নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাড়ি নিয়ে তথাকথিত সাহিত্য রচনা - শাড়িত্ব নাকি দেহত্ব?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫


বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব জায়গাতেই শাড়িকে মেয়েদের সুন্দর এবং আকর্ষনীয় একটা পোষাক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবতা হলো, শাড়ি হচ্ছে মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর পোষাক যেটাতে প্রায় প্রতিটা মেয়েকেই রমনীয়, কোমনীয়, হৃদয়মোহিনী এবং মাতৃত্বের অবয়বে মহিমান্বিত মনে হয়। শেষ বিকেলের কনে দেখার মিষ্টি আলোর আভা যেভাবে নদীর তীরকে রাঙিয়ে রাখে, ঠিক তেমনি শাড়িও যেকোন মেয়েকে অপরূপা আর সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলে।

শাড়ি নিয়ে বেশি কিছু বলা কিংবা লেখার আগে চলুন শাড়ি সর্ম্পকে সাধারণ কিছু তথ্য জেনে আসি। উইকিপিডিয়া / মুক্ত বিশ্বকোষে শাড়িকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছেঃ

শাড়ি ভারত, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্য নৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র। শাড়ি লম্বা ও সেলাইবিহীন কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণত‍ একটি শাড়ি ১৮ ফুট (৫.৫ মি) থেকে ২১ ফুট (৬.৪ মি) দীর্ঘ এবং ৬০ থেকে ১২০ সেন্টিমিটার (২ থেকে ৪ ফুট) চওড়া কাপড় দিয়ে তৈরি, যা বিভিন্নভাবে ভাঁজ করে পড়া হয়ে থাকে। সবচেয়ে সাধারণ ভাঁজ হচ্ছে কোমরে জড়িয়ে একপ্রান্ত কাঁধের উপর দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা, যাকে আঁচল বলা হয়। শাড়ি সাধারণত পেটিকোটের (উত্তর ভারতে লেহেঙ্গা/ঘাগরা এবং বাংলাদেশসহ পূর্ব ভারতে সায়া নামেও পরিচিত) উপরে পড়া হয়ে থাকে। শাড়ির উপরের অংশের পোশাক হিসেবে ব্লাউজ (ভারতে ছোলি নামেও পরিচিত) পড়া হয়।

শাড়ি শব্দটি সংস্কৃত শাটী शाटी śāṭī হতে উদ্ভুত, যার অর্থ 'কাপড়ের টুকরা' এবং পালি শব্দ शाडी śāḍī বা साडी sāḍī, এবং যা আধুনিক ভারতীয় ভাষায় sāṛī হিসাবে পরিণত হয়েছে। 'সাত্তিক' শব্দটি সংস্কৃত সাহিত্যে এবং জাতক নামক বৌদ্ধ সাহিত্যে প্রাচীন ভারতে মহিলাদের পোশাক বর্ণনার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আধুনিক সময়ের 'শাড়ির' সমার্থক এবং সমতুল্য হতে পারে। নারীদের উর্ধাঙ্গের পোষাকের বর্ণনায় প্রাচীন স্তনপাট্টা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যা থেকে চোলির উদ্ভব হয়েছিল। কলহনার দশম শতাব্দীর সাহিত্যকর্ম রজনাঙ্গিনী অর্থ 'রাজাদের নদী' বলে যে, কাশ্মীরে রাজকীয় আদেশ অনুসারে ডেকান (দক্ষিণাপথ) থেকে আসা চোলির প্রচলন হয়েছিল। মারাঠিতে পেটিকোটকে পার্কার (परकर) বলা হয়, তামিল ভাষায় উলপাওয়াদাই (உள்பாவாடை) (pavada in other parts of South India: মালয়ালম: പാവാട, তেলুগু: పావడ, প্রতিবর্ণী. pāvāḍai, কন্নড়: ಪಾವುಡೆ, প্রতিবর্ণী. pāvuḍe) এবং পূর্ব ভারতে বাংলায় সায়া বলা হয়। এছাড়াও পেটিকোট-কে "ভিতরের স্কার্ট" বলা যেতে পারে। বাঙালি ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে অষ্টম শতাব্দীতেও শাড়ি ছিল প্রাচীন ভারতের প্রচলিত পোশাক। যেখানে তখনকার মেয়েরা আংটি, দুল, হার এসকল অংলকারের সঙ্গে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত শাড়ি পরিধান করত, এবং উপরে জড়ানো থাকত আধনা (আধখানা)। পাহাড়পুর থেকে প্রাপ্ত পাল আমলের কিছু ভাস্কর্য অনুমান করে এ ধারণা করা যায়। শাড়ি পড়ার প্রায় ৮০টিরও অধিক নথিভুক্ত উপায় প্রচলিত রয়েছে। কোমরের চারপাশে শাড়ি জড়ানোর সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতিটি হল শাড়ির এক প্রান্ত কোমড়ে পেচিয়ে অপর আলগা প্রান্তটি অর্থাৎ আঁচল কাঁধের উপর দিয়ে পেছনে ঝুলিয়ে পরিধান করা। তবে, শাড়ি বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে পেচিয়ে পড়া যেতে পারে, যদিও কিছু শৈলীর জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বা আকারের শাড়ি প্রয়োজন। শাড়ির ইতিহাসবিদ এবং স্বীকৃত বস্ত্রশিল্প পন্ডিত আতা কাপুর চিশতী তার শাড়িস: ট্র্যাডিশন অ্যান্ড বিয়ন্ড গ্রন্থে শাড়ি পরিধানের ১০৮টি পদ্ধতি নথিভুক্ত করেছেন। এই গ্রন্থে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, এবং উত্তরপ্রদেশ মোট ১৪টি রাজ্যের শাড়ি পরিধানের পদ্ধতি নথিভূক্ত হয়েছে।

শাড়ি নিয়ে উপরের অংশটুকু পড়ার পর নিশ্চয় এতটুকু বুঝা যাচ্ছে যে, শাড়ি উপমহাদেশের খুব সাধারন একটা পোষাক যেটা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশের মা বোনরা ঐতিহ্য মেনে পড়ে আসছেন। সুতরাং হুট করেই এই পোষাক শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ভিতরে যৌন তাড়নার জোয়ার সৃষ্টি করলে সেটার দোষ আর যাই হোক শাড়ির নয়, এটা নিশ্চিত। কিন্তু সামান্য একটা নিরহ গোবেচারা শাড়িও যখন আবদুল্লাহ আবু সাইয়ীদের মত তথাকথিত একজন ব্যক্তির চোখে শুধুই যৌন চেতনা বা যৌন তাড়না যাই বলে নি কেন, তৈরি করে সেটা অবশ্যই দৃষ্টিকটু এবং সর্ম্পূণ বেমানান।

তিনি মেয়েদের নিয়মিত পড়া গ্রামবাংলার অতি সাধারন একটা পোশাকের এমন রসালো, নির্লজ্জ এবং লালায়িত বর্ণনা দিয়েছেন যে, সেটার প্রতিবাদ না করে আর পারলাম না। শুনেছি উনি একজন শিক্ষক, কিন্তু উনি যেই ভাষা এবং শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন সেটা অবশ্যই শিক্ষক হিসেবে বলতে পারেন না। প্রবাদ আছে, প্রদীপের নীচেই নাকি অন্ধকার থাকে আর উনি এই লেখার মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ করে দিলেন। প্রচলিত আছে, মদ পুরানো হলে তাতে নেশা বেশি, চাল পুরানো হলে তাতে ভাত বেশি হয় আর পুরুষ পুরানো হলে তার প্রকাশে গোপন চরিত্রের প্রতিফলন স্পষ্ট হয়। সায়ীদ সাহেব শুরু থেকেই এইরকম, না বয়স বেড়ে যাওয়ায় সেটা সবার চোখে পড়ছে বেশি, ঠিক বুঝতে পারলাম না।

সম্প্রতি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রথম আলোতে প্রকাশিত শাড়ি নিয়ে একটি লেখায় শাড়িকে পৃথিবীর সবচেয়ে "যৌনাবেদনময়ী অথচ শালীন পোশাক" বলে মন্তব্য করেছেন। উনার এই লাইনটা পড়ার পরা ছোটবেলায় শোনা একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। এলাকার সবচেয়ে বড় সিঁধেল চোর মারা গেলে তার ভাই লোকজনকে বলে বেড়াত, আমার ভাইটা চোর হলে কি হবে ওর চরিত্রটা কিন্তু ভালো ছিল! যেই পোষাক যৌনাবেদনময়ী হয় সেটা আবার কিভাবে শালীন হতে পারে সেটা আমার মাথায় ঢুকল না। আমার কাছে কিন্তু সিঁধেল চোরের কাহিনীর মতোই লাগলো। শুনেছি উনি নাকি আলোকিত মানুষ, সবাই’কে গাড়িতে করে আলো বিতরন করে বেড়ান! ভাগ্যিস আলোকিত মানুষ, অন্ধকারের হলে কি যে লিখত? মাত্র কিছুদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে দাঁড়ায়ে থাকতে পারছিলেন না, বসে থাকতেও কষ্ট হচ্ছিলো আপনার। আপনি নিজেই বলেছিলেন, বয়স আর আপনাকে সময় দিতে চাচ্ছে না। যে বয়স হয়েছে তাতে তো চুল-দাড়ি সাদা হয়ে যাবার কথা, এক পা কবরের উপর দিয়ে দাঁড়িয়েও আছেন! যেই বয়সে উনার মৃত্যু ভয়ে আল্লাহ খোদার নাম নেয়ার কথা, সেই বয়সে এসে উনি মেয়েদের শাড়ির ফাঁকফোকরের ভিতর দিয়ে যৌনতার গন্ধ শুঁকে বেড়াচ্ছেন! ভালো বেশ ভালো! একদিক দিয়ে ভালোই করেছেন, এতদিনের বর্ণচোরা স্বভাবের আসল রঙটা তো চেনা গেল অবশেষে!

এইধরনের লেখা কি প্রথম আলোতে এই প্রথমবারের মতো ছাপা হয়েছে? উত্তর হলো, না। এই পত্রিকার চরিত্র ধুতরা ফুলের মতো পবিত্র। এর আগেও এই পত্রিকা সাঈদ জামিল নামে এক কবিকে ‘জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরষ্কার’ দিয়েছিল৷ সাঈদ জামিলকে কবি বলা ঠিক হবে কিনা সেটা আমি ব্লগের পাঠকদের কাছে ছেড়ে দিলাম। ‘কায়কাউসের ছেলে’ নামের বইটি প্রথমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছিল৷ প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এইসব কুরূচিপূর্ণ লেখা ছাপানো নতুন কিছু নয়। এদের সাহিত্য রূচি এতই বিকৃত যে সেটা বুঝানোর জন্য সেই বই থেকে কয়েকটা লাইন নীচে দিয়ে দিচ্ছিঃ-
আমি কায়কাউসের ছেলে,
আমি বেড়াই হেসে খেলে৷
ইচ্ছে হলে হাগি মুতি,
ইচ্ছে হলে চুদি;
ইচ্ছে হলে উরুর ভাঁজেই দুই চক্ষু মুদি।


যারা এখনও আন্দাজ করতে পারেন নি তাদের জন্য আরেকটা দিলামঃ
স্ত্রীদুগ্ধ পান করতে করতে লোকটা ভাবলো,
পৃথিবীতে ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্বে যেসব নিমগাছ
জন্মেছিলো সেসব নিমগাছ ইঞ্জিনের শব্দ শোনে নাই—
লোকটার ভাবনার ওপর দিয়ে তিনটে খরগোশ
দিগন্তের দিকে দৌড়ে গ্যালো।
আর, দিগন্ত থেকে খ’সে পড়লো প্রকান্ড এক পুরুষাঙ্গ!
দিগন্ত থেকে খ’সে পড়া পুরুষাঙ্গের রঙ ঘন ও সুরেলা।


সুতরাং এই চরিত্রের পত্রিকা যে এই ধরনের কুরূচিপূর্ণ লেখা ছাপাবে তাতে অবাক হবার কি আছে? বরং এই নিদারুন লেখার জন্য সায়ীদ সাহেব’কে বড় কোন সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত করলেও অবাক হবো না!

যারা এখনও এই লেখাটা পড়েন নি তাদের জন্য এর সারমর্ম নীচে তুলে দিচ্ছিঃ
-শাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনাবেদনপূর্ণ অথচ শালীন পোশাক।
-শাড়ি তার রূপের শরীরে বইয়ে দেয় এক অলৌকিক বিদ্যুৎ হিল্লোল।
-আধুনিক শাড়ি পরায় নারীর উঁচু-নিচু ঢেউগুলো এমন অনবদ্যভাবে ফুটে ওঠে, যা নারীকে করে তোলে একই সঙ্গে রমণীয় ও অপরূপ।
-সত্যি কথা বলতে কি, অধিকাংশ বাঙালি মেয়েকে শাড়ি ছাড়া আর হয়তো কিছুতেই মানায় না।
-শাড়ি সুকুমার ও নমনীয় শরীরের জন্যই কেবল সত্যিকার অর্থে মধুর।
-তবে মাঝে মাঝে এ দেশেও যে এক–আধজন সুন্দর মুখের দেখা পাওয়া যায় না, তা–ও নয়। তবে একটিমাত্র কারণেই কেবল তা হতে পারে; যদি তারা তাদের কমনীয় শাড়িগুলোকে নান্দনিক বা সুরুচিসম্মতভাবে পরতে পারে।
-বাঙালি সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা: আমার ধারণা ‘উচ্চতা’।
-দৈহিক সৌন্দর্য ছেলেদের বড় ব্যাপার নয় বলে এ নিয়েও তারা কোনোমতে পার পেয়ে যায়।
-আমার ধারণা, একটা মেয়ের উচ্চতা অন্তত ৫ ফুট ৪–এর কম হলে তার শরীরে নারীজনিত গীতিময় ভঙ্গি পুরোপুরি ফুটে ওঠে না।
-শাড়ি একটা রহস্যময় পোশাক। নারী দেহকে কতটা প্রদর্শন করলে আর কতটা অপ্রকাশিত রাখলে তা শারীরিক মোহ বজায় রেখেও দর্শকের চোখে অনিন্দ্য হয়ে উঠবে, তা পোশাকটি যেন সহজাতভাবেই জানে।
-সালোয়ার-কামিজ, টাইট জিনস, মিনি স্কার্ট কি এর সমকক্ষ? শেষেরগুলো তো প্রায় পোশাক না থাকারই শামিল।
-শাড়ির মধ্যে আছে এই দুইয়ের মিলিত জাদু। এ সৌন্দর্যের লালসাকেও বাদ দেয় না আবার আলোয়–ছায়ায়, মেঘে-রৌদ্রে শরীরকে যেন স্বপ্নরাজ্য বানিয়ে দেয়।
-তাদের শরীরের অসম অংশগুলোকে লুকিয়ে ও সুষম অংশগুলোকে বিবৃত করে শাড়ি এই দুর্লভ কাজটি করে।
-শাড়িও তেমনি নারীর শরীরে সৌন্দর্যের প্রতিটি ঢেউ আর সরণিকে আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু ভঙ্গিতে বিন্যস্ত করে আঁচলের কাছে এসে একঝাঁক সাদা পায়রার মতো নীল আকাশে উড়তে থাকে।
-যেকোনো অসমতাকে আড়ালে রেখে মানসম্মত দেহসৌষ্ঠব নিয়ে দাঁড়ানোর পথ একটাই, ইংরেজিতে যাকে বলে মেকআপ, যার গভীরতর মানে মেকআপ দ্য লস।

আবার খেয়াল করুন। নারীদের প্রতি উনার সুশীলীয় কায়দার দৃষ্টিভঙ্গি দেখুন! উনি খুব সুক্ষ্ম ভাবে কি বুঝাতে চেয়েছেন-
* তিনি লেখার শুরুটাই করেছেন এভাবে, “শাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনাবেদনপূর্ণ অথচ শালীন পোশাক।“ অর্থাৎ শাড়ীর মাঝে তিনি সর্বপ্রথম যৌন আবেদনটাই খুঁজে পান। সুযোগ পেলে তার কাছে আমি অবশ্যই জানতে চাইতাম, শালীনতার মানদণ্ড ঠিক কোনটা? এই শেষ বয়সে এসে মেয়েদের কি কি দেখলে উনার হরমোন আনব্যালান্সেড হয়ে পড়ে?
* শাড়ির কথা বলতে গিয়ে নারীর শরীর এবং সৌন্দর্যের যে রগরগে চুলচেরা বর্ণনা দিয়েছেন, সেগুলি পড়লে মাথা প্রায় ঘুরে যায়। উনার লেখা পড়ার পর মনে হবে, এই দেশের সব মেয়েদের একটাই কাজ, উনার পছন্দ মতো শাড়ি পরে যৌনাবেদনময়ী হয়ে পুরুষদের সামনে ঘুরে বেড়ানো।
* শাড়িকে যৌন আবেদনের শীর্ষে উঠাতে যেয়ে অন্যান্য দেশের নারী, তাদের পোশাককে এবং তাদের সংস্কৃতিকেও হেয় করেছেন। তিনি বলেছেন, “সালোয়ার-কামিজ, টাইট জিনস, মিনি স্কার্ট কি এর সমকক্ষ? শেষেরগুলো তো প্রায় পোশাক না থাকারই শামিল।’’ উনাকে আরেক দেশের মেয়েদের পোষাক নিয়ে এত বাজে কটাক্ষ করার পারমিশন কে দিল?
* তিনি সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সৃষ্টি নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। “দৈহিক সৌন্দর্য ছেলেদের বড় ব্যাপার নয় বলে এ নিয়েও তারা কোনোমতে পার পেয়ে যায়।” তিনি সুন্দরী হওয়ার শর্ত হিসেবে নারীর উচ্চতাকেও মূখ্য মনে করেন। তাইতো তিনি হাই হিলের গোপন রহস্যে অভিভূত হন এবং শাড়িকে আখ্যা দেন ‘মেকআপ দ্য লস’ হিসেবে।
* “নারী দেহকে কতটা প্রদর্শন করলে আর কতটা অপ্রকাশিত রাখলে তা শারীরিক মোহ বজায় রেখেও দর্শকের চোখে অনিন্দ্য হয়ে উঠবে, তা পোশাকটি যেন সহজাতভাবেই জানে”। এর মধ্য দিয়ে উনি এটাই বলতে চাচ্ছেন যে মেয়েরা শাড়ি পড়ে শুধুই দেহ প্রদর্শনের জন্যই? আমাদের মা বোনরা স্ত্রীরা শাড়ি কি পড়ে এইসব আলোকিত মানুষের নামে কলংকিত চরিত্রদের চোখে শুধুই যৌন আবেদন সৃষ্টি করার জন্য?

প্রথম আলোর একটা শ্লোগান হচ্ছে “চোখ খুলে দেয় প্রথম আলো”। আমার আগে ধারণা ছিল এরা এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করে। কিন্তু এইবার বুঝলাম এরা কদাচিৎ নির্ভেজাল সত্য কথাও বলে। এই লেখাটাই এর জ্বলন্ত প্রমাণ।

পুরো লেখাটাই যেন অবাধ যৌনতার এক চরম বহিঃপ্রকাশ। নারীর উচ্চতা ও দৈহিক বৈশিষ্ট্যকে কটাক্ষ করে তিনি সৌন্দর্যের যে মান নির্ধারণ করেছেন তা উগ্র বর্ণবাদী মানসিকতার প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। সব মেয়েদেরকে মাপা হয়েছে শুধু মাত্রই তাদের শারীরিক আঙ্গিকে। মুক্তমনার দাবিদার এই লেখক সত্যিই নিজের কুপুরুষত্বের প্রমাণ দিলেন! মেয়েদের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান আছে এমন কোন পুরুষ এই লেখা লিখতে পারে না। উনি শুধু কুপুরুষই হয়েছেন কিন্তু মানুষ হতে পারেন নি! মেয়েদের দেখলে উনার কি আলোকিত হয় সেটা এখন দিনের আলোর মতোই সুস্পষ্ট!

এই লেখক বলেছেন, বাংলাদেশের মেয়েরা আজকাল বিভিন্ন মডার্ন পোষাক পরে হাস্যকর আত্মতৃপ্তি নেয়৷ মেয়েরা তাদের দৈনন্দিন স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কর্মোপযোগী পোষাক পড়লে কিংবা ধর্মীয় আদেশ মেনে পোষাক পড়লে সেটা আপনার কাছে হাস্যকর আত্মতৃপ্তি? বেপর্দা মেয়েদের দেখার এতই নির্লজ্জ আর বেহায়া খায়েস আপনার? উচ্চতাজনিত ত্রুটি মানে সোজা বাংলায় খাটো হওয়া পুরুষের জন্য তেমন সমস্যার না৷ তবে নারীদের কোনভাবেই খাটো হওয়া চলবে না৷ নারীকে এই ত্রুটির জন্যে ‘মেইক আপ দা লস’ করতে হবে৷ কিন্তু কিভাবে সেই মেইকআপ করবে? শাড়ির ন্যায় দীর্ঘ পোষাক পড়ে। কারণ তাতে নাকি ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা নারীকে দেখতে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি দেখাবে৷ আর উনি তাতে যৌনতৃপ্তি পাবেন। শারীরিক উচ্চতা কোন ব্যক্তির এচিভড কোয়ালিটি নয়৷ নিজের অর্জিত গুণের বাইরে গিয়ে শারীরিক সৌন্দর্য্য নিয়ে মেতে থাকার মতো অনর্থক কাজ বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরাই করে না। জেনে রাখুন আলোকিত সাহেব, প্রতিটা নারীই পূর্ণাঙ্গ মানুষ৷ সে কি পড়বে, কি পছন্দ করবে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

শাড়ি নিয়ে এত জঘন্য একটা লেখা লিখে দেশের পার্ভাট পুরুষদের যেই রকম উৎসাহ দিলেন, অদূর ভবিষ্যতে আপনার স্ত্রী, মেয়ে, বোনের বা কোন আত্মীয়ার শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে আপনার মতো তথাকথিত এবং আলোকিত সুশীল কেউ যদি সাহিত্য আর সংস্কৃতির নামে শরীরের আঁকবাঁক খুঁজলে, বুকের উচ্চতা মাপার কথা বললে তখন মুখটা কোথায় লুকাবেন সেটা আগে ভাগেই ঠিক করে রাখুন!


নিজের যৌন চাহিদার কথা বলতে যেয়ে উনি মৃত খোদ রবী ঠাকুর’কে ছেড়ে দেন নি। উনি লিখেছেনঃ “ইংল্যান্ডের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: এখানে রাস্তায় বেরোনোর বড় সুবিধা যে থেকে থেকেই সুন্দর মুখ দেখতে পাওয়া যায়। বাঙালি জাতির বেলায় কথাটা হয়তো ওভাবে খাটবে না। তবে মাঝে মাঝে এ দেশেও যে এক–আধজন সুন্দর মুখের দেখা পাওয়া যায় না, তা–ও নয়।” তার মানে কি সেটা আপনি নিজেই চিন্তা করুন! উনার মনে সুতীব্র আফসোস, এই দেশে মাত্র অল্প কিছু সুন্দরী রমনীর শাড়ি পড়া কামনা মদির দেহের দেখা তিনি পান, যাদের দেখে তার মনে ও শরীরে অতৃপ্ত কামনার আগুন জ্বলে। সংখ্যাটি অত্যন্ত কম, এটি নিঃসন্দেহে চরম কষ্টের কথা! আলোকিত এই লেখকের কথা মতো মেয়েদের একমাত্র কাজ এই সব কুপুরুষের শরীর ও মনের ক্ষুদা/চাহিদা নিবারন করা। সুতরাং এই দেশের প্রতিটা মেয়ের সায়ীদ সাহেব উপদেশ মতো সেই ভাবে শাড়ি পড়া উচিত, যাতে নারীদেহের প্রতিটা ভাঁজ কিংবা আঁকবাঁক আরও গাঢ় ভাবে ফুটে উঠবে, পশ্চাতদেশের খাদ সুস্পষ্ট হবে, বুকের উচ্চতা স্পষ্টভাবে বুঝা যেয়ে উনার মতো আলোকিত কুপুরুষদের বহুদিনের ধব্জভঙ্গ নিম্নাংঙ্গে উত্তেজনার সুনামী তুলবে।

উনার লেখা পড়ার পর সিনিয়র সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আবহমান কালজুড়ে বাঙালি নারীর প্রিয় সুন্দর সম্মান ও ব্যক্তিত্বের পোশাক হলো শাড়ি। শাড়ি আমার মা পরেছেন, আমার বোনেরা পরেন। শাড়ি আমাদের শিশুকন্যারাও পরে। শাড়িতে নারী আমার কাছে অনেক বেশি সম্মান ও শ্রদ্ধার।’ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার শাড়ি লেখাটির কিছু কিছু বর্ণনায় নারীকে পণ্যের শামিল করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘তার জীবনের পড়ন্ত বেলায় ভেতরে বাস করা যৌনবিকৃত পুরুষের চেহারাই উন্মোচিত হয়েছে।’

চরম সেক্সিস্ট (যৌন বৈষম্যমূলক) ও রেসিস্ট (বর্ণবাদী) এই লেখায় উনি শাড়িকে উত্তেজক পোশাক উল্লেখ করে মূলত নারীকেই পণ্য হিসেবেই মূল্যায়ন করেছেন। সারা দেশে সবাই যখন নারী বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে সেখানে উনার এই অবেবেচক কথাগুলি সমাজে ধর্ষকামী আচরণকে উৎসাহিত করবে।
যেকোন দেশে সুশীল শ্রেণীর কথাবার্তা এবং আচরন দেখলেই নাকি সেই দেশের মানুষের রূচি সর্ম্পকে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। কারন এদের কথাবার্তা পরবর্তি প্রজন্মকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে। আর তাই সুশীল এই শ্রেনীর সবাই’কে হতে হয় সতর্ক, রুচিশীল, সংযমী মনোভাবের। অথচ, এখন আমাদের দেশে এই তথাকথিত সুশীল শ্রেনীরা নারীবাদীদের সমর্থনের নামে যা ইচ্ছে বলে এবং করে বেড়াচ্ছে। এদের কুৎসিত রূচি কিংবা আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই যে কেউ হয়ে যাব জঙ্গী, আল কায়েদা কিংবা আফগান! এই সমস্ত সুশীল আসলে সুশীল নয় বরং এরা ভালো মানুষের মুখোশ পড়া ভাঁড়ামি সর্বস্ব কদাচার রূচির পুরুষ। যে ভাষা ব্যবহার করে শাড়ি নিয়ে লেখা হয়েছে, যেভাবে উনি ‘উঁচু-নিচু ঢেউগুলো’র দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই ইঙ্গিতের সঙ্গে ‘চটি’র ভাষার সাথে কি কোন পার্থক্য আছে?

নারী শরীরকে কতটুকু অনাবৃত রাখলে তা আপনার কাছে রহস্যখচিত লাগে, জনাব আলোকিত সাহেব? শাড়ি তো মেয়েরা অনেক ভাবেই পড়ে, শাড়ি কেউ নাভির নিচে পড়ে, কেউ পড়ে উপরে। আপনার কোনটা ভাল লাগে? নাভি দেখা গেলে? নাকি না দেখা গেলে? ব্লাউজের হাতার দৈর্ঘ্যও তো কম বেশি হয়। কেউ পড়ে ফুল হাতা, কেউ হাফহাতা, কেউ ম্যাগি, কেউ হাতা একদম কাটা ব্লাউজ। আপনার কোনটা বেশি উত্তেজনা সৃষ্টি করে লেখায় উল্লেখ করলেন না? আবার শাড়ি পড়ার ঢংও সবার এক নয়। আপনার কাছে কোন ঢংটি সবচেয়ে যৌন আবেদন পূর্ণ?

আবু সায়ীদ সাহেব, ভালো ফলমূলও বেশিদিন খারাপ জায়গায় রেখে দিলে তাতে পঁচন ধরে। জানি না আপনার বেলায় ঠিক কি ঘটেছে? তবে আপনার রূচির যে ভয়াবহ পঁচন ধরেছে সেটা আমি নিশ্চিত।

আলোকিত মানুষের তকমা, সুশীলতার তকমা, সাদামনের মানুষের তকমা, সর্বজন গৃহীত চরিত্রের তকমা নিয়ে যা লিখেছেন তাতে সেটা পতিতালয়ের দালালদের সাথেই তুলনার যোগ্য। শুধু তুলনা নয় আরও নিকৃষ্ট বললেও কোনভাবেই ভুল হবে না, কারণ এরা তো পেটের দায়ে এসব করে, কিন্তু আপনি কিসের দায়ে এসব লিখে বেড়াচ্ছেন? বেলায় বেলায় অনেক সময় তো পার হয়ে গেছে, এবার ঝেড়ে কাসুন তো সুশীল সাহেব?

আপনার আমার জন্মদাত্রী মেয়েদেরকে যৌনতার পণ্য নয়, বরং মা, বোন,‌ স্ত্রী কিংবা নিজের মেয়ের মতো মনে করতে শিখুন। হুমায়ূন আজাদের মতো মেয়েদের শুধুমাত্র দেহের দিকে তাকিয়ে আফসোস কিংবা হাসফাঁস করা বন্ধ করুন। উনাকে এখন এইসব কুৎসিত আচরণের পাই পাই করে হিসাব দিতে হচ্ছে। এই হিসাব দেয়া থেকে কিন্তু ইহলোকের কোন ব্যক্তিই মুক্তি পাবেন না! এই বৃদ্ধ বয়সে এসে এসব অসংলগ্ন আচরণ বন্ধ করে মেয়েদের শ্রদ্ধা আর সম্মান করতে শিখুন, মন থেকে ভালোবাসতে শিখুন, নারীত্বের হৃদয়কে বুঝতে শিখুন। তাদের উঁচু নীচু বুকের আর পেটের ভাঁজগুলির দিকে তাকিয়ে যৌন চেতনা সৃষ্টি না করে, মেয়েদের গর্ভাবস্থায় তার স্ফিত উদরকে ভালোবাসুন যেটা আপনাকে এই সুন্দর ধরণীতে নিয়ে এসেছিল, বাকি সবকিছু বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নিজের জন্মদাত্রী মায়ের কথা একবার স্মরণ করে হলেও!

আপনার শাড়ি নিয়ে লেখাটা অবশ্যই কোন সাহিত্য নয় বরং এটা দেহত্বের রগরগে বর্ণনা! আবু সায়ীদ সাহেব, আপনার এই লেখা পড়ার পর ব্যক্তিগতভাবে আপনি আমার সবধরনের শ্রদ্ধাই হারালেন।



সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, অক্টোবর ২০১৯

মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখাটি সম্পূর্ণ পড়িনি ইনশাআল্লাহ পড়বো

উনার লেখাটি আমি পড়েছি । অনেকে বলেছেন উনি লেখক কবি সাহিত্যিক উনি এধরণের লেখা লিখতেই পারেন। তারও স্বাধীনতা আছে। হুম অনেকেই তাকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু উনার লেখা পড়ে মন খারাপ হয়েছে। যেভাবে শাড়ী পরা নারীর ভাঁজে ভাজে উনি চোখ রেখেছেন আসতাগফিরুল্লাহ্ । রুচিহীন মানুষ। আল্লাহ উনাদের হেদায়েত দিন।

(দেখবেন এই পোস্টেও জ্ঞানীরা জ্ঞান ছাড়বে এসে )

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ১ম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
উনার রূচিহীন বিকৃতি নিয়েই আমি লিখেছি। আমি আমার বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ।
ব্লগে কেউ প্রতিবাদ না করলেও আমি এইসব বিষয়ে ঠিকই প্রতিবাদ করে যাব।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: স্যারের প্রতি আমার অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া সংক্রান্ত অনেক স্মৃতি আছে তার সাথে আমার ।তার সাথে হাত মেলালে আমার অন্য রকম অনুভুতি হতো । শাড়ি নিয়ে লেখাটা পড়ে আমার খুব খারাপ লেগেছে।
আপনার পোষ্টটা ভালো হয়েছে। পড়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো প্রিয় ভাইয়া।
ধন্যবাদ

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: ইসিয়াক,
আপনার মনুষত্য বোধ আছে দেখেই আপনার খারাপ লেগেছে।
কিন্তু ব্লগে একটা নিন্ম তম বিবেক বর্জিত ডো ডো আছে যার চামড়া গন্ডারের চেয়ে মোটা তার কাছে খারাপ লাগেনি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

বিজন রয় বলেছেন: সম্পূর্ণ পড়লাম।
+++++++++

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সাংবাদিক হাবিবুর রহমান সাহেবের মতামতই সুন্দর। আমাদের মা চাচীরা শাড়ী পরেছেন। এখন হয়তো আমরা সময়ের জন্য শাড়ী পরি না । কিন্তু শাড়ির প্রতি দুর্বলতা সব মেয়েদেরই আছে সেটা হোক বংশগত কারণেই। তবে শাড়ীর চেয়ে ঢোলা সালোয়ার কামিজই শাড়ীর চেয়ে পর্দা বেশী হয় ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: সাংবাদিক হাবিবুর রহমান সাহেবের মতামত আমার কাছেও ভালো লেগেছে। তাই আমার লেখাতেও তুলে দিয়েছি।
ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পোষাকের শ্লীলতা, অশ্লীলতা কখনো কখনো মানুষের দেখার চোখ বা ভাবনার 'পর ডিপেন্ড করে।
আর মানুষের ভাবনায় পরিবেশের প্রভাব পড়ে।
আমার কাছে শাড়ী শালীন। কারণ আমি আমার মা বোনদের ভদ্র চোখে শাড়িরজমিন গায়ে জড়িয়ে ভদ্রভাবে দিনযাপন করতে দেখেছি। দেখছি।

আবার এই শাড়িতেই প্রেমিকাকে স্যারের মতো নগ্নচোখে দেখেছি। দেখবো।

স্থানকাল, ব্যক্তিভেদে নগ্নতা, পর্দা সবকিছুরই আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে; কিছু মানুষ এটা মানতে চান না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: জুনায়েদ ভাই,
আমি ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি। সায়ীদ সাহেব একটা খুব সাধারণ পোষাক নিয়ে গনহারে এমন রগরগে বর্ণনা দিতে পারেন না।
স্থানকাল, ব্যক্তিভেদে নগ্নতা, পর্দা সবকিছুরই আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে। আপনি আপনার প্রেয়সীকে যেভাবে ইচ্ছে কাপড় পড়তে বলতে পারেন, দেখতে চাইতে পারেন। কিন্তু তাই বলে আপনার পছন্দ দেখে সব মেয়েদের কেই এভাবে বলতে পারেন না।
সব মেয়েকে কেন আপনার কথা মতো আজেবাজে পোষাক পড়ে ঘুরে বেড়াবে?
ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আজেবাজে মানুষের বাজে নোংরা চিন্তা, তাদের নিয়ে লিখাটাও এক ধরণের পাপ। তখন তাদের লিখাটা পাবলিসিটি করা হয়। নোংরা মন্তব্য-নোংরা লেখা, নোংরা লেখক - নোংরা মন মানসিকতা এরা একই মাটির তৈরি। ইগনোর করুন।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই,
আমি মানি আপনি যা বলেছেন। কি জঘন্য সব কথা বার্তা, পড়লে মাথা নষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু এই সব নোংরামির তো কিছুটা হলেও প্রতিবাদ করা উচিত। না হলে এরা বুঝব কিভাবে যে এরা ভুল লিখেছে।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শাড়ি এক মহান পোশাক।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই,
এই সুশীল মানুষ এই মহান পোষাকের নামে যা ইচ্ছে তাই বলে গেছেন।
বলতে বলতে নোংরামির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আবদুল্লাহ আবু সায়িদ, ড: জাফর ইকবাল, শেখ সাহেবের বিপক্ষে কৌশলে প্রচারণা চালাতে হলে, শাড়ী, হাঁড়ীর অভাব নেই; সুন্দর প্রচেষ্টা! ব্লগারেরা আবার সামুতে ফিরে আসবে, তখন আবার শীতকালীন ওয়াজ মাহফিলের উপর পোষ্ত দিতে হবে।

কোথায় আবদুল্লাহ আবু সায়িদ সাহেব, আর কোথায় লিলিপুটিয়ানরা!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১২

নীল আকাশ বলেছেন: এই সব ভাড়দের নিয়ে শীত কালীন ওয়াজের দরকার নেই! আপনি আপনার নেত্রী আর তার সাঙ্গপাঙ্গ মিলে দেশে যে ক্যাসিনোর অভূতপূর্ব বিনোদন এনে দিয়েছেন সেটা নিয়ে দালালি মার্কা পোস্ট দিতে দিতে ব্লগে ভরে ফেলুন। সাথে আপনার চেলা চ্যামুন্ডাদেরও অংশ গ্রহন করতে বলবেন। বেশি বেশি দালালি করলেও যদি কিছুটা উচ্ছিষ্ট জোটে হাভাতের এই দলের কাছ থেকে।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ড: জাফর ইকবালের পর নতুন টার্গেট আবদুল্লাহ আবু সায়িদ সাহবে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা পড়েছেন নাকি না পড়েই নির্বোধের মতো ব্যা ব্যা করছেন?
সারমেয়দের লেজ আসলেই কখনই সোজা হয় না আর ডো ডো পাখি সারাজীবনই না বুঝেই ছাগলের
পাঁচ নাম্বার বাচার মতো ব্যা ব্যা ক রে যায়!

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসিয়াক বলেছেন, " স্যারের প্রতি আমার অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া সংক্রান্ত অনেক স্মৃতি আছে তার সাথে আমার ।তার সাথে হাত মেলালে আমার অন্য রকম অনুভুতি হতো । শাড়ি নিয়ে লেখাটা পড়ে আমার খুব খারাপ লেগেছে। "

-আপনি আসলে কবিতা লেখা শুরু করাতে, স্যারের থাকে বড় হয়ে গেছেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আর আপনি তার চেয়েও বড় হয়ে সব জান্তা শমসের হয়ে গেছেন!

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " লেখাটা পড়েছেন নাকি না পড়েই নির্বোধের মতো ব্যা ব্যা করছেন? "

-এটা লেখা না, এটাকে বলে রাস্তার উপর পড়ে থাকা মলমুত্র; ড: জাফর ইকবালকে আক্রমণ আগে এই ধরণের পোষ্ট আসতো; উনাকে রক্ষার জন্য পুলিশ দেয়ার পর, এই ধরণের লেখা কমে গিয়েছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম আলোতে প্রকাশিত লেখাটা পড়েছেন আপনি?
লেখাটা পড়ার পর খারাপ লাগেনি আপনার?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: ভাষার ব্যাপারে সর্তক করে দিলাম। আরেকবার এই ধরনের ভাষা কিংবা শব্দ দেখব আমার ব্লগে থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেব।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আবদুল্লাহ আবু সায়িদের পর পাইপ লাইনে কোন বাংগালী আছেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: কেন সায়িদ সাহেবের মতো চুচিল আর নির্বোধ জ্ঞানশূন্য পাপীদের অভাব আছে নাকি দেশে?
আপনি তো আবার চোখে দেখে না, সুতরাং আপনি দেখবেন কিভাব?

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১০ নং কমেন্ট'এ টাইপো আছে।

@ইসিয়াক,

বলেছেন, " স্যারের প্রতি আমার অনেক ভক্তি শ্রদ্ধা ছিল। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া সংক্রান্ত অনেক স্মৃতি আছে তার সাথে আমার ।তার সাথে হাত মেলালে আমার অন্য রকম অনুভুতি হতো । শাড়ি নিয়ে লেখাটা পড়ে আমার খুব খারাপ লেগেছে। "

-আপনি আসলে কবিতা লেখা শুরু করাতে, আপনি স্যারের থেকে বড় হয়ে গেছেন। এতদিনের স্যার এক 'শাড়ী'তেই শেষ?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুধু ১০ নাম্বার নয় আপনি নিজেও ব্লগের সব চেয়ে বড় টাইপো।

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন:, " প্রথম আলোতে প্রকাশিত লেখাটা পড়েছেন আপনি? লেখাটা পড়ার পর খারাপ লাগেনি আপনার? "

-ড: জাফর ইকবাল, আবদুল্লাহ আবু সায়িদ হচ্ছেন বর্তমান সভ্য বাংগালীদের প্রতীক, উনাদের লেখা আমি পড়ি; উনার এই লেখাটা সুন্দর ও সঠিক

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার রূচি এদের মতোই কদর্জ কুৎসিত আর নোংরা। মেয়েদেরকে আপনি কি মনে করেন সেটা এই মন্তব্য থেকেই বুঝা যাচ্ছে। চরিত্রের আসল রংং দেখা গেল তাহলে? এত দিনে অরিব্দম কহিলা বিষাদে!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার রূচি যে আগে থেকেই বিকৃত সেটা এখন আবার মনে পড়ল। আপনি তো নীল পরীর একটা কবিতায় শাড়ির ভিতরে কি জানি দেখেছিলেন। মন্তব্যে কি বলেছিলেন এখানে দিয়ে দেব নাকি?

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন:
পড়লাম লেখাটি । আমার কাছে যেটা মনে হল, এখনকার অনেক মেয়েরা নিজেদের স্মার্ট, সুন্দর, ও আবেদনময়ী দেখাতে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ বাদ দিয়ে পশ্চিমা পোশাক পরে । শাড়ী কে তারা আমলেই নেয়না । অথচ শাড়িও পারে একজন নারীকে সুন্দর ও আবেদনময়ী হিসেবে উপস্থাপন করতে এবং তা পশ্চিমা যে কোন পোশাক থেকে অনেক বেশী ।

তারা কেন শাড়ির মত একটি ট্র্যাডিশনাল পোশাককে বাদ দিয়ে অন্য সব পোশাক বেছে নেয় এবং তাতে যে তারা ভুল করে, শাড়ির মর্ম বোঝাতে গিয়ে উনি আরকি একটু বেশীই রঙ রস মিশিয়ে ফেলেছেন ।

উনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন তা আরও একটু সুন্দরভাবেও উপস্থাপন করা যেতো । তাহলে হয়তো আমরা লেখাটিতে উনার ভাষার দিকে নজর না দিয়ে লেখাটির মুল বিষয়টির দিকেই নজর দিতাম ।

আমরা লেবুর শরবত ছেড়ে কেন ট্যাং খাচ্ছি, এখন আমরা যে লেবুর শরবত কে পাত্তা দিচ্ছিনা তাই আমাদের লেবুর শরবতের গুনাগুন বর্ণনা করতে গিয়ে উনি লেবুকে এমন কচলিয়েছেন যে এখন তা আমাদের কাছে তেতো লাগছে ।

একজন বাঙ্গালী নারীকে শাড়িতে যতখানি সুন্দর লাগে আর কোন পোশাকে লাগেনা । কিন্তু শাড়ি পরার ঢং ও ধরনের উপর নির্ভর করে একটি মেয়েকে আবেদনময়ী লাগবে নাকি মায়াময় লাগবে । শাড়ি অবশ্যই সবচেয়ে সুন্দর তবে তার চেয়ে সালোয়ার কামিজ সবচেয়ে শালীন পোশাক ।

"শাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনাবেদনপূর্ণ অথচ শালীন পোশাক"-- কথাটি এভাবে না বলে "শাড়ি একটি শালীন অথচ আবেদনময়ী পোশাক" বললে ভালো হতো ।

প্রথম আলোর প্রকাশিত লেখাটি তো জঘন্য ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। ভাষার তারতম্য কিংবা শব্দের ভুল প্রয়োগ একটা লেখার যেমন গুনগত মান নষ্ট করে দেয় ঠিক তেমনই অর্থও কিংবা প্রেজেন্টেশনও বদলে দেয়।

শাড়ি শুধু উনার কাছে কেন সবার কাছেই ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে অশালীন নোংরা ভাষার শব্দ চয়ন ব্যবহার করে মেয়েদের একদিকে দেহ নিয়ে বাজে তীর্যক ইঙ্গিত করা এবং তার সাথে সাথে এই দেশের সব মেয়েদের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উচ্চতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা কোন ভাবেই উচিৎ হয় নি। উনি শাড়ি নিয়ে লেখার আওতার বাইরে চলে গেছেন, যেটার কোন দরকার ছিল না।

যে কোন মানুষের কোন কিছু পাবলিক মিডিয়াতে লেখার আগে সেটা ভালো করে দেখে নেয়া উচিৎ কারণ প্রকাশ হয়ে যাবার পর লেখার দায়িত্ব সর্ম্পূণ লেখকের।

উনি ইচ্ছে করলেই পুরো লেখাটা অন্য টোনে লিখতে পারতেন। ইন্টারনেটে প্রায় সবাই উনার এই লেখার জন্য তীব্র প্রতিবাদ করেছে। আমিই শুধু ব্লগে প্রথম করলাম। কারণ উনার লেখাটা আমার মোটেও পছন্দ হয় নি।

ভালো থাকুন সব সময়, শুভ কামনা রইল।

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #ফুলঝুরি পা' আপনার মন্তব্য আমার অনেক পছন্দ
আপনার মত সুন্দর কিছু লিখতে পারি না যদিও অনুধাবন করি

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: উনি সবচেয়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমাকে সময় নিয়ে এর প্রতি মন্তব্য করতে হবে।
এটা ব্লগ ফেসবুক না। ব্লগের মন্তব্য এই রকম হওয়াই শ্রেয়।
ধন্যবাদ।

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " কেন সায়িদ সাহেবের মতো চুচিল আর নির্বোধ জ্ঞানশূন্য পাপীদের অভাব আছে নাকি দেশে? "

আপনি উনার লেখা নিয়ে লাগেননি, উনি আপনাদের টার্গেট, ড: জাফর ইকবালের মতো আরেকটি টার্গেট; উনি জ্ঞানী বাংগালী হওয়াটাই উনার অপরাধ!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি লেখার ব্যাপারে সব সময় যথেষ্টই সচেতন। আমি আপনাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করলাম। এই লেখায় শাড়ি বিষয়ক কিছু ছাড়া আর কিছু থাকলে সেটা খুঁজে বের করে দেখান, যদি হিম্মত থাকে।
এই ধরনের লেখা ব্লগের কয়জন লিখতে পারবে সেটাও আঙ্গুল দিয়ে গুনে দেখবেন।
ধন্যবাদ।

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: হুমায়ুন আজাদ, ড: জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়িদেরা এই দেশে বরাবরই টার্গেট ছিলেন, উনাদের চলন বাঁকা!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: কারণ চোর শ্রেণির লোকজন সবসময় পুলিশের টার্গেটে থাকে।
দেশে এক নাম্বার চৌর্যবৃত্তির লেখক জাফর ইকবালকে আপনি পছন্দ করবেন না তো কে করবে?
কারণ আপনাদের ২জনের রূচিই বিকৃত!

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " ভাষার ব্যাপারে সর্তক করে দিলাম। আরেকবার এই ধরনের ভাষা কিংবা শব্দ দেখব আমার ব্লগে থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেব। "

-মনে হচ্ছে, আমার ভাষাকে আরেকটু পলিশ করতে হবে!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রথম আলোর অনলাইনে স্যারের লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ে পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে আবার আসা।
ব্লগার কথার ফুলঝুরি উপরে আমার কিছু কথা উনার মতো করে সুন্দর করে বলে গেছেন।
তবুও আমার মতো করে আমিও কিছু বলে যাই-

মিতা,
স্যার আসলে শাড়িকে অপমান করেননি। বরং শাড়ির সৌন্দর্য বিশদভাবে আলোচনা করেছেন। শাড়িকে মেকাপের সাথে তুলনা করেছেন। গহনার সাথে তুলনা করেছেন। জাদুবস্ত্রের সাথে তুলনা করেছেন।
বিশদভাবে করা আলোচনা শৈল্পিক করতে গিয়ে বিভিন্ন শব্দ, উপমা ব্যবহার যেগুলো আপনার বা অনেকেরই হয়তো একটু বেশিবেশি মনে হলেও আমার খুব খারাপ একটা খারাপ লাগেনি।

বাংগালি মেয়েদের শাড়িতে ভালো, সুন্দর লাগে এটা তিনি তিনার মতো করে বলেছেন। যেমন:

"শাড়ি একটা রহস্যময় পোশাক। নারী দেহকে কতটা প্রদর্শন করলে আর কতটা অপ্রকাশিত রাখলে তা শারীরিক মোহ বজায় রেখেও দর্শকের চোখে অনিন্দ্য হয়ে উঠবে, তা পোশাকটি যেন সহজাতভাবেই জানে।শাড়ি ছাড়া এমন জাদুকরি রহস্য আর পরস্পরবিরোধী মাধুরী আছে কোন পোশাকে? শরীর নিয়ে এমন শিল্পিত খেলা আর কে খেলতে পারে? সালোয়ার-কামিজ, টাইট জিনস, মিনি স্কার্ট কি এর সমকক্ষ? শেষেরগুলো তো প্রায় পোশাক না থাকারই শামিল। জাপানি কিমোনোর রং ওদিকে আবার বেশি রকম উচ্চকণ্ঠ। শরীরের সহজাত মাধুর্যকে এ প্রায়শই ছাপিয়ে যায়। বাকি পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই পোশাক হয় শরীরটাকে রমণীয় গুদামঘর বানিয়ে রাখে, নয়তো প্রায় বিবসনা করে রগরগে যৌনতার মৌতাত উদ্​যাপন করে।"

- এটাও তো সত্য?
শাড়িতে ষাটোর্ধ মহিলাদেরও মানায়। পর্দানশিন মহিলাদেরও মানা।
শাড়ি বউ বা প্রিয়তমা পরে
মা, চাচী, মামীরা পরেন
দাদী নানীরা পরেন
অর্থাৎ শাড়িতে সব ধরনের নারীদের মানায়। এটা চমৎকার একটা পোশাক। এই পোশাক বাংলার ঐতিহ্য। এটা থেকে আমাদের মা বোনেরা মুখ ফিরিয়ে নিক এটা আমিও চাইনা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: মিতা ভাই,
আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে যখন আমি আমার জন্য সাজতে বলি, তখন ওকে শাড়িই পড়তে বলি। কারণ খুব সোজা। বাংলাদেশি একটা মেয়েকে সবচেয়ে মোহনীয় এবং আকর্ষনীয় লাগে শাড়িতেই।

কিন্তু একটা জিনিস মারাত্মক ভুল, সেটা হচ্ছে মোহনীয়তা এবং যৌন আবেদনময়ীতা মধ্যে পার্থক্য খুঁজে না পাওয়া। উনি যদি যৌন আবেদনের কথা না নিয়ে আসতেন, তাহলে আমি এত কষ্ট করে এতগুলি টাইপ করে এত কথা লিখতাম না।

উনার শব্দ চয়ন এবং টোনের সিলেকশন ভুল হয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বাজে নোংরা কিছু ইংগিত করেছেন যেটা নিরপেক্ষ ভাবে পড়লে সহজেই চোখে পড়ে।

আবার ফিরে আসা এবং চমৎকার মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
শুভ রাত্রী।

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন: পুরোটা পড়তে পারলাম না, আবার চেষ্টা করবো।
তবে, মনে হচ্ছে, আমারও চোখ খুলে যাবে।

শুভ কামনা রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: মাহের ভাই,
লেখাটা অবশ্যই পড়বেন। বিশেষ করে প্রথম আলোতে প্রকাশিত লেখাটা তবে সেটা পড়ার সময় কে লিখেছে সেটা মাথায় রাখবেন না। এটা একধরনের সাইকোলজির ব্যাপার, আবু সায়ীদ লিখছে উনি তো ভালো মানুষ তখন দেখবেন উনার ভুল গুলি আর চোখে পড়বে না। আশা করব ঐ লেখাটা পড়ার পর আমারটা পড়বেন এবং আমি যদি ভুল কিছু লিখে থাকি তাহলে সংংশোধন করে দেবেন।
ধন্যবাদ।

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

বলেছেন: লিংকটা দেন না... প্লিজ।।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি লেখার ভিতরেই লিংক দিয়ে দিয়েছি। শাড়ি শব্দটাতে ক্লীক করলেই হবে। নীচে আবার ইসয়াক ভাইও লিংক দিয়ে দিয়েছেন। পড়ে দেখুন আলোকিত মানুষ কি রকম অন্ধকারের বর্ণনা দিয়েছে!

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
উনি বলেছেন এবং ফেসবুকে মানুষ উনাকে যা তা বলেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: উনি যা তা শুনার মতোই কাজ করেছেন। চুরি করলে চোর বলবে না তো কি সাধু বলবে সবাই!

২৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: শাড়ি - Prothom Alo

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি লেখার ভিতরেই লিংক দিয়ে দিয়েছি। শাড়ি শব্দটাতে ক্লীক করলেই হবে।
তারপরও আবার এসে লিংক দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ রইল ভাই।

২৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

বলেছেন: পাঁচ ফুট শরীরে বার হাত শাড়ি
তবুও অঙ্গ ঢাকতে পারে না মোর নারী।।।

আবু সাইয়েদ বলেছেন, শাড়ি পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনাবেদনপূর্ণ অথচ শালীন পোশাক। শুধু শালীন নয়, রুচিসম্পন্ন, সুস্মিত ও কারুকার্যময় পোশাক।।।

তিনি আদত শাড়িকে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে বলেছেন।।।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০১

নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই,
শাড়ি বাচিয়ে রাখতে চেয়েছেন ঠিক আছে কিন্তু এর মাঝে যৌনাবেদন কিংবা আকা বাকা উচুনীচু খাজ দেখে বেড়াবেন এটা কেমন কথা?
ধন্যবাদ।

২৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তুচ্ছ একটা বিষয়ে এমন একটা পোস্ট লিখে নিজের সংকীর্ণতা প্রকাশ না করলেও চলতো। আমাদের চিন্তাধারা আরো বিস্তৃত হওয়া দরকার



@আবু সায়ীদ সাহেব, আপনার এই লেখা পড়ার পর ব্যক্তিগতভাবে আপনি আমার সবধরনের শ্রদ্ধাই হারালেন।
আপ্নি কাকে কতটুকু শ্রদ্ধা করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনেকরি, কোন এক পত্রিকার চিপার কলামে পড়ে থাকা দু-চারটা শব্দের জন্য একজনকে পরিমাপ করা মানে কূপমণ্ডূকতা। গল্পের স্বার্থে বা স্লিপ অফ টাং হিসেবে এমন শব্দ আসতেই পারে। [চটি পড়ে অভ্যেস আছে তো এমন শব্দে কোন চেতনা জাগ্রত হয় না]

নারী বা ধর্ম বিষয়ে হুমায়ূন আজাদের কিছু মন্তব্যের বিরোধীতা করি কিন্তু রাজনীতি ও সামাজ বিষয়ক তার মন্তব্যগুলো নিরেট সত্য। খুব কম লেখকই অমন ফরোয়ার্ড ভাষায় লিখতে পারে।


গাজীর সাথে তর্কে না জড়ালে খুশি হব। বেটার হয় তার প্রতিউত্তর না করা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: মন্ডল ভাই,
আমি আমার নিজের বিষয় বা পছন্দ নিয়েই বলতে পারি। আর উনার লেখাটার দোষ ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছি ব্লগের সবার কাছে, ব্লগের বিবেকের কাছে। আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন। কে ঠিক বলেছে? উনি নাকি আমি শুধু উনাকে দোষারোপ করছি।
আমি উনাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। আমি উনার এই লেখারই শুধু সমালোচনা করেছি যেটা আমার জুরিসডিক্সশনের ভিতরে পরে।
হুমায়ুন আজাদ কিছুটা বিকৃত রূচির হলেও দারূন সব নির্ভেজাল সত্য কথা বলে গেছেন। সেগুলি অস্বীকার করা অন্যায় হবে।
আরেকটা কথা, কোন কিছু অন্যায় মনে হলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সেটার অবশ্যই প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রী।

২৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২১

আরোগ্য বলেছেন: নাম তো আবদুল্লাহ কিন্তু কথাবার্তা শুনে মনে হয় আবদুল খান্নাস। লোকটারে মতিছাড়ায় পাইসে। এরকম অশ্লীল বক্তব্যের জন্য অনেক শালীন মেয়েও শাড়ি পড়তে বিব্রত বোধ করবে।



মন্তব্যের ঘরে অঙ্কের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মুরুব্বিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
উনি ইচ্ছে করলেই পুরো লেখাটা অন্য টোনে লিখতে পারতেন। ইন্টারনেটে প্রায় সবাই উনার এই লেখার জন্য তীব্র প্রতিবাদ করেছে। আমিই শুধু ব্লগে প্রথম করলাম। কারণ উনার লেখাটা আমার মোটেও পছন্দ হয় নি।

শাড়ি শুধু উনার কাছে কেন সবার কাছেই ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে অশালীন নোংরা ভাষার শব্দ চয়ন ব্যবহার করে মেয়েদের একদিকে দেহ নিয়ে বাজে তীর্যক ইঙ্গিত করা এবং তার সাথে সাথে এই দেশের সব মেয়েদের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উচ্চতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা কোন ভাবেই উচিৎ হয় নি। উনি শাড়ি নিয়ে লেখার আওতার বাইরে চলে গেছেন, যেটার কোন দরকার ছিল না।

যে কোন মানুষের কোন কিছু পাবলিক মিডিয়াতে লেখার আগে সেটা ভালো করে দেখে নেয়া উচিৎ কারণ প্রকাশ হয়ে যাবার পর লেখার দায়িত্ব সর্ম্পূণ লেখকের।

উনি মাঝে মাঝে না বুঝেই বড়ই উপকার করেন!! ব্লগে একটা পূর্ণ বিনোদন থাকুক না!!

শুভ কামনা রইল।

২৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " কারণ চোর শ্রেণির লোকজন সবসময় পুলিশের টার্গেটে থাকে।
দেশে এক নাম্বার চৌর্যবৃত্তির লেখক জাফর ইকবালকে আপনি পছন্দ করবেন না তো কে করবে?
কারণ আপনাদের ২জনের রূচিই বিকৃত! "

-আপনি গোলাম আযম সাহিত্য বিশারদের শিষ্য

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: আর আপনি হলেন ক্যাসিনো বানিজ্যের নেত্রীর গোলামী বিশারদ।

২৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজীব নুর বলেছেন, "উনি বলেছেন এবং ফেসবুকে মানুষ উনাকে যা তা বলেছে। "

-ফেইসবুজে রগকাটাদের সংখ্যা ব্লগ থেকে বেশী সব সময়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: হায় খোদা আপনি আবার ফেসবুকও বুঝেন!

৩০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

এ্যাক্সজাবিয়ান বলেছেন: আবদুল্লাহ আবু সাঈদ সাহেব কে ধরেন

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২২

নীল আকাশ বলেছেন: উনাকে ধরা আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে না। আমার যা দিয়ত্ব সেটা আমি লেখার মাঝে প্রকাশ করেছি।

৩১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১১

সুপারডুপার বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব আপনার চেয়ে বয়সে অনেক সিনিয়রই হবেন। আপনি উনাকে বলেছেন : ''আরেকবার এই ধরনের ভাষা কিংবা শব্দ দেখব আমার ব্লগে থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেব।''

নীল আকাশ, আপনি তো বুয়েটে পড়েছেন। অন্যজনের ভাষা খারাপ হলেও , বুয়েটে তো আমাদের স্যারেরা এই রকম ব্যবহার করতে শেখান নি।

বুয়েটকে এখনো বাংলাদেশের মানুষরা অন্যান্য ভার্সিটি থেকে আলাদা করে দেখেন। আপনাকে বুয়েটের বড় ভাই /ছোট ভাই মনে করে অনুরোধ করবো, এই রকম পরিস্থিতি তে আপনি মাথা ঠান্ডা রেখেই চলবেন।

আপনি যদি অন্য কোনো ভার্সিটির হয়ে থাকেন। তাহলে আমার বলার কিছু নাই। ভালো থাকবেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: মাত্র ৩ মাস ব্লগীং করে আমাকে ব্লগ নিয়ে জ্ঞান দিতে এসেছেন?
আপ্নি যখন সামুর নামও শুনেন নি তার আগে থেকে আমি উনার সাথে ব্লগীং করছি।
এরপর থেকে ব্লগের সিনিয়র ব্লগার কারা সেটা বুঝে মন্তব্য করবেন।
আর নির্বোধকে নির্বোধ বলার সাথে বুয়েটের সর্ম্পক কি?
শুধু এর মধ্যে বুয়েটকে টেনে এনেছেন কেন এখানে?
বুয়েটে কি ব্লগিং করা শেখায় নাকি?

৩২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আরোগ্য বলেছেন, " আরোগ্য বলেছেন: নাম তো আবদুল্লাহ কিন্তু কথাবার্তা শুনে মনে হয় আবদুল খান্নাস। "

- আরোগ্য লাভ করুন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: উনি ইতিমধ্যেই করেছেন। আমরা সবাই আপনার মানসিক আরোগ্য লাভের কথা চিন্তা করি!

৩৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক জন লেখক এর সব লেখাই যে সব পাঠকের ভালো লাগবে সেটা ঠিক নয়। আপনার যেটা ভালো লাগেনি সেটা আরেক জনের ভালো লাগতেও পারে। আবার আপনার যেটা ভালো লেগেছে সেটা অন্য এক জনের ভালো না লাগতে ও পারে। এটাই প্রকৃতির বিধান।
সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই,
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি কিন্তু আমার শ্রদ্ধা হারিয়েছেন সেটা বলেছি।
আপনাদেরটা আপনারাই বলতে পারবেন।

৩৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আরোগ্য বলেছেন, "মন্তব্যের ঘরে অঙ্কের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মুরুব্বিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। "

-আমি মন্তব্য করতে থাকি, আপনি আরোগ্য লাভ করুন।

৩৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

এ্যাক্সজাবিয়ান বলেছেন: @ব্লগার সুপারডুপার, ব্লগার নীল আকাশ বুয়েটের ছাত্র হবেন না। তার বিজ্ঞান সরকারী কলেজের ধর্মকামাসুত্রাবিজ্ঞান (এই নামের যদি কোনো বিষয় থেকে থাকে) নাবিলা কাহিনী, শবনম কাহিনী এগুলোকে সফট পর্ণ বলে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: @ এ্যাক্সজাবিয়ানঃ আপনার নিজের এবং বংশের পরিচয় প্রকাশ করার জায়গা এটা নয়। আপনি শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছেন। এটা শেষ সর্তক বানী। এরপর থেকে সরাসরি আপনার এই ধরনের মন্তব্য ডিলিট করে দেব। এবং ২য় বার এই ধরনের মন্তব্য রির্পোট করা হবে মডারেটরের কাছে এবং আমার ব্লগে আপনাকে চিরতরে ব্যান করা হবে।
কোন রকমের অশ্লীলতা আমি আমার ব্লগ বাড়ীতে প্রশয় দেই না।
ধন্যবাদ।

৩৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আব্দুল্লাহ আবু সাইদ একজন সাহিত্যিক । একজন সাহিত্যিকের দৃষ্টিভঙ্গিতে উনি শারী নিয়ে লেখাটি লিখেছেন। লেখাটি হুজুরদের জন্য নয়। হুজুরদের উচিৎ এই জাতীয় লেখা নিয়ে বিতর্ক না করে এইসব লেখা এডিয়ে চলা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ধারনা ভুল।
একজন নিজেকে সাহিত্যিক ভেবে যা ইচ্ছে তাই লেখার স্বাধীনতা পেতে পারে না।
শুধু আবু সায়ীদ কেন কেউ যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে না।
সমাজের সবার কাছে এটা ভুল মেসেজ নিয়ে৷যায়।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমার ভিন্নমতাবলম্বী হয়েও ঢাবিয়ান আমার কথাটিই বলে দিয়েছেন:

আব্দুল্লাহ আবু সাইদ একজন সাহিত্যিক । একজন সাহিত্যিকের দৃষ্টিভঙ্গিতে উনি শাড়ী নিয়ে লেখাটি লিখেছেন। লেখাটি শিবির বা হুজুরদের জন্য নয়।
এইসব বাচ্চা মাওলানাদের উচিৎ এই জাতীয় লেখা নিয়ে বিতর্ক না করে এইসব লেখা এডিয়ে চলা।

ঢাবিয়ানকে শ্যালুট। শিবিরকে ধিক্কার।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: আরে এটা কে? ব্লগের সব চেয়ে বড় ভারতীয় দালাল দেখি আমার ব্লগে? ভারতীয় দালালি রেখে সাহিত্য নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে আপনার।
শাড়ি নিয়ে না ভেবে তিস্তা নদীর চুক্তি হলে দেশে কত বড় বড় ক্ষতি হতে পারত সেটা নিয়ে অজগরের সমান একটা পোস্ট প্রসব করেন ব্লগে।
এটার পর, ফেনি নদীর পানি দেশে এতদিন ধরে কি কি ভয়ংকর ক্ষতি করছে এবং কেন এই পানি অবশ্যই ভারতকে দিয়ে দিতেই হবে সেটা নিয়ে আরেকটা পোস্ট প্রসব করুন ব্লগে।
পারলে দ্বিতীয় পোস্ট হিন্দিতে দিবেন। আপনার নেত্রীও আজকাল হিন্দিতে বোল দেয়া শুরু করে দিয়েছে। আপনি শুধু শুধু বাদ যাবেন কেন? নেত্রীর পদাংক অনুসরণ করা তো আপনাদের দলীয় দায়িত্ব!

৩৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৮

গরল বলেছেন: আব্দুল্লাহ আবু সাইদ একজন লেখকও বটে, লেখকদের যে সবসময় নিতীবাক্য শুনাতে হবে সেটা কোন রিতীতে বলা আছে। আপনি হয়ত হুমায়ুন আযাদ, সৈয়দ শামসুল ইসলাম বা বড় বড় কোন লেখকদের লেখা পড়েননি। লেখকরা যেমন নিতীবাক্য লেখে তেমন রঙ্গরস নিয়েও লিখে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: শাড়ি শুধু উনার কাছে কেন সবার কাছেই ভালো লাগে। কিন্তু তাই বলে অশালীন নোংরা ভাষার শব্দ চয়ন ব্যবহার করে মেয়েদের একদিকে দেহ নিয়ে বাজে তীর্যক ইঙ্গিত করা এবং তার সাথে সাথে এই দেশের সব মেয়েদের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উচ্চতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা কোন ভাবেই উচিৎ হয় নি। উনি শাড়ি নিয়ে লেখার আওতার বাইরে চলে গেছেন, যেটার কোন দরকার ছিল না
রঙ্গ রস লিখবে লিখুক কিন্তু অশ্লীল লেখা ঠিক হয় নি।

৩৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৮

বলেছেন: সাঈদ জামিলটা কে???

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: সুপার হিট এবং প্রথম আলোর কাছ থেকে পুরষ্কার প্রাপ্ত কবি।

৪০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শাড়ি নিয়ে যে হাটের হাড়ি ভেঙ্গে গেল- মন্তব্যে একেক জনের বয়ান একেক রকম। তা অবশ্যই ভিন্ন হতেই পারে।

আবু সাইদ ও নীল আকাশের পক্ষে বিপক্ষে যু্ক্তি তর্ক হতেই পারে তাই বলে হুজুর , মোল্লা, মাওলানা বলা কি আধুনিকতার পরিচয় ? তাও আবার নিজেকে ব্লগার হিসেবে প্রমাণ করে ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
এরা একটাও যুক্তি তর্ক দিয়ে আমার সাথে কথা বলবে না। সায়ীদ সাহবের পোস্ট বা লেখা নিয়েও কথা বলবে না। কারণ সেটা করলে যে হেরে যাবে। তাই নির্লজ্জের মতো হুজুর, মোল্লা, মাওলানা এই সব নিয়ে আসে। এই সব অনেক পুরানো থিওরী, এখন এইসবের কোন দাম নেই!!!!

একজন একটা পোস্টও দিয়েছে। মন্ত্যব্যের অবস্থা দেখে আসুন সেখানে? এখানে এসে যুক্তি দিয়ে মন্তব্য দেবার সাহস নেই!!!
ভালো থাকুন।
শুভ কামনা রইল।

৪১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছিল না, তারপরও করলাম দুইটা কারণে, প্রথমত আপনি আমার শিক্ষক জাফর ইকবাল স্যার কে চোর বলেছেন।আমি অফিসিয়ালি জাফর ইকবাল স্যারের সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের শেষ আন্ডারগ্রেডের থিসিস স্টুডেন্ট। সবাই মনে করে জাফর স্যার চুরি করে লেখে। আমি বলি আপনারে যদি বলি আপনি কার্ল সাগানের পুরো কসমস সিরিজটা দেখেন জীবনেও দেখবেন না। স্যার সেইটা দেখেন, দেখে বাচ্চাদের মত করে লিখেন। উনি তো বড়দের জন্য মোটেও লিখেন না। উনার লিখা পড়ে একটা দেশের একটা প্রজন্ম তৈরি হইছে। চুরি করা লিখা পড়ে যদি বাচ্চাদের জ্ঞ্যান বাড়ে আর সেইখানে যদি আপনার আপত্তি থাকে বুঝতে হবে আপনি মধ্যযুগে আছে। এই যুগে জ্ঞ্যান মূল কথা। উনি তো বস্তাপচা জ্ঞ্যান দিয়ে বেড়াচ্ছে না দুনিয়ার যেসব জায়গায় আপনার আমার এক্সেস নাই সেইসব জায়গা থেকে বই পড়ে লিখতেছে। আর একডেমিক প্ল্যাগারিজম উনি জীবনেও করেন নাই, কোন স্টুডেন্টকে করতেও দেন নাই। আমি উনাকে চার বছর কাছ থেকে দেখেছি আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে উনাকে ভাল চিনেন না?
আপনি মনে হয় বই খুব কম পড়ছেন। এমিলি জোলার নোনা পড়ে দেইখেন। ঐ হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ, আবু সায়িদ স্যারের শাড়ির চেয়েও জঘন্য। এমিলি জোলাকে বলা হয় চটি গল্পের আব্বা। আমার আবু সায়িদ স্যারের লেখা পড়ে খারাপ লাগছে কিন্তু শ্রদ্ধা হারায় নাই। আপনি গাঁটের টাকা খরচ করে বাড়ি বাড়ি বই দিবেন না, উনি দিছে।
আপনার উপরের কমেন্টের বহর দেখে বুঝছি এইখানেও একটা মখা আলমগীর মার্কা কমেন্ট করবেন। খুব ভাল লাগত যদি আপনেরে ইগ্নোর করতে পারতাম X(

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে তো শিক্ষিতই মনে হচ্ছে। নিন plagiarism কি সেটার ব্যাখ্যা দিলাম। ভালো করে পড়ুন।
Plagiarism /ˈpleɪdʒərɪz(ə)m/
noun: plagiarism; plural noun: plagiarisms
the practice of taking someone else's work or ideas and passing them off as one's own.
"there were accusations of plagiarism"

Similar: copying / infringement of copyright / piracy / theft / stealing /poaching /appropriation
Origin: Plagiarism is copying another person's ideas, words or writing and pretending that they are one's own work. It can involve violating copyright laws. ... Writers who plagiarize commit serious legal and ethical violations.
https://simple.m.wikipedia.org › wiki

আরেকটা দিলাম। এটাও দেখুন!
Plagiarism - Simple English Wikipedia, the free encyclopedia
According to the Merriam-Webster online dictionary, to "plagiarize" means:
to steal and pass off (the ideas or words of another) as one's own.
to use (another's production) without crediting the source.
to commit literary theft.
to present as new and original an idea or product derived from an existing source.
https://www.plagiarism.org › article

আরও একটা দিলাম। এটাও দেখুন-
https://www.dictionary.com › browse
Plagiarism | Definition of Plagiarism at Dictionary.com
an act or instance of using or closely imitating the language and thoughts of another author without authorization and the representation of that author's work as one's own, as by not crediting the original author: It is said that he plagiarized Thoreau's plagiarism of a line written by Montaigne.

উপরের সবগুলি নিশ্চয় পড়ে এসেছে? এখন বলুন তো এর মধ্যে কোন জায়গায় লেখা আছে ছোট বাচ্চাদের জন্য Plagiarism করার পারমিশন দেয়া আছে? নন একাডেমিক কাজে Plagiarism করার পারমিশন দেয়া আছে? গল্পের বই লেখার কাজে ব্যবহারে পারমিশন আছে?

চোর কে চোর বলতে শিখুন। অল্প চুরি করলে চোর হয় না, বাচ্চাদের জন্য চুরি করলে চুরি হয় না, এই সব উদ্ভট জ্ঞান কোথা থেকে পেয়েছেন আপনি? আপনার না আপনার শিক্ষকের আবিষ্কার? উনি একজন Plagiarism করার অপরাধে অপরাধী, কারণ উনি কোন লেখাতেই অরিজিনাল লেখকের নাম উল্লেখ করতেন না। শাহজালাল ভার্সিটতে শুধু আপনি নন, আমার অনেক ক্লোজড ফ্রেন্ডও পড়ে এসেছে। আর আমি কেন, উনার সর্ম্পকে সারা দেশের সবাই জানে। বেশি জানতে ইচ্ছে করলে ইন্টারনেটে একবার সার্চ দিয়ে দেখুন।
ধন্যবাদ।

৪২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি সাধারণত কম কমেন্ট করি। এবার না করে পারছিনা। তবে লেখা এবং কমেন্টে লেখক তার প্রতিক্রীয়াশীল চিন্তা ভাবনার প্রকাশ করেছেন। বেশি বেশি উপন্যাস পড়েন। আল মাহমুদের উপন্যাস পড়েন। কাজে দেবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠিকই বলেছিলেন, 'কাব্য দেখে যেমন ভাবো কবি তেমন নয়গো।' কবিতা পড়ে কবিকে ওই মাপকাঠিতে মাপা আহাম্মকির লক্ষণ বটে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার আমার লেখা সর্ম্পকে কোন ধারনাই নেই।
আমি যেই পরিমান স্ট্যাডি করে লিখি সেটা আমার লেখা পড়লেই আপনি বুঝবেন। আমি জানি এবং পড়েছি দেখেই এই লেখা নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। ব্লগে এই ধরনের লেখা লিখতে কয়জন পারবে বলে আপনার মনে হয়? কেউ লিখেছে আগে?
আমার লাস্ট গল্পের সিরিজ টা পড়ে আসুন। নির্বাচিত পোস্টে দেয়া আছে।
ধন্যবাদ।

৪৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০২

কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বলেছেন: স্যারের লিখা নিয়ে কিছু বলব না। আপনার পোস্ট নিয়েও কিছু বলব না। স্যারের লেখার স্বাধীনতা থাকলে আপনারও আছে।
২০১৩ সালের গণজাগরণ আন্দোলনের সময় স্যার চট্টগ্রামে অবস্থান করেছিলেন। স্যার বাতিঘরে আসলেও অনেকের অনুরোধের পরও মঞ্চে যেতে রাজী হননি । সেদিন স্যারের চেতনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। উনার সারাজীবনের সব কাজ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। আমার লেখার স্কোপ যতটুকু সেটুকু নিয়েই আমি লিখেছি।
পারলে নীচে ৪৪ নাম্বার মন্তব্যটাও পড়ে যাবেন। আপনার মতোই উনার অবস্থা!!!
যতটুকু লিখেছি তাতেই কত জনের গাত্রদাহ হচ্ছে!!
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৪৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টের শুরুতে ছবি দেয়া ভালো, তাই বলে মানুষরূপী নর্দমার ছবি দিলেন কেন? একে দেখলেই আমার বিবমিষা হয়।

না, এই শাড়ির পোষ্টের জন্য বিবমিষা নয়। এর বহু আগে, তিনি সিলেট মহিলা কলেজে প্রভাষক থাকা অবস্থায় অভিজ্ঞতা বর্ণনা প্রসঙ্গে, মেয়েদের সম্পর্কে খুবই নোংরা মন্তব্য করেছিলেন। সেটা পড়ার পর থেকে তাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি।

তবে তার কুৎসিততম রূপ অর্থলোভ। কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন নামক নতুন ব্যবস্থা দুবছরের জন্য স্থগিত হচ্ছিল শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করার উপযোগী করার জন্য। সেই সময়, ২০০৮ সালে প্রকাশকেরা জোর দাবি তোলেন, তারা বই ছাপিয়ে ফেলেছেন, সুতরাং কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন নামক শিক্ষা ব্যবস্থা ২০০৯ থেকেই চালু করতে হবে না হলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। সেই সময় প্রকাশকদের মুখপাত্র হয়ে আসে এই আ আ সাইদ। "কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন" নাম সে বদলে দেয় "সৃজনশীল প্রশ্ন" নামে, এবং তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা ডঃ হোসেন জিল্লুরকে রাজি করায় এই ব্যবস্থা চালু করতে। ফলে শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য উপযুক্ত প্রস্তুতি ছাড়া চালু হয় সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা এই লোকটার সুপারিশে। তার ফলে আজ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী আর তাদের পরিবার কোচিং আর নোটবুক ছাড়া শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। সৃজনশীল শিক্ষার নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এই লোকটা। পরে অবশ্য সে তার এই কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে পত্রিকায় লিখেছিল, তাতে স্পষ্ট হয়েছিল সে শিক্ষাকে ধ্বংস করতেই এই ব্যবস্থা করেছে।

এই অসৎ লোককে নিয়ে ফেসবুকে যথেষ্ট গালাগালি করা হয়েছে, আপনি কেন এই নর্দমা নিয়ে পড়লেন?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
প্রথমেই একান্তভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এত দেরী করে প্রতিমন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্য আমি সাথে সাথেই পড়েছি কিন্তু এই পোস্টের কিছু অর্বাচীনের প্রতিমন্তব্য দিতে যেয়ে এটা মিস হয়ে গেছে। তাছাড়া ব্লগের নোটিফিকেশনের সমস্যা তো আছে যথারীতি!

এবার লেখা প্রসঙ্গে আসি। আমি সাধারণত কোন লেখা পড়লে সেটা খুব ভালো করে পড়ি। শাড়ি নিয়ে সায়িদ সাহেবের লেখা পড়ে আমি তো অবাক। এতটাই কুরূচিপূর্ণ লেখা যে ঘৃণায় মনটা ভরে উঠলো। এভাবে এই দেশের মেয়েদের অপমান করার সাহস কোথায় পেলেন উনি? কার কাদের প্রশয়ে এইসব কথা ছড়ানো হচ্ছে? সোসাল মিডিয়আতেও ঝড় উঠেছে দেখলাম। কিন্তু ব্লগে কোনই প্রতিবাদ নেই। এটা কেমন কঠা? কাউকে না কেউকে তো এখানে প্রতিবাদ করতেই হবে, তাইনা? এইভাবেই কি এই লেখা ছেড়ে দেয়া যায়? ফলাফল এই পোস্ট। আমি নর্দমায় পড়িনি কিন্তু এই পোস্টের উপরে কিছু কিছু ব্লগারদের মন্তব্য পড়লে মনে হয় এরাই নর্দমা থেকেই উঠে এসেছে। এদের রুচি কোন দিনও ভালো হবে না।

ঊনার মেয়েদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করার আরও অনেক প্রমাণ আছে। এটা নতুন কিছু না।

"সৃজনশীল প্রশ্ন" এবং "সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা" এর নামে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধংশ করে দেয়া হয়েছে নাহিদ সাহেবের প্ররোচনায়। এরা সবাই সুদূর একটা এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত। এর পক্ষে যে সব সাফাই গাওয়া হয়েছিল সবগুলিই মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৪৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার জন্য মায়া হচ্ছে।আমার এত বড় মন্তব্যে শুধুমাত্র একটা শব্দ নিয়ে বিশাল প্রতিমন্তব্য। যা বলছিলাম মখা আলমগীর মার্কা মন্তব্য করবেন এইটাই করছেন "রানা প্লাজা ভাংছে ওইটা বিএনপি করছে" । আমি প্ল্যাগারিজম শব্ধের আগে একাডেমিক শব্ধ ব্যবহার করেছি। একডেমিক রিসার্চ কেমনে হয় জানেন? কারো আইডিয়া থেকেই হয়। তারপর যদি পাবলিকেশন করেন তাহলে উনাকে একনলেজমেন্ট দিতে হয় বা রিসার্চ পেপারে বলে দিতে এইখান থেকে আইডিয়া নিছি, রেফারেন্সে দিয়ে দিতে হয়।
উনি বাচ্চাদের জন্য গল্প চরিত্র তৈরি করেন তারপর ওদের দিয়ে বিজ্ঞান বলান। উনি বিজ্ঞানের ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেন। ফ্যাক্ট কি না জানেন সেইটা না বুঝলে আবার সার্চ দেন। তারপর পড়ে আবার মখা মার্কা মন্তব্য করেন। আমি আপনারে যদি বলি দৌড়াইলে মাংসপেশিতে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয়। অক্সিজেন স্বল্পতা হয় এইটা ফ্যাক্ট। কেমনে অক্সিজেন স্বল্পতা হয় এইটা নিয়ে এই বছর নোবেল দিছে মেডিসিনে। কেমনে অক্সিজেন স্বল্পতা তৈরি হয় এইটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের কাজ বইয়ে উঠায়ে দিলে চুরি হয় না। বিজ্ঞান আপনার মত কুয়ার ব্যাঙ না। সবাইরে সব দিয়ে দেয়। যা মন চায় করেন। নইলে হাজার হাজার রিভিউ আর্টিকেল নেচারে পাবলিশ হত না।
Plagiarism is copying another person's ideas, words or writing and pretending that they are one's own work. আপনার লেখাই আপনারে দিচ্ছি। আবার ভাল করে পড়েন। এইখানে words শব্ধ দেইখা মনে কইরেন অন্যের লেখায় একটা word ছিল বলে আমি ওইটা ব্যবহার করলে চোর। মখাগুলি এইটাই ভাবে। অন্যের আইডিয়া কিভাবে ফ্যাক্ট হিসেবে বলতে হয় এইটা আগে শিখেন।
আপনারে দয়া কইরা আরেকটা মন্তব্য করলাম, মখার মত আরেকটা মন্তব্য করলে বুঝব "উলু বনে মুক্তা ছড়ায়ে লাভ নাই"

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি একজন শিক্ষিত ধোকাবাজ। এই সব উলটা পাল্টা থিউরী ছোট বাচ্চাদের বুঝেন যাদের জন্য উনি বই লেখেন।
চোরকে চোর বলে আপনার লজ্জা হতে পারে কিন্তু বাকি কারও হয় না।
এইসব ফালতু চৌর্য বৃত্তিকে সমর্থন করা অপ্রয়োজনীয় একগাদা লাইনের আমার দরকার নেই।
পোস্ট রেলেটেড মন্তব্য করুন। না পারলে চুপ থাকুন।

৪৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার যে চিন্তা চেতনা তাতে আল মাহমুদ যায়। এজন্যই তার লেখা পড়তে বলেছি। পড়তে বলার কারণ আছে। তিনিও নারীর বর্ণনা দিতে গিয়ে কম যান নি। তার লেখা উপমহাদেশ পড়ে দেখতে পারেন।

ইসলামের যে যুগে রেঁনেসা ছিল, তখনকার মুসলিম দার্শনিক বিজ্ঞানী সাহিত্যিকদের লেকা পড়ে দেখবেন। তারাও আপনার ভাষায় অশ্লীলতা কম করেন নাই। যখনি মুসলমানরা প্রতিক্রীয়াশীলতার কারণে তাদের নির্যাতন শুরু করেছে, মুসলমানদের পেটে আর দার্শনিক জন্ম নেয়নি। মুসলমানদের চিন্তা চেতনা এগিয়ে নিয়ে ইউরোপ সমৃদ্ধ হয। এসব আমরা সবাই জানি।

যাই হোক লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদের উদার হতে হয়। প্রতিক্রিয়াশীলরা লেখক হলেও তা থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। একারণে সমসাময়িক ইস্যুতে তারা সঠিক অবস্থান নিতে পারেন না। ফলে ইতিহাসে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত হন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তার বড় প্রমাণ। বহু বড় বড় ব্যক্তিকে নিকৃষ্ট ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। এজন্য রিঅ্যাকটিভ যত ভালো কিছু করুক, আদতে তা অসার।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: আল মাহমুদ বলেন আর ইসলামী রেনেসা যুগের যেকোন লেখকের কথা বলেন, অশ্লীল কোন কিছুই ইসলাম সমর্থন করে না। সাহিত্য চর্চা করতে হলেই নোংরা অশ্লীল জিনিস লিখতে হবে এই চিন্তাধারা ভুল। আর মুসলমানদের পেটে আর দার্শনিক জন্ম নেয়নি এটা আপনি না জেনে বলেছেন। আজকেই শেখ সাদীকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছে লতিফ ভাই। পড়ে দেখুন। মুসলিমদের পতন শুরু হয়েছে শয়তানের প্ররোচনায় ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবার জন্য। এটা শ্বাশত সত্য।

বড় বড় ব্যক্তিকে নিকৃষ্ট ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে কারণ তারা ব্যক্তি স্বার্থকে অনেক বড় করে দেখেছে নৈতিকতার উপরে।
ধন্যবাদ।

৪৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
অসাধারণ একটি প্রতিবাদী পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। "শাড়ি" শিরোনামের কিছু কিছু কথা
সমালোচনার ঝড় উঠে ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনেকটা একপাশে পুরুষতান্ত্রিক লাগলো পুরো লেখাটা।
উনার এই লেখার কিছু কিছু শব্দ চয়নে যেনো মনে হয়েছে উস্কানি ও কুদৃষ্টির লুটোপুটি।
অনেকেই বলছেন উনি শাড়ি নিয়ে না লিখে লুঙ্গি নিয়ে লিখলেন না কেন ?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং পোস্টের জন্য +++

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু,
সায়ীদ সাহেবের লেখাটা মোটেও ভালো কিছু ছিল না। অশ্লীল বেশ কিছু শব্দ উনি ব্যবহার করেছেন। এর প্রতিবাদ অবশ্যই করা উচিত।
মেয়েদের মানে আপনার কেউ কিছু লিখেন নি দেখে শেষ পর্যন্ত আমাকেই লিখতে হলো।
তাও দেখেন না, এই লিখাটা নিয়ে কত হাউকাউ লেগে গেছে ব্লগে!
ব্লগে কিছু নির্বোধ আছে যারা পোস্ট না পড়েই মন্তব্য করে বেড়ায়।
পড়ার এবং সহমত পোষন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০০

মুবিন খান বলেছেন: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমার শ্রদ্ধাজন। কিন্তু তাঁর শাড়ি বিষয়ক ওই রচনাটিকে আমি সমর্থন করতে পারি নি। তাঁর লেখাটিতে আমি একজন বিদ্বজ্জনকে নয়, একজন পুরুষকে পেয়েছি। চমৎকার ও সাহসী ও সঠিক রচনাটির জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মুবিন ভাই,
আমি ব্লগে সব সময়ই প্রতিবাদি কন্ঠস্বর। এই লেখাটা সায়িদ সাহেবের একটা প্রচন্ড নোংরা লেখা। শালীনতার কোন সীমার মাঝেই এটা পরে না। কাউকে না কাউকে ব্লগে প্রতিবাদ করতেই হতো। আমি সত্য প্রকাশে কখনই পিছু হটে আসি না। আমি নিজেও একজন পুরুষ, তারপরই আমাকে এটার প্রতিবাদ করতে হয়েছে।
পড়ার এবং আমাকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ব্লগ বাড়িতে বাকি লেখা পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম।

৪৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

সাইফ নাদির বলেছেন: চমৎকার ভাবে প্রতিবাদ করেছেন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.