়লাম। এটা ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোন লেখাই দেব না............
ব্লগের লেখালিখি অনেক টা নিজের ঘরে খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন! স্বেচ্ছা শ্রমের পর এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমার কি করার আছে!
শুভ সকাল।
৪২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: একটা বাস্তবধর্মী গল্পের প্লট নিয়ে, এতটা মন্তব্যের সুনামী তোলার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি? লেখকের স্বাধীনতা বলে একটা ব্যপার আছে, এটা ভুলে গেলে চলবে কীভাবে?
যেরকমই হোক গল্পটা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে আমি এত খুশি হয়েছি যে, কি ভাবে আপনাকে কি বলব বুঝতে পারছি না? চোখে প্রায় জল চলে এসেছে.....
কমন সেন্স এর ব্যাপার। বন্ধ্যাত্ব নিজেই আসলে ফ্রেমিং ষ্ট্রাকচার, আমি পাঠকদের কে এটা প্রথমে দেখিয়ে মিথিলার ফাইটব্যাক দেখাতে চেয়েছিলাম, ওটাই ছিল থিম, যারা মিল খুজে পে্য়েছে বন্ধ্যাত্ব শব্দ টাতে, আর কিছু না। অল্প একটু পড়েই, ভালো করে না মিলিয়ে বলে ফেললাম একি লেখা? আপনি তো পড়েছেন, উপরে আমার ব্যাখ্যাও পড়েছেন আশা করি। বলুন তো কোথায় মিল পেল? সারা পৃথিবীতে তো তাহলে কোন প্রেমের গল্প লেখা যাবে না, সব টার ফিনিস তো একই হয় ছ্যাকা না হয় মিলন। আমরা লেখকরা কই যাবো বলুন? মনে হচ্ছে আমাকে এর পর থেকে আমাজন জংগলের বিলুপ্ত কোন প্রজাতির উপকথা লিখতে হবে, তাহলে মনে হয় কেউ কোন মিল খুজে পাবে না..........।
আপনি ভালো থাকুন, খুব ভালো থাকুন, আমি আমার মন থেকে বলছি।
শুভ কামনা রইল।
৪৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: একটা বাস্তবধর্মী গল্পের প্লট নিয়ে, এতটা মন্তব্যের সুনামী তোলার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি? লেখকের স্বাধীনতা বলে একটা ব্যপার আছে, এটা ভুলে গেলে চলবে কীভাবে?
যেরকমই হোক গল্পটা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সব সময়।
৪৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: মন্তব্য পড়তে পড়তে নিচে নামলাম। গল্প ভাল। বানানের দিকে একটু সতর্ক হওয়া দরকার ছিল।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: মেহেদী ভাই, আসার জন্য ধন্যবাদ।
বাকপ্রবাস ভাই কে বানানের ব্যাপারে আগেই বলে দিয়েছি। একটু কষ্ট করে উপরে যেয়ে পড়বেন কি, কিছু মনে না করলে?
শুভ সকাল।
৪৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: স্কুল কমিটি জন্য পচিশ হাজার আর স্কুলের ফান্ডে পচিশ হাজার লাগবে।
গল্পটায় অনেক বাস্তবতা আছে
তবে স্কুল কমিটি এভাবে টাকা নেয়, বা পলিটিক্যাল মানুষ শিক্ষক নেয়োগ থেকে টাকা নেয়
এটা আমাদের সমাজের সার্বিক চিত্র নয়। গল্পটায় ভাললাগা ++
আপনাকে বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে পেরেছি এটাই আমার লেখক হিসেবে সার্থকতা।
সহমত এবং ধন্যবাদ সুন্দর উপস্হাপনার জন্য
সর্বশেষ : বিতর্ক মনযোগ দিয়ে পড়লাম ,বাস্তবধর্মী গল্পের প্লট ও কথকতা জীবনের প্রবাহ থেকে আসে
আমাদের অবচেতন মন কখনো কখনো তা সযত্নে সংরক্ষন করে, এরপর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে ।
তাই আমি লেখকের বেদনা বুঝি ।
...........................................................................................................................
...........................................................................................................................
আপনাকে এই ছবিটাই মানাবে .....++!!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
নীল আকাশ বলেছেন: কি দারুন একটা মন্তব্য করলেন রে ভাই! আমি মুগ্ধ!
স্কুল কমিটি জন্য পচিশ হাজার আর স্কুলের ফান্ডে পচিশ হাজার লাগবে। গল্পটায় অনেক বাস্তবতা আছে - এটা আমার নিজের চোখে দেখা একটা ঘটনা। চাকরি দেয়ার সময় এভাবেই টাকা আদায় করা হয়! দুই গ্রুপই নেয়। আমার মিসেস কে একটা স্কুলে চাকরি দেবার কথা ছিল, সেখানেও একি ঘটনা রে ভাই! দুনিয়া এখন খুব কঠিন জায়গা! আমি আমার চোখে দেখা ঘটনা গুলি আমি লিখি। এজন্যই এতটা বাস্তব বলে মনে হয়।
আপনাকে বাস্তবতার কাছে নিয়ে যেতে পেরেছি এটাই আমার লেখক হিসেবে সার্থকতা। সহমত এবং ধন্যবাদ সুন্দর উপস্হাপনার জন্য - সংবেদনশীল লেখক হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন।
সর্বশেষ : বিতর্ক মনযোগ দিয়ে পড়লাম ,বাস্তবধর্মী গল্পের প্লট ও কথকতা জীবনের প্রবাহ থেকে আসে
আমাদের অবচেতন মন কখনো কখনো তা সযত্নে সংরক্ষন করে, এরপর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে ।
তাই আমি লেখকের বেদনা বুঝি। - এই অনুভব টা বুঝাতেই আমার খবর হয়ে যাচ্ছে রে ভাই..........। আমি তো ভাই এই টাইপের গল্প গুলির লেখক। (আমার আগের লেখা গুলি পড়েন?) বাস্তবে যা যা দেখেছি। প্লট কোথা থেকে আসব বলূন? জীবন থেকেই তো প্লট আসে, তাইনা?
আপনাকে এই ছবিটাই মানাবে .....++!! - ছবি টা দারুন। মন ভালো করে দিয়েছে......। আপনি সব সময় দারুন দারুন সব ছবি দেন। একটু ডিফারেন্ট টাইপের মন্তব্য, কি যে ভালো লাগে দেখতে! মাঝে মাঝে এসে ঘুরে যাবেন কিন্তু?
ভালো কথা, এই ছবি টা কি আমি আমার কোন গল্প বা লেখায় ব্যবহার করতে পারবো? অনূমুতি চাইছি.........।
শুভ সকাল। ভালো থাকবেন সব সময়।
৪৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনার প্রতি উত্তর পড়ে মনটা খুব হালকা হলো,
আপনার আরও লেখা আসুক আরও গল্পের গভীরে যাবেন
সেটাই প্রত্যাশা ।
ছবিটার মালিক আমি নই, তবে ব্লগে আপনাদের মন ভালো করার জন্য
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, ছবিটা ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অতএব, লাগসই ক্ষেত্রে ব্যবহার করে সকলকে আনন্দ দিন !
এই ক্ষনিকের জীবনে আনন্দ, প্রফুল্লতা অত্যন্ত আবশ্যক ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: এই ক্ষনিকের জীবনে আনন্দ, প্রফুল্লতা অত্যন্ত আবশ্যক । - আপনার সাথে আমি এই বিষয়ে একমত।
ছবিটার মালিক আমি নই, তবে ব্লগে আপনাদের মন ভালো করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, ছবিটা ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত অতএব, লাগসই ক্ষেত্রে ব্যবহার করে সকলকে আনন্দ দিন ! - আমি আমার সবোর্চ্চ চেষ্টা করব, কতটুকু আনন্দ দিতে পারব সেটা আপনারাই বলতে পারবেন।
আপনার আরও লেখা আসুক আরও গল্পের গভীরে যাবেন সেটাই প্রত্যাশা। - এই ব্লগে আবার লেখা দিব? এত কষ্ট করে লিখে! দেখি চিন্তা করে........শবনমের প্রথম পর্ব আদৌ শেষ করব নাকি ভাবছি!
পাশে থাকার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
৪৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
মিথী_মারজান বলেছেন: ভাইয়া
আমরা সাধারণ ব্লগারেরা ব্লগে আসি কিছুক্ষণ মনের আনন্দ নিয়ে সময় কাটানোর জন্য, ভালো কিছু পড়ার জন্য।
ঝামেলা বা কাউকে অভিযুক্ত করার জন্য এ্যাটলিস্ট আমি ব্লগে আসিনা।
আপনার লেখাটি পড়ার পর বেশ কিছুদিন আগে পড়া একটি লেখা মনে পরে যাওয়ায় কথাটা আপনাকে বলেছি।
(লেখাটি যথেষ্ট টাচি ছিলো জন্য গল্পটা মনে দাগ কেটেছিল আমার। ভালো মত পড়লে ক্যানভাসের সেই পোস্টে আমার করা মন্তব্যও দেখতে পারবেন আপনি)।
যেকোন লেখায় একজন লেখকের যেমন স্বাধীনতা থাকে নিজের মত করে লেখার, ঠিক ততটাই স্বাধীনতা থাকে একজন পাঠকের পাঠ মন্তব্যেে।
আপনি নিজেই বলেন,আপনার কাছে কি দুটি গল্পের মধ্যে কোন মিল লাগেনি?
সেই হিসাবে আপনাকে কথাটি বলাটা কি অপ্রাসঙ্গিক ছিল?
আমি বা মনিরা সুলতানা আপু কেউই কিন্তু আপনাকে একবারও বলিনি আপনি হুবহু নকল করেছেন।
জাস্ট আপনাকে জানিয়েছি যে আপনার লেখাটির মত আরেকটি লেখা আমরা পড়েছি।
আমি লিংক দিতে পারছিলাম না জন্য মনিরা আপু আপনাকে গল্পটি কপি করে দিয়েছে।
দ্যাট্স অল!
৩৬ নং মন্তব্যে আপনার পয়েন্ট গুলোর উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করছিনা আমি।
আমি দুটো গল্পই পড়েছি।
আপনাকে জানিয়েছি।
আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি ডিফেন্ড করেছেন।
শুনেছি।
এখানে আমারতো আর কিছু বলার থাকতে পারেনা, তাই না!
ধন্যবাদ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি কিছুই মনে করিনি। আপনাকে আমি কিছুই বলিনি। প্লট মিলতেই পারে। এরকম হাজার হাজার ঘটনা আছে। আরজু আপু তো উপরে বলেই দিয়েছেন। আলৌকিক শব্দ টা পড়ে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে....তারপর আরও কিছু মন্তব্য পড়লাম, আখেনাটেন ভাই কে বলেছি, পড়ে দেখুন। আরে বাবা, আমাকে তো বলতে দিবে আমি কি লিখেছি?
সেই হিসাবে আপনাকে কথাটি বলাটা কি অপ্রাসঙ্গিক ছিল? আমি বা মনিরা সুলতানা আপু কেউই কিন্তু আপনাকে একবারও বলিনি আপনি হুবহু নকল করেছেন। জাস্ট আপনাকে জানিয়েছি যে আপনার লেখাটির মত আরেকটি লেখা আমরা পড়েছি।
আমি লিংক দিতে পারছিলাম না জন্য মনিরা আপু আপনাকে গল্পটি কপি করে দিয়েছে। দ্যাট্স অল! ৩৬ নং মন্তব্যে আপনার পয়েন্ট গুলোর উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করছিনা আমি। আমি দুটো গল্পই পড়েছি।
৩৬ নং মন্তব্য আপনার জানার জন্য দিয়েছি। কোনটাই আপনি লিখেন নি, আপনি কিভাবে উত্তর দিবেন?
ব্লগের লেখালিখি অনেক টা নিজের ঘরে খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন! এটা কিভাবে সম্ভব কে কোন জায়গায় কি লিখেছে সেটা মুখস্ত রাখা? অবাক হয়ে আমিই তো ঐ গল্প টা নিজেই চেয়েছি। NO HARD FILLINGS!
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে আমি সব সময় আমার লেখায় দেখতে চাই।
৪৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্পটি পড়ে মনে হল আপনার গল্পের হাত অনেক নিপুন। প্লট ও সেটিং অসারণ। শুভকামনা রইল।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০২
নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই, আমার এই সময়ে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করে গেলেন! উপরের মন্তব্য গুলিও পড়েছেন মনে হয়! কি বলব রে ভাই..........আমার নতুন লেখা আর দিব নাকি ভাবছি............
অনেক সুন্দর গল্পটি পড়ে মনে হল আপনার গল্পের হাত অনেক নিপুন। প্লট ও সেটিং অসাধারণ। - আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক! খারাপ মন টা কিছুটা ভালো হয়ে গেল! ধন্যবাদ।
পাশে থাকবেন, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!
৪৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনার মনে লেখা আসলে, লিখে ব্লগে পোস্ট দিবেন, কথা শেষ। কোথাকার কে এসে কি বলে গেলো, সেটা নিয়ে অতটা মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই। তবে কেউ গঠনমূলক সমালচনা করলে তার উত্তর দেবেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ কক্ষনো গায়ে মাখবেন না। বেশী বেশী করে লিখুন আর পোস্ট দিতে থাকুন। বানান, শব্দচয়ন আর গল্পের নাম করণ এর ব্যাপারে আরো একটু মনোযোগী হবেন আশা করি। ভালো থাকুন, ভালো বাসুন আর ভালো রাখুন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: ফিরে আসার জন্য আবারও ধন্যবাদ। আপনার কথা গুলি আমার খুব ভালো লেগেছে......
আপনার মনে লেখা আসলে, লিখে ব্লগে পোস্ট দিবেন, কথা শেষ। কোথাকার কে এসে কি বলে গেলো, সেটা নিয়ে অতটা মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই। - একদম ঠিক কথা বলেছেন, ঠিক এটাই আমার করা উচিত, ধন্যবাদ।
তবে কেউ গঠনমূলক সমালচনা করলে তার উত্তর দেবেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ কক্ষনো গায়ে মাখবেন না। - সেদিন একজনের মন্তব্য পড়ে অনেকে কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করেছি। ব্লগের লেখালিখি অনেকটা নিজের ঘরে খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন! স্বেচ্ছা শ্রমের পর এই ধরনের মন্তব্য পড়লে কার মাথা ঠিক থাকে? আমি সাধারনত খুব সফট রিপ্লাই করি। মনে হচ্ছে আমাকে আরও বিনয়ী হতে হবে। উপদেশের জন্য ধন্যবাদ।
বেশী বেশী করে লিখুন আর পোস্ট দিতে থাকুন। বানান, শব্দচয়ন আর গল্পের নাম করণ এর ব্যাপারে আরো একটু মনোযোগী হবেন আশা করি। ভালো থাকুন, ভালো বাসুন আর ভালো রাখুন। - ইনসাল্লাহ, মনটা একটু স্বাভাবিক হোক, আবারও লেখা দিব। অনেক অনেক ড্রাফট জমে গেছে....।
পরিশেষে শুধু একটা কথা বলতে চাই, এই ব্লগে আপনার মতো কিছু কিছু সাদা মনের ভালো মানুষ কে পেয়েছি যা আমাকে সত্যই অভিভুত করেছে, সামু ব্লগ আসলেই দারুন জায়গা.........
পাশে থাকার জন্য এবং সব সময় আমার ভুল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দেয়ার প্রত্যাশায়,
শুভ সকাল ও শুভ কামনা রইল।
৫০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গল্পটা পুরো পড়ার সাহস হলো না। শুধু একটা কথাই বলবো, আপনার লেখার হাত অসাধারন। হয়তো যেদিন প্রচন্ড বুজ নিবো সেদিন পড়বো। আপাতত প্রিয়তে নিলাম।
যদিও এই জীবনে আর বুজ নেয়ার ইচ্ছা নাই।
অসাধারন লেখার হাত
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১২
নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই, কষ্ট করে আসার জন্য ধন্যবাদ। প্রিয় তে নেয়ার জন্য অন্তর থেকে শুভ কামনা রইল। আপনাকে কে আগে বলেছি, যে আমি এক্স বুয়েট, মেকানিক্যাল।
শুভ রাত্রি।
৫১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নোপ, ট্রিপল ই, চুয়েট
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে মনে হয় অনেক প্রকৌশলী আছেন, আত্ম জীবনি টাইপ লেখা গুলি পড়লেই জানা যায়।
ধন্যবাদ, ফিরে আসার জন্য, শুভ সকাল।
৫২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
লেখা মোটামুটি খারাপ না!
আমি একবার একজন লেখককে মিথী মারজানের মত সহজে বলতে গিয়ে ক্রোধের শিকার হয়েছিলাম। এমনকি ভার্সিটির টিচার পর্যন্ত আমার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে চাননি! আপনাকে ধন্যবাদ, খুব স্বাভাবিকভাবে বিষয়টা নেয়ার জন্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
আসলে মিথী আপু বা মনিরা আপুর কোন দোষ নেই। মনে হয় আমি থাকলেও একই কাজ করতাম। এরা দুই জনই আমার খুব ভালো পাঠক। আমি তাদের দুই জনকেই পছন্দ করি। সেদিন একজনের মন্তব্য পড়ে অনেকে কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করেছি। ব্লগের লেখালিখি অনেকটা নিজের ঘরে খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতন! স্বেচ্ছা শ্রমের পর এই ধরনের মন্তব্য পড়লে কার মাথা ঠিক থাকে? আমি সাধারনত খুব সফট রিপ্লাই করি। এটা কিভাবে সম্ভব কে কোন জায়গায় কি লিখেছে সেটা মুখস্ত রাখা?
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনার মনে লেখা আসলে, লিখে ব্লগে পোস্ট দিবেন, কথা শেষ। এটা পছন্দ হয়েছে..। এখন রাগ কমে এসেছে...। কালকে মনে হয় আরেক টা গল্প দিব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
শুভ কামনা রইল।
৫৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৭
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: গল্পের একটি একটি লাইন পড়া শেষ হচ্ছিলো আর মনে হচ্ছিলো এ যেন কোনো গল্প নয় বাস্তব। হ্যা আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা প্রায় ঘটছে।
শত বাঁধা বিপত্তির মাঝেও সুখ খুজে নেওয়া যায় তা আপনার গল্পে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: প্রভা,
শুভ সকাল,
জীবন থেকেই তো প্লট আসে, আর মনে হয় এত দিনে আপনি আমার লেখার ধরন সম্পর্কে পরিচিত হয়ে গেছেন। আমি এই ধরনের বিষয় নিয়ে বেশি লিখি। সম্ভবত এই গল্পটায় আমি আমার সব চেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছি। সব চেয়ে সুন্দর করে মানবিক অনুভুতি গুলি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। আমার অন্যতম সেরা সৃস্টি এটা। ভালো লাগলো যে এটা আপনার মন কে স্পর্শ করতে পেরেছে.......
ধন্যবাদ আ শুভ কামনা রইল......।
৫৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
মুক্তা নীল বলেছেন: মিথিলা ঠিক করেছে। সাগরের মতো অনেকেই আছে এই সমাজেে। কেউ প্রকাশ করে, আর কেউ লুকিয়ে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল মুক্তা নীল,
এটা একটা একা মেয়ের জীবনে ঘুরে দাড়াবার গল্প এটা, তার আবার নতুন করে বেঁচে উঠার গল্প এটা, আবার স্বপ্ন দেখার গল্প এটা........আমি পুরো লেখায় মেয়েদের পরনির্ভরশীলতার বিষয়টা তুলে আনতে চেয়েছি, দেখাতে চেয়েছি যে ইচ্ছে করলেই একটা শিক্ষিত মেয়ে যে কোন সময় নিজের পায়ে ঘুরে দাড়াতে পারে, শুধু নিজের উপর বিশ্বাস টাই দরকার, আর কিছু না...
সব সময় যেন পাশে পাই।
শুভ কামনা রইল।
৫৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
লাবণ্য ২ বলেছেন: ভাইয়া আপনার এই গল্প যেদিন ব্লগে পোষ্ট করছেন, সেদিনই পড়েছিলাম।কেন জানিনা মন্তব্য করিনি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: কেমন লাগলো সেটা তো জানালেন না? আপনি যেহেতু সব চেয়ে শেষে এসেছেন তাই আপনাকে প্রথম জানালাম। মিথিলার পরের পর্ব লেখা শেষ। ১ তারিখে পোষ্ট দিব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম! আশা করি ভালো লাগবে..........।
শুভ কামনা রইল।
৫৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
টিয়া রহমান বলেছেন: এই ধরনের হাজারো ঘটনা ঘটে আমাদের সমাজে। আর এটা নিয়ে সবাই লিখবে এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে দুটো গল্পই ভালো লেগেছে। ২টা গল্পই লেখকেরা অনেক সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন, ঘটনা একই হলেও দুটোই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাবলিল।
মিথিলার জীবনের সাফল্য জানতে পেরে (দ্বিতীয় পর্ব) খুব ভালো লেগেছে।
আমি দ্বিতীয় পর্বটাই আগে পড়েছি।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। এই ধরনের হাজারো ঘটনা ঘটে আমাদের সমাজে। আর এটা নিয়ে সবাই লিখবে এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে দুটো গল্পই ভালো লেগেছে। ২টা গল্পই লেখকেরা অনেক সুন্দর করে প্রকাশ করেছেন, ঘটনা একই হলেও দুটোই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাবলিল। - দারুন বলেছেন।
আশা করি আমার পরবর্তি লেখা গুলিতেও আপনার সুচিন্তিত মতামত পাবো।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
৫৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: সম্পূর্ণ আলাদা পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লেখাটা যে কত কঠিন, সেটা নিজে না লেখলে বোঝা যায় না। এককথায় লেখাটা অসাধারন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: এটা আমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃস্টি। আমি আরেকজনের লেখাটা পড়িনি। আমার মতো লিখে গেছি। লেখার কত তফাত এটা যে পড়বে সেই বুঝবে। আপনার যখন নিজের উপর বিশ্বাস আসবে তখন দেখবেন এর চেয়েও ভাল লিখতে পারবেন। মিথিলার পরের পর্ব (মিথিলার ভালোবাসা) পড়ে আসুন। আমি কি ধরনের লিখি সেটা আন্দাজ করতে পারবেন। এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে লিখেছি। আমার বাকি সব লেখা গুলি পড়ে যেতে পারেন। আমি একেবারেই নতুন টপিকের উপর লিখি যেটা কেউ লিখে না।
আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল।
৫৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৯
মা.হাসান বলেছেন: মিথিলা ২য় পর্বের মন্তব্যে বলেছি, ভুল করে ২য় পর্ব আগে পড়ে ফেলেছি। ভুলটা সাথেসাথে ধরা পড়লেও লেখার গুনে ওটা ছেড়ে প্রথম পর্বে আসার ইচ্ছে হয়নি। যেহেতু ২য় পর্ব আগে পড়া, মিথিলার কষ্টগুলোতে তেমন কষ্ট লাগেনি।
মিথিলাদের জীবন সংগ্রামের উপর শ্রদ্ধা থাকলো। এই পর্বটা রোমান্টিকতার অবাস্তব জগৎ থেকে বাস্তব জগতে নিয়ে আসে, কাজেই দুই পর্বের মধ্যে এটাই আমার বেশি প্রিয়। আপনার তিনটা লেখা পড়লাম, ৩টাই অসাধারণ। শবনম পড়েছি কি না মনে পড়ছে না। পরে এসে দেখে যাব।
ভাল থাকুন, লিখতে থাকুন।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
সকাল বেলা ব্লগটা খুলতেই পাঠকের এত সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে মনটা সাথে সাথেই ভালো হয়ে গেল। এত সুন্দর করে এত ছোট কথায় আপনার পড়া সব গল্পগুলিকে বেঁধে ফেললেন যে আমি এটা পড়ে মুগ্ধ! আমার আসল পরিচয় একজন গল্পকার আর আমার গল্পের উঠানের দড়জা আপনার জন্য সব সময় খোলা থাকবে..
আমি খুব কমন আর সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে লিখি। তাই পড়তে যেয়ে পাঠকরা খুব সহজেই আশেপাশের কেউ না কারো সাথে মিলিয়ে ফেলতে পারে। সেই জন্যই এত ভালো লাগতে পড়তে, আমার গল্পের কখনোই কোন সুপার হিরো বা হিরোইন পাবেন না।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে মিথিলা বেশ মনে লেগেছে আপনার। মিথিলা আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র। আর এখন যেই গল্পটা পড়েছেন (১ম পর্ব) সেটা লেখার সময় আমি খুব আবেগপ্রবন হয়ে লিখেছি। এইসব অড টপিক নিয়ে কেউ লিখতে চায় না। আমি আমি অড টপিক নিয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করি।
আপনি শবনম নিয়ে সিরিজ টা পড়ুন। একেবারেই অন্য রকম একটা সিরিজ। বিশেষ করে প্রায়শ্চিত্ত পর্বটা! এই গল্পটা ঐ সময়ে বেশ গরম করে ফেলেছিল ব্লগ। শবনমকে পড়লে আপনি মিথিলার কথা প্রায় ভূলে যাবেন। তবে আমি আপনাকে প্রথম কুসুম কুসুম প্রেম গল্পটা আগে পড়তে বলব। এটা প্রথম পর্ব। প্রায়শ্চিত্ত ২য়পর্ব! ভূলে আগে পোষ্ট দিয়ে ফেলেছিলাম।
শবনমকে নিয়ে আপনার দুর্দান্ত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম.........
শুভ কামনা রইল!
৫৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধুমধাম হবে....
কমেন্ট একবারেই করতে পারি কিন্তু তাতে বিশাল কমেন্ট হয়ে যাবে....
বানানের ব্যাপারে আমি অনেক গবেষণা করেছি....
আমার বাড়িতে ডিকশনারির সংখ্যা অনেক.....
তাছাড়া প্রতিদিনই নিত্যনতুন বই বা টপিকস পড়ার চেষ্টা করি....
তাই ধীরধীরে কমেন্ট করছি.....
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: এই জন্যই আপনাকে আমি এত পছন্দ করি। এই ধাক্কায় সব বানান আর ভুল গুলি ঠিক করে ফেলব.......
আপনি যেভাবে কমেন্ট করেন এই ভাবেই করেন।
ধন্যবাদ।
৬০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাজা হবে
জোর হবে
চেষ্টা হবে
এতিম হবে
জমান না জমানো হবে
হাড় না হার আর দুই ভরি হবে
দুষ্টামি হবে বা দুষ্টুমি
বাসার না বাজার হবে
এখনো কি রিদ্মিক এ পোস্ট করেন????
৬১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার পোস্টা নিয়ে তো দেখছি জল অনেক দূর গড়িয়েছে....
যাই হোক আমি এসব বিষয়ে জানি...
জীবনের গল্পগুলোই এমন.....
তাই একটি ঘটনার সাথে আরেকটার মিল থাকতেই পারে....
আর ফেসবুকে কার লেখা কে লেখে...... ঠিক নাই....
আরেকটা মন্তব্য করবো.....
ওয়েট.....
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: আরে দুর, কোথায় সেই গল্প আর কোথায় আমারটা? কোথায় কি? আমার মতো এই ধরনের গল্প লিখতে ওর জীবন ধন্য হয়ে যেত! চোখে আংগুল দিয়ে দেখানোর পর আর কাউকে খুঁজে পেলাম না........
আমার রিপ্লাই টা পড়েছেন তো? সব মন্তব্যে রেখে দিয়েছি। আর কেউ গুতা গুতি করতে সাহস পাবে না.........।
ধন্যবাদ।
৬২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একজন পিতামাতাহীন বন্ধ্যা নারীর জীবন সংগ্রাম ফুটে উঠেছে লেখাটিতে....
সমাজে নারীর অবস্থান আজও স্বামীর উপরে নির্ভরশীল....
তার ওপর বন্ধ্যা হলে তো রক্ষা নেই... তালাক + নানান খোঁটা
কিন্তু প্রত্যেক মানুষেরই যে ভালোবাসা, একটু আশ্রয়ের প্রয়োজন...
তাই তো সবাইকে হতে হবে স্বাবলম্বী...
নারীর নারীত্বের প্রকাশ ঘটে তার মাতৃত্বে....
সেটা নিজের সন্তান হোক আর দত্তক নেওয়া....
স্নেহই মূল.....
মিথিলার কাহিনীটা বড়ই হৃদয়বিদারক...
তবে শেষটা ভালো লেগেছে...
যার কেউ নেই তার তো নিজই সম্বল....
এক্ষেত্রে দত্তক নেওয়া সন্তান মিথিলার জীবনে পাল্টে দিয়েছে....
পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলিতে কোনো মেদ নেই...
একেবারে স্লিম ঝরঝরে চলা....
সবশেষে বলবো মন খারাপ করা চরম বাস্তবতার প্রতীক এ গল্পে মুগ্ধতার ছোঁয়া....
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন। ছোট্ট করে পুরো গল্পটার শানে নযুল বলে দিলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তবে সাগর যদি সত্যি মিথিলাকে ভালোবাসতো তবে বাচ্চা দত্তক নিতো.....
নতুন বিয়ের প্রয়োজন দেখি না.....
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ইন্টারনেট না থাকার জন্য দেরীতে প্রতি উত্তর দিতে হলো!
তবে সাগর যদি সত্যি মিথিলাকে ভালোবাসতো তবে বাচ্চা দত্তক নিতো..... নতুন বিয়ের প্রয়োজন দেখি না..... আমি ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি। সাগর আমার এখানে একজন টাইপিক্যাল স্বার্থপর স্বামী বা ছেলে। যখন প্রয়োজন ছিল পিছন পিছন ঘুরেছে, বিয়ে করেছে আবার যখন বুঝেছে মিথিলা কিছু দিতে পারবেনা, স্বার্থপরের মতন মায়ের সাথে মিলে দ্বিতীয় বিয়ে স্বেচ্ছায় করেছে। পরে দরকার মতন নিজেই আলাদা করে দিয়েছে। এত বড় অমিল টা এরা কিভাবে দেখলো না আমি সেটা বুঝলাম না.....
চমৎকার বলেছেন। নিন সকাল বেলা গরম গরম এক কাপ কফি খান...মুড আরও ভালো হয়ে যাবে.......
ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইল
৬৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবসময় সবার সবকিছু চোখে পড়ে না.....
নেট না চললে 2G অন করে ট্রাই করুন....
3G/4G থাকলে আপলোড স্পিড কম হলে TOR ব্রাউজার ইউজ করুন.....
ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হয়.....
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। মন ভালো না। ইন্টারনেট দিয়ে কি হবে?
দেশের গনতন্ত্র গতকালকে চিরতরে মৃত্যু বরন করেছে.....
ধন্যবাদ।
৬৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
ল বলেছেন: এত বিতর্ক!!!
বিত্তবান লেখকরাই বিতর্কীত হয় ---
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্লেজারিজম করেছেন -- ভাবনা,চিন্তার মিল থাকতেই পারে ---
এত মিলটা মনে হয় বেশ গড়মিল করে দিলো।
দুটি লেখার থিম এক!! "
০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
নোটিফিকেশনের প্রবলেমের জন্য আপনি যে মন্তব্য দিয়েছিলেন সেটা টের পাই নি।
এই মেয়ে যে একই থীমের উপর গল্প লিখেছে সেটা আমি জানতামই না। যাই হোক সততা প্রমানের জন্য ঐ গল্পটাও মন্তব্যে রেখে দিয়েছি যেন কেউ না পড়ে মন্তব্য করে। আর আমার ডিফেন্ড তো লিখেই দিয়েছি ৩৬. ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০১ তে।
চমৎকার মন্তব্যের মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নিবেন!
শুভ কামনা রইল।
৬৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালই ছিল, তবে বিতর্কিত হল কেন? যতটা আপনি বলেছিলেন, ততটা হলাম না যে মুগ্ধ...
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: কিছুটা অংশ একজন ইন্টারনেটে অন্য গল্পের সাথে মিল খুঁজে পেয়েছিল। হুট করে বলে দিল সেটা, আর যাবে কোথায় সবাই না বুঝে মন্তব্য করা শুরু করল। মডারেটরও এসে হাজির! পরে যখন আমি কাউন্টার মন্তব্য লাইন বাই লাইন দিলাম, তখন আর কেউ নেই!
গল্পটা খুব ভালো একটা থিম নিয়ে লিখেছিলাম। মনে হলো আপনার পছন্দ হবে। ভুলে গিয়েছিলাম, সবার পছন্দ এক রকম হয় না।
তারপরও কষ্ট করে এসে পড়ার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ নিবেন। আপনার সময় নস্ট করে থাকলে লজ্জিত!
আপনি বেছে বেছে যেটা ভালো লাগে সেটাই পড়ুন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
৬৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: থিম কপি বা অনুকরণ করা দোষের কিছু নয়। আপনার এই গল্পটা আমি চার ফর্মার উপন্যাসে রিরাইট করতে পারবো। আমার ইচ্ছেও হচ্ছে খুব। এতে দোষের কিছু নেই, তবে সেটা স্পষ্ট ঘোষণা দিতেও আমি কার্পণ্য করবো না।
যাই হোক, সময় করে আপনার গল্পগুলো পড়ে দেখার ইচ্ছে রইলো।
ভাল থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।
০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
নোটিফিকেশনের প্রবলেমের জন্য আপনি যে মন্তব্য দিয়েছিলেন সেটা টের পাই নি।
আপনার কথা শুনে আমারও নিজেরই তো এখন ইচ্ছে করছে - শবনম এবং মিথিলা এই ২টা সিরিজকে উপন্যাসে পরিবর্তনে করার। আমি একা একা না পারলে আপনার সাহায্য চাইবো!
চমৎকার মন্তব্যের মন থেকে দেয়া ধন্যবাদ নিবেন!
শুভ কামনা রইল।
৬৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়েছিলাম মনে হয় । আবার পড়লাম খুব সুন্দর
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: আমার খুব প্রিয় গল্প এটা। সময় পেলে আমি আমার পুরানো গল্পগুলি বের করে পড়ি। কালকে পড়ছিলাম যখন তখন আপনাকে বলেছি।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
৬৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৯
নিভৃতা বলেছেন: পড়বো পড়বো করেও সময় করে উঠতে পারিনি। আজ পড়ে ফেললাম। দারুণ ভালো লাগা। এমন কাহিনী কিন্তু আমাদের আশেপাশে অহরহ ঘটছে। চমৎকারভাবে লেখায় সেটা ফুটিয়ে তুলেছেন।
উপন্যাস করা যায়। কিন্তু একটা সমস্যা। থিমটা কমন। এই থিম নিয়ে অনেক গল্প হয়েছে। অবশ্য আপনার লেখার গুণে সাধারণ থিমও অসাধারণ হয়ে ওঠে।
১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: হা হা হা।
সবাই যেখানে ফেল মারে আমি সেখান থেকেই কেবল শুরু করি। আমি জানি এটা কমন থীম। আর ঠিক তাই (আপনার কথা মতো!!!!) ম্যাজিক শুরু করলাম ২য় পর্বে। দেখি এটা কেউ লিখে দেখাক? কার দৌড় কত দূর বুঝা যাবে।
গল্পঃ মিথিলা কাহিনী ২ - মিথিলার ভালোবাসা
(এটাতে আমার কিছু হাতের কাজ নতুন করে আবার করতে হবে আবার) সময় হাতে থাকলে কোন দিন ২য় পর্বটাও পড়ে দেখতে পারেন।
কালকে রাতে এই ২টা পর্ব এক জায়গায় করে দেখলাম প্রায় ৫০ পৃষ্ঠা হয়ে গেছে। আরেকটা পর্ব লিখলেই কাজ হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো
৭০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
বাস্তব জীবনের মিথিলা আর আপনার গল্পের মিথিলার
মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । কিন্তু দুঃখ একটাই যে
সাগর কে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসলো শুধুমাত্র একটি
বাচ্চা না হওয়ার জন্য চলে যায় না ।অমানুষগুলো
যে কোন অজুহাতেই চলে যায় । পরকীয়ায় আসক্ত
হলে তো কথাই নেই । কিছু ভালো মানুষ আছেন
বলে হয়তো এখনও দুনিয়াটা টিকে আছে। বাড়িওয়ালা
চাচা মিথিলাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন । ঐসময়
চাকরি করে কর্মব্যস্ততা দিন কাটিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী
করা খুবই জরুরী । তার পরবর্তীতে জীবনে নতুন
কেউ আসলে আসবে ।
চমৎকার একটি গল্প লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। ইচ্ছে করেই এটা আপনাকে পড়তে দিয়েছিলাম।
বাস্তব জীবনে একট মেয়ের লেখাপড়া শেখা এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকা খুব জরুরী।
এখানে আসলে সাগর কিংব বাড়িওয়ালা চাচা কেউ একক সত্ত্বা নয়।
এরা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্যাটাগরীর মানুষ'কে রিপ্রেজেন্ট করছে।
সাগরের মতো ছেলে খুব স্বাভাবিক এই পৃথিবীতে।
বন্ধ্যাত্ব নিয়ে বেশিরভাগ মেয়েরই নিজের জামাই'কে নিয়ে এই অভিজ্ঞতা পেতে হয়।
যে কোন পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে না দিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে হয়। এটাই ছিল এই গল্পের মূল থীম।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো।।। বাস্তব।।। আমার মতে এই রকম লোকেরা বলদ আর আহাম্মাক যারা স্ত্রীর বাচ্চা না হলে আরেকটা বিয়ে করে। ছাগলের চার নাম্বার বাচ্চা এরা। বাংলাদেশে কত বাচ্চা অনাহারে মরে।কত হাসপাতালে মা মারা যায় শিশু রেখে। এদের তারা বাবা মার আদর দিতে পারতো। আমি গল্প পড়লাম। জানি এটা গল্প। তবে আমি বাস্তাবের ওই লোকদের বলছি যারা এমন।
আবার ধন্যবাদ আমার চাচ্চুকে। যে ২০বছরেও তার স্ত্রীকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করেনি। তারপর একটা বেবি এডপ্ট নিয়েছে।
তারপরেও আরেকটা বিয়ে করেনি।।। এইটাকেই ভালোবাসা বলে। আর সেটা যে নষ্ট করে সে একটা বলদ ছাড়া কিছুনা