নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
সন্ধ্যার সময় চেম্বারে এসেই নাবিলা রিসিপসনিস্টকে ফোন করে ওর জন্য অপেক্ষায় থাকা রুগীদের (পেশেন্ট) পাঠাতে বললো। একটু পরেই অল্পবয়সী শাড়ি পড়া একটা মেয়ে (পেশেন্ট) ফাইল হাতে নিয়ে ওর চেম্বার এসে ঢুকলে, মেয়েটার হাত থেকে সেই ফাইলটা নিয়ে প্রাথমিক তথ্যগুলি দ্রুতই দেখে নিল নাবিলা। ফাইলটা একদম নতুন, তার মানে মেয়েটা আজকেই প্রথম এসেছে।
*নাম - মেহের আফরোজ. ডাক নাম - লাবনী।
*বয়স - ২২ বছর।
*বৈবাহিক অবস্থা - বিবাহিতা। বিয়ে হয়েছে গতবছর। এখনও কোন সন্তান হয়নি।
*পেশা - ছাত্রী, স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় বর্ষ, লালমাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
*বর্তমান ঠিকানা - খিলক্ষেত, হ্যাজবেন্ডের সাথে শ্বশুরবাড়ীতে থাকে।
*স্বামী - মোঃ মাহবুবুর রহমান। ডাক নাম - লাবীব। স্বামীর পেশা - চাকুরী, ব্যাংকে।
*অন্যান্য - এক ভাই এক বোন। বাবা মারা গেছেন, মা গৃহিণী।
*সমস্যা – ফাঁকা। তার মানে পেশেন্ট নিজের মুখেই সমস্যার কথা বলতে চাচ্ছে।
লাবনী সামনে চেয়ারে বসার পর, নাবিলা ওকে এককাপ চা খেতে দিল। প্রতিটা মানুষের চা খাবার ভঙ্গি একেক রকম। নাবিলা দেখতে চাচ্ছে লাবনী কিভাবে চা খায়? ঘন ঘন চুমুকে বেশ দ্রুতই চা শেষ করে ফেলল লাবনী, ওর চা খাবার ধরন দেখে নাবিলার মনে হলো মেয়েটা বেশ অস্থির আর চঞ্চল স্বভাবের এবং কোন কারনে কিছুটা চিন্তিত। মানুষের মন খুবই বিচিত্র, আর তারচেয়েও বিচিত্র সব সমস্যা এরা নিজেরাই সৃষ্টি করে বেড়ায়। নাবিলা লাবনীকে নিয়ে নরম একটা সোফায় এনে বসালো আর বড় লাইটটা নিভিয়ে দিয়ে হাল্কা আলোর (পাওয়ারের) একটা লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে একটু দূরে যেয়ে বসল। লজ্জা, জড়তা এইসব সমস্যার কারনে অনেক সময় রুগীরা (পেশেন্ট) ওর মুখোমুখি বসে ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, তাই ও এই ব্যবস্থা করেছে।
-লাবনী, তুমি কি আমার কাছে স্বেচ্ছায় এসেছ? না কেউ তোমাকে আমার কাছে আসতে বলেছে? (সাজেস্ট করেছে)?
-আপনার কথা আমার এক সিনিয়র আপুর কাছে শুনেছি। আমি নিজেই আপনার কাছে এসেছি, আমি যে আপনার কাছে এসেছি এটা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না।
-তোমার কেন মনে হলো আমার কাছে তোমাকে আসতেই হবে?
-আমি আসলে আত্মপরিচয় সঙ্কটে (আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে) ভুগছি। সমস্যাটা এতই জটিল যে আমি একা একা এর সমাধান করতে পারছি না।
-তোমার সমস্যা যত জটিলই হোক সেটার গ্রহনযোগ্য সমাধান দেবার জন্য আমি চেষ্টা করব। কিন্তু সেজন্য তোমার পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি তোমার চিকিৎসার প্রয়োজনে ঠিক এখন থেকে আমাদের মধ্যে সমস্ত কথাবার্তা এবং সমস্যার বিবরণ (রের্কড) লিপিবদ্ধ করে রাখবো। তবে সেগুলি আমি ছাড়া আর কেউ কখনই শুনবে না। আচ্ছা, তোমার এই সমস্যাটা কতদিন ধরে হচ্ছে?
-প্রায় সাতমাস। আমার বিয়ের পর থেকে।
-তোমার কি কোন শারীরিক সমস্যা আছে? যেমন ধর, হ্যাজবেন্ডের সাথে শারীরিক সর্ম্পক (ফিজিক্যাল রিলেশন) করতে গেল প্রচন্ড ব্যথা পাও। অথবা কোন মানসিক সমস্যা যে কারনে ছেলেদের তুমি ঠিক অপছন্দ করো বা এদের এড়িয়ে চলো।
-না। আমার স্বামীর (হ্যাজবেন্ডের) সাথে শারীরিক সর্ম্পকের (ফিজিক্যাল রিলেশনের) সময় আমার এই ধরনের কোন সমস্যা হয় না। তবে আমার স্বামী (হ্যাজবেন্ড) ছাড়া আমার আর কোন ছেলের সাথে কখনও কোন সর্ম্পক হয়নি।
-তোমার স্বামীর (হ্যাজবেন্ডের) সাথে ঝগড়া, গন্ডগোল কিংবা মারামারি এই ধরনের কোন কিছু কি হয়? যৌতুক কিংবা হঠাৎ কোন কারনে টাকাপয়সা চাচ্ছে তোমার বাসা থেকে?
নাবিলার কথা শুনে লাবনী প্রায় সাথে সাথেই চমকে উঠল।
-ছি ছি ম্যাডাম এইসব কি বলছেন আপনি? টাকাপয়সা কিংবা যৌতুক চাইবার তো প্রশ্নই উঠে না। লাবীব এটা শুনলে ভীষন লজ্জা পাবে। ও তো আমাকে অনেক আদর করে। আমাকে খুব ভালোবাসে।
কথাগুলি শেষ করার সাথে সাথেই লাবনী যেভাবে লজ্জায় রক্তিম হয়ে উঠল সেটা দেখে নাবিলা অবাক হয়ে গেল। এইরকম অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ কেউ কৃত্রিমভাবে করতে পারবে না।
-তোমার স্বামীর (হ্যাজবেন্ডের) সর্ম্পকে আমি তোমার কাছ থেকে সত্যকথা (অনেস্ট অপনিয়ন) শুনতে চাচ্ছি। একদম সত্যকথা বলবে। ছেলে হিসেবে তোমার স্বামী (হ্যাজবেন্ড) কেমন?
-ও খুব ভালো ছেলে। আমাকে খুব আদর (কেয়ার) করে। আমার খুঁটিনাটি বিষয় সব ওর মুখস্ত। ধরতে গেলে মুখ ফুটে ওর কাছে আমার প্রায় কিছুই চাইতে হয় না। চাইবার আগেই ও সেইগুলি এনে হাজির করে। অফিস থেকে ফিরে বাসায় এসেই সারাক্ষণ আমার কাছে ঘুর ঘুর করে। বাসায় যে আমার শ্বশুর শাশুড়ী ননদ আছে সেটাও বুঝতে চায় না। যা শরম লাগে।
-আচ্ছা লাবীবের কি বিয়ের আগে অন্যকোন মেয়ের সাথে সর্ম্পক ছিল? কিংবা তোমার সাথে বিয়ের পর আবারও সেই মেয়ের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে?
-না ম্যাডাম। লাবীব আমাকে পছন্দ করেই বিয়ে করেছে। ও আমাকে অনেকবার প্রেমের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে (এ্যাফিয়ারের জন্য প্রপোজ করেছে)। আমি কিছুতেই সেই প্রস্তাবেই রাজী হচ্ছি না দেখে শেষে বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে অনেক ঝামেলা সামলিয়ে আমাকে বিয়েই করে ফেলেছে। আমি ছাড়া আর কোন মেয়েকেই পছন্দ করেনি ও আগে। এটা আমি নিশ্চিত।
কথাগুলি শেষ করার পর লাবনী কেমন যেন নিজের মধ্যে হারিয়ে গেল। অন্যমনস্কভাবে হাতের চূড়িগুলি নড়াচড়া করছে। নাবিলার মনে হলো মেয়েটা কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু কোন কারনে মনের ভিতরে বড় কোন বাধার দেয়াল অতিক্রম করতে পারছে না।
বেশ কিছুক্ষন সময় পরে লাবনী হুট করে বলে উঠল-
-ভালোবাসা একসাথে দুইপাত্রে রাখা যায় না সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। কিন্তু আমি কোনভাবেই যে একপাত্রে আমার ভালোবাসা কিছুতেই ধরে রাখতে পারছি না। এখন আমি কি করবো? আপনিই বলুন?
নাবিলা মনোযোগ দিয়ে অপেক্ষা করছিল লাবনীর আবার কথা বলা শুরু করা জন্য। প্রশ্নটা শুনে নাবিলা সামনে বসা এই তন্বী রূপসী মেয়েটার দিকে এবার ভালো করে তাকালো। বড় আশা নিয়ে মেয়েটা ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা জড়তা কাটিয়ে আবার যেয়ে কথা বলতে শুরু করেছে সেটা খুব ভালো লক্ষন।
-তোমার ভালোবাসা ঠিক কোন পাত্রে রাখাটা তোমার জন্য উপযুক্ত হবে, কোন পাত্রে হবে না, সেটা কি তুমি জান?
-জানি না ম্যাডাম। আর ঠিক সেজন্যই আমি আপনার কাছে এসেছি।
কথাটা বলার পর লাবনী প্রচন্ড অস্বস্তি নিয়ে এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে। নাবিলার দিকে কেন যেন তাকাতেই সাহস পাচ্ছে না।
-লাবনী তোমাকে এখন অনেক উত্তেজিত আর স্নায়বিক চাপের মধ্যে রয়েছ (টেন্সড) মনে হচ্ছে। তোমার কাহিনী শুনার আগে তোমার নার্ভগুলিকে প্রথমে রিলাক্স করে দেয়া দরকার। তুমি আগামী পাঁচমিনিট তোমার ফেলে আসা শৈশবের কোন মধুর চমৎকার স্মৃতির কথা মনে করা শুরু করো। মন এমনিতেই শান্ত হয়ে আসবে। (রিলাক্সড হয়ে) তোমার মন শান্ত আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পরেই আমি তোমার সাথে আবার কথা বলা শুরু করব!
নাবিলার কথাগুলি শুনার পর লাবনী যেন বিশাল হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। তীব্র অস্বস্তির নিঃশ্বাসটা বড় হয়ে বের হয়ে যেতেই বুক থেকে যেন সেই পাষান পাথরটাও নেমে গেল। হাজার চেষ্টা করেও এখন ও আর কোন কথা বলতে পারতো না। চোখ বন্ধ করে লাবনী নাবিলার কথামতো ওর ছোটবেলায় ওর মা’র সাথে মেলায় যাবার একটা চমৎকার স্মৃতি মনে করতে লাগলো।
প্রায় পাঁচমিনিট পরে লাবনী আবার মৃদুস্বরে কথা বলা শুরু করল। কিন্তু লাবনীর মুখ থেকে এবার যা শুনল নাবিলা, সেটা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল............
এক
আমি মেহের আফরোজ লাবনী। এখন লালমাটিয়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করছি। আমি নিজে কিছুটা চুপচাপ একা টাইপের মেয়ে। ক্লাসে অনেক মেয়ের সাথেই বন্ধুত্ব হলেও কিন্তু কেন যেন কারও সাথেই খুব বেশী আপন হতে (ক্লোজ হতে) পারলাম না।
একদিন দেরি করে ক্লাসে যেয়ে দেখি সামনের দিকে কোন সিট নেই। বাধ্য হয়েই একদম পিছনের সিটে যেয়ে বসতে হলো। বসার পর দেখি এখানে অপরিচিত একটা মেয়েই বসে আছে, সেখানেই ওর সাথে পরিচয় হলো। ওর নাম মীরা, এরপর থেকে আমি আর মীরা একসাথেই বসতাম। যে আগে যেতাম ক্লাসে, অপরজনের জন্য একটা জায়গা রেখে দিতাম। প্রথমবছরটা দেখতে দেখতেই হুট করে কেটে গেল।
ওর বাসা কলেজের খুব কাছেই। প্রায় সময়ই ক্লাস না থাকলে আমরা দুইজন ওর বাসায় যেয়ে আড্ডা দিতাম। খুব দ্রুতই ও আমার জীবনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হয়ে উঠলো। ও খুবই ইন্ট্রোভার্ট টাইপের মেয়ে। আমি ছাড়া আর মেয়ের সাথে ও প্রায় কথাই বলতো না। অনেকটাই আমার মতন।
আমরা দুইজনের মধ্যে সব কথা, গল্প আর অনুভূতিগুলি ভাগাভাগি করে নিতাম (শেয়ার করতাম)। যতরকমের দুষ্টামী আছে একসাথেই করতাম। একজনের কাপড় নিয়ে আরেকজন পড়তাম।
একদিন দ্বিতীয়বর্ষে ক্লাস তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে আমরা দুইজন ওর বাসায় গেলাম। বাসায় ওর আব্বা আম্মা থাকেন না। দুইজনই চাকুরী করেন। ওর রুমে বেশ কিছুক্ষন দুষ্টামি আর আড্ডা দেয়ার পর মীরা গেল গোছল করতে। রুমের ভিতরেই লাগোয়া বাথরুম। আমি বিছানায় বসে আছি। হঠাৎই মীরা বাথরুম থেকে বের হয়ে আসল একটা গোলাপী রংয়ের টাওয়াল পেঁচিয়ে। সারা শরীর ভেজা ভেজা। চুল থেকে হালকা করে জল ঝরছে। আমি এখন ঠিক বলে বুঝাতে পারবো না ঐমুহূর্তে ওকে দেখে আমার প্রথম অনুভূতিটা কেমন হয়েছিল! আমি যেন চন্দ্রাহতের মতো মুগ্ধ হয়ে মীরার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কী যে ভয়ংকর সুন্দর লাগছে ওকে! সারা শরীর যেন আমার হুট করেই কাঁটা দিয়ে উঠল। ও আমার দিকে চোখ পাঁকিয়ে বললঃ
-কিরে, কী দেখছিস অমন করে?
-তোকে না খুব হট লাগছে!
বজ্জাতটা দুষ্টামী করে টাওয়ালটা খুলে সামনের দিকে মেলে ধরে আমাকে জিজ্ঞেস করলোঃ
-আগে হট লাগলে এখন কেমন লাগছে?
আমি আর কিছুই বলতে পারলাম না। আমার সারাদেহে যেন সহসাই সহস্র বজ্রপাত এসে তীব্র আঘাত করলো। যেন ইলেকট্রনের একটা অমানবিক স্রোত আমার লুকায়িত একসত্ত্বাকে একধাক্কায় জাগ্রত করে তুললো। মীরা কিছুটা এগিয়ে এসে আমার দিকে ওর দুইহাত এগিয়ে দিল আর আমি কম্পিত শরীরে পাগলের মতো যেয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। ওর ঠোটের সাথে কিভাবে যেন আমার ঠোট স্পর্শ করলো! এরপরে আসলে কী আর কেন ঘটলো সেটা আমি জানি না। আমার যখন লুপ্ত চেতনা পুরোপুরি ফিরে এলো, তখন দেখলাম আমি সর্ম্পুন নগ্ন হয়ে মীরা’কে জড়িয়ে ধরে ওর দুইবুকের মাঝখানে শুয়ে আছি।
সেইদিনের পর থেকে মীরা যেন আমার আত্মার চেয়েও আপন হয়ে উঠল। আমাদের অন্তরঙ্গতা সময়ের সাথে সাথে খুবই গভীর হয়ে উঠল। একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকার কথা চিন্তাই করতে পারি না এখন!
পরেরদিন দুপুরবেলা লাঞ্চ শেষ করে নাবিলা ওর বাসার স্ট্যাডিরুমে লাবনী’র লিপিবদ্ধ করা (রের্কড করা) কাহিনী মনোযোগ দিয়ে বারবার শুনছিল। পরপর তিনবার শুনার পরও বেশ কিছু জায়গায় ওর সন্দেহ কোনভাবেই দূর হলো না। লাবনীর ফাইল খুলে দ্রুত হাতে ওর মনের সেই সন্দেহগুলি নোট করে ফেললো, লাবনীর সাথে ঠিক এই বিষয়গুলি নিয়েই এর পরেরবার বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে হবে। কেন যেন নাবিলা’র মনে হচ্ছে ওকে যা শুনানো হয়েছে সেটাই সবকিছু নয়। এর বাইরেও আরও কিছু শুনতে এখনও বাকি আছে।
দুই
পাঁচদিন পরে নাবিলা আবার লাবনীকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন বসে দ্রুতই কথা শুরু করলঃ
-লাবনী, তোমার সাথে মীরার যে সর্ম্পক, সেটাকে কি বলে তুমি জান?
-জী জানি। এটা নিয়ে আমি কিছুটা পড়াশুনা করেছি, ইন্টারনেটে এই বিষয়ে প্রচুর ডকুমেন্টস আছে। এটাকে বাংলায় বলে সমকামিতা।
-তার মানে দাড়াল যে, তুমি সমকামি। আর তাই যদি হয় তাহলে তোমার আর মীরার মধ্যে কে “বুচ”আর কে “ফেমিনি”এটা আমি জানতে চাই। তুমি নিশ্চয়ই এই দুইটা টার্মের মানে কি জানো?
-কিছুটা জানি। আমাদের মধ্যে আসলে এটা এখনও পুরোপুরি নির্দিষ্ট হয়নি। আমাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সর্ম্পক বেশ কয়েকবার হলেও আমরা নিজেরা এটা এখনও ফিক্সড করতে পারিনি।
-কেন?
-আমরা শারীরিক সর্ম্পকের সময় দুইজনই অপরজনকে অনেক বেশী ভালোবাসি। আমাদের মাঝে শারীরিক সর্ম্পকের চেয়ে মানসিক সর্ম্পকটাই বেশী গভীর।
-কেন? সুযোগের অভাব নাকি চাহিদা কম?
-ঠিক বলতে পারবো না। তবে আমরা সবচেয়ে বেশী পছন্দ করি খুব অন্তরঙ্গ হয়ে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতে। দুইজন খুব কাছাকাছি স্পর্শ করে জড়িয়ে ধরে থাকতে।
-এই অন্তরঙ্গ মুহুর্তে তোমরা কি পুরো নগ্ন হয়ে থাকো?
-সবসময় না। তবে নগ্ন হয়ে থাকতেও বেশ ভালোলাগে।
নাবিলা ভালো করে লাবনী’র দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। মেয়েটার মুখের অভিব্যক্তিগুলিতে (ফেস এক্সপ্রেশন) কী ফুটে উঠেছে সেটা বুঝার চেষ্টা করছে ও। খুবই ভালো হতো যদি মীরা’র সাথে এই কথাগুলি কাউন্টার চেক করে নেয়া যেত!
-লাবীবের সাথে শারীরিক সর্ম্পকের ব্যাপারে তোমার অনুভূতি কি রকম? এটা কি স্বেচ্ছায় হয় তোমার সাথে?
-ও খুব আন্তরিকভাবেই আদর করে আমাকে। বিয়ের পর আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ও চাইলে আমি কিভাবে করবো ওর সাথে? ভয়ে বাসর রাত থেকে পর পর চাররাত ওর প্রস্তাবে আমি কিছুতেই রাজি হচ্ছিলাম না। সত্যিকথা বলতে কী, ওর সাথে এতটা কিছুতেই সহজ হতে পারছিলাম না আমি। তাই পরেরদিন লাবীব বাইরে নিয়ে গেল ঘুরে বেড়ানোর জন্য। যেখানে যেতে চাইলাম সেখানেই নিয়ে গেল, সারাদিন ইচ্ছেমতো মজা করে ডেটিং করলাম দুইজন। রাতে খুব দামী একটা রেস্টুরেন্টে ডিনার করার পরে, বাসায় ফিরে রাতের বেলা যখন বিছানায় ও আমার খুব কাছাকাছি হলো, জড়িয়ে ধরল আমাকে, কেন যেন আমি আর ওকে সেদিন না করতে পারলাম না। ওকে আর ঠকাতে ইচ্ছেও করলো না। এত্ত ভালোবাসে আমাকে, কিভাবে এরপর না করি বলুন? সেইরাতে ও আমাকে অনেক অনেক আদর করেছিল। ওকে নিয়ে আমার সব ভয় একরাতেই কেটে গিয়েছিল। এরপর থেকে ও চাইলে আমি আর না করি না। আমিও চাই ও আমাকে আদর করুক।
-লাবনী, মনে হচ্ছে প্রেম ভালোবাসা এইসব টার্ম নিয়ে তোমার ধারণা মোটেও পরিষ্কার নয়। অবশ্য তোমার বয়সটাও খুবই কম এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকার জন্য। নিজের যৌন চাহিদা (সেক্সুয়ালিটি) সম্পর্কে অন্যকারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াটা তোমার মোটেও ঠিক হয় নি।
-কেন এই কথা বলছেন ম্যাডাম?
-দেখ লাবনী, বাইবেলে একটা লাইন আছে; "You can’t be a Christian and be a Gay. The Bible says you must be either hot or cold, but not lukewarm.” তুমি একইসাথে একদম বিপরীতধর্মী দুইটা সর্ম্পক (রিলেশন) বেশীদিন কোনভাবেই চালিয়ে যেতে (কন্টিনিউ করতে পারবে) না।
-আমি জানি, আমার এখনই খুব সমস্যা হচ্ছে দুইটা সর্ম্পক একসাথে মানিয়ে নিতে। (সিডিউল মেইন্টেইন করতে)।
-লাবীব কিংবা মীরা, এদের কেউ কী তোমার এই দ্বৈত-সর্ম্পকের কথা জানে?
-মীরা জানে, ওকে বিয়ের পরই জানিয়েছি। লাবীব জানে না। ওকে বলতেই সাহস পাচ্ছি না। ওকে কিভাবে যে বলব আমি?
-মীরা তোমার বিয়ের কথা জানে? তোমার বিয়ের সময় ও কোন বাধা দেয় নি? আপত্তি তুলে নি?
-লাবীবের পরিবার খুব বনেদি। ছেলে হিসেবেও খুব আকর্ষনীয়। বাসার সবাই আমাকে এই বিয়ের জন্য এতই চাপ দিয়েছিল, ভয়ে আমি মীরা’কে জানাই নি। তাছাড়া কেন যেন ঐ সময়ে ও ঢাকায় ছিল না। জানলে ও অবশ্যই মহা ঝামেলা করতো।
-মীরা জানার পর কী ধরণের প্রতিকৃয়া দেখিয়েছিল?
-অনেক কান্নাকাটি করেছে। আমার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেকবার বুঝানোর পর যখন আমি ওয়াদা করলাম আমি ওর সাথে সর্ম্পক আমি ভেঙ্গে দিবো না, আগের মতোই চলবে তখন কিছুটা শান্ত হয়েছে।
-তোমার বাসায় কেউ কী মীরার সাথে এই সর্ম্পকের কথা জানে?
-না। আমাদের সর্ম্পকগুলি হয় মীরার বাসায়। দিনেরবেলা মীরার বাসা অনেকসময়ই একদম ফাঁকা থাকে।
-মীরা ছাড়া আর অন্যকোন মেয়ের সাথে কী এটা হয়েছে তোমার?
-না। আমার এত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার (অ্যাডভেঞ্চার) করার সাধ নেই। একজনকে নিয়েই যে বিপদে আছি এখন আমি!
-যেহেতু তুমি আর অন্যকোন মেয়ের সাথে এসব করো নি, তাহলে তুমি কিভাবে একশভাগ নিশ্চিত হলে যে তুমি সমকামি?
-আমি মীরা’র জন্য বুকের ভিতর তীব্র আর্কষন অনুভব করি। অথচ আমার দাম্পত্যজীবনে কোন অসুবিধাই নেই। তারপরও কয়েকদিন পর পর মীরা’র সাথে দেখা করতে না পারলে প্রচন্ড অস্থির হয়ে যাই। ওকে জড়িয়ে ধরতে না পারলে, ওর কাছে যেতে না পারলে আমার মন কিছুতেই শান্ত হয় না।
-শুধু এইজন্যই নিজেকে সমকামি বলে দাবী করছ?
-একজন মেয়ে হয়ে কেন আরেকটা মেয়ের প্রতি আমার এত তীব্র আর্কষন থাকবে? এটা মনে হয় আমার শারীরিক সমস্যা। এভাবেই আমাকে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে হবে।
-লাবনী, সমকামিতা ব্যাখ্যা করার জন্য বহুরকম তত্ত্ব এখন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে সমকামিতা কেন হয়, বা তার উৎস কী, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনও সার্বজনীন তত্ত্ব কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। তাহলে তুমি কেন আন্দাজে নিজেকে দায়ী করছ?
-মীরা একজন ডাক্তারের সাথে নাকি কথা বলেছিল। উনি বলেছেন এটা নাকি আমাদের দেহের জ্বিনগত সমস্যা।
-একজন ডাক্তার হিসেবে কিভাবে উনি এই কথা বলেছেন আমি জানি না। তবে আধুনিক মনোবিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ সিগমণ্ড ফ্রয়েডও এটিকে মানসিক রোগ হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলেন। এটা কোনভাবেই জ্বিনগত সমস্যা নয়। যিনি এটা বলেছেন, আমি নিশ্চিত তিনি রোগীর ভুলরোগ নির্ণয় (ডায়াগনোসিস) করেছেন।
-ডাক্তার সাহেব ভুল বলেছেন তাহলে? এটা কিভাবে সম্ভব?
-অবশ্যই! সমকামিতা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকেই তৈরী হয়। সমকামিতা বিশেষ একধরনের আবেগ, কৌতূহল। নিষিদ্ধের প্রতি তীব্র আকর্ষন থেকে হুট করেই এটা সৃষ্টি হয়, তবে এটা স্বল্পস্থায়ী যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে শত শত এইধরনের মানসিক রুগী তার সমকামিতার সমস্যা ত্যাগ করে সুস্থ জীবনের ফিরে গেছে এবং আর কখনই এটাতে ফিরে আসেনি। সত্যই যদি এটা জ্বিনগত বা জেনেটিক সমস্যা হতো তাহলে কোনদিনই এটা সম্ভব হতো না।
-আপনার কথা আমি বুঝতে পারি নি!
-দেখ লাবনী, মানুষের মানসিক সমস্যা বা মনঃবিকৃতি হতেই পারে। তার মানে এই না যে, সেই বিকৃতিকে আমরা হ্যাঁ বলে দিব, তাকে আরও উৎসাহ দিব যেন সে আর বেশী ভুল পথে যেতে পারে। বরং আমাদের কাজ হবে, সেই বিকৃতি থেকে কিভাবে তাকে সুস্থ করা যায় তার পথ খুঁজে বের করা আর যদি পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব নাও হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যেন আবার একই সমস্যা সৃষ্ট না হয়। যেভাবেই হোক সেটার কাউন্টার এবং কারেকটিভ মেজারস নেয়া। আমরা যদি তা না করি, যদি উল্টা একেই সমর্থন দেয়া শুরু করি, স্বীকৃতি দেই, তাহলে তুমিই বল পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে? আজকে যেমন তোমার দাম্পত্য সর্ম্পক প্রচন্ড হুমকির সম্মুখীন, ঠিক তেমনি বাকি সবার বেলাও একই ঘটনাই যেকোন সময়ই ঘটতে পারে।
লাবনী আর কোন কথা না বলে চুপ করে নাবিলা'র দিকে তাকিয়ে রইল। ওর মাথার মধ্যে এখন একই সাথে অনেক কিছু ঘুরছে। নাবিলার কথাগুলি বুঝার চেস্টা করছে ও। ওর এতদিনের জানা তথ্যগুলির মধ্যে যে অস্পষ্টতা আছে সেটা মেনে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে ওর। লাবনীর চেহারাতেই ফুটে উঠল কতটা আভ্যন্তরীণ ঝড়ঝাপটার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ও এখন।
নাবিলা লাবনীর দিকে তাকিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিল। মেয়েটার ভিতরে সুপ্ত মেয়েলীসত্ত্বা কতটুকু জাগ্রত আছে সেটা পরীক্ষা করার সময় চলে এসেছে।
-লাবনী তোমার সাথে লাবীবের বিয়ে হয়েছে প্রায় সাতমাস। তুমি যদি মীরাকেই এতই ভালোবাস তাহলে লাবীবের সাথে কিভাবে এতদিন সংসার করলে? নিশ্চয়ই তোমাদের দাম্পত্য সর্ম্পকের মাঝে বিরাট দুরত্ব তৈরী হয়েছে, ভুল বুঝাবুঝিও বেশী হয়!
-না। তা কেন হবে? ওর সাথে আমার কোন ঝামেলাই নেই। ও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
-তাই! লাবীবকে তুমি ভালোবাস না?
-আমি কি লাবীব’কে কী ভালোবাসি? জানি না। আসলে আমি নিশ্চিত না। তবে ওকে আমি খুব পছন্দ (ফিল) করি।
-লাবীব আর মীরা, এই দুইজনের মধ্যে একজনকে যদি বেছে নিতে হয়, তবে কাকে তুমি বেছে নেবে?
প্রশ্নটা শুনে চমকে উঠল লাবনী। দিশেহারা হয়ে নাবিলার দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে বুঝতে পারছে না। এই ভয়ংকর কঠিন প্রশ্নের যে একদিন ওকে উত্তর দিতে হবে সেটা ও জানতো। কিন্তু এটার উত্তর কী আসলেই ও জানে?
এরপর থেকে পরবর্তি আরও দশমিনিট নাবিলার বাকি প্রশ্নগুলির একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দেয়া শুরু করল লাবনী। লাবনী’র এইধরনের উত্তর দেয়ার ধরন দেখে নাবিলা খুব ভালো করেই বুঝতে পারল লাবনী খুব জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এইক্ষেত্রে লাবনী’র কাউন্সিলিং কিছুটা ধীর গতিতে শুরু করতে হবে যেন লাবনী’র আত্ম-উপলব্ধি (রিয়ালাইজেশন) ওর ভিতর থেকেই সৃষ্টি হয়।
-লাবনী, তোমার চিকিৎসার জন্য লাবীব, মীরা, তোমার নিজের বাসা এবং তোমার শ্বশুরবাড়ির (কন্ট্যাক্ট) ফোন নাম্বার এবং বাসার ঠিকানা (ফুল এ্যাড্রেস) আমার দরকার। এইগুলি দ্রুতই আমার কাছে পাঠিয়ে দেবে। তোমার সাথে লাবীব এবং তোমার সাথে মীরার সাম্প্রতিককালে তোলা (খুব রিছেন্ট) কিছু ছবি দরকার, প্রত্যেক ক্ষেত্রে পাঁচটা করে, মোবাইলে তোলা হলেও চলবে। আমার ইমেইলেই ছবিগুলির সফটকপি পাঠিয়ে দিলেও হবে। এছাড়াও আমার আরও দুইটা জিনিস দরকার। ১) মীরাকে তুমি কেন ভালোবাস, ২) লাবীবের কী কী তোমার ভালো লাগে। প্রত্যেকটা বিষয় আলাদা একটা সাদা কাগজে নিজের হাতে লিখবে। কোন কিছু গোপন কিংবা লুকানো কিংবা মিথ্যা তথ্য দেয়ার চেস্টা করবে না। আমি এই বিষয়ে খুব সিরিয়াস। মনে রাখবে, একমাত্র তুমি নিজেই এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। আমার কাজ হবে অনেকটাই পথ প্রদর্শকের মতো। (তোমাকে গাইড করা)। এক্ষেত্রে তোমার নিজের ইচ্ছা না থাকলে কোন কিছুই সম্ভব না। আমি যা যা চেয়েছি সবকিছু আমার হাতে পাবার পরই তোমার সাথে পরবর্তি সেশনে বসব। তাছাড়া মীরার সাথেও আমাকে কথা বলতে হবে। ও কেন এই সর্ম্পকে জড়িয়ে পরলো সেটাও আমার জানা দরকার।
লাবনী খুব আশাহত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাড়াল। ও তাড়াতাড়ি একটা সুন্দর সমাধান (সলিউশন) চাচ্ছিল, ম্যাডাম কেন যে ইচ্ছে করেই দেরি করাচ্ছে! কিন্তু ওর উপায়ও যে নেই, ওকে এই সমস্যার সমাধান করতেই হবে। এখানে আবার ওকে ফিরে আসতেই হবে!
প্রথম পর্ব এখানেই শেষ
কৃতজ্ঞতাঃ
১. বই – “সমকামিতা বিজ্ঞান এবং ইসলাম”
২. ইন্টারনেটে এই বিষয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যসমূহ
৩. Book – “Hadith Sahih on behaviour of LGBT”
এই ব্যাপারে যারা আরও কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে চানঃ
https://www.focusonthefamily.com/socialissues/citizen-magazine/can-you-love-thy-neighbor-and-defend-marriage/love-thy-neighbor-part-1
https://rosariabutterfield.com/
http://www.oneby1.org/testimony-maria.cfm
https://www.amazon.com/All-Things-New-Lesbians-Lifelong/dp/1935769324
https://www.amazon.com/Free-Indeed-Womans-Victory-Lesbianism/dp/0931593581
না বলা কথা:
আমার আগের গল্পটাতে জনৈক মূর্খ এবং অর্বাচীন ব্লগার প্রশ্ন তুলেছিলেন আমার লেখার যোগ্যতা আর বিষয় নিয়ে। আমার শ্রদ্ধেয় পাঠকরা তাকে খুব ভালো বুঝিয়ে দিয়েছেন আমি কে আর আমি কি ধরনের লেখা লিখি। তারপরও নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেই এই গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। এটার জন্য আমাকে কি পরিমান স্ট্যাডি করতে হয়েছে সেটা শুধু আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তাই জানেন। প্রতিটা গল্পেই আমি আমার সম্মানিত পাঠকদেরকে একটা মেসেজ দিয়ে যাই। আশা করছি এই গল্পের মেসেজটাও সবাই উপলব্ধি করতে পারবেন!
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০১৯
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
আপনি আমাকে শবনমের জন্য ছবি এঁকে দিয়েছেন। শবনমের সেই পর্ব লেখা শেষ। পোস্ট রেডী করে রেখেছি। এটার পরেই দেব। নাবিলার নিজের ছবি নিয়ে কখনো চিন্তা করিনি।
প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: সাহসী লেখা । অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। আরো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে ।ভালো করে পড়ে মন্তব্য করবো ।আসলে ই লেখাটা অন্যমাত্রার ।বর্তমান সময়োপযোগী ।
শুভকামনা ।
ধন্যবাদ।
++++
এরকম সহসী লেখা আরো আসুক
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
নীল আকাশ বলেছেন: ইসিয়াক ভাই,
আমি সব সময়ই সাহসী লেখা লিখি।
যান পড়ে আসুন। গল্পঃ শইল্যের জ্বালা বড় জ্বালা রে! তারপর বুঝবেন আমি কি ধরনের লেখক!!
ভাল করে পড়ুন। খুব হট টপিক নিয়ে লিখেছি।
শুভ কামনা রইল।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: পড়লাম । পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আপনার উপস্থাপনা অনবদ্য।
শুভকামনা রইলো।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: নাবিলার কাহিনী সবসময়ই অন্যরকম হবে। সাইকোলজি বেসড লেখা হয় এখানে। পরের পর্বগুলি আরও মারাত্মক। সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আরে তাই তো--- প্রতিটা মানুষের চা খাওয়ার স্টাইল আলাদা।
লেখা ভালো হয়েছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই, এটা শুধু না, ভালো করে খেয়াল করে দেখুন অনেক কাজেই প্রতিটা ব্যক্তি স্বত্নত্র।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
জাতির বোঝা বলেছেন: সুন্দর।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: আমার গল্পের ভুবনে সুস্বাগতম। পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য অসংংয ধন্যবাদ।
আশা করছি আমার বাকি গল্পগুলির সাথেও পাশে পাবো।
শুভ কামনা রইল।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে। পরের অংশ কবে পাবো?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আমি প্রতিটা গল্প একদম লেখা শেষ করার পর ১ম পর্ব পোস্ট দেই। এই গল্পও লেখা শেষ।
ঠিক একদিন পরপর পরের পর্বগুলি পোস্ট দেয়া হবে।
পাশে থাকার জন্য শুভ কামনা রইল।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
গোধুলী বেলা বলেছেন: পরের অংশের অপেক্ষায় থাকলাম
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমার গল্পের ভুবনে সুস্বাগতম। পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য অসংংয ধন্যবাদ।
আশা করছি আমার বাকি গল্পগুলির সাথেও পাশে পাবো।
আমি প্রতিটা গল্প একদম লেখা শেষ করার পর ১ম পর্ব পোস্ট দেই। এই গল্পও লেখা শেষ।
ঠিক একদিন পরপর পরের পর্বগুলি পোস্ট দেয়া হবে।
পাশে থাকার জন্য শুভ কামনা রইল।
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
প্রথমত সাধুবাদ জানাই এমন একটি সাহসী বিষয়কে চয়েস করার জন্য। আপনি উপস্থাপন করেছেন একেবারে জমাট ভাবে।
মানুষের মানসিক সমস্যা বা মন:বিকৃতি হতেই পারে।আমাদের উচিত তাকে উৎসাহ না দিয়ে বিকৃতি থেকে কিভাবে তাকে সুস্থ করা যায় তার পথ খুঁজে বের করা।হয়তো সহজে হবে না, যথেষ্ট সময় ও ধৈর্য দিয়ে সেটার কাউন্টার ও কারেক্টিভ মেজারস নেওয়া সমীচীন।
বেশ কিছু স্থানে টাইপো আছে। ++
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: দেরি করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। বেশ সময় নিয়ে এই গল্পটা লেখা হয়েছে। টপিক ইচ্ছে করেই এটা নেয়া হয়েছে। বেশ কিছু এই বিষয়ের নিউজ পেলাম পেপারে। কার না কার এর বিরুদ্ধে লিখতেই হবে। আমি সব সময়ই বিদ্রোহী লেখক।
টাইপো নিয়ে সমস্যা নেই, আর্কিওপটেরিক্স ভাই এসে সব ভুল একবারে ধরিয়ে দেবেন। তারপর ঠিক করে দেব।
লেখা কেমন হয়েছে?
নাবিলা চরিত্র কেমন লাগছে?
বাকি পর্বগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ে জানাবেন কেমন লিখলাম!
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
ল বলেছেন: ওয়েলকাম বস.............................
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রভাত লতিফ ভাই,
স্বাগত বানীর জন্য ধন্যবাদ।
এই গল্প লিখতে আমাকে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে।
টপিক এবং লেখা কেমন হয়েছে জানাবেন!
ধন্যবাদ।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি আপনার মত লিখে চলুন। সুন্দর হয়েছে লেখাটি +++
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: রাকিব ভাই,
দারুন বলেছেন। আমি ঠিক সেটাই করি। এই গল্পের সাথে থাকুন। পরের পর্ব গুলি আরও ভাল হবে। লেসবিয়ানিশম নিয়ে সাইকোলজিক্যাল আসপেক্টে আলোচনা করা হবে। পড়ে অবশ্যই মজা পাবেন।
কারবালা নিয়ে একটা লেখা দিয়েছেন দেখলাম। আমি নিজে আগে কারবালা নিয়ে সেটা পড়ছি। কারন নিজে না জানলে কোন কিছুতে মন্তব্য করা যায় না। আমি এখানে পরে আসছি।
ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর বিষয়। এগুলো নিয়ে খুব সুন্দর ও সুগঠিত কোন গল্প নেই বাংলায়।
সমাজে এ ধরণের নারী পুরুষ প্রচুর রয়েছে।
চলুক। চলতে থাকুক।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ভাই। এই বিষয়ে ভাল কোন বাংলা লেখাও আপনি পাবেন না। আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে সার্পটিং ডকুমেন্টস যোগার করতে। দিন দিন এই দেশেও এই জঘন্য বিষয়টা বেড়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী কঠিন গল্প রে বাবা
খুবই সুন্দর হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: বিষয়টা খুব নোংরা কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের মাঝেই এটা নিয়ে ভুল ধরনা আছে।
আমার এই বিষয়ে লেখার মূল কারনই হলো প্রচলিত ভুল ধারনাগুলি ভেঙ্গে দেয়া।
এই গল্পের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ রইল।
১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যা ভাইয়া মানুষের মনের ভুল ধারণাগুলো ভেঙ্গে যাক
সাথেই আছি
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: ২য় পর্ব থেকেই এই ভুলগুলি ভেঙ্গে দেয়া শুরু করব। কতো মিথ্যাচার এরা করে বেড়ায় শুনলে মাথায় হাত দিবেন।
আবার ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ আপু।
১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই,
অসাধারন একটা মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই ট্যাবু বিষয় এটা, ব্লগে এই বিষয়ে কোন লেখা আসে না। আমি বরাবরই অড
টপিক নিয়ে লিখি। হঠাত করেই দেশে বেশ কিছু এই বিষয়ে ঘটনা ঘটেছে। অনেক জানে না
এইগুলি হচ্ছে মিথ্যাচার আর শয়তানের ধোকা। সবার জানার জন্যই এত কঠিন বিষয় নিয়ে
লিখছি। আশা করব এর ৩টা পর্বেই আপনাকে পাশে পাব।
আপনি কি মন্তব্য করলেন আর নীচে দেখুন আরেকজন সিনিয়রব্লগার কি লিখেছে!
সব বিষয়ে সবার জ্ঞান কম থাকতেই পারে, যেই বিষয়ে জানে না সেটাতে চুপ থাকলে হয় না?
ধন্যবাদ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই ২য় পর্ব পোস্ট করেছি।
১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি পোষ্টের শেষে, "না বলা কথা"য় লিখেছেন, "এটার জন্য আমাকে কি পরিমাণ 'ষ্টাডি' করতে হয়েছে সেটা শধু আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তা জানেন"
-এটা কোন গল্প হয়নি, ইহাতে পাঠক টানার জন্য ব্যতিক্রম যৌনতা যোগ করা হয়েছে; যাক, সৃষ্টিকর্তা চেয়েছিলেন, আপনি লিখেছেন; তবে, সার্চ ইন্জিনে এসব ধরা পড়ে সামুর বিপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কাজ করার জন্য ভালো মসলা ঢেলেছেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মাথায় যে এই লেখাটা ঢুকবে না সেটা আমি জানতাম। যেটা আপনি গল্প হয়নি বলেছেন সেটাতেই সম্মানিত মডারেটর লাইক দিয়ে ব্লগের গল্প সংকোলনে রেখে দিয়েছেন।
প্রতিনিয়ত নির্বোধের মতো আর কতদিন নিজেকে হাস্যকর প্রানীতে প্রমান করার আপ্রান চেস্টা করে যাবেন?
১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সামুর পোষ্টে যৌনতা ইত্যাদি আনার সময় এখন নয়; যারা সামুর নামে অভিযোগ এনে, ইহার ক্ষতি সাধন করেছে, তাদের সাহায্য করছে এই ধরণের ভুল লেখাগুলো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: ১৫ নাম্বার এ প্রতি মন্তব্য পড়ে আসুন। আপনার সাথে কথা বলা মানে হলো সময় নষ্ট।
১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
আরোগ্য বলেছেন: বোনাই,
আশা করি ভালো আছেন। আপনার লেখার নতুন করে প্রশংসা করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, আমরা অনেকেই আপনার গল্পের ভক্ত। সাহসী গল্প লেখায় আপনি পারদর্শী, এ গল্পের বেলায় ব্যতিক্রম ঘটে নি । তবে বিনম্রতার সাথে একটা কথা বলতে চাই, আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না। বোনাই আপনি যেহেতু ইসলামের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল তাই চাইবো লেখার ব্যাপারে আরেকটু যত্নশীল হবেন। যেমন শইল্যের জ্বালা বড় জ্বালা, তারপর আজকের পোস্টের মিরা ও লাবনীর সম্পর্কের এতোটা স্পষ্ট বর্ণনা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আমি আয়াতের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারতাম কিন্তু আপনি যথেষ্ট সমঝদার।
এই পোস্টের বিষয় নিয়ে বলবো, মানুষ সর্বদাই নিষিদ্ধ কাজের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে, মীরা ও লাবনীর ক্ষেত্রেও তা ই হয়েছে কিন্তু মানুষের সংযত থাকার ক্ষমতা আছে যা মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা রাখে। কিন্তু অতি আক্ষেপের সাথে বলতে হচ্ছে মানুষ তার পাশবিক ইচ্ছাগুলো পূরণ করার জন্য হরমোনের দোষ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চুরি ডাকাতিও হরমোনাল সমস্যা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
এটা ১ম পর্ব। অল্প একটু পড়েই আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। যে বর্ননা টা দেয়া হয়েছে সেটা আমি অনেক ভেবে চিনতে লিখেছি। শালীনতার সর্ব সময় মেনে চলার চেস্টা করেছি। ২য় এবং ৩য় পর্ব পড়ার সময় আমি নিশ্চিত আপনার এই ভুল ভেঙ্গে যাবে। আমি রগরগে দৃশ্য ইচ্ছে করলেই দিতে পারতাম। কিন্তু সেটা এভয়েড করেছি। কারন এই বর্ননার মাঝে বিভিন্ন ফাক ফোকর আছে যেটা পরের পর্বগুলি পড়ার সময় বুঝতে পারবেন।
আমি ধর্মীয় দিকে অনেকটাই ঝুকে থাকি আর তাই ইসলাম ধর্মের সাথে সাঙ্গঘর্ষিক এই জঘন্য সর্ম্পক নিয়ে সবাইকে আসল সত্য টাই জানাতে চাইছি।
পরের পর্ব তে ইনসাল্লাহ কালকেই আপনার সাথে ঠিক এই বিষয় নিয়েই কথা হবে। ৩টা পর্ব হবে। কালকে ২য়টা দেব। পুরো গল্পটা পড়ার পর আপনি নিজেই আজকের এই মন্তব্য নিয়ে লজ্জা পাবেন।
শুভ রাত্রী।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্টের বিষয় নিয়ে বলবো, মানুষ সর্বদাই নিষিদ্ধ কাজের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে, মীরা ও লাবনীর ক্ষেত্রেও তা ই হয়েছে কিন্তু মানুষের সংযত থাকার ক্ষমতা আছে যা মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা রাখে। কিন্তু অতি আক্ষেপের সাথে বলতে হচ্ছে মানুষ তার পাশবিক ইচ্ছাগুলো পূরণ করার জন্য হরমোনের দোষ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চুরি ডাকাতিও হরমোনাল সমস্যা।
ভাই শুধু কালকের পোস্টটা পড়ে দেখুন। আপনার সব কথাই এখানে ফুটে উঠেছে।
১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার গুণী এক পাঠকও আপনার গল্পের রসালো কাঠাল দেখেছেন, মনে হচ্ছে! সামুর এসময় এসব কম করেন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: উনি আমাকে সমালোচনা করে মন্তব্য দিয়েছেন। আমি সবসময় সমালোচকদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। কারন তারাই একটা লেখার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেয়। উনি একটা বিষয় তুলে এনেছেন এবং আমি সেটার উত্তর দিয়েছি।
কিন্তু আপনি কি করেছেন ভেবে দেখুন?
আপনার যে জ্ঞান কত নীচু স্তরের সেটা প্রতিনিয়ত আমার ব্লগে এসে প্রমান করে যান।
আপনাকে আমি আগেও বলেছি আমার লেখা আপনার পড়ার কোন দরকার নেই। কারন আমার লেখা পড়ার জন্য যেই জ্ঞান দরকার সেটা আপনার ম্যাওপ্যাও সমৃদ্ধ ডোডো মাথায় নেই। গল্পের নীচে যেই লিংক গুলি দিয়েছি সেইগুলি পড়ে দেখেছেন? নাকি সেগুলি পড়তে যেয়ে বৃদ্ধ বয়সের বাকি দাত গুলিও ভেঙ্গে গেছে।
১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: মুরুব্বি আপনার সমস্যা কি? কথায় আছে ভাষাই বংশের পরিচয়। মতামত তুলে ধরার একটা সৌন্দর্য আছে, হোক পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমি ইচ্ছে করলেই এর মানসিক সমস্যাটা কি বলে দিতে পারি। কি কারনে হয়েছে এবং কেন উনি প্রতিনিয়ত একই কাজ করে যান তার খুব ভাল সাইকোলজির ব্যাখ্যা আছে। উনার এইসব আচরনের একটা প্যাটার্ন আছে যেটা হুবুহ সিমটমের সাথে মিলে যায়।
কিন্তু জাদিদ ভাই আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে এটাক করে মন্তব্য দিতে বারন করেছেন। শ্রদ্ধেয় মডারেটর এর কথা আমি মেনে চলব দেখেই সেটা দিচ্ছিনা। এরা ব্যক্তিগত জীবনে খুব নিঃসঙ্গ হয়। এদের কে এড়িয়ে যাওয়াই সব চেয়ে ভাল। কথাটা মনে রাখবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহা গল্প নয়, এখানে কিছু নেই; যা আছে উহা ব্যতিক্রমী যৌনতাকে প্যাকেজিং করার প্রচেষ্টা, সমালোচনার মত কিছু হয়নি; আপনি অনেক ষ্টাডি করেছেন; ফলাফল, কিছু নেই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ১৫ নাম্বার এ প্রতি মন্তব্য পড়ে আসুন। আপনার সাথে কথা বলা মানে হলো সময় নষ্ট।
২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩১
আরোগ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
এটা ১ম পর্ব। অল্প একটু পড়েই আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
বোনাই আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। নিঃসন্দেহে গল্পের থিম ও উদ্দেশ্য ভালো। আমি শুধু ঐ দৃশ্যটার ব্যাপারে আপত্তি করেছি যেখানে মীরা ও লাবনীর শারীরিক সম্পর্কের ঘটমান বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
পরের সব পর্বই পড়বো ইনশাআল্লাহ।
মুরুব্বির আগমনে আপনার মন্তব্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গুড
আমরাও একটু বিনোদন পাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: মুরুব্বির আগমনে আপনার মন্তব্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গুড
এটার ডোডো মাথায় যে এটা ঢুকবে না সেটা আমি আগেই জানতাম।
আজকে ২য় পর্ব দিয়েছি। পড়ে দেখুন।
২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
@আরোগ্য ,
এই লেখক সাহেব ব্লগার করুনাধারার মাতৃবিয়োগ উপলক্ষে দেয়া পোষ্টে ৩/৪ পৃষ্ঠার এক কমেন্ট করেছেন; উহাতে কোরান, হাদিস কিছুই বাদ পড়েনি; আবার, নিজের গল্পের নিউক্লিয়াস তৈরি করছে বিরুপ যৌনতা দিয়ে; হিসেবে খুব একটা মিলছে না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: কারন হলো আপনার মতো ডোডো পাখির ব্রেন নিয়ে আমি চলাফেরা করি না। আমি যখন কোন কিছু নিয়ে কথা বলি বা লিখি সেটা সর্ম্পকে আপনার মতো নির্বোধের ভাষায় লিখি না।
আমার সর্ম্পকে আপনার জানার এখনও অনেক কিছুই বাদ আছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেগুলি আপনার ডোডো পাখির ব্রেনে ঢু্কবে না।
২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
মা.হাসান বলেছেন: জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে তথ্য বহুল ভালো লেখা লিখেছেন। কিছুদিন ইন্টারনেট থেকে দূরে ছিলাম। ফিরে আপনার লেখা পেয়ে পড়লাম। ভালো লাগলো।
২য় প্যারায় পেশেন্ট কেস হিস্ট্রিতে '' * অন্যান্য- এক ভাই এক বোন। বাবা মারা গেছেন। মা গৃহিনী। বিয়ে হয়েছে এক বছর।'' বাক্যটা কনফিউজিং। মায়ের পূনর্বিবাহ হয়েছে মিন করেছেন কি? যদি লাবনীর বৈবাহিক অবস্থা বোঝানোর জন্য লিখে থাকেন তবে ২য় প্যারার ৩য় লাইনে দিলেই বেশি মানানসই হবে।
কুকুরের বাকা লেজ সোজা করার উপায় সম্পর্কে ব্লগে আমার লিখার ইচ্ছা আছে। আপনার কাছে কোন তথ্য থাকলে সাহায্য করার অনুরোধ থাকলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই, আমার প্রিয় সমালোচক এবং গুণী পাঠক। আপনার জন্যই আমি অপেক্ষা করছিলাম।
বেশ দুর্বোধ্য একটা বিষয় নিয়ে লিখেছি এবার। ইন্টারনেট মুটামুটি চষে ফেলেছি এটা লেখার আগে।
বেশিরভাগ লোকজনই এটা নিয়ে তেমন কিছু জানে না। হালকা যা শুনে সেটা মিথ্যাচার।
lgbT সাইটে আপনি এত এত ভয়াবহ মিথ্যা কথা শুনতে পাবেন যে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। খ্রিস্টান
ধর্মীয় সাইটগুলিও এদের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করছে। হঠাৎ করেই মনে হলো এই বিষয় নিয়ে কারও না কারও
লেখা উচিৎ। লেখাটা বড় হয়েছে কিন্তু অনেক তথ্য দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কারও সাথে তর্ক করার জন্য ভালো
সার্পোটিং ডকুমেন্টস হিসেবে লিখেছি। প্রবন্ধই লিখতে চেয়েছিলাম, পরে গল্প লিখতে ইচ্ছে করল।
লাবনীর বিয়ের লাইন আপনার কথা মতো একই লাইনে দিয়ে দিয়েছি। এবার আর কনফিউজিং হবে না।
আমি পাঠকদের বিরক্ত করা পছন্দ করি না। পুরো না লিখে পর্ব পোস্ট করি না। এবারের ছবিগুলি কেমন লেগেছে জানাবেন।
ভাড়টা থাক, মাঝে মাঝে এর কান্ডকারখানা দেখতে ভালই লাগে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সাহসী প্রয়াস, এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখার সাহস ও যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
প্রথমেই পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
খুবই ট্যাবু বিষয় এটা, ব্লগে এই বিষয়ে কোন লেখা আসে না। আমি বরাবরই অড
টপিক নিয়ে লিখি। হঠাত করেই দেশে বেশ কিছু এই বিষয়ে ঘটনা ঘটেছে। অনেক জানে না
এইগুলি হচ্ছে মিথ্যাচার আর শয়তানের ধোকা। সবার জানার জন্যই এত কঠিন বিষয় নিয়ে
লিখছি। আশা করব এর ৩টা পর্বেই আপনাকে পাশে পাব।
২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বরাবরই আপনি অনেক ভাল লিখেন। এবারতো দেখছি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখার সাহস করেছেন। পর্বটি পাঠে যা পরিষ্কার হল কিছু ভুল-ভ্রান্তির জবার পাওয়া যাবে এবারের বিষয়টিতে। সাথেই আছি। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ রাত্রী সুজন ভাই,
এটা লেখার জন্য আমাকে যথেষ্টই সাহস করতে হয়েছে। পুরো বিষয়টা নিয়ে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। নিজের অপকর্ম হরোমন জ্বিন এই সবের নামে দোষ চাপিতে দিতে চায়। অথচ এরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট।
অবশ্যি অনেক নতুন কিছু জানবেন। আরও জানতে চাইলে লেখার দেয়া লিংকগুলিতে ঢু মেরে আসতে পারেন।
পরের পর্ব ইতিমধ্যেই পোস্ট দিয়েছি।
ইনসাল্লাহ সেখানেই দেখা হবে আবার।
২৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
লেখার বিন্যাস দেখে মনে হচ্ছে, যে বিষয়ের অবতারনা করেছেন তা বিশদ ব্যাখ্যায় উন্মোচিত ও বিশ্লেষিত হবে। একটি ভালো মেসেজ হতে চলেছে মনে হয় গল্পটি।
মানুষের মন বড্ড বিচিত্র। মনের ভেতরে হাযারো রকমের চিন্তা-ভাবনা থাকে সুপ্ত। সুস্থ্যতার মাঝেও ঘাপটি মরে থাকে কিছু অসুস্থ্যতা। তাই কোনও একটি ঘটনা দেখেই কারো মানসিক গড়ন সম্পর্কে সাধারণ কারো পক্ষে সর্বশেষ রায়টি দেয়া সম্ভব নয়। মনোবিজ্ঞানী বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরাই পারেন মনের অসুখগুলো অনেকটাই চিনে উঠতে, সবটা নয়।
লাবনীর অসুস্থ্যতার কারনটির নাগাল নাবিলাও হয়তো পাবেন কিন্তু সন্দেহ হয় নাবিলা নিজেও সুস্থ্য কিনা, নিজের ভেতরেও কিছু অসুস্থ্যতা লালন করেন কিনা।
লেখা ভালো হচ্ছে। সাথে থাকছি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জীএস ভাই,
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরি করে প্রতি মন্তব্য করার জন্য। পরের পোস্টগুলি দেবার জন্য এবং সেখানে কিছু তথ্য দেবার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। আশ করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ব্যাপারটা।
আপনার সুচিন্তিত মতামতের সাথে আমি একমত। মানসিক সুস্থতা আছে কি না সেটা একজন মনোবিদরাই ভালো বলতে পারেন। আর তাই সমকামিতাকে বহু বছর ধরেই সাইকোলজিতে মানসিক সমস্যা হিসেবেই চিকিতসা দেয়া হতো।
নাবিলা এই সমস্যাটাকে কিভাবে সমাধান করেছে সেটা পরের পর্বে গুলিতে দেয়া হয়েছে। পড়ার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম।
গল্পটা পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন বাই।
শুভ কামনা রইল।
২৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমাদের বর্তমান যে 'ব্লগার ব্যাচ' চলছে তাদের অধিকাংশের মানসিকতা বুঝার জন্য আপনার এই লেখাটি একটা ইন্টারেস্টিং প্লট হতে পারে। অন্য সময় হলে বলতাম, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না - এটাকে অনেকেই সাহসী প্লট কেন বলছেন? এটার প্রধান কারন, সামহোয়্যারইন ব্লগে ইতিপূর্বে প্রকাশিত গল্প সমুহের মানদন্ড নিয়ে সঠিক ধারনা না থাকা।
আপনার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে গল্প লেখা নিয়ে আপনার খুবই ইতিবাচক আগ্রহ। আমি এই আগ্রহকে খুবই সম্মান করি। আমার পর্যবেক্ষন অনুযায়ী, আপনার লেখার মান বা লেখার ধরন আগের চাইতে বেশ ভালো হয়েছে। তবে লেখক হিসেবে আমি মনে করি, আপনি এখনও শতভাগ নিজেকে নিজস্ব গন্ডির বাইরে মুক্ত করতে পারেন নি।
যেমন দেখুন, আপনি এই গল্প যে বিষয় নিয়ে লিখছেন, সেটার যে সকল রেফারেন্স দিয়েছেন সেই সব রেফারেন্স সবই এই সামগ্রিক ঘটনার বিপক্ষে। তবে ইন্টারনেটে এটার স্বপক্ষেও অনেক রেফারেন্স পাওয়া যায়। যদি ভিন্ন মতের কোন রেফারেন্স থাকতো, তাহলে ব্যাপারটা পাঠক হিসেবে আমার কাছে আরো বেশি গ্রহনযোগ্য হতো।
আর গল্পের মধ্যে রেফারেন্স দেয়ার প্রয়োজন খুবই সীমিত।
শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রেফারেন্স নিয়ে যা বলেছি, সেটাকে আরো কিছুটা পরিষ্কার করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রকৃতিবিরুদ্ধ কিছু পছন্দ করি না। তাই এলজিবিটি সম্পর্কে আমার ধারনা নেতিবাচক এবং এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতবাদ।
আমি যখন এলজিবিটি সম্পর্কে পড়াশোনা করব, তখন আমাকে সব জানতে হবে। আর জানতে হলে তাদের মনোভাব, তাদের স্বপক্ষে লিখিত যুক্তি, অভিমত ইত্যাদি যাচাই করতে হবে। স্বপক্ষ বিপক্ষ দুটোরই যুক্তি প্রয়োজন হয়। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনি বেশ রেফারেন্স যুক্ত করেছেন, এই ব্যাপারে পড়াশোনা করেছেন। আপনি যা জেনেছেন সেটা গল্প আকারে না হয়ে ফিচার হিসেবে আসলে আমি আরো বেশি খুশি হইতাম।
শুভেচ্ছা রইল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
আমি এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই লেখাপড়া এবং ঘাটাঘাটি করেছি এই গল্প্টা লেখার জন্য।
আপনি যা জেনেছেন সেটা গল্প আকারে না হয়ে ফিচার হিসেবে আসলে আমি আরো বেশি খুশি হইতাম। - ম্যাটেরিয়াল গুলি আবার সর্ট করে গুছিয়ে আনতে হবে। প্রবন্ধ আমিও লিখতে পছন্দ করি। আপনি দারুন একটা বুদ্ধি দিয়েছেন।
ইনসাল্লাহ আমি একই বিষয় নিয়ে আবার ব্লগে ফিরে আসব, তবে ভিন্ন ফরম্যাটে। তবে আমি লেখার ব্যাপারে খুতখুত করি। আমার সময় লাগবে। প্রতিদিন একটা করে পোস্ট দেবার মতো ব্লগার আমি নই।
আপনার ২৮ নাম্বার মন্তব্যের জন্য আমি ডকুমেন্টস আরও খুঁজছি। পাবার পরই সেটার প্রতি উত্তর দেব।
ধন্যবাদ এবং আমি সত্যই খুব খুশি হয়েছে আপনাকে পাশে পেয়ে।
শুভ কামনা রইল।
২৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জটিল বিষয় নিয়ে গল্প। পড়েছি।
এই বিষয় সম্পর্কে আমার জানাশোনা খুব সামান্য, তাই কিছু বলছি না।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: মিতা ভাই,
সবাইকে জানানোর জন্যই তো এত কষ্ট করেছি।
পুরোটা পড়ার পর অনেককিছু ক্লীয়ার হবে আপনার কাছে।
ধন্যবাদ।
৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
করুণাধারা বলেছেন: একটি বাস্তব সমস্যা, কিন্তু আমরা না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই। আপনি এড়িয়ে না গিয়ে সমস্যাটার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ করেছেন গল্পের মাধ্যমে। আমি তিন পর্ব আগেই পড়েছি, কিন্তু ভিপিএন এর সমস্যার জন্য মন্তব্য করতে পারছিলাম না। একে একে মন্তব্য করবো বাকি পর্বগুলোতে ইনশাআল্লাহ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এমন ট্যাবু বিষয়ে লিখেছেন বলে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
নাবিলা সিরিজে আমি ঠিক এই ধরনের বাস্তব সমস্যাগুলি তুলে নিয়ে আসি।
সবাই যেখানে পিছিয়ে যায় আমি ঠিক সে বিষয় নিয়েই লিখি। সবাই ভয় পেলে তো হবে না। কাউ কে না কাউকে তো লিখতেই হবে। তবে এবার বেশ দুর্বোধ্য একটা বিষয় নিয়ে লিখেছি। ইন্টারনেট মোটামুটি চষে ফেলেছি এটা লেখার আগে। বেশিরভাগ লোকজনই এটা নিয়ে তেমন কিছু জানে না। হালকা যা শুনে সেটা বেশিরভাগই মিথ্যাচার।
LGBT সাইটগুলিতে আপনি এত এত ভয়াবহ মিথ্যা কথা শুনতে পাবেন যে নিজেই কনফিউজড হয়ে যাবেন। খ্রিস্টান ধর্মীয় সাইটগুলিও এদের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করছে। হঠাৎ করেই মনে হলো এই বিষয় নিয়ে কারও না কারও লেখা উচিৎ। লেখাটা যদিও বড় হয়েছে কিন্তু অনেক তথ্য দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কারও সাথে তর্ক করার জন্য ভালো সার্পোটিং ডকুমেন্টস হিসেবে লিখেছি। প্রবন্ধই লিখতে চেয়েছিলাম, পরে গল্প লিখতে ইচ্ছে করল।
অবশ্যই আমি আপনার সুচিন্তিত মতামত জানতে চাই পর্ব হিসেবে।
ভাল থাকুন আপু, সব সময়।
৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। চমৎকার লাগলো।
পরের পর্বগুলো পড়ে ফেলবো......যতো দ্রুত সম্ভব!!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
প্রচুর কষ্ট করে প্রতিটা পর্ব লিখেছি।
এর আগে এই বিষয়ে এই ব্লগে কেউ লিখতে সাহসও পায়নি।
পরের পর্বগুলি পড়ে দেখুন!
ধন্যবাদ।
৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনি মন্তব্য করেছিলেন আপনার বানান ভুল হয় কিনা । সে থেকেই সাহস পেলাম আরও নির্ভয়ে মন্তব্য করতে । বানান ভুল উল্লেখ করাটা কমিয়ে দিয়েছিলাম । আপনি যেহেতু ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন বানান নিয়ে তাই যে গুলো নিজের চোখে পড়বে সেগুলো উল্লেখ করবো ।
কারন<কারণ । এসেছে< এসেছ ( বাক্য অনুসারে এসেছ হবার কথা ) ,ব্যাথা.ব্যথা,অনুভুতি<অনুভূতি,দেরী<দেরি...
গল্পের প্লটের বৈজ্ঞানিক সত্যতা আছে । দেখ যাক কি হয় । স্ডাডি করে লিখেছেন ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: রাকু ভাই,
প্রত্যেকটা ভুল ঠিক করে দিয়েছি। খুঁজে বের করার জন্য দেরি হয়ে গেল। সঠিক বানানগুলি মনে রাখব।
কারণ বানান সবাই তো ভুল করে দেখি!
পরের পর্বগুলি পড়বেন প্লীজ। খুব দারুন বিষয় নিয়ে লিখেছি।
সমালোচনা করে একটা মতামত জানতে চাইছি আপনার কাছে পুরো এই লেখাটা নিয়ে।
ধন্যবাদ।
৩৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২
নিভৃতা বলেছেন: পড়লাম। খুবই সাহসী পদক্ষেপ। অসাধারণ বিশ্লেষণ। এই ধরণের মনোবিকারগ্রস্থ মানুষ আমাদের দেশেও বেড়ে চলেছে। আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। আমরা দেখেও না দেখার ভান করে চুপ করে থাকি। শীঘ্রই এর প্রতিকার প্রয়োজন।
দারুণভাবে ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করুণ। সমাজের অবক্ষয় দূর হোক।
টাইপো- রিছেন্ট- রিসেন্ট।
ভালো থাকবেন। পরবর্তী পর্ব পরে পড়বো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় নিভৃতা,
আপনার কথামতো সকাল বেলা থেকেই ইংরেজি বানানগুলি নিয়ে বসেছিলাম। প্রায় সব ইংরেজি শব্দ প্রতিস্থাপণ করেছি এই লেখার থীমের সাথে মিলিয়ে। কঠিন কাজ, আজকে ১মটা করলাম।
হাতে সময় থাকলে একবার চোখ বুলিয়ে যাবেন। দেখবেন আর কোন ইংরেজি শব্দ চোখে দৃষ্টিকটু লাগছে নাকি?
নিরন্তর শুভ কামনা আপনার জন্য।
৩৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২২
নিভৃতা বলেছেন: এখন সত্যি দৃষ্টিনন্দন লাগছে। ইংরেজি শব্দগুলো একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আপনি দারুণ ধৈর্য্যশীল মানুষ। আল্লাাহ ধৈর্য্যশীলদের পাশে থাকেন।
আপনার কষ্ট আরেকটু বাড়াই
আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বা আত্মপরিচয় সংকট কথাটা লাবনীর মুখে মানাচ্ছে না। এটা মানাবে নাবিলার মুখে। লাবনী ওর সমস্যা নিয়ে এসেছে নাবিলার কাছে। ও নিজেও বুঝতে পারছে না আসলে ওর সাথে কী ঘটছে। ওর সমস্যাটা ধরে তার নামকরণ করবে নাবিলা।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই কষ্ট করে আবার পড়ার জন্য।
আমি প্রায় সব ইংরেজি শব্দ প্রতিস্থাপন করার পরও আমার কাছে মনে হয়েছে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এর বাংলায় উপযুক্ত শব্দ নেই।
'আইডেন্টিটি ক্রাইসিস' শব্দটা প্রায় প্রতিটা LGBT'রাই জানে। কারণ ইন্টারনেটের সব জায়গায় এই বিষয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই এই টপিক নিয়েই লেখা হয়। এটাই এদের মূল সমস্যা। আমি ইচ্ছে করেই লাবনী'র মুখেই এই শব্দটা নিয়ে এনেছে। কারন-
১ - সমস্যাটা ওর। লাবনী ইন্টারনেটে ওর সমস্যা জানার জন্য ঘাটাঘাটি করেছে। বুচ, ফেমিনি মানে জানে আর এটা জানবে না?
২ - এরা যেই ধরণের জীবনযাপণ করে সেটা নিয়ে এরা প্রকাশ না করলেও প্রায়শই কুন্ঠিত থাকে। নিজে যে আর সবার মতো নয় সেটা খুব ভালো করে জানে। সবাই প্রথমে নিজেই সমস্যাটা কী খুঁঁজে বের করার চেষ্টা করে।
পুরো গল্পটাই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস'কে ঘিরে আবর্তিত। এরা তখনই অন্য কারও যায় যখন এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস খুব বেশি ভয়াবহ অবস্থায় দাড়ায় এবং এরা আর নিজে নিজে সমাধান করতে পারে না।
এরপর বাকি ২টা পর্বেরও বাংলা শব্দ প্রতিস্থাপন করে ফেলবো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
৩৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
নিভৃতা বলেছেন: সব ইংরেজি শব্দই যে প্রতিস্থাপন করতে তা কিন্তু না। বরং কিছু কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা উদ্ভট লাগবে। বিশেষ করে কথোপকথনে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে ইংরেজি শব্দের আধিক্য যাতে না হয়। যেখানে সুন্দর বাংলা শব্দ প্রয়োগ করা যাবে সেখানে ইংরেজি শব্দ আমরা ব্যবহার করবো না।
শুভেচ্ছা রইল।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় নিভৃতা,
খুব সুন্দর কথা বলেছেন। আমি এইজন্যই বাংলা ইংরেজি ২টাই রেখে দিয়েছে। কোনটাই কেটে বাদ দেই নি। পরে যদি কখনও মলাটের ভূত চাপে মাথায় তখন দেখা যাবে কোনটা বেশি ভালো লাগছে।
"শুধু খেয়াল রাখতে হবে ইংরেজি শব্দের আধিক্য যাতে না হয়। যেখানে সুন্দর বাংলা শব্দ প্রয়োগ করা যাবে সেখানে ইংরেজি শব্দ আমরা ব্যবহার করবো না"। - হুম, ভালো ঝামেলায় ফেললেন। কেন বলেছি কিছুদিন পরেই বুঝবেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
শায়মা বলেছেন: নাবিলার ছবি কই ভাইয়া??
আই মিন চিত্রাংকন!!!