নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ভালোবাসার মরণ!

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫



-কি দাদা, খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে? হন্তদন্ত হয়ে সারা অফিসে ছুটে বেড়াচ্ছেন?
-সে আর বলতে! ছুটতে ছুটতে আপনার কাছেও চলে এসেছি।

দুলালবাবু হাসিমাখা মুখে কথাটা বলেই দুইহাত তুলে প্রণাম করে আমার দিকে ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে এগিয়ে দিলেন। খুলে দেখলাম, বিয়ের কার্ড।
-বিয়ের দাওয়াত দিচ্ছি সবাইকে। আমার ছোট ভাইয়ের। আগামী পরশুদিন রাতে কোষ্ঠীতে লগন মিলে গেছে। ছোটটা থাকে ইতালীতে। মাত্র কয়েকদিনের ছুটিতে এসেছে। এত অল্পসময়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে যেয়ে আমার বারোটা বেজে গেছে। তাও ভগবানের কৃপায় সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ হলেই আমি খুশি।
-মেয়ে কি করে?
-লালমাটিয়া কলেজ থেকে এবার অর্নাস ফাইনাল দিল ইকোনমিক্সে।
দুলাল বাবু অফিসে আমার উল্টোদিকের টেবিলে বসেন। সরকারী অফিস। কাজের চাপ কম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সুখদুঃখের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভালোই আড্ডা দেয়া হয়। দাদা আর বৌদি দুইজনের সাথেই খুব ভালো সম্পর্ক আমার। দাদা আমার পাশে বসে মেয়ের পরিবারের বিয়ে বিষয়ক সবকিছু গড়গড় করে বলতে লাগল। এখনও বিয়েই করিনি, আর তাই বিয়ে বিষয়ক কথাবার্তা শুনতে এখন বেশ ভালোই লাগছে। তাই দারুন আগ্রহ নিয়ে সব শুনছি। সবকিছু বলা শেষ হলে মেয়ের ছবি মোবাইলে বের করতে করতে বললেনঃ
-মেয়ে তো নয় যেন প্রতিমা, সাক্ষাৎ দেবী দূর্গা। একবার দেখলেই চোখ ফেরানো যায় না। এই দেখুন প্রদীপ বাবু!

দুলাল বাবু বেশ আগ্রহ নিয়ে মোবাইলটা আমার হাতে দিয়ে বলল, পানচিনির অনুষ্ঠানে বৌদি নিজের হাতেই তুলেছেন। মেয়ের ছবি দেখেই চমকে উঠে দাদার কাছে মেয়ের নাম জানতে চাইলাম।
-পরমা। ভালো নাম শ্রীমতি পরমা মুখার্জি।

হায় ভগবান! নামটা শুনেই আমার মাথা খারাপ অবস্থা! দ্রুতই মোবাইলে বাকি ছবিগুলিও ভালো করে দেখতে শুরু করলাম। হাত ইতিমধ্যেই কাঁপতে শুরু করেছে। পরমাকে নিয়ে আমার হৃদয়ে জমানো সব স্বপ্নগুলো যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো হয়ে গেল। সমুদ্রের ঢেউগুলো যেমন সৈকতে আসার আগেই নিঃশেষিত বেগে বিলীন হয়ে যায়, তেমনি আজ নিষ্ঠুর এক চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে সেই স্বপ্নগুলোও যেন হুট করেই অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলল। এর পরের চারটা ছবি দেখার পর মুহুর্তেই হারিয়ে গেলাম ফেলে আসা মাত্র একমাস আগের এক ভালোলাগাময় স্মৃতিতে......

এক
সাদা জমিনের উপর লাল সবুজ জামদানীর কারুকাজ করা লাল পাড়ের শাড়িতে মেয়েটাকে দেখতে কি যে সুন্দর লাগছে! লম্বা হাতাওয়ালা কুঁচি দেওয়া বাহারি লাল ব্লাউজটা যেন অন্যরকম একটা সৌন্দর্য্য এনে দিয়েছে শাড়ির সাথে। বড় করে সাজানো খোঁপাটা গাজরা ফুলের মালা দিয়ে আরও চমৎকার করে সাঁজিয়ে রেখেছে। কানের পাশে গুঁজে দিয়েছে কয়েকটা রক্তলাল গোলাপফুল। দূর থেকে মনে হলো কানে আর গলায় অ্যান্টিক ধাঁচের গয়নাও পড়েছে। এই তো সেদিন অফিসের এক সদ্য বিবাহিত কলিগ একঘন্টা মোবাইলে ছবি সহকারে এই বিষয় ব্যাপক জ্ঞান দান করল। তখন বেশ বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝলাম জ্ঞান বেশ ভালোই অর্জন করেছি। একটু দূর থেকেও প্রায় সবকিছুই চিনতে পারছি। অফিসে যেয়েই দাদাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিয়ে এককাপ চা খাওয়াতে হবে। মেয়েটা চপলা হরিনীর মতো আমার চোখের সামনেই সবজায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে দেবরাজ ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের তপস্যা ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যেমন অপ্সরা মেনকা'কে পাঠিয়েছিলন, ঠিক তেমনি আমার নিরানন্দময় এই নিঃসঙ্গ জীবনেও যে বৈচিত্র্য আনা দরকার সেটা বুঝানোর জন্যই ভগবান একে আমার সামনে পাঠিয়েছেন।

আজ দূর্গাপূজার মহানবমী। আমি এসেছি বাসা থেকে একটু দূরের একটা বড় মন্দিরে পূজার মন্ডপে পূজা দিতে। দূর্গাপূজায় কোন অবিবাহিত ছেলেমেয়েই শুধু পূজা দিতে আসে না। আর তাই মন্ডপের কাছে একে দেখার পরেই মনে হলো কিসের পূজা আর কিসের কি? মেয়ের কাছ থেকে তো আমি এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরাতে পারছি না। একবার দেখেই বুকের ভিতর ঢাক গুরগুর অবস্থা! গুরগুর বেড়ে গেলে পরিচিত বেশ কয়েকজনকে ডেকে এনে মেয়েটাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেসও করলাম, কেউ চিনে না। এতদিন তো জানতাম সরস্বতী পূজায় প্রণয়ের হাওয়া লাগে গায়ে, কিন্তু এবার তো দেখি দূর্গাপূজায় আমার মরি মরি অবস্থা! গায়ে পড়ে প্রথমেই কথা বলতে ঠিক সাহসও পাচ্ছি না। হাত দুইটা ভালো মতো আগে দেখে নেই। শাঁখা পড়া থাকলে সাড়ে সর্বনাশ! সাতপাকের এই বাঁধন আমি শত সহস্র বার চেস্টা করলেও ভগবান নিশ্চয়ই খুলতে দেবেন না.....

সাহস করে একবার সামনে এগিয়ে যেয়ে মেয়ের দুইহাত খুব ভালো করে দেখে নিলাম। স্বস্তির নিঃশ্বাসটা বড় হয়ে বের হয়ে যেতেই বুক থেকে পাষান পাথরটাও নেমে গেল। যাক বাবা, ভগবান অন্ততঃ এইবারের জন্য হলেও আমাকে কৃপা করেছেন। ফর্সা দুইহাতে শুধুই এক গোছা করে লাল কাঁচের চূড়িগুলি যেন ওর হাত দুইটার সাথে আমার মনটাও রাঙ্গায়িত করে তুলল। মেয়ের সাথে কথা বলতে হবে, অতি দ্রুত, কিন্তু কিভাবে? ভেবে কোন কূলকিনারই করতে পারছি না। এতগুলি লোকজনের মধ্যে ডেকে যে আনব নামটাও তো জানি না। কাছে যেয়ে ডাক দিয়ে আসতে বলার পর যদি সবার সামনেই মুখের উপর না বলে দেয়, তখন পরিচিতদের কাছে মুখ দেখাব কিভাবে? কিন্তু আমি নিজেও আছি মহা বিপদে। ঠিক যেমন একদিন পরেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দেবীদুর্গা, আজকেও পূজা শেষে এই অচেনা মেয়েও চলে যাবে একবারে। আজকের মধ্যে যদি এই মেয়ের ব্যাপারে আমি কিছু না করতে পারি, তাহলে দশমীর বিসর্জনের পর ভক্তদের যে অবস্থা হয়, আমারও সেই একই হাল হবে!

পূজা মন্ডপে অগণিত পুণ্যার্থীর উপস্থিতি। বিরামহীন ভাবে ঢাকঢোল বেজে চলছে। আর সাথে শোনা যাচ্ছে থেমে থেমে ঘণ্টা, কাঁসার শব্দ আর উলুধ্বনি। সবাই যে যার মতো ব্যস্ত আর আমি আছি আমার অপ্সরা’কে নিয়ে। কি করব ভাবতে ভাবতেই দেখি ছয় কিংবা সাত বছরের একটা বাচ্চাছেলে এসে এইমেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে কিছু বলার চেস্টা করছে। দ্রুতই কাছে যেয়ে এদের কথোপোকথন মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। অতল গহবরে আশার আলোর মশাল হয়ে যেন বাচ্চাটা এলো, মেয়ের ছোট ভাই। দ্রুতপায়ে সাথে সাথেই মন্দির থেকে বের হয়ে আসলাম, এই সুযোগ হাতছাড়া করা একদম ঠিক হবে না।

মন্ডপের ভিতরেই বাকি বাচ্চাদের সাথে খেলছিল ছেলেটা। আস্ত দুইটা বড় বড় ক্যাডবেরি চকলেটের প্যাকেটেই কাজ হয়ে গেল। বোনের নাম বের করে ফেললাম, পরমা। পরমা তো আসলেও পরমা সুন্দরী। এক বোন এক ভাই। ছোট বাচ্চাটা বাসার ঠিকানাটা বলতে পারল না। মা আর বোনের সাথে এসেছে। এবার শুরু করতে হবে আসল কাজ!

দুই
-আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন কেন?
অপেক্ষা করছিলাম আমি। সামনে এসে দাড়াতেই দুইহাত তুলে প্রণাম করে হাসিমুখে বললামঃ
-আপনার সাথে কথা বলার জন্য।
-আপনাকে তো আমি চিনিই না। আপনার সাথে কি কথা বলব আমি? আর আমার ছোটটাকে চকলেট দিয়েছেন কেন?

কিছুসময়ে সত্যের কোন বিকল্পই নেই। কিছুটা লজ্জিত ভঙ্গিতে বললামঃ
-আপনাকে ডেকে আনার জন্য। আপনার সাথে কথা বলার জন্য। আমার মতো অসহায় মানুষের জন্য এছাড়া আর কি উপায় আছে বলুন?

আমার সহজ সরল স্বীকারোক্তি শুনে পরমা হেসে ফেলল। ওর চোখেমুখে দুস্টামির ছায়া দেখতে পেলাম।
-কি কথা বলতে চাচ্ছেন তাড়াতাড়ি বলুন!
-এত তাড়াহুড়া করছেন কেন? আগে আপনার সাথে ভালো করে পরিচিত হয়ে নেই!

পরবর্তি কিছুসময় ধরে আমার পরিচয় দিয়ে যখন ওকে খুব করে আমার ভালোলাগার কথাগুলি বললাম, ওর ফর্সামুখটা সহসাই লজ্জার আবীরে রক্তিম হয়ে উঠল। লজ্জাবনত মুখে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আঙ্গুলে শাড়ির আঁচলের একটা অংশ পেচাচ্ছে। মুখে কিছুই বলছে না দেখে পরমাকে আবারও আমার পছন্দের কথা বলে ওর মতামত জানতে চাইলাম।
-অপরিচিত কারও সাথে কথা বলছি দেখলে মা খুবই রাগ করবে। আমি এখন যাই।

কি সর্বনাশা কথা? এই মেয়ে বলে কি? চলে যাবে মানে? এটা কোন কথা হলো?

-ভয় পাচ্ছেন কেন? আমি বাঘ না ভাল্লুক? আরও কিছুক্ষন কথা বলি!
-না আমি যাই। ঐ যে মা আসছেন। অপরিচিত কারও সাথে দেখলে অনেক বকা দিবে।
-আপনার মোবাইল নাম্বারটা কি আমাকে দেয়া যাবে?

পরমা দুস্টামির হাসি দিয়ে দুইপাশে মাথা নেড়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিল নাম্বার দেয়া যাবে না। তারপর কিছু বুঝার আগেই আমার সামনে থেকে চলে গেল। হঠাৎ কি হলো সেটা দেখার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখলাম একজন মহিলা আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। ও আচ্ছা! কিন্তু এভাবে তো আমার হৃদয়ের সংহারিকা’কে চলে যেতে দেয়া যায় না। বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদিনী! যা থাকে কপালে, সোজা মন্ডপের প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে ঢুকে পরলাম। বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকার পর, নবমীর দিনে যেমন রাম খুঁজে পেয়েছিলেন সীতা’কে আর আমি আজ খুঁজে পেলাম আমার বুকের ঢাক গুরগুরের অপ্সরা’কে। মন্ডপের একেবারে সামনে চন্দ্রামিত নেবার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। বেশ ধাক্কাধাক্কি করে ওর পাশে যেয়ে দাড়াতেই হাসির আওয়াজ শুনে চারপাশে তাকিয়ে বুঝলাম বড়সড় অঘটন ঘটিয়েছি, মেয়েদের লাইনে এসে দাড়িয়ে গেছি! পরমা আমার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ! এখানে আর বেশীক্ষন থাকা যাবে না, চুপচাপ লাইন থেকে বের হয়ে আসলাম। একটু দুরেই দাড়ালাম তবে পরমা’কে এবার আর আমার দৃষ্টিসীমার বাইরে যেতে দিলাম না। এখন ও যা ইচ্ছে করুক, হারানো ভয় আর থাকলো না। পরমাও দেখলাম মাঝে মাঝে উঁকিঝুকি মেরে আমাকে দেখল।

অনেকক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি সুযোগের অপেক্ষায়। মন্ডপের সামনে থেকে সবাই এক এক করে অঞ্জলী দিয়ে চলে যাচ্ছে। পরমা’কে এগুতে দেখেই আমিও এগিয়ে গেলাম। পরমা’র অঞ্জলী দেয়া শেষ হয়ে ফিরে আসতেই ওর সামনে যেয়ে পথ আটকে দাড়ালাম।
-পরমা, আমি আপনার সাথে আরও দেখা করতে চাই, আরও কথা বলতে চাই!
-কেন?
-কারন আপনাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কি যে সুন্দর লাগছে আজকে আপনাকে? একটা ছবি তোলা যাবে?
-এখনও তুলেন নি?
-তুলতে পারতাম, অন্যকোন মেয়ে হলে হয়তো এতক্ষনে তুলেও ফেলতাম। কিন্তু আপনারটা লুকিয়ে তুলতে মনে সায় দিল না!
-কেন আমি কি বিশেষ কেউ?
-আগে ছিলেন না তবে আজকে হয়েছেন। আর আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবেন।

আমার কথা শুনে ওর ফর্সামুখটা আবার লজ্জায় রক্তিম হয়ে উঠল। লজ্জাবনত মুখে নীচে তাকিয়ে আছে। নিরবতা মৌন সম্মতির লক্ষ্যনং! মোবাইল বের করে বেশ কিছু ছবি তুলে ফেললাম। পরমা আমার এইকান্ড দেখে কিছুই বলল না, মিটমিট করে হাসছে আমার দিকে তাকিয়ে। আমার সাহস আরও বেড়ে গেল। এগিয়ে এসে ওর ডানহাতটা ধরে সেখানে ছোট একটা ভাঁজ করা কাগজ ওর মুঠির মধ্যে দিলাম।

তোমাকে দেখলেই হৃদয় জাগে অজানা শিহরতা
আবেগ এনে দেয় রক্তকোষে অছন্দের মাদকতা
আমার হৃদয়ের বর্ণিল প্রণয়ের সুতীব্র আকুতি
তোমার স্পর্শেই এনে দেয় অতলান্তিক প্রশান্তি!

আমার একবুক ভরা নিস্তব্ধ ভালোলাগা
বিমূঢ় নির্বাক হয়ে রয় তোমার পথ চেয়ে,
থাক না এলোমেলো, কিংবা অগুছালো
বেহিসেবী শিহরিত হয়ে সদ্যচেনা তোমার হৃদয়ে!

তোমার আঁচলের জড়ানো মধুর নিক্কনে
বারবার আমি ফিরে আসি প্রণয়ের আকুলতায়,
কম্পিত হৃদয়ে তোমাকে জড়িয়ে রাখব
সাতসাগর আর তেরনদীর সমান ভালোবাসায়!


কবিতাটা এতক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই ছোট কাগজটাতেই লিখেছিলাম। কাগজটাতে লেখার শেষে আমার মোবাইল নাম্বার আর সাথে অফিসের ভিজিটিং কার্ডও দিয়ে দিলাম। পরমা কাগজের ভাঁজ খুলে সবগুলি বের করে এক এক করে দেখল। কবিতাটা পরমা মনোযোগ দিয়ে পড়া শেষ করতেই পিছন থেকে কে যেন ওর নাম ধরে ডাক দিল শুনলাম।
-মা ডাকছেন, একক্ষন না গেলে অনেক রেগে যাবেন!
-চলে গেল যে আমার হৃদয়টা ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাবে!
-যাই
-না, না, না।

যেতে যেন না পারে সেজন্য আমি ওর ডানহাতটা ধরে রাখলাম। পরমা হালকা করে আমার হাত ছুটানোর চেস্টা করছে।
-যেতে দিবেন না আমাকে?
-না। কক্ষনো না।
-প্লীজ, অবুঝ হবে না। মা অনেক বকা দিবে। আপনি কি চান আমি আপনার জন্য বকা খাই?
-তাহলে ভগবানের নামে শপথ করে কথা দিন আমাকে বাসায় যেয়েই ফোন দিবেন?
-আচ্ছা ঠিক আছে, ভগবানের নামেই শপথ করে বলছি আপনাকে আমি নিজেই ফোন দেব। বাসায় যেয়ে আগে কবিতাটা আবার পড়ব, তারপর। কবিতাটা ঐখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লিখেছেন, তাইনা? আমি কিন্তু দেখে ফেলেছি!
-আপনাকে নিয়ে আরও লিখব। ভালোবেসে সারাজীবন আপনাকে নিয়ে হৃদয়ের সব গোপন কথাগুলি লিখে যাব!

পরমা আমার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিল আর তারপর নিজের ডানহাত আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কানের পাশ থেকে একটা রক্তলাল গোলাপ খুলে আমার হাতে দিয়ে চলে গেল। যাবার সময় বারবার ফিরে আমার দিকে তাকালো। আর আমি চন্দ্রাহতের মতো বিমুগ্ধ হয়ে ওর গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলাম.........

তিন
-কি প্রদীপ বাবু, কি চিন্তা করছেন? মেয়ে কেমন লাগল দেখতে?

দুলাল বাবু'র প্রশ্নগুলি শোনার পর সহসাই ফিরে এলাম বর্তমানে। জীবনের চরমতম নিষ্ঠুর বাস্তবতার আজ মুখোমুখি হয়ে। এই নশ্বর জীবনে কত যে ভয়ংকর সব কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিতে হয়, কিংবা না চাইলেও মানিয়ে নিতে হয়! কি সুতীব্র বেদনার কালবৈশাখী ঝড় আমার হৃদয়টাকে এখন উলট পালট করে দিচ্ছে সেটা মনে হয় খোদ ভগবানও পুরোপুরি টের পাচ্ছেন না! তারপরও বুকে একটা মস্ত বড় পাথর চাপা দিয়ে বললামঃ
-জী দাদা, ভালো।
-দেখলেন? বলেছিলাম আপনাকে, মেয়ে একবার দেখলেই চোখ সরানো যায় না।

পরমা'কে নিয়ে এই নিষ্ঠুরতম সত্য কথা আমার চেয়ে ভালো আর কেই বা জানে এই পৃথিবীতে? বুকের ভিতর চিনচিন করে ব্যথা শুরু হয়েছে। কোন সুযোগ কি আছে এখনও আমার? শেষ একবার চেস্টা কি করা যাবে?

-বিয়ের কথাবার্তা কতদূর এগিয়েছে, দাদা?
-লগ্নপত্র, পানচিনি, আশির্বাদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু আগামী পরশুদিন গাত্র হরিদ্রার পর সাতপাকে দুইজনকে বেঁধে দিতে পারলেই আমার কাজ শেষ!

প্রতিটা পর্বের নামগুলি যেন এক এক করে বিষ্ফোরিত হলো আমার হৃদয়ে। ওহ ভগবান, আর কতটা কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করলে তোমার কৃপা হবে! আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। মোবাইলটা দাদা'র হাতে ফিরত দিয়ে বাথরুমে যাবার নাম করে টেবিল থেকে উঠে আসলাম।

কেন যেন খুব করে কান্না পাচ্ছে! শূন্যতা, হাহাকার, নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য, ঠিক জানি না। শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে লুকানো অসহ্য কষ্টগুলি একদলা অভিমান হয়ে প্রচন্ড স্রোতে দু’চোখ ফেটে বের হয়ে আসার জন্য ছটফট করছে।

চোখে মুখে ভালো করে জল দেবার পরও চোখ জ্বলাটা কমল না। খুব অস্থির অস্থির লাগছে। ভগবান এত নিষ্ঠুর কেন? আমার মতো সামান্য একজনের মনের মন্দির ভেঙে কি লাভ হলো ভগবানের?

পরমা, তুমি আমার প্রণয়ের মন্দিরে শুধু পূজার ফুল হয়েই রয়ে গেল, ভালোবেসে পূজা করতে দিলে না।
নিজের অজান্তেই বুকের গহীন থেকে ভেসে আসছে…
“যদেতত হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম।
যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।”

আমার এই অসহায় হৃদয় তোমার হৃদয়ে এতটুকু জায়গা না পেলেও, আমার হৃদয়ে তুমি প্রথম প্রেমের স্মৃতি হয়ে চিরকালই রয়ে যাবে। বুকের ভিতর এই বিদগ্ধ হৃদয় শুধু তোমাকেই ভালোবেসে যাবে, আর কোন কিছুর প্রত্যাশা না করেই............

ভিজে উঠা চোখের পাতাগুলি মুছে ফেলে চুপিচুপি আমি পরমা'র সামনের দিনগুলির শুভ কামনা করে আমার অসহায় ভালোবাসার জীবন্ত সমাধি দিয়ে দিলাম। নশ্বর এই পৃথিবীর কেউ জানলোই না, গভীর আবেগের একটা প্রচন্ড ভালোবাসার মরণ হলো একদম নিভৃতেই!

পুনশ্চঃ হঠাৎ ছয়মাস পরে একদিন মোবাইলে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এলে রিসিভ করার পর পরমা'র কন্ঠ শুনে আমি বেশ বিব্রত হলাম। পরমা জানালো সেদিন বাসায় যাবার সময় রাস্তায় ওর মা ওর কাছ থেকে আমার কাগজটা কেড়ে নিয়েছিল। এতদিন ধরে ও শুধুই পাগলের মতো এই কাগজটা খুঁজে ফিরছিল। আজকে একটু আগে পেয়েই ফোন দিয়ে সজোরে কান্না করতে করতে ওর ব্যর্থতার জন্য বারবার ক্ষমা চাইলো! নিঃশব্দে ভালোবাসার কয়েকফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল আমার চোখ থেকে। পরমা’কে নিয়ে যে ভুল আমি বুঝেছিলাম সেটা ভেঙ্গে দেবার জন্য এতকিছুর পরেও ওকে খুব করে ধন্যবাদ দিলাম। আর বুঝলাম ভগবান শেষ পর্যন্ত আমাকে কৃপা করেন নি!

উৎর্সগঃ
শ্রদ্ধেয় সহ-ব্লগার এবং আমার অকৃত্রিম ব্লগীয় বন্ধু পদাতিক চৌধুরীকে। এই গল্পটা উনাকে উৎর্সগ করার জন্য লিখা হয়েছে! গল্পের প্লটটা তৈরী হবার পরই এবার চরম একটা দুঃসাহসিক কাজ করলাম। প্রথমবারের মতো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে লিখলাম। ধর্মীয় কোন বিষয়ে ভুল লিখলে ঠিক করিয়ে দেবার জন্য সবাইকে অনুরোধ রইল। আমি আপ্রান চেস্টা করেছি যতটুকু সম্ভব শুদ্ধভাবে লেখার। একজন গল্পকারের কোন বিষয়েই লেখার সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়। ইচ্ছে আছে এদের সামাজিক আচার আর বিশ্বাস নিয়ে আরও লিখার……


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুলাই ২০১৯

মন্তব্য ১০২ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর । +

শুভকামনা রইলো । হ্যাপি ব্লগিং।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

আরোগ্য বলেছেন: বোনাই,
অভিনন্দন আপনাকে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। হা হা হা

আর উৎসর্গের জন্য ভাইটিকে অভিনন্দন।

পরে আসছি। এখনো কিছু প্রতি উত্তর করা বাকি আছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার পোস্টেই তো মনে হচ্ছে কাজ হয়ে গেছে। কথায় বলে না ঐযে, বন্দুকের চেয়ে কলম শক্তিশালী। বোনাইয়ের কথা ভুলে যান নি দেখে খুব খুশি হয়েছি। গল্প কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু!

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:

নীল আকাশ ভাই ,
অনেনননননননক খুশী হলাম আপনার আগমনে । পরে গল্পটা পড়বো । আপাতত উপস্থিত জানিয়ে গেলাম।

দাদা'কে উৎসর্গের জন্য ভালো লাগা রইলো ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করে থাকব!!!
পদাতিক ভাই এটা ডির্সাভ করে।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছিলেন, "সত্য বলাতে আপনাকে জেনারেল করা হয়েছিলো"; "সত্য" বললে, কাউকে জেনারেল করা হয় না; আপনি অবশ্যই বেঠিক কিছু করেছিলেন, কিংবা অসত্য বলেছিলেন। এডমিন আপনাকে আবার সেইফ ষ্টেটাস দিয়েছেন, ভালো! বেঠিক কিছু করে, কিংবা অসত্য বলে, যারা শাস্তি পেয়েও, জোর গলায় যারা দাবী করে যে, তারা "সত্য বলার জন্য জেনারেল হয়েছে", আপনি তাদের একজন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি এতটাই নির্বোধ যে আমি কি বলেছি উপলব্ধি করতেই পারেন নি। আপনার স্বভাব কখনই ঠিক হবে না। ছোটবেলায় পড়েছিলাম, একটা বিশেষ প্রাণীর লেজ কেন যেন শত চেস্টাতেও সোজা হয় না। আপনার ইয়ার দোস্ত (নাকি মাল্টি?) মুনতাশাকে সাথে করে নিয়ে আসলেন না?

আমি আপনাকে আগেও বলেছি আমার লেখা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। এইসব লেখা আপনার জন্য উপযুক্ত নয়। একমাত্র ছোটবাচ্চারাই বিনা কারনে ঝগরা ঝাটি করে বেড়ায়। আপনার মধ্যে এই স্বভাব খুব প্রবল।
ধন্যবাদ দিতে যেয়ে নিজেকে আর খাটো করলাম না।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্প পরে পড়বো। আগে উপস্থিতির জানান দিতে এসেছি। কংগ্রাচুলেশন আপনাকে ।

শুভ ব্লগিং।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সব সময় আমার পাশে থাকার জন্য। অনন্তর শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কিভাবে যে মানুষ এতো সুন্দর করে লিখে......................
হিংসা হিংসা হিংসা

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনাদের জন্য তো লিখি। পোস্ট করতে পারছিলাম না দেখে খুব মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি অপব্লগার, আপনি বলেছেন, "সত্য বলার জন্য আপনাকে জেনারেল করা হয়েছিলো", এটা সত্য নয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০০

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কি সেটা কাওসার ভাই সেটা উনার মন্তব্যের শুরুতেই বলেছেন। পড়ে আসুন।
আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য শুভ কামনা রইল।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "আমি আপনাকে আগেও বলেছি আমার লেখা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। "

-অবশ্যই আপনার লেখা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য, পর্ণ মর্ণ সবই আছে, হয়তো; আমার মতে আপনি যা টাইপ করছেন, এগুলো লেখা নয়, অন্য কিছু; অন্য কিছুটা কি, আমি বলছি না, বললে, এডমিন আমাকে হয়তো জেনারেল করে দেবেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে জেনারেল না করে একবারে বের করে দিলে ব্লগে মনে হয় সবাই মিলে মিলাদ দিতেও পারে!!!!

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

প্রথমেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমার মত একজন তুচ্ছ ব্লগারকে গল্পটি উৎসর্গ করাতে। আজ আমার ভালো লাগার একটি সুন্দরতম দিন। সকালে আপনার সুখবরটি পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। আর ব্লগে আপনার পুনর্জন্ম দিনে পোস্টে আমাকে উৎসর্গ করাতে আনন্দের জোয়ারে ভেসে গেলাম।
পোস্ট প্রসঙ্গে,
একটি সার্থক ছোটগল্প হয়েছে। গল্পটি একটানে পড়ে ফেলে শেষে গিয়ে খুব অতৃপ্ত লাগলো। খুব অসহায় লাগছিলো পরমার পরিণতি ভেবে। একইভাবে প্রদীপ বাবুদের জন্যেও সমবেদনা রইল। সমাজে এরকম হাজারো প্রদীপবাবু নিজেদের ভালো লাগার মানুষটিকে সঙ্গে মিলনে ব্যর্থ হয়ে নিজেদেরকে পৌঁছে দেন খাদের কিনারায়। বেদনাবিধুর হয়েই দুটি প্রাণ বাকি জীবন কোনমতে কাটিয়ে দেয় কোন এক অনির্দিষ্ট ঝরনা তলায়।
গল্পের প্লট নির্বাচন, তার বিন্যাস, শব্দ চয়ন প্রভৃতির দিয়ে গল্পটি একটি বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। এদিক দিয়ে আপনার ফিরে আসাটা সার্থক কামব্যাক বৈকি। আপনার ভালবাসার মোটোকে প্রশংসা করি। কিপ ইট আপ। ++


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।




০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমি পরে প্রতি উত্তর দেব।
শুভ রাত্রী।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
দেরী করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আমি দেখতে চেয়েছিলাম আপনাকে উৎর্সগ করার লেখাটাতে কত মন্তব্য আসে। খুব একটা অবাক হইনি রেস্পন্স দেখে। গল্পটা বেশ কষ্ট করে লিখেছিলাম। যেই পরিমান সনাতনদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে পড়তে হয়েছে! আমার তো ফেসবুকে আপনাকে পাবার আগ পর্যন্ত ধারনা ছিল..

যাই হোক, ইচ্ছে ছিল আপনাকে পিউর একটা প্রমের গল্প লিখে উপহার দেব। কবিতাটাও এই গল্পের জন্যই লিখেছি। পুনশ্চ এর বুদ্ধি হুট করে আসল। সবার মন্তব্য পড়ে মনে হলো বুদ্ধিটা খারাপ হয় নি।

ছুটিতে এসেছি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। দেখলাম অনেক গুলি আপনার লেখা পড়া হয় নি। এক এক করে পড়ছি। ভাল করে পড়ার পর জায়গা মতোই মন্তব্য করব।
ভাল থাকুন, সব সময়।
শুভ কামনা রইল।

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

আরোগ্য বলেছেন: বোনাই ,
আমাদের কলেজের একটা স্যার বলতো যার নয় বছরে বুদ্ধি হয় না তার নব্বই বছরেও না । তাই আমাদের কথা ভেবে কারও ্উসকানিতে মোটেই কান দিবেন না ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের স্কুলে ইংলিশ পড়াতেন যেই স্যার, উনি বলতেন, গাধাকে ৮০ বছর ধরে শেখালেও গাধা গাধাই থেকে যাবে, কোনদিনও ঘোড়া হতে পারবে না।
শুভ রাত্রী।

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ব্লগে গল্পের ফেরিওয়ালা থাকবেন না, তা কি করে হয়? অবশেষে মান-অভিমান ভুলে গল্প লিখলেন এজন্য ধন্যবাদ। পাঠকরা নিশ্চিত খুব খুশি হবেন এমন ব্যতিক্রমধর্মী একটি গল্প পড়ে। পরমার পরিণতি হয়তো প্রত্যাশা করিনি; কিন্তু সমাজে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা সামনে আসে বলেই এগুলো গল্পের খাতায় উঠে আসে।

গল্পটি প্রিয় পদাতিক ভাইকে উৎসর্গ করায় ভালো লাগলো। দু'জন গুণী মানুষ। আর চিলে কান নিয়ে গেছে মানে এই নয়; নিজের কান এটি!!

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: আমাকে আর কত নাম দেবেন! লেখা বেশ কিছুদিন আগেই লিখে রেখেছিলাম। এর কিছুটা অংশ আপনার পেজেও দিয়েছিলাম। হুট করেই সনাতনদের নিয়ে কিছু লিখতে মন চাইলো। তাই। লিখে ফেললাম। পদাতিক ভাইকে দেব বলেই লিখেছিলাম, পরে জানলাম যে হা হা হা। রাম ধরা খেয়েছি।

সামুর অরিজিনাল গ্লপের লেখক গল্প না দিলে আর কি করার! আমি দেখে কিছু টেনে টুনে নিতে পারি নাকি।
শুভ কামনা রইল।

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরোগ্য বলেছেন, " বোনাই ,আমাদের কলেজের একটা স্যার বলতো যার নয় বছরে বুদ্ধি হয় না তার নব্বই বছরেও না "

-আপনারও একটা কলেজ ছিলো, সেখানে আবার শিক্ষক ছিলো, উনি আবার কিছু বলেছিলো: বিরাট ইতিহাস; সংক্ষেপে, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন, অপব্লগার!

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মতে ব্লগের সব ব্লগাররাই হচ্ছে অপব্লগার।
আর আপনি হচ্ছেন কুব্লগার।
আপনার বিভিন্ন পোস্টে দেয় সব মন্তব্য কালেক্ট করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই কেন সেটা টের পাবেন।

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর । +
অনেক খুশী হলাম আপনার আগমনে ।
শুভকামনা রইলো ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: কেন যেন আপনার লেখা আগে পড়া হয় নি। সেইদিন মাত্র পড়লাম। ২য় পর্বে কিছুটা ঠিক করেছেন। বিশেষ করে কথপকথনে। আপনাকে গল্প লেখার ভাল কিছু টিপস দিব কালকে। আমার অফিসের কম্পিউটারে রাখা আছে। বাকি দুইটা পোস্ট পড়ার পর মন্তব্য করব। আমি বেশ ভাল ভাবে না পড়ে মন্তব্য করি না।
হাতে সময় নিয়ে আপনার ব্লগবাড়িটাও ঘুরে আসব।
সব শেষে আপনাকে আমার ব্লগে সু স্বাগতম। আমার বাকি গল্পগুলি পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
শুভ কামনা রইল।

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৯

জুন বলেছেন: গল্পটি ভালোলাগলো নীল আকাশ । যেই ধর্মেরই হোকনা কেন প্লট আর প্রাঞ্জল লেখনীতে মন ছুয়ে গেল ।
+

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সাহস করে লিখেছি। প্রথমবার তো তাই ভয় ভয় লাগছিল। ভয় এখন কেটে গেছে। এদের নিয়ে এখন আরও লিখতে পারব।
চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন আপু।
শুভ কামনা রইল।

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৮

মা.হাসান বলেছেন: মন্তব্য তিন ভাগ করে দিচ্ছি , এটা অসুবিধা করলে দুঃখিত।
কিছুদিন আগে কোন একটি পোস্টে পদাতিক চৌধুরী ভাই এর কাছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের কিছু রিচুয়াল জানতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন একটি গল্প লেখার উপাদানের কাজে ব্যবহার হবে। তখন থেকে এই গল্পটির অপেক্ষায় ছিলাম। চেতনাখোরদের জন্য আশা পূর্ণ হতে সময় লাগলো।
প্রথমে পোস্টের ছবির বিষয়। ছবিতে চোখের জলে মনে হল আবছাভাবে মানুষের একটি মূর্তির বিম্ব দেখছি। জুম করে ও পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না। এটা কি আমার চোখের দেখার ভুল? না কি আসলে কিছু আছে? চোখের উপরে আকাশ এর উপস্থিতি কি জীবনের বিশালতা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করেছেন নাকি অন্য কোন অর্থ আছে? গাজরা ফুল কি জানা ছিল না, অবশেষে গুগল এ সার্চ করে পেয়ে গেলাম। বেলি ফুলের মত এক রকমের ফুল। এর আরেক নাম গাজরা আমার জানা ছিল না। উপযুক্ত বয়সে বিয়ে শাদী হয়ে গেলে প্রেম-ভালোবাসা-ছ্যাকা খাওয়ার সমস্যা থাকে না, তবে অন্য রকমের বিরহ থাকে। পোস্টে অনেক ভালো লাগা।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ছবি সিম্বোলিক। আপনি তো জানেনই আমি ছবির ব্যাপারে কত খুত খুত করি। এখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে আকাশ দিয়ে হৃদয়ের ব্যাপ্তি বা বিশালতা বুঝানো হয়েছে। বুঝানো হয়েছে কত বড় আবেগ আর ভালবাসা বুকের ভিতর পাথর চাপা দিলে এভাবে চোখ ফেটে নোনা জল বের হয়ে আসে আর তৈরি করে বিরহের সমুদ্র।

ঠিক ধরেছেন তবে মজার ব্যাপার হলো পদাতিক দা কে আমরা যা ভেবেছি উনি তার উলটো। ফেসবুকে পরিচয় হবার পর আমি হতভম্ব! কেমন লাগে বলুন! কত কষ্ট করে সনাতন ধর্মের সব কিছু বের করে শিখেছি। ভাই ও হাসতে হাসতে শেষ। গল্পটা আমি অনেক খাটাখাটুনি করে লিখেছি।

আমার গল্পে আপনার মন্তব্য না পড়লে মন ভরে না।

ফেসবুকে ব্লগের গ্রুপে আমাকে কি খুজে পেয়েছেন? না পেলে জানাবেন। এবার ব্লগ বন্ধ হলেও যেন আমি আপনাকে না হারাই।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: মেয়েদের ব্যবহার করা জিনিসগুলি বৌয়ের কাছ থেকে শিখে নিয়েছি। আমি এইগুলি চিনব কোথা থেকে??

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২০

মা.হাসান বলেছেন: ছোটবেলায় সার্কাসে দেখতাম ভাড়েরা অঙ্গ দুলিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গি করে লোক হাসাচ্ছে। সার্কাস তো উঠেই গেছে, তবে আপনার পোস্টে এলে প্রায় নিয়মিত এরকম একজন ভাড়ের দেখা পাই । বড়ই বিনোদন। পোস্টে দ্বিতীয় লাইক দেওয়ার সুযোগ থাকলে ভাড়দের বিনোদনের জন্য লাইক দিয়ে দিতাম।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: এই ক্লাউন কালকে আবার কোথা থেকে আরেক ভাড়কে আরোগ্য ভাইয়ের পোস্টে ধরে এনেছিল। বিনোদন ননস্টপ। একটা প্রতি মন্তব্যে খেপিয়ে দিয়েছি আর এখন নন স্টপ বিনোদন দিয়েই যাচ্ছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: একটা উপন্যাসে মোটামুটি কত পেজ পর্যন্ত পড়ার ধৈর্য থাকে! ১৩০-১৫০ পেজ। এটা ঠিক আছে? প্রতি পেজে ২৮-৩০ লাইন হবে?

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১

মা.হাসান বলেছেন: সকলের জন্য একটি ধাঁধা। এক চিমটি ডোডো পাখ এক মুঠ পাঠা আর আধা সের লিলিপুট মিলালে কি হয়? যে আগে জবাব দিবে তার জন্য একটি ছবি পুরস্কার। পরে কোন এক সময় এসে দেখে যাবো কে ঠিক উত্তর দিলো। কেউ না পারলে রাত ১২টা নাগাদ (বা আরো পরে) আমিই উত্তর দিয়ে দেবো ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই ধাঁধার উত্তর সবাই জানে। শুধুই ব্লগ দেখে কেউ কিছুই বলছে না মডারেটরের জন্য।
ধন্যবাদ।

১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,




প্রেমের আর্তি আকাশের মতোই অবারিত হয়। আর বেদনার রংও নাকি, নীল ।
নীল আকাশ অবলীলায় তেমনি একটি গল্প লিখে গেছেন নীল রংয়ে রাঙিয়ে।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: গুরু,
কষ্ট করে আমার লেখা এই গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যগুলি এতই ভাল লাগে যে বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।
এবারের মন্তব্য খুব চমৎকার লেগেছে। পুরো গল্পে শানে নযুল ছোট্ট করে লিখে দিয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি গল্প পড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আরো গল্প পড়ার পত্যাশা করা যায় নিশ্চয়? মান অভিমান ভুলে পাঠকদের কথা মনে করে লিখবেন। এই ব্লগেও আপনার পাঠক প্রিয়তা কম নয়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি সেটা খুব ভাল করেই জানি। আমি তো লিখিই আপনাদের জন্য। বেশ কয়েকটা গল্প জমে আছে। এত দিন পোস্ট দিতে পারছিলাম না। মেজাজ সেইজন্যই গরম হয়ে গিয়েছিল সুজন ভাই। মাথা এখন ঠান্ডা হয়েছে। উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। ইস, কত দিন পরে আপনার সাথে কথা বললাম। খুব ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৪

শায়মা বলেছেন: আহারে পরমা! :(

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: সব ভালোবাসারই সব সময় মিলন হয় না আপু। কিছু সময়ে সেটা অধরাই থেকে যায়। ঠিক বরুনা আর প্রতিফলেনর মতন।
শুভ রাত্রী।

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩১

মা.হাসান বলেছেন: ''একটা উপন্যাসে মোটামুটি কত পেজ পর্যন্ত পড়ার ধৈর্য থাকে! ১৩০-১৫০ পেজ। এটা ঠিক আছে? প্রতি পেজে ২৮-৩০ লাইন হবে? ''

পেজে ৩৫-৩৬ লাইন ধরানো সম্ভব, তবে চোখে চাপ পড়ে। ২৮-৩০ লাইনের আইডিয়া ভালো।
কত পৃষ্ঠা? বড় কঠিন প্রশ্ন। তিথীডোর বা পূর্ব-পশ্চিমের মতো বই পড়লে মনে হয় যদি শেষ না হয় তবে বড় ভালো হয়। লোটা-কম্বল পড়তে গেলে প্রথম ৩০ পৃষ্ঠা একটু কষ্ট হয়, এর পর মোমেন্টাম এসে গেলে ছাড়া মুশকিল। সেবা প্রকাশনির একজন লেখক আছেন, বাবুল আলম, কুড়ি পাতা পড়লে প্যারাসিটামল খাওয়া লাগে।
প্রকাশক সম্ভবত আপনাকে ৮০ পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ থাকতে পরামর্শ দেবে, তবে আমি মনে করি আখ্যান ভাগ ঠিক থাকলে ১০০-১২৫ এর কাছাকাছি রাখতে পারেন (প্রকাশক ফর্মা হিসেবে গুনবে, ৮০, ৯৬, ১১২, ১২৮, ১৪৪ এভাবে)।
আমি রোমাঞ্চিত। বেস্ট অফ লাক।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ঠিক ঠিকই জানি কাকে কোন প্রশ্ন করলে সবচেয়ে সুন্দর উত্তর পাওয়া যাবে। অনেক উপকার করলেন আপনি আমার।
ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে কোনভাবেই ছোট করব না।

২২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, " আমি কি সেটা কাওসার ভাই সেটা উনার মন্তব্যের শুরুতেই বলেছেন। পড়ে আসুন। আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য শুভ কামনা রইল। "

-কাওসার চৌধুরীও আপনার মত অপব্লগার; উনি যেসব লেখা লিখেন, সেগুলো প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের জন্য ওকে।

২৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩০

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: চোখে ঘুম চলে আসছে অর্ধেক পড়ে বাকীটা কাল পড়ে মন্তব্য দিবো।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

২৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শেষ পর্যন্ত গাজী সাব আমাকেও টেনে আনলেন!! @ চাঁদগাজী, কমেন্টে আমার মতো সাধারণ এক অপব্লগারকে টাইনন্যা আনার জইন্য অনেক ধইন্যবাদ। শুনেছি, মহাজ্ঞানীদের ভৎসনাও নাকি আমজনতার জন্য আশীর্বাদ!!

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: এ আর নতুন কি?
আমরা সবাই হলাম অপব্লগার।আর উনি হলেন কুব্লগার।
ধন্যবাদ।

২৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

বলেছেন: পরমা,
তুমি আনার প্রণয়ের মন্দিরে শুধু পূজার ফুল হয়েই রইলে।।।। -- অসাধারণ বিচ্ছেদ, বিরহ, শোক ভালোবাসার এমনি মরণ হয়


গল্পে আপনার রাজকীয় আবির্ভাবে মুগ্ধ।।।।

আপনি কি তা বুঝতে হলে কোন রেফারেন্স লাগবে নাকি!!!!

ভাল থাকুন। ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য লজ্জিত। ছুটিতে ছিলাম।
নিখাদ প্রেমের এক গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। আর তাই মনের সব সুধা ঢেলে দিয়েছি।
আমাকে বেস্ট গল্পকার বলেছেন তো ঠিক আছে!! সামনের পোস্টে আপনার জন্য চমক থাকবে।
ভালো থাকুন ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: পরমাদের ভালবাসতে নেই, তাদের ভালবাসলেই কষ্ট পেতে হয়।

-অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু পোস্টের বাইরে মন্তব্য করাটা যৌক্তিক মনে হলো না।
-শুভ কামনা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভালবাসা শুধু কাছেই টানে না, মাঝে মাঝে দূরেও ঠেলে দেয়!
বাকি কিছু আর বলার দরকার নেই!
আশা করি ভালোই আছেন আপনি! নতুন গল্প কই আপনার!

২৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।

২৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাহ অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখে ফেলেছেন, আপনার গল্পের ভাষা অনেক সুন্দর হয়। অনেক অনেক ভালবাসা রইলো

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আপনাদের পছন্দের মতো করে লিখি। পোস্ট করতে পারছিলাম না দেখে খুব মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই সুখপাঠ্য, একটানে পড়ে ফেলার মত গল্প। শেষের পুনশ্চ চমৎকার একটা টুইস্ট- এটা যেমন প্রদীপের মনে শান্তি এনে দিল, তেমনি পাঠকদের মনেও জিজ্ঞাসার অবসান ঘটল।

সনাতন ধর্মের বিয়ের আচার নিয়ে লিখেছেন। মনে হল সবই ঠিক আছে, শুধু পানচিনি কথাটা নিয়ে একটু ধন্দ আছে। যতদূর জানি হিন্দু বিয়ের অনুষ্ঠানে এনগেজমেন্টকে তারা আশীর্বাদ বা পাকা দেখা বলে, পানচিনি নয়। (আপনি বলেছিলেন কোথাও ভুল থাকলে ধরিয়ে দিতে, তাই এই কথা বলা।)

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
আপনার জন্যই এখনও এখানে আছি আমি। সেদিন আপনি বকা না দিলে কি যে করতাম? গল্পটা খুব মনোযোগ দিয়ে লিখেছি।

পানখিল / পানচিনি: পানখিল / পানচিনি বাঙালি হিন্দু বিবাহের দ্বিতীয় আচার। এটি পাটিপত্রের ঠিক পরেই পালিত হয়। পানখিলের অর্থ পান পাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে খিল দেওয়া বা খড়কে বেঁধানো। এই আচারটি প্রথমে বরের বাড়িতে এবং পরে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। পানখিল আচারে বাড়ির মেয়েরা এবং প্রতিবেশিনীরা বিয়ের গান গেয়ে থাকে। এই গানের বিষয়বস্তু হল রাম ও সীতার বিবাহ। [বাঙালি হিন্দু বিবাহ - উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে]
এই লেখার জন্য আমি সনাতন ধর্মের বিয়ের আচার খুব ভালো করে পড়েছি আপু। পানচিনি বা পানখিল এখন কেউ পালন করে কেউ করে না। আপনি হয়ত কোথাও এটা দেখেন নি।

আপনাকে খুব করে ফেসবুকে খুজেছিলাম। ব্লগের ফেসবুক পেজে আপনাকে নিয়ে আমি একটা পোষ্টে সবাইকে বলেছিলাম যেন আপনাকে জানায়। শায়মা আপু বলেছিল আপনাকে খবর দিয়েছে। যদি অসুবিধা কোন না থাকে তাহলে আমাকে ম্যাসেন্জের নক করে রাখবেন। ব্লগ আবার বন্ধ হলেও যেন আমি আপনাকে আবার না হারিয়ে ফেলি। ব্লগ হুট করে বন্ধ হবার পর কেন যেন আপনার একটা কথা খুব করে মনে পড়ছিল।

ভালো থাকুন আমার প্রিয় আপু। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প পড়লাম। ভালো লেগেছে।
মন্তব্যও গুলোও পড়লাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: @কাউসার চৌধুরী ভাই আামার গুরু আপনি কি পুরো লেখা পড়েছেন ? এতো বড় দীর্ঘ লেখা লেখার জন্য নীল আকাশ ভাইকে ধন্যবাদ ব্লগে এতো বড় লেখা কে বা কারা পড়েছেন আমার জানা নাই তবে সবাই কমেন্ট করেছেন লাইক দিয়েছেন সাবাস চমৎকার ইহা ফেসবুকিয় আলামত ইহা ব্লগ নহে। নীল আকাশ ভাই ছোট গুল্পে আপনি মাত করে দিতে পারেন সেখানে এতো বড় গল্প কেনো ? এই গল্প পুরোটা কেউ পড়েনি। আমিও না, ধর্য্য একটা ব্যাপার আছে। থিম লিখুন, ট্রেইলার লেখুন ফুল গল্প পড়ার মতো লোক নাই। আর তাই দেশে ম্যাগাজিন, গল্পের বই, উপন্যাস উঠে গেছে। ফলাফল - অমর একুশে বইমেলায় বেষ্ট সেলার হয় আবুল মিয়ার কাচ্চি, মদন মিয়ার চটপটি, আর সালামের পিয়াঁজু বেগুনি ঝালমুড়ি - বইমেলায় এরা কেউ লেখক প্রকাশক নয় বই বিক্রেতাও নয় তারা খাদ্য বিক্রেতা। আপনি আমার প্রিয়জন তাই সমালোচনা করেছি।

*** ৩১ নম্বর কমেন্টটি অনুগ্রহ করে মুছে দিন বানানে ভুল আছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: @ ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ফলাফল - অমর একুশে বইমেলায় বেষ্ট সেলার হয় আবুল মিয়ার কাচ্চি, মদন মিয়ার চটপটি, আর সালামের পিয়াঁজু বেগুনি ঝালমুড়ি - বইমেলায় এরা কেউ লেখক প্রকাশক নয় বই বিক্রেতাও নয় তারা খাদ্য বিক্রেতা।
সত্য কথা বলার সাহস সবার থাকে না। আপনি আসলেই গুরু। সাধে আপনাকে এত পছন্দ করি আমি।

ভালো থাকুন প্রিয় ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে যটা না মন খারাপ তার থেকে বেশী মন খারাপ কিছু মানুষ এর কমেন্ট পড়ে :(
বত্ব
সাগতম আবার ব্লগ এ :)

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: সিয়াম ভাই,
এর মাথা খারাপ। পারলে সব সময় একে এড়িয়ে যাবেন। এর কাজই হচ্ছে গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধানো। বিশেষ করে নতুন আর যাদেরকে উনি দেখতে পারেন না সেইসব ব্লগারদের সাথে।
আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করি এই সময়ে ভালো ছিলেন।
ভালো থাকুন প্রিয় ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন:

মডু আপনাকে সেফ করেছে আবার জেনে ভালো লাগছে । ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের কমেন্ট ভালো লাগছে। আমি নিজে সেটার প্রমাণ । আমি পুরো গল্প এখনও পড়িনি তবে যতটুকু পড়েছি ভালো লাগছে তাই লাইকও করেছি । পাঠককের এই দিকটা গুরুত্ব দিলে ভালো হতো । নীল ভাইয়ের আরও বড় গল্প পড়েও মন্তব্য রেখেছি । কিন্তু ইদানীং মনে হচ্ছে বড় গল্প পেলেই হাঁপিয়ে উঠি । সমস্যাটা আমার । আগের মতো পাঠক হিসাবে ধৈর্য রাখতে পারছি না ।
শুভকামনা করছি সব সময়ের জন্য নীল ভাই । আশা করছি ভালো আছেন ?

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় রাকু ভাই আমার,
হুম, বেশ অস্থিরতার মধ্যে আছেন মনে হচ্ছে। আগে তো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তেন, এমনকি বানান ভুলগুলিও ধরিয়ে দিতেন।
ব্লগের এত ভাল একজন পাঠকের এত করুন হাল হলে হবে?
আমি বেশ ভাল আছি তবে ব্যস্ততা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আপনাকে খুব একটা ব্লগে দেখেই না এখন।
ভালো থাকুন প্রিয় ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

আরোগ্য বলেছেন: মুরুব্বি বলেছেন,
আপনারও একটা কলেজ ছিলো, সেখানে আবার শিক্ষক ছিলো, উনি আবার কিছু বলেছিলো: বিরাট ইতিহাস; সংক্ষেপে, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন, অপব্লগার!


অবশেষে আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এই অপব্লগারের উপর যেহেতু পড়েছে তাই আর ভালো ব্লগার হতে সময় লাগবে না। আশা করি আমাদের মত কতিপয় অপব্লগারদের হাতে খড়ি শিখাতে মুরুব্বি বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবেন না। অপব্লগারদের হেডমাস্টারকে সশ্রদ্ধ সালাম।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আমরা সবাই যদি প্রশ্ন ফাসের জেনারেশান হই তাহলে উনি ১৯৭২ সালের জেনারেশন?
শুনেছি ঐবছর নাকি সবাই পরীক্ষার হলে ফুল ফ্রী রক্ষী বাহিনী স্ট্যাইলে পরীক্ষা দিয়েছিল!
উনার ভাবসাব দেখে তো আমার খুবই সন্দেহ হয়!

৩৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

আরোগ্য বলেছেন: বোনাই,
আমার কিন্তু অবজেকশন আছে। তবে তা ঠাকুর মাহমুদের ঠিক উল্টো। আপনার লেখা আমি একদম ফ্রী হয়ে রাতে পড়তে বসি। গতকালও তা ই করেছি। ভাবলাম বড় গল্প আজ যতটুকু পারি পড়ি কিন্তু কখন যে শেষ লাইনে এসে পড়লাম। মনে হলো ঘটনার মত গল্পটাও ডায়েরির এক পাতা। নিসন্দেহে গল্প বাস্তবসম্মত ও সুন্দর হয়েছে। কিন্তু আমার তৃপ্তি হলো না। অনেক দিন পর পোস্ট দিয়েছেন তাই হয়তো দীর্ঘদিনের পাঠের ক্ষুধা জমে আছে। তাড়াতাড়ি আবার পোস্ট চাই বোনাই। অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা।

আর আমি কিন্তু পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করিনি এটা আপনিও জানেন বোনাই।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
আপনার মন্তব্য আমি বেশ ভাল করেই পড়েছি। সবাই একনিষ্ঠ পাঠক হতে পারে না। সবার রূচি এক রকম হয় না।
আমার নেক্সট গল্প পড়ে সেইরকম মজা পাবেন। কথা দিচ্ছি।
ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: @ ঠাকুর মাহমুদ -'এই গল্প পুরোটা কেউ পড়েনি।'
দুঃখিত সত্য না।

শবনম কাহিনী-৩ এর চেয়ে অনেক বড় সাইজের গল্প। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভিউ। ওটাও কি কেউ পড়ে নি? সবার পাঠাভ্যাস সমান না।


নীল আকাশ ভাইয়ের প্রতি- ''আপনার এই ধাঁধার উত্তর সবাই জানে। শুধুই ব্লগ দেখে কেউ কিছুই বলছে না মডারেটরের জন্য।''

আমি তো স্পীকার হয়ে গেলাম! আমার জানা ছিল লিলিপুট, ডোডো পাখি, এগুলো আমাদের প্রানপ্রিয় মডারেটরের প্রিয় শব্দ। উনিতো এগুলোর আবিস্কারককে 'মানবিক' বলে সম্মোধন করেছেন।
যাহোক আপনি চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ধাঁধার উত্তর ঠিক হয়নি।

উত্তর -জুতাবাবার আরক।

নিজেই নিজেকে ছবি পুরস্কার দিব কিনা ভাবিতেছি।

দোয়া রাখবেন আমিও যেন আপনার পদাঙ্ক অনুসরন করে বড় ব্লগার হইতে পারি।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: নিন আপনার জন্য আমিও একটা পুরষ্কার দিলাম।

ব্লগে সবারই পদাঙ্ক অনুসরন করতে পারেন তবে স্টুপিডটার অনুসরন করবেন না।
ধন্যবাদ।

৩৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্লগ বন্ধকালীন সময়ে আমাকে স্মরণ রাখায়! আসলে সেসময় খুবই অবাক হয়েছিলাম এভাবে হঠাৎ ব্লগ বন্ধ হওয়ায়। সাথে সাথে একধরনের অসহায়ত্ব ঘিরে ধরেছিল। আল্লাহকে শুকরিয়া যে, আবার আমরা ব্লগে মিলিত হতে পেরেছি।

আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, কিন্তু আমি ব্যবহার করি না। তাই ফেসবুকে আমাকে পাওয়া যাবে না। শায়মা আমার ইমেইল অ্যাড্রেস জানে, হয়তো ও ইমেইলে করেছিল, আমি সেটাও চেক করিনি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমন অবস্থা হবে না। যদি হয়, আমি আপনাকে খুঁজে বের করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ইনশাল্লাহ আপু আপনার সাথে সব সময় যোগাযোগ থাকবে।
শুভ কামনা রইল।

৩৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ

একেই বলে সর্বনাশা প্রেম। সব প্রেম তো আর তেল ,চাল , নুনের বাঁধনে পরিপূর্ণতা পায় না । ভেতরের কিছু ডায়লগ লিখেছেন খুব সুন্দর করে । অনেকদিন পর মনে হচ্ছে সত্যিই ব্লগ আজ পরিপূর্ণ আমার কাছে , আমার ভাই পোস্ট দিয়েছে
তাই।
ভালোলাগার মানুষকে উৎসর্গ করেছেন সেজন্য আবারো ভালো লাগা। যারা সৌভাগ্যবান তারা পরমা কে ধরে রাখতে পারে , তাছাড়া ভাগ্য বলে একটা কথা আছে।খাঁটিগল্প ,খাঁটি প্রেম ,খাঁটি মানুষ কে উৎসর্গ করেছেন।
ভাই আপনার গল্পে ব্যাপক বিনোদন উপভোগ করলাম। আমি বুঝতে পারিনা উনার আসলে সমস্যা কোথায় ?
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালো লাগা থাকলো আপনার জন্য।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
দেরি করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য লজ্জিত। ছুটিতে ছিলাম।
নিখাদ প্রেমের এক গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। আর তাই মনের সব সুধা ঢেলে দিয়েছি।
জীবনে সব প্রেমের কখনই মিলন হয় না।
আমি বুঝতে পারিনা উনার আসলে সমস্যা কোথায়? - এটা যদি এই উন্মাদটা বুঝত, তাহলে তো এই সমস্যারই সহজেই সমাধান করা যেত। সোজা নাবিলার কাছে পাঠিয়ে দিতাম।
শুভ কামনা রইল।

৩৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন। আরও ভাল ভাল লেখা চাই।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেস্টা করব আরও ভাল ভাল লেখা দেবার।

৪০| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৩

বলেছেন: এই গল্পটা এই নিয়ে তিনবার পড়লাম।।।

শব্দ বিন্যাস, ভাষার উচ্চ মার্গীয় ব্যবহার, প্রাঞ্জলতা, রুপ, রস, টুইস্ট আহ কি নেই গল্পে।।
এত সুন্দর গল্পের পর আমার গল্প লেখার চেষ্টায় বজ্রপাত নেমে এলো এমন করে যদি পারতাম তবুও একটা গপ্পো পোস্ট দিলাম।।। আশাকরি গাইডলাইন দিবেন।।।

ভালোবাসা অবিরাম।।।

১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: দেখা মাত্রই পড়ে মন্তব্য করে এসেছি।
শুভ রাত্রী।

৪১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১০

এম ডি মুসা বলেছেন: যদিও সবটুকু পড়িনি তবে , কিছু অংশ পড়ে ভালো লাগল।
কবিতা টি আরো মুগ্ধ করলে++

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় এম ডি মুসা,
ধন্যবাদ আপনাকে আমার এই গল্প পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
কবিতাটা এই গল্পের জন্যই লিখেছিলাম। আমার বাকি গল্পগুলি পড়ার জন্য আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।
আশা করি নতুন গল্পগুলিতেও আপনাকে পাশে পাবো।
ভালো থাকুন ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৪২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভালবাসার গল্পগুলো এমনই হয়।

পরমারা অন্যের হয়ে যায়।

+++++++লন।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
এসেই আমার গল্প পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিরহের একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছিল। তাই এটা লিখলাম।
ধন্যবাদ।

৪৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প
তবে দু:খ গল্প...। মিল না হলে কেমন যেনো কষ্ট লাগে

২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমা আপু,
সব প্রেমের মিলন হয় না। সব ভালবাসা কেন জানি জোড়া লাগে না।
বিরহের একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছিল। তাই এটা লিখলাম।
গল্প পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার গল্পের ভক্ত আপি

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ফাতেমা আপু, দূঃখিত। অনেক দেরি করে প্রতি মন্তব্য করলাম।
ব্যক্তিগত একটা কাজের জন্য ব্লগ থেকে বেশ কিছুদিন অনেক দূরে ছিলাম।
আপনি আমার গল্পের ভক্ত জেনে খুব খুশি হলাম।
সাথে সব সময় থাকার জন্য ধন্যবাদ নিবেন আপু।

৪৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুখপাঠ্য লেখা.. যদিও একদিনের ঘটনায় জল এতদূর গড়ানোটা কিছুটা আনকমন। তবে গল্প তো ! পরমার বিয়ের দিন দেখেও কারো মনে দোলা পারে।

শাড়িতে বাঙালি মেয়েদের পরীর মতো লাগে। তাদের পূর্নাঙ্গ সৌন্দর্য শাড়িতেই প্রস্ফুটিত হয়।

গল্পটা পড়েছিলাম বহু আগে। লাইক দিয়েই পালিয়ছিলাম। এখন মন্তব্য করলাম।

কোনো ভিন্ন ধাঁচের লেখা লেখার ক্ষেত্রে একটু সাবধানে এগোনো ভালো। সবসময় সবকিছু সবাই একভাবে নেয় না।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
এত দেরি করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ব্যক্তিগত একটা কাজের জন্য ব্লগ থেকে বেশ কিছুদিন অনেক দূরে ছিলাম।
শাড়িতে বাঙালি মেয়েদের পরীর মতো লাগে। তাদের পূর্নাঙ্গ সৌন্দর্য শাড়িতেই প্রস্ফুটিত হয়। - এই জন্যি তো আবু সাইদ সাহেব প্রথম আলুতে মেয়েদের শাড়ি না পড়া নিয়ে আক্ষেপ করেছেন, কান্নাকাটি করেছেন।
গল্পটা পড়েছিলাম বহু আগে। লাইক দিয়েই পালিয়ছিলাম। এখন মন্তব্য করলাম। - আপনি আবার আসবেন এটা আমি জানতাম।
কোনো ভিন্ন ধাঁচের লেখা লেখার ক্ষেত্রে একটু সাবধানে এগোনো ভালো। সবসময় সবকিছু সবাই একভাবে নেয় না। - শেষে এইজন্যই লিখে দিয়েছিলাম ভুল, ধরিয়ে দেবার জন্য। চেস্টা তো করতেই হবে। ভয় পেলে তো হবে না।
মনে হচ্ছে আমার বাংলা বানানের বেশ উন্নতি হয়েছে। একটা বানান নিয়েও কিছু বলেন নি! আজকে অনেক খুশি আমি। বাংলা বানান নিয়ে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি আমি।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৪৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কমেন্টের দ্বিতীয় লাইনে "দোলা লাগতে পারে" হবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: ফিরে আসার জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

নিভৃতা বলেছেন: লেখকের লেখার মুন্সিয়ানায় গল্পটি দারুণরূপ লাভ করেছে নিঃসন্দেহে।

কিন্তু কাহিনীটা ভালো লাগলো না। ভালোবাসার মরণ। ভালোবাসা কি এতই সহজ! তারপর মাত্র একদিনের একটু ভালো লাগার পুরুষকে বিয়ের ছয়মাস পর ফোন করা এটাই বা কেমন কথা হলো। কাহিনীটা আরেকটু গভীরতার সাথে সাজালে ভালো হত। এই গল্পের ভালোবাসার গভীরতা নাই। এইটা সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব অভিমত।

আপনি "গিয়ে" শব্দটাকে "যেয়ে" লেখেন। সেখানে যেয়ে হবে না। সেখানে গিয়ে হবে।

আপনি তো বলেছিলেন গল্পটা রিপোস্ট করেছেন। কিন্তু আপনার আর্কাইভ খুঁজে গল্পটা বের করেছি। নতুন পোস্ট কোথায়?

শুভেচ্ছা অফুরান। ভালো থাকবেন। :)

০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় নিভৃতা,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-এই গল্পটা আপনাকে পড়তে বলেছি কারণ, মাত্র অল্প কিছু কথপোকথন দিয়েও প্যারা করেও যে অনেক কিছু প্রকাশ করা যায় সেটা দেখানো জন্য। অন্য কিছু নয়। আমি যে আপনাকে বিভিন্ন মন্তব্যে যা বলেছি সেটার প্র্যাকটিক্যাল দেখানোর জন্য।
-ভালোবাসার মরণ এখানে রূপক নয় সরাসরি অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে নায়ক প্রদীপ নায়িকার পরমার প্রেমে পড়েছে। প্রথম দেখায় প্রেম। একতরফা প্রেম। সে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে। পরমা কোন উত্তর দেয় নি তখন। পরমা ভগবানের নামে শপথ করেছিল যে সে বাসায় যেয়ে প্রদীপ'কে ফোন দেবে। কিন্তু পরমা দিতে পারেনি পরিস্থিতির জন্য। পরমা ছয়মাসে পরে সেই ব্যর্থতা জানাতেই ফোন করেছিল। প্রদীপের প্রেমের ভালোবাসার মরণ হয়েছিল ভগবান চান নি দেখে।
-নতুন প্রায় ৬ বা ৭টা গল্প ঝুলে আছে। অল্প অল্প করে লেখার পর আর ভালো লাগছে না। ইদানিং লেখালিখি করার মত সময় পাচ্ছি না বাসায় বাচ্চাদের জন্য।
-ফেবুতে সামুর ব্লগ গ্রুপ কী খুঁজে পেয়েছেন?

শুভ কামনা রইলো।

৪৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৯

নিভৃতা বলেছেন: হ্যাঁ। দেখেছি। কিন্তু বর্ণনার চেয়ে কথোপকথনগুলো আমাকে বেশি আকর্ষণ করেছে। আর যে বর্ণনাগুলো মনের অভিব্যক্তিকে ফুটিয়ে তুলেছে সেগুলো নিঃসন্দেহে খুবই আকর্ষণীয় ছিল।

আমারও একই অবস্থা। প্লটগুলো শূন্যে ভাসছে। বড় ছেলের জে এস সি সামনে। তাই মনটাকে সেদিকেই রাখতে চাচ্ছি। এই মুহূর্তে লেখার নেশা ধরে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

সামু গ্রুপে আমার জয়েন রিকু পেন্ডিং হয়ে আছে :(

১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
একজন লেখকের সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো মানবিক অভিব্যক্তিগুলি পাঠকের কাছে ফুটিয়ে তোলা। আপনি যত ভালো করে এইকাজ করতে পারবেন পাঠক পড়ে ততই মজা পাবে। বিশেষ করে প্রেমের কিংবা বিরহের লেখাগুলিতে।
আমি আপনার লেখাগুলিতে কথপোক থানের মাঝে এই জিনিসটার অভাব দেখি। এইজন্যই আপনার কিছু কিছু লেখা খুব বিরস লাগে পড়তে।
উপন্যাস বের করা জন্য কথপোকথন খুব বেশি দিতে হবে তা নয়। আমি শবনমেও এই স্ট্যাইলেই লিখেছি। আমার বই প্রকাশকের সেরা বিক্রিত বইয়ের তালিকায় উঠে এসেছে।
আপনাকে আরও অনেক অনেক ভালো ভালো ব্লগদের লেখা পড়তে হবে। আপাতত ২টা দিলাম।
১। ব্লগের সম-সাময়িকক কালের সর্বাধিক পঠিত গল্পঃ গল্পঃ মিথিলা কাহিনী ১ - একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি!
পরের বছর বইমেলাতে এটা নিয়ে হয়ত কিছু আসতে পারে। মিথিলা সিরিজ পুরো রিরাইট করবো।
২। ব্লগার অহরিত ভাই। ব্লগের সেরা গল্প লেখক + আমার গুরু উনার সব লেখা পড়বেন। একটাও বাদ দিবেন না।
ধন্যবাদ।

৪৯| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৯

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি লিখা পড়লাম।

১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আপু,
এটা অনেক দিন আগে লিখেছিলাম।
আমার এই পুরাতন গল্পটা বের করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো আপু।
ধন্যবাদ।

৫০| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২২

নিভৃতা বলেছেন: জ্বী আমার লেখায় অভিব্যক্তিগুলো আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। লিঙ্কগুলোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। পড়ে নেবো গল্পগুলো ধীরে ধীরে। ভালো থাকবেন।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
আগের প্রতি মন্তব্যে দেয়া ১ নাম্বার লিংকটা কেমন লাগলো জানাবেন সেই গল্পেই। এটা নিয়ে বড় কিছু করার ইচ্ছে আছে।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.