নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
রাত প্রায় বারটা বাজে। ঘরের লাইট নিভিয়ে বেডে শুয়ে পড়েছি ঘুমিয়ে পড়ার জন্য, সকালবেলা অফিসে যেতে হবে। ঠিক সেই সময়ই ফোনটা এলো মোবাইলে। অন্ধকার ঘর, বালিশের পাশে রাখা মোবাইলটা কাছে নিয়ে নামটা স্ক্রীনে পড়ার পরই স্তব্ধ হয়ে রইলাম। রিংটোন বেজেই চলছে। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে আছি আমি, ধরব কি ধরব না ভেবে ঠিক করতে পারছি না। মোবাইল ধরা হাতটা কাঁপছে। এতদিন পর আবার সেই নাম্বারটা দেখে বুকের মাঝেও কালবৈশাখীর ঝড় উঠল। অবচেতন মনেই হয়ত রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে ভেসে আসলো সেই পরিচিত একটা কন্ঠস্বর, এতটুকুও বদলায়নি, সেই আগের মতোই আছেঃ
-ফোন ধরছিলে না কেন? কতক্ষন ধরে রিং বাজছিল।
-কি হবে ধরে?
-কালকে সকালবেলা তোমার বাসায় আসব। কোথাও যাবে না। আমি এসে যেন দেখি তুমি বাসায়ই আছো।
-কেন?
আমার প্রশ্নের উত্তর দেবার আগেই লাইনটা কেটে গেল। এতটা দিন পরে হুট করে ও কেনই বা ফোন দিল আর কালকে বাসায় থাকতে বলল কিছুই বুঝলাম না। আমার হৃদয়টা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে তো চলেই গিয়েছিল, আবার কেন দেখা করতে চাইছে? ভালোবাসা তো এখন আমার কাছে দুঃসহ এক আবেগ, যেটা আমার হৃদয়টা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। ফোনটা রেখে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে হঠাৎই আমি উপলব্ধি করলাম এই ভাঙ্গা হৃদয়ের প্রতিটি টুকরো যেন আজও ওকে বেহায়ার মতো প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসে। এই নশ্বর পৃথিবীতে কারও ভালোবাসা না পেয়ে হয়ত কোন এক ভাবে বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু কাউকে ভালো না বেসে ভালো ভাবে বেঁচে থাকা যায় না.....................
এক
সকালবেলা ঘরে ঢুকেই নীলা সোজা খাটে যেয়ে বসল আগের মতো। পা দোলাতে দোলাতে আমাকে জিজ্ঞেস করলোঃ
-আমাকে এখনই বিয়ে করতে পারবে? এই মুর্হুতে?
প্রস্তাবটা শুনে আমি হতম্ভব হয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে আছি, বলে কি এই মেয়ে?
-এখন মানে এখন। মাত্র পাঁচমিনিট সময় দিলাম তোমাকে। চিন্তা ভাবনা করে বলো পারবে কিনা?
নীলার হঠাৎ এই প্রস্তাব শুনে আমার মাথায় এখন একসাথে অনেক কিছু চর্কির মতো ঘুরতে শুরু করল। কেমন যেন দ্রুতই সবকিছুই তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে! কিছুই বুঝতে পারছি না কি বলব নীলাকে।
-আগেরবারও অপশন দিয়েছিলাম। তখনও কিন্তু তুমি সিদ্ধান্ত নিতে পার নি। ঠিক একবছর পর আসলাম। এর পরেরবার যে অপশন আমি তোমাকেই দিব, সেটা তুমি কিভাবে ভাবলে?
নীলার এতক্ষন আমাকে যা বলল সবগুলিই নির্ভেজাল সত্য কথা। গতবার যখন নীলা একই প্রস্তাব দিয়েছিল আমাকে, তখন আমি হুট করেই বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হতে কিছুটা ইতস্ততঃ করছিলাম। কেবল দুইমাস হলো জীবনের প্রথম চাকরি পেয়েছি। বাসা ভাড়া নিতে পারিনি, তখনও মেসেই থাকি। চাকরীও পারমানেন্ট হয়নি। বেতনও শুরুতে খুব একটা ভালো নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলে। বাবা মা ভাই বোন সবাই গ্রামে থাকে। সেখানেও টাকা পাঠাতে হয়। জীবন মাত্র একটা কিন্তু বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। হুট করে হ্যাঁ কিছুতেই যেন বলতে পারছিলাম না। বুকের ভিতর দোনমন্যতা নিয়ে শুধু তাকিয়ে ছিলাম নীলার দিকে অনেকক্ষন। কোন কুলক্ষনেও ভাবিনি এই মেয়ে এরপরই এত বড় একটা অঘটন ঘটাবে। কিছুই না বলে হাসিমুখে আমার মেস থেকে চলে গেল। পরের পাঁচদিন কোন খোঁজখবর নেই ওর। আমি পাগলের মতো আঁতিপাঁতি করে আমার পরিচিত সবজায়গায় খুঁজে ফিরছি। কোন হদিসও নেই। মোবাইল ফোনটাও ইচ্ছে করেই বন্ধ রেখেছে। আমার প্রায় মাথা খারাপ অবস্থা। নীলা কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুই জানি না। পাঁচদিন পরে হুট করে একটা মেসেজ পেলাম নীলার কাছ থেকে। মেসেজটা পড়ার সাথে সাথেই আমার মাথায় সারা আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ল।
-আমি বিয়ে করে ফেলেছি। তুমি এখন আরও বেশী বেশী করে ভাবো। সারাদিন বসে বসে ভাবতে থাকো। আমার এত চিন্তা ভাবনা করার সময় নেই। বিয়ে করতে ইচ্ছে করছিল, তাই করে ফেলেছি। তোমার প্রয়োজন না থাকতে পারে কিন্তু আর কতদিন আমি একা থাকব? তুমি তো বুঝতেই চাইলে না।
পাঁচমিনিট পরে নীলা এক লাইনের আরেকটা মেসেজ পাঠাল। কলিকাতার একটা গানের প্রথম লাইনঃ
-আর কতরাত একা থাকবো?
কলিকাতার কোনো কিছু আমার এমনিতেই পছন্দ নয়। এখন গানের এই লাইনটা শুনে মেজাজ পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেল। আগুন ধরে গেল মাথায়। শালার নটী গায়িকা! এইসব গান না গেয়ে রাস্তায় যেয়ে দাড়ালেই তো পারতো! গানের সাথে সাথে কিছু এক্সট্রা ইনকামও হতো!
সুতরাং দ্বিতীয়বার ওয়েট করার প্রশ্নই উঠে না। এতটা পাগল আমি হইনি এখনও। যেই চরম শিক্ষা হয়েছে প্রথমবার, এই মেয়েকে নিয়ে কোন রিস্ক নেয়া যাবে না। নীলা চাইলে পারে না এমন কিছু নেই। বাসায় লুংগি আর টিশার্ট পড়ে আছি এখন। যা পড়ে আছি সেটা পড়ে তো আর বিয়ে করতে যাওয়া যাবে না। ড্রেস পরিবর্তন করার সময়টুকু চাইলাম নীলার কাছে। বাথরুম থেকে ড্রেস পরিবর্তন করে এসে দেখি উনি লাল টকটকে লিপষ্টিক লাগাচ্ছে ঠোটে। বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকা যায় না। বুকের ভিতর ভিষন জ্বালাপোড়া করে। মেয়ে বেশী ফর্সা না কিন্তু মাথা খারাপ টাইপের ফিগার। আর ওর যা হাসি! উফ, একটা হাসি দিলেই পুরো হৃদয়টা ঠান্ডা হয়ে যায়।
প্রথমবার এই হাসি দেখেই পাগল হয়ে আমি নীলার প্রেমে পড়ি। ওর হাসিটা সুন্দর, তবে যেন তার চেয়েও অদ্ভুত কিছু আছে এর মাঝে। হঠাৎই অনুভব করলাম ওর হাসি যেন আমাকে প্রবল ভাবে নীলার কাছে যাবার জন্য ডাকছে। শুধু ওর দিকে একপলক তাকাতেই এক তীব্র ভালোলাগা বুকে অনুভব করলাম। আর সেই সঙ্গে বুকে একটা তীব্র ভয়ও জেগে উঠল, ও যদি আমার না হতে চায়? সহসা অচেনা এক চঞ্চলতা আর অজানা এক অস্থিরতা এসে মুহুর্তেই আচ্ছন্ন করে ফেলল আমাকে। কাউকে ভালোবাসা বাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, শুধু একটি মুহুর্তই যথেষ্ট। হৃদয়ের সেই দুর্বলতম মুহুর্তে আমি হুট করেই ওর প্রেমে পড়লাম। আর এটাই হলো প্রথম দেখায় আমার নীলার প্রেমে পড়ার সুতীব্র আকুতি।
ওর হাসিগুলি যেন ঘোরের মতো মনে হয় আমার কাছে। যতক্ষন ও আমার কাছে থাকে আমি যেন ঘোরের মধ্যে থাকি। নীলা যাই করে আমি তার কোন প্রতিবাদ করতে পারি না। কোনদিন ওর কিছুতে না বলার সাহস কখনও হয়নি আমার। আমি শুধুই চাইতাম ও আমার পাশে বসে সুন্দর করে হাসবে আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো! আমার মনের এই লুকায়িত ইচ্ছাটার কথা কিভাবে কিভাবে যেন পাজিটা জেনে ফেলেছিল। অথচ আমি কখনই ওকে এটা বলিনি। আর এটা জানার পর থেকেই কারনে অকারনে ও আমার সামনে শুধু হাসতো। আর আমিও নীলার প্রেমের ছোট ছোট জাল থেকে আরও বড় জালে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যেতাম...
আলমিরা খুলে টাকা বের করলাম। কাজী সাহেব তো আর আমার মামা বা চাচা নন যে ফ্রি ফ্রি বিয়ে পড়িয়ে দেবে। তাছাড়া নীলাকে নিয়ে আমার আরেকটা গোপনতম ইচ্ছে আছে। বিয়ের পর ওকে আমি একটা নীল রঙ্গের কাতান শাড়ী কিনে দেব। ও এই নীল শাড়ীটা পড়ে আমার ভালোবাসার নীলাপরী হয়ে যখন আমার সামনে এসে দাঁড়াবে, তখন আমি সাহস করে ওকে জড়িয়ে ধরব। নীলা আমাকে ইচ্ছেমতো বকা দিয়ে বলত, আমি নাকি একটা আস্ত ভীতুর ডিম। ওর হাত ধরতেও নাকি সাহস পাই না। আমি ওকে ভালোবসে জড়িয়ে ধরতে চাই, আমার হাহাকারে ভরা শুন্য এই হৃদয়ের ওকে আশ্রয় দিতে চাই। ওর মনের মতো সাহসী প্রেমিক পুরুষ হতে চাই!
দুই
সাত সকালবেলা এত তাড়াতাড়ি আমাদেরকে দেখে কাজী সাহেবও কিছুটা অবাক হয়ে গেলেন। আমাদের দুইজনেরই তাড়াহুড়ো দেখে কাজী সাহেব সাথে সাথেই বিয়েটা পড়িয়ে দিলেন। বিয়ের পরপরই ম্যারেজ রেজিস্টার খাতায় সাইন করার জন্য যখন আমার সামনে দেয়া হলো, আমি নিজের দুই চোখকেও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বর আর কনের জায়গায় আমাদের দুইজনের নাম দেখে বাম হাতে চিমটি কেটে নিশ্চিত হলাম, আমি কোন দিবা স্বপ্ন দেখছি না। নিজের নামের পাশে সাইন করার সময় হাত কিছুটা কাঁপছিল। প্রথম বিয়ে বলে কথা! খাতাটা নীলার সামনে দিতেই ও আমার হাত থেকে কলমটা নিয়ে গটগট করে সাইন করে দিল আর আমার দিকে তাকিয়ে ওর সেই ভূবন ভুলানো হাসিটা উপহার দিল আমাকে। ওর সেই ভালোবাসা মাখা হাসিটা দেখে আমি গত একবছরের সব দু:খকষ্টগুলি সহসাই ভুলে গেলাম। আমি ওকে ভালোবাসি, পাগলের মতো ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবো না। গত একটা বছরের প্রতিটা সেকেন্ড আমি কি জাহান্নামের মধ্যে দিয়ে পার করেছি আর কতটা অভিমান বুকের ভিতর পাথর চাপা দিয়ে বেঁচে ছিলাম সেটা শুধুই আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
তিন
বকশি বাজারের কাজী অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। নীলা পাশে এসে দাঁড়িয়েই আমার ডানহাতটা জড়িয়ে ধরলো। আমি অসীম নীল আকাশের দিকে তাকালাম। আহ, জীবনটা আসলেই কি সুন্দর! কি যে ভালবাসি আমি নীলাকে, ওর জন্য মনে হয় পায়ে হেঁটেই আমি খোদ এভারেস্ট পর্বতেও উঠে যেতে পারবো হাসি মুখে। জীবনের এই মাহেন্দ্রক্ষনে এসে নিজেকে আজ পরিপূর্ন একজন পুরুষ মনে হচ্ছে!
হাসি মুখে নীলা জানতে চাইলোঃ
-এখন কি করবো আমরা?
-প্রথমেই নিউমার্কেটে যাবো তবে আগে খেতে হবে। সকালবেলা নাস্তা খাবার সময়ও দিলে না তুমি। ভালোই খিদে পেয়েছে। তাছাড়া, অনেকদিন হলো তোমাকে ভালো কোন ট্রিট দেই না। চলো ষ্টার এ যেয়ে খেয়ে আসি।
ষ্টার রেস্টুরেন্ট হলো নীলার সবচেয়ে পছন্দের খাবার জায়গা। না করার প্রশ্নই উঠে না। নিজেই এগিয়ে যেয়ে রিকশা ডেকে ভাড়া ঠিক করে ফেলল। রিক্সায় উঠার আগেই ওর সুন্দর হাসিটা আবার দেখতে পেলাম। আহ! এই জীবনে বেঁচে থাকা সত্যি দারুন আনন্দের।
নিউমার্কেটে টুকটাক বিভিন্ন কিছু কিনে রিকশায় করে দুইজনই আমার বাসায় ফিরছি। কতোদিন হলো ওর সাথে এভাবে ঘোরাঘুরি করি না। ওর ডানহাতটা আমার দুইহাতের মধ্যে শক্ত করে ধরে রেখেছি। একবার নিজেরই ভুলে ছেড়েছি, আর কখনও এই হাত ছেড়ে দেব না।
-রেডিমেইড ব্লাউসটা মনে হয় ভালো ভাবে ফিট হবে না!
-না হলে নেই! পড়বে না, কি দরকার ব্লাউজ পড়ার? আমার জন্য নীলশাড়ীটা পড়লেই যথেষ্ট!
সারা সময় ও হাসে আর এবার আমি দাঁত বের করে একটা হাসি দিলাম। নির্ঘাত কঠিন একটা ঝাড়ি খাবো। অদ্ভুত একটা ব্যাপার ঘটল। নীলা অবাক চোখে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো।
-তোমার কিভাবে এতো সাহস হলো?
-আমি জানিনা, সত্যই জানি না।
-তোমার এতো সাহস আগে থাকলে তো, এই একবছর দুইজনের কাউকেই এতো কষ্ট করতে হতো না।
হঠাৎ মনে পড়তেই জিজ্ঞেস করলাম নীলাকেঃ
-ঐ ছেলেটাকে ছেড়ে আসলে কেনো?
-ও একটা আস্ত রোবট। সারাদিন মনে হতো আমি একটা রোবটের সাথে সংসার করছি। তাও বিয়ের কথা ভেবে চেস্টা করেছিলাম তোমার ভালোবাসা ভুলে যেতে। একবছর অনেক লম্বা সময়। তবুও পারলাম না। হৃদয়ের মাঝে একজনকে সযতনে রেখে আরেকজনকে নিয়ে তো আর সারাজীবন সংসার করা যায় না!
নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম সত্য কথাই বলছে। কেন যেন এই বিষয়ে ওকে আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। হয়তো ওকে আর কিছু বলবও না। নীলাকে আমি আবার ফিরে পেয়েছি, এটাই যথেষ্ট আমার জন্য। আমি ওকে সত্যই ভালোবাসি, একদম পাগলের মত। আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস যেমন সত্য, তেমনি নীলার জন্য আমার বুক ভরা ভালোবাসাও সত্য।
সত্যিকারের ভালোবাসা হলো কাউকে জয় করা নয় বরং নিজেরেই পছন্দের মানুষের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করা। কোন বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে এর গভীরতা মাপা যাবে না, মাপতে হবে হৃদয়ের পবিত্রতম আবেগ দিয়ে। নিজের মনের মানুষের কাছে হেরে যাওয়া কখনও কষ্টের, আবার কখনও আনন্দের। মানুষ কতই না ত্যাগ স্বীকার করে ভালোবাসার মানুষকে একান্তই কাছে পাবার জন্য। আবার এই ভালোবাসার জন্যই কত কিছুই না জীবন থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় যেটার জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনাও হয় না।
জীবনে চলার পথে কি কি পেয়েছি আমরা সেটা হামেশাই ভুলে যাই, কিন্তু কি কি হারিয়েছি সেটা কেন যেন বার বার মনে পড়ে ব্যাকুল হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে তোলে। কি লাভ অতীতের দুঃসহ স্মৃতি মনে করে বর্তমান আর ভবিষ্যতকে কলুষিত করার! বরং ফেলে আসা কষ্টগুলি তাতে আবার তরতাজা হয়ে উঠে, বিভিষিকাময় করে তুলে আবার নতুন করে সাজান গুছানো জীবনটাকে.....................
চার
বাসায় ঢুকার পর নীলা আমাকে বেডরুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। ড্রেস চেন্জ করে শাড়ীটা পড়বে মনে হয়। আমাকে ড্রইংরুমে অপেক্ষা করতে বলল। সোফায় বসে টিভিটা ছেড়ে দিলাম। চ্যানেল চেঞ্জ করতে যেয়ে দেখি কার্টুন নেটওর্য়াকে নায়ক বেনটেন ধাসুম ধুসুম করে ইচ্ছেমতো মারামারি করছে। ইস, ওর মতো যদি আমার একটা ঘড়ি থাকতো? ফেলে আসা গত একবছরের সবকিছু যদি একবার পাল্টে দিতে পারতাম! আর নীলার দেয়া প্রথম সেই সুযোগটা যদি আবার পেতাম তাহলে তখনই গ্রহন করে নিতাম!
খুট করে একটা শব্দ হলো, নীলা মনে হয় দরজা খুলে দিয়েছে! এইবার শুরু হবে আসল ধাসুম ধুসুম! পাক্কা একবছরের আসলের সাথে এর সুদটাও বেশ বড় হয়ে গেছে! এখন আর ওকে ভয় কিসের? পুরোটা এবার কড়ায় গন্ডায় আদায় করব নীলার কাছ থেকে।
টিভিটা বন্ধ করে বেডরুমে এসে ঢুকলাম। নীলার দিকে তাকাতেই প্রায় মাথা ঘুরে পড়ে যাবার মতো অবস্থা আমার! পাজিটা ঠিক ঠিক ব্লাউজ পড়েনি। আমি আগে থেকেই জানি নীলার পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নাই। আমার দিকে তাকিয়ে ওর ট্রেডমার্ক হাসি দিয়ে বললোঃ
-রেডিমেইড ব্লাউজটা কোন ভাবেই ফিট হচ্ছে না। পড়তেই পারলাম না। আমার না অনেক লজ্জা লজ্জা লাগছে!
ওকে দেখে মনে হলো না ও কোন লজ্জা পাচ্ছে। নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি সহসাই পৃথিবীর সবকিছু ভুলে গেলাম। ওর খুব কাছে যেয়ে বললামঃ
-নীলা আমি তোমাকে ভালোবাসি, পাগলের মতো ভালোবাসি।
নীলা চোখ বড়বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে বললোঃ
-খবরদার আমাকে বেশি ভালোবাসবে না। বেশি ভালোবাসায় আমার অ্যালার্জী আছে!
-তোমার অ্যালার্জীর আমি খ্যাতা পুরি। অনেক সহ্য করেছি আর না। বিয়ের পর মেয়েদের বেশি প্রশয় দিতে হয় না, দিলেই মাথায় উঠে বসে।
গভীর ভালোবাসায় ওকে আমি বুকে টেনে নিলাম। নীলা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বললঃ
-আবার কি?
-একটা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে এখনও!
-কোনটা?
দুইহাত দিয়ে ওর মাথা উঁচু করে বললামঃ
-তোমার লাল টুকটুকে ঠোঁটে আমি আমার ভালোবাসার পরশ এঁকে দিতে চাই!
পাঁচ
নীলা বিছানায় শুয়ে আমার দিকে একরাশ দুষ্টামি চোখে নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমার মুখে এখন বিশ্বজয়ের হাসি। শেষ বিকালের সোনালী মিষ্টি রোদেলা আলোগুলি যেন জানালার ফাঁক গলে গলে আছড়ে পড়ছে আমাদের দুজনেরই গায়ে।
নীলার বাঁধভাঙ্গা হাসিতে উদ্ভাসিত চারিদিক। বিকালের শেষ হয়ে আসা আলো সাক্ষী হয়ে রইলো একটি নতুন সূর্যাস্তের আর একজোড়া প্রাণের ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ইতিহাসে।
উৎর্সগঃ
মূল গল্পটা ব্লগার কথার ফুলঝুরিকে যেহেতু উৎর্সগ করা হয়েছিল, এটাতেও সেটা পরিবর্তন করলাম না। উনি এখন নিয়মিত ভাবেই ব্লগে অনিয়মিত। ভবিষ্যতে এই ধরনের অব্লগীয় কর্মকান্ড নিয়মিত চালালে উনাকে উৎর্সগের ব্যাপারে অন্যরকম চিন্তাভাবনা করা হবে।
এই ব্লগে আমার লেখা প্রথম গল্প এটা, যদিও পরে পোস্ট করা হয়েছিল। এটার জন্য আমার হৃদয়ে আলাদা একটা সফট কর্নার আছে। তাই এটাকে ঘষেমেজে আবার নতুন বোতলে ঢেলে দিলাম আর মূল্যায়নের দায়ভার যথারীতি আমার সম্মানিত পাঠকদের কাছেই রেখে গেলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীলআকাশ, মার্চ, ২০১৯
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
নীল আকাশ বলেছেন: ইনসাল্লাহ আরোগ্য ভাই।
আমি অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা রইল!!
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: নীলা ভালো থাকুক।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: নীলা'র সাথে আপনি, ভাবী আর আমাদের সবার প্রিয় খুকুমনিও ভালো থাকুক।
ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২০
করুণাধারা বলেছেন: ঘষামাজা আগেই তো করা ছিল, নতুন কি ঘষামাজা হলো বুঝতে পারলাম না তো!
প্রথম লাইক।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী,
আপু ব্লগে ঢুকতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে হয় ৪র্থ বারের মতো চেস্টা করছি আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। জানি না এবারও হবে কিনা!!
ঘষামাজা করে ছিল না। এটা লিখেছিলাম আমি যখন কেবল গল্প লেখা শুরু করেছিলাম (১ম গল্প আমার)। মুক্তা নীল আপুর একটা মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য করতে যেয়ে আমি গল্পটা আবার পড়লাম। আগের গল্পটার বেশ কিছু জায়গায় লেখার মান নিজেরই পছন্দ হয় নি। তাই বেশ কিছু জায়গায় একদম নতুন করে রেখেছি (ভুমিকা সহ)। এই গল্পের কংকালটা রেখে মাঝে মাঝে আবেগের জায়গা গুলি আবার নতুন করে লিখেছি।
প্রথম লাইকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
মা.হাসান বলেছেন: "প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ"
আপনার আগের দিকের লেখা, আমার পড়া হয় নি, নতুন করে পোস্ট দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক মুগ্ধতা। নীলা আর তার স্বামীর সংসার সুখহের হোক।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় হাসান ভাই শুভ রাত্রী,
আমার খুব প্রিয় ২টা লাইন দিয়েছেন মন্তব্যে। আপনার মতো আরও অনেকেরই আমার এই গল্পটা পড়া হয়নি। তাই মনে হলো ভালো করে লিখে আবার দেই।
আপনার দেয়া সাজেশন মতো শবনমের ১ম দুই পর্ব আবার রিরাইট করছি।
ব্লগে আসলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। কেন যেন নতুন কিছু আর লিখতে ইচ্ছে হয় না।
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে এভাবে ভালোবাসা ফিরে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার আই মিন গল্পের নায়কের ভাগ্য বেশ ভালো ছিল তাই এক বছর পরও হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে পেলেন। আপনাদের, থুড়ি- নায়ক আর নীলার সুখি জীবনের প্রত্যাশায়।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
এভাবে ভালোবাসার কারো কারোজীবনে সত্যই কিন্তু ফিরে আসে..........
নায়ক আর নীলার সুখি জীবনের সাথে আপনার জন্যও রইল শুভ কামনা নিরন্তর।
ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সবার আগে অনেক অনেক আনন্দিত ভাইয়ার কাছে থেকে নতুন গল্প পেয়ে তাও আবার সেটি আমাকে উৎসর্গ করা আসলেই আমি নিয়মিতভাবে অনিয়মিত তবে তার মাঝে যে আপনার গল্পটি মিস হয়ে যায়নি তা ভেবে ভালো লাগছে
ভালোবাসায় যদি পাগলামি না থাকে তবে তা কেমন যেন পানসে লাগে তবে নীলার পাগলামিটা একটু বেশীই মনে হল । হুট করে আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলা আবার তাকেও হুট করে ছেড়ে চলে আসা ।
বহুদিন পর হঠাৎ করেই কোন একদিন একটি বিশেষ নাম্বার থেকে ফোন পাওয়ার যে আনন্দ অনুভুতি তা আসলেই অতুলনীয় তবে গল্পের নায়ক কে লাকি বলতে হয়
(ফুলঝুরি বানানটি ঠিক করে দিয়েন ভাইয়া)
অবশেষে ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটির জন্য ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: মূল গল্পটা যেহেতু আপনার নামে ছিল তাই চেঞ্জ আর করলাম না।
ব্লগের যে অবস্থা নতুন কিছুই আর লিখতে ইচ্ছে করে না।
আপনি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
গল্প সব সময়ই গল্প। খুব প্রেমের একটা গদগদ একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল।
আপনি তো আবার মিলনাত্মক গল্প পছন্দ করেন। আশা করি নতুন করে দেয়া আবেগের অংশগুলি পড়ে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিয়ে করা প্রেমিকার জন্য বাস্তবে মনে এতটা ভালবাসা থাকেনা।
কিন্তু সেটা গল্পে সম্ভব আর সম্ভব বলেই সুন্দর হয়েছে গল্প।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন।
গল্প সব সময়ই গল্প। খুব প্রেমের একটা গদগদ একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পরে আসবো সময় নিয়ে ২
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ইনসাল্লাহ আপু।
আমি অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা রইল!!
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
আরোগ্য বলেছেন: বোনাই আপনার গল্পগুলি সব সময় ভালো লাগে কিন্তু আজকেরটা আমার মনে ধরলো না । এজন্য আমি দুঃখিত ।
আজকের গল্পটায় কোন গভীরতা পেলাম না। আশা করি আমার মন্তব্যটি নেতিবাচক হিসেবে নিবেন না।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: আজকেরটা আমি নিজেই তেমন গভীরতা নিয়ে লিখিনি, তো আপনি পাবেন কোথা থেকে?
হালকা টাইপের গল্প লিখেছি বললেও ভুল হবে,গল্পটা আগেই লিখেছি। এবার শুধু কিছু জায়গা ঠিকই করেছি।
সত্যবাদিতা নিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!!
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
আগেও পড়েছিলুম মনে হয়, তাই চেনা চেনা লাগছিলো।
এ যেন - নীলার নীলনয়নে নীলিমার মতো নীল নৃত্যের নিভৃত নকশায় নিঙড়ানো নীলশাড়ীর নিগূঢ় প্রেমে নিমজ্জনের গল্প!
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: গুরু আহমেদ জী এস ভাই,
ব্লগে ঢুকতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এই নিয়ে কতবার চেস্টা করছি সবাইকে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। জানি না এবারও হবে কিনা!!
এটা লিখেছিলাম আমি যখন কেবল গল্প লেখা শুরু করেছিলাম (১ম গল্প আমার)। সেখানে গল্পের মন্তব্যে আপনি আমাকে সাহসী হতে বলেছিলেন। হা হা হা!! আপনার সাহস পেয়েই আমি এখন গল্প লেখার চেস্টা করে যাই।
এ যেন - নীলার নীলনয়নে নীলিমার মতো নীল নৃত্যের নিভৃত নকশায় নিঙড়ানো নীলশাড়ীর নিগূঢ় প্রেমে নিমজ্জনের গল্প! - ন দিয়ে যতগুলি বাংলা শব্দ লিখেছেন আপনি, আমি নিজেও এত গুলি শব্দ জানি না। আপনার মন্তব্যগুলি যেন মুক্তার মত আমার পোস্টে জ্বলজ্বল করে...........
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রী।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো করে পড়ে আবার মন্তব্যে আসবো ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে ঢুকতে খুব সমস্যা হচ্ছে। বার বার চেস্টা করছি সবাইকে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। জানি না এবারও হবে কিনা!!
ঠিক আছে দাদা। আমি অপেক্ষা করব।
শুভ রাত্রী।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
আখেনাটেন বলেছেন: এই আকালের দিনে নয়া পোস্ট দিয়েছেন এই জন্যই সাধুবাদ।
গল্পটি মনে হচ্ছে আগেও পড়েছিলাম, আবারও পড়লাম।
কলকাতার সবকিছুই অপছন্দ কিন্তু প্রোটাগনিস্টের চরিত্রটিকে বেশ দুর্বল করে দেয়। কারণ কোনো ব্যাখ্যা নেই কেন এই অপছন্দ।
৩০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরী করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। আমার এই পোস্টে কোন একটা সমস্যা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একবারে ১টার বেশি প্রতি মন্তব্য করতে পারলাম না। এর আগে বেশ কয়েকবার চেসটা করেছি আপনাকে উত্তর দেবার, মন্তব্য পোস্ট করলেই হ্যাং হয়ে যায়। মন্তব্য দেয়া প্রায় সবার বেলায়ই একই অবস্থা। করুনাধারা আপুকে উত্তর দিতে ৫ বার চেস্টা করতে হয়েছে। আশা করি দেরী হবার কারন বুঝতে পড়ছেন। তারপরও আমি খুবই লজ্জিত।
এটা অনেক আগে পোস্ট দিয়েছিলাম। এটা লিখেছিলাম আমি যখন কেবল গল্প লেখা শুরু করেছিলাম (১ম গল্প আমার)। মুক্তা নীল আপুর একটা মন্তব্যে প্রতি মন্তব্য করতে যেয়ে আমি গল্পটা আবার পড়লাম। আগের গল্পটার বেশ কিছু জায়গায় লেখার মান নিজেরই পছন্দ হয় নি। তাই বেশ কিছু জায়গায় একদম নতুন করে রেখেছি (ভুমিকা সহ)। এই গল্পের কংকালটা রেখে মাঝে মাঝে আবেগের জায়গা গুলি আবার নতুন করে লিখেছি।
কষ্ট করে আবার পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কলিকাতার গান আমি নিজেও পছন্দ করি না। এখানে নায়ক তো আমিই তাইনা!
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫১
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: আপনার এই গল্পটা আমার আগে পড়া হয় নি। এবার পড়লাম। মজা লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি গল্পটা পড়ছিলাম আর হাসছিলাম।সত্যিই দারুণ লাগলো।
সত্যিকারের ভালোবাসা হলো কাউকে জয় করা নয় বরং নিজেরেই পছন্দের মানুষের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করা।নীলা ও তার মানুষটার জীবন হোক ভালোবাসাময়।এই স্মারক লিপিটি রেখে গেলেম।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
ব্লগে ঢুকতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এই নিয়ে কতবার চেস্টা করছি সবাইকে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। জানি না এবারও হবে কিনা!!
স্মারক লিপিটি রেখে গেলাম। - আপনার স্মারক লিপিটি দুর্দান্ত হয়েছে।
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
নীলপরি বলেছেন: আগে পড়েছি মনে হোলো । রিপোষ্ট নাকি এডিট করেছেন ?
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
রিপোস্ট করেছি তবে বেশ কিছু জায়গায় একদম নতুন করে রেখেছি। আগের গল্পটার বেশ কিছু জায়গায় লেখার মান নিজেরই পছন্দ হয় নি। গল্পের কংকালটা রেখে পুরোটা আবার নতুন করে লিখেছি।
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
হাবিব বলেছেন: বিয়ের পর মেয়েদের্বেশি প্রশ্রয় দিতে হয় না কথাটা কি ঠিক হলো ?
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই,
কি যে ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। নকীব ভাইয়ের একটা পোস্টে যেয়ে আমি দু:খ করছিলাম আপনার জন্য।
কোথায় ছিলেন এতদিন?? কতদিন আপনার কবিতা পড়িনা??
বিয়ের পর মেয়েদের বেশি প্রশ্রয় দিতে হয় না - এটা শত ভাগ ঠিক কথা। বিশেষ করে নীলার মতো মেয়েদের জন্য অবশ্যই।
আর মন্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে আমি ছোট মন্তব্যগুলি আগে দিয়ে দেই এবং যেইগুলি বড় করে দেব বা কাছের মানুষ তাদের জন্য সময় বের করে ভালো করে প্রতি-মন্তব্য করি। আপনার নিয়ম ভংগ করে আগেই দিয়ে দিলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
হাবিব বলেছেন: বিয়ের পর মেয়েদর বেশি প্রশ্রয় দিতে হয় না কথাটা কি ঠিক হলো ( ? আগের মন্তব্যের উত্তর আগে দিতে হয়, নয়লে কিন্তু আমরা মাইন্ড করি।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: উপরেই আগের প্রতি-মন্তব্যে বলে দিয়েছি।
ফিরে আসার জন্য আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নীলা'র সাথে আপনি, ভাবী আর আমাদের সবার প্রিয় খুকুমনিও ভালো থাকুক।
ধন্যবাদ।
শুকরিয়া।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: ফিরে আসার জন্য আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব ভাই,
ব্লগে ঢুকতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এখনও আমি অফিসে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনার লেখাটা পড়ছি এখন। আপনার অসুস্থতার কথা পড়ে খারাপ লাগলো।
ধন্যবাদ।
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪৩
ল বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনে হলো একটি সমকালীন ছোট গল্প পড়লাম…
গল্পে সহজ কথাগুলি লিখে সবার কাছেই অনেক প্রিয় আপনি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১২
নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই,
নোটিফিকেশন সমস্যার জন্য টেরও পেলাম না কখন আপনি মন্তব্য করে গেছেন। খুব লজ্জিত। আগের বারের লেখাটা একটু ঘষে মেজে ঠিক করে দিলাম।
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভ কামনা রইল!!
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
আগে গল্পটা পড়েছি । তবে পোস্টটি পুনর্বার দেওয়াতে আপনি অনেকগুলো জায়গায় এডিট করেছেন। সাহসী নীলার পাল্লায় পড়ে একটি ভীতু ছেলের বিশ্বজয়ের সাফল্য, সেদিনও যতটা ভালো লেগেছিল আজও ততটাই মধুর লাগলো । যতদূর সম্ভব মনে পড়ছে আসল পোস্টে কথা উল্লেখ করেছিলাম করেছিলাম যে গল্পের সিকোয়েন্সটা আমার খুব ভাল লেগেছিল । অনেকগুলো জায়গায় এডিট করার ফলে গল্পটা অনেকটাই নিখুঁত লাগলো। ++
উপরে দেখলাম আখেনাটেন ভাইয়ের কমেন্টের প্রতি মন্তব্য করেননি।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় দাদা,
নোটিফিকেশন সমস্যার জন্য টেরও পেলাম না কখন আপনি মন্তব্য করে গেছেন। খুব লজ্জিত। আগের বারের লেখাটা একটু ঘষে মেজে ঠিক করে দিলাম।
আজকাল লেখালিখির ব্যাপারে বড়ই খুতখুতে হয়ে যাচ্ছি। নিজের লেখা আগের গল্পগুলিও ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। একবার মনে করেছিলাম ঠিক করে আগের যায়গায় দিয়ে দিব। কিন্তু পরে মনে হলো। আগের স্মৃতিটা থাক। তাই আলাদা করে পোস্ট দিলাম।
ব্লগে লগইন করা এবং মন্তব্য করার দিন দিন খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সময় মতো প্রতি মন্তব্য করতে এখন আর পারছি না।
আপনার মরীচিকা এর পরের পর্ব কই?
সব সময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা রইল!!
২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: গল্প সবসময় গল্প। জীবনের গল্প নামে রেডিওতে একটা প্রোগ্রাম হয় সেটা শুনে দেখতে পারেন । ইউটিউবে অনেক পর্ব পাবেন
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
দারুন কথা বলেছেন। আমি মুগ্ধ। উপদেশের জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা। আমি জানতাম না। শুনে দেখি কেমন লাগে!!
সেদিন আপনি যখন ফোন করেছেন আমি মিটিং এ ছিলাম, আমি সত্যি খুব লজ্জিত। ভালো ভাবে বেশিক্ষন কথা বলতে পারি নি।
আপনি এখন ভালো আছেন শুনে আমারও ভালো লাগলো।
ইন্সাল্লাহ আপনার সাথে খুব শীঘ্রই আবার কথা হবে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
২৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
আনু মোল্লাহ বলেছেন: বেশ সুন্দর গোছানো গল্প। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি। খুব ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগে এসে আমার গল্প পড়ার জন্য। এই গল্প আমার অনেক আগে লেখা। এবার আগের বারের ভুল গুলি ঠিক করে আবার পোস্ট দিলাম। আপনার ভালো লেগেছে শুনে এডিটিং এর কাজটা সার্থক মনে হলো।
হাতে সময় থাকলে এরপরে নাবিলা সিরিজের যে গল্পটা দিয়েছি সেটা পড়ার আমন্ত্রন রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই , কেমন আছেন? আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ আল্লাহর রহমতে। তার পরেও পাঁয়ে ব্যাথা করে মাঝে মধ্যে।
ঠিক ১ মাস ৭ দিন দিন কি-যে কষ্টে গেলো।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি, আপনারা এই গল্পটা পড়ছি আর হাসছি। ভালোবাসাটাতো এমনই হতে হয়।অতীত তো অতীত-ই। আগেরটাও ভালো লেগেছে, এবারের টাও।
আগের মতো-ই বলি,
নীলার কালবৈশাখীর মতোন ঝড়ের জীবন থেকে সুখের মেঘরোদ্দুর জীবনের মাঝে আসতে হয়তো কত বাধা যন্ত্রণাই না অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। নীলা নিজেও ভালো থাকুক এবং অন্যজনকেও সুখে রাখুক।
শুভ কামনা রইলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা নীল আপু,
খুব করে খুশি হলাম আপনি এখন সুস্থ শুনে। তারপরও সাবধানে থাকবেন।
ভালোবাসার বৈচিত্র্যময়তা নিয়ে আমি নতুন করে কিছু বলতে চাই না।
প্রিয়জন হারানোর কি যে বেদনা সেটা আমি আমার বেশ কিছু খুব কাছের বন্ধুদের দেখে জানতে পেরেছি।
নীলা ভালোবাসার মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আমি নিজেও সন্তুষ্ট।
ভালো থাকুন আপু, সব সময়।
শুভ কামনা রইল!!
২৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
নজসু বলেছেন:
প্রিয় গল্পাকার।
আশা করি ভালো আছেন। আসি আসি করেও ব্লগে আসা হয়নি।
প্রক্সি দিয়ে ব্লগে আসা খুব ঝামেলার।
কয়েকবার এসেছিলাম। আপনার ব্লগও ঘুরে গেছি। গল্প পাঠ করা হয়নি। কারণ হাতে অন্তত কিছু সময় রাখতে হতো।
আজকে আপনার গল্প পাঠ করবো বলে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়ে ব্লগে প্রবেশ করেছি।
আপনার গল্পের কাহিনি মানে আমার কাছে নতুন কিছু। আমি খুব উপভোগ করি আপনার গল্প বলার ঢংটা।
এজন্য প্রথমেই জানাই হৃদয় থেকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।
গল্পটা পাঠ করলাম।
শুরুতেই পাঠককে গল্পে আটকে দেবার এক ক্ষমতা আছে আপনার।
এক বছর আগে চলে যাওয়া প্রেমিকা কেন স্মরণ করলো আপনাকে তা জানার আগ্রহ শুরুতেই সৃষ্টি করে পাঠককে ধরে রেখেছেন আপনি।
আমি গল্প পড়ছিলাম আর ধীরে ধীরে কৌতূহলী হচ্ছিলাম।
ভাই, ভালোবাসা ফিগারে হয় প্রেমিকের এই মনোভাব এটা আমার কাছে স্বার্থপরের মতো লেগেছে।
প্রেমিকা আর একা একা রাত কাটাতে চাননা বলে নতুন আরেকজনকে বেছে নিলেন এটাও আমার কাছে স্বর্থপরের মতো লাগলো।
গল্পে যদি দেখানো হতো নীলার বাবা মা জোর করে নীলাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন তাহলে হয়তো ভালোবাসার কালো দিকটা ( চেহারা, দেহ, একা থাকার যন্ত্রণা) উঠে আসতো না। বিয়ের রাতে ধাসুম ধুসুম কিংবা এক বছরের সুদ আসল তুলে নেয়াটা আমার কাছে সত্যিকারের মনের ভালোবাসা বলে মনে হয়নি। নীলাদের ভালোবাসায় মনের টানের চাইতে অন্য কিছুর আকাঙ্খা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
নীলার ঘোর লাগা হাসি, নীল শাড়িতে নীলাকে নীলাপরি হিসেবে দেখা এসবও ছিলো ভালোবাসায়।
তবে সেখানে অন্য কিছু কেন প্রবেশ করলো ভাবছি।
গল্প পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম নীলা দেহের সঙ্গ পেতেই কি অন্য ছেলেকে বিয়ে করলো? বিয়েই যদি করলো তবে তাদের ছাড়াছাড়ি হলো কেন? গল্প পাঠ করতে করতে একসময় জবাব পেয়ে গেলাম। আচ্ছা, নীলার স্বামী যদি রোবটের মতো না হতো তাহলে কি ওকে ছেড়ে চলে আসতো? বিয়ে যখন করেছেই তখন মনের মতো হলে পুরাতন প্রেমিকের কাছে ফিরে আসতো না আর।
তাহলে নীলার ভালোবাসা কি স্বার্থপরতায় ভরা ছিলো না? স্বামীর ঘর করতে করতে চেষ্টা করেছে পুরাতন প্রেমিককে ভুলে যেতে।
আমি আরেকটু বেশি ভাবছিলাম। বিয়ের রাতে নীলা যদি তার নতুন স্বামীকে বলতো যে, সে আসলে কাউকেই বিয়ে করেনি। কারণ এক বছর আগে প্রেমিক বিয়েতে মত দেয়নি বলে নীলা অভিমান করে বিয়ের নাটক সাজিয়েছিল। আর কতো রাত একা থাকবো এসব কথা প্রেমিককে বোকা বানানোর জন্য বলেছিল। আসলে নীলা শুধু তার প্রেমিককেই ভালোবাসে। কেননা, হৃদয়ের মাঝে একজনকে সযতনে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয়।
যদি এমন ঘটতো তাহলে নীলাকে আমি স্বার্থপর বলতাম না। সত্যিকারের ভালোবাসা থাকতো ওদের মাঝে।
মন খারাপ করলেন কি? মন খারাপ করে থাকলে ক্ষমা করবেন প্রিয় গল্পাকার।
সবশেষে এটুকু বলতে চাই, আপনার গল্প বলার ধরনটা আমার ভালো লাগে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
বাসর রাতের ট্যুইস্ট টা দারুন বলেছেন। ইস এটা যদি তখন মাথায় আসত, ধ্যাত! এক মাথায় আর কত কিছু রাখা যায়!
আমি আরেকটু বেশি ভাবছিলাম। বিয়ের রাতে নীলা যদি তার নতুন স্বামীকে বলতো যে, সে আসলে কাউকেই বিয়ে করেনি। কারণ এক বছর আগে প্রেমিক বিয়েতে মত দেয়নি বলে নীলা অভিমান করে বিয়ের নাটক সাজিয়েছিল। আর কতো রাত একা থাকবো এসব কথা প্রেমিককে বোকা বানানোর জন্য বলেছিল।
এই লাইনগুলি আমার মনে থাকবে। সুযোগ পেলেই নেক্সট কোন একটা গল্পে আমি ঢুকিয়ে দেব।
এটা যখন লিখেছিলাম তখন আমি একদম এ্যামেচার। যেই ভুল গুলি ধরেছেন সব গুলিই ঠিক আছে। এখন এই গল্প লিখলে এই সব ভুল হতো না। এই বার রি রাইট করার সময় প্লট টা চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করল না। তাই আগের মতই রেখে দেয়েছি।
তবে আপনার প্রত্যেকটা উপদেশ আমার মনে থাকবে। আমি এই সব উপদেশ গুলি খুব ভালো করে নোট করে রাখি।
মনের মতন মন্তব্য করার জন্য খুব করে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা নিবেন।
শবনম আর নাবিলা কে নিয়ে ২টা ফাটাফাটি গল্প দিয়েছি। আপনার ইনসাল্লাহ পছন্দ হবেই।
পড়ার আমন্ত্রন সহ আপনার জন্য শুভ কামনা রেখে গেলাম।
২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নতুন বোতলে পুরনো মদ নাকি
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। ঠিক এটাই করেছি তবে সাথে কিছু রঙ চঙ লাগিয়ে দিয়েছি।
আগের বার বড়ই নভিস ছিলাম এটা লেখার সময়। আবেগের লাইন গুলি তখনও লিখতে শিখিনি। এবার তাই সে জায়গা গুলি লিখে দিয়েছি। পারফেক্ট ছোট গল্প এখন। আমি সন্তুষ্ট। কেমনে লাগলো আপনার??
২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নীলা নামটা সুন্দর
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: নাম শুধু সুন্দর না আজ পর্যন্ত যেই কয়টা এই নামের মেয়ে দেখেছি আমি সব কয়টা ফাটাফাটি সুন্দর। দেখলেই মনে হয় একক্ষন প্রেমে পড়ি!!
তবে সাবধান, নীলা নাকি সবার সয় না? আল্লাহ মালুম সত্য নাকি!
২৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: থ্যানক্স ফর দি কমপ্লিমেন্টস।
শুভ কামনা রইল!!
শুভ রাত্রী।
২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: বেশি প্রেম ভাল না
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: কী বললেন রে ভাই? প্রেম ছাড়া কী কিছু আছে এই জীবনে?
প্রেম নেই তো কিছুই নেই!!!
৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
আরোগ্য বলেছেন: পরে আসবো সময় নিয়ে।