নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
পড়ন্ত দুপুর বেলা। ডেস্কে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে লাঞ্চ শেষ করে, কেবল ওয়াশরুম থেকে হাত ঢুয়ে এসে চেয়ারে বসেছি। আয়েশ করে একটা বেনসন সিগারেট ধরাব, ঠিক এমন সময় এসআই রাকিব এসে হাজির। ভালোই বিরক্ত হলাম। এই সময়টাতে আমি সাধারণত রেস্ট নেই। এদের বেশ ভাল করেই বারণ করা আছে, এই সময়ে আমাকে বিরক্ত না করতে। চোখে একরাশ বিরক্ত নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম-
-কি হয়েছে?
-স্যার, সান শাইন টিভি চ্যানেলের অফিসে তুঘলকি কান্ড ঘটেছে! সাজিদ ঐখান থেকে বারবার জানতে চাচ্ছে, কি এ্যাকশনে যাবে ও?
সাজিদ আমার এই থানার আরেকজন এসআই। খাবার সময় কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান ভালো লাগে না দেখে, ওয়াকিটকির ভলিউম মিউট করে রেখেছিলাম। ভলিউম বাড়াতেই সাজিদের কন্ঠ শোনা গেল। ওকেই ডাইরেক্ট জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি? সাজিদের কাছে ঘটনা শুনার সাথে সাথেই হতভম্ব হয়ে গেলাম আমি! সর্বনাশ, জল এতদূর গড়িয়েছে! এরপর তো আর থানায় বসে থাকা সম্ভব নয়। রাকিব আর কিছু ফোর্স নিয়ে তখনই রওনা দিলাম আমি.....................
এক
মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের সামনে বারতলা বিল্ডিংটার আট তলায় সান শাইন টিভি’র অফিস। সদর দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই সাজিদের সাথে দেখা। ওকে সাথে নিয়েই সেই তুঘলকি কান্ড ঘটার জায়গাটায় গেলাম। রুমের একমাত্র টেবিলটার প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা! ঘরের এক কোনায় জড়সড় হয়ে একটা লোক প্যারামেডিক ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে। হেঁটে কাছে যেয়ে দেখলাম এর অবস্থা আসলেও করুণ! সমস্ত মুখ কেটেকুটে লাল হয়ে আছে। গায়ের কাপড় চোপড় প্রায় সব ছেঁড়া-ফাড়া। নিদারুণ গনঢোলাই কন্ডিশন!
-এটা কে?
-চ্যানেলের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রওনক হাসান।
-কয়জন মিলে ধরেছিল?
-প্রথমে তো ঐ মহিলা এসে ধরল, তারপর অফিসের সব মহিলা স্ট্যাফ একসাথে হয়ে রুমে ঢুকে....। ঐ মহিলা ছাড়াও অফিসের আরও বার জন মেয়ে স্ট্যাফ।
-মাইর তো ভালোই দিয়েছে দেখি! মেয়েদের সব কমপ্লেয়িং নোট করেছ?
-ঐ মহিলার সাথে আগে কথা বলেন স্যার। উনার সাথে তো কথাই বলা যাচ্ছে না। রেগে আগুন হয়ে আছেন। ছোটবোনকে সহ ওদিকের একটা রুমে আপাতত বসিয়ে রেখেছি আপনার কথা মতো। উনার ছোটবোনই আসল ভিক্টিম। ভিক্টিমই যদি কথা না বলে কি নোট করব?
-ঠিক আছে, চল ঐ মহিলার কাছেই আগে যাই।
ছোট রুমটার দরজা খুলে সামনে তাকিয়ে তাজ্জব বনে গেলাম আমি! হতভম্ব হয়ে মহিলার দিকে আমি আর চরম বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে এই মহিলা তাকিয়ে আছেন। সাজিদকে রুমের বাইরে থাকতে বলে, দরজা লাগিয়ে দিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে এদের সামনে যেয়ে বসলাম। বসার প্রায় সাথে সাথেই বেশ রাগত একটা কন্ঠস্বর শুনলাম-
-এতক্ষন পর তাহলে আপনার সময় হলো? কোথায় ছিলেন আপনি? আমাকে রুমে আটকে রেখেছেন কেন?
কেস আসলেও খারাপ। তার সাথে আমার কপালটাও। লাঞ্চের পর কনর্ফাম আজকে আর শান্তিমতো রেস্ট নিতে পারব না! ধ্যাত!
-আপনাকে আটকে রাখা হয়েছে ভাবছেন কেন? আপনাদের সাথে কথা বলে কমপ্লেয়িং নোট করতে হবে, জিডি ফাইল করতে হবে! অনেক কাজ বাকি!
-আমি এখন কিছুই করতে পারব না। আমি আর আমার ছোট বোন দুইজনই খুব টায়ার্ড। আমরা বাসায় যাব এখন! আমাদের যেতে দিন!
দুইজনের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগলো। ছোট বোনটা কান্না করতে করতে চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে, এখনো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। পরিস্থিতি দেখে খুব দ্রুতই ডিছিশন চেঞ্জ করে ফেললাম আমি।
-ঠিক আছে চলুন, আগে আপনাদের বাসায় পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করি। আজকেই পরে আপনাদের সুবিধামতো সময়ে আবার বসা যাবে কথা বলার জন্য।
একরাশ কৃতজ্ঞতা চোখে নিয়ে এবার আমার দিকে তাকাল দুইবোন। একটু লজ্জা পেলাম!
-শবনম, আমি খুবই লজ্জিত! আমি সত্যই জানতাম না আপনি এখানে। জানলে বলুন, অন্ততঃ আমি কি কখনই এত দেরী করতাম! আসুন আমার সাথে, প্লীজ!
দুইজনকে সাথে নিয়েই রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। নিজেই সব দরজা খুলে লিফটে করে নীচে নিয়ে যাচ্ছি, সাজিদ আর রাকিব আমার কর্মকান্ড দেখে কিছুটা কনফিউজড হয়ে গেল! খুব মনোযোগ দিয়ে আমাদের দেখছে, আসলে মনে হলো সিচুয়েশন কি বুঝার চেষ্টা করছে! কোন কিছুই যেন পরে গুবলেট না পাকিয়ে ফেলে......
দুই
শবনম আর ওর বোনকে পার্কিং এরিয়াতে ওদের পারসোনাল গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে একটু সামনে আসতেই দেখি, লাইভ এ্যাকশন অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। চ্যানেলের প্রোগ্রাম ডিরেক্টরকে নিয়ে রাকিব নীচে পুলিশের একটা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এদের সামনে যেয়ে দাড়াতেই রাকিব জানতে চাইল-
-বস, এইটারে কয় নাম্বারে ঢুকাব?
জটিল একটা প্রশ্ন! অতীব চিন্তার বিষয়। ডিরেক্টর সাহেবের পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার খুব ভালো করে দেখলাম। এই সেই চীজ, যে আমার ‘নুর জেহান’ এর ছোট বোনের গায়ে হাত দিয়েছে! এসআই রবিউল কয়েক মাস আগেই ট্রান্সফার হয়ে গেছে। রবিউল চলে যাবার পর থেকেই বেশ ঝামেলায় আছি আমি, সব কিছুর ডিসিশন আমাকেই বলে দিতে হয়। কবে যে এরা সবকিছু দ্রুতই শিখে নিবে!
-এই ভদ্দর লোক আমার going to be শালীর গায়ে হাত দিয়েছে! তোমরাই বল এইটারে কয় নাম্বারে ঢুকান যায়!
আমার কথা শেষ করার পরপরই ভদ্দর লোকের চেহারায় আমূল একটা পরিবর্তন খুব দ্রুতই হতে দেখলাম! নিজের কানকেও মনে হয় বিশ্বাস করতে পারছে না বেচারা! কিছু কিছু সময় আসলেও কারো কারো কপাল খুবই খারাপ থাকে, যেমন এর এখন! আমার জায়গায় অন্য কোন পুলিশ অফিসারও তো থাকতে পারত? করজোড়ে মাপ চাইবার একটা বৃথা চেস্টা করতে দেখলাম, তবে সময় পেল না। উস্তাদের চেয়ে সাগরেদ দুইকাঠি বাড়া থাকে শুনেছিলাম এতদিন, আজকে হাতেনাতে সেটার প্রমান পেলাম। রাকিব মুহূর্তের মধ্যেই ঘাড় ধরে এটাকে গাড়িতে তুলে ফেলল। আর গাড়ির দরজা লাগানোর সাথে সাথেই অকৃত্রিম কিছু শব্দ শুনতে পেলাম! সব কিছু পাত্তা দিতে হয় না। আমি লিফটে করে আবার আট তলার অফিসে চলে আসলাম। অফিসের বাকি মেয়ে স্ট্যাফদের সাথে কথা বলতে হবে। পুরো ঘটনা প্রথম থেকে শুনতে হবে। তারপর গুরুত্ব বুঝে কেস দাঁড় করাতে হবে। আগে উপরে যেয়ে দেখি কি অবস্থা!
পরবর্তি পাক্কা দেড়ঘন্টা এই অফিসের সব মহিলা স্ট্যাফদের সাথে এক এক করে কথা বলার পর আমি সত্যই অবাক! এতটা দিন ধরে এরা চুপচাপ সহ্য করেছিল কিভাবে? কি আর্শ্চয! এখানকার সব মহিলা স্ট্যাফগুলি মেরুদন্ডহীন প্রাণী নাকি? পুলিশে সাহস করে একবার কমপ্লেইন করলেই তো হয়? পুরো ঘটনা সবার কাছ থেকে শুনার পর এর শানে নযুল যা দাড়াল-
এই ডিরেক্টর ভদ্দর লোক নাকি মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলেই মহিলা স্ট্যাফদের গায়ে হাত দিয়ে বসে, অশোভন আচরণ করে! প্রায় সবার সাথেই একই কাজ করত। লোকলজ্জা আর চাকরী হারানোর ভয়ে প্রায় সবাই চুপচাপ এতদিন সহ্য করেছিল। আজকে শবনমের ছোটবোন ইবনাত শামরীনের সাথে প্রায় একই কাজের চেস্টা করেছিল। কি একটা রিপোর্টে নাকি ভুল করেছে সেটা দেখানোর নামে রুমে ডেকে পাঠায় শামরীনকে। রিপোর্টে কোথায় ভুল হয়েছে সেটা দেখার জন্য পাশে যেয়ে দাঁড়াতেই জড়িয়ে ধরার চেস্টা করে ডাইরেক্টর ভদ্দর লোক। টেবিলের উপর একটা কাঁচের ফ্লাওয়ার ভাস ছিল, সেটা দিয়ে শামরীন রওনক সাহেবের হাতে বাড়ি দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে কোনরকমে রুম থেকে দৌড়ে বের হয় আসে। ডেস্কে বসেই কাঁদতে কাঁদতে বড়বোন শবনমকে বাসা থেকে গাড়ি পাঠাতে বলে বাসায় চলে যাবার জন্য। ফোনে কিছুটা শুনেই শবনম সোজা এই অফিসে এসে হাজির। আসার পরই সব কিছু শুনে ছোট বোনকে নিয়ে সোজা ডিরেক্টরের রুমে এসে ঢোকে। এক দুই কথা বলতে বলতে রাগ আর কন্ট্রোলে রাখতে পারেনি শবনম। পা থেকে জুতা খুলে নিয়ে বেশ কয়েকটা বাড়ি দিতেই রুমে হাউকাউ লেগে যায় আর তখনই বাকি মহিলা স্ট্যাফগুলি যেয়ে হাজির। রুমের দরজা নাকি শবনম ইচ্ছে করেই খুলে রেখেছিল! তারপর যা ঘটছে সেটা আজকের নব্য ইতিহাস! এতদিনের জমানো সব ক্ষোভ একবারে ইচ্ছেমতো ঢেলে দিয়েছে সবাই মিলে এর উপর! ঘটনা খারাপ দেখে টিভি অফিস থেকেই কেউ পুলিশে ফোন করেছিল। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে এটা আমার থানার এলাকা দেখে এই থানায় জানায়। কাছাকাছিই ঘুরাঘুরি করছিল সাজিদের পেট্রল টীম। সোজা এসে হাজির হয়। পুলিশ এসেই উদ্ধার করে এই যৌন নির্যাতনকারীকে মেয়েদের হাত থেকে, তবে তার আগেই ইচ্ছেমতো সব মেয়েরা মিলে সেই রকম গনধোলাই দিয়ে দিয়েছে......
সবকিছু দেখে আর শুনে আমার কাছে মনে হলো, এই ভদ্দর লোক যে জানে বেঁচে গেছে সেটাই তো বড়! আরেকটু এদিক ওদিক হলেই মার্ডার কেস হয়ে যেত! ডেস্কের পিছনেই ছিল গ্লাসের বড় স্লাইডিং উইন্ডো। শবনম যে সবাইকে নিয়ে একে ধরে এই জানালা দিয়ে নীচে ফেলে দেয়নি এটা এর চৌদ্দ পুরুষের ভাগ্যই বলতে হবে! মেয়েরা ধরে ফেলে দেয়ার আগেই একে উদ্ধার করেছে পুলিশ, নাকি জানালাটা মেয়েদের চোখেই পড়েনি বুঝলাম না। পেলে সত্যই খবর ছিল! হাতঘড়িতে দেখলাম প্রায় পাঁচটা বাজে। এখানের কাজ মোটামুটি শেষ। সাজিদকে অফিসের নিয়ম মোতাবেক কেসের সব আলামতের ছবি তুলে আর বিস্তারিত ভাবে সবার কাছ থেকে আলাদা আলাদা কমপ্লেইন লিখে সাইন করে আনতে বললাম। আর সবকাজ শেষে এই রুমের দরজা সীলগালা করে বন্ধ করে দিয়ে আপাতত একজন হাবিলদারকে পাহারায় রেখে যেতে বললাম।
মাথাটা ঝিম ঝিম করছিল। অফিসে ফেরার আগে ভালো একটা কফিশপে বসে কড়া করে বানানো দুইকাপ কফি খেলাম। হাত বড়ই নিশপিশ করছে সেই তখন থেকে! আসল কাজই এখনও থানায় বাকি আছে, যেয়েই নিজের তদারকিতে শুরু করতে হবে......
তিন
যদিও না গেলেও চলত, তারপর একটা ব্যাপার হুট করে মনে পড়তেই রাত সাড়ে আটটার দিকে সাজিদের সাথে শামরীনদের বাসায় আমিও গেলাম। জিডিটা আজকেই ফাইল করতে পারলে খুব ভাল হত। সেজন্যই শামরীনের সাথে আগে কথা বলা দরকার। ওদের ড্রয়িং রুমেই একজন মেয়ে কন্সটেবল পাশে রেখে শবনম সহ দুই বোনের কাছে ঘটনার সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে শুনল সাজিদ বেশ ধৈর্য্য সহকারে । ও যেহেতু প্রথম থেকেই ছিল, ওই দায়িত্ব পেয়েছে এই কেসের। আমি একটু দূরে বসে সব শুনছি। সাজিদের ইন্টারোগেশন শেষে হবার পর শবনমকে ইশারায় ডাকলাম আমি। ওর সাথে আলাদা করে কথা বলা দরকার! কালকে আদালতে এটা কেস ফাইল করার আগে এদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিস জানতে হবে।
-কিছু লাগবে আপনার?
আমি আস্তে করে বললাম-
-হ্যা,শবনম। আমি একদম আলাদা করে একা আপনার সাথে শুধুমাত্র শামরীনের এই ঘটনা নিয়েই কথা বলতে চাই।
বুদ্ধিমতি মেয়ে, ইশারাই কাফি হ্যায়!
-ও আচ্ছা, আপনি আমার সাথে আসুন, ওয়াশ রুমটা এই দিকে!
আমাকে ভিতরের একটা রুমে নিয়ে গেল শবনম। ঘরের দরজা লাগানোর সাথে সাথেই কথা বলা শুরু করলাম আমি। সময় অনেক কম, কিন্তু কাজ বেশি।
-এই কেস আমি কালকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠাবো। কেস হবে বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী। বাদী হবে পুলিশ। এই আইন মোতাবেক পুলিশ যদি ঘটনা জানে বা কেউ রিপোর্ট করে তাহলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কেস ফাইল করার। আপনাদের কিছুই করতে হবে না। কোন সমস্যা বা আপত্তি আছে?
-না। আপনি যেটা ভাল মনে করেন!
-এটা খুব কমন যৌন হয়রানির কেস। রেগুলার এইসব কেস আসে আমাদের কাছে। আমরা কেস ফাইল করি, কিন্তু কিছুদুর এগুনোর পর বেশিরভাগ ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায় লোকলজ্জার কারণে। ভিক্টিমকে পরে ডাকলেও আর আসে না। আমি জানতে চাই, শেষ পর্যন্ত ফাইট করার সাহস আছে আপনাদের?
-আমাকে আপনি চিনেন না? কিভাবে এই প্রশ্ন করেন আমাকে?
-আপনাকে তো চিনি কিন্তু আপনার ছোটবোনকে তো চিনি না। তাছাড়া সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক চাপ সহ্য করার মতো সাহসও থাকতে হবে। পুলিশ এবং আমার সবরকম সহযোগিতা সবসময় পাশে পাবেন আপনারা। কিন্তু কোনভাবেই ভয় পাওয়া যাবে না, পিছু হটে আসা যাবে না। অনেক দিক দিয়ে প্রেসার আসবেই। এছাড়াও নিউজ পেপার, মিডিয়া, সোসাল মিডিয়া সবকিছুর চাপ সহ্য করার মত সাহস কি আপনার বোনের আছে? আগে আমাকে কনর্ফাম করুন।
শবনম আমার দিকে একদৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উঠে চলে গেল। আমার মনে হলো শামরীনকে নিয়ে আসবে। সেটাই হলো। শামরীনকে আমার সামনেই বসিয়ে শবনম সবকিছু খুলে বলল এক এক করে, খুব দ্রুত। তারপর শামরীনের মতামত জানতে চাইলো আমার কথামত!
-আমি এর বিচার চাই। যত কষ্টই হোক আমি পিছু হটে আসবো না। এই হারামজাদাকে ছেড়ে দিলে আবার আরেকটা মেয়ের সাথে একই অপকর্ম করার সাহস পাবে। এর উচিৎ শিক্ষা হওয়া দরকার। তাহলে এই ধরনের বাকি বদমায়েশ গুলিও সাবধান হয়ে যাবে!
-সাব্বাস! একদম ঠিক বলেছেন। আপনার সাথে মেয়ে কলিগদের সাথে সম্পর্ক কেমন? এদেরকে যদি সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয় আদালতে, আসবে?
-কয়েকজনের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। মিনিমাম চার-পাঁচ জন সাক্ষী দেবে আমার জন্য।
-ভেরি গুড। ভয় পাবেন না। যতটুকু দেখলাম আর শুনলাম, এই কেস থেকে পার পেয়ে যাওয়া খুবই কঠিন হবে এর। আপনি এখন যান, রেস্ট নিন। আপনার বড়বোনের সাথে আমি একা কিছু কথা বলতে চাই।
শামরীন চলে যেতেই আমি আবার শুরু করলাম।
-এই ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে বাদী বা ভিক্টিমের নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ধারা অনুযায়ী তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী অবশ্যই পাবেন। তবে নিজে কোন আইনজীবী নিয়োগ দিতে চাইলে সেই আইনজীবী সরকারি আইনজীবীর অধীনেই কাজ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবীকে কোনো খরচ দিতে হবে না।
-সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী দেয়া হবে জেনেও আপনি ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের কথা তুললেন কেন? ইস সাম্থিং রং হেয়ার?
-সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া আইনজীবী সরকারী চাকুরী করেন। তার উপর বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আসতেই পারে। উনারা পলিটিক্যালি নিয়োগপ্রাপ্ত। এছাড়াও উনার কাছে এত এত কেস থাকে যে, এটা সেটেল করতে অনেক সময় লাগিয়ে ফেলবেন। আমার সাজেশন হলো একজন খুব ভালো এবং প্রভাবশালী উকিল নিযুক্ত করুন, সম্ভব হলে কালকেই।
-আপনার কাছে ভালো কোন সাজেশন আছে? প্লীজ শুভ, হেল্প মি!
-সেজন্যই তো আপনাকে এইখানে ডাকলাম। নিন, এই কার্ডটা রাখুন। টাকাপয়সা আপনাদের জন্য কোন ব্যাপারই না, এটা আমি আগে থেকেই জানি। কালকে সকাল দশটার সময় উনার সাথে উনার চেম্বারে যেয়ে দেখা করবেন। আমি অলরেডি এপয়েন্টমেন্ট করে রেখেছি। আমার রেফারেন্সে যাবেন আপনি। উনি সব পিপিদের চেয়ে অনেক সিনিয়র। বতর্মানের কয়েকজন পিপি উনার আন্ডারেই প্র্যাকটিস করতো। উনি এই কেস হ্যান্ডেল করলে অযথা অনেক হয়রানী থেকে বেঁচে যাবেন আপনারা। সব কিছু ঠিক থাকলে, কালকে সাজিদ কেস ফাইল করতে গেলে আমি উনার কাছেই পাঠাবো। উনিই সবচেয়ে ভালো বুঝবেন কোন কোর্টে কেস দিলে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি রায় পাওয়া যাবে।
আমার কথা শেষ হবার সাথে সাথেই শবনম জোরে শব্দ করে কেঁদে ফেলল। আমি বেশ অবাকই হয়ে গেলাম। আমি কখনোই ওকে এভাবে কাঁদতে দেখিনি। হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল-
-ছোটটাকে আমি অসম্ভব আদর করি। ভাই বা বোন বলতে আমার এটাই সব কিছু। দুপুরবেলা ঐ রুমটাতে বসে মাথা কাজ করছিল না ঠিকমতো। না বুঝে আপনাকে উলটা পাল্টা কথা বলে ফেলেছি। প্লীজ শুভ, আপনি সেইগুলি মনে রাখবেন না।
শবনমের মানসিক অবস্থা আমি ভালো করেই বুঝতে পারছি। এই মেয়ে অন্ততঃ কান্নাকাটি করার বান্দা না। কি বলব ওকে, আমিও নিজেই বুঝতে পারছি না। ওর এই মহাবিপদের সময় আমি যে ওকে সাহায্য করতে পারছি, সেটাই তো অনেক বড় ব্যাপার। এমনিতেই অনেক দেরী গেছে। তাই আর কিছু না বলে উঠে দাড়াতেই, শবনম দ্রুতই সামলে নিল নিজেকে। চোখ মুছে আমাকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে চলে আসল।
হাতঘড়িতে দেখলাম রাত দশটা বাজে। শবনমের বাসার সামনে দুইজন পুলিশ পাহারায় রেখে আমরা সবাই বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম। এই কেসের নিয়ম মোতাবেক যদিও কালকে থেকেই পাবার কথা, আমি আজকে থেকেই পাহারা রেখে দিলাম। বাসায় যেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো অন্ততঃ ..............
চার
প্রবাদ আছে, কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ। অভিযুক্ত প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিজের সর্বনাশ করে আমার পৌষ মাস হুট করেই ডেকে নিয়ে আসল। লম্পট প্রফেসরটাকে এর উপযুক্ত পাওনা সুদেআসলে ফিরত দেবার পর প্রায় চার মাস কেটে গেছে। শবনমকে ফোন করে কি বলব সেটা ভেবে ভেবেই এতটা দিন পার করে ফেললাম। শবনমের এক্স-হ্যাজবেন্ডের সাথে যা করেছি আমি, সেটা মনে আসলেই আমার সবকিছুই অফলাইনে চলে যেত। এত বেশি অস্বস্তিঃ কাজ করত যে ফোন করাই দুঃসাধ্য ব্যাপার। শবনমের বাসা থেকে চলে আসার পর, পরেরদিন দুপুরবেলা যখন হুট করেই শবনমের ফোন আসল আমার মোবাইলে, মুহূর্তেই আমি চলে গেলাম সেই ফেলা আসা পুরানো স্মৃতিগুলিতে! শুধুই একবার ওর কন্ঠস্বর শুনার জন্য আমি কি না করেছি! দূরদূর করে ম্যাসেন্জার থেকে মাঝে মাঝে আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে ফোনকল কেটে দিত! একবার ওর মোবাইল নাম্বার চেয়েছিলাম দেখে যেই ঝাড়ি দিয়েছিল, সারা রাত ঘুমাতে পারি নি, এতটাই মন খারাপ হয়েছিল! সময়ের সাথে সাথে সবকিছু কত দ্রুতই না বদলে যায়! কিন্তু শুধুই বদলায়নি আমার ওর জন্য বুক ভরা আবেগ। রাপা প্লাজার সামনে ওকে দেখে কেন যে নিজের এত বড় সাড়ে সর্বনাশ করেছিলাম? ফোনকলটা ধরতেই বাস্তবে ফিরে আসলাম, শবনম কেসের সবকিছুর আপডেট জানালো। ভালো একজন আইনজীবী ঠিক করে দেয়ার জন্য বারবার ধন্যবাদ দিল ও।
এই কেসে সাজিদ দুর্দান্ত একটা চার্জশীট জমা দিয়েছিল। তবে শুরুতেই আসল কাজটা করে দিয়েছেন আইনজীবী সাহেব। উনি বেছে বেছে এমন একজন মহিলা বিচারকের কোর্টে কেস ফেলেছেন, যিনি মোটামোটি কিংবদন্তী এইসব কেসে রায় দেবার ব্যাপারে। উনার নাম শুনার পর বড় করে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি আমি। শামরীন ওর বড় বোনের মতোই সাহসী হয়েছে। এইরকম না হলে এই কেসগুলি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পরে। সাজিদকে প্রায় নিয়মিতই হাজিরা দিতে হয় শুনানি চলাকালীন সময়ে। সাজিদ আর শবনমের কাছ থেকে নিয়মিতই আপডেট পাওয়া যায়। মাঝামাঝি সময়ে একবার যেয়ে শবনমের আইনজীবীর সাথে দেখা করে আসলাম। ভদ্রলোকের বড়ই উপকার করে দিয়েছিলাম একবার। উনার বড়ছেলে কিছু ইল্লিগাল ড্র্যাগস সহ ধরা পড়েছিল রাকিবের প্যাট্রোল টীমের কাছে। উনি নিজেই চলে এসেছিলেন থানায় আমার কাছে। ঘটনার আদ্যোপান্ত শুনে মনে হলো, অসৎসঙ্গ এর জন্য দায়ী। বাবা নিজে এসে যেহেতু ছেলের দায়িত্ব নিচ্ছেন, একবার সুযোগ তো দেয়াই যায়। থানায় কোন রকম নাম এন্ট্রি ছাড়াই ছেড়ে দিয়েছিলাম। উনি যে কতটা কৃতজ্ঞ হয়েছেন, সেটা উনার সাথে কথা বলার সময়েই বুঝা যায়। উনি আমাকে কথা দিলেন ট্রাইব্যুনালের বেঁধে দেয়া ১৮০দিনের আগেই উনি রায় বের করে এনে দিবেন। উনার কথা শুনে বেশ আশাবাদী হলাম আমি!
এই কেসে পজিশন মতো সব খেলোয়ার নামিয়ে দিয়ে আয়েশ করে আমি এখন দূর থেকে খেলা দেখছি। কিন্তু যেদিন আমার সেরা স্ট্রাইকারকে পেনাল্টিতে শুট নিতে ডাকল, সেদিন আর লোভ সামলাতে পারলাম না। একদিন দুপুরে শবনম ফোনে জানালো সাক্ষী হিসেবে ওকে জেরা করা হবে পরশুদিন। আমি ডিছিশন নিলাম সাথে সাথেই, ঐদিন আদালতে থাকব। শবনম আদালতে কি বলবে সেটা আমি নিজ কানেই শুনতে চাই! আমি নিশ্চিত ঐসময়ে একটা দুর্দান্ত দৃশ্য দেখতে পাবো! আমি শবনমকে খুব ভালো করেই চিনি, এটা মিস করা একদমই ঠিক হবে না। লাইফ টাইম এক্সপেরিয়েন্স হবে এটা...
পাঁচ
-আপনি তাহলে স্বীকার করছেন, উনাকে আপনি পায়ের জুতা খুলে, সেটা দিয়ে মেরেছেন, পিটিয়েছেন?
-জী, একদম ঠিক বলেছেন। তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে চলে এসেছিলাম তো, সেজন্য বাসা থেকে ঝাড়ু নিয়ে আসতে ভুলে গিয়েছিলাম। কথা দিচ্ছি নেক্সট বার আর এই ভুল হবে না।
আমি মনে মনে প্রমাদ গুনা শুরু করলাম। খেলা কেবল শুরু! আজকে সারা আদালত পাড়ায় খবর হয়ে যাবে....
-কিন্তু এটা তো অন্যায়। আপনি তো উনার গায়ে হাত তুলতে পারেন না!
-আপনার কাছে এটা অন্যায় মনে হতে পারে, আমার কাছে না। উনি আমার বোনের সাথে কিংবা ঐ অফিসের অন্য মেয়েদের সাথে ক্রমাগত যেইরকম অসভ্য আর পশুর মতো আচরন করেছেন, এটা সেজন্য উনার উপযুক্ত পাওনা। সব মেয়েদেরকেই উনার কাছে উর্বশী কিংবা রম্ভা বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এটা যে কত বড় ভুল, সেটা আমি উনাকে বুঝিয়ে দিয়েছি, বেশ ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছি। আশা করি উনি সেটা আর কখনোই ভুলবেন না।
-কিন্তু এটাতো আপনি করতে পারেন না? আইন কেন নিজের হাতে তুলে নিবেন?
-কেন পারব না? উনি যদি সব মেয়েকে শুধুই ভোগ্যপন্য মনে করেন, তবে আমি অবশ্যই এটা করতে পারি। আমি একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চেয়েছি, যেন এইসব অসহায় মেয়েরা ঠিক ঠিক বুঝে নেয়, নিজের কাজ নিজেকেই করে নিতে হয়! অন্যের আশায় সবসময় বসে থাকলে চলবে না।
মহিলা বিচারকের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। খুবই মনোযোগ দিয়ে উনি শবনমের কথাগুলি শুনছেন। উনার দুইচোখে কি গভীর আগ্রহ!
-একা আমাকে দোষ দিচ্ছেন কেন? এটা তো আপনাদের সবার দোষ। কেন আপনারা মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না? কেন এইসব লম্পটরা এত বড় সাহস পায়? নিশ্চয়ই আপনাদের কাছ থেকেই প্রশ্রয় পায়? আজকে এত বড় বড় ডায়ালগ দিয়ে আমাকে দায়ী করতে চাচ্ছেন, কিন্তু আমার ছোট বোনের জায়গায় যদি আপনার মেয়ে, বোন বা কোন মহিলা আত্মীয় থাকত, তাহলে কি এই কথাগুলি এইভাবে বলতে পারতেন?
-এই ঘটনার সাথে আমাকে বা আমার পরিবারের কাউকে জড়াচ্ছেন কেন?
-কারন এটাই হচ্ছে আমাদের সবার আসল চেহারা। যতক্ষন পর্যন্ত নিজেদের কেউ ভিক্টিম না হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা সবাই চোখে বড় বড় কালো ঠুলি পড়ে থাকি। আর এই জন্যই এইসব লম্পটরা এত বড় সাহস পায়! মেয়ে দেখলেই সুযোগ খুঁজতে থাকে, গায়ে অযাচিত ভাবে হাত দেয়ার চেস্টা করে, আর সুযোগ পেলেই সভ্রম কেড়ে নিতেও কোন দ্বিধা করে না।
-এইসব লম্পটদের উপযুক্ত আর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আমার মতো আর কোন মেয়েকে এই ধরনের কাজ আর করতে হবে না।
সাব্বাস! সারা কক্ষে সজোরে হাততালি দিতে শুনলাম। শবনমের আইনজীবী বেশ ভালো করেই ওকে ট্রেইন আপ করেছে! অবশ্য এমনিতেই শবনমের মুখের ধার এরচেয়ে কোন অংশেই কম নয়! এই বিষয়ে আমার চেয়ে বড় ভুক্তভোগী এই নশ্বর দুনিয়ায় আর কেই বা আছে! আরও প্রায় আধা ঘন্টা শবনমের সাথে নিদারুন এই রোমাঞ্চকর কাহিনী চলল। শবনমের জেরা শেষে লাঞ্চ ব্রেক দেয়ার পর আমি উঠে চলে আসলাম। আসার আগে মহিলা বিচারকের চোখে যেই দৃষ্টি আমি দেখেছি, তাতে এই কেস নিয়ে খুব একটা চিন্তা না করলেও চলবে........................
ছয়
বিশদিন পরে...
-এএসপি শুভ সাহেব, আমার সাথে কি একটু দেখা করতে পারবেন, পারলে আজকেই!
সন্ধ্যা সাতটার সময়ে মোবাইলে হঠাৎ এই কলটা রিসিভ করার পরে মনে কেন যেন কু ডাক দিল। থানা থেকে বের হয়ে সাথে সাথেই রওনা দিলাম আমি!
আধা ঘন্টা পরে শবনমের আইনজীবী সাহেবের চেম্বারে উনার কথা শুনে আমি প্রায় হতভম্ব!
-এরা প্রথমে এই কাজ করেনি কেন?
-আগের লইয়ার এতটা হ্যান্ডেল করতে পারত না। সেজন্যই তো উনাকে চেঞ্জ করেছে এরা। এখন যিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, উনি পলিটিক্যাল লোক। সরকারী দলের খুবই উচু পর্যায়ে আছেন। উনাকে আমি বেশ ভাল করেই চিনি। কন্ট্যাক্টে কাজটা নিয়ে উনি এইসব কিছু করাচ্ছেন। আইন মন্ত্রণালয়ে উনার অসম্ভব ক্ষমতা। যা ইচ্ছা এখানে উনি করতে পারবেন। উনাকে এই মুহূর্তে ঠেকানো কোন ভাবেই সম্ভব না।
-বর্তমান কোর্টের বিরুদ্ধে না রাজী পিটিশন করলেই কি উচ্চ আদালতে সেটা গ্রহন করবে?
-জ্বী উনারটা করবেই। কালকে উচ্চ আদালতে জমা দেয়ার সাথে সাথেই করবে। এছাড়া এই কোর্টে এই কেসে জামিন আমি আটকে রেখেছিলাম, উচ্চ আদালতে সেটা পারব না। উনি প্রায় সাথে সাথেই আসামীকে বের করে আনবেন।
-বলেন কি আপনি! কেস তো হালকা হয়ে যাবে তাহলে?
-এখানেই শেষ নয়! যতটুকু শুনেছি, উচ্চ আদালতে একই সাথে উনারা রিভার্স দুইটা কেস ফাইল করবেন। এক হলো শামরীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য মানহানির মামলা, অভিযোগ একটা ধারাবাহিক নাটকে বার বার সুযোগ চাইবার পর নাকি উপযুক্ত নয় দেখে ডাইরেক্টর সাহেব নেন নি, সেজন্য উনাকে অপদস্থ করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই হলো, বিনা কারনে এবং সম্পুর্ন বিনা প্ররোচনায় শবনম উনার গায়ে হাত তুলেছেন এবং বাকি সবাইকে উৎসাহিত করেছেন উনার গায়ে হাত তোলার জন্য।
-কিন্তু অভিযোগগুলি তো ডাহা মিথ্যা কথা। সাক্ষীদের জেরা করার সময় আসল সত্য বের হয়ে আসবেই। দুইটাই তো চরম মিথ্যা কেস। আদালতে কখনোই টিকবে না!
-শুভ সাহেব, আপনি আসল আইনি প্যাঁচটা ধরতে পারেন নি। এই নতুন আইনজীবীর উদ্দেশ্য একেবারেই অসৎ। উনি খুব ভাল করেই জানেন এই কেস উনি হারবেনই। তাই উনি এই কেস যতদুর সম্ভব দীর্ঘায়িত করবেন। যত ভাবে পারবেন, যত অবস্টাকলস দেয়া যায়। এটাই হবে উনার একমাত্র লক্ষ্য! এই জন্যই তো রিভার্স দুইটা কেস দিচ্ছেন। রিভার্স কেস দুইটার জন্য আমার মক্কেলরা হাজিরা দিতে দিতে আর দৌড়াদৌড়ি করতে করতে একসময় ক্লান্ত, হতাশ আর বিরক্ত হয়ে.....
উনি চুপ হয়ে গেলেও আমি ঘটনা বুঝে ফেললাম। কিন্তু এই মুহুর্তে শবনমদের কিছুই করার নেই!
-আমি সত্যই স্যরি শুভ সাহেব। আপনাকে কথা দিয়েছিলাম ১৮০ দিনের মধ্যেই রায় এনে দিব। এটা না হলে নিশ্চিত দিতাম। আপনার সাথে একটা শোধবোধ করার সুযোগটাও হাতছাড়া হয়ে গেল আমার। কতদিনে এই কেসের রায় বের করতে পারব আমি নিজেও এখন জানি না!
আইনজীবী সাহেবের সাথে অনেকক্ষন শলা পরামর্শ করে শবনমদের এখনই কেসের গতি পরিবর্তনটা না জানানোরই সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। প্র্যাক্টিক্যালি কি কি এ্যাকশন নেয় আসামীপক্ষ সেটা দেখার পরে, সিচুয়েশন বুঝেই আপডেট করা হবে। এতগুলি মানুষকে এত আগে থেকেই টেনশনে রাখার কোন মানে হয় না....
সাত
চ্যানেলের ডিরেক্টর সাহেব যেদিন উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন, সাথে সাথেই খবর পেলাম আমি। তীব্র অস্বস্তি:তে মনটা একদমই অন্যরকম হয়ে গেল! একেই সম্ভবত বলে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। শবনম এটা শোনার পর কি প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটা আসলেও গভির চিন্তার বিষয়! কি করা যায় আর কি করা উচিৎ ভাবতে ভাবতেই আমার অফিস রুমের দরজা যেভাবে খোলা হলো, তখনই প্রমাদ গুনা শুরু করলাম আমি। আমার কপালে আজকে বড় ধরনের খারাপি আছে! কে এখন বাঁচাবে আমাকে....
-এই হারামজাদা লম্পটটা জামিন পায় কিভাবে? কি কেস দিয়েছেন? কি ঘোড়ার ডিম কাজ করেন থানায় বসে আপনারা?
চরম উদ্ধত শবনমকে দেখে আমি রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। মাই গড! কি যে কান্ড ঘটাবে আজকে আমার এই থানায়!
-শবনম, প্লীজ শান্ত হন! জামিন কিভাবে পেল এটাতো আমি বলতে পারব না। আপনার আইনজীবীই বলতে পারবেন!
-উনি তো ফোনই ধরছেন না! চেম্বারে গেলাম, নেই। চেম্বার সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম। কেউ কিছু জানে না কোথায় উনি?
আইনজীবীরা সদাই বুদ্ধিমান হন, সেটার থিওরিটিক্যাল ডায়ালগ শুনেছিলাম এতদিন, আজকে এটার প্রাক্টিক্যাল প্রমাণ পেলাম। কিন্তু শবনমের কাছ থেকে পালিয়ে কোথায় যাব আমি? আমার তো কোন নিস্তার নেই! পরবর্তী দশ মিনিট যেন সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুয়ে দিল আমাকে শবনম। একে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েও মনে হয় এত বড় বড় ঝাড়ি খাইনি আমি! বোবার কোন শত্রু নেই, তাই নিশ্চুপ হয়ে শুধুই শুনে গেলাম। দরজা খোলাই ছিল, চোখের সামনে বসকে এভাবে এত এত ঝাড়ি খেতে দেখে সাজিদও এসে ঠান্ডা করার চেস্টা করল। ওর কথা শুনে যেই দৃষ্টিতে শবনম সাজিদের ফিরে দিকে তাকাল, আমি তৎক্ষনাৎ সাজিদকে রুম থেকে বের করে দরজা লাগিয়ে দিলাম। বাইচান্সের কোনই চান্সই রাখা যাবে না! ঝড় ঝাপ্টা যাই যাক, এটা আমার উপর দিয়েই যাক, বেচারা সাজিদ কি দোষ করেছে! আসলেই কতটুকু ঠান্ডা করতে পারলাম জানি না, তবে প্রায় পনের মিনিট পরে কথা থামিয়ে দিয়ে একটা চেয়ারে চুপ করে বসে, একটু পর পর চোখের পানি মুছতে লাগলো শবনম। শবনমের আর দোষ দিয়ে লাভ কি? সব কিছুরই একটা সহ্য করার সীমা থাকে, ট্রীপিং পয়েন্ট থাকে.....
আট
জামিনের পর কারাগার থেকে ডিরেক্টর সাহেব মুক্তি পাবার প্রায় বারদিন পরে, থানায় সকালবেলা আয়েশ করে গরম গরম ক্যাপুচিনো কফি খাচ্ছি। রুমে সাজিদ এসে হাজির।
-স্যার, রিকমেন্ডেশনটা কি সাইন করে দিয়েছেন?
-হ্যাঁ, আমি জায়গা মতো এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তোমাকে এই নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না। যাও, লাগেজ গুছানো শুরু করো। পারলে ছুটি নিয়ে বৌ বাচ্চা সহ গ্রামের বাড়ি ঘুরে আস।
-থ্যাঙ্ক ইউ স্যার। ছুটি স্যার সামনের সপ্তাহে নিব।
-ঠিক আছে। আর শোন, তোমার খালুশ্বশুরকে আমার সালাম পৌছে দিয়ে বলবে, যখন তুমি থাকবে না, উনি যেকোন প্রয়োজনে আমার সাথেই যেন সরাসরি যোগাযোগ করেন।
-জী স্যার। অবশ্যই বলব স্যার, এখনই যেয়ে ফোন করে বলে দিচ্ছি উনাকে!
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় দুইবছরের জন্য একজন এসআই র্যাংকের রিকমেন্ডেশন চেয়েছিল। কোটায় এবার আমার থানা থেকে একজন চান্স অবশ্যই পাবে। সাজিদের সাইনড রিকমেন্ডেশন লেটার অফিশিয়াল খামে ভরে সীল গালা করে পাঠিয়ে দিলাম। ওর খালুশ্বশুর লোকটা একেবারে মন্দ নয়! উনি সারা বাংলাদেশের ট্রাক মালিক এসোশিয়েশনের ঢাকা বিভাগের সাংঘঠনিক সম্পাদক। সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিতেই আজকের মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতায় দাগ দেয়া একটা নিউজে আবার দৃষ্টি পড়ে গেল-
সান-সাইন টিভি চ্যানেলের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রওনক হাসান সাহেব গতকালকে ঢাকা মাওয়া সড়কে ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংর্ঘশে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উনি মাওয়া থেকে নিজেই ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন। উলটো দিক থেকে আসা একটা ট্রাকের সাথে উনার গাড়ির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষন পর পুলিশ যেয়ে ট্রাককে আটক করলেও ট্রাকের ড্রাইভার কিংবা হেল্পার কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংর্ঘষে ক্ষতিগ্রস্থ ট্রাক এবং প্রাইভেট গাড়িকে থানায় নিয়ে এসে রাস্তা সাথে সাথেই পরিষ্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করে দেয়া হয়। পুলিশের তদন্তে রির্পোট করা হয়, দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও বেশ কিছু আশেপাশের দোকানদারকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে রওনক সাহেব রং রুট দিয়ে ওভারস্পীডে সামনের গাড়িকে ওভারটেক করতে যেয়ে উলটো দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে লাগিয়ে দেন, এতে ট্রাকের ড্রাইভারের কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায় নি...
নয়
বাংলামোটরের ঠিক মাথায় রূপায়ন টাওয়ারের ১৭ তলায় একটা রুফটপ ভাল রেস্টুরেন্ট আছে। আজকে এখানেই আমার ডিনারের দাওয়াত। ঠিক রাত আটটার সময় জায়গা মতো এসে, রিসিপ্শনে জিজ্ঞেস করে দেখি, একদম শেষ মাথায় একটা টেবিল বুক করা আছে আমার জন্য। যেয়ে দেখি উনি আগেই এসে বসে আছেন। যাক বাবা বাঁচলাম, গতবার পাক্কা একঘন্টা বসিয়ে রেখেছিল, তাও আবার রাস্তার ফুটপাথের উপর! উল্টো দিকের চেয়ারে বসে হাতের গোলাপ ফুলের তোড়াটা এগিয়ে দিলাম। একটু অবাক হলেন উনি!
-এতগুলি ফুল কেন? তাও আবার গুনেগুনে পাঁচটা!
মিষ্টি মধুর একটা হাসি উপহার দিলাম আমি। সবসময়, সবজায়গায়, সবকিছু খুলে বলতে হয় না! সংখ্যার মধ্যে বিরাট কিন্তু আছে!
-এটা আগের বারের শাস্তিস্বরূপ। আগেরবার একটাই নেন নি। এবার পাঁচটাই নিতে হবে।
শবনম রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে বলল-
-তাই! চোর পালালেই নাকি বুদ্ধি বাড়ে! আপনারও কি একই অবস্থা নাকি?
নাহ, এই মেয়ের সাথে আমি কোনদিনও পারবো না। হাল ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে একটা ছোট চারকোনা বাক্স বের করে শবনমের সামনে ঢাকনা খুলে রাখলাম।
-সাহস তো দেখি দিন দিন ভালোই বেড়ে যাচ্ছে আপনার!
-সাহসের আমার কোনদিনও কমতি ছিল না। সেই পয়লা বৈশাখের দিন ঐ চীজটাকে না আনলে দেখতেন!
শবনম ঐদিনের কথা মনে পড়ে গেলে, কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল-
-Do you really forgive me, Shuvo?
-Yes! I do! The horrible wrong time in our life have already passed away!
শবনম এবার এক রাশ দুষ্টামি চোখে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল-
-আপনার পারফোরমেন্স এবার যথেস্টই ভালো! আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি!
-জী, এবার সময় হয়েছে আপনারটার দেখার! খুব কাছ থেকে আপনার পারফোরমেন্স দেখে সারাজীবন ধরেই মুগ্ধ চাই আমি!
আমার কথা শুনার সাথে সাথেই শবনমের ফর্সা দুই গালে রক্তিম আভা এসে ভিড় জমাল। লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেলল! আমার এখন আর এত ধৈর্য্য নেই। এতটা বছর ধরে কতটা কষ্ট, কতটা বিরহ, কতটা নাপাওয়ার বেদনা বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলাম, এটা শুধুই আমি আর আমার উপর সৃষ্টিকর্তাই জানেন! বাক্স থেকে আসল জিনিসটা বের করে আনলাম। আংগুলে পড়িয়ে দেবার জন্য টেবিলের উপর দিয়ে শবনমের দিকে কিছুটা এগিয়ে আসতেই-
-Shuvo, wait, we have one unfinished business to settle. Why not we finish that first!
হুম! বুদ্ধিটা একেবারে মন্দ নয়! ছ্যাকা খাবার লিস্টটা থেকে তো অন্ততঃ আমার নামটা কেটে ফেলা যাবে! নশ্বর এই দুনিয়ায় সেটাই বা কম কিসের!
বেশ আগ্রহ নিয়ে শবনমের দিকে তাকিয়ে বললাম-
-Then you have to accept my first proposal! Do you?
রাপা প্লাজার সামনে ওকে প্রস্তাব দেয়ার ঠিক ছয়বছর সাতমাস বাইশদিন পরে, আজও কি অধীর আগ্রহ নিয়ে আমি অপেক্ষা করে আছি ওর জন্য! এটা যদি Love at first sight না হয় তবে ভালবাসা কি আমি জানতে চাই! সত্যই জানতে চাই!
সবই মিছে এই কুহেলিকাময় নশ্বর পৃথিবীতে,
তবুও মন চায় কাউকে খুব করে কাছে পেতে,
ভালোবাসতে কিংবা ভালোবাসা পেতে........
লজ্জারাঙ্গা মুখে আমার দিকে তাকিয়ে শবনম সাথে সাথেই বলল-
-Yes! I Do! You win!
-No, we both win!
নিজের সাথে কসম কেটেছিলাম! শবনম আমার, শুধুই আমার। ঠিকই এতটা দীর্ঘসময় পর ভালোবাসার প্রস্তাবে ওকে রাজী করিয়ে সম্ভবত বিশ্বরেকর্ড করলাম আমি! গ্রিনিজ বুকে এবার নাম উঠবে না এএসপি শুভ’র? না উঠলে, নেই! Who cares! আমার ‘নুর জেহান’ কেই তো পেয়ে গেছি আর কিছু লাগে নাকি এই জীবনে.......
এই সিরিজের আগের পর্বগুলি যারা পড়তে চান, তাদের জন্য-
১। গল্পঃ শবনম কাহিনী ১ - কুসুম কুসুম প্রেম (প্রথম পর্ব)
২। গল্পঃ শবনম কাহিনী ১ - কুসুম কুসুম প্রেম (শেষ পর্ব)
৩। গল্পঃ শবনম কাহিনী ২ - প্রায়শ্চিত্ত!
উৎর্সগঃ শবনম সিরিজের একদম প্রথম পর্ব থেকে যিনি এর সাথে মিলেমিশে আছেন, যার বারবার শবনমকে নিয়ে উৎসাহ আর অনুরোধের প্রেক্ষিতেই শবনমের তৃতীয় পর্ব লেখা হলো, ব্লগের কবিতা সম্রাজ্ঞী আর আমার প্রিয় কবি মনিরা সুলতানা আপুকে। এতটা দিন পরে হুট করে শবনম নিয়ে লিখতে বসে বড় ভয় ভয় লাগছিল, পুরানো সেই চরিত্রগুলিকে কি ঠিক আগের মতো করেই ফুটিয়ে তুলতে পারবো! মূল্যায়নের দায়ভার যথারীতি আমার সম্মানিত পাঠকদের কাছেই রেখে গেলাম................
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীলআকাশ, মার্চ, ২০১৯
১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য বেশী করে ধন্যবাদ। কিছু বানান নিয়ে সমস্যা হতেই পারে। পড়ার সময় কি কি ভুল চোখে পড়ে জানাবেন । একবারে বসে সব ঠিক করে দিব।
আমার গল্প গুলি সব সময় অনেক বড় প্লট বা কাহিনী নিয়ে হয়। পড়ার সময়ই টের পাবেন কেন এত বড় করে লিখি!! স্ট্যার্ডাড গল্পের সাইজ শব্দের সংখ্যা অনুসারে ১৫০০-২০০০, ২০০০-৩০০০, অথবা ৩৫০০ -৪৫০০। আমি একদম শেষ অপশনটা ব্যবহার করি।
পুরোটা পড়ার পর কেমন লাগলো জানাবেন...........
শুভ কামনা রইল!!
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই । বিশাল পোস্ট ; এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়লাম। খুব ভাল লিখেছেন । দীর্ঘ হওয়ার জন্যই সম্ভবত একাধিক জায়গায় টাইপো পেলাম ।
শুভকামনা ভালোবাসা জানবেন ।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২২
নীল আকাশ বলেছেন: টাইপো গুলি যদি ধরিয়ে দিতেন তাহলে খুব ভালো হতো, নিজের ভুল সব সময় নিজের চোখে পড়ে না।
শবনম এবং শুভ চরিত্রের চিত্রায়ন কেমন হয়েছে? প্লট কেমন লাগলো?
শবনম কাহিনীকে নিয়ে অন্য প্লান আছে, ধীরে ধীরে ওদিকেই নিয়ে যাচ্ছি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: বোনাই, অবশেষে পরের পর্ব দিলেন। দীর্ঘ লেখা তাই সময় নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী রাতে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু আপনার গল্প তাই আগেই লাইক দিয়ে দিলাম।
এখন যাই পরে কথা হবে।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: ইনসাল্লাহ আবার আপনাকে এই মন্তব্যের ঘরে পাবো। গল্পটা কেমন লাগলো জানাবেন..........
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: শুভ দুপুর...
অনেক বড় পোস্ট..... পড়ি নাই পুরোটা... নামাজে যাচ্ছি... এসে পড়ব...
ব্লগটা শূন্য শুণ্য হয়ে যাচ্ছে...মন্তব্য খুব কম... আগে ব্লগে সময় কম দিতাম... এখন একটু বেশি দিতে চেষ্টা করতে... মন্তব্য বেশি করতে চেষ্টা করতেছি... প্রতিবাদের একটা অংশ বলতে পারেন...
১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
অনেকটা জিদ করেই এই অসময়ে পোস্ট দিলাম। এই ব্লগে আমি প্রচন্ড ভালোবাসি। আমার সব লেখা এখানেই! এর বাইরে আমি কোথাও লেখা দেইনা।
ব্লগটা শূন্য শুণ্য হয়ে যাচ্ছে...মন্তব্য খুব কম... আগে ব্লগে সময় কম দিতাম... এখন একটু বেশি দিতে চেষ্টা করতে... মন্তব্য বেশি করতে চেষ্টা করতেছি... প্রতিবাদের একটা অংশ বলতে পারেন... - আপনি যে সামু ব্লগে ভালোবাসেন এটাই হলো তার প্রমান। আসল বন্ধুত্ব প্রমানই হয় দু:সময়ে.............
আপনার জন্য আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: তুঘলকি কান্ড তো দেখি সান-সাইন টিভি নয় আমার এই পোস্টেও ঘটছে.......
এই মাত্র দেখলাম ২৭৬৬ বার পঠিত!! আরেকটু হলেই হার্টফেইল করত!!
ব্লগের অবস্থা আসলেও কেরাসিন হয়ে যাচ্ছে.............
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪
যায্যাবর বলেছেন: ভাই শুধু কেরোসিন নয় আরও অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। কারও কাছে কাভা ভাই এর সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকলে দ্রুত যোগাযোগ করে নোংরা কমেন্টগুলো ডিলিট করার ব্যবস্থা করুন। কমেন্টগুলো রিপোর্ট করুন, আর সকল লেখকগণ সতর্ক থাকুন, নিজ নিজ পোষ্টের কমেন্টগুলো আপাতত বন্ধ রাখুন, অথবা নোংরা কমেন্ট পেলে তা ডিলিট করুন ভাই জলদি।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: সচেতনতা মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন মডারেটর এর পক্ষে আসলে এত বড় একটা ব্লগ দেখাশুনা করা অনেক কঠিন। আমি এই কঠিন সময়ে অস্থায়ী ভাবে কিছু আইটি এক্সর্পাট ব্লগারদের নিয়োগ দেয়ার পক্ষপাতী।
সবাইকে এই দুঃসময়ে সজাগ থাকতে হবে। আর যেকোন আজেবাজে মন্তব্য পাওয়া মাত্রই ডিলিট করে দিতে হবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল আপনার জন্য!
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
আরোগ্য বলেছেন: ভাগ্যিস আমি বুদ্ধি খাটিয়ছিলাম। নইলে নোংরা মন্তব্যের শিকার হতে হত।
গতকাল পোস্ট করার পর দেখি আধা ঘন্টায় প্রায় আড়াইশ ভিউ। ঘটনা আন্দাজ করে পোস্ট ড্রাফটে নিয়ে নেই। তারপর এক ঘন্টা পর মন্তব্য স্থগিত করে পোস্ট করি। তারপর ভিউ স্বাভাবিক হওয়ার পর পোস্ট ঠিক করে দেই। আর নয়তো চাঁদগাজীর জায়গায় আমার পোস্ট থাকতো।
আলহামদুলিল্লাহ বিপদ ঘটার আগেই সতর্ক হয়েছিলাম। সকলের সচেতন হওয়া উচিত।
বোনাই আপনার পোস্টের ভিউ দেখে মনে হচ্ছে পরবর্তী শিকার আপনার পোস্ট। আলোচিত পাতায় এসে গেছে তাই পোস্টে অধিক নজর রাখুন। আল্লাহ না করুন নয়তো নোংরা মন্তব্য করা শুরু করে দিবে।
আশা করি আমার কথায় কিছু মনে করেন নি। রাতে গল্পে আসবো।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ার পরই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলাম। কোন বাজে মন্তব্য পাওয়ার সাথে সাথেই লেখা ড্রাফটে নিয়ে নিব। আপনার এত আন্তরিকতা আমাকে খুব করে মুগ্ধ করেছে। আপনার হৃদয়টা আসলেও অনেক অনেক বড়।
সবাইকে এই দুঃসময়ে সজাগ থাকতে হবে। আর যেকোন আজেবাজে মন্তব্য পাওয়া মাত্রই ডিলিট করে দিতে হবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল আপনার জন্য!
৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালোবাসার গল্পগুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।মনের মাঝে খুব পরিচিত একটা মুখ ভেসে ওঠে।যে মুখটিকে ঘিরে আছে একবুক আশা।তখন যেন মনে হয়,আরে গল্পটাতো আমারই।
আপনার জন্য শুভকামনা প্রিয় ভাই।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই,
আমি আমার প্রায় সব গল্পগুলিই লিখি খুব সাধারন আর আমাদের আশে পাশের মানুষদের নিয়ে। আমার কোন নায়ক নায়িকাই সুপার হিরো কিংবা সুপার হিরোইন নয়। আর এই জন্যই আমার প্রেমের গল্পগুলি পড়ার সময় মনে হয় আরে একে তো আমি কোথায় যেন দেখেছি, এতো আমার মনে হয় পরিচিত..........
খুব সুন্দর আর মনের মতো একটা মন্তব্য করার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
শুভ কামনা রইল!!
৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাবিব বলেছেন: আল্লাহ জানেন এরকম কত ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের দেশের অফিসগুলোতে! প্রতিবাদ কটায় বা হয় বলুন? যাও হয় দু'দিন পরে জামিনে বের হয়ে আগের মতোই কুকর্ম করে চলে । মাঝখান থেকে ফান্দে পরে অভিযোগকারী মেয়ে, সাক্ষী দেয়া মেয়েগুলো নিজেদের কর্ম হারায়। এভাবে আর কতদিন? কতদিন মেয়েরা নির্যাতিত থাকবে? আমাদের অফিসগুলো কি মেয়েদের জন্য নিরাপদ হবে না?
"তুমি থাকলে" কবিতার একটা লাইন আপনার লেখায় আপনার মতো করে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। পরিশেষে শবনমের সাথে প্রেম বেশ সুখকর অনুভূতি দিয়েছে। শেষমেশ উৎসর্গে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
বেশ বড় গল্প। যখন পোস্ট দিয়েছেন তখনই নজরে এসেছিলো। কিন্তু সময়ের কারনে সবার শেষে মন্তব্যে আসলাম।
গল্পের লাইনগোলো আরেকটু ছোট হলে পড়তে ভালো লাগতো (আমার কাছে)। বেশকিছু টাইপো আছে, আশা করি ছাপার অক্ষরে গল্প প্রকাশিত হলে এগুলো থাকবে না।
সুন্দর একখান গল্প উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ হোক ব্লগিং। নিরাপদ হোক মেয়েদের কর্মক্ষেত্র। শুভুদ্ধি হোক কথিত বসদের। আর মিলন হোক শবনম ও শুভর।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই,
শুভ সকাল এবং সালাম ভাই।
শবনম-শুভ সিরিজটা আমার একদম প্রথম দিকের। তখন আপনি সম্ভবত ব্লগে আসেন নি। ঐ সময়ে এই শবনম খুব পরিচিত ছিল। পর পর ২ পর্বের ৩ টা গল্প লিখেছিলাম এখানে। তারপর বিভিন্ন গল্প লিখতে লিখতে আমার আসল সিরিজটাই বাদ পরে গিয়েছিল। ঐ সময়ে যারা শবনম পড়েছেন প্রায় সবাই শবনমের জন্য বার বার অনুরোধ করেছেন যার প্রক্ষিতেই এটা আবার লেখা হলো।
শবনম সিরিজটা একদম অন্য থীম নিয়ে সবসময় লিখি। এখানে সব সময় সামাজিক প্রচলিত অনাচার গুলি তুলে নিয়ে আসি। আপনি যদি সময় পান এর প্রায়শ্চিত্ত পর্বটা পড়ে আসুন। হুট করে ৩য় পর্ব পড়লে একটু অন্যরকম লাগবেই। এই সিরিজের গল্পগুলি বড় হয়। আর এবার একদম রিছেন্ট একটা ঘটনা আর এর আইনগত সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছি। এই ধরনের জটিল বিষয় নিয়ে কয়জন লিখতে পারবে বলুন? কি পরিমান ষ্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা নিশ্চয় বুঝেছেন!
আর, হ্যাঁ, কবিতার অংশটা আমার একটা কবিতা থেকে তুলে দিয়েছি। এটা প্রথমে কবিতাঃ মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে..... কবিতার ৪ নাম্বার মন্তব্যে আরোহী আশাকে প্রতি-মন্তব্য লিখে দিয়েছিলাম।
আর্কিপটেরিক্স ভাই নেই, উনি থাকলে সব বানান ভুল গুলি ধরিয়ে দিত। নীচে পদাতিক দা এই কাজটা করে দিয়েছে। সব ঠিক করে ফেলব। শবনম সিরিজকে আমি অন্য রূপ দিব।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোস্টটি বড় হলেও সকালে শরু করে এই বেলায় এসে শেষ করে নিলাম। প্লট ও সেটিং চমৎকার। ভাল থাকবেন।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: প্রায় বাস্তবিক ঘটনার পুরোটাই তুলে আনতে বেশ সময় লেগেছে আর সেজন্যই গল্পটা বড় হয়ে গেছে। আমি দেখাতে চেয়েছি কিভাবে মেয়েদের এই সব ঘটনায় নায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়।
চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।
শুভ কামনা রইল!
১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০১
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: চমৎকার গল্প। প্লট ও সেটিং চমৎকার। ধন্যবাদ।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
শুভ কামনা রইল!
১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: লম্বা পোষ্ট।
অনেক সময় নিয়ে পড়লাম।
সময়টা অপচয় হয়নি।
১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই আপনি মাঝে মাঝে অসাধারণ মন্তব্য করেন, যেমন আজকেরটা। এত অল্প কথায় এত সুন্দর মন্তব্য আমি খুব কমই পেয়েছি। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
শুভ কামনা রইল।
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক গল্পে কত্তকিছু!!!!!!!!!!!!!!
++++++++++
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:০২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
শবনম সিরিজের গল্পগুলি একটু বড় হয়। আর এবার একদম রিছেন্ট একটা ঘটনা আর এর বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি তুলে ধরেছি। এটা একটা জটিল ধরনের বিষয় আর কি পরিমান ষ্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা নিশ্চয় বুঝেছেন! এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য কারা জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ ,
জম্পেশ লেখা হয়েছে। শাহ জেহান বাদশা যদি তার "নুর জেহান" এর জন্যে তাজমহল বানিয়ে দিতে পারে তবে আমাদের শুভ এস-পি সাহেব গোটা দুই রোড এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে ফেলতে পারবেনা, তা কি হয় ?
তাহলে, শেষতক রাপা প্লাজার রফা হলো ? এই ঘটনা গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে না উঠুক, সামুব্লগে তো বন্দি হয়ে রইলো, তাই বা কম কি ?
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ভাই,
এই ব্লগে আপনি হচ্ছেন চমৎকার মন্তব্য করার শাহেন শাহ! কিভাবে কিভাবে যেন পুরো লেখাকে মিলিয়ে নিয়ে এতই চমৎকার একটা মন্তব্য করে যান যে, মুগ্ধ না হয়ে কোন উপায়ও থাকে না। কত চেস্টা করলাম আপনার মতো করে মন্তব্য করতে শিখার জন্য!! গুরু গুরু!! সাধে কি আমি এই ব্লগে ঢুকার পর থেকেই আপনাকে অনুসরণ করি??
একদম রিছেন্ট একটা ঘটনা ঠিক রকমই ঘটেছে। আমি এর বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি আর প্যাঁচগুলি তুলে ধরেছি। এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়, হয়রানি করা হয়। আর এটাই চরম বাস্তবতা। এই দেশে নায্য বিচার পাওয়াও অলীক কল্পনা হয়ে যায়..............
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল অনন্তর!!
১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৭
মুক্তা নীল বলেছেন: ধন্যবাদ নীলআকাশ ভাই , এ রকম সংকটময়পন্ন সময়ে আপনার এই পোস্ট টি খুবই দরকার ছিল । অনেকেদিন পর আপনার একটি রোমান্টিক ও স্মরণীয় গল্প পড়লাম। যেটা ছিলো সময়ের দাবি। শুধু হা-হুতাশ করছি কিন্তু তারপরও যদি আপনারা এ রকম গল্প লেখেন, তখন মনের মাঝে অনেক স্বস্তি আসে। বড় গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
ঘরে, বাইরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিক্ষেত্রে মেয়েরা কতটুকু নিরাপদ?২ বলতে শিশু থেকে ৪০ বছরের নারী কেউ-ই তো নিরাপদ না। শারমিনের উদাহরণে আমি উপভোগ্যভাবেই নিলাম কারণ সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে । মিডিয়াও নিরব নয়। ঘটনার প্লাটফর্ম বেশ মজবুত ।
শবনম আর শুভ'র জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এ কারণেই দিলাম কারণ মিলনসুধা দেখিয়েছেন জোড়ালোভাবে --- সেই রাপা প্লাজার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে আরও কিছু গল্পের কাহিনির ভাষার সংমিশ্রণে। কষ্টের জীবন থেকে সুখের জীবন স্পর্শ করুক শবনম এটা আমারও লুকোনো গোপন ইচ্ছে ছিলো । সব মিলিয়ে ভালো লাগা রইলো আপনার গল্পে ।
পরিশেষে বলবো মুনিরা জন্যও রইলো আমার শুভকামনা। মুনিরা অনেক খুশি হবেন ।
খারাপ লাগছে শুধু এই ভেবে ব্লগে লোকজন অনেক কম।
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
প্রতি-মন্তব্য দিতে দেরী হবার জন্য আন্তরিক ভাবেই দু:খিত। খুব দারুন একটা মন্তব্য করেছেন, সেজন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিটা মন্তব্যই খুব খুব আন্তরিক হয়। কি যে ভালো লাগে পড়তে........
আমাদের সমাজে শবনম আর শামরীনের সংখ্যাই খুব কম, প্রায় খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সত্যি যদি এইরকম শবনমরা থাকতো, তাহলে নারীদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে কম হত। আমি সব মেয়েদের দেখাতে চেয়েছি, ঠিক এই রকম পরিস্থিতি হলে কি করতে হয়!! সব সময় অন্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না.........
এইরকমই রিছেন্ট একটা ঘটনা ঠিকই ঘটেছে। আমি এর বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি আর প্যাঁচগুলি তুলে ধরেছি। এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়, হয়রানি করা হয়। আর এটাই চরম বাস্তবতা। এই দেশে নায্য বিচার পাওয়াও অলীক কল্পনা হয়ে যায়..............
গল্পের নয় নম্বর অংশটা বেশ সময় নিয়ে লিখেছি। একদম প্রেমের সাগরের তলদেশ থেকে আচ্ছামতো চুবিয়ে নিয়ে এসেছি। শুভ অনেক অনেক দিন ধরে একদম একা। ওর বিরহ আমি নিজেও সহ্য করতে পারছিলাম না ...........
দেখি মনিরা আপু কি বলেন উনার জন্য লেখা গল্প নিয়ে?
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই ,
আপনি যেহেতু সকালবেলা বলেছিলেন, তাই সময় নিয়ে এলাম । আমার চোখে যে টাইপোগুলো ধরা পরল -
আয়েশ/ আয়েস , শোনা/ শুনি, সম্ভব নয়/ সম্ভব না , ভগ্নপ্রায় অবস্থা / ভাঙচুর অবস্থা, ছেঁড়া-ফাঁড়া বা ছেঁড়া ফাড়া / ছেড়াফাড়া,
মহিলা স্টাফ লেখাটাই উত্তম ( বারবার মেয়ে স্টাফ পড়তেও খারাপ লাগছে) ,
পাকিয়ে ফেলি / পাঁকিয়ে ফেলি, করজোড়ে / করজোরে, কেস দাঁড়/ কেস দাড়া, পরবর্তী / পরবর্তি, আশ্চর্য / আর্শ্চয্য, প্রাণী/ প্রানী, আচরণ/ আচরন, দাঁড়াতেই/ দাড়াতেই, ঢোকে / ঢুকে, গণধোলাই/ গনঢোলাই, ডিসিশন/ ডিছিশন, ইশারা/ ইসারা, একদৃষ্টি/ একদৃস্টি, কিছুক্ষণ / কিছুক্ষন, বদমায়েশ/ বদমায়েস, চার-পাঁচজন / ৪ বা ৫ জন , কাঁদতে দেখিনি/ কাঁদতে দেখেনি, হাতঘড়ি/ হাঁতঘড়ি,
চার বা তার পরে -
অস্বস্তি/ অস্বস্তিঃ, উর্বশী / উবর্শী, দৃষ্টান্তমূলক দৃষ্টান্তমুলক / দৃস্টান্তমুলক , নিদারুণ বা নিদারুন্ / নিদারুন, পলিটিক্যাল/ পলেটিক্যাল, মন্ত্রণালয়/ মন্ত্রনালয়, জ্বি বা জ্বী / জি, অনেকক্ষণ/ অনেকক্ষন, পরবর্তী / পরবর্তি, ধুয়ে/ ঢুয়ে, সাংগঠনিক/ সাংঘটনিক।
স্যরি! একদম শেষেরটি করার মত সময় আর নেই। তবে আপনি মন দিয়ে দেখলে আশাকরি ধরা পড়বে।
কাজে লাগলে বা না লাগলেও কমেন্টটি ডিলিট করার অনুরোধ রইল।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নীল আকাশভাইকে।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: দাদা শুভ সকাল,
কাজে লাগলে বা না লাগলেও কমেন্টটি ডিলিট করার অনুরোধ রইল।
আমার এই পোস্টে আপনার এই মন্তব্যটাই সবচেয়ে সেরা মন্তব্য!! কতটুকু ভালোবাসা আমার জন্য আপনার মনে আছে আর কতটুকু ধৈর্য্য থাকলে এত ভুল বের করা যায় সেটার উদাহরণ শিখিয়ে দিয়ে গেলেন আমাকে!! কোন বাক্য বা কোন ধন্যবাদই এটার উপযুক্ত নয়। কোন কিছু বলেই আপনাকে আমি ছোট করব না। এই মন্তব্য এখানেই থাকবে। সমালোচকরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়!!
ব্লগে এত এত ব্লগার থাকতে আপনাকে আমি আমার সবচেয়ে কাছের প্রিয় মানুষ এমনি এমনি ভাবি না। ইনসাল্লাহ আমাদের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে থাকবে...............
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১১ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার দেয়া সবগুলি ভুল ঠিক করে দিয়েছি। বাকী অংশ গুলি বাসায় ভালো করে দেখে ঠিক করে দিব।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল অনন্তর.............
১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩৩
আরোগ্য বলেছেন: বোনাই,
কথামত এবার গল্প পড়ে চলে এলাম। আপনার গল্পের প্রশংসা নতুনকরে করলে নিজেরই লজ্জা লাগবে।
শবনম আর শামরীনকে স্যালুট। আমাদের সমাজে শামরীনের সংখ্যাই খুব কম সেই তুলনায় শবনম খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সত্যি যদি শবনমরা থাকতো তাহলে নারীদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে কম হত। কিন্তু আপনার গল্পের মতই লম্পটগুলো রাঘব বোয়াল ধরে ছাড়া পেয়ে যায়। নারী শাসনে নারী ধর্ষণের বিচার নেই। নারী ক্ষমতায়ন আছে, নারীর নিরাপত্তা নেই।
সবশেষে শবনম আর শুভর জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।
সবই মিছে এই কুহেলিকাময় নশ্বর পৃথিবীতে,
তবুও মন চায় কাউকে খুব করে কাছে পেতে,
ভালোবাসতে কিংবা ভালোবাসা পেতে........
আর প্রিয় মনিরা আপাকে অভিনন্দন উৎসর্গের জন্য।
আরেকটি কথা, আমার তো আগের একটাও পড়া হয় নি মনে হয়। তখন হয়তো আমি ছিলাম না। সময় করে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২০
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য ভাই,
প্রতি-মন্তব্য দিতে দেরী হবার জন্য আন্তরিক ভাবেই দু:খিত। খুব দারুন একটা মন্তব্য করেছেন, সেজন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজে শবনম আর শামরীনের সংখ্যাই খুব কম, প্রায় খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সত্যি যদি এইরকম শবনমরা থাকতো, তাহলে নারীদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে কম হত। আমি সব মেয়েদের দেখাতে চেয়েছি, ঠিক এই রকম পরিস্থিতি হলে কি করতে হয়!! সব সময় অন্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না.........
একদম রিছেন্ট একটা ঘটনা এইরকমই ঘটছে আর এর বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি তুলে ধরেছি। এটা একটা জটিল ধরনের বিষয় আর কি পরিমান ষ্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা নিশ্চয় বুঝেছেন! এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়।
শবনম আমার সেরা সৃস্টি। কোন গল্পই আমি শবনমের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে লিখি না।
আমি ঠিক মনে করতে পারছি না আপনি কি এর আগের পর্বগুলি পড়েছেন কিনা...........
না পড়লে অবশ্যই পড়ুন। শবনমের কোন পর্বই মিস করা ঠিক হবেনা..........
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৪৩
ল বলেছেন: বহুল পঠিত পোস্টে - হাজিরার খাতায় নাম লোখালাম ---প্রিয় তে নিলাম।
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২২
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
শুভ সকাল আর প্রতি-মন্তব্য দিতে দেরী হবার জন্য আন্তরিক ভাবেই দু:খিত।
গল্পটা পড়ার পর জানাবেন কেমন লাগলো।
প্রিয়তে নেয়ার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক কথায় অনবদ্য !!!
প্রিয় তে রাখলাম;
এ লেখায় ফিরতেই হবে
১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১২
নীল আকাশ বলেছেন: এ লেখায় ফিরতেই হবে
ফিরতে তো হবেই আপনাকে.............
এটা আপনার জন্যই লেখা হয়েছে।
কতটা কষ্ট করে আমি এটা আপনার জন্য লিখেছি সেটা আপনি ঠিকই টের পেয়েছেন আশা করি!!
এই গল্পের জন্য চমৎকার মন্তব্য আশা করছি আপনার কাছ থেকে।
ধন্যবাদ।
২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, আমার কমেন্টে একটা ভুল হয়েছে। সংশোধনী করলে খুশী হবো। শেষ থেকে ২/৩ নম্বরের লাইনে শুধু মুনিরা লিখেছি, মুনিরা আপা লিখে দিবেন।
১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: মুনিরা আপু আবার ফিরবেন। এটা উনার জন্যই লেখা হয়েছে। আশা করি উনি আপনার এই মন্তব্য পড়বেন।
অফিসে এখন। আপনার আগের মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য বড় করে দেব সেজন্য এখন দিচ্ছি না।
ধন্যবাদ।
২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার গল্প।
অন্যান্য পর্বগুলো পড়ার আগ্রহ তৈরী হলো। সময় করে পড়ে ফেলবো। ততোদিনে আরেকটা পর্ব লিখে ফেলুন!
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
শবনম আমার সেরা সৃস্টি। কোন গল্পই আমি শবনমে চেয়ে বেশি সময় নিয়ে লিখি না।
আমি ঠিক মনে করতে পারছি না আপনি কি এর আগের পর্বগুলি পড়েছেন কিনা...........
না পড়লে অবশ্যই পড়ুন। শবনমের কোন পর্বই মিস করা ঠিক হবেনা..........
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২২| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: যাক' ছেড়া পালে হাওয়া লেগেছে দেখে খুশী হলাম। গল্পের নয় নম্বর অংশ টা আমার বেশী পছন্দের। বাকী অংশ গুলো পড়ে পালাবি কোথায় সিনেমার কথা মনে পরে গেল তবে প্রতিটি গল্পের মতো এইটাও বেস্ট আর বেস্ট এ এস পি শুভ। ভালোবাসলে এভাবেই বাসতে হয়
তবে এ এস পি শুভর সাথে একটু দেখা করা লাগবে আমার' তার সাথে সাথে নিজের নামটিও যদি গিনিস বুকে দেওয়া যায়
১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
যাক বাবা ফিরে এসেছেন তাহলে........
মাঝে মাঝে কোথায় কোথায় যে ডুব দেন আপনি?? হ্যাজাক বাতি দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না............
@ গল্পের নয় নম্বর অংশ টা আমার বেশী পছন্দের। - এটা প্রায়শ্চিত্ত পরের পর্ব। গল্পের নয় নম্বর অংশটা বেশ সময় নিয়ে লিখেছি। একদম প্রেমের সাগরের তলদেশ থেকে আচ্ছামতো চুবিয়ে নিয়ে এসেছি। শুভ অনেক অনেক দিন ধরে একদম একা। ওর বিরহ আমি নিজেও সহ্য করতে পারছিলাম না ...........
@ পালাবি কোথায় সিনেমা - আমি দেখিনি। এটা আবার কোনটা?? আমার শবনমকে নিয়ে বানিয়েছে নাকি? একদম কেস করে দেব। শবনম আমার কপিরাইটেড প্রোপারটি।
@ প্রতিটি গল্পের মতো এইটাও বেস্ট আর বেস্ট এ এস পি শুভ। ভালোবাসলে এভাবেই বাসতে হয় - প্রথম পর্ব কুসুম কুসুম ভুলে গেছেন নাকি?? শুভ তো এইরকমই পাগল প্রেমিক!! আর কাউকে ভালোবাসলে তো এভাবেই ভালোবাসতে হয়!!
@তবে এ এস পি শুভর সাথে একটু দেখা করা লাগবে আমার' তার সাথে সাথে নিজের নামটিও যদি গিনিস বুকে দেওয়া যায় - শুভ আর শবনমের মতো নিজের একটা জম্পেস প্রণয় কাহিনী ঘটিয়ে ফেলুন (দরকার পরলে আমার পরিণয় গল্প থেকে সাহায্য নিন)! আমরাই ব্লগ থেকে গিনিস বুকে পিটিশন করব নাম উঠানোর জন্য!
আপনাকে এই গল্প দেখে আমার খুব খুব ভালো লাগলো। ভৌতিক গল্প ভয় না পেলে ২ পর্বের পরী সাধনা পড়ে আসুন। দারুন মজা পাবেন।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: তিরিশে টিভির ঘটনাটা হয়তো অনেকেই জানেন না; সেই ঘটনা নিয়ে আপনি এমন চমৎকার একটি গল্প লিখেছেন- জাস্ট বিমুগ্ধ!!!!!! একটা দীর্ঘশ্বাসও অবশ্য ফেললাম, বাস্তবে যদি শুভর মতো এমন অফিসার থাকতো..........
অনেক পরিশ্রম করেছেন, কিন্তু পরিশ্রম সার্থক। চমৎকার গল্প,+++++
১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
উম্মু আবদুল্লাহ আপুর একটা পোস্টে প্রথম আমি এই নিউজটা পাই। তেমন কোন সাড়া পেলাম না এই ব্লগে। তাই ভাবলাম এটাকে হাইলাইট করে লিখি যেন সবাই আবার মনে করে ঘটনাটা।
আমাদের সমাজে শবনম আর শামরীনের সংখ্যাই খুব কম, প্রায় খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সত্যি যদি এইরকম শবনমরা থাকতো, তাহলে নারীদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে কম হত। আমি সবমেয়েদের দেখাতে চেয়েছি, ঠিক এই রকম পরিস্থিতি হলে কি করতে হয়!! সবসময় অন্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না.........
একদম রিছেন্ট এই ঘটনার বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি তুলে ধরেছি। এটা একটা জটিল ধরনের বিষয় আর কি পরিমান ষ্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা নিশ্চয় বুঝেছেন! এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়। বেশির ভাগ সময়েই কেস শেষ পর্যন্ত যেতে পারে না। আর আসামীরা বিনা বিচারেই ছাড়া পেয়ে যায়। আমার এই গল্পটা পড়ে যেন অন্তত: মনে রাখে কেসে হার মানা চলবে না।
এটা প্রায়শ্চিত্ত পরের পর্ব। অনেক দিন পরে লিখলাম। শবনমকে নিয়ে লিখব লিখব করেও কেন জানি লেখা হচ্ছিলনা। ভালো প্লটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আগে ওয়াদা করেছিলাম শবনম আর শুভকে এক জায়গায় এনে দেব। এবার দিলাম। আপনার মন্তব্য আমাকেও মুগ্ধ করেছে। শবনমের আরও পরের পর্ব লিখব এখন থেকে। এই রকমের কেস গুলি নিয়ে আসার চেস্টা করব।
ঠিকই ধরেছেন। অনেক অনেক কষ্ট করেছি। বসে বসে আইন পড়েছি অনেক দিন। নিউজপেপার ক্লিপস যোগার করেছি।
ভালো থাকবেন আপু সব সময়।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৬
মা.হাসান বলেছেন: ব্লগের লেখা হিসেবে অত্যন্ত ভালো প্রেমের গল্প; তবে এটা নিঃসন্দেহে আপনার সেরা লেখা নয়, আমার চোখে ৪ তারকা, পাঁচ তারকা নয়। যেহেতু আপনি সমালোচনা চেয়েছেন নিচে আমার সমালোচনা লিখলাম।
বানান, যতি চিহ্ন বা ভুল কি স্ট্রোকঃ ব্লগের লেখায় এগুলোকে আমি গ্রাহ্য করি না কারণ একজন লেখক যদি কষ্ট করে কিছু একটা লেখেন এটাই আমার বড় পাওনা হিসেবে ভাবি। তবে যখন দুই মলাটের মধ্যে লেখাটা প্রকাশিত হয় এবং পাঠক অর্থের বিনিময়ে তা গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে পাঠকের প্রত্যাশা কিছুটা বেশিই থাকে। যেহেতু আমি চাই আপনার লেখাটা ছাপার আকারে বের হোক কাজেই আমি আমার চোখে পড়া ভুল গুলোর উল্লেখ করলাম। একজন ভালো প্রুফ রিডার দেখলে হয়তো আরো বেশি কিছু বের হবে। লাইন নম্বর এর ক্ষেত্রে আমি white-space গুলোকে কাউন্ট করিনি এবং প্রত্যেকটা সেকশন এর শুরুতে যে নাম্বারিং করেছেন সেটা কেও লাইন নাম্বার গোনার ক্ষেত্রে গোনায় ধরিনি।
১ নম্বর লাইনে করের পরে কমা হবে না, দাড়ি হবে; অথবা যদি কমা বসান তাহলে দ্বিতীয় লাইনে বসেছির পরে দাড়ি হবে না, কমা হবে। ১০ নম্বর লাইনে 'হতভম্ব হয়ে গেলাম আমির' পড়ে দাড়ি হবে , বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না। ১১ নম্বর লাইনের শেষে দাড়ি হবে, অনেকগুলো ডট হবে না। ১৪ নম্বর লাইনে প্রায় ভগ্নপ্রায় হবে না এখানে 'প্রায়' দুবার হয়ে গেছে। একই লাইনে 'অবস্থার' পরে দাড়ি হবে, বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না। একই লাইনে 'প্যারামেডিক ট্রিটমেন্ট' না হয়ে প্যারামেডিকদের ট্রিটমেন্ট হবে। ১৬ নম্বর লাইনে গণধোলাই হবে, ঢোলাই হবে না, কন্ডিশন এরপরে দাড়ি হবে, বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না। ২২ নম্বর লাইনে 'দেখি'র পরে দাড়ি হবে, বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবেনা, কমপ্লেইং এর জায়গায় কমপ্লেন হবে। ২৭ নম্বর লাইনে 'হতভম্ভ'র অাগে বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না, দাড়ি হবে। ২৮ নম্বর লাইনে এই মহিলার বদলে ওই মহিলা হবে। ৩০ নম্বর লাইনে আমাকের বদলে আমাদেরকে হবে। ৩১ নম্বর লাইনে শেষে দাড়ি হবে, বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না । ৩২ নম্বর লাইনে ও তাই হবে। ৩৩ নম্বর লাইনে আপনাকের বদলে আপনাদেরকে হবে, কমপ্লেইং-এর বদনে কমপ্লেন হবে চৌত্রিশ নম্বর লাইনে দু'জায়গায় বিস্ময়বোধক চিহ্ন এর বদলে দাড়ি হবে। ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ৩৭ নম্বর লাইনে কান্না করতে করতে বদলে কাঁদতে কাঁদতে হবে। ৩৮ নম্বর লাইনে ডিছিশনের বদলে ডিসিশন হবে। ৪১ ও ৪২ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। অন্তত এর পরে বিসর্গ হবে না । ৪৩ নম্বর লাইনে দু জায়গায় বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ৪৬ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। বাক্যের শেষে ডট ডট এর বদলে দাড়ি হবে। ৫১ নম্বর লাইনে প্রশ্নের পর দাড়ি হবে , বিস্ময়বোধক হবে না। ৫২ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ৫৩ নম্বর লাইনে সব কিছুর ডিসিশন আমাকেই বলে দিতে হয়ের বদলে সব কিছুর ডিসিশন আমাকেই দিয়ে দিতে হয় হবে। ৫৫ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধকের বদলে দাড়ি হবে। ৫৭ ও ৫৮ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ৬১ নম্বর লাইনেও '!' এর বদলে দাড়ি হবে। ৬৩ নম্বর লাইনের শেষে দাড়ি হবে। ৬৪ নম্বর লাইনে সত্যই এর বদলে সত্যিই হবে। ৬৯ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধকের বদলে দাড়ি হবে। ৭২ নম্বর লাইনে ভদ্দরের বদলে ভদ্র হবে। ৭৮ নম্বর লাইনে দু জায়গায়ই দাড়ি হবে। ৭৯ নম্বর লাইনে দাড়ি হবে। ৮২ নম্বর লাইনের শেষে ডট ডট এর বদলে দাড়ি হবে । ৮৩ নম্বর লাইনে ভদ্দরের বদলে ভদ্র হবে। ৮৩ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে ৮৪ নম্বর লাইনেও তাই। ৮৫-৮৬ নম্বর লাইনেও তাই হবে। ৯২-নম্বর লাইনেও দাড়ি হবে, '!' না। ৯৩ নম্বর লাইনের শেষে ডট হবে না, দাড়ি হবে। ৯৯ নম্বর লাইনেও তাই। ১১০ নম্বর লাইনে এটা শব্দটা বাদ যাবে। ১১২ নম্বর লাইনে '!'র বদলে দাড়ি হবে। ১১৮ নম্বর লাইনের 'সব রকম'-এর মাঝখানে ফাঁক হবে , 'পাশে' শব্দটা বাদ যাবে, আপনারা-এর পরে দাড়ি হবে না, কমা হবে। ১২৩ নম্বর লাইনের শেষে দাড়ি হবে, '!' না। ১৩৭ নম্বর লাইনে ইস এর বদল ইজ হবে। ১৪২ নম্বর লাইনে দাড়ি হবে, '!' না। ১৫৯ নম্বর লাইনের শেষে দাড়ি হবে, '!' না। অন্তত এরপরে বিসর্গ থাকবে না। ১৬১ নম্বর লাইনে প্রফেসর এর বদলে ডিরেকটর হবে , সুদে-আসলে-এর মাঝখানে ফাঁক থাকবে। ১৬৩নং লাইনে তে অসস্তির পরে বিসর্গ থাকবে না। ১৬৪ নম্বর লাইনে ব্যাপার এর বদলে ছিল হবে। একই লাইনে পরের দিনের আগের পর শব্দটা কাটা যাবে। ১৬৫ নম্বর লাইনে দাড়ি হবে, ১৬৭নম্বর লাইনেও তাই, '!' না। একই ভাবে ১৬৮ নম্বর লাইনে দু জায়গায় দাড়ি হবে। ১৭৩ নম্বর লাইনে মোটামোটি না হয়ে মোটামুটি হবে। ১৭৫ নম্বর লাইনে পরের বদলে পড়ে হবে। ১৭৮ নম্বর লাইনে ড্র্যাগসের বদলে ড্রাগস হবে। ১৮৩ নম্বর লাইনে দাড়ি হবে, '!' না। । ১৮৬ নম্বর লাইনে ডিছিশনের বদলে ডিসিশন হবে। ১৮৭ নম্বর লাইনে অহেতুক white-space চলে এসেছে বাদ যাবে ১৮৮ নম্বর লাইনে দুই জায়গায় দাড়ি হবে, '!' না। ১৮৯ নম্বর লাইনে শেষে ডট এর বদলে দাড়ি হবে। ১৯৩ নম্বর লাইনে প্রমাদ শব্দের অপব্যবহার হয়েছে । ১৯৯ লাইনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন হবে না, দাড়ি হবে। ২০১ নম্বর লাইনে শেষে বিস্ময়বোধক চিহ্ন হবে না, দাড়ি হবে। ২১০ নম্বর লাইনে ঢুলির আগে কাল হবে না । ২১১ নম্বর লাইনে চেষ্টা বানান ঠিক করতে হবে । ২১৩ নম্বর লাইনে মুলকের বদলে মূলক হবে। ২১৭ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ২১৯ নম্বর লাইনের ডটের বদলে দাড়ি হবে। ২২১ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধকের বদলে দাড়ি হবে। ২৩০ নম্বর লাইনের নারাজি একটা শব্দ হবে ফাঁক থাকবে না। ২৩৯ নম্বর লাইনে কথা শব্দ টা যাবে বাদ যাবে শুধু মিথ্যা হবে। ২৪০ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ২৪৩ নম্বর লাইনে প্রথম দাড়িটা বাদ যাবে, বিস্ময়বোধক চিহ্নের বদলে দাড়ি হবে। ২৪৫ নম্বর লাইনে ডটের বদলে দাড়ি হবে। ২৪৯ নম্বর লাইনের শেষে দাঁড়ি হবে, '!' না। ২৫২ নম্বর লাইনে ডটের বদলে দাড়ি হবে। ২৫৫ নম্বর লাইনে গভিরের বদলে গভীর হবে ২৫৭ নম্বর লাইনে ডটের বদলে দাড়ি হবে। ২৬১ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে দাড়ি হবে। ২৬৩ নম্বর লাইনে বিস্ময় বোধকের বদলে দাড়ি হবে। ২৬৭ নম্বর লাইনে বাই চান্স এর মাঝখানে ফাঁক হবে , বাক্যের শেষে দাড়ি হবে, '!' না। ২৬৮ নম্বর লাইনে বাক্যের শেষে দাড়ি হবে, '!' না। ২৭১ নম্বর লাইনে ডট ডট এর বদলে দাড়ি হবে। ২৮১ নম্বর লাইনে র্যাংক শব্দটা ভুল প্রিন্ট হয়েছে। ২৮৩ নম্বর লাইনে মন্দ নয় এরপরে দাড়ি হবে, '!' নাা। ২৮৭ নম্বর লাইনে সংঘর্ষ হবে, ২৮৯ নম্বর লাইনেও সংঘর্ষ হবে, সংর্ঘষ না। ২৯০ নম্বর লাইনে তদন্তে রিপোর্ট করা হয় এর বদলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় হবে। ২৯২ নম্বর লাইনে রুটের বদলে সাইড হবে। ২৯৩ নম্বর লাইনে ডটের বদলে দাড়ি হবে। ২৯৭ নম্বর লাইনে '!'এর বদলে দাড়ি হবে , ২৯৮ নম্বর লাইনেও তাই, ২৯৮-২৯৯-৩০০-৩০১-৩০৪-৩০৭ নম্বর লাইনেও তাই। ৩১১ নম্বর লাইনে বিস্ময়বোধক এর বদলে পরের দু'জায়গায় ফুলস্টপ হবে । ৩১৩ নম্বর লাইনে '!'এর বদলে দাড়ি হবে, ৩১৪-৩১৫তেও তাই। ৩১৬ নম্বর লাইনের 'না পাওয়ার' মাঝখানে ফাঁক হবে। ৩১৭ নম্বর লাইনে দাড়ি , '!' না,। ৩১৮ নম্বর লাইনে পরিয়ে হবে, পড়িয়ে না। ৩১৯ নম্বর লাইনে ফুলস্টপ হবে, '!' না। ৩২৫-৩২৬ নং লাইনে দাড়ি হবে, '!' না। ৩২৯ লাইনে অনেকগুলো ডটেরর বদলে তিনটা ডট হবে। ৩৩১ নম্বর লাইনে পরের দু জায়গায় '!'-এর বদলে ফুল স্টপ হবে। ৩৩২ নম্বর লাইনের শেষে ফুল স্টপ হবে , '!' না। ৩৩৩ নম্বর লাইনে'!'এর বদলে দাড়ি হবে, ৩৩৪ নম্বর লাইনেও তাই। এছাড়া ৩৩৪ নং লাইনে গ্রনিজের বদলে গিনেস হবে। ৩৩৫ নম্বর লাইনে ডট ডট এর বদলে দাড়ি হবে।
কাহিনীর বিষয়েঃ লেখক এর কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে আমি অনুরোধ করব গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র পুলিশের এএসপি শুভর মুখে সিগারেট না দেওয়ার জন্য। কাচ্চি বিরিয়ানি খায় খাক, অসুবিধা নেই, হাতে সিগারেটের বদলে একটা ডাব ধরিয়ে দিন কারণ মানুষ এদেরকে আজকের হিরো ভাবে এবং এদের কে অনুসরণ করতে চায়। আমি প্রাচীনপন্থী মানুষ। অন্ধকারকে অন্ধকার দিয়ে দূর করা যায় বলে ভাবতে পারি না। তবে এটাই এখন কালচার কাজেই ডিরেক্টর সাহেবের মৃত্যু ট্রাক চাপায়ই হয়ে থাকুক। লোকে এটা এভাবেই হয়তো বেশি পছন্দ করবে। আপনার মিথিলাকে নিয়ে লেখা গল্পগুলোতে মিথিলার ভিতরে কিছু মানবিকতা দেখা যায় কিন্তু এখানে শুভ বা শবনমের মধ্যে কোন আমি মানবিকত দেখিনি কাজেই এটা আমার কাছে শুধু একজন সুন্দরী অহংকারী মেয়ে এবং একজন অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার মাঝের প্রেমের একটা ঘটনা হয়ে রয়েছে, কোন অনবদ্য ভালোবাসার কাহিনী মনে হয় নি। একটা বা দুটো প্যারা যোগ করে দিতে পারেন যেখানে তাদের মধ্যে কোন মানবিকতা প্রকাশ পাবে তাহলে পাঠকের জন্য চরিত্রের প্রতি সমবেদনা জাগানো সহজ হয়। ৪১ নম্বর লাইনে আছে -একরাশ কৃতজ্ঞতা নিয়ে আমার দিকে তাকালো দুই বোন -শবনমের যে চরিত্র রেখেছেন তাতে তার কৃতজ্ঞতা বোধ থাকতে পারে বিষয়টি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। আপনার গল্পের শবনম সিরিজের গল্পগুলো একসঙ্গে বসে লেখা হয়নি প্রথম দু পর্ব যখন লিখেছিলেন সম্ভবত চিন্তা করেননি শেষের দুই পর্ব লিখে তাদের মিলন ঘটাতে হবে। প্রথম দুই পর্বের সঙ্গে শেষের দুই পর্ব যেখানে জোড়া লাগিয়েছেন সেখানে হাত দিলে একটু উচু লাগে, জোড়াটা বোঝা যায়। প্রায়শ্চিত্ত পর্বে দেখা যায় শবনম শুভর সামনে বসে আছে এবং শুভ ভাবছে শবনম তাকে চিনতে পারবে না। ৪-৫ বছরের না দেখার কারনে এতোখানি চেহারা বদল হওয়া টা মনে হয় সম্ভব না যে শুভ ভাববে শবনম তাকে চিনবে না। সবার শেষে রূপায়নের রুফটপের ভিতরের টেবিলে না বসিয়ে বাইরের খোলা জায়গায় ওদের কিছু সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে, ১৭ তালায়, খোলা আকাশের নিচে, ওখানে বসাতে পারেন, আরো বেশি রোমান্টিক পরিবেশ ওটা
অনেক শুভকামনা ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল হাসান ভাই,
কি যে সুন্দর একটা মন্তব্য করলেন। মন্তব্য স্টিকি করার সুযোগ থাকলে আমি এই মন্তব্য আমার এই পোস্টে অবশ্যই স্টিকি করে রাখতাম। এর চেয়ে ভালো সমালোচনা কোন লেখকই আশা করতে পারে না। আমার কপাল, যে আপনার সাথে এত ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পেরেছি।
আপনার গল্পের শবনম সিরিজের গল্পগুলো একসঙ্গে বসে লেখা হয়নি প্রথম দু পর্ব যখন লিখেছিলেন সম্ভবত চিন্তা করেননি শেষের দুই পর্ব লিখে তাদের মিলন ঘটাতে হবে। প্রথম দুই পর্বের সঙ্গে শেষের দুই পর্ব যেখানে জোড়া লাগিয়েছেন সেখানে হাত দিলে একটু উচু লাগে, জোড়াটা বোঝা যায়। - আমি আবার আগের ২টা পর্বই রিরাইট করব। সফট কপি নিয়ে যাচ্ছি। আমি যখন এই ২টা লিখি তখন আমি একদম অ্যামেচার গল্পকার। এখন আমি আবেগগুলি অনেক ভালো ভাবে দিতে পারি। উচু জায়গাগুলি আর জোড়াটা আমি একদম মসৃন করে দিব, যত কষ্টই হোক।
প্রায়শ্চিত্ত পর্বে দেখা যায় শবনম শুভর সামনে বসে আছে এবং শুভ ভাবছে শবনম তাকে চিনতে পারবে না। ৪-৫ বছরের না দেখার কারনে এতোখানি চেহারা বদল হওয়া টা মনে হয় সম্ভব না যে শুভ ভাববে শবনম তাকে চিনবে না। - এটা আমি জানি। আমি প্রায়শ্চিত্ত পর্বটা ১ম লিখেছি। তখন কল্পনাও করিনি এটার আরও পরের পর্ব পাঠকদের অনুরোধে লিখতে হবে। তখন মাত্র ২ না ৩টা গল্প লিখেছি। তবে আমি এটাকে সেইরকম সাইজ করে ফেলব। যখন সন্তুস্ট হবো তখনই আবার আপনাকে দেখতে বলব কেমন হয়েছে।
আর এই গল্পের প্রতিটা ভুল আমি আপনি যেইভাবে মার্ক করে দিয়েছেন, সেভাবেই ঠিক করে দিব। ইনসাল্লাহ এই সব ভুল আর আমি করব না পরের গল্পতে।
সবসময় পাশে থাকার জন্য আবারও অনুরোধ রেখে গেলাম। আমি যদি শবনমকে নিয়ে কিছু বের করি, আপনি অবশ্যই সেখানে থাকবেন। আমি আমার এই জীবনে কোনদিনও কোন কথার বরখেলাপ করিনি।
আমি বেশ কিছু দিনের জন্য ডুব দিব এই পর্বগুলি ঠিক করার জন্য। ইনসাল্লাহ আবার ফিরে আসব আমি।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, আপনার প্রতিটা গল্প এতোটা মনযোগ দিয়ে পড়ি, পড়ে এতোটাই মুগ্ধ হই বা বাস্তবতার জীবন কাহিনির সাথে মিল খুঁজে পাই। গল্পগুলো ফুটিয়ে তুলেন যেনো, চরিত্র চোখের সামনে ভাসে এবং আপনি তা পারেন ও বটে।
আপনার সেই মিথিলা'র গল্প আমি যতবারই পড়ি ততবারই মুগ্ধ হই। আবার শবনমের ভক্ত। আর অন্যান্য গল্পতো আছেই। প্রতিটি গল্পের মাঝেই জীবনের কোন না কোন মেসেজ থাকে।
মূল উদ্দেশ্য আসি, আপনি তো জানেন আমি পাঠক হিসেবেই নিজেকে পছন্দ করি। যতটুকু বুঝার ক্ষমতা রাখে মনের মধ্যে হয়ত তা দিয়েই মন্তব্য করি। কিন্তু আপনার এই পোস্টের মধ্যে যদি কেউ উল্টোপাল্টা শুধু ভুল-ই ধরে তবে সেটাই আপনার কাছে কেন সেরা কমেন্ট হবে, আমাদের মন্তব্যের কি কোন মূল্য নাই?
ভাই, অনুরোধ করবো ভূল বুঝবেন না। পজিটিভ অর্থে নিবেন।
কারণ পযালোচনা, সমালোচনা ও ভুল ধরিয়ে দেওয়া বিশ্লেষণ সহ অবশ্যই কমেন্টর মধ্যে পড়ে, আমি জানি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
আপনি ভুল বুঝেছেন, আপু। আমি আপনার পছন্দের শবনমকে নিয়ে বইয়ের কাজে যেতে চাচ্ছি, যদি সম্ভব হয়।পদাতিক দা এবং হাসান ভাইকে এডিটিং এবং প্রুফের কাজ করতে বলেছিলাম, ভলিন্টারি ওর্য়াক। যারা এই কাজ আগে করেনি, তাদের পক্ষে এটা অনেক কঠিন ব্যাপার। তাছাড়া এদের বানান এবং ব্যাকরন নিয়ে অনেক ভালো ভাবে জানতে হয়। আমি নিজেও এই কাজ করতে পারি না। সবার পক্ষে এই কাজ সম্ভবও নয়। প্রচন্ড ধৈর্য্যের কাজ। অনেক সময় লাগে।
হাসান ভাই গত পাঁচদিন ধরে শুধুই আমার এই পোস্ট নিয়েই পড়ে ছিল। কতটা উপকার করেছে আমার সেটা আমি জানি। আপনি একবার কারও লেখায় এই ধরনের প্রুফ এবং এডিটিং এর কাজের চেস্টা করে দেখুন। সাথে সাথেই টের পাবেন কেন আমি উনাকে এই ধরনের কথা বলেছি। আমি আসলেও কৃতগ্গ উনাদের কাছে।
আপনার মন্তব্য আমি খুবই পছন্দ করি, কারন পাঠক হিসেবে আপনি প্রায় সব সময়ই অন্যতম সেরা মন্তব্য করেন। হাসান ভাই এবং পদাতিক দাকে আমি অনুরোধ করে এই কাজ করে দিতে বলেছি। তারা এই কাজ না করে দিলে কিছুই বলার থাকত না।
আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন, আপনার মন্তব্য যদি মূল্য না থাকত কেন তবে অল্প কিছুদিন আগেই আমার অন্যতম সেরা একটা লেখা আপনার নামে উৎর্গ করেছি। ভুল বুঝবেন না। পাঠক এবং সমালোচক ভিন্ন কনছেপ্ট। তবে আমি চাই আপনিও সমালোচক হবার চেস্টা করুন। আমিও করছি। ভালো ব্লগার হতে হলে এটা মাস্ট।
শবনমের ১ম & ২য় পর্ব আবার লিখছি। লেখা শেষ হলে আপনাকে শিঘ্রই পড়তে বলব। আগেরবার যেহেতু পড়েছেন, এবারের গুলি কতটুকু ইমপ্রুভ করতে পেরেছি জানাবেন।
আমি বেশ কিছু দিনের জন্য ডুব দিব এই পর্বগুলি ঠিক করার জন্য। ইনসাল্লাহ আবার ফিরে আসব আমি।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: গল্প সুন্দর হয়েছে। এর আগে আপনার আরেকটি গল্প সম্ভবত পরী কাহিনী পড়েছিলাম। ওটাও সুন্দর ছিল। চালিয়ে যান। এক সময় বাছাই করা গল্প নিয়ে একটা বই প্রকাশ করুন। আর তখন এই মন্তব্যগুলোর একটু সার সংক্ষেপ গল্পের সাথে দিয়ে দিবেন।
বাস্তব কিছুটা কঠিন। এই ধরনের অনেক কেসে দোষীরা আইনের ফাক ফোকর গলে বের হয়ে আসে। যাই হোক, গল্পে না হয় আমরা সত্যের জয়টুকুই দেখি।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
শুভ রাত্রী!! দেরীতে মন্তব্য করার জন্য খুব দু:খিত। এর আগে একবার বড় একটা মন্তব্য লিখে পোস্ট করলাম সাথে সাথেই উধাও। মহা বিপদে আছি।
এই গল্পটা আপনার পছন্দ হয়েছে তার মানে আমার কষ্টটা সার্থক হয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা সব ধামাচাপা পড়ে গেল। সবাইকে আবার মনে করিয়ে দেবার জন্যই গল্পটা লিখলাম।
বইয়ের ব্যাপারে যা বললেন, শবনমকে নিয়ে ঠিক এইরকম চিন্তা আছে। তবে মন্তব্যের ব্যাপারে সার সংক্ষেপ দেয়ার যে বুদ্ধি দিয়েছেন সেটার জন্য ধন্যবাদ। এটা আমার মাথায় থাকবে।
আমাদের সমাজে শবনম আর শামরীনের সংখ্যাই খুব কম, প্রায় খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সত্যি যদি এইরকম শবনমরা থাকতো, তাহলে নারীদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে কম হত। আমি সব মেয়েদের দেখাতে চেয়েছি, ঠিক এই রকম পরিস্থিতি হলে কি করতে হয়!! সব সময় অন্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না.........
একদম রিছেন্ট এই ঘটনাটার বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি তুলে ধরেছি।এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো ।বাস্তবতা নিয়ে খুব ভালো লিখেছেন ।
++++++
শুভকামনা
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
দেরী করে মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আপনি ঠিকই বলেছেন। একদম রিছেন্ট এই ঘটনাটার বাস্তব আইনগত সীমাবদ্ধতাগুলি তুলে ধরেছি। এভাবেই ভিক্টিম মেয়েদেরকে ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত করা হয়। তবে বাস্তবে এর ঠিকই পার পেয়ে যায়, এটাই দু:খের কথা..........।
পড়ার এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৭
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: Click This Link
আর গল্প পড়ে পরে মতামত জানাবো
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অসংখ্য ধন্যবাদ। লিংকটা দেখে আসলাম। আজকে বসায় যেয়েই ট্রাই করব।
আমার ব্লগে সুস্বাগতম।
চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!
মহা লাভস্টোরী ভাইয়া!!!!!!
১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
দেরী করে মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অফিসের কাজে মহ মহা ব্যস্ত।
ঠিক বলেছেন শবনমের এটা আসলেও মহা লাভ স্টোরী।
চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৩০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২১
নজসু বলেছেন:
আসতে তো হবেই প্রিয় গল্পাকার।
২২ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
দেরী করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য দু:খিত। ব্লগে সব সময় ঢুকা যায় না।
আপনার মন্তব্যগুলি খুবই চমৎকার হয়।
এই গল্পটা নিয়ে খুব দারুন আপনার একটা মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক বড় সড় গল্প!!
পড়তে গিয়ে দু বার ধাক্কা খেতে হল।
সেটা অবশ্যই আমার ব্যস্ততায়
অনেক দিন পর ব্লগে আসতে পারলাম, তাও সুজন ভাই'র পরামর্শে।
এত কিছু ঘটার পরও শবনমের সাথে মিলটা গল্পকে আরও সুন্দর করেছে।
গল্পে শবনমের জয় হল, লেখকের নয়
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ফাহিম ভাই,
নোটিফিকেশন সমস্যার জন্য প্রতি উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য লজ্জিত।
আমার শবনম জয়ী হলে আমি হারতেও রাজী। শবনমকে মিলিয়ে দিয়েছি। এবার একটা গদগদ প্রেম কাহিনী লিখব এদের ২জন কে নিয়ে!!
আমার নতুন গল্পের আপনার নাম কিন্তু ব্যবহার করা হয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৩২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অবশেষে এলাম........
সময় নিয়ে পড়তে হবে
২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনাকে ছাড়া কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল আমার ব্লগটা।
কি যে সুন্দর করে আপনি সব ভুল গুলি ঠিক করে দিতেন!!
আপনার মন্তব্যের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় করব।
ফিরে আসার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।
* আজকে ভৌতিক একটা দিচ্ছি। পড়ে ভালো মজা পাবেন।
শুভ কামনা রইল।
৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জল এতদূর গড়িয়েছে? এটা লিখতে পারতেন।
বেনসন হবে সান শাইন হবে
শামরীন নাকি শারমিন??
বিরিয়ানি খাওয়ার পর ওয়াশরুমে হাত ধোয়াটা মানানসই হবে।
সাবলীল বর্ননা শৈলী। সবমিলিয়ে দারুণ লাগলো
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনি হচ্ছেন আমার অফিশিয়াল প্রুফ রিডার। আপনার আদেশ শিরোর্ধায। যা যা বলেছেন সব গুলি ঠিক করে দিয়েছি।
শামরীন আমার পছন্দের নাম তাই এটাই ইউজ করেছি।
এই গল্পটা নিয়ে খুব দারুন আপনার একটা মন্তব্যের জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
শুভ কামনা রইল।
৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন:
ভালোবাসার গল্প আমার ভালো লাগে
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
ভালোবাসার গল্প লিখতে আমারও খুব ভালো লাগে!!
শুভ অপরাহ্ন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
ম্যাড ফর সামু বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো, তবে কিছু টাইপো চোখে পড়ল (পরন্ত-পড়ন্ত) এরকম আরো কিছু রয়েছে। অনেক বড় লেখা পড়তে অনেক সময় লাগবে। তাই আপাতত রেখে দিলাম।