নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
আবার আসবো আমি ফিরে-
হতভাগ্য নিপীড়িত এই বাংলা মায়ের বুকে
মানুষ হয়ে নয়, হয়তো কাঠের কার্গো হয়ে।
আমার বাবা-মায়ের কবরের পাশে
মাত্র সাড়ে তিনহাত মাটির জন্য,
যে মাটির জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি।
আবার আসবো আমি ফিরে-
এই কুৎসিত চেতনাবাদীদের দেশে
যেখানে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশ বিনামূল্যে বিক্রি হয়
ধর্ষিত হয় মানুষরূপী জানোয়ারদের হাতে,
সভ্রম হারায় দেশ মানুষ মাটি।
হিংস্র পরদেশি শকুন বারবার ঝাপিয়ে পড়ে
ছিন্নভিন্ন করে ফেলে মরে যাওয়া দেহটাও!
দিন দুপুরে উন্মাদনায় হায়েনার দল নেচে উঠে
শুধুই লুটপাট আর বেচাকেনায়।
আবার আসবো আমি ফিরে সেই দেশে-
যাকে স্বাধীন করে এনেছি হায়েনাদের হাত থেকে।
অথচ আজ সেখানে কিছু আস্তাকূড়ের বেজন্মারা
আমাকে দরখাস্ত লেখা শেখায়!
নিজের জন্মভূমিতে ফেরার নিয়ম শেখায়,
পদদলিত গনতন্ত্রের দেশে
আইনের ফাঁকফোকর দেখায়।
চলে যাওয়া মানে বিচ্ছেদ নয়
আমি বেঁচে থাকবো বাংলামায়ের স্মৃতিকথায়
আমার ইতিহাস লেখা থাকবে
স্বাধীনতার বিজয়ের পতাকায়।
মুক্তিযোদ্ধা এই পরিচয় আর চাইনা আমি
এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি এটাও বিস্মৃত
ভুল ছিল দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করা
আজ জীবনের শেষ সন্ধিক্ষনে-
প্রিয় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাবার আগে
আমি কোন অভিযোগ কিংবা অনুযোগ
কিছুই রেখে যাচ্ছি না।
আমার কবরে তোমরা তোপধবনি করো না
এই পরিচয়হীন লাশ জাতীয় পতাকা দিয়েই ঢেকে দিও না,
নিরবে একদম নিভৃতে নির্জনে আমাকে চলে যেত দাও।
ক্ষয়িষ্ণু এই সমাজের চরম অবক্ষয়ের চিত্র আমি দেখেছি
দেশপ্রেম আজ অনৈতিকতার নোংরা বেড়াজালে বন্দি।
তবে, শেষবারের মতো চলে যাবার আগে
একটা কথা বলে যেতে চাই-
হে স্বাধীনতার নামের কলংকিত ব্যবসায়ী ধব্জাধারীরা
নিজের বিবেকের বদ্ধ দরজা খুলে কখনও কি
উপলব্ধি করছো, তোমার দাম কত হে বাহে?
পূর্ব কথাঃ
সাদেক হোসেন খোকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মি: খোকা এবং তার স্ত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে গত ২০১৭ সালে তা নবায়নের জন্য নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুই বছরে বাংলাদেশ সরকার তাদের পার্সপোর্ট দেয়নি। এনিয়ে সাদেক হোসেন খোকা জীবনের শেষদিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে আক্ষেপও করেছিলেন বলে তার পরিবারের একজন সদস্য বলেছেনঃ "ওনার অন্তিম ইচ্ছা এবং উনি এটা বলেও গেছেন যে, ওনার বাবা-মায়ের কবরের পাশে ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে যেন তাকে দাফন করা করা হয়। সেই ব্যবস্থাই পরিবার থেকে করা হচ্ছে।"
কৃতজ্ঞতাঃ শ্রদ্ধেয় মা.হাসান ভাই।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, নভেম্বর ২০১৯
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
ইসিয়াক বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: উনি অবশ্যই বিনম্র শ্রদ্ধা পাবার যোগ্য ব্যক্তি।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০০
মা.হাসান বলেছেন: ওনাকে স্যালুট, আপনাকে ধন্যবাদ। কাউয়ারা আজকে ধর্মঘট ডাকলো না দেখে অবাক হয়েছি। গত কয়েকদিন যাবত ব্লগের হোম পেজের ডান দিকের উপরের কোনায় জনাব সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হচ্ছে। ব্লগ অ্যাডমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ঠেলায় পড়ে অনেকদিন পরে কবিতা লিখলাম।
আর্শ্চয্য হলো আমি কবিতা লেখা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।
সম্ভবত আপনার সাথে কথাবার্তার সঙ্গদোষ!! জানেন তো সঙ্গদোষে লোহাও ভাসে.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন দোয়া করি।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত। কোন মানুষই ভুলের উর্ধেই নয়। আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন সেই দোয়া আমিও করছি।
ধন্যবাদ।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না। একজন মানুষের জীবনের শেষ মুহূর্তের ইচ্ছা! অথচ যে পরিসেবার জন্য উনি কারো দয়ার পাত্র নন।
ওনার পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। উপরওয়ালা যেন ওনাকে বেহেশত নসীব করেন। ধন্যবাদ আপনাকে কাব্যিক ভাষায় উপস্থাপন করার জন্য।
শুভকামনা জানবেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
নীল আকাশ বলেছেন: যিনি এই দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন করে এনেছেন সেই দেশে ফেরার জন্য উনি কারো দয়ার পাত্র হবেন সেটা গ্রহনযোগ্য নয়। কোন মানুষই ভুলের উর্ধেই নয়। আপনার সাথে আমি সহমত। আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন সেই দোয়া আমিও করছি।
শুভ কামনা রইল।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
ল বলেছেন:
কবি দাউদ হায়দারের জন্ম ১৯৫২ সালে পাবনায়। তার “জন্মই আমার আজন্ম পাপ”কবিতা প্রবল বিতর্কিত হয়। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষক তার নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাকে নিরাপত্তা-হেফাজতে নেয় এবং ১৯৭৪ সালের ২০শে মে।মৌলবাদ দোসরদের ক্রমাগত উত্তাপে তার নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে ২১শে মে একটি বিমানে চড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়, যে বিমানে তিনি ছাড়া আর কেউযাত্রী ছিলেন না। তাঁর কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাঁধে ঝোলানো একটা ছোট ব্যাগ (ব্যাগে ছিল কবিতার বই, দু’জোড়া শার্ট) ।তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুসলিমবিশ্বের কুদৃষ্টিতে পড়বার আশঙ্কায় শেখ মুজিবও দাউদকে আশ্রয় দেননি। কলকাতা ছিল তার কাছে একদম অচেনা বিদেশে যেখানে কাউকেই চিনতেন না। তিনি দমদম এয়ারপোর্টে নেমে প্রথমে কাঁদছিলেন। কলকাতায় তিনি প্রথম গৌরকিশোর ঘোষের কাছে আশ্রয়
পান। তিনি সেখানে একমাসের মতো ছিলেন। তিনি সেখানে লেখালেখি শুরু করেন। কলকাতার কঠিন বাস্তবতার মাঝে তিনি দ্য স্টেটসম্যানপত্রিকায় লেখা শুরু করেন।
১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক তুলনামূলক সাহিত্যের’ ছাত্র ছিলেন। কলকাতায় তিনি সমাদৃত হন। বাইশ বছরের অসহায় দাউদকে কোলকাতায় পুত্রস্নেহে আশ্রয় দেন কবি অন্নদাশঙ্কর রায়।
একপর্যায়ে ভারত সরকারও দাউদকে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ’৭৬-এ দাউদ হায়দার তার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে জমা দিলে তা আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়।স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদক্ষমতায় এলে তিনি আটক পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তার পাসপোর্ট ফেরতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এরশাদ সরকারও। ওই পাসপোর্ট আজো ফেরত পাননি আগুনমুখী কবি।
পাসপোর্ট ছাড়া অন্য আরেকটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসে সমস্যা দেখা দেয়। ভারত সরকার দায়িত্ব নিতে চায় না নির্বাসিত কবির। তিনি অন্যকোনো দেশেও যেতে পারেন না পাসপোর্টের অভাবে। এমন এক দুঃখকালে তার পাশে এসে দাঁড়ান কবিবন্ধু নোবেল বিজয়ী জার্মান কবি গুন্টার গ্রাস।তিনি জার্মান সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত কবিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ’৮৫-এর কোনো এক ভোরে জার্মানির বার্লিনে গিয়ে পৌঁছান দাউদ হায়দার। জাতিসংঘের বিশেষ' ট্রাভেল ডকুমেন্টস’ নিয়ে এখন ঘুরছেন দেশান্তরে।
তার সেই অমর কবিতা ----
“”জন্মই আমার আজন্ম পাপ”"
--------------------------------------
জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু
থেকে নেমেই জেনেছি আমি
সন্ত্রাসের ঝাঁঝালো দিনে বিবর্ণ পত্রের মত
হঠাৎ
ফুৎকারে উড়ে যাই
পালাই পালাই সুদূরে
চৌদিকে রৌদ্রের ঝলক
বাসের দোতলায় ফুটপাতে রুটির
দোকানে দ্রুতগামী নতুন মডেলের
চকচকে বনেটে রাত্রির জমকালো আলো
ভাংগাচোরা চেহারার হদিস
ক্লান্ত নিঃশব্দে আমি হেঁটে যাই
পিছনে ঝাঁকড়া চুলওয়ালা যুবক। অষ্টাদশ বর্ষীয়ার
নিপুণ ভঙ্গী
দম্পতির অলৌকিক হাসি প্রগাঢ় চুম্বন
আমি দেখে যাই, হেঁটে যাই, কোথাও সামান্য
বাতাসে উড়ে যাওয়া চাল-
অর্থাৎ আমার নিবাস।
ঘরের স্যাঁতসেতে মেঝেয় চাঁদের
আলো এসে খেলা করে
আমি তখন সঙ্গমে ব্যর্থ, স্ত্রীর দুঃখ অভিমান কান্না
সন্তান সন্তুতি পঙ্গু পেটে জ্বালা, পাজরায় তেল মালিশের বাসন
উধাও-আমি কোথা যাই? পান্তায় নুনের অভাব।
নিঃসংগতাও দেখেছি আমি, উৎকন্ঠার দিনমান
জ্বলজ্বলে বাল্বের মতোন আমার চোখের মতো স্বজনের চোখ-
যেন আমুন্ড গ্রাস করবে এই আমাকেই আমিই সমস্ত আহার নষ্ট করেছি নিমেষে।
শত্রুর দেখা নেই, অথচ আমারি শত্রু আমি- জ্বলন্ত
যৌবনে ছুটি ফ্যামিলি প্ল্যানিং কোথায়, কোথায় ডাক্তার কম্পাউন্ডার
যারা আমাকে অপারেশন করবে?
পুরুষত্ব বিলিয়ে ভাবি, কুড়ি টাকায় একসের চাল ও অন্যান্য
সামান্য দ্রব্যাদী মিলবে তো?
আমার চৌদিকে উৎসুক নয়ন আহ্লাদী হাসি ঘৃণা আমি পাপী
এরা কেন জন্ম নেয়?
এরাই তো আমাদের সুখের বাধা অভিশাপ।
মরণ এসে নিয়ে যাক, নিয়ে যাক
লোকালয়ের কিসের ঠাঁই এই শত্রুর?
-বলে প্রাসাদ প্রেমিকেরা
আমিও ভাবি তাই, ভাবি নতুন মডেলের চাকায় পিষ্ট হবো
আমার জন্যই তোমাদের এত দুঃখ
আহা দুঃখ দুঃখরে!
আমিই পাপী, বুঝি তাই এ জন্মই আমার আজন্ম পাপ।
সূত্রঃ উইকি,
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই,
ঊনাকে নিয়ে এই ব্লগে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছিল। এখানেই পাবেনঃ
জন্মই আমার আজন্ম পাপ....... কবি দাউদ হায়দার , কবিতা লিখে যিনি আজও নির্বাসিত
আপ্নার মন্তব্যে লেখার ফরম্যাট কিছুটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। উপরে যেটা দিয়েছি সেখানে ঠিক আছে। একবার পড়ে দেখবেন।
ভালো একটা কবিতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: এটাও পড়ে দেখতে পারেন। কবি দাউদ হায়দারকে নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে।
https://blog.mukto-mona.com/2016/09/08/49393/' target='_blank' >প্রথম নির্বাসিত কবি ও কবিতা
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
মা.হাসান বলেছেন: বিরুদ্ধমতের কারণে বাকশালীরা খোকার পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয় নি। খোকার স্ত্রীর কি দোষ ছিল? খোকার মৃত্যুর পর দুতাবাস স্বল্প সময়ে তাঁর স্ত্রীর নামে পাসপোর্ট ইস্যু করতে না পেরে ট্রাভেল পাস ইস্যু করেছে।
খোকার কপাল ভালো, মারা গিয়েছেন, কার্গো হিসেব আসছেন, কার্গোর পাসপোর্ট লাগে না। লাশের পাসপোর্ট লাগলে দূর দেশেই সমাহিত হতে হতো তাঁকে।
কি দরকার ছিল নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করার? রাজাকারি করলে ক্ষমতাসীন কারো বিয়াই হয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়াতে পারতেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: উনার প্রতি ক্ষোভ অন্য জায়গায়। ভুলে গেছেন নাকি?
১৯৯১ সালে উনি এই চেতনাবাজদের নেত্রীকে মারাত্মক বিশ্রী ভাবে সাধারণ নির্বাচনে হারিয়েছিলেন। সারা বাংলাদেশে হইচই পরে গিয়েছিল। উনাকে এরা তখন থেকেই দেখতে পারে না। তবে এক মাঘে শীত কাটে না। এইসব চেতনাবাজদের দুঃসময় আসবেই। তখন এদের কাঠের কফিনও এই দেশ ঢুকতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে!!!!
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
মা.হাসান বলেছেন: কবিতার বিষয়ে আমার নেতিবাচক মনোভাবের কথা অন্য কোথাও লেখা যাবে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক আছে, আমিও আশায় রইলাম।
শুভ সকাল এবং শুভ কামনা রইল।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪
আরোগ্য বলেছেন: উনার জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা। আল্লাহ উনাকে চিরন্তন শান্তি ও পরিবারকে ধৈর্য দান করুন। উনি বাস্তবেই বেশ ঠান্ডা লোক ছিলেন। আমার মামার বন্ধু ছিলেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: আরোগ্য ভাই,
উনি একজন যোগ্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। এইদেশের কাছে সশ্রদ্ধা এবং সম্মান উনার নায্য পাওনা।
যা হয়েছে সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু না।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
কিরমানী লিটন বলেছেন: যে মাটির জন্য যুদ্ধ করলেন সেই মাটিতেই ফিরলেন একজন মৃত্যুপথযাত্রী মুক্তিযোদ্ধা লাশ হয়ে। ফ্যাসিবাদের অসম্মান ও করুণা নিয়ে? এতো বর্বরতা বা নির্মমতাই শুধু নয়- এর চাইতে বড় অন্যায় ও অসভ্যতা আর কিছু কি আদৌ হতে পারে? একজন মানবিক ও মহাপ্রাণ মানুষকে সম্মান- শ্রদ্ধা জানাতে না পারার মত ইতরতার নাম যে রাজনীতি, সেই রাজনীতির মুখে থু দেই!
বিনম্র শ্রদ্ধা প্রিয় বীর সাদেক হোসেন খোকা।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২০
নীল আকাশ বলেছেন: লিটন ভাই,
১৯৯১ সালে উনি এই চেতনাবাজদের নেত্রীকে মারাত্মক বিশ্রী ভাবে সাধারণ নির্বাচনে হারিয়েছিলেন। উনাকে এরা তখন থেকেই দেখতে পারে না।
তবে চিন্তা করবেন না এক মাঘে কখনই শীত কাটে না। এইসব নির্লজ্জ চেতনাবাজদের দুঃসময় একসময় আসবেই। তখন এদের কাঠের কফিনও এই দেশ ঢুকতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে!!!! পাপের বিচার এইদেশেই হবে।
বিনম্র শ্রদ্ধা প্রিয় বীর সাদেক হোসেন খোকা। আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন সেই দোয়া আমিও করছি।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
সোহানী বলেছেন: হায়রে দেশ হায়রে মুক্তিযোদ্ধা.......। যে মাটির জন্য তুমি যোদ্ধা সে মাটিতে ফেরার জন্য তোমাকে আবারো যুদ্ধ করতে হচ্ছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: বাবার জানাজার আগে যা বললেন খোকাপুত্র:
প্রায় সময়ই আব্বু বলতেন, যেই বাংলাদেশ নিজ হাতে স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আমাকে কি বাক্সবন্দি হয়ে ফিরতে হবে? শেষ পর্যন্ত বাবার কথাই সত্যি হলো। তাকে দেশে আনা হলো, তবে সুস্থ অবস্থায় নয়, একেবারে কফিনে মুড়িয়ে বাক্সবন্দি করে। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন খোকার বড় ছেলে ইশরাক।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২
মুবিন খান বলেছেন: কবিতার শরীর ভরা ক্ষোভ।
এই ক্ষোভ খুব প্রয়োজনীয়।
এর ছড়িয়ে পড়া আরও বেশী প্রয়োজনীয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ভাই একবার ভাবুন? একজন মুক্তিযোদ্ধার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের কি হবে?
এই পাপিষ্ঠদের এই বাংলার মাটিতেই সমস্ত পাপের বিচার হবেই হবে!
ধন্যবাদ।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
মুবিন খান বলেছেন: জবাবদিহিতাবিহীন গণতন্ত্রে ভিন্নমতাদর্শিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলে মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা থাকবার নিয়ম নাই। বিরোধীপক্ষ হওয়ার নিয়ম আছে। আর প্রতিবাদ করতে না জানা সাধারণ মানুষদের নিয়ম মানবেতর হয়ে থাকা। সে নিয়ম খুব ভালোভাবে পালিত হচ্ছে। আপনি খেপেন কেন!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: নারে ভাই, এই দেশে কি ক্ষেপার কোন সুযোগ আছে এখন? আমি শুধুই আক্ষেপ করছি। একজন স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিজের দেশে জীবিত ফিরে আসার অনুমুতি পেলেন না। এটা জাতী হিসেবে আমাদের সবার ব্যর্থতা।
ধন্যবাদ।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা ধন্যবাদ
আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাকে পরের দুনিয়ায় উনার প্রাপ্য সম্মান দিবেন। উনি একজন যোগ্য রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। এইদেশের কাছে সশ্রদ্ধা এবং সম্মান উনার নায্য পাওনা। যা হয়েছে সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক।