নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
আমাদের দাম্পত্য সর্ম্পকে সহসাই এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে করোনা। কোয়ারেন্টাইন বলুন আর বন্দী জীবনই বলুন, স্বামী স্ত্রী সবার জীবনেই এই ভাইরাস টক-ঝাল-মিষ্টির একটা মিশ্র অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া যাদের দিনেরবেলা দেখা-সাক্ষাত হওয়াই দূরহ ব্যাপার ছিল, আজ তারা দিন-রাত চব্বিশটা ঘন্টা একসাথেই কাটাচ্ছে। এই দুঃসময়ে নিদারূন দাম্পত্য জীবনে এদের দিন-রাত পঞ্জীগুলির অবস্থা অনেকটা যেন এইরকম-
.
অসহায় স্বামীরাঃ জীবনের সাধ আহ্লাদ ইতিমধ্যেই সব জলাঞ্জলি দিয়ে কেরানি-বৃত্তিক মানসিকতা নিয়ে চরম একঘেঁয়ে পুরোমাত্রায় যান্ত্রিক মানুষে পরিনত হবার পর, বাচ্চাকাচ্চা বড় করার সংসার নামক মেসিনে গভীর এঁটেল মাটির কাদায় প্রতিনিয়ত লেপ্টালেপ্টি করে দিনরাত কাটাছে। দিনের কিছু মুহূর্ত বাইরে কাটিয়ে যাও আগে নিজেকে কিছুটা সান্তনা দিতে পারতো, এখন সেটাও সাময়িকভাবে বন্ধ। জীবনটা এখন এদের জেলখানায় বন্দী কয়েদীদের মতো, পৌরুষত্বের অহমিকা এখন গর্তে লুকিয়েছে। ছড়ানো ছিটানো কিছু স্বাধীনতা আর বাইরে বেড়ানোর মুক্তির ঝাপ্টা পুলিশ আর আর্মির ডান্ডাবেড়ির ভয়ে কোথায় পালিয়ে গেছে এরা এখন নিজেরাও জানে না। বন্দী এই জীবনের অসহায়ত্ব নিয়ে দার্শনিক হয়ে যে এই বন্দীর দিনগুলি কাটাবে সেটারও উপায় নেই। প্রতিনিয়তই বৌ’রা সামান্য তেল-নুন-চালের নৈমিত্তিকতায় এদের জীবন কেন এত দুর্বিসহ করে তুলে সেটা এদের ছোটমাথায় কিছুতেই ঢুকে না। হায়রে জীবন আর হায়রে সংসার!!! নিকুচি করি এই গন্ডারের মত চামড়ার জীবনের.........
.
অসহায় স্ত্রীঃ জীবনের সব স্বপ্ন বিয়ের সাথে সাথেই শেষ হয়ে গেছে। প্রতিদিন রান্নাঘরের চুলায় হাড়ি-পাতিল আর ডেকচি ঠেলতে ঠেলতে সংসার আর দাম্পত্য প্রেম নিয়ে যে মধুর রূপকথাগুলি ডিস-চ্যানেলগুলিতে দেখেছিল আর রোমান্টিক বইগুলিতে পড়ে এসেছিল তা অনেক আগেই রঙ্গীন থেকে ফ্যাঁকাসে হয়ে এখন পুরোদস্তর সাদাকালো হয়ে গেছে। তারপরও অজানা কোন এক টানে নিজের শরীর মন না চাইলেও নিতান্ত মূল্যহীনভাবে সংসারের সব কাজ করে যেতে হচ্ছে চরম অনিচ্ছা সত্ত্বেও। একঘেঁয়ে মানুষে পরিনত হয়ে বাচ্চাকাচ্চা বড় করার সংসার নামক মেসিনে গভীর বেলে আর এঁটেল মাটির মিশ্রণের কাঁদায় প্রতিমুহুর্তে লেপ্টালেপ্টি করে এদেরও দিনরাত কাটছে নিতান্তই অসহায়ভাবে। স্বামী নামক বজ্জাত পুরুষজাত’টাকে বশ করার সবরকম কলা কৌশল প্রয়োগ করার পরেও কিভাবে যেন ফাঁকফোকর গলে ঠিকই এরা নিজেদের ধান্দায় থাকে। কিছুটা পারস্পরিক সমঝোতা আর বোঝাপড়ার অভাবে এদের মেজাজ থাকে এখন মুখরা। এর মধ্যেই করোনা নামক একটা বিশ্ব-বেঈমান ভাইরাস এসে ইতিমধ্যেই দূর্বিসহ হয়ে যাওয়া জীবনটা আরও যন্ত্রনাদায়ক করে তুলছে। আগে সারাদিন বাইরে থাকতো, অন্ততঃ কিছুটা সময় বাসায় নিজের মতো করে থাকা যেত। এখন সেই একান্ত নিজের সময়গুলিও হারিয়ে ফেলে প্রায়সই এরা মারমুখী হয়ে উঠে। বাসায় আগে যেসব কাজ কাজের-বুয়া এসে করে দিয়ে যেত, এখন দৈনন্দিন সবকাজের সাথে এই কাজের-বুয়ার কাজও করতে হচ্ছে নিজেকে। অথচ ঘরের মধ্য ঘুমিয়ে, বসে থেকে পাষন্ডটা সাহায্য করা তো দূরের কথা, একের পর এক মোঘল বাদশাদের মতো হুকুম দিতে থাকে। রাগে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে রান্নাঘর থেকে খুনতিটা এনে.........
.
পৃথিবীর বুকে এই বৃহত্তর জীবন নামক নির্মম যুদ্ধে স্বামী বা স্ত্রী সবাই ইতিমধ্যেই নিরংকুশভাবে পরাজিত হয়েছে। এখন শুধুই সংসারের এঁটোকাটার ভাগ নিয়ে প্রতিনিয়ত মারমার কাটকাট করে এরা দিনাতিপাত করছে। যেমন তাজ্জব ব্যাপার এত সময় একসাথে এদের থাকাটা, ঠিক তেমনই তাজ্জব সব ব্যাপার ঘটছে এটার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। নিউটনের তৃতীয়সূত্র মতে প্রতিটা ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত মূখী প্রতিক্রিয়া থাকলে সম্ভবত করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দাম্পত্য সর্ম্পকের এই নব্য ভার্সনের প্রতিক্রিয়া একেক জায়গায় একেক রকম দেখা যাচ্ছে।
.
কয়েকদিন আগে পড়লাম চায়নাতে এত লম্বা কোয়ারেন্টাইনের প্রভাব এসেছে ভয়াবহ ভাবেই। বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য এই কয়দিনেই নাকি মাত্রাতিরিক্ত আবেদন সরকারের কাছে জমা হয়েছে। সম্ভবত বৈবাহিক জীবনে এরা প্রথমবারের মতো এত সময় একসাথে কাটাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চাইনিজ কুংফু কারাতি’র সিনেমা দেখে আসা আমাদের কাছে বরং এই প্রতিক্রিয়া বড়ই বিষ্ময়কর! এইসব সিনেমা যে আসলেও শুধু সিনেমাই, করোনা সেটা প্রকৃষ্ঠভাবেই প্রমাণ করে দিয়েছে। তা না হলে বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনের জায়গায় চায়নার হাসপাতালগুলিতে করোনা-রুগীর জায়গায় পঙ্গু-রোগীর সংখ্যাই হু হু করে বেড়ে যাবার কথা!
.
আমাদের পাশের দেশেই পশ্চিমবঙ্গে আবার ঘটনা ঘটছে উলটো। সারাদিন এদের সব চ্যানেলে পরকিয়া সম্পর্কের নাড়ি নক্ষত্র দেখানো হলেও এখানে কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কে যেন প্রণয়ের মধুময় বাতাসের ঝড় উঠেছে। সেদিন পড়লাম সেখানে নাকি এখন জন্মনিরোধক সামগ্রীর ফেস মাস্কের মতোই হাই ডিমান্ডে আছে। ইকনোমিক্সের থিওরী মেনে সাপ্লাই কম থাকার কারণে এটার যথারীতি দামও আকাশচুম্বী অবস্থা! তাও নাকি কেনার জন্য হাহাকার অবস্থা! দাদারা নিজেরা করে এক কাম আর চ্যানেলগুলিতে দেখায় আরেক আকাম! করোনা দাদাদের আসল চরিত্রও আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেল! সাবাস করোনা!
.
মানব জীবনে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ইসলামে বিয়েকে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পাওয়া যায়। বিয়ে শুধু শারীরিক চাহিদা বা ঈমাণ পূর্ণ করে তাই নয়, মনুষ্যত্ব এবং ব্যক্তিত্বেরও বিকাশও ঘটায়।
.
ভুলে যাই আমরা সবাই রক্ত মাংশের মানুষ, দোষ-ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়া মানুষ। ভুলে যাই প্রতিটা মানুষের জীবনই অপূর্ণ। আর তাই পূর্ণতাকে কাছে পাবার জন্য, দেখার জন্য মনের ভিতরে সুতীব্র আকাংঙ্খা নিয়েই আমরা বড় হই। সবার দাম্পত্য জীবনের সঙ্গীর অবস্থাও কিন্তু একইরকম। নিজে অপূর্ণ থেকে কেউ আরেকজনকে পূর্ণ করতে পারবে না। দাম্পত্য সঙ্গীর কাছে অহেতুক এই আকাশচুম্বী আশা করে কোনই লাভ নেই। সবাই নিজের কষ্টগুলোকে সহ্য করতে না পেরে রাগ অভিমান জীবনসঙ্গীর ঘাড়ে ঢেলে দিতে চায়। ভুলে যায় নিজের কষ্ট নিজেকেই সহ্য করে কমিয়ে আনতে হয়। তা না হলে হুট করে একদিন দেখবেন সেই কষ্টগুলো জমে জমে হিমালয়ের চেয়েও বড় আকার নিয়েছে। আপনার সঙ্গী আপনার কোন কষ্টই কমাতে পারবে না। বরং নিজেদের মধ্যে শ্রদ্ধা আর সম্মানের সর্ম্পক থাকলে আপনাকে প্রচুর মানসিক শক্তি দেবে এইসব কষ্ট পার হয়ে আসার।
.
পুরুষরা তো ঘরেই বসে থাকেন। আজাইরা ফেসবুক আর সোসাল মিডিয়াতে অনর্থক সময় না দিয়ে নিজের জীবনসঙ্গীকে রান্নাঘরে যেয়ে সংসারের কাজে সাহায্য করে আসুন। বাসায় অন্ততঃ নিজের বাচ্চাগুলিকে পালতে বৌ’কে সাহায্য করুন। বিয়ের এতবছর পরেও অবাক হয়ে দেখবেন, এতদিনের চেনা মুখরা বৌ’ও অকারণেই লাজুক লাজুক চেহারা নিয়ে অসময়ে এসে আপনাকে চা কফি কিছু লাগবে নাকি জিজ্ঞেস করবে!!!
.
মেয়েরা না হয় এই দূঃসময়ে নিজের একান্ত সময়গুলি একা একা না কাটিয়ে তার কিছুটা নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে কাটানোর চিন্তা করুন। নিজের বাচ্চা না শাশুড়ীর বাচ্চা, কে বেশি জ্বালায় সেটা নিয়ে আজাইরা ফেসবুক আর সোসাল মিডিয়া গরম না করে এটার কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। যেই জ্বালাক না কেন, কি করবেন জ্বালালে? ফেলেও দিতে পারবেন না, রেখে পালিয়েও যেতে পারবেন না। সুতরাং অনর্থক হা-হুতাশ করে অন্যের কাছে কুবুদ্ধি না চেয়ে নিজের সংসারের সমস্যা নিজেই সমাধান করুন। আপনার সমস্যা অন্য কেউই সমাধান করে দিতে পারবে না। জ্বালানোর মানুষগুলি'কে একান্ত সময়গুলি দিন, খুব কাছাকাছি থাকুন। যত কাছে থাকবেন, অবাক হয়ে দেখবেন এরা ততই কম জ্বালাচ্ছে। খুব শিঘ্রই এরা আর কেন জ্বালাচ্ছে না সেজন্যই অবাক হয়ে যাবেন!!!
.
মহান রাব্বুল আলামিন কুরআন শরীফে ঘোষণা করেছেন-
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً
অর্থাৎ ‘(আল্লাহ’র বহুনিদর্শনের মাঝে এটিও একটি) যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা রুমঃ আয়াত ২১)
.
আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৭নং আয়াতে এরশাদ করেন: ‘স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ’। অর্থাৎ পোশাক যেমন করে মানব দেহকে সকল প্রকার নগ্নতা, অশ্লীলতা, কুশ্রীতা ইত্যাদি থেকে বাঁচিয়ে রাখে ঠিক তেমনি বিবাহর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে সেভাবে বাঁচিয়ে রাখে।
.
আসুন এইসময়ে আমরা নিজেদের একান্ত ব্যক্তিজীবনের কাজগুলিকে আলাদা করে রেখে শৃংখলা, ধৈর্য, সাহসিকতা, সহমর্মিতা নিয়ে জীবনসঙ্গীরা একে অপরের পাশে যেয়ে দাঁড়াই, সাংসারিক কাজে মনোনিবেশ করি। কারণ দিন/রাত শেষে এই সংসারটা কিন্তু আপনাদের দুইজনেরই। নিজেরা যেই আচরণ করবেন অপরজনের কাছে থেকে ঠিক একই ফলই পাবেন। নিজে বীজ লাগাবেন ধুতরা গাছের আর আশা করে আছেন নিয়মিত আম্রপালী খাবেন সেটা তো সম্ভব না।
.
কোয়ারেন্টাইন / লক ডাউন / বন্দী জীবনের এই সময়গুলিতে এতদিন যা যা করে এসেছেন সেইগুলিকে পূনরায় নিজেরাই মূল্যায়ন করে দেখুন। এতদিন কি সঠিক রাস্তায় হেঁটেছেন নাকি উলটো রাস্তায় না জেনেই দৌড়িয়েছেন?
.
.
এই সিরিজের আগের লেখা পড়তে চাইলে-
তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী!
.
.
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
জনস্বার্থে – নীল আকাশ@সামহ্যোয়ারইন ব্লগ,
কপিরাইট @ মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: দাদাদের অনেক আনন্দ-বেদনার কথা লিখলেন, একটা বাদ পড়েছে। লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ বলে পশ্চিম বঙ্গ সরকার মদের হোম ডেলিভারি চালু করতে যাচ্ছে--- https://www.anandabazar.com/state/west-bengal-lockdown-govt-may-take-decision-tomorrow-about-the-home-delivery-of-liquor-dgtl-1.1133597
পুরুষরা গৃহবন্দি , আর ঘরে ঘরে কাজের বুয়াদের ছুটি। ঘরে পুরুষদের অবস্থান,মর্যাদা কাজের বুয়ার চেয়ে কম, কাজের বুয়ারা তবুতো নোটিশ দিতে পারে । আইজউদ্দিন বড় কষ্টে আছে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গ সরকার মদের হোম ডেলিভারি চালু করতে যাচ্ছে
সাড়ে সর্বনাশ!!! এরা তো মদ খেয়ে বৌকে মেরে পিটিয়ে কেলেংকারী ঘটনা ঘটাবে!!! এই পারমিশন কিভাবে দিলো সরকার?
আজকে এই সময় আমরা পুরুষরা, সবাই আইজউদ্দিন হয়ে গেছি। কিন্তু চিন্তা করুন, আমরা যদি আইজউদ্দিন না হই বাসার ভাবীদের কী অবস্থা হবে? সংসার ধর্ম কিন্তু শিকায় উঠবে। রান্না বন্ধ হয়ে গেলে ২৪ ঘন্টা উপবাসের নতুন নিয়ম বানান বানাতে হবে।
শুভ কামনা রইলো।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"দাদারা নিজেরা করে এক কাম আর চ্যানেলগুলোতে দেখার আরেক আকাম।" কথাটা হাইট লেগেছে। একটা বিষয় ভেবে আমিও অবাক হয়ে যায়। সতেরো কোটি বাঙালি বিনোদনের ক্ষেত্রে আট কোটি বাঙালির দিকে চেয়ে থাকে বলা ভালো তাদেরকে এক্সেস দিয়েছে। অথচ আট কোটি বাঙালি সতেরো কোটি মানুষকে অ্যাক্সেস দেয়নি। কলকাতায় বসে ঢাকার চ্যানেল দেখার সুযোগ সহজে মেলে না। দেখা যায় যদিও তা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে।
এখন বলার, দাদাদের এই বিনোদন সাম্রাজ্যবাদকে প্রোমোট করবেন না ঠেকাবেন বিষয়টি ভাবা দরকার।
পোস্টের বাকি অংশের সাথেও সহমত। ঠিকই তো ধূতরার বিজ ছড়িয়ে তা থেকে আম্রপালির আশা করা যায় না।
পোস্টে লাইক।
শুভকামনা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
এইসব চ্যানেলে যেভাবে পরকিয়া সর্ম্পককে যেভাবে প্রোমট করা হয় সেটা শুনলেও মাথা ঘুরে যায়।
আমার বাসায় এইসব আজগুবি মার্কা চ্যানেল ছাড়াও হয় না, দেখাও হয় না। সত্য কথা কী এই চ্যানেলগুলি বাসার টিভিতে টিউন করাই নেই। আমাদের বাসায় টিভি দেখে বাচ্চারা। আর আমরা নিজেদের সময় দেই।
দুই বাংলাতেই টিভি চ্যানেলগুলির অবস্থা অতিশয় নিন্ম মানের। কোনটা রেখে কোনটা দেখবেন? সবই বস্তা পঁচা। কোন দুঃখে আমি এইগুলির প্রোমট করতে যাবো?
ধুতরা আর আম্রপালির উদাহরণ একদম ঠিক আছে। অনেকেই সোসাল মিডিয়াতে এসে নিজের জীবনসঙ্গীকে নিয়ে এত বাজে মন্তব্য করে যে মেজাজ ঠিক রাখা দায়।
শুভ কামনা রইলো।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রতি বছর একবার ছেলে মেয়ে রেখে হানিমুনে যাওয়া উচিত। আমাকে অফিস করতে হচ্ছে (জরুরী সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে আছি) তাই আমি বাসাতে আধা বন্দি আছি। আলাদা রুমে একা থাকি। আবার মনে হচ্ছে ব্যাচেলর হয়ে গেছি। বেশ ভালো লাগছে। বউ ভয়ে কাছে আসেনা তাই বিরক্ত করার সুযোগ নাই। আমাকে নিজের সমস্ত নিজেকে করতে হচ্ছে। তাও ভালো। বাচ্চাদের নিষেধ করেছি কাছে আসতে। তবে করোনার টেনশন যারা ঘর বন্দি তাদের চেয়ে বেশী অনুভব করছি।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে এই উত্তম কাজের জন্য উপযুক্ত পুরষ্কার দান করুন, আমীন।
বৈবাহিক সর্ম্পক স্বামী স্ত্রী দুইজনের জন্যই আল্লাহ পাকের নিয়ামত।
আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম। আশা করছি কথা হবে নিয়মিত।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময়।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখাটার দুইটা পার্ট। প্রথমটা একটু রম্য ঘেষা। দ্বিতীয়টা ধর্মীয়! যে কোনও একটাতে ফোকাস করলে পারতেন.....তাহলে লেখাটা আরো চমৎকার হতো।
পাঠক হিসাবে কোনটাতে ফোকাস করবো, বুঝতে পারছি না!
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: মফিজ ভাই,
১ম অংশ রম্য নয়, আমি স্যাটায়ার টোনে লিখেছি। সবাই ফেসবুক আর সোসাল মিডিয়াতে এসে কান্নাকাটি করছে নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে। তাই এরা আসলে কি লিখতে চেয়েছে সেটা বুঝানোর জন্যই এই অংশ। বেহুদা কান্নাকাটি!!!
২য় অংশটাই আসল। আমি সবাইক নিজেদের অবস্থান থেকে বের হয়ে এসে একে অপর'কে সাহায্য করতে বলেছি।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
আরোগ্য বলেছেন: বোনাই,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে সুস্থ আছেন। আমার জীবনের চাকা একই গতিতে ঘুরে তাই নতুন কিছু বলার নেই।
বিয়ে সম্পর্কে যত জানি ততই আগ্রহ কমে এবং ততই ভয় বাড়ে। আমার এক কাছের অবিবাহিতা বলছিল , এই কোয়ারেন্টাইনে তো স্বামী স্ত্রী ও সারাদিন দুই জন দুইজনকে দেখত দেখতে বিরক্ত হয়ে যাবে। কথাটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। প্রেম করার সময় তো কেউ বিরক্ত হয় না অথচ দাম্পত্য জীবনে উপস্থিতিটা নাকি অস্বস্তিকর। আমরা কোন পথে হাটছি যেখানে কোন গন্তব্য নেই কেবল মরীচিকা । আল্লাহ সহজ করুক সরল পথ।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: আমার এক কাছের অবিবাহিতা বলছিল , এই কোয়ারেন্টাইনে তো স্বামী স্ত্রী ও সারাদিন দুই জন দুইজনকে দেখত দেখতে বিরক্ত হয়ে যাবে।
এই বেকুব মেয়ে বিবাহিত জীবনের কিছুই জানেও না, বুঝেও না। একে আগে বিয়ে করতে বলেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।
বৈবাহিক সর্ম্পক আল্লাহর রহমত স্বামী স্ত্রী দুইজনের জন্যই।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঘরে যখন খাবার থাকে না । পকেটেও ফাঁকা তখন আর ভালোবাসা এবং ধর্মকর্ম চলে না।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন। প্রকৃত স্বামী স্ত্রীর সর্ম্পক এরচেয়ে অনেক গভীর হয়।
অর্থনীতির অবস্থা স্ত্রীর এবং শারীরিক অবস্থা স্বামীর ভালোবাসার আর আবেগের প্রমাণ দেয়।
ধন্যবাদ।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনার কী অবস্থা সেইটাই তো কইলেন না??? এমনে হইলে চলব ক্যামনে???
বুদ্ধি পরামর্শ তো দিবেন, নাকি পরে তো কামে লাগাইতে পারমু
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম।
জী আমার অবস্থা খুবই ভালো। আমাদের দাম্পত্য সর্ম্পক খুবই ভালো। সেজন্যই তো এই উপদেশগুলি দিলাম সবাইকে।
ভাই, বিয়ে আর সুখী দাম্পত্য জীবন মহান আল্লাহর খাস নিয়ামত।
শুভ রাত্রী।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: মাত্রই পড়লাম, আসছি কিছু চিন্তা ভাবনা নিয়ে.........।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু আমি কিন্তু আপনার ফেরার অপেক্ষায় বসে আছি.......
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখন পরস্পরকে সাহায্য ও সয্য করতে না পারলে বিপদ বাড়বে বৈ কমবেনা। +++
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: মাইদুল ভাই,
বিপদে যদি নিজের সাথির পাশে যে না দাঁড়ান, তাকে সাহায্য না করেন তাহলে কখন করবেন বলুন? বৈবাহিক জীবন তো দুইজনের একসাথেই হাতে হাত রেখে কাটানোর কথা।
ধন্যবাদ।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ ,
অদ্ভুত সময় - কিম্ভুত কান্ড!
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
শুভ রাত্রী।
মানুষ বড়ই অদ্ভুত জীব।
বেঁচে থাকতে সম্মান দেয় না, কিন্তু মরে গেলে স্মৃতি থেকেও মুছে ফেলে না।
কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটা বাছতে বাছতেই শেষ ঘন্টা বেজে যায়।
ধন্যবাদ।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বুদ্ধিমান স্বামী স্ত্রীরা এই সময়ে আনন্দেই আছে!
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এই জীবন তো অনেক ছোট। বিয়ের পর দেখতে দেখতেই বেলা কেটে সাঁঝবেলা চলে আসে। যার সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাটাবেন তার পাশে দাঁড়াবেন না তো কার পাশে দাঁড়াবেন?
নিজের বৌকে যে ভালোবাসেন সেটা প্রমাণের সুযোগ তো এখনই!!!
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮
শের শায়রী বলেছেন: আমার ঘর ভর্তি মানুষ, শালা, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি কে নিয়ে আসছি লক ডাউনের আগে আর নিজের মা তো আমার সাথেই থাকে, তাই এই পরিস্থিতিতে যে একটু কলহ বা ভাব ভালোবাসা করব কোন উপায় নেই
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: বলেন কী? লকডাউন এই পিরিয়ডে সবাই নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে আর আপনি তো দেখি ঈদের আনন্দের দিন কাটাচ্ছেন ?
দাম্পত্য কলহ বা ভাব ভালোবাসা দেখানো কোন উপায় নেই আপনার।
১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বিষয় নিয়া একটা বই লিখে ফালান আগামী বইমেলার জন্য।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: এই যে লেখা শুরু করলাম। দেখা যাক কতদূর যেতে পারি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবার জন্য শুভ কামনা !
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর নিরাপদে থাকুন।
১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭
জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সব স্বামীর স্ত্রীদের এই সময়ে এভাবেই একসাথে চলা একে অপরের পাশে থাকা উচিৎ।
ধন্যবাদ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছেন। আপনার সাথেই আমিও একমত। সবার এভাবেই একসাথে চলে একে অপরের পাশে থাকা উচিৎ।
শুভ রাত্রী।
১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০১
নতুন বলেছেন: সপ্তাহ খানেক হলো বাসাতেই্ আছি।
অল্প ঝগড়া, পুরা ঝগড়া সবই করছি। আমাদের ঝগড়ার এক্সপায়ারী সময় দেওয়া, দিনের ঝগড়া দিনেই সমাধা করতে হবে।
এখন সব ভালোই চলছে, কাজের মাঝে দুই মেয়ে সারা দিন ব্যাস্ত রাখা ,দুইজনে রান্না করি নতুন কিছু আর রাত যেগে মুভি দেখা, আর ঘুম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
একসাথে থাকতে গেলে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হবে, মনমালিন্য হবে। আবার সেটা কেটেও যাবে। দিন শেষে এটা নিজেদের সংসার, সারাজীবন একসাথেই থাকতে হবে। কিন্তু বাসায় বৌ কিংবা স্বামীর সাথে প্রতিদিন কি কি ঝগড়া হচ্ছে, দেখতে ইচ্ছে করে না- এইগুলি কি সোসাল মিডিয়াতে দেবার জিনিস?
পারিবারিক ব্যাপার কেন সোসাল মিডিয়াতে নিয়ে আসবে?
নিজের জীবন সঙ্গীকে কেন সবাইকে অপমান করার জন্য দেবে?
এটা কি ধরণের মন মানসিকতা?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
এই লেখাটায় একটা শান্তি শান্তি ভাব আছে ।
একেকটা সময় এবং একেকটা পর্যায়ে ভিন্ন উপলব্ধির সাথে খাপ খাইয়ে সবাই ভালো থাকুক।
অসহায় স্ত্রী এই আর্টিকেলটা খুব ভালো লিখেছেন তাছাড়া পুরো লেখাটাই চমৎকার হয়েছে।
আপনারা সবাই ভালো থাকুন এই দোয়া করি।
অ,ট: রহমান লতিফ ভাইয়ের কোন খোঁজ পেলেন কি ? কাউসার ভাইকে
এ ব্যাপারে একটু জিজ্ঞাসা করতে পারেন কারণ উনিও সিলেটের ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে এটা লিখেছি। ইদানিং সোসাল মিডিয়াতে একতা বাজে জিনিস শুরু হয়েছে। বাসায় বৌ কিংবা স্বামীর সাথে প্রতিদিন কি কি ঝগড়া হচ্ছে, দেখতে ইচ্ছে করে না, এই নিয়ে নিয়মিত পোস্ট দেয়া শুরু হয়েছে। পারিবারিক ব্যাপার কেন সোসাল মিডিয়াতে নিয়ে আসবে? এটা কি ধরণের মন মানসিকতা?
এই সময় দুইজনের অবস্থাই খারাপ। সেটাই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
লতিফ ভাইয়ের কোন খোঁজ কাওসার ভাই জানেন না। লতিফ ভাইয়ের কোন খোজ আমিও পাইনি। পেলে আমি আপনাকে জানাবো। আপনি কি ফেসবুকে আমাদের ব্লগ গ্রুপের সাথে যুক্ত আছেন?
শবনম মলাট বদ্ধ অবস্থায় পড়তে কেমন লাগলো?
শুভ কামনা রইলো।
১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: সামনে দাম্পত্য কলহ বাড়ার আরো সম্ভাবনা আছে। গরম আরো পরবে সামনে তার সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের মেজাজের পারদ উর্ধমুখী থাকবে।
মানুষগুলো ভাল থাকুক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে এই সময়টাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া আরও বেশি করে গভীর হওয়া উচিত। এখন তো এরা কাছাকাছি থাকার জন্য বেশি করে সময় পাচ্ছে। একজনের বিপদে আরেকজন সাহায্য করতে পারছে। এতে তো পারস্পরিক সমোঝতার আরও অনেক সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখন মেজাজ ঠান্ডা রেখে সুন্দরভাবে সব সমস্যা সামলাতে হবে।
শুভ কামনা রইলো।
২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা আপনার জন্য। সবাই ভালো থাকুন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই, এটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।
২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: সময়োপযোগী বিষয়ে খুব ভালো লিখেছেন।
যতদূর মনে পড়ছে, আপনার আরেকটা লেখা পড়েছিলাম, যেখানে সংসারে স্বামীর ভূমিকা যে কেবল বসের ভূমিকা নয় এমন বিষয়ে লেখা ছিল। এরকম একই বিষয়ে লেখা গুলোর লিংক দিয়ে দিলে আগ্রহী পাঠকের সুবিধা হয়।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২
নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সিরিজ লেখার সময় এরপর থেকে আগের লেখাগুলির লিংক দিয়ে দেবো। আপনি সম্ভবত এই লেখাটার কথা বলেছেনঃ
তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী!
আমি এখনই পোস্টে নীচে এটা যোগ করে দিচ্ছি।
পারিবারিক এবং দাম্পত্য বিষয় নিয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই জ্ঞানের অভাব আছে।
কোনটা ব্যক্তিগত আর কোন ব্যক্তিগত না এটা সবার জানা উচিৎ।
নিজের জীবন সঙ্গির প্রতি যদি শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে এরা জীবন ভালোভাবে সংসার করবে কীভাবে?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।
২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিয়ে ঈমানের অর্ধেক-এই কথাটার রেফারেন্স কি? কুরআন? নাকি হাদীস?
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১১
নীল আকাশ বলেছেন: লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমি সূত্র ছাড়া কিছু লিখি না। এই লাইনের রেফারেন্স দিলাম নিচে-
যখন কোনো বান্দা বিবাহ করলো তখন সে তার ঈমানের অর্ধাংশ পূর্ণ করলো। - মিশকাতুন মাসাবীহ শরীফ, হাদিস নাম্বার ২৯৬২, চতুর্থ খন্ড পৃষ্ঠা ৩৮৩
[আমার নিজের হাতে চেক করা হাদিস এটা, সহী সনদ]
২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
নতুন বলেছেন: টিকটক আর ঐ রকমের কিছুর জন্য মানুষ ইচ্ছা করেই এমন ভিডিও বানায় এবং সোসাল মিডিয়াতে দেয়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: এরা নির্বোধ ভাই, যারা নিজেদেরকে নিজেরাই অপমান করে পোস্ট দেয়। এদের দাম্পত্য সর্ম্পক কখনই ভালো হতে পারে না।
এরা এই সর্ম্পকের অর্থই বুঝে না।
ধন্যবাদ আবার ফিরে আসার জন্য।
২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: কুরআনের রেফারেন্স গুলা ভাল লেগেছে। ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে আরো লিখুন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুপ্রভাত,
আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম।
আমি এই বিষয়ে আগেও লিখেছি। এই পোস্টের একদম নীচে দেয়া আগের পোস্ট "তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী" পড়ে আসুন। লিংক দেয়া আছে। ক্লীক করলেই ওপেন হয়ে যাবে। এটা ব্লগের নির্বাচিত পোস্ট, সর্বোচ্চ পঠিত, সর্বোচ্চ লাইকড, সর্বাধিক প্রিয়তে নেয়া পোস্ট। পড়ার আমন্ত্রণ দিলাম আপনাকে।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: স্বামী স্ত্রী ভালো থাকুক। তাদের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পাক।