নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গান বাজনা ইত্যাদির ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩



সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ ইব‌ন আব্দুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন ও সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন। আরও সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরিবারবর্গ (আহলুল বাইয়াত) এবং উনার সাথীদের উপর, যারা তার আনীত দ্বীন ও আদর্শকে পরবর্তী উম্মতের নিকট যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সবার উপর।

১।
নিশ্চয়ই ইসলাম ধর্ম পরিব্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ, অতিরঞ্জনের প্রতি কোনভাবেই মুখাপেক্ষী নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলাম’কে পরিপূর্ণ করেই সেটা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন-
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَاناً لِّكُلِّ شَيْءٍ ‘আর আমি প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করলাম’ (সুরা নাহল ১৬/৮৯)।

মানুষ তাদের জীবন-যাপন ও প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে যেসকল বিষয়ের প্রতি মুখাপেক্ষী হয় তার সবগুলোই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। হয়ত সরাসরি বা ইঙ্গিতে অথবা লিখিতভাবে বা মর্মগতভাবে।

وَمَا مِنْ دَآبَّةٍ فِي الأَرْضِ وَلاَ طَائِرٍ يَطِيْرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلاَّ أُمَمٌ أَمْثَالُكُم مَّا فَرَّطْنَا فِي الكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ يُحْشَرُوْنَ- ‘ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণশীল জীব এবং নিজ ডানার সাহায্যে উড়ন্ত পাখি তারা সকলে তোমাদের মতই এক-একটি জাতি। কিতাবে (লাওহে মাহফূযে) কোন কিছুই আমি বাদ দেইনি। অতঃপর স্বীয় প্রতিপালকের দিকে তাদেরকে একত্রিত করা হবে’ (সুরা আন‘আম ৬/৩৮)।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ- ‘রাসূল যা তোমাদের দেন তা তোমরা গ্রহণ কর আর যা হ’তে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হ’তে বিরত থাক এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তো শাস্তি দানে কঠোর’ (সুরা হাশর ৫৯/৭)।

এখন চিন্তা করুন তো পবিত্র কুরআন শরিফের কোন জায়গায় পাঁচওয়াক্ত ছালাতের সংখ্যা পাবো? কুরআন শরীফে প্রত্যেক ছালাতের রাক‘আত সংখ্যা বর্ণিত আছে কি? না নেই। কারণ এটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে হাদীসে। অর্থাৎ কুরআন শরীফের আয়াতগুলির তাৎপর্য এবং ব্যাখ্যা পবিত্র হাদিসেই বর্ননা করা হয়েছে। না জেনে কেউ যদি এখন দাবী করে কুরআন শরীফে পাঁচওয়াক্ত ছালাতের কথা কোথায় বলা আছে, তাহলে সেটার কী হবে?

পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন সুরা সুনির্দিষ্ট একটা বা একাধিক ঘটনার উপর নির্ভর করেই নাযিল হয়েছে। এবং সেই আয়াতের অর্থ না বুঝা গেলে সেই আয়াত বুঝার জন্য সংশ্লিট হাদীস এবং এর ব্যাখ্যা / তাফসির পড়ে দেখতে হবে।

২।
সাহাবায়ে কিরামগন (রাদিআল্লাহু আনহু) মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং তাঁর প্রতিটি কাজ ও আচরণ সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে লক্ষ্য করতেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবীগণকে ইসলামের আদর্শ ও এর যাবতীয় নির্দেশ যেমন মেনে চলার হুকুম দিতেন, তেমনই তা স্মরণ রাখতে এবং অনাগত মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়ে গেছেন। হাদীস চর্চাকারীর জন্য তিনি নিম্নোক্ত দু’আ করে গেছেনঃ
“আল্লাহ সেই ব্যাক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন, যে আমার কথা শুনে স্মৃতিতে ধরে রাখল, তাঁর পূর্ণ হিফাযত করল এবং এমন লোকের কাছে পৌঁছে দিল, যে তা শুনতে পায়নি।” (সহী তিরমিযী, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯০)
যুগ শ্রেষ্ঠ সেই সাহাবীগন মুসলিম উম্মাহ’র কাছে সেই তা যথাযথ ভাবে পৌছিয়ে দিয়ে গেছেন তার প্রমাণ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ এবং তাফসির গ্রন্থগুলি।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার উম্মতদের জীবনের সার্বিক ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়ের প্রয়োজন অনুভব করবে, তার সবগুলো তিনি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করে গেছেন। আবু যার (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন,
مَا تَرَكَ النبي صلى الله عليه وسلّم طَائِراً يُقَلِّبُ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلاَّ ذَكَرَ لَنَا مِنْهُ عِلْماً-
‘আকাশে যে পাখি তার দু’ডানা ঝাপটায় তার জ্ঞান সম্পর্কেও নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিকট আলোচনা করেছেন।
(মুসনাদে আহমাদ হা/২১৬৮৯, ২১৭৭০, ২১৭৭১, ২১৩৯৯, ৫ম খন্ড, পৃঃ ১৬৩; ছহীহাহ হা/১৮০৩)

৩।
উপরের দুইটা অংশ দেয়া হয়েছে সবাই’কে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফের মধ্যে পারস্পরিক সর্ম্পক বুঝানোর জন্য। যা আপাত এবং মনুষ্য দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার কারণে পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া থাকার পরেও আমরা বুঝতে পারি না, সেটাই হাদীস শরীফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাহাবীগন (রাদিআল্লাহু আনহু) সেইগুলি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছ থেকে শিখে নিয়ে নিজেদের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেছেন। আমাদের জন্য অবশ্য পালনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

৪।
অল্প কিছুদিন হল একজন বয়াতি দাবী করেছেন যে পবিত্র কুরআন শরীফে নাকি কোথাও গান গাওয়া নিষিদ্ধ করা হয় নি? যে কেউ নিজের মনগড়া কথা বলতেই পারে তবে সেটা নিয়ে তর্ক করার আগে দেখা উচিৎ আসলে এর ভিতরে কি আছে। আল কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা দেয়া মারাত্মক অন্যায়। উনার এই দাবী কতটা হাস্যকর সেটাই নীচে এখন আলোচনা করা হবে।

ইসলামে এ ধরনের গান করা বা শোনা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে। এ ধরনের গান করা বা শোনা সম্পর্কে হুঁশিয়ারী করে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”। (সুরা লোকমান ৩১-৬)
এ আয়াতে বর্ণিত لَهْوَ الْحَدِيثِ (অনর্থ কথা) দ্বারা গানকে বুঝানো হয়েছে। এর দ্বারা গান গাওয়া ও শোনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ তাফসীর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত জাবির (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত ইকরামা (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত মুজাহিদ (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আমর ইবনে শু‘আইব (রাদিআল্লাহু আনহু) প্রমুখ সাহাবী ও তাবিয়ীগণ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, ৪৪২ ও ৪৪৩ পৃষ্ঠা/ তাফসীর তাবারী, ২০নং খণ্ড, ১২৬ থেকে ১৩১ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কুরতুবী, ১৪নং খণ্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)
এর তাফসিরে বলা আছে-
নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর। (মাআরিফুল কুরআন ৭/৪)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু)’কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১)

কুরআন মজীদের অন্য একটি আয়াতে বলা আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন, “তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর”। (সূরা ইসরা, আয়াত ৬৪)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯)
পবিত্র হাদীসে আছেঃ “তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর না এবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম”। (জামে তিরমিযী হাদীসঃ ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীসঃ ২১৬৮)

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও ইরশাদ করেন, “আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮)

হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলে খোদা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন আমি প্রেরিত হয়েছি বাদ্যযন্ত্রকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য। অতঃপর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, গায়ক গায়িকার জীবিকা (গানের মাধ্যমে) হারাম এবং ব্যাভিচারের জীবিকাও হারাম। যে শরীর হারাম দ্বারা গঠিত তাকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। (কানজুল উম্মাল ১৫ তম খন্ড পৃষ্ঠা ২২৬)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, “পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে”। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২)

বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন।
(মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪)

বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকেও এমন একটি সহী হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
(ইবনে মাজাহ হাদীসঃ ১৯০১)

পাঠক একটু ভেবে দেখুন তো, পবিত্র কুরআন শরীফে যদি সুস্পষ্ট ভাবে একে নিষিদ্ধ না করা হতো তাহলে কি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সহ তার সাহাবীরা এত কঠিন ভাবে সেটা মেনে চলতেন?

বাজনাদার নুপুর ও ঘুঙুরের আওয়াজও সাহাবায়ে কেরাম বরদাশত করতেন না। তাহলে গান ও বাদ্যযন্ত্রের প্রশ্ন তো চরম হাস্যকর তাইনা? সুনানে নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, “একদিন হযরত আয়েশা (রাদিআল্লাহু আনহা) এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে তুমি প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না”। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭)

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র। (সহীহ মুসলিম হাদীস : ২১১৪)

মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্রের বিধান কী হবে তা খুব সহজেই বুঝা যায়!
ইসলামের চার ইমাম, গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি), ইমাম মালেক (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি), ইমাম শাফেয়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান-বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম মালেক (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে। (কুরতুবী ১৪/৫৫)

ইমাম শাফেয়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন যে, গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হল আহাম্মক। তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৭৯)

দাড়ি টুপি পরে কেউ কোন কাজ করলেই সেটা ইসলামে জায়েজ হয়ে যাবে এই আজগুবি থিউরি কে কবে আবিষ্কার করলো? পবিত্র কুরআন শরীফে যেখানে হারাম বলছে, এটাকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সেখানে কার এত বড় ধৃষ্টতা যে সেটা চ্যালেঞ্জ করে? একটা একতারা নিয়ে লাফালাফি করে বেড়ালেই ইসলাম শেখা হয়ে গেল?

আজকে একজন নির্বোধের মতো পবিত্র কুরআন শরীফ'কে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছে, কাল এইরকমই আরেকজন এসে করবে মহানবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদীস নিয়ে। ইসলামের ইতিহাসে এইসব ভন্ড দাবীদারদের'কে যেভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে একেও ঠিক সেভাবেই উপযুক্ত শাস্তি দেয়া দরকার, দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার যেন ভবিষ্যতে এইসব ফালতু দাবী নিয়ে আর কেউ হাজির না হয়।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এর চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করে নি কেন? রাস্তাঘাটে এইরকম অনেক অনেক ক্যানভাসার, হাতের মাইক কিংবা গলা ফাটিয়ে ফেলা তথাকথিত চিকিৎসক পাওয়া যায় যারা প্রতিনিয়তই এমবিবিএস ডাক্তারদের নানা বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে, তাই বলে ডাক্তাররা কি তাদের সাথে যেয়ে তর্ক শুরু করে? নিরর্থক কাজের কোনই মানে হয় না।

একটু ভেবে দেখুন তো, যে আওয়াজ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাদিআল্লাহু আনহু) এক মুহূর্তের জন্যও কানে যেটা শুনতে রাজি ছিলেন না, সেই ইবলিসী আওয়াজের অনুকূলে কথা বলার দুঃসাহস আমরা কী দেখাতে পারি? কিন্তু তাহলে কারা এই দুঃসাহস দেখাতে পারে?

৫।
ইসলামকে আধুনিক বানানোর জঘন্য ষড়যন্ত্রে আজকাল কেউ কেউ ফতোয়া দিচ্ছেন যে, মেয়েদের সাথে হাত মেলানো জায়েয, নারী-পুরুষের মাঝে পর্দা বিধানের এত কড়াকড়ির প্রয়োজন নেই, গান-বাদ্য, সিনেমা, টেলিভিশন এসব তো জীবনে বিনোদনেরই অংশ। এইসব বহুবিধ ‘আধুনিক’, ‘অতি আধুনিক’ হবার ফতোয়া আজ অহরহই শুনতে পাওয়া যায়।

এদের এইসব দাবী দেওয়া দেখে মনে হয় এরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাদিআল্লাহু আনহু) চেয়েও ইসলাম’কে বেশি বুঝে ফেলেছে! এদের জ্ঞান আর প্রজ্ঞা এতই বেশি যে সেটা আর নিজেদের মধ্যে ধরে রাখতে পারছেনা, উপচে উপচে পরছে!

অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِيْنًا ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (সুরা মায়েদাহ ৫/৩)।

এরপর যারা ইসলামে নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেন, সেটার কী প্রয়োজন ভেবে দেখা দরকার! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কাউকে তার ধর্মে নতুন কিছু যোগ করা কিংবা বাদ দেয়ার অধিকার দেন নি। ইসলামে যেমন বাড়াবাড়ির অবকাশ নেই, তেমন ছাড়াছাড়িরও কোন সুযোগ নেই। ইসলাম হল মধ্য পন্থা, সরল রাস্তা, সহজ ভাষায়, সীরাতুল মুস্তাকীম। যে বিধান যতটুকু দেওয়া প্রয়োজন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ততটুকুই আমাদের দিয়েছেন। এর পূর্ণ অনুসরণেই মানবজাতীর সকল কল্যাণের সূত্র নিহীত। এর বাস্তব প্রমাণ সাহাবায়ে কেরামগনই রেখে গেছেন আমাদের জন্য এবং এর পরের প্রজন্ম থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত।

আমরাও যদি কল্যাণের প্রত্যাশা করি তাহলে আমাদেরকেও ইসলামের সকল বিধানের পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে এবং আমাদের ঈমান, আমল ও ফতোয়া সবকিছুকে যাচাই করতে হবে আল্লাহর দেয়া বিধি বিধানের মানদণ্ডে।

৬।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইসব হারাম, নিষিদ্ধ, ফাসিক কাজকর্মের পক্ষে কিছু মানুষের কেন সমর্থন দেখা যায়? এইসব কাজের পক্ষে কেন এদের সাফাই গাইতে দেখা যায়? হারাম’কে হালাল বলে প্রচার করতে দেখা যায়? এদের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়?

এরা কারা এবং চরিত্র কী সেটা বহু বছর আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করে বলে দেয়া আছে। এরা যদিও নামে মাত্র মুসলিম, কিন্তু এদের আসল পরিচয় হলো এরা মুনাফিক।

কীভাবে এরা মুনাফিক?
'মুনাফিক' শব্দটি 'নিফাক' শব্দমূল থেকে এসেছে, যার অর্থ কোনো কিছুকে গোপন রেখে এর বিপরীত কথা বা কাজ প্রকাশ করা। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় মুনাফিক বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যে অন্তরে কুফরি ও ইসলাম বিরোধিতা রেখে মুখে ও প্রকাশ্যে মুসলমান হওয়ার দাবি করে। মুনাফিক হলো এমন ব্যক্তি যে ইসলামকে মুখে প্রকাশ করে এবং অন্তরে কুফরিকে লালন করে।

ঈমান তিনটি জিনিসের সমন্বয়ের নাম। ১. অন্তরের বিশ্বাস, ২. মৌখিক স্বীকৃতি, ৩. স্বীকৃতি অনুযায়ী আমল করা (সুত্রঃ ইবনে মাজাহ)।

মুনাফিকরা শুধু মৌখিকভাবে ঈমানের স্বীকৃতি দান করে, কিন্তু অন্তরে মোটেও বিশ্বাস লালন করে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর মানুষের মধ্যে এমন কতিপয় লোক আছে, যারা বলে আমরা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান এনেছি, অথচ তারা মুমিন নয়।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৮)

এরা কেন এ কাজ করে, এর ব্যাখ্যায় কোরআনের এক আয়াতে বলা হয়েছে, 'তারা আল্লাহ ও মুমিনদের ধোঁকা দিতে চায়, আসলে তারা নিজেদের সঙ্গেই প্রতারণা করছে, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করতে পারছে না।' (সুরা বাকারা, আয়াত: ৯)।
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তারা মূলত কাফিরদের কাছ থেকে মান-মর্যাদা পেতে চায়।' (সুরা আন-নিসা, আয়াত: ১৩৯)

নিফাক ও মুনাফিকি দুই ধরনের।
এক. বিশ্বাসগত মুনাফিকিঃ অন্তরে কুফরি রেখে নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করা কিংবা পরিচয় দেয়া। এ ধরনের মুনাফিকির মাধ্যমে এরা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। (উদাহরণ, আল্লাহ’র নির্দেশে নামায পড়ার জন্য দেয়া আযান’কে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করা, আদি পিতা হযরত আদম (আলাহিস সালাম) এবং আদি মাতা হযরত বিবি হাওয়ার অস্তিত্ব’কে অস্বীকার করা)
দুই. কর্মগত মুনাফিকিঃ আমানতের খিয়ানত করা, মিথ্যা বলা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, গালিগালাজ করা ইত্যাদি। এসব কর্ম মুনাফিকি হলেও এসবের মাধ্যমে কেউ ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে যায় না।
(তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির)

মুনাফিকদের ইসলামের আকিদা-বিশ্বাসে সন্দেহ, অস্বীকৃতি ও মিথ্যা থাকার কারণে তাদের কলবকে অসুস্থ কলব বলা হয়। দ্বিমুখী আচরণ একটি কঠিন মানসিক ব্যাধি। ঈমান আনার পর যারা দ্বিমুখী আচরণ করে, তারা মূলত মানসিক ভাবে অসুস্থ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তাদের হৃদয়ে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ সে ব্যাধিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের মিথ্যাচারের দরুন তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা আল বাকারা, আয়াত: ১০)

এই মুনাফিকরা যখন প্রকাশ্যে থাকে তখন এক কথা বলে আবার যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলে তখন আরেক কথা বলে। এদের মুনাফিকির উদাহরণ দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে বলা আছেঃ
‘যখন তারা মুমিনদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি, আবার যখন নিরিবিলি তাদের শয়তানদের (কাফির নেতাদের সঙ্গে) মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই আছি। আমরা তাদের (মুমিনদের) সঙ্গে শুধু ঠাট্টা-তামাশা করছি মাত্র।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৪)

ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, মুনাফিকরা প্রত্যেকেই দ্বিমুখী আচরণকারী। এক মুখে তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়। অন্য মুখে ভোল পাল্টিয়ে তারা তাদের কাফির ভাইদের সাথে মিলিত হয়। তাদের জিহবাও দু’টো। এক জিহবা দিয়ে তারা মুসলমানদের সাথে উপর উপর কথা বলে, আর অন্য জিহবা তাদের গোপন অবস্থার ভাষ্যকার। কুরআন ও সুন্নাহর অনুসারীদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামশা করা এবং তাদের তুচ্ছ ভাবা ওদের স্বভাব। এ কারণে তারা কুরআন-সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাদের যে বিদ্যা-বুদ্ধি আছে, তা কেবলই তাদের ঔদ্ধত্য ও অহংকার বাড়িয়ে তোলে।

৭।
ইসলামে একদম সুস্পষ্ট ভাবে গান বাজনা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফে সুস্পষ্টভাবে সেটা বলে দেয়ার পরও কেউ যদি সেটা বুঝতে না পারেন সেটা তার ব্যর্থতা। নিজের ব্যর্থতার জন্য অন্য কাউকে চ্যালেঞ্জ করার কোন অবকাশ এখানে থাকে না।

আমরা নিজেদের ব্যস্ততা কিংবা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য অনেক সময় ধর্মীয় অনুশাসন পুরোপুরি মেনে চলতে পারি না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু প্রকাশ্যে সেটা কে অস্বীকার করা কিংবা ব্যঙ্গ করা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সব কিছুরই অলংঘ্যনীয় একটা সীমারেখা থাকে। কোন মর্ত্যমানুষেরই সেটা অতিক্রম করা উচিৎ নয়।

কারও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়, মহাবিশ্বের কালের পরিক্রমায় সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত বড় বড় রাজা মহারাজাই এসেছে; যত বড় জালিম, নমরূদ,‌ হিটলার এসেছে, এরা প্রত্যেকেই আজ মৃত। তুচ্ছ এই ধুলামাটির নীচেই এদের শেষ আশ্রয় নিতে হয়েছে। সেখানে যাবার সময় নিজেদের মুনাফিকি, দম্ভ কিংবা অহংকার কোন কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারে নি। পবিত্র কুরআন শরীফে বার বার স্মরণ করে দেয়া হয়েছে “কুল্লুন নাফসুন জাইকাতুন মঊত” / “প্রত্যেক জীবিত প্রাণ’কেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে”। এইসব অস্বীকারকারী কিংবা মুনাফিকদের সর্তক করে দেয়া মুসলিম হিসেবে যা দায়িত্ব সেটা পালন করা হয়েছে।

এইসব মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলেই এই লেখা শেষ করতে চাই-

মৃত্যুর পর যখন ধবধবে সাদা কাফনের কাপড় পরিয়ে সাড়ে তিনহাত মাটির নীচে, মাটি চাপা দিয়ে একদম একা রেখে সবাই চলে আসবে, ঠিক তখনই মুনকার এবং নাকীর (আলাইহিস সালাম)’র নামক দুইজন ফেরেস্তা আসবেন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সময়ে যত কথা এবং যত কাজ করেছেন সেটার হিসাব নিতে। মুনাফিকির মাধ্যমে যত লেখালিখি, বক্তিতা আর মাঠ গরম করেছেন তার সঠিক হিসাব নিতে। পারলে এই ফেরেস্তারদের তখন বলবেনঃ
- আপনারা তো সিম্বোলিক, মানুষের বিবর্তনের আদি সব গালগল্পে আপনাদের নাম লেখা ছিল। আমি তো আপনাদের চিনিও না, নামও শুনি নি, বিশ্বাসও করি না। জানেন আমি কে? আমার পারমিশন ছাড়া আমার কবরে ঢুকেছেন কেন?

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২০

মন্তব্য ১১৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নীল আকাশ বলেছেন গান-বাজনা হারাম। সুষ্পষ্ট ভাবে হারাম।

কিন্তু মাত্র কদিন আগে ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৪০ নীল আকাশ বলেছেন:

"তপন চৌধুরির গান সেই সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। গলাও ভালো উনার।
৪ নাম্বার গান- অনাবিল আশ্বাসে - আমার খুব প্রিয় গান।"


তাওবা করে একটি পোষ্ট দিয়ে এরপর এই পোষ্ট দেয়া উচিত ছিল না?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
আপনি ভালোভাবে আমার পোস্ট পড়েন নি। আমি পোস্টেই লিখেই দিয়েছি "আমরা নিজেদের ব্যস্ততা কিংবা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য অনেক সময় ধর্মীয় অনুশাসন পুরোপুরি মেনে চলতে পারি না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু প্রকাশ্যে সেটা কে অস্বীকার করা কিংবা ব্যঙ্গ করা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়"। এই লাইন আপনার চোখ এড়িয়ে গেল কীভাবে?

আমরা মানুষ, নফসের ধোকায় পরে ভুল আমাদের হতেই পারে। কিন্তু ভুল থেকে সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। আমি এখন গান শুনি না।

আশা করছি আপনি আমার কাছে ব্লগের গ্রুপ পোস্টে যেটা জানতে চেয়েছিলেন তার সব প্রমাণ এখানেই দিতে পেরেছি। আপনার আরেকটা বিষয় নিয়েও লেখা রেডি করছি। আমি যথাযথ সূত্র ছাড়া এই ধরনের কোন লেখা লিখি না। সেজন্যই কিছুটা সময় লাগছে।
ধন্যবাদ।


২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কোনটা হারাম, কোনটা হালাল, কোনটা মোবা, জায়েজ-নাজায়েজ সবই কুআরন-হাদিসে বলা হয়েছে।

অতএব সীমালঙ্ঘন করলে এর প্রতিদান দুনিয়া ও আখেরাতে পাবে।

জাল হাদিস ও কুআরনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বাদ্যসহকারে গান গাওয়া হালাল করা যাবে না।

হ্যা প্রতিদিন গানগুনি, গানগাই, টিভি, সিনেমা দেখি কিন্তু এটা যে গুনার কাজ করছি সেটাতো জানতে হবে।

অবশ্য সময় এমন আসবে গুনাকে গুনা মনে করবেনা সে যুগেরই লক্ষন এগুলো। এমন েএটা যে গুনা এই বোধও তার জাগবে না।

ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
অজ্ঞতার কারণে মানুষ ইসলামে কত কিছু যে ভুল ব্যাখ্যা করে। না জেনে কিংবা আন্দাজে যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়ায়। একটূ ভয়ডরও লাগে না এদের। কোনটা গুনাহ আর কোনটা গুনাহ না সেটাও জানে না।
পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। একটা কথাই বলি আমি। আমি যা করি সেটা ভুল করি জেনেও গুনাহ হবে জেনেও। মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু ইসলামের বিধিবিধান কখনো মিথ্যে হয়ে যায় না। যা নিষেধ তা নিষেধই যা পালনিয় তা অবশ্যই পালন করতে হবে। আর আমরা সেটা করি না সেটা যার যার আমল।

জোর করে কিছু হালাল করে নেয়া শুধু দুনিয়ার সুখ
ভেবে রাখুন কবর আছে আছে আখেরাত যেদিন স্বয়ং আল্লাহ তাআলার সম্মুখে দাঁড়াতে হবে।

আজ যা লুকোচুরি করে গুনাহ করি পরকালে সেসব পাপগুলিই সম্মুখে এসে দাঁড়াবে, না বা এসব মিথ্যা বলে লাভ হবে না।

সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া
আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১০

নীল আকাশ বলেছেন: অযথা কিছুদিন ধরে না জেনে অজ্ঞাত বশত বেশ কয়েকজন এই বিষয়ে যা ইচ্ছে, মনগড়া, আজগুবী কথা বলে বেড়িয়েছে।
কালকে দেখলাম একজন আবার আযান নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছে। ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে সব কিছুরই।

একজন মুসলিম হিসেবে সর্তক করে দেয়া আমার কর্তব্য, সেটা আমি করেছি।
রোজ হাসরের দিন এদের কিছু বলিনি দেখে আমাকে দায়ী করা হবে না।
তাছাড়া, অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও ঈমানের দায়িত্বের মধ্যে পরে যায়।

জাজাকাল্লাহ খাইরান আপু। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন, আমীন।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জি ভাইয়ু ! এব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মন্তব্য যুক্ত করিলাম ! ধন্যবাদ !গানবাদ্য এবং শরিয়ত: বয়াতিদের আকিদা নিয়ে দুই আলেমের বিশ্লেষণ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার দেয়া লিংক কাজ করছে না। অনুগ্রহ করে আবার চেক করে দেখবেন কী?
শুভ কামনা রইলো।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: @নীল আকাশ, আপনি ধর্ম বিষয়ক আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিজের ভেতরেই রাখুন। কে কতটুকু মানবে আর কে না মানবে এটা একান্তই যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার। ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টগুলো অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানোর কাজ করে । আমাদের দেশে অতি বিশ্বাষী আর অতি অবিশ্বাষী দুই পক্ষেরই নিরাপত্তা নাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই আপনি ভুল বলেছেন। পুরো লেখার মধ্যে আমি প্রায় পুরোটা অংশেরই সূত্র উল্লেখ করেছি।
আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাস হলো কীভাবে এটা?
কেউ ভুল জানলে সেটা ধরিয়ে দেয়াও দায়িত্বের মধ্যে পরে যায়!

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আবার দিলাম ভাইয়ু !

গানবাদ্য এবং শরিয়ত: বয়াতিদের আকিদা নিয়ে দুই আলেমের বিশ্লেষণ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: পেয়েছি ভাই। খুব খুশি হয়েছি।
ব্লগে এইসব লেখা দিলে সবাই ঝাপিয়ে পরে। তখন কাউকে পাশে পেলে খুব ভালো লাগে।
কৃতজ্ঞতা রইলো নিরন্তর।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সরি ভাইডি ! আমি পাইতাছি , এইখানে সংযুক্ত করিলে পাইতাছি না ! প্রচ্ছদ পেজে গিয়া 'ইসলাম' এ ক্লিক করিলে পাইবেন ! ধন্যবাদ !

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা পেয়েছি। আগে পেলে কাজ হতো। লেখায় সংযুক্ত করে দিতে পারতাম।
দুর্দান্ত লেখা। আমার লেখার সমর্থনেই দেয়া আছে।
খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।
কৃতজ্ঞতা রইলো নিরন্তর।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



যুগে যুগে মানুষ সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে যেইভাবে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন পৃষ্টার বর্ণনা দিয়েছেন, এবং এই বিশ্ব যেই রকম কমপ্লেক্স, ইহা সহজেই বলে দিচ্ছে যে, মানব জাতির সাথে সৃষ্টিকর্তার যোগাযোগের কোন সম্ভাবনাই নেই। ফলে, উনার থেকে নির্দেশন, নিয়ম কানুন আসার কোন সম্ভবনা নেই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: অজ্ঞ ব্যাক্তিরা পাঠার মতোই সারাজীবনই ঠ্যা ঠ্যা করে যায়। কারও তাতে কিছু যায় আসে না।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি যে সব সুত্র উল্লেখ করেছেন, অবিশ্বাষীরা সে সব সুত্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে ঝাপিয়ে পড়বে। তাই বলেছি যে এইসব স্পর্শকাতর ইস্যূ ব্লগে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
ধর্মীয় একটা বিধিবিধানের জন্য আমাকে এই পোস্ট দিতেই হতো। সরাসরি হযরত আবু হুরাইরা (রাজিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত আছে, "ধর্মীয় বিষয়ে কোন জ্ঞান গোপন করা বা সবাইকে না জানানো মারাত্মক অপরাধ"। সনদ আমি চাইলেই দিতে পারবো। আমি এই গানের বিষয়ে ইসলামের বিধিবিধান খুব ভালোভাবেই জানি। আমি যদি এটা সবাইকে না জানাই তাহলে আমিও এই জ্ঞান গোপন করার জন্য মারাত্মক দায়ী হবো। কী জবাব দেবো আমি রোজ হাসরের ময়দানে?
আমি এই পাপের দায় নিতে পারবো না। এইজন্য যত কষ্ট হোক আমি সহ্য করতে রাজী আছি।
আশা করি আমার অবস্থা আপনি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হালাল হারাম বাদ দেন। যুগ বদলে গেছে। যা ভালো লাগে তা করুন। গান শুনতে ভালো লাগলে গান শুনুন। ধার্মিকেরা অতি দুষ্ট এবং নির্বোধ হয়। তাদের কথায় গান শুনা বাদ দিলে হবে না। ঘুষ খাওয়া তো হারাম সবাই তো দেদারছে ঘুষ খাচ্ছে। এত কিছু থাকইতে গানের পেছনে লাগার কারন কি? যতসব ফাজলামি।

এই ধার্মিকেরা আমাদের পিছিয়ে রাখতে চায়। ধর্মই দেশটারে খাইলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার কান্ডজ্ঞান দিন দিন কমে যাচ্ছে। কী বলেন আর কী কোথায় বলতে হয় না সেটা নিজেও বুঝেন না। পোস্টে না পড়েই আন্দাজে উলটাপালটা মন্তব্য করে বেড়ান। চরম হাস্যকর!
হালাল হারাম বাদ দেন। কাকে বাদ দিতে বলেছেন আপনি? আমাকে? আল্লাহর দেয়া বিধিবিধান আমি বাদ দিবো?
মাথা ঠিক আছে তো আপনার? কালকেই না আপনি আজান নিয়ে একটা বাজে মন্তব্য করে কিছুক্ষণ পরে যেয়ে আল্লাহর হেদায়েতের জন্য দোয়া চেয়েছেন?

ধার্মিকরা দেশ পিছায় না; পিছায় আহাম্মক, নির্বোধ আর বেকুবরা। যারা না বুঝে আন্দাজে কথা বলে বেড়ায়, তারা।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ মূর্খদের সাথে তর্কে না যাওয়াই ভালো কাউ কাউ তারা করবেই । আল্লাহর হেদায়েত এরা পাবে না মনে হয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১০

নীল আকাশ বলেছেন: যাদের জ্ঞানের অভাব থাকে তারাই অনর্থক চিল্লাচিল্লি করে।
কিন্তু আমার ব্লগে চিল্লাইয়া মার্কেট পাওন যাইতো না।
ধন্যবাদ।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইর

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাই।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন, আমীন।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কি ভুল করলেন আপনি --!!??

পাঠার জন্য আপনি এরকম কবরের ছবি দিতেন! তাহলে একটু মনে মনে শান্তি পেত! --- আপনার লেখার লাস্ট লাইনটাও এই কবর থেকে বলতে পাঠা+দের সুবিধা হত।



-----ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) ভাই দারুন একটা বুদ্ধি দিয়েছেন।
এইসব পাঠাদের জন্যই আমি লেখায় ৬ নাম্বার প্যারাটা দিয়েছিলাম যদি এদের কোনভাবে আক্কেল জ্ঞান ফিরে আসে।
পড়ার এবং সুন্দর একটা মন্তব্য দেয়ার জন্য খুব করে ধন্যবাদ নিবেন ভাই।
কৃতজ্ঞতা রইলো নিরন্তর।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুরা লোকমান। আয়াত ৩১-৬ অনুবাদ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।

এই আয়াতে কোথাও গান বা বাজনা খারাপ বা হারাম লেখা নেই। কোন ইংগিতও নেই। 'অবান্তর কথাবার্তা' মানে কি গান?
আল্লার আয়াতের উপর হস্তক্ষেপ করে নিজের সুবিধামত বাক্য বানিয়ে ফায়দা হাসিল, খোদার উপর খোদগারি হয়ে যায়। এসব অন্যায়।

সূরা লুকমান : ৬ এর বক্তব্যে
মাসকুর ভাই (বিদ্রোহীভৃগু) ফেবুতে সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সূরা লুকমান : ৬ যে আয়াতের কথা। যে কারনে নাজেল হয়েছিল। সেটা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে, সেই আদেশ।
সুধু সেই রকম অবস্থায় (কোরান তেলাওতের সময়) গান গাওয়া যাবে না।

শানে নুযূলে বলা হয়েছে যে, নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী (কৃতদাসী) খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণের ইচ্ছা করলে সেটা বাদ দিয়ে তাকে গান শোনানোর জন্য সেই গায়িকাকে আদেশ করত। মানে ফাজলামি। তখন সেটা তো হারাম হবেই।
এখন সেরকম কেউ করে না। তাই সেই আয়াত সাধারন গানের ক্ষেত্রে প্রযজ্য না।



ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছিল সুফি দরবেশদের মাধ্যমে তথা গজল জারিগান মুর্সিদি গান কবিগানের মাধ্যমেই।
কিন্তু ৬০এর দশকে মাওলানা মওদুদী ও তাদের অনুসারিরা কোন রেফারেন্স বাদেই গান বাজনা বেদাত বলা শুরু করে।
বাংলাদেশের জল্লাদ গোলামআজমের কথিত ধর্মপ্রাণরা আজও ওই ভ্রষ্ট মওদুদীর মতকে লালন করে যাচ্ছে। মওদুদীর ইসলামই হলো জঙ্গিবাদী জামায়াতের ইসলাম। এরাই ধর্মপ্রান বাংগালীদের কোরানের অপব্যাখ্যা দিয়ে ফায়দা হাসিল করে যাচ্ছে।

গান বাজনা হারাম হলে সৌদিআরব সহ সকল মুসলিম দেশে গানবাজনা চলছে কি ভাবে? শিবির কি নবিনবরনে সঙ্গিত গায় না? ওয়াজের হুজুররা পর্যন্ত মাইকে গান গায়

প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের বাজনা সহ জাতীয় সঙ্গিত আছে। সৌদি আরবেও
পৃথিবীর কোন দেশ গানবাজনা নিষিদ্ধ করেনি। প্রতিটি আরব দেশে আসমা আল হুসনা গান চলে, বলিউডি সহ গানবাজনা সবই চলে। কেউ নিষেধ বলেছে? নিষিদ্ধ করেছে? বরঞ্চ সব আরব দেশে হিন্দুদের মত গানের সাথে উলুধ্বনি পর্যন্ত চলে। রসুল যুগ থেকেই চলছে।
কোরানে গানবাজনা হারাম বলে কোন আয়াত নাজেল হয় নি। হাদিসেও নেই।

অনেকে বলে গান হালাল, তবে বাজনা হারাম। সেরকম আলাদা করে কোথাও কিছু বলা হয় নি।
বাজনা হারাম হলে ইসলাম আবির্ভাবের সময় বাদ্য বাজিয়ে গান গেয়ে মহিলারা উলুধ্বনি সহ নেচে নবী (সঃ) কে মদিনায় স্বাগতম জানানো হয়েছিলো কিভাবে?
অনেক পরে ইসলাম শক্ত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মক্কা বিজয়ের পদযাত্রায় আরো বিপুল বাদ্য বাজিয়ে গলা হাকিয়ে গান গেয়ে মক্কা বিজয় হয়েছিল। সেই যাত্রায় নবীজি(স) সারাক্ষন ছিলেন।
হারাম হলে তো তখনি মানা করতেন।
সুর ও সঙ্গিত হারাম হয়ে থাকলে, আজানে সুর করে আজান দেয়া হত না, কোরান শুধু আবৃতি করা হত, সুর করে তেলাওয়াত হত না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
কাউকে ইসলাম শিখানো আমার কাজ নয়। আমি শুধু চেষ্টা করেছি যা অনেকই জানে না সেটা সবার কাছে তুলে ধরা। আমি সেই কুরআন শরিফের আয়াতের তাফসীরে সপক্ষে সূত্র দিয়েছিঃ (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, ৪৪২ ও ৪৪৩ পৃষ্ঠা/ তাফসীর তাবারী, ২০নং খণ্ড, ১২৬ থেকে ১৩১ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কুরতুবী, ১৪নং খণ্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)। এইগুলি যদি আপনি বিশ্বাস না করেন তাহলে আমার কিছুই করার নেই। এখন কে কী ব্যাখ্যা দিলো আমার তাতে কিছু যায় আসে না। ১০ নাম্বার প্রতিমন্তব্য অনুগ্রহ করে পড়ে আসুন।

কে কী করে বেড়িয়েছে তাতে ইসলামে কিছু যায় আসে না। ইসলাম সুনির্দিষ্ট। আপনি সেটা মানবেন না মানবেন না সেটা আপনার উপর।
-সৌদী আরবে সহ মিডল ইস্টে আরব রা তো কাজের মেয়েদের যৌন নির্যাতন করে বেড়ায় তাহলে সেটা আরবরা করে বলে আমরাও করবো?
-কুরআন শরীফে তো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথাও লেখা নেই। তাহলে এটাও এখন অস্বীকার করুন।

কেউ সঠিক ভাবে ইসলাম না মানলে তাকেই তার হুবুহু জবাব দিতে হবে, আমার না। আমার কাজ সঠিক তথ্য পৌছে দেয়া সেটা আমি করেছি। কারও যদি বিন্দুমাত্র উপকারও হয় তাতেও আমার কষ্টটা কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: মাওলানা মওদুদী, গোলাম আজম, জামায়াতের ইসলাম - এরা সঠিক ইসলামের সাথে সর্ম্পকীত নয়। এদের দেখে ইসলাম শিখতে যাবেন না। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদীস গ্রন্থ পড়ুন। ইসলামে জ্ঞান অর্জনের জন্য সরাসরি নির্দেশ দেয়া আছে।
ধন্যবাদ।

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাই আল্লাহ বলেছেন জানেন? তিনি বলেছেন- তুমি যদি মুর্খদের বুঝাতে যাও তবে সে শুনেও শুনবে না, বুঝেও বুঝবে না, দেখেও দেখবে না। তারা হলো এক ধরনের অন্ধ, বধির, গোমরা। তাদেরকে তুমি ছেড়ে দেও। ওদেরকে আমার উপর ছেড়ে দেও। ওদের জন্য রয়েছে চিরস্থীয় জাহান্নাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: আরেকটা পোস্টে আপনার মন্তব্যে আপনাকে বাজে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল দেখেই এই পোস্টের সূত্রপাত। আপনার মন্তব্যের সমর্থনেই এটা লেখা হয়েছে। এরপর যদি কেউ এই বিষয়ে কিছু বলে আপনাকে, সোজা আমার পোস্ট দেখিয়ে দেবেন। আপনার সেই মন্তব্যটা পড়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক সুন্দর প্রতিদান দিন এর জন্য, ছুম্মা আমীন।

১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়লাম। যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন।
পোস্টে লাইক।

শুভকামনা জানবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি কোন কাজ হাত দিলে সেটা সর্বোচ্চ ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। এই বিষয়ে সবাইকে আমি যতটুকু জানি তার পরিপূর্ণ জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করেছি।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: সামান্য ব্যাংকে চাকরি করতে হলেও সাবজেক্ট কন্ডিশন দিয়ে দেয়! ওই ওই সাবজেক্টে না পড়লে নাকি টাকা গোনা যাবে না... টেকনিক্যাল বিষয়ে তো কথাই নেই, নির্দিষ্ট সাবজেক্টে না পড়লে ওইদিকে তাকানোও যাবে না। অথচ ধর্মীয় বিষয়ে কিছু না পড়ে, আগাপাশতলা ঠিকমত না জেনে পাব্লিকে সমানে হালাল-হারামের ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে, আবার সেইটা নিয়ে চ্যালেঞ্জও দিচ্ছে....

মূল প্রব্লেমটাতো এই যায়গায় বলেই আমার মনে হয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
উপরের এবং নীচের কিছুই অযৌক্তিক মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিতে যেয়ে আপনার কাছে ফিরতে দেরি হয়ে গেল। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। আপনি যা বলেছেন সেটা ঠিক, চরম সত্য।
আপনি একদম রূট কজে হাত দিয়েছেন। এটাই আসল সমস্যা। ইসলামে সব কিছু স্পষ্ট ভাবে দেয়া আছে। নিজে কষ্ট করে কিছু পড়ে দেখবে না। নিজে কিছু শিখবে না। কিন্তু নিজের বিন্দুসম জ্ঞান নিয়ে তর্ক করার সমানে আন্দাজে কথা বলে যাবে।
একজন বয়াতী ইসলাম ধর্মের কী জানে? এর কথা শুনে এত লাফালাফির কী আছে? চার কলেমা জিজ্ঞেস করলে এই বয়াতী সেটা বলতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে?
দুর্দান্ত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছু কিছু জিনিস/বিষয় হারাম বা নিষিদ্ধ, তা জেনেও আমরা সেগুলো করে থাকি। খুন করা মহাপাপ, কিন্তু খুন থেমে নেই। জেনা করা কবীরা গুনাহ, কিন্তু মানুষ জেনা ও ধর্ষণের সেঞ্চুরি করছে। সুদ ও ঘুষ খাওয়া হারাম, এসব দেধারছে চলছে। মিথ্যা বলা মহাপাপ, কিন্তু মিথ্যা না বললে স্বস্তি হয় না। সত্যবাদী লোক অণুবীক্ষণ দিয়ে খুঁজতে হবে, পাবেন কিনা সন্দেহ।

৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নির্দেশ আছে। শতকরা কতভাগ লোক ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? যাকাত পরিশোধ করে কতজন লোক?

আমি আস্তিক, আমার আস্তিকতা থেকে একচুল নড়াবে এমনটা সম্ভব হবে না। কিন্তু এ সত্ত্বেও, গান-বাজনা হারাম বা অবৈধ বা বিতর্কিত জেনেও আমি এগুলো ছাড়তে পারবো না। এগুলো অন্যায় জেনেও আমি এ অন্যায়গুলো করে যাব।

শরীয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কেইস করাটা বোকামি হয়েছে আমার মতে। আমাদের দেশে কি কোনো অভিজ্ঞ মৌলানা নেই, যারা তাকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারতেন যে গান-বাজনা হালাল নয়, হারাম? মামলার এজাহারে কী লেখা হয়েছে সেটা আমি জানি না, অনেকেই হয়ত সেটা জানেন না, আমরা যে বিষয় নিয়ে তর্ক করছি মামলার এজাহারে হয়ত অন্য বিষয় লেখা আছে। এজাহার জানা দরকার।

এখন ধরুন, মামলায় রায় বের হলো- শরীয়ত সরকার দোষী, গান-বাজনা হারাম, তাহলেই কি গান-বাজনা থেমে যাবে? খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, সুদ, ঘুষের মতো ইহাও সমান বেগে চলিতে থাকিবে।

মোটের উপর, গান-বাজননা হারাম বিষয় নিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় যাওয়ার বিষয়টা ধর্ম ও গান-বাজনার ব্যাপারে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতিই সৃষ্টি করেছে।

আমি আপনার সেন্টিমেন্টের সাথে। পোস্টের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: খলিল ভাই,
আপনি একদম আমার মনের কথাই বলেছেন। আমরা মানুষ। নফসের ধোকায় পরে আমরা অনেক সময় ইসলামের ধর্মীয় বিধি বিধানগুলি মানতে পারি না। শত ইচ্ছে থাকলেও শয়তানের ধোকায় পরে সব নির্দেশ মেনে চলতে পারি না।
কিন্তু তাই বলে কি এই সব নিয়ম কানুন অস্বীকার করবো? স্পষ্ট ভাবে কুরআন শরীফে এবং হাদীস শরীফে সব বলে দেয়ার পরেও নেই বলে মিথ্যা কথা বলবো, বাজে কথা বলবো, চ্যালেঞ্জ করবো? এটা তো হতে পারে না।
গতকালকে কামরুননাহার কলি'কে একটা একই কথা, একই আয়াত দেবার পর আক্রমণ করা দেখেই এটা তার সমর্থনে এটাই লিখেছি।

বান্দা ভুল করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে তিনি দয়া পরবশ হয়ে নিশ্চয়ই মাফ করে ফিবেন। কিন্তু তিনি কি কুফর করলে, মুনাফিকি করলে, তার কিতাব / আয়াত অস্বীকার করলে কি মাফ করবেন?

পড়ার এবং খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " কেন কবরের ছবি দেখে ভয় লেগেছে? কলিজায় পানি শুকিয়ে গেছে? বুক ঢুক ঢুক করে কাঁপছে? ... কয়টা দিন পরে ব্লগে যে সব মুনাফিকি কথাবার্তা বলে বেড়িয়েছেন তার এক এক করে জবাব দিতে হবে। "

-মানুষকে "মুনাফিক" ডাকলে আপনার ব্লগে থাকার কোন কারণ আমি দেখছি না

-

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি নিজেই ইসলাম নিয়ে ক্রমাগত নোংরা এবং আপত্তিমূলক বিভিন্ন মন্তব্য করেন যেটা সরাসরি ইসলামের শরিয়তের বিধিনিষেধের পরিপন্থি। শুধু আপনার মতো ব্লগারদের জন্যই আমি ৬ নাম্বার প্যারাটা বেশ ভালো ভাবে লিখেছি। এই প্যারাটা পড়ার পর নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কি?

একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার উচিত ছিল এই লেখায় আমার ভুল কোথায় আছে সেটা দেখা, বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা, কোন সুনির্দিষ্ট কিছু ভুল মনে হলে সেটার ব্যাখ্যা চাওয়া। অথচ আপ্নি কি করেছেন নিজেই নীচে দেখুন?

আমাকে অযথাই শিবির বলে গালি দিচ্ছেন। আমি সারা স্টুডেন্ট লাইফ শিবিরের ছেলেপেলেদের বুয়েটে তাড়িয়ে বেড়িয়েছি। আমরা যতদিন পলিটিক্স করেছি ততদিন শিবির একবারের জন্যও বুয়েটে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে নি। এখন বলুন যেটা আমাকে বলেছেন সেটা শুনলে কেমন লাগে?

আমি আপনাকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার যেকোন পোস্টে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আসুন। তর্ক হবে, আলোচনা হবে, যুক্তি আসবে। দেখি কে যৌক্তিক কথা বলে? ব্লগের পাঠকরা সাক্ষী থাকবে। ম্যাওপ্যাও মন্তব্য না করে আমার সাথে যুক্তি তর্কে আসুন, যদি সাহস থাকে।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আমাকে "মুনাফিক" ডেকেছেন, আপনি অবশ্যই "শিবির"; গার্বেজ লিখে ব্লগ ভরাচ্ছেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: ঊপরে আমি এটার প্রতি মন্তব্য ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছি।
আপনার এই ধরনের মন্তব্য পড়ে সবাই আপনার সর্ম্পকে কী ভাববে সেটা কী কখনও ভেবেছেন?
ধন্যবাদ।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) : পাঠা নহে পাঁঠা হইবে ! ব্লগের এমন মূল্যবান প্রাণীদের ক্ষেত্রে বানাম বুল সহ্য করা হইবে না.........!

মন্তব্যে কাহারও কাহারও বিচি বাহির হইয়া গেল !!

গান হারাম তো বটেই ! যাহাদের গানে আসক্তি আছে তাহাদের জ্ঞাতার্থে জানাইতেছি , হারামকে হারাম জানিয়া নফসের খায়েশে যাহারা হারাম কর্ম করিয়া ফেলে , মনে অপরাধবোধ থাকে, তাহাদেরও আল্লাহ একসময় মাফ করিবেন আশা করা যায় ! তবে বিরত থাকিতে প্রবল চেষ্টা করিতে হইবে ! তবে হারামকে যাহারা হালাল বানাইতে চেষ্টা করে, এমনকি কোরান ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করিয়া হালাল বানাইতে চেষ্টা করে ধর্মীয় বিষয়ে সেইসব আবালদের ব্যাপারে কঠোর ধমকি আসিয়াছে।

বয়াতির পক্ষ লইয়া যাহাদের বিচি চাগাম দিতেছে সেইসব মহান পাঁঠাদের জ্ঞাতার্থে জানাইতেছি তাহাদের এদেশীয় গুরু ড. আহমেদ শরীফ (আমি তাহার পান্ডিত্যের ভক্ত বটে !) স্বয়ং বয়াতি, লালন অনুসারীদের তাহার লেখনীতে ল্যাংটা বানাইয়া দিয়াছেন, তাহাদের নোংরা জীবন-যাপনের তথ্য প্রকাশ করিয়াছেন !! উহা পড়িলে তাহাদের এমনিতেই ডিম্ব থেরাপি দিতে ইচ্ছা করিবে !! মামলা না দিয়া উহা দিলেই হইতো !!!

(পছন্দ না হইলে বা আপত্তিকর মনে হইলে মন্তব্য মুছিয়া দিবেন !)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্য বরং থাক। আপনি যেহেতু পাঁঠা জাতীয় প্রানীদের নিয়ে লিখেছেন, ব্লগে নিশ্চয়ই কোন পাঁঠা আছে। সে যদি এটা পড়ে কিছুটা সংশোধন নিজেকে করতে পারে অসুবিধা কী?

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪

নতুন বলেছেন: এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন-وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَاناً لِّكُلِّ شَيْءٍ ‘আর আমি প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করলাম’ (সুরা নাহল ১৬/৮৯)।

প্রথমে আপনি বললেন যে আল্লাহ কোরানে স্পস্ট ব্যখ্যা কিতাবে দিয়েছেন।

কিন্তু একটু পরেই বললেন যে সবগুলোই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। হয়ত সরাসরি বা ইঙ্গিতে অথবা লিখিতভাবে বা মর্মগতভাবে।

তার মানে উপরের সুরা নহলের কথা কি সঠিক নয়? কোরানের কথা গুলি স্পস্ট না?

ইসলামে এ ধরনের গান করা বা শোনা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে। এ ধরনের গান করা বা শোনা সম্পর্কে হুঁশিয়ারী করে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”। (সুরা লোকমান ৩১-৬)
এ আয়াতে বর্ণিত لَهْوَ الْحَدِيثِ (অনর্থ কথা) দ্বারা গানকে বুঝানো হয়েছে। এর দ্বারা গান গাওয়া ও শোনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


উপরে আপনি বললেন যে অনথ` কথা দ্বারা গানকে বুঝানো হয়েছে!!!!!!!!!!!!!!!!!

কোরানে আল্লাহ স্পষ্ট করেই বলেছেন যে অনথ` কথা কিন্তু আপনারা বলছেন গান? কোরানে কেন গান শব্দটি ব্যবহার করা হলো না। কোরানে শুকর হারাম বলা আছে, কোন কোন নারীকে বিয়ে করা যাবেনা সেটা স্পষ্ট করেই বলা আছে, মদ,জিনা হারাম স্পষ্টই বলা আছে। কিন্তু অনথ` কথা অথ` কেন আপনারা গান বানাচ্ছেন?

গান শব্দটা যেহেতু কোরানে উল্লেখ নাই তাই আপনি যদি এখন বলেন অনথ কথা অথ` গান তার অথ` হলো কোরানে আল্লাহ গান শব্দটা ব্যবহার করেন নেই কিন্তু আপনারা সেটা ব্যখ্যা করছেন??????

অনথ` কথা অন্য কিছুই হতে পারে, সৃস্টিকতা নিয়ে অনথ` কথা, ঠাট্টা তামাসা হতে পারে, রাসুল সা: কে নিয়ে অনথ কথা তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা তামাসা হতে পারে,

আপনারা হাদিসকে দলিল হিসেবে দেখাতে চান কিন্তু কত জাল হাদিস আছে? কত মানুষ হয়তো তার মতামত হাদিস বন`নার সময় যোগ করেছেন? কত মানুষ বুঝতে ভুল করেছেন এবং সেটাই হাদিস হিসেবে বলেছেন?

আর ইমাম বোখারী রা: কত সালে জন্ম গ্রহন করেছেন? কত সালে হাদিস সংগ্রহ শুরু করেছেন?

তিনি রাসুল সা: এর ইন্তেকালের ২০০ বছর পরে হাদিস সংগ্রহ শুরু করেছিলেন।

২০০ বছর পরে কতজন সাহাবী জীবিত ছিলো যারা রাসুল সা: এর কাছ থাকে ঘটনা গুলি তাকে বন`না করেছিলেন?
২০০ বছর পরে কতজন সেই ঘটনা গুলি ১০০% সঠিক ভাবে মনে রেখেছিলেন?

এই ২০০ বছরে রাসুল সা: কে ২/৩ দিন পরে কবর দেওয়া হয়েছিলো ক্ষমতার দন্দের জন্য।
এই ২০০ বছরে রাসুল সা: এর দুই নাতীকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই ২০০ বছরে ৩ জন খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই ২০০ বছরে রাসুল সা: এর কন্যা ফাতেমা রা: এর মৃত্যুতে ততকালিন খলিফাকে জানাজাতে বলা হয়নি এবং তাকে লুকিয়ে করব দেওয়া হয়েছিলো।
২০০ বছরে আলী রা: এর কবর দেওয়া হয়েছিলো অজানা স্হানে।

তাই এই ২০০ বছর স্বগীয় সময় ছিলো না। তাই এই সময় ঐ সাহাবিরা শুধুই এই সব হাদিস বুকে নিয়ে বসেছিলেন যে কবে তা সংকলন হবে সেটা ভাবা বোকামী।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
প্রথমেই বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যেহেতু অনেক গুলি প্রশ্ন করেছেন আমি ধাপে ধাপে সেইগুলির উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। নিশ্চয় আল্লাহ সব চেয়ে ভালো জানেন।

১। আপনি কী মনে করেন এই পৃথিবীতে সবার বুঝার বা উপলব্ধি করার জ্ঞান সমান? পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত দ্বৈত অর্থ বোধক। এই লাইনটা মিনিং আপনাকে ইন্টানেটে খুজে দেখতে হবে। অনুগ্রহ করে "Esoteric interpretation of the Quran" সূত্রঃ Click This Link পড়ে আসুন। আপনার এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কেন সরাসরি বা ইঙ্গিতে অথবা লিখিতভাবে বা মর্মগতভাবে লিখেছি বুঝতে পারবেন।

২। অনেক কিছুই তো পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট ভাবে লেখা নেই। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত এর কথা। এটার ব্যাপারে কী বলবেন বলুন? এটা আমরা কোথা থেকে শিখেছি? কার কাছ থেকে শিখেছি?

৩। জাল হদীস এবং শুদ্ধ হাদীস বের করার জন্য ইসলামী চিন্তাবিদরা একটা পরিশুদ্ধ পদ্ধতি বের করেছেন। আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট লিখছি। সেখানে হাদীস এবং এর সংগ্রহ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সব কিছুই জানতে পারবেন।

৪। আপনার মন্তব্যের শেষ অংশের অনেক কথাই ভ্রান্ত। শীয়াদের দ্বারা প্রচারিত। বিশেষ করে রাসুল (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) ওফাতের ঘটনা নিয়ে। শ্রদ্ধেয় হাসান কালবৈশাখী ভাই আমাকে ইতিমধ্যেই এই টপিক নিয়ে লিখতে বলেছে। আমি শুরু করেছি। কিছুদিনের মধ্যেই এই টপিকে একটা পোস্ট পাবেন। তখন আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

একটু সাধারণ ভাবে চিন্তা করুন, গান-বাজনা কেন ইসলামে নিষিদ্ধ? আমাদের ধর্মে কখনো অশ্লীল কথা-বার্তা সমর্থন করে না। তাই গান-বাজনা নিষিদ্ধ। আমাদের ধর্মে কখনো শিরক করা সমর্থন করে না। তাই গান-বাজনা নিষিদ্ধ। গান-বাজনা মানুষের মন নষ্ট করে দেয়! কেননা, একমাত্র গানের মাধ্যমে সবচে বেশী মিথ্যাচার হয়! তাই এটা বারণ করা করা হয়েছে।

কেউ গান বাজনা করতে চান করেন, কেউ কী আপনাকে বাধা দিচ্ছে? সমস্যা হচ্ছে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা। পরিষ্কার ভাবে অনেকগুলি সাহাবীদের কথা এবং কাজের মাধ্যমে সেটা প্রমানিত হবার পরেও কেন সেটা অস্বীকার করা?

আমি সহী সূত্র সহ সব কিছু এখানে দিয়ে দিয়েছি। যার ইচ্ছে সেটা বিশ্বাস করুক। যার ইচ্ছে সে বিশ্বাস না করুক। তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। কারণ শেষ বিচারের দিন আমাকে নয়, তাকেই এর জন্য জবাবদীহি করতে হবে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন, আমীন।

২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২

হাবিব বলেছেন: যারা তর্ক করার করবেই। সত্য জানাতেই হবে। কিছু মানুষ নিজেদেরকে মুসলিম দাবীও করবে আবার মুনাফিকিও করবে। মুখে এক আর অন্তরে আরেক। কথায় আর কাজে যারা ঠিক নেই তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। সত্য বলতেই হবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: হাবীব ভাই,
ভাই,
ধর্মীয় একটা বিধিবিধানের জন্য আমাকে এই পোস্ট দিতেই হতো। সরাসরি হযরত আবু হুরাইরা (রাজিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত আছে, "ধর্মীয় বিষয়ে কোন জ্ঞান গোপন করা বা সবাইকে না জানানো মারাত্মক অপরাধ"। সনদ আমি চাইলেই দিতে পারবো। আমি এই গানের বিষয়ে ইসলামের বিধিবিধান খুব ভালোভাবেই জানি। আমি যদি এটা সবাইকে না জানাই তাহলে আমিও এই জ্ঞান গোপন করার জন্য মারাত্মক দায়ী হবো। কী জবাব দেবো আমি রোজ হাসরের ময়দানে?
আমি এই পাপের দায় নিতে পারবো না। এইজন্য যত কষ্ট হোক আমি সহ্য করতে রাজী আছি।
আশা করি আমার অবস্থা আপনি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


@হাবিব স্যার,
আপনি বলেছেন, " যারা তর্ক করার করবেই। সত্য জানাতেই হবে। কিছু মানুষ নিজেদেরকে মুসলিম দাবীও করবে আবার মুনাফিকিও করবে। "

-ব্লগে "মুনাফিক", "মুনাফিকি"র মতো শিবিরের পরিভাষা ব্যবহার করবে না; ব্লগ এখনো শিবিরের রাজনধানী হয়নি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: হাবিব স্যার কাউকেই সরাসরি দায়ী করে মন্তব্য দেন নি। উনার মন্তব্য আবার পড়ার জন্য অনুরোধ করছি আপনাকে।

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একজন সাহাবি বলেছিলেন,
মূর্খের সাথে কখনো তর্ক করিও না কারন সে তোমাকে তার লেভেলে এনে তোমাকে হারিয়ে দিবে
যখনই কারো সাথে যুক্তিতর্ক করার সময় দেখবেন সে বারবার কথার প্রসংগ পাল্টাচ্ছে আর
আপনাকে গালি-গালাজ ও অপমান করার চেষ্টা করছে তখনই ধরে নিবেন মূর্খ আপনার সামনে।
-এবং আমি মনে করি মূর্খদের সাথে তর্ক করাটাই বড় মুর্খতামানী!
-মুর্খদের অযোক্তিক প্রশ্নের উত্তম জবাব হল চুপ থাকা যদিও সে মনে করে আপনি তার কাছে হেরে গেছেন

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০২

নীল আকাশ বলেছেন: নূর ভাই,
ইচ্ছে থাকলেও কোন কৃতজ্ঞতা জানাতে পারবো না আপনাকে। আপনি এই পোস্টে এবং আরেকটা সম্পূরক পোস্টে যা যা বলেছেন একটা মুসলিম হিসেবে আমাদের সবার এই কথাগুলি বলা নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ আপনাকে এর জন্য উত্তম প্রতিদান দিন, আমীন।
আপনার উল্লেখ করা আর সেই সাহাবী হলেন আর কেউ নন স্বয়ং, হযরত আলী ((রাজিয়াল্লাহু আনহু)। আমার কাছে এটা সহী সনদ আছে। নাজাঘুল বালাঘ কিতাবে দেয়া আছে।
১৮ নাম্বার প্রতি মন্তব্যে আমি উনাকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার যেকোন পোস্টে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আসুন। তর্ক করুন। এর পরেই উনি এখান থেকে চলে গেছেন, যেয়ে নিজের পোস্টে উল্টাপালটা প্রতি মন্তব্য করছেন।
ধন্যবাদ।

২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫২

অখ্যাত নবাব বলেছেন: কমেন্টে দেখলাম, রাজীব নূর নামে একজন লিখেছেন " হালাল হারাম বাদ দেন। যুগ বদলে গেছে। যা ভালো লাগে তা করুন। "
এখন আমার তো ভালো লাগে তাকে কষিয়ে দুই গালে দুইটা থাপ্পড় দেই।
কেউ কিন্তু খারাপ মনে কইরেন না। কেননা, ওনিই বলেছেন! যা ভালো লাগে তা করুন।
যেহেতু আমার এটা ভালো লাগে তাই আমি এটাই করি। কষিয়ে দুই গালে দুইটা থাপ্পড়ই দেই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, বাদ দিন। উনি কখন কাকে কী বলেন সেটা নিজেও জানেন না।
সম্ভবত বড় কোন মানসিক অস্থিরতার মধ্যে উনি আছেন দেখেই একই বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলে বেড়ান। মনে রাখবেন, প্রতিটা মানুষকেই তার কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে একদিন। শেষ বিচারের দিন তাকেই তার সব কাজের জন্য ধরা হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু জানার উদ্দেস্যে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে মুর্খ মোল্লারা কাটমোল্লারা নির্বিচারে সবাইকে মুর্খ বলে (লেখককে বলিনি)

হাদিসকে অতরিক্ত গুরুত্ত দেয়া ঠিক না।
হাদিস নিয়ে সেই আমলেই বিভ্রান্তি ছিল।
রসুল (স) নিজেই একা্কধিবার বলেছিলেন হাদিস নিয়া বাড়াবাড়ি না করতে। ক্ষিপ্ত হয়ে সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতেও বলেছিলেন।

এমনিতেও অনেক পরে ২০০-৩০০ বছর পর বিভিন্ন জনের কাছে শোনা কথার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের হাদিস তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন পদের ইসলামও শৃষ্টি হয়েছে। বিভ্রান্তিকর সেসব মানতেই হবে এমনটা না।
যেখানে রসুল (স) নিজেই হাদিস মানতে নিষেধ করে গেছেন।

নতুন ভাই কিছু গুরুত্বপুর্ব কমেন্ট করেছেন।

আপনারা হাদিসকে দলিল হিসেবে দেখাতে চান কিন্তু কত জাল হাদিস আছে? কত মানুষ হয়তো তার মতামত হাদিস বন`নার সময় যোগ করেছেন? কত মানুষ বুঝতে ভুল করেছেন এবং সেটাই হাদিস হিসেবে বলেছেন?

আর ইমাম বোখারী রা: কত সালে জন্ম গ্রহন করেছেন? কত সালে হাদিস সংগ্রহ শুরু করেছেন?

তিনি রাসুল সা: এর ইন্তেকালের ২০০ বছর পরে হাদিস সংগ্রহ শুরু করেছিলেন।

২০০ বছর পরে কতজন সাহাবী জীবিত ছিলো যারা রাসুল সা: এর কাছ থাকে ঘটনা গুলি তাকে বর্ননা করেছিলেন?
২০০ বছর পরে কতজন সেই ঘটনা গুলি ১০০% সঠিক ভাবে মনে রেখেছিলেন?

এই ২০০ বছরে রাসুল সা: কে ২/৩ দিন পরে কবর দেওয়া হয়েছিলো ক্ষমতার দন্দের জন্য।
(আমার সেই বক্তব্যের সমর্থন পেলাম)

এই ২০০ বছরে রাসুল সা: এর দুই নাতীকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই ২০০ বছরে ৩ জন খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই ২০০ বছরে রাসুল সা: এর কন্যা ফাতেমা রা: এর মৃত্যুতে ততকালিন খলিফাকে জানাজাতে আসতে বলা হয়নি এবং তাকে লুকিয়ে করব দেওয়া হয়েছিলো।
২০০ বছরে আলী রা: এর কবর দেওয়া হয়েছিলো অজানা স্হানে।

তাই এই ২০০ বছর স্বগীয় সময় ছিলো না।
তাই এই সময় ঐ সাহাবিরা ও পরবর্তি ৫-৬ টি জেনারেশন এই সব হাজার হাজার পৃষ্ঠা হাদিস বুকে নিয়ে বসেছিলেন যে কবে তা সংকলন হবে সেটা ভাবা বোকামী।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
হাদিস নিয়ে আমি আপনার শেষ মন্তব্যে যথাযথ উত্তর দেয়া চেষ্টা করছি। এখানে আর রিপিট করলাম না।
আপনার এই মন্তব্যের শেষ অংশের অনেক কথাই ভ্রান্ত। শীয়াদের দ্বারা প্রচারিত। বিশেষ করে রাসুল (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) ওফাতের ঘটনা নিয়ে। এটা নিয়ে তো আমি আপনার কথামতো লিখছি। সেখানেই সব উত্তর পাবেন।
ধন্যবাদ।

২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫১

স্প্যানকড বলেছেন: এখন বর্তমানের ক্রেজ " সামি ইউসুফ " বা অন্য যারা আছে তারা তো মিউজিক এর সাথে আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কথা বলছেন অথবা সুর করে গাইছেন? তা কি হারাম? যদি কিছু বলতেন এই ব্যাপারে? ভালো থাকবেন

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: চমতকার প্রশ্ন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ।
শুনতে খুব ভালো লাগলেও যেহেতু গান এবং বাদ্যযন্ত্র সরাসরি ইসলামে হারাম, সামি ইউসুফ বা অন্য যারা আছে এইসব মিউজিক তৈরি করছেন সবগুলিই হারাম। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব চেয়ে ভালো জানেন।

২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় রত্ন, তর্কে বহুদূর।

যারা তর্ক ভালোবাসে তারা যুক্তি দিয়ে করুক। গালাগালি আলোচনার সৌন্দর্য এবং পরিবেশ দুটোই নষ্ট করে। অবিশ্বাসী হলেও কারো বিশ্বাসকে হেয় করা অনুচিত।

বিতর্ক জানার পরিধি বৃদ্ধি করে।

বয়াতীর মুক্তি আমিও চাই।

তবে ভিডিওতে দেখেছি সে 'শালার ঘরের শালারা' বলে ইঙ্গিত করেছে। সেটার বিপক্ষে কেউ মানহানির মামলা করতেই পারে। কিন্তু সংবাদে নানা ধরনের উসকানি মূলক শিরোনাম করা হয়েছে।

স্কুলে বিতর্ক করতাম 'নামাজ' বলে কোরানে কিছু নাই। 'সালাত' এর কথা এসেছে বিরাশি বার। ফার্সি 'নামাজ' আরবি 'সালাত'।
বয়াতী বলতে পারতো কোরানে 'গান্নি' (গান/ সঙ্গীত) শব্দটা নাই।

তর্ক বাড়াতে চাইলে অনেকভাবে বাড়ানো যায়। বয়াতী এও বলেছে, প্রকাশ্যে বিতর্ক হবে। সেটাই হওয়া উচিত। মানহানির মামলায় রিমান্ডে নেওয়া যায় কি না জানি না।

গানবাজনা নিয়ে যেমন বিতর্ক আছে তা সরাসরি নিষিদ্ধের চেষ্টাও কোনো মুসলিম দেশে দেখা যায় না। কট্টরপন্থী মুসলিম দেশ ইরানেও তা হয় না। সৌদি আরবের কথা না হয় বাদই দিলাম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: যারা তর্ক ভালোবাসে তারা যুক্তি দিয়ে করুক। গালাগালি আলোচনার সৌন্দর্য এবং পরিবেশ দুটোই নষ্ট করে। অবিশ্বাসী হলেও কারো বিশ্বাসকে হেয় করা অনুচিত।
খুব দামী একটা লাইন বলেছেন। যারা যৌক্তিক কথা বলতে পারে না তারাই হেরে যেয়ে গালাগালি করে, অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। তর্ক হতে হবে যৌক্তিক। আন্দাজে কথা কোন কালেই গ্রহণযোগ্য হয় নি।
ইসলামে সব কিছু স্পষ্ট ভাবে দেয়া আছে। নিজে কষ্ট করে কিছু পড়ে দেখবে না। নিজে কিছু শিখবে না। কিন্তু নিজের বিন্দুসম জ্ঞান নিয়ে তর্ক করার সমানে আন্দাজে কথা বলে যাবে। একজন বয়াতী ইসলাম ধর্মের কী জানে? এর কথা শুনে এত লাফালাফির কী আছে? চার কলেমা জিজ্ঞেস করলে এই বয়াতী সেটা বলতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে?
নিজের অজ্ঞতার জন্য বয়াতীর কাছে যাবার কী দরকার?
দুর্দান্ত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব রেগে গেছেন আমার উপর!!
সবাই ভালোবাসতে পারে না। তবে সবাই রেগে যেতে পারে।

আমি গানবাজনা করবো। শুনবো। আবার নামাজ রোজাও করবো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: না, অবশ্যই রাগ করি নি তবে আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। আপনার জন্য খুব ভয় লেগেছে। সম্ভবত মানসিক অস্থিরতার জন্য আপনার এই অবস্থা। আমরা মানুষ, আমাদের ভুল ত্রুটি হতেই পারে। কিন্তু সৃষ্টার নিয়ম অস্বীকার করা খুব ভয়ানক অপরাধ রাজীব ভাই।
আজান নিয়ে যেটা বলেছেন সেটা নিয়ে মনে মনে তোওবা করুন। আমরা সবাই পাপী বান্দা। আল্লাহর কাছে সব সময়ই আমরা ফিরতে পারি।
ধন্যবাদ।

৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মুনাফিকি শিবিরের ভাষা নতুন জানলাম
আরও কত হাস্যকর মন্তব্য যে দেখতে হবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: বাক স্বাধীনতা সবার আছে তবে সবাই সেটা ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
এখানে হয়তো আরও অনেক হাস্যকর কিছু দেখতে হবে।
ধন্যবাদ।

৩২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১১

হাবিব বলেছেন: @চাঁদগাজী, আমি আপনাকে মুনাফিক বলিনি। ভালো করে মন্তব্য পড়ে দেখুন। মুনাফিকি কাজ করা আর মুনাফিক বলা এক কথা নয়। যেমন, আমি বললাম: "এই লোকটা মুনাফিকি কাজ করছে", "এই লোকটা মুনাফিক" .... তাহলে কি দুইটা কথা এক রকম হলো বলুন? আর হ্যাঁ, মুনাফিক শব্দটা তখনই ব্যবহার করা হয় যখন কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস করে একথা মুখে বলে অথচ তাঁর কাজে আল্লাহতে বিশ্বাস করার কোন নমুনা ফুঁটে উঠেনা তখন। কোন মুসলমান যদি নামায ছেড়ে দেয় তাকে ততক্ষন পর্যন্ত "মুনাফিকি কাজ করছে" বলা যাবে যতক্ষন না সে পুনরায় নামায পড়ে। বুুঝাতে পেড়েছি কি? আর কেউ যদি আল্লাহ ও তার আদেশ-নিষেধ বিশ্বাসই না করে তাহলে "সে কুফুরী করছে" বলা হয়।

আর হ্যাঁ, আপনি যদি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বিশ্বাসই না করেন তাহলে মুনাফিক শব্দে এত ভয় পাবার কিছু নেই। ভয় তো তারাই পাবে যারা বিশ্বাসী। কারন, বিশ্বাসীরা জান্নাত-জাহান্নামকে বিশ্বাস করে।

৩৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৩

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: আপনার ধৈর্য্য অসীম। কীভাবে এইসব অশালীন মন্তব্য সহ্য করেন আপনি? আপনার ব্লগে থেকে বের করে দেন না কেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: না, সবার নিজের কথা বলার অধিকার আছে। আমি যুক্তি দিয়ে কথা বলা পছন্দ করি। এই বিষয়ে তর্ক হোক, যুক্তি আসুক তবে যারা শুধু শুধু অশালীন ভাষা ব্যবহার করে তাদের রূচির সমস্যা আছে।

৩৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: কোরআনের স্পষ্ট একটা আয়াত সুরার নাম সহ উল্যেখ করুন আমি জানি না জানতে চাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কী পুরো লেখাটা পড়েছেন? এত ভালো ভাবে দেয়ার পরেও আবার জানতে চাইছেন?
ঠিক আছে, আবার দিয়ে দিলাম। সূরা লোকমান, আয়াত ৬। এটার তাফসীরও দেয়া আছে ৪ নাম্বার প্যারায়। পড়ে দেখুন।

৩৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ 31.6 আরবি উচ্চারণ ৩১.৬। অমিনান্না-সি মাইঁ ইয়াশ্তারী লাহ্ওয়াল্ হাদীছি লিইয়ুদ্বিল্লা ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি বিগইরি ‘ইল্মিওঁ অইয়াত্তাখিযাহা- হুযুওয়া-; উলা-য়িকা লাহুম্ ‘আযা-বুম্ মুহীন্। বাংলা অনুবাদ ৩১.৬ আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।

তাফসিরঃ

সূরা লোকমানের তাফসির ‘তাফসীরে উসমানী’,
‘ইবনে কাসীর’ ইত্যাদির অনুসরণে ‘মা‘আদিনুল-
জাওয়াহির’ গ্রন্থ থেকে,
হযরত লোকমান( আঃ)৫০টি নসিহত,পাঠকদের উদ্দেশ্যে পেশ করছি।
এক একটি নছিহত মুক্তার চেয়ে দামী

১. হে বৎস! আল্লাহ তায়ালার পরিচয়-জ্ঞান
অর্জন করো এবং তাঁকে ভালোরকম বুঝতে সচেষ্ট হও।
২. অন্যকে যে-কথা বলবে তাতে নিজেও আমল
করবে।
৩. সুযোগ বুঝে কথা বলবে এবং প্রয়োজনীয়টুকু
বলার জন্যই মুখ খুলবে।
৪. প্রত্যেক শ্রেণী-পেশার লোকের মর্যাদা
জেনে-বুঝে সে হিসেবেই তাদের সঙ্গে আচরণ বা
ব্যবহার করবে।

৫. নিজের গোপনীয়তা কারো কাছে প্রকাশ
করবে না।
৬. বিপদকালীন বন্ধুদের পরীক্ষা করে নাও।
৭. লাভ ও ক্ষতি দুই অবস্থাতেই বন্ধুদের পরীক্ষা
করো।
৮. প্রত্যেক ব্যক্তির হক-অধিকার জানার চেষ্টা
করো।
৯. বুদ্ধিমতী নন এমন নারীদের ওপর ভরসা করবে
না।
১০. নারী ও শিশুদের কাছে গোপন-রহস্য প্রকাশ
করবে না; এবং কারো কিছুতে লোভ করবে না।
১১. যা জান না সে বিষয়ে কাউকে পথ দেখাতে
যাবে না।
১২. স্বীয় কাজকর্ম ভেবে-চিন্তা করবে।
১৩. নিজ সন্তানদের ঘোড়দৌড় ও তীর
নিক্ষেপের প্রশিক্ষণ দেবে।
১৪. রাতের বেলায় চুপে চুপে কথা বলবে, যেন
তোমার কোনো শত্রু তোমার কথা শুনে, সে সূত্রে
ক্ষতি করতে না পারে।
১৫. নিজ সন্তানদের ‘ইলম’ ও ‘আদব’ শিক্ষা
দেবে।
১৬. প্রত্যেক ব্যক্তির অবস্থা বুঝে তার কাজ ও
সেবা করবে।
১৭. জাতি-ধর্ম ও সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক বা
মিলেমিশে চলবে।
১৮. নিজ বস্ত্র-পোশাক পবিত্র-পরিচ্ছন্ন
রাখবে।
১৯. গৃহে প্রবেশকালীন চোখ ও জিহ্বাকে সংযত
রাখবে।
২০. সাধ্যমতো অবশ্যই মেহমানদের আপ্যায়ন
করাবে।
২১. দানশীলতার অভ্যাস গড়ে তোলবে।
২২. প্রত্যেক কাজে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে।
২৩. ব্যয়ের ক্ষেত্রে আয়ের প্রতি লক্ষ রাখবে।
২৪. শিক্ষককে উত্তম পিতা বলে জ্ঞান করবে।
২৫. ‘কম আহার’, ‘কম নিদ্রা’ ও ‘কম কথা’ বলার
অভ্যাস করবে।
২৬. যা নিজের জন্য পছন্দ করবে, তা অন্যের
জন্যও পছন্দ করবে।
২৭. দিনের বেলায় সতর্কভাবে বাক্যালাপ
করবে।
২৮. সর্বদা নিজ জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
২৯. অনর্থক কথাবার্তা থেকে মুক্ত থাকবে।
৩০. মানুষের সামনে কাউকে লজ্জা দেবে না।
৩১. মানুষের সামনে হাই তুলবে না।
৩২. নিরপরাধ ও নির্দোষকে অপরাধী ও দোষী
সাব্যস্ত করবে না।
৩৩. নিজের সম্পদ গোপন রাখবে, তা বন্ধু ও শত্রু
কারো কাছে প্রকাশ করবে না।
৩৪. পিতা-মাতার অস্তিত্বকে অমূল্য সম্পদ ও
গণিমত মনে করবে।
৩৫. বন্ধু ও শত্রু উভয়ের সঙ্গেই হাসিমুখে অবস্থান
করবে, কথা বলবে।
৩৬. নিজ খাঁটি বন্ধুদের মনেপ্রাণে বন্ধু জানবে।
৩৭. যৌবনে এমন সব কাজ করবে যা ধর্ম ও দুনিয়া
উভয়ক্ষেত্রে উপকারী হয়।
৩৮. যৌবনকালকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করবে।
৩৯. যে-কথাই বলবে মেপে-জোঁকে ও
প্রামাণ্যরূপে হওয়া চাই।
৪০. বুদ্ধিমান ও কল্যাণকামী লোকজনের সঙ্গে
পরামর্শ করবে।
৪১. ভালো কাজে পরিপূর্ণ চেষ্টা চালাবে।
৪২. বুদ্ধিমান ও সতর্ক লোকজনের সঙ্গে উঠাবসা
করবে।
৪৩. বোকা লোকজন থেকে দূরে থাকবে।
৪৪. সাধারণ জনগণ যেন তোমার সঙ্গে বেআদবি
করার সুয়োগ না পায়।
৪৫. উপস্থিত কাজ বাকি রাখবে না।
৪৬. কোনো বিপদগ্রস্তকে নিরাশ করবে না।
৪৭. বিগত শত্রুতাকে নতুনভাবে উত্থাপন করবে
না।
৪৮. সম্মানীজন বা বড়দের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত
হবে না।
৪৯. বড়দের সঙ্গে হাসি-তামাশায় জড়াবে না।
৫০. বড়দের সামনে আগে আগে চলবে না।

হে আল্লাহ আমাদের সকলকেই নসিহত গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন।
আমিন


কোথায় ???? কোথায় বলা হয়েছে স্পষ্ট করে তোমাদের জন্য গান ও বাজনা হারাম করা হল।

আমি মুর্খ আমি তর্ক করছি না , আমি স্পষ্ট কিছু জানতে আগ্রহী , কারন আকার ইংগিত কম বুঝি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমি কই আপনাকে "সূরা লোকমানের তাফসির ‘তাফসীরে উসমানী’, ‘ইবনে কাসীর’ ইত্যাদির অনুসরণে ‘মা‘আদিনুল-
জাওয়াহির’ গ্রন্থ লেখা কোথাও উল্লেখ করেছি? আপনি অন্য বইয়ের রেফারেন্স নিয়ে এসেছে কেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যেহেতু জানতে চাইছেন তাই জানার জন্য নীচে আরেকটা সূত্র দিলামঃ
https://islamqa.info/en/answers/5000/ruling-on-music-singing-and-dancing
Source: Sheikh Muhammed Salih Al-Munajjid
--------------------------
Praise be to Allaah.
Ma’aazif is the plural of mi’zafah, and refers to musical instruments (Fath al-Baari, 10/55), instruments which are played (al-Majmoo’, 11/577). Al-Qurtubi (may Allaah have mercy on him) narrated from al-Jawhari (may Allaah have mercy on him) that ma’aazif means singing. In his Sihaah it says that it means musical instruments. It was also said that it refers to the sound of the instruments. In al-Hawaashi by al-Dimyaati (may Allaah have mercy on him) it says: ma’aazif means drums (dufoof, sing. daff) and other instruments which are struck or beaten (Fath al-Baari, 10/55).

Evidence of prohibition in the Qur’aan and Sunnah:

Allaah says in Soorat Luqmaan (interpretation of the meaning):
“And of mankind is he who purchases idle talks (i.e. music, singing) to mislead (men) from the path of Allaah…” [Luqmaan 31:6]

The scholar of the ummah, Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him) said: this means singing. Mujaahid (may Allaah have mercy on him) said: this means playing the drum (tabl). (Tafseer al-Tabari, 21/40).

Al-Hasan al-Basri (may Allaah have mercy on him) said: this aayah was revealed concerning singing and musical instruments (lit. woodwind instruments). (Tafseer Ibn Katheer, 3/451).

Al-Sa’di (may Allaah have mercy on him) said: this includes all manner of haraam speech, all idle talk and falsehood, and all nonsense that encourages kufr and disobedience; the words of those who say things to refute the truth and argue in support of falsehood to defeat the truth; and backbiting, slander, lies, insults and curses; the singing and musical instruments of the Shaytaan; and musical instruments which are of no spiritual or worldly benefit. (Tafseer al-Sa’di, 6/150)

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: The interpretation of the Sahaabah and Taabi’in, that ‘idle talk’ refers to singing, is sufficient. This was reported with saheeh isnaads from Ibn ‘Abbaas and Ibn Mas’ood. Abu’l-Sahbaa’ said: I asked Ibn Mas’ood about the aayah (interpretation of the meaning), ‘“And of mankind is he who purchases idle talks’ [Luqmaan 31:6]. He said: By Allaah, besides Whom there is no other god, this means singing – and he repeated it three times. It was also reported with a saheeh isnaad from Ibn ‘Umar (may Allaah be pleased with them both) that this means singing. There is no contradiction between the interpretation of “idle talk” as meaning singing and the interpretation of it as meaning stories of the Persians and their kings, and the kings of the Romans, and so on, such as al-Nadr ibn al-Haarith used to tell to the people of Makkah to distract them from the Qur’aan. Both of them are idle talk. Hence Ibn ‘Abbaas said: “Idle talk” is falsehood and singing. Some of the Sahaabah said one and some said the other, and some said both. Singing is worse and more harmful than stories of kings, because it leads to zinaa and makes hypocrisy grow (in the heart); it is the trap of the Shaytaan, and it clouds the mind. The way in which it blocks people from the Qur’aan is worse than the way in which other kinds of false talk block them, because people are naturally inclined towards it and tend to want to listen to it. The aayaat condemn replacing the Qur’aan with idle talk in order to mislead (men) from the path of Allaah without knowledge and taking it as a joke, because when an aayah of the Qur’aan is recited to such a person, he turns his back as if he heard them not, as if there were deafness in his ear. If he hears anything of it, he makes fun of it. All of this happens only in the case of the people who are most stubbornly kaafirs and if some of it happens to singers and those who listen to them, they both have a share of this blame. (Ighaathat al-Lahfaan, 1/258-259).

Allaah says (interpretation of the meaning):

“[Allaah said to Iblees:] And befool them gradually those whom you can among them with your voice (i.e. songs, music, and any other call for Allaah’s disobedience)…” [al-Israa’ 17:64]

It was narrated that Mujaahid (may Allaah have mercy on him) said: “And befool them gradually those whom you can among them with your voice” – his voice [the voice of Iblees/Shaytaan] is singing and falsehood. Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: This idaafah [possessive or genitive construction, i.e., your voice] serves to make the meaning specific, as with the phrases [translated as] “your cavalry” and “your infantry” [later in the same aayah]. Everyone who speaks in any way that is not obedient to Allaah, everyone who blows into a flute or other woodwind instrument, or who plays any haraam kind of drum, this is the voice of the Shaytaan. Everyone who walks to commit some act of disobedience towards Allaah is part of his [the Shaytaan’s] infantry, and anyone who rides to commit sin is part of his cavalry. This is the view of the Salaf, as Ibn ‘Abi Haatim narrated from Ibn ‘Abbaas: his infantry is everyone who walks to disobey Allaah. (Ighaathat al-Lahfaan).

Allaah says (interpretation of the meaning):

“Do you then wonder at this recitation (the Qur’aan)?
And you laugh at it and weep not, Wasting your (precious) lifetime in pastime and amusements (singing)” [al-Najm 53:59-61]

‘Ikrimah (may Allaah have mercy on him) said: it was narrated from Ibn ‘Abbaas that al-sumood [verbal noun from saamidoon, translated here as “Wasting your (precious) lifetime in pastime and amusements (singing)”] means “singing”, in the dialect of Himyar; it might be said “Ismidi lanaa” [‘sing for us’ – from the same root as saamidoon/sumood] meaning “ghaniy” [sing]. And he said (may Allaah have mercy on him): When they [the kuffaar] heard the Qur’aan, they would sing, then this aayah was revealed.

Ibn Katheer (may Allaah have mercy on him) said: Allaah says (interpretation of the meaning) “Wasting your (precious) lifetime in pastime and amusements (singing)” – Sufyaan al-Thawri said, narrating from his father from Ibn ‘Abbaas: (this means) singing. This is Yemeni (dialect): ismad lana means ghan lana [sing to us]. This was also the view of ‘Ikrimah. (Tafseer Ibn Katheer).

It was reported from Abu Umaamah (may Allaah be pleased with him) that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Do not sell singing slave women, do not buy them and do not teach them. There is nothing good in this trade, and their price is haraam. Concerning such things as this the aayah was revealed (interpretation of the meaning): ‘And of mankind is he who purchases idle talks (i.e. music, singing) to mislead (men) from the path of Allaah…’ [Luqmaan 31:6].” (Hasan hadeeth)

The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said:
“Among my ummah there will certainly be people who permit zinaa, silk, alcohol and musical instruments…” (Narrated by al-Bukhaari ta’leeqan, no. 5590; narrated as mawsool by al-Tabaraani and al-Bayhaqi. See al-Silsilah al-Saheehah by al-Albaani, 91).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: This is a saheeh hadeeth narrated by al-Bukhaari in his Saheeh, where he quoted it as evidence and stated that it is mu’allaq and majzoom. He said: Chapter on what was narrated concerning those who permit alcohol and call it by another name.

This hadeeth indicates in two ways that musical instruments and enjoyment of listening to music are haraam. The first is the fact that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “[they] permit” which clearly indicates that the things mentioned, including musical instruments, are haraam according to sharee’ah, but those people will permit them. The second is the fact that musical instruments are mentioned alongside things which are definitely known to be haraam, i.e., zinaa and alcohol: if they (musical instruments) were not haraam, why would they be mentioned alongside these things? (adapted from al-Silsilah al-Saheehah by al-Albaani, 1/140-141)

Shaykh al-Islam (Ibn Taymiyah) (may Allaah have mercy on him) said: This hadeeth indicates that ma’aazif are haraam, and ma’aazif means musical instruments according to the scholars of (Arabic) language. This word includes all such instruments. (al-Majmoo’, 11/535).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: And concerning the same topic similar comments were narrated from Sahl ibn Sa’d al-Saa’idi, ‘Imraan ibn Husayn, ‘Abd-Allaah ibn ‘Amr, ‘Abd-Allaah ibn ‘Abbaas, Abu Hurayrah, Abu Umaamah al-Baahili, ‘Aa’ishah Umm al-Mu’mineen, ‘Ali ibn Abi Taalib, Anas ibn Maalik, ‘Abd al-Rahmaan ibn Saabit and al-Ghaazi ibn Rabee’ah. Then he mentioned it in Ighaathat al-Lahfaan, and it indicates that they (musical instruments) are haraam.

It was narrated that Naafi’ (may Allaah have mercy on him) said: Ibn ‘Umar heard a woodwind instrument, and he put his fingers in his ears and kept away from that path. He said to me, O Naafi’, can you hear anything? I said, No. So he took his fingers away from his ears and said: I was with the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and he heard something like this, and he did the same thing. (Saheeh Abi Dawood). Some insignificant person said that this hadeeth does not prove that musical instruments are haraam, because if that were so, the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) would have instructed Ibn ‘Umar (may Allaah be pleased with them both) to put his fingers in his ears as well, and Ibn ‘Umar would have instructed Naafi’ to do likewise! The response to this is: He was not listening to it, but he could hear it. There is a difference between listening and hearing. Shaykh al-Islam (Ibn Taymiyah) (may Allaah have mercy on him) said: Concerning (music) which a person does not intend to listen to, there is no prohibition or blame, according to scholarly consensus. Hence blame or praise is connected to listening, not to hearing. The one who listens to the Qur’aan will be rewarded for it, whereas the one who hears it without intending or wanting to will not be rewarded for that, because actions are judged by intentions. The same applies to musical instruments which are forbidden: if a person hears them without intending to, that does not matter. (al-Majmoo’, 10/78).

Ibn Qudaamah al-Maqdisi (may Allaah have mercy on him) said: the listener is the one who intends to hear, which was not the case with Ibn ‘Umar (may Allaah be pleased with them both); what happened in his case was hearing. The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) needed to know when the sound stopped because he had moved away from that path and blocked his ears. So he did not want to go back to that path or unblock his ears until the noise had stopped, so when he allowed Ibn ‘Umar to continue hearing it, this was because of necessity. (al-Mughni, 10/173)

(Even though the hearing referred to in the comments of the two imaams is makrooh, it was permitted because of necessity, as we will see below in the comments of Imaam Maalik (may Allaah have mercy on him). And Allaah knows best).

The views of the scholars (imaams) of Islamঃ
Al-Qaasim (may Allaah have mercy on him) said: Singing is part of falsehood. Al-Hasan (may Allaah have mercy on him) said: if there is music involved in a dinner invitation (waleemah), do not accept the invitation (al-Jaami by al-Qayrawaani, p. 262-263).

Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah (may Allaah have mercy on him) said: The view of the four Imaams is that all kinds of musical instruments are haraam. It was reported in Saheeh al-Bukhaari and elsewhere that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said that there would be among his ummah those who would allow zinaa, silk, alcohol and musical instruments, and he said that they would be transformed into monkeys and pigs… None of the followers of the imaams mentioned any dispute concerning the matter of music. (al-Majmoo’, 11/576).

Al-Albaani (may Allaah have mercy on him) said: The four madhhabs are agreed that all musical instruments are haraam. (al-Saheehah, 1/145).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: The madhhab of Abu Haneefah is the strictest in this regard, and his comments are among the harshest. His companions clearly stated that it is haraam to listen to all musical instruments such as the flute and the drum, even tapping a stick. They stated that it is a sin which implies that a person is a faasiq (rebellious evil doer) whose testimony should be rejected. They went further than that and said that listening to music is fisq (rebellion, evildoing) and enjoying it is kufr (disbelief). This is their words. They narrated in support of that a hadeeth which could not be attributed to the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him). They said: he should try not to hear it if he passes by it or it is in his vicinity. Abu Yoosuf said, concerning a house from which could be heard the sound of musical instruments: Go in without their permission, because forbidding evil actions is obligatory, and if it were not allowed to enter without permission, people could not have fulfilled the obligatory duty (of enjoining what is good and forbidding what is evil). (Ighaathat al-Lahfaan, 1/425).

Imaam Maalik (may Allaah have mercy on him) was asked about playing the drum or flute, if a person happens to hear the sound and enjoy it whilst he is walking or sitting. He said: He should get up if he finds that he enjoys it, unless he is sitting down for a need or is unable to get up. If he is on the road, he should either go back or move on. (al-Jaami’ by al-Qayrawaani, 262). He (may Allaah have mercy on him) said: “The only people who do things like that, in our view, are faasiqs.” (Tafseer al-Qurtubi, 14/55).

Ibn ‘Abd al-Barr (may Allaah have mercy on him) said: Among the types of earnings which are haraam by scholarly consensus are ribaa, the fee of a prostitute, anything forbidden, bribes, payment for wailing over the dead and singing, payments to fortune-tellers and those who claim to know the unseen and astrologers, payments for playing flutes, and all kinds of gambling. (al-Kaafi).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said, explaining the view of Imaam al-Shaafa'i: His companions who know his madhhab (point of view) stated that it is haraam and denounced those who said that he permitted it. (Ighaathat al-Lahfaan, 1/425).

The author of Kifaayat al-Akhbaar, who was one of the Shaafa’is, counted musical instruments such as flutes and others, as being munkar (evil), and the one who is present (where they are being played) should denounce them. (He cannot be excused by the fact that there are bad scholars, because they are corrupting the sharee’ah, or evil faqeers – meaning the Sufis, because they call themselves fuqaraa’ or faqeers – because they are ignorant and follow anyone who makes noise; they are not guided by the light of knowledge; rather they are blown about by every wind. (Kifaayat al-Akhbaar, 2/128).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: With regard to the view of Imaam Ahmad, his son ‘Abd-Allaah said: I asked my father about singing. He said: Singing makes hypocrisy grow in the heart; I do not like it. Then he mentioned the words of Maalik: the evildoers (faasiqs) among us do that. (Ighaathat al-Lahfaan).

Ibn Qudaamah, the researcher of the Hanbali madhhab – (may Allaah have mercy on him) said: Musical instruments are of three types which are haraam. These are the strings and all kinds of flute, and the lute, drum and rabaab (stringed instrument) and so on. Whoever persists in listening to them, his testimony should be rejected. (al-Mughni, 10/173). And he said (may Allaah have mercy on him); If a person is invited to a gathering in which there is something objectionable, such as wine and musical instruments, and he is able to denounce it, then he should attend and speak out against it, because then he will be combining two obligatory duties. If he is not able to do that, then he should not attend. (al-Kaafi, 3/118)

Al-Tabari (may Allaah have mercy on him) said: The scholars of all regions are agreed that singing is makrooh and should be prevented. Although Ibraaheem ibn Sa’d and ‘Ubayd-Allaah al-‘Anbari differed from the majority, (it should be noted that) the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Adhere to the majority.” And whoever dies differing from the majority, dies as a jaahili. (Tafseer al-Qurtubi, 14/56). In earlier generations, the word “makrooh” was used to mean haraam, then it took on the meaning of “disliked”. But this is to be understood as meaning that it is forbidden, because he [al-Tabari] said “it should be prevented”, and nothing is to be prevented except that which is haraam; and because in the two hadeeths quoted, music is denounced in the strongest terms. Al-Qurtubi (may Allaah have mercy on him) is the one who narrated this report, then he said: Abu’l-Faraj and al-Qaffaal among our companions said: the testimony of the singer and the dancer is not to be accepted. I say: if it is proven that this matter is not permissible, then accepting payment for it is not permissible either.

Shaykh al-Fawzaan (may Allaah preserve him) said: What Ibraaheem ibn Sa’d and ‘Ubayd-Allaah al-‘Anbari said about singing is not like the kind of singing that is known nowadays, for they would never have allowed this kind of singing which is the utmost in immorality and obscenity. (al-I’laam)

Ibn Taymiyah (may Allaah have mercy on him) said: It is not permissible to make musical instruments. (al-Majmoo’, 22/140). And he said: According to the majority of fuqahaa’, it is permissible to destroy musical instruments, such as the tanboor [a stringed instrument similar to a mandolin]. This is the view of Maalik and is the more famous of the two views narrated from Ahmad. (al-Majmoo’, 28/113). And he said: …Ibn al-Mundhir mentioned that the scholars were agreed that it is not permissible to pay people to sing and wail… the consensus of all the scholars whose views we have learned about is that wailing and singing are not allowed. Al-Shu’bi, al-Nakha’i and Maalik regarded that as makrooh [i.e., haraam]. Abu Thawr, al-Nu’maan – Abu Haneefah (may Allaah have mercy on him) – and Ya’qoob and Muhammad, two of the students of Abu Haneefah said: it is not permissible to pay anything for singing and wailing. This is our view. And he said: musical instruments are the wine of the soul, and what it does to the soul is worse than what intoxicating drinks do. (Majmoo’ al-Fataawa, 10/417).

Ibn Abi Shaybah (may Allaah have mercy on him) reported that a man broke a mandolin belonging to another man, and the latter took his case to Shurayh. But Shurayh did not award him any compensation – i.e., he did not make the first man pay the cost of the mandolin, because it was haraam and had no value. (al-Musannaf, 5/395).

Al-Baghawi (may Allaah have mercy on him) stated in a fatwa that it is haraam to sell all kinds of musical instruments such as mandolins, flutes, etc. Then he said: If the images are erased and the musical instruments are altered, then it is permissible to sell their parts, whether they are silver, iron, wood or whatever. (Sharh al-Sunnah, 8/28)

An appropriate exception

The exception to the above is the daff – without any rings (i.e., a hand-drum which looks like a tambourine, but without any rattles) – when used by women on Eids and at weddings. This is indicated by saheeh reports. Shaykh al-Islam (may Allaah have mercy on him) said: But the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) made allowances for certain types of musical instruments at weddings and the like, and he made allowances for women to play the daff at weddings and on other joyful occasions. But the men at his time did not play the daff or clap with their hands. It was narrated in al-Saheeh that he said: “Clapping is for women and tasbeeh (saying Subhaan Allaah) is for men.” And he cursed women who imitate men and men who imitate women. Because singing and playing the daff are things that women do, the Salaf used to call any man who did that a mukhannath (effeminate man), and they used to call male singers effeminate – and how many of them there are nowadays! It is well known that the Salaf said this.

In a similar vein is the hadeeth of ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her), when her father (may Allaah be pleased with him) entered upon her at the time of Eid, and there were two young girls with her who were singing the verses that the Ansaar had said on the day of Bu’aath – and any sensible person will know what people say about war. Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) said: “Musical instruments of the Shaytaan in the house of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him)!” The Messenger of Allaah had turned away from them and was facing the wall – hence some scholars said that Abu Bakr (may Allaah be pleased with him) would not tell anybody off in front of the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him), but he thought that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) was not paying attention to what was happening. And Allaah knows best. He (the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him)) said: “Leave them alone, O Abu Bakr, for every nation has its Eid, and this is our Eid, the people of Islam.” This hadeeth shows that it was not the habit of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and his companions to gather to listen to singing, hence Abu Bakr al-Siddeeq called it “the musical instruments of the Shaytaan”. And the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) approved of this appellation and did not deny it when he said, “Leave them alone, for every nation has its Eid and this is our Eid.” This indicates that the reason why this was permitted was because it was the time of Eid, and the prohibition remained in effect at times other than Eid, apart from the exceptions made for weddings in other ahaadeeth. Shaykh al-Albaani explained this in his valuable book Tahreem Aalaat al-Tarab (the Prohibition of Musical Instruments). The Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) approved of young girls singing at Eid, as stated in the hadeeth: “So that the mushrikeen will know that in our religion there is room for relaxation.” There is no indication in the hadeeth about the two young girls that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) was listening to them. The commands and prohibitions have to do with listening, not merely hearing, just as in the case of seeing, the rules have to do with intentionally looking and not what happens by accident. So it is clear that this is for women only. Imaam Abu ‘Ubayd (may Allaah have mercy on him) defined the daff as “that which is played by women.” (Ghareeb al-Hadeeth, 3/64).
An inappropriate exception

Some of them make an exception for drums at times of war, and consequentially some modern scholars have said that military music is allowed. But there is no basis for this at all, for a number of reasons, the first of which is that this is making an exception with no clear evidence, apart from mere opinion and thinking that it is good, and this is wrong. The second reason is that what the Muslims should do at times of war is to turn their hearts towards their Lord. Allaah says (interpretation of the meaning):

“They ask you (O Muhammad) about the spoils of war. Say: ‘The spoils are for Allaah and the Messenger.’ So fear Allaah and adjust all matters of difference among you…” [al-Anfaal 8:1]. But using music is the opposite of this idea of taqwa and it would distract them from remembering their Lord. Thirdly, using music is one of the customs of the kuffaar, and it is not permitted to imitate them, especially with regard to something that Allaah has forbidden to us in general, such as music. (al-Saheehah, 1/145)

“No people go astray after having been guided except they developed arguments amongst themselves.” (Saheeh)

Some of them used the hadeeth about the Abyssinians playing in the mosque of the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) as evidence that singing is allowed! Al-Bukhaari included this hadeeth in his Saheeh under the heading Baab al-Hiraab wa’l-Daraq Yawm al-‘Eid (Chapter on Spears and Shields on the Day of Eid). Al-Nawawi (may Allaah have mercy on him) said: This indicates that it is permissible to play with weapons and the like in the mosque, and he applied that to other activities connected with jihaad. (Sharh Muslim). But as al-Haafiz ibn Hajar (may Allaah have mercy on him) said: whoever speaks about something which is not his profession will come up with weird ideas such as these.

Some of them use as evidence the hadeeth about the singing of the two young girls, which we have discussed above, but we will quote what Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said, because it is valuable:

I am amazed that you quote as evidence for allowing listening to sophisticated songs the report which we mentioned about how two young girls who were below the age of puberty sang to a young woman on the day of Eid some verses of Arab poetry about bravery in war and other noble characteristics. How can you compare this to that? What is strange is that this hadeeth is one of the strongest proofs against them. The greatest speaker of the truth [Abu Bakr al-Siddeeq] called them musical instruments of the Shaytaan, and the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) approved of that appellation, but he made an exception in the case of these two young girls who had not yet reached the age of responsibility and the words of whose songs could not corrupt anyone who listened to them. Can this be used as evidence to allow what you do and what you know of listening (to music) which includes (bad) things which are not hidden?! Subhaan Allaah! How people can be led astray! (Madaarij al-Saalikeen, 1/493).

Ibn al-Jawzi (may Allaah have mercy on him) said: ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) was young at that time; nothing was transmitted from her after she reached the age of puberty except condemnation of singing. Her brother’s son, al-Qaasim ibn Muhammad, condemned singing and said that it was not allowed to listen to it, and he took his knowledge from her. (Talbees Iblees, 229). Al-Haafiz ibn Hajar (may Allaah have mercy on him) said: A group of the Sufis used this hadeeth – the hadeeth about the two young girls – as evidence that singing is allowed and it is allowed to listen to it, whether it is accompanied by instruments or not. This view is sufficiently refuted by the clear statement of ‘Aa’ishah in the following hadeeth, where she says, “They were not singers.” She made it clear that they were not singers as such, although this may be understood from the wording of the report. So we should limit it to what was narrated in the text as regards the occasion and the manner, so as to reduce the risk of going against the principle, i.e., the hadeeth. And Allaah knows best. (Fath al-Baari, 2/442-443).

Some people even have the nerve to suggest that the Sahaabah and Taabi’een listened to singing, and that they saw nothing wrong with it!

Al-Fawzaan (may Allaah preserve him) said: We demand them to show us saheeh isnaads going back to these Sahaabah and Taabi’een, proving what they attribute to them. Then he said: Imaam Muslim mentioned in his introduction to his Saheeh that ‘Abd-Allaah ibn al-Mubaarak said: The isnaad is part of religion. Were it not for the isnaad, whoever wanted to could say whatever he wanted to.

Some of them said that the ahaadeeth which forbid music are full of faults. No hadeeth was free of being criticized by some of the scholars. Ibn Baaz (may Allaah have mercy on him) said: The ahaadeeth which were narrated concerning music being haraam are not full of faults as has been claimed. Some of them are in Saheeh al-Bukhaari which is the soundest of books after the Book of Allaah, and some of them are hasan and some are da’eef. But because they are so many, with different isnaads, they constitute definitive proof that singing and musical instruments are haraam.

All the imaams agreed on the soundness of the ahaadeeth which forbid singing and musical instruments, apart from Abu Haamid al-Ghazzaali, but al-Ghazzaali did not have knowledge of hadeeth; and Ibn Hazam, but al-Albaani (may Allaah have mercy on him) explained where Ibn Hazam went wrong, and Ibn Hazam himself said that if any of (these ahaadeeth) were saheeh, he would follow that. But now they have proof that these reports are saheeh because there are so many books by the scholars which state that these ahaadeeth are saheeh, but they turn their backs on that. They are far more extreme than Ibn Hazam and they are nothing like him, for they are not qualified and cannot be referred to.

Some of them said that the scholars forbade singing because it is mentioned alongside gatherings in which alcohol is drunk and where people stay up late at night for evil purposes.

Al-Shawkaani (may Allaah have mercy on him) said: The response to this is that mentioning these things in conjunction does not only mean that what is haraam is what is joined together in this manner. Otherwise this would mean that zinaa, as mentioned in the ahaadeeth, is not haraam unless it is accompanied by alcohol and the use of musical instruments. By the same token, an aayah such as the following (interpretation of the meaning):

“Verily, he used not to believe in Allaah, the Most Great,

And urged not on the feeding of Al‑Miskeen (the poor).”

[al-Haaqqah 69:33-34]

would imply that it is not haraam to disbelieve in Allaah unless that is accompanied by not encouraging the feeding of the poor. If it is said that the prohibition of such things one at a time is proven from other reports, the response to that is that the prohibition of musical instruments is also known from other evidence, as mentioned above. (Nayl al-Awtaar, 8/107).

Some of them said that “idle talk” does not refer to singing; the refutation of that has been mentioned above. Al-Qurtubi (may Allaah have mercy on him) said: This – the view that it means singing – is the best that has been said concerning this aayah, and Ibn Mas’ood swore three times by Allaah besides Whom there is no other god, that it does refer to singing. Then he mentioned other imaams who said the same thing. Then he mentioned other views concerning the matter. Then he said: The first view is the best of all that has been said on this matter, because of the marfoo’ hadeeth, and because of the view of the Sahaabah and the Taabi’een. (Tafseer al-Qurtubi).

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him), after quoting this Tafseer, said: Al-Haakim Abu ‘Abd-Allaah said in the Tafseer of Kitaab al-Mustadrak: Let the one who is seeking this knowledge know that the Tafseer of a Sahaabi who witnessed the revelation is a hadeeth with isnaad according to the two Shaykhs (al-Bukhaari and Muslim). Elsewhere in his book, he said: In our view this hadeeth has the same strength as a marfoo’ report. Although their tafseer is still subject to further examination, it is still more readily acceptable than the tafseer of those who came after them, because they are the most knowledgeable among this ummah of what Allaah meant in his Book. It was revealed among them and they were the first people to be addressed by it. They heard the tafseer from the Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) in word and in deed. And they were Arabs who understood the true meanings of (Arabic) words, so Muslims should avoid resorting to any other interpretation as much as possible.

Some of them said that singing is a form of worship if the intention is for it to help one to obey Allaah!

Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said: How strange! What type of faith, light, insight, guidance and knowledge can be gained from listening to tuneful verses and music in which most of what is said is haraam and deserves the wrath and punishment of Allaah and His Messenger? … How can anyone who has the least amount of insight and faith in his heart draw near to Allaah and increase his faith by enjoying something which is hated by Him, and He detests the one who says it and the one who accepts it? (Madaarij al-Saalikeen, 1/485)

Shaykh al-Islam said, discussing the state of the person who has gotten used to listening to singing: Hence you find that those who have gotten used to it and for whom it is like food and drink will never have the desire to listen to the Qur’aan or feel joy when they hear it, and they never find in listening to its verses the same feeling that they find when listening to poetry. Indeed, if they hear the Qur’aan, they hear it with an inattentive heart and talk whilst it is being recited, but if they hear whistling and clapping of hands, they lower their voices and keep still, and pay attention. (Majmoo’ al-Fataawa, 11/557 ff)

Some say that music and musical instruments have the effect of softening people’s hearts and creating gentle feelings. This is not true, because it provokes physical desires and whims. If it really did what they say, it would have softened the hearts of the musicians and made their attitude and behaviour better, but most of them, as we know, are astray and behave badly.

Conclusion

Perhaps – for fair-minded and objective readers – this summary will make it clear that the view that music is permissible has no firm basis. There are no two views on this matter. So we must advise in the best manner, and then take it step by step and denounce music, if we are able to do so. We should not be deceived by the fame of a man in our own times in which the people who are truly committed to Islam have become strangers. The one who says that singing and musical instruments are permitted is simply supporting the whims of people nowadays, as if the masses were issuing fatwas and he is simply signing them! If a matter arises, they will look at the views of fuqahaa’ on this matter, then they will take the easiest view, as they claim. Then they will look for evidence, or just specious arguments which are worth no more than a lump of dead meat. How often have these people approved things in the name of sharee’ah which in fact have nothing to do with Islam!

Strive to learn your Islam from the Book of your Lord and the Sunnah of your Prophet. Do not say, So-and-so said, for you cannot learn the truth only from men. Learn the truth and then measure people against it. This should be enough for the one who controls his whims and submits himself to his Lord. May what we have written above heal the hearts of the believers and dispel the whispers in the hearts of those who are stricken with insinuating whispers. May it expose everyone who is deviating from the path of Revelation and taking the easiest options, thinking that he has come up with something which none of the earlier generations ever achieved, and speaking about Allaah without knowledge. They sought to avoid fisq (evildoing) and ended up committing bid’ah – may Allaah not bless them in it. It would have been better for them to follow the path of the believers.

And Allaah knows best. May Allaah bless and grant peace to His Messenger who made clear the path of the believers, and to his companions and those who follow them in truth until the Day of Judgement.

Summary of a paper entitled al-Darb bi’l-Nawa li man abaaha al-Ma’aazif li’l-Hawa by Shaykh Sa’d al-Deen ibn Muhammad al-Kibbi.

For more information, please see:
১। Al-I’laam bi Naqd Kitaab al-Halaal wa’l-Haraam, by Shaykh al-‘Allaamah Saalih ibn Fawzaan al-Fawzaan
২। Al-Samaa’ by Shaykh al-Islam Ibn al-Qayyim
৩। Tahreem Aalaat al-Tarab, by Shaykh Muhammad Naasir al-Deen al-Albaani (may Allaah have mercy on him)

৩৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: Muhammad Saalih Al-Munajjid (محمد صالح المنجد) (born June 7, 1960)

এনার জন্ম ১৯৬০ সালে, এরা কনভার্টেড, এরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত, কেউ সুন্নি কেউ সিয়া, এদের কথার কোন দাম আমার কাছে নাই। আপনি নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর সময়কার বার তার পরবর্তি সময়কার যারা বিভিন্ন তাফসির লিখে গেছেন এদের থেকে উদৃতি দেন। আর দয়া করে বাংলায় লিখুন এত্ত বড় ইংরেজি প্রবন্দ পড়ার অভ্যাস নাই আমার। আর দরকার কি এত্ত বড় লেখার আপনি স্পষ্ট আয়াত দিন সুরা উল্লেখ করে তাইলেই তো হয়। সূরা লোকমানে আপনার উল্লেখিত আয়াতে গান বাজনা সম্পর্কে কিছুই নাই। কেউ একজন মনে করছে এমন হতে পারে তার কথা ঠিক ধরি কি করে। আর আমার আয়াত খানা দেখে মনে হচ্ছে এখানে বলা হচ্ছে ফালতু কথা বা মিথ্যা রটোনা সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছে।

আপনি এক কাজ করেন আপনি ইবনে কাসির এর তাফসির । আশা করি আপনার লাভ হবে ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমার আয়াত খানা দেখে মনে হচ্ছে এখানে বলা হচ্ছে ফালতু কথা বা মিথ্যা রটোনা সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছে।
এটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি কী মনে করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।

আমি সহী সূত্র সহ সব কিছু এখানে দিয়ে দিয়েছি। যার ইচ্ছে সেটা বিশ্বাস করুক। যার ইচ্ছে সে বিশ্বাস না করুক। তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। কারণ শেষ বিচারের দিন আমাকে নয়, তাকেই এর জন্য জবাবদীহি করতে হবে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন, আমীন।

৩৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি এক কাজ করেন আপনি ইবনে কাসির এর তাফসির পড়েন । আশা করি আপনার লাভ হবে ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটা উপদেশের জন্য। ইতিমধ্যেই সেটা আমি পড়ছি। আমি সেটা সাথে অনেক কিছুই পড়ছি।
তবে আমি আপনাকে সহী হাদীস গ্রন্থগুলি আগে পড়ার জন্য বলবো। সহী হাদীস গ্রন্থগুলি আগে নিশ্চয়ই তাফসির নয়?

৩৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন !!!

আপনাকেও আল্লাহ তৌফিক দান করুন !!! আমি কোন মতবাদে বিশ্বাসী না, আমি স্পষ্ট আদেশে বিশ্বাসী । ধন্যবাদ ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: না আমি আপনাকে এড়িয়ে যাই নি। যেখানে হযরত আব্দ আল্লাহ ইবন মাসু'দ (রাজিয়াল্লাহু আনহু) এর মতো একজন সাহাবী আল্লাহর নামে কসম কেটে এখানে এই শব্দগুচ্ছতে গানের কথা বলেছেন সেটা আপনি বিশ্বাস করছেন না, নিজের মতামত দিচ্ছেন। এরপর আর আপনার সাথে এই বিষয়ে কথা বলার কোন কারণ থাকতে পারে না।
ধন্যবাদ।

৩৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

এভো বলেছেন: ২০১৮ সালের এপ্রিল মানে জনাব এম আর তালুকদার সাহেব --- ইসলামে গান বাজনা কি হারাম ? কেন ! ইসলামে গান বাজনা কি হারাম ? কেন !

ঐ ব্লগে গানের পক্ষে বিপক্ষে তথ্য ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে পাঠকদের মন্তব্যে । দয়া করে তথ্য ভিত্তিক পক্ষে বিপক্ষের মতামত গুলো ঐ লিংকে গিয়ে পড়ুন ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টের ঠিকানা দেবার জন্য। আমি সেই পোস্ট দেখে এসেছি। লেখক সেখানে সম্ভবত লেখা কপি পেস্ট করেছেন কারণ প্রতি মন্তব্যে উনি নিজের মতামত দেয়া শুরু করেছেন যা উপরের লেখার সাথে মিল নেই।
তবে মন্তব্যগুলির মাঝে একজন মেরিনার নামে একজন ব্লগার খুব ভালো একটা ডকুমেন্ট এর লিংক দিয়েছেন। সেটা পড়ছি এখন।
আমার ব্লগে এসে পড়ার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৮

নতুন বলেছেন: আরেকটা বিষয় হইলো, গানবাজনা যেহেতু সরাসরি হারাম ঘোষনা করা হয় নাই, তাই এটা হারাম ঘোষনা দেওয়াও এক রকমের বাড়াবাড়ী মাত্র।

যদি আল্লাহ গানবাজনাকে এতো গুরুত্বপূন` মনে করতেন তবে সেটা, শুকুরের মাংস, মদ, জেনার মতন কোরানেই হারাম ঘোষনা দিতেন।

মোল্যাদের পছন্দ না তাই তারা এটাকে নিয়ে বেশি টানাটানি করে হারাম ঘোষনা করার চেস্টা করেছে মাত্র।

যাকে দেখতে পারিনা তার চলন বাকা থিউরি এখানে বড় ভুমিকা পালন করেছে। এলাকাতে যদি এখন ১টা সঙ্গীতানুষ্টান আর ওয়াজ হয় তবে গানের অনুস্ঠানে মানুষ বেশি হবার সম্ভবনাই বেশি তাই মোল্যারা এটাকে দেখতে পারনে না সেটাই সাভাবিক।

রানার ব্লগ বলেছেন: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ 31.6 আরবি উচ্চারণ ৩১.৬। অমিনান্না-সি মাইঁ ইয়াশ্তারী লাহ্ওয়াল্ হাদীছি লিইয়ুদ্বিল্লা ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি বিগইরি ‘ইল্মিওঁ অইয়াত্তাখিযাহা- হুযুওয়া-; উলা-য়িকা লাহুম্ ‘আযা-বুম্ মুহীন্। বাংলা অনুবাদ ৩১.৬ আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।

আরো কিছু অনুবাদ নিচে::--

Asad : But among men there is many a one that prefers a mere play with words [to divine guidance], 4 so as to lead [those] without knowledge astray from the path of God, and to turn it to ridicule: for such there is shameful suffering in store.
Khattab :
But there are some who employ theatrics, 1 only to lead others away from Allah’s Way—without any knowledge—and to make a mockery of it. They will suffer a humiliating punishment.

Malik : Among the people there are some who purchase frivolous tales so that they may lead people away from the Way of Allah, without any knowledge, and take the invitation to the Right Way as a mockery. For such people there will be a humiliating punishment.
Pickthall : And of mankind is he who payeth for mere pastime of discourse, that he may mislead from Allah's way without knowledge, and maketh it the butt of mockery. For such there is a shameful doom.
Yusuf Ali : But there are among men those who purchase idle tales without knowledge (or meaning) to mislead (men) from the Path of Allah and throw ridicule (on the Path): for such there will be a humiliating Penalty. 3584

উপরের সবাই কিন্তু বেহুদা কথার বিষয়টা নিয়েছে আল্লাহের দিকে আলোচনার বিরুদ্ধে কোন ধরনের আলোচনাকে.... যদি গান বাজনা করে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারনা করা হয় সেটার বিষয়ে বলা হয়েছে যে তাদের পরিনতি ভালো হবেনা।

এখনে গানকে নয় বরং ইসলামের বিরুদ্ধে সেই সময়ে যেই প্রচারনা করা হয়েছিলো গান বাদ্যের সাহাজ্য সেই অনুস্ঠান/কাজের কথা বলা হয়েছে।

সেই রকমের প্রচারনা যদি কবিতার বা বক্তিতার মাধ্যমে করা হতো সেই প্রচারনার বিষয়েও এই সাজার কথা বলা হতো,

এখন গান কেউই আল্লাহের বিরুদ্ধে করেনা। গানের হাজারো রকমের বিষয় আছে।

৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২০

মেটালক্সাইড বলেছেন: মারাত্নক ভাল হয়েছে আপনার লেখা। প্রার্থনা করছি, আল্লাহ্‌ সুবহানুতায়ালা আপনাকে হায়াহ ও জ্ঞান দান করুন। আমি মানুষের প্রশংসা করতে কুন্ঠবোধ করি কারণ প্রশংসা শুধু একজনের জন্য নির্ধারিত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এই বিষয়টাতে সবার ভুল জানাকে ভেঙ্গে দিতে আর চিরন্তন সত্য কে প্রতিষ্ঠিত করতে। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
আল্লাহ্‌ সুবহানুতায়ালা আপনাকেও অনেক হায়াহ ও জ্ঞান দান করুন, ছুম্মা আমীন।
ধন্যবাদ।

৪২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১

নতুন বলেছেন: বোখারী শরিফের কিছু হাদিস তো গানকে নিষেধ করে না।

Prophet Muhammad peace be upon him allowed music:

From Bukhari Volume 2, Book 15, Number 70:

Narrated Aisha:
Allah's Apostle (p.b.u.h) came to my house while two girls were singing beside me the songs of Buath (a story about the war between the two tribes of the Ansar, the Khazraj and the Aus, before Islam). The Prophet (p.b.u.h) lay down and turned his face to the other side. Then Abu Bakr came and spoke to me harshly saying, "Musical instruments of Satan near the Prophet (p.b.u.h) ? " Allah's Apostle (p.b.u.h) turned his face towards him and said, "Leave them." When Abu Bakr became inattentive, I signaled to those girls to go out and they left. It was the day of 'Id, and the Black people were playing with shields and spears; so either I requested the Prophet (p.b.u.h) or he asked me whether I would like to see the display. I replied in the affirmative. Then the Prophet (p.b.u.h) made me stand behind him and my cheek was touching his cheek and he was saying, "Carry on! O Bani Arfida," till I got tired. The Prophet (p.b.u.h) asked me, "Are you satisfied (Is that sufficient for you)?" I replied in the affirmative and he told me to leave.

This same Hadith is reported to us again in Sahih Muslim:

Book 004, Number 1942:

'A'isha reported: The Messenger of Allah (way peace be upon him) came (in my apartment) while there were two girls with me singing the song of the Battle of Bu'ath. He lay down on the bed and turned away his face. Then came Abu Bakr and he scolded me and said: Oh! this musical instrument of the devil in the house of the Messenger of Allah (may peace be upon him)! The Messenger of Allah (may peace be upon him) turned towards him and said: Leave them alone. And when he (the Holy Prophet) became inattentive, I hinted them and they went out, and it was the day of 'Id and negroes were playing with shields and spears. (I do not remember) whether I asked the Messenger of Allah (may peace be upon him) or whether he said to me if I desired to see (that sport). I said: Yes. I stood behind him with his face parallel to my face, and he said: O Banu Arfada, be busy (in your sports) till I was satiated. He said (to me): Is that enough? I said: Yes. Upon this he asked me to go.

Once again in Bukhari, this event is recorded:

Volume 5, Book 58, Number 268:

Narrated Aisha:
That once Abu Bakr came to her on the day of 'Id-ul-Fitr or 'Id ul Adha while the Prophet was with her and there were two girl singers with her, singing songs of the Ansar about the day of Buath. Abu Bakr said twice. "Musical instrument of Satan!" But the Prophet said, "Leave them Abu Bakr, for every nation has an 'Id (i.e. festival) and this day is our 'Id."

And then in Bukhari, another Hadith relates a connection between musical instruments and the family of David (saw). Further evidence that, indeed, the Psalms were musical in nature:

Volume 6, Book 61, Number 568:

Narrated Abu Musa:
That the Prophet said to him' "O Abu Musa! You have been given one of the musical wind-instruments of the family of David .'

And on one final note, I thought the following Hadith can also be used in the matter. The Hadith relates of how the adhan came to be, and how the Prophet's companions suggested the use of musical instruments such as the horn or bell like the People of the Book. Now although the Prophet ultimately approved the use of the human voice, there is no mention that the Prophet chastised his companions for suggesting musical instruments for the adhan. And if the Prophet was so very much against musical instruments, then why would his companions dare to suggest the use of such sinful things in the call to prayer????

From Muslim Book 004, Number 0735:

Ibn Umar reported: When the Muslims came to Medina, they gathered and sought to know the time of prayer but no one summoned them. One day they discussed the matter, and some of them said: Use something like the bell of the Christians and some of them said: Use horn like that of the Jews. Umar said: Why may not a be appointed who should call (people) to prayer? The Messenger of Allah (may peace be upon him) said: O Bilal, get up and summon (the people) to prayer.

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই বুখারী শরীফের দুইটা মেয়ের গানের এই রেফারেন্স দেবার জন্য। আপনি এই প্রশ্ন আরেকটা একই বিষয়ের পোস্টেও করেছিলেন সেটাও আমি দেখেছি। আমি ইতিমধ্যেই ৩৫ নাম্বার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে এই বিষয়টার ব্যাখ্যা তুলে দিয়েছি। আপনার জন্য আবার দিলাম নীচে। সূত্র একইঃ
Some of them use as evidence the hadeeth about the singing of the two young girls, which we have discussed above, but we will quote what Ibn al-Qayyim (may Allaah have mercy on him) said, because it is valuable:

I am amazed that you quote as evidence for allowing listening to sophisticated songs the report which we mentioned about how two young girls who were below the age of puberty sang to a young woman on the day of Eid some verses of Arab poetry about bravery in war and other noble characteristics. How can you compare this to that? What is strange is that this hadeeth is one of the strongest proofs against them. The greatest speaker of the truth [Abu Bakr al-Siddeeq] called them musical instruments of the Shaytaan, and the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) approved of that appellation, but he made an exception in the case of these two young girls who had not yet reached the age of responsibility and the words of whose songs could not corrupt anyone who listened to them. Can this be used as evidence to allow what you do and what you know of listening (to music) which includes (bad) things which are not hidden?! Subhaan Allaah! How people can be led astray! (Madaarij al-Saalikeen, 1/493).

Ibn al-Jawzi (may Allaah have mercy on him) said: ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) was young at that time; nothing was transmitted from her after she reached the age of puberty except condemnation of singing. Her brother’s son, al-Qaasim ibn Muhammad, condemned singing and said that it was not allowed to listen to it, and he took his knowledge from her. (Talbees Iblees, 229). Al-Haafiz ibn Hajar (may Allaah have mercy on him) said: A group of the Sufis used this hadeeth – the hadeeth about the two young girls – as evidence that singing is allowed and it is allowed to listen to it, whether it is accompanied by instruments or not. This view is sufficiently refuted by the clear statement of ‘Aa’ishah in the following hadeeth, where she says, “They were not singers.” She made it clear that they were not singers as such, although this may be understood from the wording of the report. So we should limit it to what was narrated in the text as regards the occasion and the manner, so as to reduce the risk of going against the principle, i.e., the hadeeth. And Allaah knows best. (Fath al-Baari, 2/442-443).

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: এরপর আমি কিছু বলবো।
পবিত্র কুরআন শরীফের সব আয়াত এক সাথে নাযিল হয় নি। ধাপে ধাপে, বিভিন্ন ঘটনার উপর ভিত্তি করে। কিছু কিছু আয়াত পুর্বের আয়াত'কে রহিত করে এসেছে। যেমন মদ খাওয়া এবং মু'তা বিয়ে ইত্যাদি। ঠিক তেমনি হাদীসের সময় কালের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। হয়ত এই হাদীস এর পরে সুরা লোকমান এবং সুরা ইসরার গান বিষয়ক আয়াত গুলি নাযিল হয়েছে এবং মহানবী (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) এবং সাহাবীরা গানের ব্যাপারে প্রচন্ড কঠিন হয়েছেন।

যেখানে হযরত আব্দ আল্লাহ ইবন মাসু'দ (রাজিয়াল্লাহু আনহু) এর মতো একজন সাহাবী আল্লাহর নামে কসম কেটে এখানে এই শব্দগুচ্ছতে গানের কথা স্পষ্টভাবে বলেছেন সেটা আপনি বিশ্বাস না করে কই যাবেন বলুন? উনার মতো একজন সাহাবী কী মিথ্যা কথা বলবে, একটু চিন্তা করে দেখুন?

ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর আলোচনার জন্য।

৪৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

নজসু বলেছেন:




হাদিসে পড়েছি নবী করিম (সাঃ) বাঁশির আওয়াজ শুনে কানে আঙ্গুল দিয়েছিলেন।
এখনকার গানের কথায় যে পরিমান অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ঢুকে পড়েছে তাতে গান শোনার অনুমতি থাকলেও এখনকার গানগুলো শোনার রুচি হতো না।
কুরআন পড়লে মন শুদ্ধ পবিত্র হবে। অথচ কুরআন পাঠ করার পক্ষে কথা বলার লোক পাবেন না।
গানের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব নেই।

আল্লাহকেও বিশ্বাস করবেন আবার গান বাজনা করে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করবেন সেটা হাস্যকর।
আমার বলার কিছু নেই। পোষ্টটা সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। সময় ছিলো হাতে তাই ইংরেজিটা বাদ দিয়ে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য সব পড়ে নিলাম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: সুজন ভাই,
কষ্ট করে পুরো পোস্ট এবং মন্তব্য পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ঈমানী দায়িত্ব থেকেই এই পোস্ট লিখেছি।
ধন্যবাদ।

৪৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নতুন বলেছেন: he made an exception in the case of these two young girls who had not yet reached the age of responsibility and the words of whose songs could not corrupt anyone who listened to them.

ভাই এখানে কথা হচ্ছে হারাম কিনা।

যেটা হারাম সেটা মনে হয় বয়স কম হলে হালাল হয়ে যাবে না। তাই উপরের ব্যক্ষ্যায় বয়স কম তাই রাসুল সা: আর আবু বকর রা: মেনে নিয়েছেন সেটা একটা গোজামিল মাত্র।

আর যেহেতু কোরানে সরাসরি গানবাজনা হারাম বলা হয় নাই। তার মানে এটা এত বড় একটা বিষয় না মানুষের জন্য।

আর এই দুই মেয়ের হাদিস যেহেতু সহী বলে মেনে নিচ্ছেন তাই বলা যায় গান বাজনায় রাসুল কখনো কখনো অনুমুতি দিয়েছিলেন। আর হারাম এটা আল্লাহ কোরানেও যেহেতু উল্লেখ করেন নাই তাই গান হারাম এটা এক রকমের জেলাসি থেকে মোল্যারা হারামের পযায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

যেমনটা কিছুদিন আগে সামুও ব্লক ছিলো পণ`এর কেটাগরিতে। আর সামুতে খুজলে কিছু শব্দ পাবেন যেটা হয়তো চটি সাহিত্যেও পাবেন। কিন্তু আমরা জানি সামু ব্লক ছিলো ব্যক্তিগত ঈ`ষা` থেকে।

এখন গানের ভাষায় যদি আপনি গালি,কুরুচীপূন` ভাষা, ভাব ব্যবহার করেন সেটা আপনি পরিবার নিয়েই বা অন্যের সামনে ভদ্রসমাজেই সুনবেন না, সেটা অবশ্যই সমাজই নিষেধ করবে।

কিন্তু ভালো গান হৃদয়ে নাড়া দেয় সেটা অবশ্যই হারাম হতে পারেনা।

যদি গান বাজনা মদ,জিনা,সুদ,শুকরের মাংসের মতন খারাপ জিনিস হতো তবে আল্লাহ কোরানেই হারাম ঘোষনা করতো।

তিনি যেটা হারাম বলেন নাই সেটা আপনি আমি কেন হারাম বানাতে উঠে পড়ে লাগবো।????????????????????

কারন ব্যক্তিগত অপছন্দ, খারাপ বলে না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০২

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
বুখারী শরিফের এই হাদীস পড়ার পর আপনার প্রশ্ন আমার মনেও জেগেছে। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা আগের টাই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়। হাদীসের সময় কালের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। হয়ত এই হাদীস এর পরে সুরা লোকমান এবং সুরা ইসরার গান বিষয়ক আয়াত গুলি নাযিল হয়েছে এবং মহানবী (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) এবং সাহাবীরা গানের ব্যাপারে প্রচন্ড কঠিন হয়েছেন। গানে ব্যাপারে কোন কিছুর আর পারমিশন দেন নি। কারণ আমি এই বিষয়ে আরও কঠিন কিছু হাদিস পেয়েছি দেখুনঃ
১। Allaamah Qurtubi, in his Tafseer, narrates the following Hadith: "Verily, o­nce when Abdullah Bin Mas'ud (radhiyallahu anhu) heard someone singing, he hastily left the place. This reached Rasulullah (sallallahu alayhi wasallam). He thereupon commented: 'Indeed, Ibn Umm Abd (i.e. Abdullah Ibn Mas'ud) is an honourable abd (slave ofAllah)." Two salient facts emerge from this Hadith: o­ne- Hadhrat Abdullah Bin Mas'ud (radhiyallahu anhu) was aware of the prohibition of music and singing, hence he hastily left the place.
Two- Rasulullah (sallallahu alayhi wasallam) approved of his action and commended him. This too clearly indicates the evil of singing and music.

২। Hadhrat Abu Burzah (radhiyallahu anhu) narrated: "We were with the Nabi (sallallahu alayhi wasallam) o­n a journey when he heard two men singing. The o­ne was responding to the other (by means of singing poetry). Nabi (sallallahu alayhi wasallam) then said: 'Look who these two are.' They (the Sahaabah) said: 'They are so and so (naming them).' Rasulullah (sallallahu alayhi wasallam) then cursed, saying: 'O Allah! Cast them upside down in Jahannum." (Majmauz Zawaaid)
The gravity of the prohibition of singing and music should be apparent from the vehemence of the curse of Rasulullah (sallallahu alayhi wasallam).

৩। Hadhrat Ibn Mas'ud (radhiyallahu anhu) narrated: "Verily, Nabi (sallallahu alayhi wasallam) heard a man singing o­ne night. He then said: 'His Salaat is unacceptable! His Salaat is unacceptable! His Salaat is unacceptable!" (Nailul Autaar)

৪। Hadhrat Abu Hurairah (radhiyallahu anhu) narrates that Rasulullah (sallallahu alayhi wasallam) said: "Listening to music and singing is sinful. Sitting at such gatherings is fisq (immoral transgression). Deriving pleasure from it is kufr." (Nailul Autaar)

আল্লাহই সবচেয়ে বেশি এবং ভালো জানেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা এই বিষয়ে আমার ঠিক হবে না। মাত্র কয়েকদিন আগে একটা দারুন লেকচার শুনলাম। এটা শুনে দেখুন, আপনার বলা গানের বিষয় বস্তুর সাথে মিলে যায়।
সূত্রঃ https://youtu.be/YDrPbgE9h58

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

৪৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: মাঝে কিছুদিন ব্যাস্ত থাকায় এই পোষ্ট নজর এড়িয়ে গেছে। ভালো পোষ্ট। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কিছু নিয়ম দিয়েছেন, কিন্তু নফসের কারনে আমরা সেগুলো ঠিক মত পালন করতে পারি না, এর মানে এই না যে তা জায়েজ হয়ে যাবে। এই দেশেই আইন আছে জন সমাগম এলাকায় ধুমপান করা আইনতঃ দন্ডনীয়, অথচ প্রায় সব জায়গায়ই ধুমপান চলে এবং আইন ও দেখেও না দেখার ভান করে। এই টাইপের আর কি। এখন যদি আমি চ্যালেঞ্জ করি জন সন্মুখে ধুমপান ভালো তবে কি হবে?

যাক কথা না বাড়াই, ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি সামান্য। তবে আমি একজন বিশ্বাসী এবং গর্বিত মুসলমান যদিও গর্ব করার আল্লাহর সব নির্দেশ মানা হয় না, তবে সেটা একান্ত আমার আর আমার সৃষ্টিকর্তার বিষয়। কিন্তু সামগ্রিক ধর্ম বিষয়ে কিছু মানুষ অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করে এক ধরনের বিকৃতি আনন্দ পায় অথবা এ্যাটেনশান সীক করে এদের জ্ঞান ও নাই, এই যে শরীয়ত বয়াতি একে নিয়েও এত হৈ চৈ এর কিছু দেখি না, এই ব্লগেই যারা এই বয়াতিকে সমর্থনে প্রান পাত করছে তারাই ওই মানুষের সাথে ১৫ মিনিট কথা বলে টিকবে না, কারন ওই সব বয়াতির যে জ্ঞান তাতে স্বাভাবিক চিন্তার মানুষ এ না এবং প্রায় অশিক্ষিত, অথচ ব্লগ বা ফেসবুকে কিছু মানুষের এর প্রতি সাফাই দেখে মনে হচ্ছে কোপার্নিকাস, ব্রুনো কে এ্যারেষ্ট করা হয়েছে।

যাই হোক পোষ্ট ভালো হয়েছে। ভালো লাগা জানবেন। নিজের ধর্ম সন্মন্ধ্যে জ্ঞান খুব কম থাকায় তাত্ত্বিক জ্ঞান নিয়ে আলোচনায় গেলাম না। তবে ইদানিং ধর্ম নিয়ে পড়ছি, জানার জন্য। যখন কিছু জানব অবশ্যই লিখব ভাই।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আপনি একদম আমার মনের কথাই বলেছেন। আমরা মানুষ। নফসের ধোকায় পরে আমরা অনেক সময় ইসলামের ধর্মীয় বিধি বিধানগুলি মানতে পারি না। শত ইচ্ছে থাকলেও শয়তানের ধোকায় পরে সব নির্দেশ মেনে চলতে পারি না। কিন্তু তাই বলে কি এই সব নিয়ম কানুন অস্বীকার করবো? স্পষ্ট ভাবে কুরআন শরীফে এবং হাদীস শরীফে সব বলে দেয়ার পরেও নেই বলে মিথ্যা কথা বলবো, বাজে কথা বলবো, চ্যালেঞ্জ করবো? এটা তো হতে পারে না। 

সমস্যা তৈরি হয়েছে ব্লগে একজন এই বয়াতিকে সমর্থন ক রে পোস্টে দেবার পর। উনি কখন কী বলেন সেটা নিজেও জানে না। ঐ পোস্টে ব্লগারদের উলটা পালটা মন্তব্য দেখেই আমি এই পোস্ট দিয়েছি যেন আসল ঘটনা কী সেটা সবাই জানতে পারে।

ইসলাম নিয়ে সবারই পড়াশুনা এবং জানা উচিত।
ধ ন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুল (স) নিজেই হাদিস মানতে নিষেধ করে গেছে।
এরপরেও সব হাদিস ও কোরানের বিভ্রান্তিকর অনুবাদ ও মনগড়া তফসির দিয়ে মেনে কঠিন ভাবে 'খাঁটি ইসলাম' মানলে এই দুনিয়ায় কেউ বাঁচতে পারবে না। শুধু গান না, এই দুনিয়ার বেশিরিভাগই জিনিষই হারাম হয়ে যাবে।

সরিয়া আইন বাদে প্রচলিত গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যাবস্থা হারাম,
নারী নেতৃত্ব হারাম
জন্মনিয়ন্ত্রন হারাম
গান বাজনা - হারাম।

সকল খেলাধুলা হারাম, ফুটবল ক্রিকেট এমনকি এককভাবে ঘুড়ি ওড়ানোও হারাম।
মানুষ বা যে কোন প্রানীর ছবি আর্ট স্ক্লপচার আঁকা ছবি সবকিছু - হারাম।
সে হিসেবে পাসপোর্ট/ এনাইডি হারাম
সে হিসেবে টিভি, মোবাইল, নাটক, সিনেমা বিজ্ঞাপন কম্পিউটার সব হারাম।
স্মার্টফোন? সেটা তো হারামের উপর হারাম।

শিক্ষা, শিক্ষাগ্রহণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারাম
খাঁটি ইসলামে (আফ্রিকা-মধ্যপ্রচ্যে) সকল শিক্ষা হারাম, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সব হারাম।
পাকিস্তানের ঊ-পশ্চিমাঞ্চলে ও আরবে ছেলেদের মাদ্রসা বাদে নারী শিক্ষা হারাম।
বাংলাদেশের হুজুররা একটু উদার। নারী শিক্ষা ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত হালাল। এরপর থেকে হারাম।

সুদ হারাম, তথা সুদভিত্তিক প্রচলিত অর্থনীতি হারাম। সুদি অর্থনীতিতে চালিত এলসি/আমদানি রপ্তানি/রেমিট্যান্স, ঋন সহ দেশের সকল সুদি কেনাকাটা/সেবা বানিজ্য প্রতিষ্ঠান এসেট, বেতন সব হারাম।
নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া হারাম, পুরুষ মাহারাম ছাড়া নারীদের দরজার বাইরে বের হওয়া পা দেওয়াই যাবে না।

কথিত 'খাটি ইসলাম' মানতে হলে ঘরকে মোটা পর্দা দিয়ে অন্ধকার করে ঘরেই এবাদতবন্দেগি করে দিন পার করতে হবে।
নতুবা প্রচলিত রাষ্ট্রযন্ত্র অর্থনীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করে মরুভুমির মত অবস্থা বানাতে হবে।

এরপরও শান্তি আসবে না, কারন সে আমলেই আসেনি। একদল বলবে এটা হয়নি, আরেকদল অন্য হাদিস এনে বলবে, না এটাই হবে!

ধন্যবাদ। অনেক কথা বলে ফেললাম।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০১

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
"ধন্যবাদ। অনেক কথা বলে ফেললাম"। - অবশ্যই বলবেন। এটা ব্লগ এটা আলোচনার জায়গা। যুক্তি তর্ক নাহলে এটা ব্লগ কীসের? আপনাকে আমার ব্লগে সব সময় সুস্বাগতম। আমার ব্লগের সদর দরজা আপনার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। যে কোন গঠনমূলক আলোচনায় আপনার মত দিন। আমি যতটূকু জানি সেটার উত্তর দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।

উপরের এত বড় মন্তব্য দিয়ে আপনি তো আমাকে ভীষন বিপদে ফেলে দিলেন। আমার দেরি করে আসার কারণ হলো আন্দাজে এই বিষয় নিয়ে কিছু লেখা সম্ভব না। হাদিস নিয়ে আপনি যা যা বলেছে সেটার অনেক কিছুই কিন্তু আমার জানার সাথে কনফ্লিক্ট করে, আমি যা জানি সেটা হলোঃ-

কুরআন মজীদ যেখানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মৌলনীতি পেশ করে, হাদীস সেখানে এ মৌল নীতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তা বাস্তবায়নের কার্যকর পন্থা বলে দেয়। কুরআন ইসলামের আলোকস্তম্ভ, হাদীস তাঁর বিচ্ছুরিত আলো। হাদীস একদিকে যেমন কুরআনুল আযীমের নির্ভুল ব্যাখ্যা দান করে, অনুরূপভাবে তা পেশ করে কুরআনের ধারক ও বাহক নবী করীম (সঃ)-এর পবিত্র জীবনচরিত, কর্মনীতি ও আদর্শ এবং তাঁর কথা ও কাজ, হিদায়াত ও উপদেশের বিস্তারিত বিবরণ। এজন্যই ইসলামী জীবন বিধানে কুরআনে হাকীমের পরপরই হাদীসের স্থান। অন্য কথায়, কুরআন মজীদের শিক্ষা ও নির্দেশসমূহ ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর করার জন্য নবী (সঃ) যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাই হচ্ছে হাদীস। হাদীসও যে ওহীর সুত্রে প্রাপ্ত এবং তা শরী’আতের অন্যতম উৎস কুরআন ও মহানবী (সঃ)-এর বাণীর মধ্যেই তাঁর প্রমাণ বিদ্যমান।
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী (সঃ) সম্পর্কে বলেনঃ
“আর তিনি (নবী) মনগড়া কথাও বলেন না, এ তো ওহী যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (সুরা ৫৩: ৩-৪)।
“তিনি (নবী) যদি আমার নামে কিছু রচনা চালাতে চেষ্টা করতেন আমি অবশ্যই তাঁর ডান হাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে লইতাম তাঁর জীবনধমনী” (সুরা ৬৯: ৪৪-৪৬)।

নবী করীম (সঃ) আল্লাহর রাসূল হিসাবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার অনুমুতি দিয়েছেন অথবা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁকে হাদীস বলা হয়। কিন্তু মুহাদ্দিসগণ এর সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পর্কিত বর্ণনা ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কিত বিবরণকেও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেন।
এ হিসেবে হাদীসকে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়ঃ কাওলী হাদীস, ফে’লী হাদীস ও তাকরীরী হাদীস।
প্রথমত, কোন বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) যা বলেছেন, অর্থাৎ যে হাদীসে তাঁর কোন কথা বিধৃত হয়েছে তাঁকে কাওলী (বানী সম্পর্কিত) হাদীস বলা হয়।
দ্বিতীয়ত, মহানবী (সঃ)-এর কাজকর্ম, চরিত্র ও আচার-আচারণের ভেতর দিয়েই ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান ও রীতিনীতি পরিস্ফুট হয়েছে। অতএব যে হাদীসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ উল্লেখিত হয়েছে তাঁকে ফে’লী ( কর্ম সম্পর্কিত) হাদীস বলা হয়।
তৃতীয়ত, সাহাবীগণের যে সব কথা বা কাজ নবী করীম (সঃ)-এর অনুমোদন ও সমর্থনপ্রাপ্ত হয়েছে, সে ধরনের কোন কথা বা কাজের বিবরণ হতেও শরী’আতের দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায়। অতএব যে হাদীসে এ ধরনের কোন ঘটনার বা কাজের উল্লেখ পাওয়া যায় তাঁকে তাকরীরী (সমর্থনমূলক) হাদীস বলে।

হাদীসের অপর নাম সুন্নাহ। সুন্নাহ শব্দের অর্থ, কর্মের নীতি ও পদ্ধতি। যে পন্থা ও রীতি নবী করীম (সঃ) অবলম্বন করতেন তাঁকে সুন্নাত বলা হয়। অন্য কথায় রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রচারিত উচ্চতম আদর্শই সুন্নাত। কুরআন মজীদে মহোওম ও সুন্দরতম আদর্শ বলতে এই সুন্নাতকেই বোঝানো হয়েছে। ফিকাহ পরিভাষায় সুন্নাত বলতে ফরয ও ওয়াজিব ব্যতিত ইবাদত রূপে যা করা হয় তা বোঝায়, যেমন সুন্নাত সালাত।

হাদিস বুঝার সুবিধা জন্য আপনাকে কয়েকটা শব্দ দিচ্ছি। এইগুলি জানলে আপনার অনেক সুবিধা হবেঃ
হাদিসের সনদঃ হাদীসের মূল কথাটুকু যে সুত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাঁকে সনদ বলা হয়। এতে হাদীসের বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।
আদালতঃ যে সুদৃঢ় শক্তি মানুষকে তাকওয়া ও শিষ্টাচার অবলম্বনে এবং মিথ্যা আচরণ থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে তাঁকে আদালত বলে।
সহী হাদিসঃ যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উল্লেখিত প্রত্যেক রাবীই পূর্ণ আদালত ও যাবতীয়-গুণ সম্পন্ন এবং হাদীসটি যাবতীয় দোষত্রুটি মুক্ত তাঁকে সহী হাদীস বলা হয়।

সাহাবায়ে কিরাম (রঃ) মহানবী (সঃ)-এর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং তাঁর প্রতিটি কাজ ও আচরণ সুক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ করতেন। রাসুলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীগণকে ইসলামের আদর্শ ও এর যাবতীয় নির্দেশ যেমন মেনে চলার হুকুম দিতেন, তেমনি তা স্মরণ রাখতেন এবং অনাগত মানব জাতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীস চর্চাকারীর জন্য তিনি নিম্নোক্ত দু’আ করেছেনঃ
“আল্লাহ সেই ব্যাক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন, যে আমার কথা শুনে স্মৃতিতে ধরে রাখল, তাঁর পূর্ণ হিফাযত করল এবং এমন লোকের কাছে পৌঁছে দিল, যে তা শুনতে পায়নি।”(তিরমিযী, ২য় খণ্ড, পৃ ৯০)

মহানবী (সঃ) আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে প্রয়োজনীয় উপদেশ দান করে বললেনঃ “এই কথাগুলো তোমরা পুরোপুরি স্মরণ রাখবে এবং যারা তোমাদের পেছনে রয়েছে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবে”(বুখারী)।

তিনি সাহাবীগণকে সম্বোধন করে বলেছেনঃ “ আজ তোমরা (আমার নিকট দীনের কথা) শুনেছ, তোমাদের নিকট থেকেও (তা) শুনা হবে” – (মুসতাদরাক হাকিম, ১ খ, পৃ ৯৫)।

তিনি আরও বলেনঃ “আমার পরে লোকেরা তোমাদের নিকট হাদীস শুনতে চাইবে)। তাঁরা এই উদ্দেশ্যে তোমাদের নিকট এলে তাঁদের প্রতি সদয় হয়ো এবং তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা করো।” (মুসনাদ আহমদ)। তিনি অন্যত্র বলেছেনঃ “আমার নিকট থেকে একটি বাক্য হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।” (বুখারী ৮ম খন্ড)

এখন আপনি বলুন নিজেই বলুন আমি কোন দিকে যাবো? আপনি বলছেনঃ রসুল (স) নিজেই হাদিস মানতে নিষেধ করে গেছে। আসলেই কী তাই? ভেবে দেখুন তো?

আবার অনেকেই দাবী করে হাদিস লিখে রাখা হয় নি? তাই কী? নীচে দেখুন তো? প্রমাণ দিলাম এই কথা কত বড় ভুল, দেখুন-
১। আবু হুরায়রা (রঃ) বলেন, এক আনসারী সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে আরয করেলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যা কিছু বলেন, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু মনে রাখতে পারি না। নবী করীম (সঃ) বললেনঃ “তুমি ডান হাতের সাহায্য নাও।” তারপর তিনি হাত এর ইশারায় লিখে রাখার প্রতি ইঙ্গিত করলেন- (তিরমিযী)
২। আবূ হুরায়রা (রঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সঃ) ভাষণ দিলেন। আবূ শাহ ইয়ামানী (রঃ) আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ ভাষণ আমাকে লিখে দিন। নবী করীম (সঃ) ভাষণটি তাঁকে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেন-(বুখারী, তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ)।
৩। হাসান ইবন মুনাব্বিহ (রঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রঃ) আমাকে বিপুল সংখ্যক কিতাব (পাণ্ডুলিপি) দেখালেন। তাতে রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর হাদীস লিপিবদ্ধ ছিল ( ফাতহুল বারী)। আবূ হুরায়রা (রঃ)-র সংকলনের একটি কপি ( ইমাম ইবন তাইমিয়ার হস্তলিখিত) দামেশক এবং বার্লিনের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।
৪। আনাস ইবন মালিক (রঃ) তাঁর (স্বহস্ত লিখিত) সংকলন বের করে ছাত্রদের দেখিয়ে বলেন, আমি এসব হাদীস নবী করীম (সঃ)-এর নিকট শুনে লিখে নিয়েছি। পরে তাঁকে তা পড়ে শুনিয়েছি (মুসতাদরাক হাকিম,৩য় খ, পৃ ৫৭৩) .
৫। রাফি’ ইবন খাদীজা (রঃ)-কে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সঃ) হাদীস লিখে রাখার অনুমুতি দেন। তিনি প্রচুর হাদীস লিখে রাখেন (মুসনাদে আহমেদ)।
৬। আলী ইবন আবূ তালিব (রঃ)-ও হাদীস লিখে রাখতেন। চামড়ার থলের মধ্যে রক্ষিত সঙ্কলনটি তাঁর সঙ্গেই থাকত। তিনি বলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট থেকে এ সহীফা ও কুরআন মজীদ ব্যাতিত আর কিছু লিখিনি। সংকলনটি স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সঃ) লিখিয়ে ছিলেন। এতে যাকাত, রক্তপাত(দিয়াত), বন্দীমুক্তি, মদীনার হেরেম এবং আরও অনেক বিষয় সম্পর্কিত বিধান উল্লেখ ছিল (বুখারী, ফাতহুল বারী)।
৭। আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ (রঃ)-এর পুত্র আবদুর রহমান একটি পাণ্ডুলিপি নিয়ে এসে শপথ করে বললেন, এটা ইবন মাসঊদ (রঃ)-এর সহস্তে লিখিত (জামি’বায়নিল ইলম, ১খ, পৃ ১৭)।

হাদিস সংরক্ষন নিয়ে অনেক বাজে কথা রটনা হয়েছে। অনেক ভুল ছড়ানো হয়েছে ইয়াহূদীদের দ্বারা যেন আমরা প্রিয় নবী (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) এর হাদিস থেকে দুরে সরে যাই।

তাই ভাই'কে আমি এই বিষয় নিয়ে কিছু বলার আগে ভালো ভাবে জেনে কথা বলতে অনুরোধ করছি।

আমি হাদিস সংগ্রহ করা নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছিলাম। এত বড় বিষয় যে আজও শেষ করতে পারি না।
ইনশা আল্লাহ এটা শেষ করেই আপনাদের জন্য ব্লগে পড়তে দেবো।
আপনার দেয়া বিষয়/লেখা নিয়ে শুরু করেছি। আমি কিছুটা স্লো রাইটার। ধীরে ধীরে লিখি। তবে সূত্র বা সমর্থন ছাড়া আমি কোন কিছুই ধর্মীয় লেখায় আন্দাজে লিখি না।

ভালো থাকুন ভাই, আল্লাহ আমাদের সবাই'কে সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন।
শুভ কামনা রইলো।


৪৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: দেখুন জারি সারি ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি বাউল ও লালন এর গান গুলো বেশিরভাগই আধ্যাতিক গান। এখন প্রশ্ন হল কেন মোল্লারা গানের বিপক্ষে কারন এরা ওয়াজ এর মাধ্যমে মানুষকে ভয় ভিতি ধমক মুখ নাক খিচিয়ে মানুষের জীবন প্রনালী সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে, কিন্তু গান সুরের মাধ্যমে খোঁদা ভিতি খোঁদা প্রেম তার প্রতি আহাজারি কে ফূটিয়ে তোলে এর ফলে ওয়াজে কেউ যায় না কার এতো ঠ্যাকা পরছে বিনা পয়সায় কিছু অর্বাচিনের মুখ ঝামটা শুনবে। লালনের গানে যে পরিমানে খোদার প্রতি মহব্বত ও আহাজারি আছে তার পয়েন্ট ০২ ভাগ এই সব ওয়াজে পাওায়া যায় না। যা পাওায়া জায় হুরের সাথে যৌনাতার লোভ আর দানের নামে অত্যাচার।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
আমি এই ব্যাপারে আপনার সাথে শতভাগ একমত যে, আজকাল ওয়াজের নামে যা করা হয় সেগুলি জঘন্য ব্যবসা ছাড়া আর কিছু নয়। এইসব ওয়াজের ভিতরে ধর্মীয় কিছু আদৌ থাকে নাকি সেটার ব্যাপারে আমি বড়ই সন্দিহান। ধর্ম কে এভাবে ব্যবসা বানানোর কোন নিয়ম ইসলামে নেই। এটা হারাম। এদের এই সব নিকৃষ্ট কাজ কর্মের জন্য এরা অবশ্যই দায়ী থাকবে।
তবে একজনের খারাপ কাজের জন্য আরেকজনের কাজ কে সমর্থন দেয়া যায় না। হারাম সব সময় হারাম। এইসব জারি সারি ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি বাউল ও লালন গান গুলিতে ভয়ংকর রকমের শিরকের কথা থাকে যা শুনাও পাপ। লালনের গান তো খুবই ভয়ংকর। এরা কী পাচ ওয়াক্ত নামায পরে বলে আপনার মনে হয়? এরা কী আসলে ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম মেনে চলে?

একটা জিনিস মনে রাখবেন, দাড়ি টুপি পরে যা বলবে সেটাই ঠিক হবে এমন কিছু কোথাও লেখা নেই। ইসলামে জ্ঞান অর্জন করতে বলা হয়েছে। নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চলতে বলা হয়েছে।

আমরা মানুষ। নফসের ধোকায় পরে আমরা অনেক সময় ইসলামের ধর্মীয় বিধি বিধানগুলি মানতে পারি না। শত ইচ্ছে থাকলেও শয়তানের ধোকায় পরে সব নির্দেশ মেনে চলতে পারি না। কিন্তু তাই বলে কি এই সব নিয়ম কানুন অস্বীকার করবো? স্পষ্ট ভাবে কুরআন শরীফে এবং হাদীস শরীফে সব বলে দেয়ার পরেও নেই বলে মিথ্যা কথা বলবো, বাজে কথা বলবো, চ্যালেঞ্জ করবো? এটা তো হতে পারে না।
বান্দা ভুল করে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে তিনি দয়া পরবশ হয়ে নিশ্চয়ই মাফ করে দিবেন। কিন্তু তিনি কি কুফর করলে, মুনাফিকি করলে, তার কিতাব / আয়াত অস্বীকার করলে কি মাফ করবেন?
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

৪৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি নিজে গান গেয়েছি, রেকড কম্পুজিং সব নিজে করেছি।

হারাম অথবা হালাম সম্বন্ধে আমি জানি না তবে গান নেশা এবং পেশা হলে ধর্মকর্ম হয় না। একটা গানের পিছনে যখন দিন রাত কাটাতে হয় তখন নতুন বউর মুখ দেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায় না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি একদম ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। ইসলাম এই জন্যই এইসব কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছে।
ইসলাম বলে মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু মাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করা জন্য। গান বা এই ধরনের কাজ মানুষ'কে ধীরে ধীরে অন্যকাজে সরিয়ে নিয়ে যায়। তখন আল্লাহর ইবাদত করার সময় কমে যায়।
আমি এই লেখায় এই মেসেজটাই দিতে চেয়েছি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক @ ভাই মানুষ যখন সৃস্টিশীল কিছু করে তখন তার কিছুই ঠিক মত চলে না। এটাই স্বাভাবিক। সৃষ্টির যে উন্মাদনা আছে তা অন্য কিছুতেই নেই।

৫০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

রাশিয়া বলেছেন: আমার ব্যাপারে কিছু বলুন তো! আমার স্ত্রী পর্দা করেনা, কিন্তু ইসলামের বিধি বিধান মেনে চলার ব্যাপারে কাঠমোল্লার চেয়েও কয়েক কাঠি উপরে। আগে নামাজে অনিয়মিত ছিলাম। বলতে গেলে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে নিয়মিত করেছে। মাঝে মাঝে তাহাজ্জুদেও উঠায়। একবার রমাজানে নগদ টাকার ঘাটতি হয়েছিল বলে অর্নামেন্টস বেচে যাকাত আদায় করেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হল আমার গানের নেশা ছিল, যেটা রিহ্যাব সেন্টারের মত করে ভেঙ্গেছে। গান-বাজনা আমার বাসায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এই নিয়ে কোন তর্কেই সে যেতে রাজী নয়।

পর্দার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করলে সে বলে মৃত্যুর পরে আল্লাহ পাঁচটি প্রশ্ন করবেন - ঐ প্রশ্নগূলোর জবাব দিতে পারলে আর চিন্তা নেই। তাই পর্দা নিয়ে তার মাথাব্যাথা নেই।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কোন মওলানা নই, ফতোয়া দেয়া আমার কাজ নয়। তবে আপনার স্ত্রী খুব ভালো কাজ করেছেন। ধরতে গেলে প্রায় টেনেই আপনাকে জাহান্নাম থেকে জান্নাত টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। উনি আপনাকে খুবই পছন্দ করেন আর করেন দেখেই, এর পরের জীবনও আপনার সাথেই কাটাতে চান। এই রকম নেককার স্ত্রী পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। তাকে একজন মুসলিম ভাই হিসেবে আমার সালাম পৌছে দেবেন।

আপনার স্ত্রী পর্দার ব্যাপারে কিছু জিনিস মারাত্মক ভুল জানেন। নীচে কিছু অংশ দিলাম উনার জন্য। উনি যদি আরও জানতে চান তাহলে বলবেন। আমি বিস্তারিত ভাবে সব কিছু দিয়ে দেবো।
(আমি এমনিতেই এখানে জঙ্গী বলে কালারড। এই নিয়ে ব্লগে পোস্ট দিলে আর ব্লগে আমি থাকতে পারবো না)

প্রশ্নঃ আল্লাহ তায়ালা সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে মধ্যে পর্দার আয়াতের কথা বলছেন “তারা যেন সাধারনত প্রকাশমান অঙ্গ ব্যাতিক তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে”-প্রশ্ন হল- সাধারন প্রকাশমান অঙ্গ গুলো কি কি? মুখমন্ডল কি এর অর্ন্তভুক্ত? এটা কি সর্বদা আবৃত করা ফরয? ফরয হলে প্রয়োজনে খোলা যাবে কি না?

উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
সাধারণ প্রকাশমান বলতে বুঝানো হয়েছে যে, অনিচ্ছায় যা প্রকাশ পেয়ে যায়, কেবল তা’ই মাফ। অন্যথায় চেহারাসহ পূর্ণ শরীরই পর পুরুষ থেকে আড়াল রাখতে হবে।
আল্লাম ইবনে কাসীর রহঃ উক্ত আয়াতের তাফসীরে লেখেনঃ
{وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا مَا ظَهَرَ مِنْهَا} أَيْ: لَا يُظهرْنَ شَيْئًا مِنَ الزِّينَةِ لِلْأَجَانِبِ، إِلَّا مَا لَا يُمْكِنُ إِخْفَاؤُهُ.
“তারা যেন সাধারণত প্রকাশমান অঙ্গ ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে” মানে হল, পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্যের কোন কিছুই প্রকাশ করবে না, তবে যা লুকানো সম্ভব হয় না, তা ভিন্ন। [তাফসীরে ইবনে কাসীর-৬/৪১]
যা লুকানো সম্ভব নয়, বলতে কী বুঝায়?
১ - এমন প্রয়োজন যাতে করে চেহারা ঢাকলে নিজের ক্ষতি হবে। যেমন ভীঢ়ের মাঝে চলার সময়।
২ - এমন প্রয়োজন যাতে চেহারা ঢাকা থাকলে অন্যের ক্ষতি হবে। যেমন সাক্ষ্য প্রদান করার সময়।
৩ - হাটাচলা বা কর্মক্ষেত্রে থাকার সময় অনিচ্ছায় চেহারা খুলে গেলে।

সহী হাদীসে দেয়া আছেঃ - عَنْ عَبْدِ الْخَبِيرِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَالُ لَهَا أُمُّ خَلَّادٍ وَهِيَ مُنْتَقِبَةٌ، تَسْأَلُ عَنِ ابْنِهَا، وَهُوَ مَقْتُولٌ، فَقَالَ لَهَا بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: جِئْتِ تَسْأَلِينَ عَنِ ابْنِكِ وَأَنْتِ مُنْتَقِبَةٌ؟ فَقَالَتْ: إِنْ أُرْزَأَ ابْنِي فَلَنْ أُرْزَأَ حَيَائِي،
হযরত আব্দুল খায়ের বিন সাবেত বিন কায়েস বিন শাম্মাস তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা এক মহিলা রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস সালাম এর কাছে এলেন। যাকে উম্মে খাল্লাদ বলা হয়। তিনি এমতাবস্থায় এলেন যে, তার চেহারা পর্দাবৃত ছিল। সে এসে তার নিহত সন্তানের ব্যাপারে অভিযোগ জানায়। তখন কতিপয় সাহাবী তাকে বলেন, “তুমি তোমার ছেলের ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করতে এসেছে, তারপরও তুমি পর্দাবৃত হয়ে এলে?” তখন উম্মে খাল্লাদ বলেন, যদিও আমার ছেলের উপর বিপদ এসেছে, এর মানেতো আমার লজ্জা শরমেরও বিপদ আসেনি।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৮৮}

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে-“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম পন্থা। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। {সূরা নূর-৩০,৩১}

عن ابن عمر قال : خطبنا عمر بالجابية الخ ألا لا يخلون رجل بامرأة إلا كان ثالثهما الشيطان
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখনই কোন পুরুষ পর নারীর সাথে নির্জনে দেখা করে তখনই শয়তান সেখানে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত হয়।
{সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-২১৬৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৫৫৮৬}

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

জাজাকাল্লাহ খাইরান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকীমের পথে চলার তৌফীক দান করুন, আমীন।

৫১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: জবাবটা সিম্পল। ইমামরাই দাবি করেন, “মোহাম্মদী ইসলাম একটি ফিৎরাতি (অর্থাৎ প্রাকৃতিক) ধর্ম”। সংগীত মানুষের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। সেজন্যই প্রতিটি দেশ জাতি সভ্যতার ব্যতিক্রমহীন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সংগীত। যখন মানুষের ভাষা ছিল না, কাপড় ছিল না, তখনও মানুষ বিভিন্ন উচ্চারণে গান গেয়েছে, অতীত সভ্যতার গুহার দেয়ালে সেসব চিত্র আজও উৎকীর্ণ। এবং সেজন্যই সৌদি, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, আমিরাত, জর্দান, সিরিয়া, মিসর, ইরাক, প্যালেস্টাইন, ইয়েমেনসহ প্রতিটি মুসলিম দেশ ও প্রতিটি দেশের জাতীয় সংগীত আছে।

অসুখ নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে মতভেদ হলে রোগীর যে করুণ দশা সংগীত নিয়ে আমাদেরও তাই। বিভিন্ন আলেম বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন, জনগণের কে কার মতামত মানবেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমরা মানছি ‘দুনিয়ার সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ইসলামী বিশেষজ্ঞ’দের মতামত, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাণ্ড মুফতি (১৯৮২ – ১৯৯৬) শেখ জাদ আল হক এবং ডক্টর ইউসুফ কারযাভীর মত।

ইউসুফ কারযাভী তার প্রজ্ঞার জন্য সুপ্রসিদ্ধ। তার পরিচয় দেখুন-

১. বিশ্বের সর্ববৃহৎ অন লাইন ফতোয়া-সংগঠন “ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চ”-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট,

২. আন্তর্জাতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড-এর উপদেষ্টা ছিলেন,

৩. আন্তর্জাতিক আলেম-সংগঠন “ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স”-এর চেয়ারম্যান ছিলেন,

৪. বিশ্বময় “ইসলামী ব্যাঙ্কিং” এর প্রভাবশালী আলেম,

৫. কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান,

৬. “মুসলিম-বিশ্বের নোবেল” নামে বিখ্যাত “বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার” পদক পান,

৭. “ব্যাংক ফয়সল” পুরস্কার লাভ করেন।

৮. ব্রুনাই সরকার তাকে “হাসান বাকলি” পুরস্কার প্রদান করে।

মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রয়াত) গ্র্যান্ড মুফতি (১৯৮২ – ১৯৯৬) শেখ জাদ আল হক (বিস্তারিতের জন্য সার্চ করুন “Al Azhar university – music in Islam, দি ইসলামিক টেক্সট ইনস্টিটিউট) এর মতে- “অনৈতিক ও গুনাহ-এর কর্মকাণ্ডের সহিত যুক্ত না হইলে, কিংবা সেই বাহানায় মানুষকে হারামের দিকে না টানিলে, কিংবা মানুষকে ফরজ ইবাদত (আল ওয়াজিবাত) হইতে সরাইয়া (বা ভুলাইয়া) না দিলে সংগীত শোনা, সংগীত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা, এবং বাদ্যযন্ত্র বৈধ”।

ডক্টর কারযাভীও একই কথা বলেছেন- “কাজী আবুবকর ইবনুল আরাবী বলিয়াছেন ‘গান হারাম হওয়া পর্যায়ে একটি হাদিসও সহীহ নহে’। ইবনে হাজম বলিয়াছেন – ‘এ পর্যায়ের সকল বর্ণনাই বাতিল ও মনগড়া রচিত’… এ পর্যায়ে বর্ণিত নিষেধমূলক হাদিসগুলি সমালোচনার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ….বহুসংখ্যক সাহাবী ও তাবেয়ীন গান শুনিয়াছেন,… যে গানের সাথে মদ্যপান, ফষ্টিনষ্টি ও চরিত্রহীনতার মতো কোনো হারাম জিনিসের সংমিশ্রণ হয় সেই গান হারাম… রাসূলে করীম (স) বলিয়াছেন- ‘কার্যাবলীর ভালোমন্দ নির্ভর করে তাহার নিয়তের ওপর।’ কাজেই যেই লোক এই নিয়তে গান শুনিল যে তাহার দ্বারা গুনাহের কাজে উৎসাহ পাওয়া যাইবে তাহা হইলে সে ফাসিক। পক্ষান্তরে যেই লোক স্বভাব মেজাজের সুস্থতা লাভের উদ্দেশ্যে শুনিল, আল্লাহর আনুগত্য কাজে শক্তি সাহস পাওয়ার এবং ভালো ও সৎকাজে আগ্রহ ও উৎসাহ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে শুনিল, তাহার এই কাজ নিশ্চয়ই অন্যায় বা বাতিল নহে। আর যেই ব্যক্তি না আল্লাহনুগত্যের নিয়তে শুনিল না নাফরমানি নিয়তে, তার এই কাজ নিষ্ফল কাজের পর্যায়ে গণ্য।” (ইসলামে হালাল হারামের বিধান- পৃষ্ঠা ৪০৬ – ৪১১)

এবারে কোরান।

সংগীতের আরবী হচ্ছে “মুসিকি”, সারা কোরানে ওই “মুসিকি” শব্দটাই নেই। কোরান কোথাও সংগীতকে নিষিদ্ধ করেনি অথচ “সঙ্গীত হারাম” দাবি করা হয় কোরানের দুটো আয়াত দিয়ে-

(১) সুরা লোকমান ৬ নম্বর আয়াত− “একশ্রেণির লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ হইতে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে,

এবং

(২) বনি ইসরাইল ৬৪ নম্বর আয়াত (আল্লাহ শয়তানকে বলছেন) −“তুই তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা, অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে সত্যচ্যুত করে তাদেরকে আক্রমণ কর।”

সঙ্গীত-বিরোধীরা বলেন সুরা লোকমান ৬-এর ‘অবান্তর কথাবার্তা-ই নাকি ‘সঙ্গীত’ (মওলানা মুহিউদ্দিনের কোরানের অনুবাদ, পৃঃ ৭৮৩ ও ১০৫৩-৫৪)। কি হাস্যকর! আম জিনিসটা আম-ই। জামও নয়, কাঁঠালও নয়। ‘অবান্তর কথাবার্তা’ অবান্তর কথাবার্তাই, অন্যকিছু নয়। একই খেলা করা হয়েছে বনি ইসরাইলের ৬৪ নম্বর আয়াত নিয়েও। আয়াতটা হলো, মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ব্যাপারে আল্লাহ শয়তানকে অনুমতি দিচ্ছেন: “তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর”। অথচ এর অনুবাদ করা হয়েছে: “তুই তোর…রাগ-রাগিনী গান-বাজনা ও বাদ্যবাজনা দ্বারা …।”

সংগীত-বিরোধী হাদিসগুলো ভিত্তিহীন তা আমরা বিশ্ববরেণ্য ইসলামী স্কলারদের কাছ থেকে শুনলাম। সংগীতের পক্ষে অজস্র হাদিস আছে, লম্বা হয়ে যাবে বলে উদ্ধৃতি দিচ্ছিনা। এবারে চলুন আরো কিছু দলিল দেখা যাক।

১. অখণ্ড ভারতের সর্বোচ্চ ইসলামি নেতাদের অন্যতম, ভারতীয় কংগ্রেসের দুইবারের সভাপতি, কলকাতার ঈদের নামাজ পড়ানোর পেশ ইমাম মওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন: “পয়গম্বর দাউদ (আঃ)-এর কণ্ঠস্বর অত্যন্ত মিষ্টি ছিল। তিনি সর্বপ্রথম হিব্রু সংগীতের সংকলন করেন ও মিশরের ও ব্যাবিলনের গাছ হইতে উচ্চমানের বাদ্যযন্ত্র উদ্ভাবনা করেন”। (তর্জুমান আল্ কুরান, ২য় খণ্ড পৃঃ ৪৮০।)

২. “হজরত ওমর(রঃ)-এর আবাদকৃত শহরের মধ্যে দ্বিতীয় হইল বসরা। আরবি ব্যাকরণ, আরূয শাস্ত্র এবং সংগীতশাস্ত্র এই শহরেরই অবদান” (বিখ্যাত কেতাব ‘আশারা মোবাশশারা’, মওলানা গরীবুল্লাহ ইসলামাবাদী, ফাজেল-এ দেওবন্দ, পৃষ্ঠা ১০৬।)

৩. ইমাম গাজ্জালী: “নবী করিম (সাঃ) হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) সম্পর্কে বলিয়াছেন − তাঁহাকে হযরত দাউদ (আঃ) এর সংগীতের অংশ প্রদান করা হইয়াছে।” (মুরশিদে আমিন, পৃষ্ঠা ১৭০ − এমদাদিয়া লাইব্রেরি)

এরকম অজস্র দলিল আছে। ‘অশ্লীল আদেশ শয়তান দেয়’ (সুরা নূর ২১)। কাজেই সংগীতসহ শ্লীল কোনোকিছু হারাম হবার প্রশ্নই ওঠেনা। গানের কুৎসিৎ কথা, কুৎসিৎ অঙ্গভঙ্গি বা গানের অতিরিক্ত নেশায় জীবনের ক্ষতি ইত্যাদির সীমা টানেননি ধর্মান্ধরা, পুরো সংগীতকেই ঢালাওভাবে বাতিল করেছেন। করে লাভ কিছুই হয়নি বরং সংগীত আজ সুবিশাল বিশ্ব-ইন্ডাস্ট্রি। দুনিয়ায় কোটি কোটি সংগীতপ্রেমী পরিবার পালছেন, বাচ্চাদের বড় করছেন, প্রতিভার বিকাশ ঘটাচ্ছেন। সংগীত হলো আমাদের সসীম জীবনে এক টুকরো অসীমের ছোঁয়া। চারদিকের আকাশবাতাস সাগর-পর্বত গ্রহ-নক্ষত্র, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক বিপুল সুরস্রষ্টার মহাসংগীত। তাই, গান শুনুন এবং বাচ্চাদের গান শোনান। গান করুন এবং বাচ্চাদের গান শেখান। গান যে ভালবাসে না, সে মানুষ খুন করতে পারে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ হারাম নয়। ‘আমি বাংলার গান গাই’, ‘বাড়ির পাশে আরশিনগর’, ‘কান্দে হাছন রাজার মন ময়না’, মায়েদের মধুকণ্ঠে ‘আয় আয় চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ হারাম হবার প্রশ্নই ওঠেনা। শ্লীল সংগীত ইসলামে হারাম নয়।

‘কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ইসলামে নিষিদ্ধ’ (মায়েদা ৭৭, নিসা ১৭১ ও বিদায় হজ্বের ভাষণ)। সঙ্গীত হারাম মনে করলে শুনবেন না, অসুবিধে কী। কিন্তু যারা সংগীত ভালোবাসেন, সংগীতের পক্ষের বিশ্ববরেণ্য ইসলামী স্কলারদের কথা বিশ্বাস করেন, তাদেরকে আঘাত করাই সেই ইসলাম-বিরোধী বাড়াবাড়ি

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: রানার ভাই,
আপনি অনেক কষ্ট করেছেন এই বিষয়ে। আপনি যদি নিজে পুরোপুরি কনভিন্স হয়ে থাকেন যে, ইসলামে গান গাওয়া / সঙ্গীত হারাম না ইত্যাদি নিয়ে অসুবিধা নেই তাহলে আপনি সেইভাবে জীবন যাপন করুন। আমি নিজে কনভিন্স সঙ্গীত হারাম। আমি তো কাউকেই জোর করিনি যে এটা মানতেই হবে।

হযরত আব্দ আল্লাহ ইবন মাসু'দ (রাজিয়াল্লাহু আনহু) এর মতো একজন সাহাবী আল্লাহর নামে কসম কেটেছেন (এটার আমি সহী সনদ পেয়েছি, সুতরাং আর কোন কথাই আমার কাছে প্রয়োজন নেই)। সেখানে আমার মতো তুচ্ছ একজন মুসলিম কী বুঝলো তাতে কী আসে যায় বলুন? আপনি যে যে লোকের কথা বলেছেন সেইরকম ১ লক্ষ লোকের কথা নিয়ে আসলেও আমার কিছু যায় আসে না। উনার মরতবা কতটা কিংবা গুরুত্ব ইসলামে কতখানি সেটা আমি জানি। পুরো হানাফি মাযহাবের ভিত্তিই উনাকে ফলো করা ইসলামিক স্কুল থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একজন সাহাবীর কথার সাথে অন্যকারও কথার তুলনা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, হতেও পারে না।

আপনি আপনার মতামত নিয়ে থাকুন আর আমি আমারটা। শেষ বিচারের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই বিচার করবেন কোনটা ঠিক আর কোনটা ইসলাম-বিরোধী বাড়াবাড়ি।

এই পোস্টের হেডীং এ দেয়া আছে "গান বাজনা ইত্যাদির ব্যাপারে ইসলাম কী বলে"? এর নীচে আমি যা যা অথেন্টিক পেয়েছি সেইগুলি দিয়েছি। আপনার যা মনে হয়েছে সেইগুলি এখানে মন্তব্য রয়ে গেল। পাঠক পড়ার পর নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি সেটা পাঠকদের হাতে ছেড়ে দেয়া ভালো। কারণ শেষ বিচারের দিন সবার শুধু নিজেকেই নিজের কাজের জন্য উত্তর দিতে হবে।

এত সুন্দর একটা আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

এ আর ১৫ বলেছেন: এতক্ষণ ধরে আপনার হালালকে হারাম প্রমাণ করার তামাশা দেখলাম , দেখুন আপনার গান হারাম এই দাবিকে কোরানের আয়াত এবং হাদিস ছাড়াই আমি ডিব্যাংক করে দিতে পারি , দেখবেন ----
যারা গানকে হারাম মনে করেন এবং বিশ্বাষ করেন তারা দয়া করে এই প্রশ্নটার উত্তর দিবেন ----

গানের ভিতরে ৩টি ভিত্তি আছে যা দ্বারা একটা গান বিকাশ লাভ করে , সেগুলো হোল --
১) কথা বা লিরিক্স
২) সুর বা টিউন
৩)তাল বা রিদম
অর্থাৎ কথা, সুর ও তাল দ্বারা গান গঠিত হয় । গানের কথাটা ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে একই ভাবে সুর ও তাল ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে । কথা সুর ও তালের সম্মনয়ে গান গঠিত হয় । গান মানে হোল কথা সুর ও তালের সমাহার ..

এবার বলুন
১) আজানের মধ্যে -- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ????
২)কোরান তেলোয়াতের ভিতর ---- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ?????


গানের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাগ- রাগিণী । বিভিন্ন পরিবেশের সাথে গানের বিভিন্ন রাগ আপন মনে চলে আসে । ধরে নিচ্ছি আপনি গানের রাগ তো দুরের কথা গানই ঠিক মত বোঝেন না । যারা গান বোঝেন তারা কিন্তু বুঝতে পারবে সকাল বেলার ফযরের আজান মোয়াজ্জিন নিজের অজান্তে ভৈরবী রাগের উপর দিয়ে থাকে কিন্তু অন্য ওয়াক্তের নামাজের আজানে রাগ মাত্রা ভিন্ন হয় । রাগ ভৈরবী হোল ভোর বেলার রাগ এবং পরিবেশের প্রভাবে মোয়াজ্জিন সুর করে ভৈরবী রাগে আজানটা দিয়ে ফেলেন ।
সুতরাং আপনার দাবিকে ডিব্যাংক করার জন্য কোরানের আয়াত বা হাদিসের কোন প্রয়োজন নেই ।
এখন উত্তর দিন -- গান যদি হারাম হয় তাহোলে কি কারনে আজান এবং কোরান তেলোয়াত সুরে , তালে , মাত্রায় , রাগে , স্কেলে করা হয় ? লিরিক্সের উপর সুর , তাল , তান , মাত্রা , স্কেল, রাগ রাহিনী বসালেই সেটা হয় গান তাহোলে ঐ সমস্ত উপাদান আজান বা তেলোয়াতের মধ্যে কেন ?

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: এতক্ষণ ধরে আপনার হালালকে হারাম প্রমাণ করার তামাশা দেখলাম
এই পোস্টে আপনার আগে আরও ৫১টা মন্তব্য আমি উত্তর দিয়েছি। কিন্তু এই প্রথমবার আমার মনে হলো আপনার মন্তব্য দেয়ার ধরণ ভালো নয়। অনেকদিন হলো ব্লগে আছেন। কোন বিষয়ে কীভাবে বলতে হয় সেটা এখনও শিখলেন না?
এই পোস্ট ধর্মীয় বিষয় নিয়ে, পবিত্র কুরআন হাদীস এবং তাফসির নিয়ে এখানে কথা হয়েছে আর এটা আপনার তামাশা মনে হলো? ধৃষ্টতার একটা সীমা থাকা উচিত।

গানের ভিতরে ৩টি ভিত্তি ১) কথা বা লিরিক্স ২) সুর বা টিউন ৩)তাল বা রিদম - এইসব নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই। আমি এই পুরো জিনিসটাকে হারাম মনে করি। আর এই পোস্টে গানের এইসব হারাম বিষয় নিয়ে আলোচনা করা কোন আগ্রহই নেই।

সুতরাং আপনার দাবিকে ডিব্যাংক করার জন্য কোরানের আয়াত বা হাদিসের কোন প্রয়োজন নেই। - আপনি ভুল করছে এইগুলি আমার কথা নয়। ৫১ নাম্বার প্রতি মন্তব্য পড়ে আসুন। আপনি আপনার মতামত নিয়ে থাকুন আর আমি আমারটা।

আমি যা যা অথেন্টিক সূত্র পেয়েছি সেইগুলি দিয়েছি। আপনার যা মনে হয়েছে সেইগুলি এখানে মন্তব্য রয়ে গেল। পাঠক পড়ার পর নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, সেটা পাঠকদের হাতে ছেড়ে দেয়া ভালো। কারণ শেষ বিচারের দিন সবার শুধু নিজেকেই নিজের কাজের জন্য উত্তর দিতে হবে।

শেষ বিচারের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই বিচার করবেন কোনটা ঠিক আর কোনটা ইসলাম-বিরোধী।
ধন্যবাদ।

৫৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: গানের ভিতরে ৩টি ভিত্তি ১) কথা বা লিরিক্স ২) সুর বা টিউন ৩)তাল বা রিদম - এইসব নিয়ে আমার কোন ধারণা নেই। আমি এই পুরো জিনিসটাকে হারাম মনে করি।
আপনি স্বীকার করেছেন -- গানের বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নেই ---- তাহোলে কি কারনে যে বিষয়ে কিছু জানেন না সেটা নিয়ে প্যাচাল পারতে এসেছেন ।
আপনি পুরো জিনিসটাকে হারাম মনে করেন , তার মানে কি সুরে, তালে, তানে , রাগে , মাত্রায় আজান দেওয়া এবং কোরান তেলোয়াতকে ও হারাম মনে করেন তাই না ।( নাউযুবিল্লাহ)
আমি যা যা অথেন্টিক সূত্র পেয়েছি সেইগুলি দিয়েছি। আপনার যা মনে হয়েছে সেইগুলি এখানে মন্তব্য রয়ে গেল।
আপনার অথেনটিক সূত্র গুলো সহি নহে এবং সুত্র দিলেই সেটা সত্য হয়ে যাবে সেটা ভাবা যথাযত নহে । ৫১ নং মন্তব্যে সেটা বলা হয়েছে ।
কথার উপর সুর ও তাল বসানো যদি হারাম হয় তাহোলে আজান বা কোরানের টেক্সটের উপর সুর তাল বসিয়ে আজান বা তেলোয়াত কেন ? সেই জন্যেই বোলছি , আপনার তথা কথিত অথেনটিক সুত্র গুলোকে ডিব্যাংক করতে কোরানের আয়াত এবং হাদিসের কোন দরকার নেই ।
শুধু একটা কথার জবাব চাই কেন সুর তালে আজান এবং কোরান তেলোয়াত করা হয় ? যদি আপনি গানকে হারম প্রমাণ করতে চান তাহোলে আগে আজান কোরান তেলোয়াত সুর তালে স্কেলে ,রাগে মাত্রায় করা হারাম প্রমাণ করতএ হবে , ( নাউযুবিল্লাহ )
ধন্যবাদ

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২

নীল আকাশ বলেছেন: আমি এইমাত্র আবার চেক করে দেখলাম।
তাফসিরে ইবন কাসীরে স্পষ্টভাবে দেয়া আছে, হযরত আব্দ আল্লাহ ইবন মাসু'দ (রাজিয়াল্লাহু আনহু) এর মতো একজন সাহাবী আল্লাহর নামে শপথ কেটে এটাকে গান উল্লেখ করেছেন। আপনি যা দাবি করছেন তাতে ইবন কাসির মিথ্যা কথা বলেছেন অথবা আপনার জ্ঞান উনার চেয়েও অনেক বেশি।
কোনটা ধরবো আমি? বলুন।
আপনার মতো এত বিশাল বিজ্ঞ আর জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে আমি তর্ক করবো না।
আপনি আপনার গান বাজনা নিয়ে থাকুন। ধন্যবাদ।

৫৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই একটা কথার জবাব কি দিবেন,,,, শুয়োরের মাংস হারাম,, তাহোলে শুয়োর জবাই করে কোরবানি দেওয়া কি হালাল হবে? ( নাউযুবিল্লাহ),,
আপনাদের দাবিটাকি সে রকম নহে?
আপনার সব রেফারেন্স মুল্যহীন হয়ে যাচ্ছে যখন আজান কোরান তেলয়াত গানের ব্যকরনে করা হচ্ছে। গান যে হারাম নহে, এটাই তার প্রমাণ।
আপনার সব দাবি কি মিথ্যা হয়ে চাচ্ছে না। ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি তো নাউজুবিল্লাহ সহ প্রশ্ন করে গেছেন, আমিও আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, কোন প্যাচের উত্তর দিবেন না। সরাসরি হ্যা বা না বলবেন। উপরে আমি গানের ব্যাপারে একটা অংশ লিখেছিঃ

গান করা বা শোনা সম্পর্কে হুঁশিয়ারী করে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”। (সুরা লোকমান ৩১-৬)
এ আয়াতে বর্ণিত لَهْوَ الْحَدِيثِ (অনর্থ কথা) দ্বারা গানকে বুঝানো হয়েছে। এর দ্বারা গান গাওয়া ও শোনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ তাফসীর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত জাবির (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত ইকরামা (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত মুজাহিদ (রাদিআল্লাহু আনহু), হযরত আমর ইবনে শু‘আইব (রাদিআল্লাহু আনহু) প্রমুখ সাহাবী ও তাবিয়ীগণ থেকে বর্ণিত হয়েছে।
(তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, ৪৪২ ও ৪৪৩ পৃষ্ঠা/ তাফসীর তাবারী, ২০নং খণ্ড, ১২৬ থেকে ১৩১ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কুরতুবী, ১৪নং খণ্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)

পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছে-
আর একশ্রেণীর লোক আছে, যারা অজ্ঞতাবশত খেল-তামাশার বস্তু ক্রয় করে বান্দাকে আল্লাহর পথ থেকে গাফেল করার জন্য। (সূরা লুকমান, আয়াত ৬)
এর তাফসিরে বলা আছে-
নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর। (মাআরিফুল কুরআন ৭/৪)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু)’কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু আনহু), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১)

যাদের নাম উপরের লেখায় এসেছে তারা সবাই কী গানের ব্যাপারে ভুল করেছে? এর মধ্যে কতজন সাহাবীর নাম এসেছে সেটা গুনে দেখুন আগে! এত গুলি মানুষ ভুল করেছে আর শুধু আপনি ঠিক বলেছেন?

আজান, কুরআন তেলায়াত নিয়ে আলোচনা পরে হবে, আগে বলুন এরা সবাই গান নিয়ে ভুল কিংবা মিথ্যা কথা (নাউজুবিল্লা) বলেছে। তারপর বাকি বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
ধন্যবাদ।

৫৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আবার ত্যানা পেচানো শুরু করেছেন,,, অবান্তর কথাবার্তা মানে যে গান নহে এবং হাদিস গুলে যে সহি নহে সেটা ৫১ নং কমেন্টে অলরেডি বলা হয়েছে। আপনি কোরানের অপব্যাখা নিয়ে এসেছেন, শুয়রের মাংস যদি হারাম হয় তাহোলে শুয়রের চর্বির তেল দিয়ে অন্য কিছু রেধে খাওয়াও হারাম। তাহোলে গান হারাম হলে গানের ব্যকরন অবশ্যই হারাম।
আপনার কোন অপব্যাখাই ধোপে টিকে না যখন গানের ফরমেটে আজান দেওয়া হয় এবং কোরান তেলয়াত করা হয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমি জানি আপনি সোজা উত্তর দিবেন না। আপনি আবার পেচানো শুরু করবেন।
এই জন্য শুরুতেই বলেছিলাম "কোন প্যাচের উত্তর দিবেন না। সরাসরি হ্যা বা না বলবেন"।
আপনি যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফের তাফসির, সাহাবীগন এবং সহী হাদিসের বিষয়ে সরাসরি উত্তরই দেন নি, তার মানে আমি ধরে নেবো, আপনি এই বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না।
এরপর আপনার সাথে আজান কিংবা পবিত্র কুরআন শরীফের তিলায়াত নিয়ে কী কথা বলবো? কোন হাফেজ বা মুয়াজ্জিন কোনদিনও গানের সুর তাল লয় শিখেন না। এই সব হাস্যকর দাবী বন্ধ করুন।
এইসব ধর্মীয় বিষয়ে অজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে এই ধরণের সেন্সেটিভ বিষয়ে কথা বলার কোন মানে হয় না।
ধন্যবাদ।

৫৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ির.... ফলোয়িংয়ে রাখলাম এই পোস্ট টা। সকালে এসে পড়ব।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আকতার ভাই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

৫৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফের তাফসির, সাহাবীগন এবং সহী হাদিসের বিষয়ে সরাসরি উত্তরই দেন নি, তার মানে আমি ধরে নেবো, আপনি এই বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না।

প্রথমেই আমি বলেছি কোরানের আয়াত, হাদিস ছাড়াই আপনার দাবিটিকে আমি ডিব্যাংক করবো । আর কোরান হাদিস সহ ডিব্যাংক করতে পারি কিনা সেটা দেখার জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুন --
Click here please


কোরান হাদিস ধরে সবচেয়ে ভালো ব্যাখা হয়েছে রানা ব্লগারের ৫১ নং কমেন্টে এবং নতুন সহ আরো অনেকে কোরান হাদসি থেকে রেফারেন্স দিয়েছে , তাই আমি একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি করবো না এবং কোরানের আয়াত ও হাদিস ছাড়া ডিব্যাংক করবো -- ক

কোন হাফেজ বা মুয়াজ্জিন কোনদিনও গানের সুর তাল লয় শিখেন না। এই সব হাস্যকর দাবী বন্ধ করুন।

এতক্ষণে অরিনন্দম কহিলা বিসাদে । সংগীতের স এবং গানের যে গ জানেন না সেটা আবার প্রমাণ হোল -- আমাদের বেসির ভাগ বাউল সংগীত শিল্পীর কোন সঠিক তালিম নেই । কোন প্রাতিষ্ঠানিক তালিম ছাড়া বিখ্যাত হয়েছেন কিশোর কুমার । কারীরা প্রতি দিন যে ঘন্টার পর ঘন্টা তেলোয়াত করে গলার রেওয়াজ করে উচ্চারন ঠিক করে সেটা বুঝি তালিম না । ওনারা ও সুর এবং মাত্রা ঠিক করে রেওয়াজের সময় ।
গান কি জিনিস সেটাই যখন জানেন না, তখন এটা নিয়ে তর্ক করা কি বালখিল্লতা নহে !!!

আপনার নিকট একটা প্রশ্ন , মনে করুন আপনার বোনের বিয়ের খাবার মেনু আপনি ঠিক করেছেন এবং বেশির ভাগ অতিথী মুসলমান --- আপনি কি খাবার মেনুতে কি শুয়রের মাংস , মদ এবং হালাল ভাবে জবাই নহে মাংসের রান্না খাবার রাখতে পারবেন ? বা কোন মুসলমান সেটা পারবে বা সাহাবি গণ সেটা পারবে ? পারবে না করান ওগুলো হারাম ।
গান অর্থাৎ কথার উপর সুরারোপ, তাল আরোপ , স্কেল -মাত্রা আরোপ যদি হারাম হয় তাহোলে কি সাহাবার সুরে তালে মাত্রা আরোপ করে আজান এবং কোরান তেলোয়াত করতে পারতেন ।
সুতরাং এটাই প্রমাণ যে গান হারাম নহে । হারাম খাবার যেমন সাহাবারা পরিবেশন করবে না ঠিক তেমনি হারাম কাঠামো অবলম্বন করে তারা কখনো তেলোয়াত আজান করতেন না ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার পোস্টঃ
ইসলামে সঙ্গীত - এ আর ১৫ এর বাংলা ব্লগ
পড়ে আসলাম। এই পোস্টে আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছে তারা হলোঃ ডঃ ইউসুফ কারজাভী, হাসান মাহমুদ, ইউসুফ আলী ইত্যাদি।

আর আমি আপনাকে ইবন কাসীরের সূত্র সহ তার তাফসির দেখতে বলেছি। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩য় খণ্ড, ৪৪২ ও ৪৪৩ পৃষ্ঠা/ তাফসীর তাবারী, ২০নং খণ্ড, ১২৬ থেকে ১৩১ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কুরতুবী, ১৪নং খণ্ড, ৪৮ পৃষ্ঠা প্রভৃতি) এবং (মাআরিফুল কুরআন ৭/৪)।

আপনি যদি বলেন এরা ইবন কাসীরের (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) চেয়ে বেশি ইসলাম জানে, তাহলে আপনি ১০০ তে ২০০ পেয়ে পাশ করেছেন। এখন খুশি তো। এখন এই খুশিতে বাসায় যেয়ে ইচ্ছে মতো গান বাজনা করুন।

কে আপনাকে মানা করেছে? আপনি আপনার মতামত নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার সাথে অহেতুক প্যাচাল পারার কোন মানে হয় না। আমার অনেক মূল্যবান সময় আপনি নষ্ট করেছেন। এই বিষয় নিয়ে আর কোন মন্তব্য না করলেই আমি খুশি হবো
ধন্যবাদ।

৫৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

ST COVER SONG বলেছেন: ami islamic song gai

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: এই কাজ করার আগে ভালো করে এই বিষয়ে ইসলামিক বিধিনিষেধগুলি পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।

৫৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: দেখুন আমি যে সূত্র দিয়েছি সেটা দিয়ে গানকে হারামের পক্ষের সব তফসির ই খারিজ হয়ে যায় । আপনার ইবনে কাসীর সাহেব রা -- কি কারনে সুরে মাত্রায় কোরান তেলোয়াত করতেন আজান দিতেন যদি গান হারাম হয় ।
এবার জবাব দিন
১) আপনি কি আপনার স্ত্রী কণ্যাকে বিকিনি সর্স্টস সহ সংক্ষিপ্ত পোষাক পরতে উপদেশ দিবেন ?
২) আপনি কি আপনার স্ত্রীকে মাথায় সিদুর পরতে উৎসাহিত করবেন
৩) আপনি কি শুয়োরের মাংস খাবেন বা দাওয়াত করে খাওয়াবেন
৪) আপনি কি মুর্তি পুজা করবেন
৫) আপনি কি মদ পান করে রোজা খুলতে পারবেন
আপনি এগুলো করবেন না কারন এগুলো হারাম এবং সাহাবা কেরামরাও কখনো করবেন না ।
কথার উপর সুর মাত্রা তাল আরোপ (গান) যদি হারাম কর্ম হয় , তাহোলে সাহাবারা রসুল (সা: ) সামনে সুর তাল মাত্রা আরোপ করে আজান কোরান তেলোয়াত করবেন ? নবী জী (সা: ) কি বলেছেন সুরারোপ করা হারাম ।
আপনার ইবনে কাসীর বা অন্য কোন আলেম কি বলেছে তাতে কিছুই যায় আসে না, যখন হাতের সামনে প্রমাণ সুরেলা আজান ও তেলোয়াত আছে ।
আপনার ঐ সব তফসির ডিব্যাংক করার জন্য --- সুরেলা আজান এবং কোরান তেলোয়াতের চর্চাই যথেষ্ঠ।
আপনি তো ইমাম গাজ্জালির কথা বল্লেন না । তিনি কি বলেছেন ?

এই বিষয় নিয়ে আর কোন মন্তব্য না করলেই আমি খুশি হবো
ধন্যবাদ।


কি কারনে খুশি হবেন এবং আপনার মিথ্যা অপপ্রচার অপব্যাখ্যার কেন প্রতিবাদ করবো না, বরং আমরা বলতে পারি গান নিয়ে মিথ্যা ব্যাখা প্রচার করার থেকে বিরত থাকলে খুশি হব এবং মুসলমানদের উপকার হবে । ধন্যবাদ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমি আগেও বলেছি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা অপপ্রচার সেটা ঠিক করার দায়িত্ব ব্লগের পাঠকদের কাছে ছেড়ে দিন।
আপনি দেখি নিজে নিজেই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন।
আপনি আপনার মতামত নিয়ে নিজে সন্তুষ্ট থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.