নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয় (শেষ পর্ব)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮

ধারাবাহিকতার জন্য আগের পর্বগুলি পড়ে আসুন,
গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয় (প্রথম পর্ব)
গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয় (দ্বিতীয় পর্ব)



ছয়

নাবিলা আজকে ঠিক করেছে লাবনীর সাথে ওর সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে আর সেজন্য লাবীবকেও লাবনীর সাথে একই সেশনে বসিয়েছে। লাবনীর মনে অনুশোচনাবোধ ফিরিয়ে আনা দরকার। ধর্মীয় অনুশাষন এইসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করে!
-লাবনী সহী হাদিসে বর্ণিত আছে, “একটা মেয়ে আরেকটা মেয়ের উপর উপগত হলে কিংবা একটা ছেলে আরেকটা ছেলের উপর উপগত হলে সেটা অবশ্যই ব্যাভিচার হিসাবে গন্য করা হবে”। (আল তাবারানি ৪১৫৭) এবং “যারা এই ধরনের জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হবে তাদের দুইজনকেই এই পাপের শাস্তিস্বরূপ হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে”। (মুসনাদ বিন হানবাল ১০৪৬০) তুমি কি অনুধাবন করতে পারছ কত বড় জঘন্য পাপের মধ্যে তুমি ডুবে আছ?

গভীর লজ্জায় লাবনী মাথা একদম নীচু করে রইল। নাবিলা আবার বলা শুরু করলঃ
-লাবনী তোমার সমস্যার একটা গ্রহনযোগ্য কারন বের করা গেছে মীরার সাথে কথা বলার পর। এটা আমি প্রথমেই ধারনা করেছিলাম।
-সেটা কি ম্যাডাম?
-লাবনী তুমি সমকামি নও এবং তোমার যা হয়েছিল সেটাকে আমরা বলি যৌন বিচ্যুতি, এটা অনেক সময় পরিস্থিতির কারনেও ঘটতে পারে। প্রথমবার মীরার সাথে যেটা হয়েছিল সেখানে তোমার জায়গায় যে মেয়েই থাকত তার একই ঘটনা ঘটত। আর পরবর্তি যতবার এই ঘটনা ঘটিয়েছ সেটা আগের ঘটনা জাস্টিফাই করার জন্য করেছ। মীরা সর্ম্পুণ ঠান্ডা মাথায় এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে তোমাকে এই ধরনের সর্ম্পকে জড়িয়ে নিয়েছে। কারন ওর আগের মেয়ে পার্টনার ওকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। সম্ভবত মীরা ওর আগের মেয়ে পার্টনারের কথা তোমার কাছে সর্ম্পুন গোপন রেখেছে। পর্ণ দেখা, তাও আবার শুধুই মেয়েদেরকে নিয়ে এবং বেছে বেছে রগরগে টাইপের দেখার সব কুবুদ্ধি তো মীরাই তোমাকে দিত, তাইনা!

লাবনীর ফেস এক্সপ্রেশনই বলে দিল নাবিলার ধারনা একদম ঠিক।
-কিন্তু আমি কেন ম্যাডাম এতে আনন্দ পাব? আমার তো এইসব অপছন্দ হবার কথা?

-শোন লাবনী, যৌন অভিমুখিতার ধর্মই হচ্ছে তারলের মতো। তরলের ধর্ম তারল্য হওয়ায়, তরল পদার্থ সময়ের সাথে, পরিস্থিতির সাথে তার আকার বদলায়। মানুষের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তিত হতে পারে। আর পারে দেখেই এখন আর মীরার সাথে সর্ম্পক নিয়ে তুমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নও। লাবীবের সাথে সর্ম্পকটাই মূখ্য হয়ে উঠছে তোমার জীবনে। তা না হলে তুমি আমার কাছেই আসতে না। এখন সময় এসেছে তোমার জীবনে স্থায়ী সর্ম্পক কোনটা হবে সেটা নির্ধারণ করা। এবং তারপর সেভাবেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেয়া।

লাবনী মাথা নেড়ে কথাগুলি শুনার সাথে সাথেই নাবিলার সাথে একাত্মতা ঘোষনা করল। ও তো এই জন্যই নাবিলার কাছে এসেছে।

-তুমি কি কখনও বাচ্চা নেয়ার কথা ভেবেছ? মাতৃত্বের স্বাদ একটা মেয়ের জীবনে পরিপূর্ণতা এনে দেয়। তুমি কি মা হতে চাও না লাবনী?

প্রশ্নটা শুনেই ও লজ্জায় লাল হয়ে গেল। বিয়ের চারমাস পর থেকেই শ্বশুর শ্বাশুড়ি বাচ্চার জন্য ওর কান ঝালাপালা করে ফেলেছে, লাবীবও কম যায়না। কত কষ্ট করে ঠেকিয়ে রেখেছিল ও, আর ম্যাডাম কিনা সেটাই উস্কে দিল!
-আমি খুব করে চাই ম্যাডাম। লাবনী কিছুতেই রাজী হয় না।

লাবনী চোখ গরম করে লাবীবের দিকে তাকাল। ও কি না বলেছি নাকি? কেবল বিয়ে হয়েছে, এত তাড়াতাড়ি নিতে চাচ্ছিল না ও। তাছাড়া মীরা'র সাথেও আগে আলাপ করে নিতে হবে, হুট করেই এইসব বড় সিদ্ধান্ত কি নেয়া যায়?
-আমি তোমার মুখ থেকে উত্তর চাচ্ছি লাবনী!
-জী চাই।
-তাহলে লাবীব বা মীরা কার কাছে তুমি থাকবে, সেটা নির্ভর করছে তুমি মা হবার উপযুক্ত বা সক্ষম কিনা সেটার উপর। ধর, তুমি কোন শারীরিক সমস্যার কারনে কখনই মা হতে পারবে না। সেক্ষেত্রে আমি হয়ত তোমাকে মীরার কাছে ফিরে যেতে বলব। কিন্তু এটা আমাকে আগে কনর্ফাম হতে হবে। শুধু শুধু লাবীবের জীবনটাতো তুমি নষ্ট করতে পার না, তাইনা? লাবীবের তো বাবা হবার পূর্ণ অধিকার আছে। এবং লাবীবকে এটা থেকে বঞ্চিত করার তোমার অধিকারও নেই। তুমি কি বুঝতে পারছি আমি কি বলতে চাইছি!

লাবনী অনেকক্ষন চিন্তা করেও এই যুক্তি খন্ডন করার মতো কিছু খুঁজে পেল না। ওর মাথায় আসছে না নাবিলা ম্যাডাম আসলে ওকে নিয়ে কি করতে চাচ্ছে!
-আমি তোমাদেরকে একজন গাইনোকলজিস্টের ঠিকানা দিচ্ছি। তোমরা কাল বিকালে ওর সাথে দেখা করবে। ও আমার স্কুল ফ্রেন্ড। আমি আজকেই ফোনে ওকে সবকিছু বলে তোমাদের জন্য এপয়েন্টমেন্ট করে রাখব।
-উনি যদি আমাকে প্রেগনেন্ট হতে বলেন?
-হবে। অসুবিধা কোথায়? মা হওয়া কি খারাপ কিছু নাকি? তোমার জন্ম কিভাবে হয়েছিল, বল?
-কিন্তু এত তাড়াতাড়ি! তাছাড়া মীরার ব্যাপারটা সলভ হবার আগে....
-তুমি আগে দেখ মা হতে পার নাকি? কোন ভয়াবহ সমস্যা হয় নাকি? বাচ্চার ব্যাপারে আমরা পরে ডিসিশন নিতে পারব।

লাবীব বুঝে ফেলল ম্যাডাম কোন রাস্তায় যাচ্ছেন! দারুন বুদ্ধি! পেটে বাচ্চা আসলে প্রতিটা মেয়েরই মনস্ত্বাতিক প্রচন্ড পরিবর্তন আসে। লাবনীকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার এর চেয়ে ভালো রাস্তা আর কিছুই হতে পারেনা। ম্যাডামকে ওর সার্পোট করা উচিৎ, এখনই।
-লাবনী, তুমি যদি কোনভাবেই বাচ্চা না চাও তাহলে পরে কন্টিনিউ করবে না। নিতে অসুবিধা কোথায়? আমরা সবাই শিওর হতে পারলাম। আমি কি বিয়ের পর কখনও তোমাকে জোর করেছি কিছুতে?

লাবনী প্রথমে কিছুক্ষন হালকা আপত্তি করলেও দুইজনের চাপের মুখে যুক্তিগুলি ফেলে দিতে পারল না।
-যদি আমি বাচ্চা নেবার পর ফেলতে না চাই, তাহলে মীরার কি হবে?
-আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি মীরাকে আমি চিকিৎসা করব। আমি যদি কথা না রাখি মীরা তো তোমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেই। তুমি বাচ্চা নেবার ট্রাই করো আর আমি এই সময়টাতে মীরাকে নিয়ে কাজ শুরু করি। এমনও তো হতে পারে, মীরা পুরোপুরি সুস্থ হবার পর তোমার কাছে ফিরতে নাও চাইতে পারে। ওরও তো তোমার মতো একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, এটা ভুলে যাও কেন?

লাবনী আর কোন কথা না বলে নাবিলার উপদেশ মেনে নিল। লাবনী এত সহজেই রাজী হয়ে গেল দেখে নাবিলা বুঝতে পারল, লাবনীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা খুব বেশি কঠিন হবে না। কারন সব সময়ই ওর পাশে লাবীব থাকছে। আর এই জন্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এদেরকে ‘আযওয়াজ' হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। নাবিলা আপাতত লাবনীর সেশন কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল। গাইনোকলজিস্টের কাছ থেকে ও এমনিতেই সব রির্পোট পেয়ে যাবে।

সাত

রুপমের কাছ থেকে মীরার রির্পোট পাবার পর নাবিলা সরাসরি মীরার মা’কে ফোনে ওর চেম্বারে দেখা করতে বলল। ফোনে মহিলাকে হালকা ব্রীফ করল ও, তবে মীরার মাকে মীরার সাথে এই বিষয়ে কোন কথা বলতে নিষেধ করে দিল।

পরেরদিন মধ্যবয়স্ক একজন মহিলা ওর চেম্বারে দেখা করতে আসলে চেম্বারে সাথে সাথেই ডেকে পাঠাল নাবিলা। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে মীরাকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করার পর উনার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথা তুলতেই মহিলা কিছুটা রির্সাভ হয়ে গেলেন। নাবিলা বুঝতে পারল এই বিয়ের মধ্যে কোন একটা ঘাপলা আছে যেটা জানা খুবই জরুরী। আরও বেশ কিছুক্ষন নাবিলার সাথে কথা বলার পর মীরার মা সেদিনের মতো চলে আসল।

আট

-মীরার মাকে ভয়ংকর চাপের মুখে রেখে থানা থেকে কেস উথড্র করা হয়েছিল। তবে এর জন্য উনিও দায়ী। মীরার বাবার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল রফিক। যতদুর জানতে পেরেছি মীরার মায়ের সাথে পরকীয়া সর্ম্পক ছিল রফিকের। এটা নিয়ে ভালোই ঝামেলা চলছিল মীরার বাবার সাথে। ভদ্রলোক নাকি এই স্ট্রেস সহ্য করতে পারেন নি, হার্টএ্যাটাক করে মারা গেছেন। এরপর আবার রফিক সাহেবের ছোট ভাই সফিকের মীরাকে ধর্ষনের ঘটনা! মীরা মেয়েটার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। ওর জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু করতেই হবে ম্যাডাম। আমি এত বড় অন্যায় মেনে নিতে পারব না।

রূপমের কাছ থেকে মীরাকে নিয়ে বাকি ঘটনাগুলি শুনছিল নাবিলা। মীরাকে কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান না রফিক কিংবা মীরার মা। মৃত্যুর আগেই মীরার বাবা প্রায় সব ব্যবসায়িক সম্পত্তি নিজের মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন।

-ধর্ষনের ঘটনাটা নিয়ে আবার কি কোন কেস ফাইল করা যায়? এক্ষেত্রে রাস্ট্রপক্ষ মীরার দায়দায়িত্ব নেবে। এই কেসের কি কোন ইনভেস্টিগেশন হয়েছিল রূপম?
-কিছুটা হয়েছিল। যেই ইন্সপেক্টর করেছিলেন তাকে আমি চিনি। উনি নিজেও খুব আন্তরিক ছিলেন কেসের ব্যাপারে কিন্তু বাদী নিজেই কেস উথড্র করলে পুলিশের আর কিছুই করার থাকে না।
-রূপম, নতুন করে কেস করলে কতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে সেটা খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাও। দরকার পরলে আমরা উকিল ঠিক করে দেব।
-আপনি মীরার সাথে আগে কথা বলে দেখুন। আমি যেহেতু ডিবিতে আছি, আগের ইনভেস্টিগেশনের কাহিনী আমি ঠিকই বের করে নিয়ে আসব। দরকার হলে এটা আবার হবে। এত বড় পাপ বিনা বিচারে পার করতে দেয়া যায় না।

রূপমের সাথে বসে সেদিন প্রায় আরও আধাঘন্টা বিস্তারিত ভাবে মীরাকে নিয়ে কি করার যায় আলাপ করল নাবিলা।


নয়

রূপমের সাথে আলাপ করার একদিন পরেই নাবিলা মীরাকে ওর চেম্বারে ডেকে আনল। নাবিলা ভালোভাবে বুঝানোর পরেও মীরা কেন যেন ওর কাছে আর আসতেই চাচ্ছিল না। নাবিলা প্রায় জোর করেই ওকে ডেকে আনল। সোফায় বসিয়ে যথারীতি নাবিলা মীরাকে ওর জীবনের কাহিনী বলতে বলল। মীরা নাবিলাকে ওর ছোটবেলা থেকে প্রায় অনেক কিছুই বলল তবে পুরোটা না। মীরা কথা শেষে করতেই নাবিলা বলতে শুরু করলঃ
-সমকামিদের নিয়ে বেশ বড় কয়েকটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, সমকামিদের প্রায় অর্ধ শতাংশেরও বেশি তাদের খুব কাছের বা পরিচিত কোন পুরুষ দ্বারা শারীরিকভাবে সহিংসতার কিংবা ভয়ংকর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। আর এই নির্মম নিগ্রহের সাথে স্ট্রেস পরবর্তী লক্ষণই হলো মেয়েদের সমকামিতার দিকে ঝুঁকে পড়া। তোমার সাথে কে এই জঘন্য ঘটনা কিভাবে ঘটিয়েছিল বিস্তারিত ভাবেই আমি সেটা জানি। আরেকজনের ভয়ংকর অপরাধের জন্য নিজেকে কেন শাস্তি দিচ্ছ তুমি? দায়ী তো যে পাপ করেছে সে, তুমি কেন হবে? অযথা নিজেকে কষ্ট দিয়ে, শাস্তি দিয়ে কি পেয়েছ তুমি এই জীবনে, বল? অন্যায় কে অন্যায় বলতে শেখ। এই জঘন্য অপরাধের বিচার পাওয়া তোমার নৈতিক অধিকার। তোমাকে এই নায্য অধিকার পাওয়া থেকে নিষ্ঠুর ভাবে ঠকানো হয়েছে।

মীরা অল্পকিছুক্ষনের মধ্যেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। এতদিনের জমানো সব চাপা কান্না, ক্ষোভ যেন একসাথেই বের হয়ে আসতে চাইল। নাবিলা কিছুটা ইচ্ছে করেই সময় দিল মীরাকে সব দুঃখ কষ্ট আর ক্ষোভ বের করে দেয়ার জন্য। মীরা কিছুটা ধাতস্থ হবার পর নাবিলা আবার শুরু করলঃ

-কিশোরী বয়সের মাত্র একটা ঘটনা দিয়ে সবছেলেদের একই কাতারে ফেলে দেয়া ঠিক হয়নি তোমার। সফিকের চরিত্র ভালো ছিল না। একটা মেয়ে হিসেবে তো সেটা আগেই টের পাবার কথা তোমার।
-আমি মা’কে বেশ কয়েকবার বলেছিলাম, কিন্তু মা বিশ্বাস করতেন না। মার সাথে আমার সর্ম্পক আমার আসল বাবা বেঁচে থাকতেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাবা বেঁচে থাকলে হয়ত আমি আর বাবা আলাদাই হয়ে যেতাম, সেই রকম সিদ্ধান্ত নেয়াও হয়ে গিয়েছিল।
-যে মেয়েটার সাথে তোমার আগে সর্ম্পক ছিল সে কি এই ঘটনা ঘটার সময় তোমার বাসার আশেপাশে থাকত?
-আপু আমাদের পাশের বাসায়ই থাকত।
-উনি তোমার দুর্বলতম মুহূর্তগুলির সুযোগ নিয়ে তোমাকে এই ভুল পথে টেনে নিয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে ভুল পথ ছেড়ে আবার বাস্তবতায় ফিরে আসার।
-আপু কিভাবে সুযোগ নিল? আপু তো আমাকে খুব ভালোবাসতো, অনেক আদর করত, আমার সব কষ্টগুলি আপুর সাথে আমি শেয়ার করতাম। আমার মন খারাপ হলেই আমি আপুর কাছে ছুটে যেতাম। আপুকে আমি অনেক অনেক ভালোবাসতাম, এখন বাসি।
-প্রেম ভালোবাসা এইসব টার্ম নিয়ে তোমার ধারণা পরিষ্কার নয়। এই বয়সে এইসব বিষয়ে ধারণা পরিষ্কার থাকার কথাও না। নিজের সেক্সুয়ালিটি সম্পর্কে আরেকজনের কথায় প্রভাবিত হয়ে তুমি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও এটা বিরাট ভুল কিন্তু তোমার সমস্যার মুল কারন এটা নয়।
-তাহলে কোনটা ম্যাডাম?
-তোমার সমস্যার মূল কারন লুকিয়ে আছে তোমার ব্রোকেন ফ্যামিলি হিস্ট্রির মাঝে। চোখের সামনেই নিজের মা’কে দেখছ তোমার বাবা’কে রেখে অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া করতে। তোমার মা নিশ্চয়ই তোমাকে ভালো মতো সময়ও দিত না! তোমাদের পরিবার আসলে ছিল একটা অসম্পূর্ণ পরিবার। একটু বড় হবার পর থেকেই বুকের মাঝে আদর, স্নেহ, ভালোবাসা পাবার সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা আর হাহাকার নিয়েই তুমি দিনগুলি একা একা কাটিয়েছ। বিশেষ করে এই টিনএজ বয়সে মেয়েদের বাড়তি কেয়ার আরও অনেক বেশি জরুরী। তোমার বাবা মারা যাবার পর এবং তোমার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর তুমি মানসিক দিক থেকে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছিলে। ধর্ষনের ঘটনা ঘটার পর নিজের বাসা থেকে তুমি মোটেও সার্পোট পাওনি। এই সময়ে এই আপুই ছিল একমাত্র ভরসা। এই মেয়েই হয়ে উঠেছিল তোমার একমাত্র আইডল।

মীরা চুপ করে থেকে মনের ভিতরে সবকিছু মিলিয়ে দেখা শুরু করল।
-সফিকের বিচার না করার সিদ্ধান্ত কেন মেনে নিয়েছ তুমি?
-এটা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না। এই কেস চালিয়ে গেলে মা বলেছিল যে তার সংসার ভেঙ্গে যাবে। মার পেটে তখন বাচ্চা। আর মা ছাড়া আমার আর কোন থাকার জায়গাও ছিল না। আমরা দুইজনই খুবই নিরুপায় ছিলাম।
-রফিক সাহেবের সাথে তোমার সর্ম্পক কেমন? উনাকে কি বাবা হিসেবে তোমার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর মেনে নিতে পেরেছিলে?
-কিভাবে মেনে নিব? আমার বাবা তো এর জন্যই মারা গেছেন!
-খুব কম সময়ে তোমাকে অনেকগুলি মানসিক স্ট্রেস সহ্য করতে হয়েছে। যদিও এই সব মানসিক চাপ তোমাকে সমকামি স্বভাবের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তারপরও তোমাকে এইখান থেকে বের হয়ে আসতেই হবে! এটা বিকৃত আর অস্বাভাবিক আচরন।
-এই ধরনের সর্ম্পক তো এখন সারা পৃথিবীতেই আছে, কেন এটা অস্বাভাবিক হবে?
-এই পৃথিবীতে কোটি কোটি প্রজাতির প্রজনন প্রকৃয়ায় বিপরীত লিঙ্গের দিকে আকৃষ্ট হওয়া ও প্রজননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের সুনিপুন ব্যবস্থাপনা এটাই প্রমাণ করে যে, মহান স্রষ্টা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ দিয়েই সব প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন। কোনভাবেই তিনি কাউকে সমকামি করে সৃষ্টি করেননি আর সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যময়তার মাঝে সমকামিতার মত নিরর্থক উদ্দেশ্যহীন কাজের কোনও স্থানই নেই। বিকৃত মস্তিষ্কের সমকামিরা এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে! কারণ এসব দেখতে গেলে তো আর তাদের বিকৃত কামনা চরিতার্থ করার আর সুযোগ থাকবে না। সুতরাং তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। আরেকজনের পাপের দায় নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে এই রকম বিকৃত রুচি নিয়ে বাকিটা জীবন ধংশ করবে নাকি লাবনীর মতো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে! তুমি কি সফিকের উপযুক্ত বিচার হোক এটা চাও না?
-আমি অবশ্যই এর বিচার চাই। কিন্তু এই বিচার করতে চাইলে মা অবশ্যই বাধা দিবেন। আমাকে রাখতে চাইবেন না। আমি একা একটা মেয়ে কোথায় থাকব? কিভাবে সব কিছু একা একা সামলাবো?
-তোমার এই সমকামিতা বোধ তৈরিই হয়েছে নিজের কষ্ট আর বিচার না পাবার ক্ষোভ বুকের ভিতর জোর করে অবদমিত করে রাখার জন্য। তুমি সব পুরুষদেরকেই ঘৃণা কর, প্রচন্ড ভাবে। সুষ্ঠু বিচার করে সফিকের সাজা হলেই এই ঘৃণা প্রায় পুরোটাই প্রশমিত হবে। তুমিও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করবে।

মীরা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে নাবিলার দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম ওর সত্যই ভালো চাইছে সেটা ও বুঝতে পারছে। বিচার হোক এটা ও নিজেও চায়, একদম মন থেকে চায়। কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব?

-আমি তোমাকে এমন একজন পুরুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যে শুধুই তোমার ধর্ষনের ঘটনা জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এর নায্য বিচার করতে চাইছে। হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয় সব পুরুষও এক নয়। তোমার জন্মদাতা বাবা যেমন পুরুষ ছিলেন, এই ছেলেটাও একজন পুরুষ। ধর্ষক পুরুষ নয়, তোমার সাহায্যকারী পুরুষ।

নাবিলা রিস্পেশনিস্টকে ফোন করে কিছু বলার সাথে সাথেই রূপম চেম্বারে এসে ঢুকল। রূপমের হাতে একটা ফাইল। একটু দূরে সোফায় বসা মীরাকে রূপম এখনও দেখতে পায়নি। হাতের ফাইলটা নাবিলা সামনে রেখেই দ্রুতই কথা বলা শুরু করে দিল রূপম-
-ম্যাডাম, এই নিন আগের কেসের সব ডকুমেন্ট। কালকে পুলিশই বাদী হয়ে কেস ফাইল করবে। আমাদের নিজেদেরই সেফ হোম আছে। প্রথমে এখানে কিছুদিন রাখার পর একটা মহিলা এনজিও'র সাথেও কথা বলে রেখেছি। ওর থাকার জায়গা নিয়ে সব প্রবলেম সলভড। আপনি শুধু আমাকে এই মেয়ের কাছ থেকে পারমিশনের ব্যবস্থা করে দিন। আমি সফিকের বিরুদ্ধে “বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০১৩” অনুযায়ী কেস ফাইল করতে বলেছি এবং এবার বাদী হবে পুলিশ। এই ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুসারে বাদী বা ভিক্টিমের নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ধারা অনুযায়ী ভিক্টিম সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রী একজন আইনজীবী অবশ্যই পাবেন। আমি দেখতে চাই এইবার কে এই কেস থামাতে আসে!

মীরা অবাক হয়ে একবার নাবিলা, আরেকবার রূপমের দিকে দিকে তাকিয়ে আছে। একটা অপরিচিত পুরুষ কেন ওকে এতটা সাহায্য করবে! এও কি সম্ভব? পৃথিবীতে কি তাহলে আসলেও ভালো পুরুষ আছে? ওর ছোট্ট মাথায় সবকিছু যেন বড্ড তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে!

নাবিলা মীরার দিকে তাকিয়ে বললঃ
-মীরা, তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুমি কি চাও? তুমি যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাও তাহলে তোমার উচিৎ হবে সফিকের বিচার করতে দেয়া। এছাড়া তোমাকে পুরোপুরি সুস্থ করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
মীরা বেশ কিছুক্ষন মাথা নীচু হয়ে চুপ করে রইল। নাবিলার মনে হলো মীরা কোন কিছু নিয়ে বেশ গভীর ভাবে ভাবছে। হঠাৎ করেই মীরা মাথা দুইপাশে নেড়ে বলে উঠল-
-ম্যাডাম, আমি এত চাপ নিতে পারব না। আমার খুব ভয় লাগছে। আমাকে সবার সামনে এই ঘটনা বার বার বলতে হবে। এই চরম লজ্জা আর লাঞ্চনার কথা আমি কাউকেই বলতে পারব না, অসম্ভব!
-তোমার মনের ভিতরে যে বিশাল ভয় আর লজ্জা ঢুকে গেছে সেটা দূর করার দায়িত্ব তো আমার। আমি এখনই তোমার মন থেকে সব ভয় দূর করে দেব। আমার সাথে আস!

নাবিলা মীরাকে নিয়ে রুমের ভিতর সাদা চেয়ারটাতে বসাল। হিপনোটিক থেরাপী কি এবং কিভাবে কাজটা করা হয় সেটা ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে পরবর্তি পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নাবিলা দ্রুতই মীরাকে সম্মোহন বা হিপনোসিসের পর্যায়ে নিয়ে গেল। অল্প একটু সময় পরে মীরাকে হিপনোসিসের স্তম্ভন স্তরে নিয়ে যেয়ে নাবিলা আসল কাজ শুরু করে দিল। কারও কোন বিষয়ে প্রচন্ড ভয়ভীতি থাকলে সেটা দ্রুতই কাটিয়ে দেয়ার জন্য হিপনোটিক থেরাপী খুব কার্যকরী এবং দীর্ঘস্থায়ী একটা পন্থা।

থেরাপী পর্ব শেষ হবার পরেই নাবিলা দেখল, রূপম যখন মীরার পাশে বসে কথা শুরু করল, মীরা লজ্জা ভয় সব কিছু পাশ কাটিয়ে রূপমের কাছে চোখমুখ শক্ত করে পুরো ঘটনার আদ্যপান্ত্য একদম বিস্তারিত ভাবেই বলা শুরু করল……..


দশ

পাঁচমাস পরের কথাঃ-
-মীরা এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে ম্যাডাম। আপনার কাছে আসতে এখন ভীষন লজ্জা পায়। লাবনীর সাথে আর যেন দেখা না হয় সেজন্য আমি ওকে নিয়ে একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি করে দিয়েছি। বেশ লক্ষী হয়ে গেছে মেয়েটা। আমি যা বলি সেটাই শুনে এখন। এই কেসের চার্জশীট খুব মারাত্মক দেয়া হয়েছে। আদালতে কনফেশন স্টেটমেন্টও দেয়ানো হয়েছে। আমরা চাইলে এই দেশে সবই সম্ভব! মীরার ধর্ষন মামলা জোর করে আগেরবার ধামাচাপা দেয়ার অপরাধের জন্য সফিকের সাথে রফিক সাহেবেরও বড় শাস্তি হবে। দুইটাকেই জামিন অযোগ্য মামলায় জেলে ঢুকানো হয়েছে। শুনানি প্রায় শেষ, কেসের রায় খুব তাড়াতাড়িই দেয়া হবে।

নাবিলা হাসিমুখে রূপমের দিকে তাকিয়ে আছে। এই ছেলেটাকে দেখলে কেউ বুঝবেই না এত শক্ত কঠিন অবয়বের ভিতরে এত নরম একটা মন লুকিয়ে আছে। মীরার ঠিক সমবয়সী একটা বোন আছে ওর। মীরার মতোই খুব কাছাকাছি একটা ঘটনা ঘটেছিল এই মেয়ের। সেজন্যই মনে হয় মীরার ঘটনা শুনে এতটাই সফট হয়ে গিয়েছিল রূপম। সম্ভবত ছোটবোনের কথা মনে পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা আরেকদিন বলা যাবে!
-রূপম, মীরার মাকেও একটা পানিশমেন্ট দেয়া দরকার। এই স্বার্থপর মহিলার জন্যই মীরার অবস্থা এতদূর গড়িয়েছে!
-আমি চেস্টা করেছিলাম কিন্তু মীরা কিছুতেই মাকে কোন শাস্তি দিতে রাজি হয় নি।
-মীরা কি এখন ওর মায়ের সাথেই থাকছে?
-হ্যাঁ, তবে ওর মায়ের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন বেশ দৌড়াদৌড়ি করছে এই কেস নিয়ে। আমিও এটা দেখে উনাকে আর কিছু বলি নি। হয়ত মেয়ের অবস্থা দেখে মনের ভিতরে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

নাবিলা কেসের রায় বের না হওয়া পর্যন্ত মীরাকে দেখেশুনে রাখার জন্য রূপমকে ভালোভাবে বলে দিল।


এগার

আরও বেশ কিছুদিন পরের কথাঃ
নাবিলা ভার্সিটিতে ক্লাস নেয়া শেষ করে গাড়িতে করে বাসায় ফিরছে। বর্ষাকাল কেবল শুরু হয়েছে। সারা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে আছে। ক্ষনে ক্ষনে ঝড়ে পড়ছে বাদল দিনের ঝুমঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টি কিছুটা কমে এসেছে দেখে নাবিলা গাড়ির জানালা নামিয়ে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। ছিটেফোঁটা বৃষ্টির পানি ওর গায়েও এসে পড়ছে। ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার রোডের মাথায় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামতেই নাবিলা দেখল একজোড়া কপোত কপোতি এই বৃষ্টির মাঝেও ছাতা ছাড়াই হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসে মেয়েটার ভিজে যাওয়া খোলাচুল উড়ছে কিন্তু সেদিকে মেয়েটার একটুও ভ্রুক্ষেপই নেই। মেয়েটার একহাতে বড় একটা কদম ফুল। অন্যহাতটা শক্ত করে ছেলেটার একটা হাত ধরে এই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অন্তরঙ্গ হয়ে হাঁটছে। শেষ দুপুরের হালকা সূর্যের আলো এসে মেয়েটার মুখের কোমল স্নিগ্ধতা স্পষ্টই ফুটিয়ে তুলেছে। আর সেই স্নিগ্ধতার মাঝে প্রেমের বহিঃপ্রকাশ চিনতে নাবিলার কোনই ভুল হলো না। একটা ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেম হতেই পারে। আর এই প্রেম আছে বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর! কাউকে ভালো লেগে যাওয়া, পছন্দ হয়ে যাওয়া কোন দোষের কিছু নয়, বরং তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মানুষের সৃষ্টির সময় দেয়া একটি সহজাত প্রবৃত্তি।

ছেলেটাকে নাবিলা চিনতে পারল না। কিন্তু এত পরিচিত মেয়েটাকেও আজকে হুট করেই যেন ওর কাছে একদম অচেনা একটা মেয়ে বলে মনে হলো! ট্রাফিক সিগন্যাল হুট করে ছেড়ে দিতেই গাড়ি আবার চলতে শুরু করল কিন্তু তারপরও নাবিলা মনে পরম প্রশান্তি নিয়ে এদেরকে বারবার দেখে যেতে লাগলো………….


কৃতজ্ঞতাঃ
১. বই – “সমকামিতা বিজ্ঞান এবং ইসলাম”
২. ইন্টারনেটে এই বিষয়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যসমূহ
৩. Book – “Hadith Sahih on behaviour of LGBT”

এই ব্যাপারে যারা আরও কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে চানঃ
https://www.focusonthefamily.com/socialissues/citizen-magazine/can-you-love-thy-neighbor-and-defend-marriage/love-thy-neighbor-part-1
https://rosariabutterfield.com/
http://www.oneby1.org/testimony-maria.cfm
https://www.amazon.com/All-Things-New-Lesbians-Lifelong/dp/1935769324
https://www.amazon.com/Free-Indeed-Womans-Victory-Lesbianism/dp/0931593581

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, সেপ্টেম্বর ২০১৯

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: বাহ্‌ সুন্দর । একেবারে ঝরঝরে।
ধন্যবাদ আকাশ নীল ভাই সুন্দর একটা কাহিনী উপহার দেওয়ার জন্য

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: খুব করে ধন্যবাদ নিবেন আমার এই গল্পটার সাথে একদম ১ম থেকে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: এ যুগের ছেলে মেয়েরা দ্বিধাগ্রস্ত।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
এই যুগের ছেলে মেয়েরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে শুধুই মিডিয়ার জন্য এবং ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবার জন্য।
শুভ কামনা রইল।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে পোস্ট করেছেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় আকাশ ভাই ।
একটা প্রশ্ন করছি ।প্লিজ কিছু মনে করবেন না আবার বোকা ও ভাববেন না।
পোষ্টে ছবিটা কি আপনার নিজের করা ? গল্পের মতো ছবিটাও খুব ভালো লাগছে । একটু অন্য মাত্রার।
ধন্যবাদ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: @ ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় আকাশ ভাই ।একটা প্রশ্ন করছি ।প্লিজ কিছু মনে করবেন না আবার বোকা ও ভাববেন না।
পোষ্টে ছবিটা কি আপনার নিজের করা ? গল্পের মতো ছবিটাও খুব ভালো লাগছে । একটু অন্য মাত্রার। ধন্যবাদ

আপনার এই প্রশ্নের উত্তরের জন্যই আমি আলাদা করে একটা পোস্ট দেব কিভাবে ব্লগে লেখার সাথে কি ধরনের ছবি দিতে হয়।
কিছুটা সময় দিন আমাকে।
শুভ কামনা রইল।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: ++++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই অংশে একটু টুংটাং যোগ করার দরকার ছিলো

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার অল্পবয়স্ক মেয়েদের হাত ধরে জিং জিং করার মতো?

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: মিডিয়া আজ সমকামিতা বৈধভাবে প্রচার করছে, কাল অযাচার প্রচার করবে। সব উন্মুক্ত চিন্তা, মুক্তচিন্তা ছাড়িয়ে। আর আমরা তো আদিম যুগের মানুষ, গুহামানব। সাদাকে সাদা বলি আর কালোকে কালো। কিন্তু আধুনিক মানুষতো নিজের সুবিধামত সাদাকে কালো আর কালোকে সাদাও বলে। মনে রাখতে হবে ধর্ম আর অধর্ম এক না,। যেখানে ধর্ম নেই সেখানেই অধর্ম প্রভাব বিস্তার করে। আর অধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বহুলাংশে দায়ী।
মীরার পরিসমাপ্তি ভালো লাগলো। সকল লাবনী ও মীরাদের আরোগ্য ও মঙ্গল কামনা করি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
মিডিয়ার নামে আজকাল যা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো পাশ্চাত্য দেশগুলির এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার। খুব ঠান্ডা মাথায় এরা আমাদের দেশে এইসব জঘন্য অপকর্মগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছে। এদের এক্মাত্র এজেন্ডা হলো শয় তান বা ইবলীসের এজেন্ডা বাস্তবায়ন। আপনার জন্য একটা সহী হাদিস দিচ্ছিঃ
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৪/ হদ্দ (দন্ড) (كتاب الحدود)
হাদিস নম্বরঃ ২৫৬২
১৪/১২. যে ব্যক্তি লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত হয়
২/২৫৬২। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লূত জাতির অনুরূপ অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে বলেনঃ তোমরা উপরের এবং নিচের ব্যক্তিকে অর্থাৎ উভয়কে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করো।
তিরমিযী ১৪৫৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৮/২৩২, ইরওয়া ৬/১৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

শ্রদ্ধেয় জাদিদ ভাই আমাকে এই বিষয়ে আরও লিখতে বলেছে। আমি এখন এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি। পাশ্চাত্যের ভন্ডামীর মুখোশ অবশ্যই খুলে দিতে হবে। সবার এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ইতিবাচক সমাপ্তি। ভালো লেগেছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: মিতা ভাই,
পুরো গল্পটা পড়া এবং সাথে থাকার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন। পথভ্রষ্ট এদেরকে তো অবশ্যই ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে, তাইনা?

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪

জগতারন বলেছেন:
সম্পূর্ন গল্পটি পড়লাম ;
সবার মন্তব্যগুলোও পড়লাম।
গল্পের বিষয়বস্তু ও লেখকের সাথে সহমত পোষণ করছি।
শ্রমসাধ্য এই গল্পটি লেখার জন্য ব্লগার ও সাহিত্যিক নীল আকাশ -এর প্রতি অভিন্দন জ্ঞাপন করি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় জগতারন,
আমার গল্পের উঠানে আপনাকে সুস্বাগতম। আশা করছি এর পরের গল্পগুলিতেও আপনাকে পাশে পাব।
সাম্প্রতিক এই ট্যাবু বিষয়টাকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল আমার অনেক দিনের। ব্লগে এই বিষয়টাকে নিয়ে ভাল কোন লেখা নেই। তাছাড়া এটা নিয়ে সবার মাঝেই অনেক ভুল ধারনা আছে যেটা সংশোধন করাও দরকার। অনেকগুলি কারন একসাথে নিয়ে এই গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। সবচেয়ে দরকারী যেটা ছিল সেটা হলো মেসেজটা সবার কাছে পৌছে দেয়া।

যে কষ্ট করেছি সেটা নিয়ে আমার কোন দুঃখ নেই, সবার মাঝে ভুল ধারনা যদি ভেঙ্গে দিতে পারি তাহলেই আমার কষ্টটা কাজে লেগেছে বলে ধরে নেব।

নাবিলা সিরিজে এই ধরনের সামাজিক সমস্যা নিয়েই লেখা হয়। এই সিরিজের আগের বাকি গল্পগুলিও প্রার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।

এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই,
এই যুগের ছেলে মেয়েরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে শুধুই মিডিয়ার জন্য এবং ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবার জন্য।
শুভ কামনা রইল।

সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখে তারা নিজেদের নায়ক ভাবতে চায়।
ধর্ম কর্ম তারা জানেই না।
তাদের বাপ মা করে কি?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০২

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
এর জন্য মিডিয়াই দায়ী। এদের বাপ মা সারাদিন বসে ভারতীয় চ্যানেল দেখে।
নিজেদের সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে নোংরা জিনিস নিয়ে মেতে আছে।
ধর্ম নিয়ে কিছু বলতে গেলে আমরা হয়ে যাব জিহাদী কিংবা আইএস।
যা হচ্ছে এখন এই দেশে এর জন্য আমরাই দায়ী, আমাদের প্রশয়েই এই সব হচ্ছে।
সমাই আছে এখনও এইসব নোংরামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার।
ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

মা.হাসান বলেছেন: আপনার গল্পের ফিনিশিং গুলো বরাবর ভালো হয়, এবারেও তাই।
প্রতিটা পর্বই অনেক পরিশ্রমের কাজ।

আগের দুই পর্বে কোরানের আয়াতের রেফারেন্সে কেউ কেউ দ্বিমত করেছেন। আমার জানা মতে বাংলাদেশেই অনেক চিকিৎসক ড্রাগ এডিক্টদের চিকিৎসার জন্য ধর্মিয় অনুশাসনের ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে রুগীর ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্মের ব্যবহার আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়। তবে চিন্তার ভিন্নতা থাকতে পারে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
ধর্মীয় অনুশাষনের ব্যাপারে অনেকেই সেটা না জেনে মন্তব্য করেছে।
আপনাকে আমি ইমেইল করেছি কিছুক্ষন আগে।
ফিনিস এর ব্যাপারে আমি বড়ি খুত খুত করি যেমন করি ছবির ব্যাপারে।
শ্রদ্ধেয় জাদিদ ভাই আমাকে এই বিষয়ে আরও লিখতে বলেছে। আমি এখন এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি। পাশ্চাত্যের ভন্ডামীর মুখোশ অবশ্যই খুলে দিতে হবে। আমি আরও লিখব এই বিষয়ে।
সব সময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ধন্যবাদ।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর সমাপ্তি।
আরও গল্প চাই কিন্তু ....। লেখার ভক্ত হয়ে গেছি
মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লিখেন আপনি

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
আমি কিন্তু অনেক লজ্জা পেয়েছি আপনার মন্তব্য পড়ে।
খুব চেস্টা করেছিলাম এই বিষয় নিয়ে ভাল একটা গল্প লেখার জন্য।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইল।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর সমাপন।

আপনি গল্প লিখে বিখ্যাত হোন এটাই চাই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
পুরো গল্পটা পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন ।
ভাল লেখার চেস্টা ক্রমাগত চেস্টা করে যাই আমি।
শুভ কামনা রইল।


১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

যেহেতু শেষ পর্বটি বেশ বড় 6 থেকে 11 পর্যন্ত। কাজেই যেমন তেমন কমেন্ট করা যাবে না। আগের পর্ব, এই পর্ব মিলিয়ে সময় নিয়ে সব কমেন্ট কোন এক সময় করে যাব।
শুভকামনা জানবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এর পরের মন্তব্য খুব ভালো হয়েছে।
না পড়ে বা অল্প একটূ পড়ে মন্তব্য করা কোনই মানে হয় না।
ধন্যবাদ।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি যে বেশ লেগেছে তার প্রমাণ গল্পের সাথে থেকেই দিয়েছি। তবে আপনার হাতও অনেক পাকা। গল্পের শুরু থেকে শেষ সেটিং ছিল অপূর্ব। যারা লেখক তাদের চিন্তার মূলে যা থাকে একটি ম্যাসেজ পাঠকের কাছে পাঠানো তা যারা করতে পারে তারাই লেখক। আপনার লেখায় তারি প্রমাণ রাখে। সবসময় সাথে আছি। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন ভক্তরা যেনো আরো অনেক অনেক গল্প পাই আপনার কাছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
সাম্প্রতিক এই ট্যাবু বিষয়টাকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল আমার অনেক দিনের। ব্লগে এই বিষয়টাকে নিয়ে ভাল কোন লেখা নেই। তাছাড়া এটা নিয়ে সবার মাঝেই অনেক ভুল ধারনা আছে যেটা সংশোধন করাও দরকার। অনেকগুলি কারন একসাথে নিয়ে এই গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। সবচেয়ে দরকারী যেটা ছিল সেটা হলো মেসেজটা সবার কাছে পৌছে দেয়া।

খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইনসাল্লাহ আরও ভালো ভালো এই ধরনের গল্প লেখার চেস্টা করে যাব আপনারা পাশে থাকলে।
সব সময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: সমাপ্তি চমৎকার হয়েছে! মেসেজটা স্পষ্টভাবে দিতে পেরেছেন।

তিন পর্বেই সাথে দেয়া ছবিগুলো গর্বের সাথে মানানসই এবং অসাধারণ হয়েছে। এই পর্বেও লাইক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
দারুন একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন আপু।
সমাপ্তি চমৎকার হয়েছে! মেসেজটা স্পষ্টভাবে দিতে পেরেছেন। - লেখাটা শেষ করে বেশকিছুদিন অপেক্ষা করেছিলাম ভালো একতা ফিনিস দেবার জন্য। মেসেজ বুঝার জন্য ধন্যবাদ।
তিন পর্বেই সাথে দেয়া ছবিগুলো গর্বের সাথে মানানসই এবং অসাধারণ হয়েছে। - আমি সবসময় ছবির ব্যাপারে খুব খুতখুত করি।
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞাত রইল।

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

মোটামুটি আজ দুপুর থেকে সময় নিয়ে আপনার এই সিরিজের দুটি পর্ব শেষ করলাম। সংক্ষেপে বলা যায় পরিশ্রমী, তথ্যে পরিপূর্ণ এবং যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে ঠাসা আরকি।
যেহেতু চূড়ান্ত পর্ব সেহেতু তিনটি পর্বের সার্বিক মূল্যায়ন করছি।
শিক্ষণীয় দিক:- সমকামী সম্পর্কে অন্যদের কথা বলতে না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা ভুল ধারণা ছিল। পুষ্টি পাঠ করে সিদ্ধান্ত ধারণা অবসান ঘটলো।
সমকামীর সঙ্গে যৌন বিচ্যুতির প্রভেদটা আপনি গল্পের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। ++
প্রপার ট্রিটমেন্ট বা গাইডেন্সের ফলে এহেন সমকামীদের যে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো সম্ভব তার একটা নির্মল পাঠ বাঁ দিক নির্দেশিকা আপনি গল্পে তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগলো গল্পটির হিপ্নোটিক্স থেরাপি ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে সুন্দর ব্যাখ্যা পড়ে।
একটা আধুনিক সমস্যাবহুল মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং মূলক গল্পে ভালো লাগা রেখে গেলাম।



শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
সাম্প্রতিক এই ট্যাবু বিষয়টাকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল আমার অনেক দিনের। ব্লগে এই বিষয়টাকে নিয়ে ভাল কোন লেখা নেই। তাছাড়া এটা নিয়ে সবার মাঝেই অনেক ভুল ধারনা আছে যেটা সংশোধন করাও দরকার। অনেকগুলি কারন একসাথে নিয়ে এই গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। সবচেয়ে দরকারী যেটা ছিল সেটা হলো মেসেজটা সবার কাছে পৌছে দেয়া।

এই বিষয় নিয়ে এলজিবিটিদের যুক্তির কোন অভাব নেই। আর তাই লেখার সময় আমিও সব ধরনের পালটা যুক্তি হাজির করেছি। এরা যে শুধু শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করে সেটা তুলে ধরাই এই গল্পের মূল থীম।

হিপ্নোটিক থেরাপি ও তার কার্যকারিতা নিয়ে আমি এর আগের পর্বেও লিখেছিলাম। এটা খুব কার্যকর একটা পন্থা। সারা বিশ্বেই মনোবিদরা এটা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করেন।

সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফের কমেন্ট আসতে হলো গল্পে কতগুলো টাইপো চোখে পড়াতে।
অনুশাসন, গ্রহণযোগ্য, কারণ, ধারণা, সম্পূর্ণ, তরলের, ঘোষণা, শাশুড়ি, অনেকক্ষণ, দারুণ, কিছুক্ষণ, যতদূর,
তুমি কি বুঝতে পারছো আমি কি বলতে চাইছি/তুমি কি বুঝতে পারছি আমি কি বলতে চাইছি,
রাষ্ট্রপক্ষ, ন্যায্য, আচরণ, রিসেপশনিস্ট,
এই কমেন্টটি ডিলিট করার অনুরোধ রইলো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: এই কমেন্টটি ডিলিট করার অনুরোধ রইলো। - প্রশ্নই আসে না। উপরের সবগুলি মন্তব্যের মধ্যে এটাই আমার জন্য সবচেয়ে উপকারী। খুব চেস্টা করছি বাংলা বানান ভুল থেকে বের হয়ে আসার জন্য। আস্তে আস্তে লিখলে ভুল কম হয় কিন্তু প্লট মাথায় আসার পর একটানে না লেখা পর্যন্ত কোন ভাবেই শান্তি পাই না।

সম্ভবত তরল, শাশুড়ি, ন্যায্য, রিসেপশনিস্ট বানানগুলি ঠিক আছে।
বাকিগুলি এই পর্বে যতগুলি আছে ঠিক করে দিয়েছি। অন্য পর্বেও ঠিক করে দেব।

দারুন একটা উপকারী মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সাথে সর্ম্পক দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে।

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই সবকিছু বলে ফেলেছে..............নতুন করে কিছু বলার নাই।

চালিয়ে যান!!! :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যে পড়েছেন তাতেই আমি খুব খুশি হয়েছি।
সব মিলিয়ে পুরো লেখাটা কেমন লাগলো?

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব মিলিয়ে পুরো লেখাটা কেমন লাগলো? সবগুলোতেই লাইক দিয়েছি, কেমন লেগেছে বোঝার জন্য এটা কি যথেষ্ট নয়? ;)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার জন্য একটা উপহার রেডি করেছি। খুব শীঘ্রই ব্লগে পাবেন।
ভালো থাকুন, শুভ রাত্রী।

২১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার জন্য একটা উপহার রেডি করেছি। টেনশানে ফেলে দিলেন দেখছি.....রাতে তো ঘুম হবে না!!! :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা শেষ। পছন্দ মতো ছবি পাচ্ছি না। পেলেই পোস্ট দিব।
নিশ্চিন্ত মনে ঘুম দিন। উপহার অবশ্যই পছন্দ হবে।
শুভ রাত্রী।

২২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লেগেছে
কিন্তু অনেক বড়

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: ইচ্ছে করেই ব্যাপক পরিধি নিয়ে লিখেছি। অনেকেই এই ব্যাপারটা নিয়ে ভালো মত জানে না। অনেকই ভুল তথ্য জানে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

নিভৃতা বলেছেন: দেরি হয়ে গেল শেষ করতে। গতানুগতিকতার বাইরে অসাধারণ একটা গল্প। এই রকম বিশ্লেষণধর্মী একটা গল্প লিখতে না জানি কত কষ্ট হয়েছে আপনার। আপনি কষ্টকে সাধ্য করতে পেরেছেন। আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা না করে পারছি না। আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো লেখার তৌফিক দান করুন।

একটা জিনিস ভালো লাগেনি কেবল। আপনি ইংরেজি শব্দ একটু বেশি ব্যবহার করেন গল্পে। যেসব ইংরেজি শব্দের সুন্দর বাংলা অর্থ আছে সেগুলোকে বাংলায়ই ব্যবহার করা উচিত বলে আমার মনে হয়। বাংলা গল্প উপন্যাসে ইংরেজি শব্দগুলো একটু দৃষ্টিকটু লাগে।
অফুরান শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
ধন্যবাদ কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য। এই গল্প আমি জিদ করে লিখেছিলাম। এই বিষয়ে কোন গল্প নেই ব্লগে। শ্রদ্ধেয় জাদিদ ভাই আমাকে এই বিষয়ে লিখতে বলেছিল। আমি এখন এই বিষয়টা নিয়েই একটা সিরিজ কাজ করছি। পাশ্চাত্যের ভন্ডামীর মুখোশ অবশ্যই খুলে দিতে হবে। সবার এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমি কোন লেখা নিলে সেটা নিয়ে অনেক পড়াশুনা করি। আমার লেখার সাথে আর সবার লেখার পার্থক্য এখানেই।

ইংরেজি শব্দ নিয়ে আপনি যেটা বলেছেন সেটা এড়িয়ে যাওয়া আমার জন্য কঠিন। কিছু কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা ব্যবহার করলে মানায় না। তাছাড়াও আমার বাংলায় আমার শব্দের স্টকও খুব আহামরি কিছু নয়। তবে আমি শিখছি। শবনম বের করার সময় প্রচুর এই বিষয়ে কাজ করতে হয়েছে। সাইকোলজির অনেক ইংরেজি শব্দের সরাসরি বাংলা শব্দ নেই। দৃষ্টিকটু লাগে যেহেতু বলছেন, আমাকে এই বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে।

ব্লগের সম সাময়িককালের সর্বোচ্চ পঠিত গল্পটা কী পড়েছে আপনি?
গল্পঃ মিথিলা কাহিনী ১ - একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি!
এটা আরও বড় করে উপন্যাস বানালে কেমন হয়?
খুব ভেবেচিন্তা করে জানাবেন। এটা নিয়ে পরের বইমেলায় কিছু করার ইচ্ছে আছে আমার।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

নিভৃতা বলেছেন: ফ্রেন্ড, কন্টিনিউ, ফেস এক্সপ্রেশন, জাস্টিফাই, রিজার্ভ এগুলোর তো সুন্দর বাংলা হয়।
না, গল্পটা পড়া হয়নি। অবশ্যই পড়বো। লিংকের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। :)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাল বলেছেন। দেখি কালকে বসে এইসব ইংরেজি শব্দগুলির বাংলা প্রতিশব্দ লিখে দেবো। আগে লেখাটা পড়তে হবে ভালো করে। ইনশা আল্লাহ কালকেই ঠিক করে ফেলবো।
কৃতজ্ঞতা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.