নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, \nনিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগ-বাড়ির সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগ-বাড়ির কোনো লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুডাস ইস্কারিওট – ইতিহাসে পাতায় লেখা ভিলেন না নায়ক?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪০



জুডাস ইস্কারিওট

নামটা নিশ্চয় পরিচিত আপনার কাছে?

জেসাস ক্রাইস্ট এর ক্রুশিফিকশন বা অর্ন্তধানের উপর ইন্টারনেট সহ শত শত বইতে যে আলোচনা করা হয়েছে তার সাথে জুডাস ইস্কারিওট সরাসরি ভাবেই যুক্ত। কিছুদিন ধরেই জেসাস ক্রাইস্ট / হযরত ঈসা (আলাহিস সালাম) এর জীবনের উপর পড়াশুনা করছিলাম। একটা বিষয়ে তালগোল পাঁকিয়ে গেল বিভিন্ন তথ্য একজায়গায় করার পর। বাইবেল, ইঞ্জীল, গস্পেল বইগুলিতে একই সাথে বিপরীতমূখী প্রচুর লেখা পাবার পর আমি শেষ পর্যন্তও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি জুডাস চরিত্রটা’কে আমি কোন দৃষ্টিতে দেখবো?

বাইবেল/গস্পেলঃ পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত ইঞ্জিল এবং বর্তমানে প্রাপ্ত বাইবেল এক নয়। খৃষ্টধর্মের ধর্মীয় পুস্তক হিসেবে পরিচিত বাইবেল আসলে একক কোন বই নয়। বিভিন্ন লেখক সেই সময়কালে যে সমস্ত ধর্মীয় পুস্তক লিখে গেছেন সেইগুলিকে গস্পেল (বাংলায় সুসমাচার) বলে। এখন পর্যন্ত ৯টা গস্পেলের সন্ধান পাওয়া গেছে, লুক, জন, মার্ক, ম্যাথিউ আর পিটার, জুডাস, থমাস, বারনাবাস (বার নাবীয়া) আর মেরী। এদের মধ্যে কিছু গস্পেল‘কে বর্তমান ক্যাথলিক চার্চ স্বীকৃতি দেয় কিন্তু বাকিগুলি’কে ক্যাথলিক চার্চের নীতিগত কারণে অস্বীকার করে। যদিও জানা যায় এদের অস্বীকার করা সব গস্পেলগুলি’কেই প্রথমদিকের খ্রীষ্টানরা একনিষ্ঠভাবেই মেনে চলতো। [সূত্রঃ ইন্টারনেট]

দ্রষ্টব্যঃ খ্রীস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে লেখার কারণে হযরত ঈসা আলাহিস সালাম’কে যীশু হিসেবেই অনেক জায়গায় লেখা হবে। বিভিন্ন গস্পেলের লাইনগুলি একজায়গায় এনে বঙ্গানুবাদ করার কারণে সুনির্দিষ্ট সূত্র দেয়া কঠিন। বেশকিছু জায়গায় বঙ্গানুবাদ না করে গস্পেলের লাইন হুবুহু তুলে দিয়েছি শুধুমাত্র ভাষা বা অর্থের যেন কোন তারতম্য না হয়!

খ্রীস্টানরা বিশ্বাস করে একদম শুরু থেকেই যীশু জানতেন যে, জুডাস একজন চরম বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু আর্শ্চযের ব্যাপার হলো, কখনই তিনি এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেন নি। এমন কি একদম শেষ মুহুর্তেও উনি জুডাস কত বড় বেইমানী করতে পারে সেই ব্যাপারে বাকি সাথিদের সর্তক করেও দেন নি। Throughout the Gospels, Jesus repeatedly predicted that He would be betrayed (John 6:70-71).

মজার ব্যাপার হলো ক্যাথলিক চার্চ যদিও স্বীকার করে না, কিন্তু কিছু গস্পেলেই পাওয়া যায় যীশু জুডাসের সাথে একা একা অনেক কথা বলতেন। কিন্তু কি কথা বলতেন আর কি নিয়ে আলোচনা করতেন সেটা এখন আর কোন গস্পেলেই খুঁজে পাওয়া যায় না। গস্পেলের লেখা ইতিহাসের কাল পরিবর্তনের সাথে সাথে বারংবার ঘষামাজা করা হয়েছে, ইচ্ছেমতো নিজেদের মতের যে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো নিকেশিয়া কাউন্সেল (খ্রীষ্টাব্দ ৩২৫) এবং কন্সটান্টিপোল কাউন্সিল (খ্রীষ্টাব্দ ৩৮১)। এই কাউন্সেলগুলির মাধ্যমেই মর্ত্যের মানুষ এবং নবী যীশু হয়ে উঠেন দেবতা, তিন খোদার একজন! (এই ব্যাপারে আলাদা একটা পোস্ট দেয়া হবে পরে)।

জুডাস যে যীশুর বারোজন শিষ্যের অন্তর্গত ছিল সেটা গস্পেলেই স্পষ্টভাবে লেখা আছে।
"And when it was day he called his disciples to himself; and from them he chose twelve whom he also named apostles: Simon, whom he also named Peter, and Andrew his brother; James and John; Philip and Bartholomew; Matthew and Thomas; James the son of Alphaeus, and Simon called the Zealot; Judas the brother of James, and Judas Iscariot. (Luke 6:13-16)

খ্রীষ্টানদের বিশ্বাস মতে জুডাস আর বিশ্বাসঘাতকতা যেন একে অন্যের প্রতিশব্দ। অনেকটাই যেন মীরজাফরের মতো। জুডাস সর্ম্পকে বিভিন্ন বইতে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলি যদি এক জায়গায় করা হয় তাহলে যেটা জানা যায় যে, জুডাস ইস্কারিওট জন্মসূত্রে ইয়াহুদী। উনার জন্ম কেরিওথ গ্রামে। এহুদিয়া প্রদেশের দক্ষিন দিকে। তার নাম সর্ম্পকে ছোট করে একটা লেখা পাওয়া যায়-
Judas’s name is the Greek version of the Hebrew “Judah” which roughly means “Praise” or “Let God Be Praised.” However, the origin of “Iscariot” is not as clear. It is widely held that the Greek iskariotes comes from Hebrew ishq'riyoth, meaning “man of Kerioth,” a city in Palestine. Thus, in this case a name like Judas Iscariot would be similar to calling someone “Bob from Los Angeles” or “Jenny the Bostonian.”

Judas Iscariot was a disciple and one of the original Twelve Disciples of Jesus Christ. According to all four canonical gospels, Judas betrayed Jesus to the Sanhedrin in the Garden of Gethsemane by kissing him and addressing him as "rabbi" to reveal his identity to the crowd who had come to arrest him. [Source: Wikipedia]

বড় হবার পর জুডাস তাঁর ফ্যামিলির সাথে জেরিকোতে চলে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার সাথে ব্যবসা দেখতেন। কিন্তু অচিরেই যীশুর প্রচারিত নতুন ধর্ম তাঁকে মারাত্মক আকর্ষণ করে। তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে নতুন এই ধর্মের অনুসারী হয়ে যান। ছেলের ধর্ম পরিবর্তনের কথা জেনে জুডাসকে সাথে সাথেই ত্যাজ্যপুত্র করে তাঁর বাবা মা। প্রকৃত ধর্মের অন্বেষণে জুডাস মেনে নেন তাঁর বাবা মায়ের এই কঠিন সিদ্ধান্ত। ত্যাজ্যপুত্র করে দেয়ায় জুডাসের ইয়াহুদীদের সমাজে থাকা আর সম্ভব হলো না। রিক্ত হস্তে জুডাস গালিল সাগরের কাছে জেলের কাজ করা যায় কিনা সেটা খুঁজছিলেন। ঠিক তখনই নাথানিয়েলের সাথে দেখা হয় জুডাসের। নাথানিয়েলের মাধ্যমেই যীশুর কাছে আসার সুযোগ পায় জুডাস। নতুন ধর্ম গ্রহন করা জুডাসের বয়স তখন মাত্র ৩০ এবং অবিবাহিত। তখনই তিনি যোগ দেন যীশুর সাথে। যীশুও তাকে সাদরে গ্রহন করে নেন তার সাথি হিসেবে। জুডাস হয়ে যান যীশুর সাথে থাকা সেই সৌভাগ্যবান ১২ জনের সাথির একজন। যীশুর সমান বয়স জুডাসের আর বলা হয়ে থাকে জুডাসের শারীরিক গঠন ছিল নাকি অনেকটাই যীশুর মতো!

যীশুর ১২জন সাথির মাঝে সবচেয়ে শিক্ষিত আর সবচেয়ে জ্ঞানী ছিলেন জুডাস। শিক্ষিত জুডাস যীশুর সাথিদের মাঝে জ্ঞানের জন্য সবসময় প্রথম স্থানে থাকতেন। কোন বিষয় যীশু বর্ণনা করলে সবার আগে জিনিসটা বুঝে যেতেন জুডাস। তাই প্রথম থেকেই যীশুর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন জুডাস।

এটা বিশ্বাস হচ্ছে না? ঠিক আছে প্রমাণ নীচেই দেয়া আছে!

সেই সময়ে একটা প্রচলিত নিয়ম ছিল গুরু তার শিষ্যদের পা ধুয়ে দেবেন। লাস্ট সাপারের আগেও একই ঘটনা ঘটলো। খাবার আগে যীশু পানি হাতে তার সব শিষ্যদের পা ধুয়ে দিতে চাইলেন। প্রায় সব গস্পেলেই লেখা আছে, যীশু যখন পিটারের পা ধুয়ে দিতে চাইলেন, পিটার বললোঃ
-আমার পা আপনি কখনও ধুবেন না।
সেটা শুনে যীশুও বললেনঃ
-তাহলে তুমিও কিয়ামাতের দিন আমার সাথে থাকবে না।

পিটার সহ বাকি শিষ্যরা যীশুর এই কথা শুনে ভয় পেয়ে এই বিষয়ে আর কোন উচ্চবাচ্চ্যও করলো না। এক এক করে যীশু সবার পা ধুয়ে দিলেন যেন কিয়ামতের সময় তার সব শিষ্যরা তার সাথেই থাকেন। কিন্তু সেখানে যীশু সর্বপ্রথম কার পা ধুয়ে দিয়েছিলেন? অবিশ্বাস্য হলেও তিনি হলো জুডাস ইস্কারিওট। সাথিদের মাঝে যার মর্যাদা সবচেয়ে বেশি তার পা’ই সবচেয়ে প্রথম ধুয়ে দিবেন যীশু এটাই তো স্বাভাবিক। কোন গস্পেলেই জুডাসের প্রথম পা ধুয়ে দেয়া নিয়ে কোথাও কোন প্রশ্ন করা হয় নি। তার মানে সাথিদের মাঝে উনার অবস্থান নিয়ে কারও মনেই কোন বিভ্রান্তিই নেই!

রহস্য কিন্তু এখানেই শেষ নয়! লাস্ট সাপারের আগে, যীশু জুডাস’কে হঠাৎ ডেকে বললেনঃ
During the Last Supper, Jesus told His disciples He would be betrayed. When asked by whom, He replied, “It is the one to whom I will give this piece of bread when I have dipped it in the dish.” Then, dipping the piece of bread, he gave it to Judas, the son of Simon Iscariot. As soon as Judas took the bread, Satan entered into him. So Jesus told him, “What you are about to do, do quickly.” (John 13:21-28)

যীশু কিন্তু জুডাস’ কি কাজ করবে সেটা ভালোভাবেই জানতেন, কিন্তু ঘূণাক্ষরেও একবারের জন্যও বাকি সাথিদের সেটা বলেন নি। খ্রীস্টানদের মাঝে প্রচলিত কোন গস্পেলেই জুডাস’কে যীশু কি কাজ করতে বলেছিলেন সেটা লেখা নেই! কেন লেখা নেই সেটা আজও রহস্যময় রয়ে গেছে।

প্র্রচলিত গস্পেল থেকে জুডাসের বিরুদ্ধে আরও যা পাওয়া যায় সেগুলি হলোঃ
Judas then went on his own to the priests of the Temple, the religious authorities at the time, and offered to betray Jesus in exchange for money—30 pieces of silver, as specified in the Gospel of Matthew. Like the Gospel of John, the Gospel of Luke also cited Satan’s influence, rather than mere greed, as a reason for Judas’s betrayal. John, however, made clear that Judas was an immoral man even before the devil got into him: He kept the “common purse,” the fund that Jesus and his disciples used for their ministry, and stole from it.

সমাধান তো হয়েই গেল। জুডাস কালপ্রিট। কিন্তু আসলেই এইসব গস্পেলের সব কথা বিশ্বাসযোগ্য? নীচে দেখুন এই জুডাস’কে নিয়েই গস্পেলগুলি মধ্যে কিভাবে মত বিরোধ আছে!

Whatever his motives, Judas led soldiers to the Garden of Gethsemane, where he identified Jesus by kissing him and calling him “Rabbi.” (Mark 14:44-46)
অর্থাৎ মার্ক জানতেনই না কেন জুডাস যীশু’কে ধরিয়ে দিতে এসেছিলেন! কিন্তু জুডাস পিটারের মতো অন্ততঃ যীশু’কে অস্বীকারও করেন নি, বিপদে পরে নিজের স্বার্থের জন্য মিথ্যাকথাও বলেন নি!

Although passionate in his declaration of commitment to Christ, Peter ends up denying Jesus three times during the last hours of Jesus’ life. According to the Gospel of Matthew, Judas immediately regretted his actions and returned the 30 pieces of silver to church authorities, saying “I have sinned by betraying innocent blood.” When the authorities dismissed him, Judas left the coins on the floor, and committed suicide by hanging himself (Matthew 27:3-8).

অথচ বাকি জায়গায় অন্য ঘটনা লেখা আছে, একদম ভিন্ন। কোনভাবেই উপরের লেখার সাথে মিলে না-
The Gospel of Matthew describes him hanging himself after realizing the depths of his betrayal.
একমাত্র ম্যাথিউ’তেই জুডাসের আত্মহত্যার কথা শুধু লেখা আছে কিন্তু আর কোথাও আমি পাই নি! কিন্তু কেন? এত বড় একটা ঘটনা আর কোন গস্পেল লেখক জানবেনই না এটা হতে পারে? চলুন গস্পেলগুলির এই বিষয়ে তুলনামূলক আলোচনা করিঃ-

১। “So Judas threw the money into the temple and left. Then he went away and hanged himself.” (Matthew 27:5)
“The chief priests picked up the coins and said, ‘It is against the law to put this into the treasury, since it is blood money.’ So they decided to use the money to buy the potter’s field as a burial place for foreigners. That is why it has been called the Field of Blood to this day. Then what was spoken by Jeremiah the prophet was fulfilled: ‘They took the thirty pieces of silver, the price set on him by the people of Israel, and they used them to buy the potter’s field, as the Lord commanded me.’” (Matthew 27:6–10)

২। “With the payment he received for his wickedness, Judas bought a field; there he fell headlong, his body burst open and all his intestines spilled out. Everyone in Jerusalem heard about this, so they called that field in their language Akeldama, that is, Field of Blood.)” (Acts 1:18–19)

The Book of Acts, on the other hand, describes his death more like a spontaneous combustion. According to another canonical source in the Bible, the Book of Acts (written by the same author as the Gospel of Luke), Judas didn’t kill himself after betraying Jesus. Instead, he went into a field, where “falling headlong, he burst asunder in the midst, and all his bowels gushed out” (Acts 1:18).
(This spontaneous-combustion like process was a common form of death in the Bible when God himself caused people’s deaths).

আমি তাহলে কোনটা সত্য ধরবো? একটা’কে সত্য ধরলে আরেকটা অবশ্যই মিথ্যা! বার বার লেখা এবং মুছে ফেলে নতুন করে প্রয়োজন মতো আবার লেখার জন্য গস্পেলগুলি তথ্য ১০০% সত্য বলে খোদ খ্রীষ্টানরাই বিশ্বাস করে না। এই সন্দেহ যারা বেশ কয়েকটা গস্পেল পর পর পড়বেন তারা ঠিকই টের পাবেন। একই ঘটনা একেক জন একেক ভাবে লিখে গেছে। সারা বিশ্বেই এই সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নীচেই দেখুনঃ-

Professor William Klassen, a Canadian biblical scholar, argued in a 1997 biography of Judas that many of the details of his treachery were invented or exaggerated by early Christian church leaders, especially as the church began to move away from Judaism. [সূত্রঃ ১১১]
যীশু যিনি কিনা একজন নবী (সরাসরি সৃষ্টিকর্তার কাছে থেকে ওহী পেতেন) কেন সবকিছু জানার পরেও জুডাসের মতো এতবড় বিশ্বাসঘাতক’কে সবসময় পাশে রাখতেন একদম প্রথম থেকেই? মনের ভিতরে কী কোন প্রশ্নই জাগে না?

Judas was one of the 12 disciples, Jesus’ closest companions. Although a specific scene of Jesus calling Judas is not included in the Gospels, as it is for others such as Philip, Nathaniel, and Peter, he is included in the list of the 12 from early on (Mark 3:19).
এখানেও একটা বড় প্রশ্ন এসে যায়। দিনের পর দিন যীশু জুডাস’কে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, ধর্ম প্রচার করেছেন, নিজের শিষ্যদের জ্ঞান দান করেছেন। যীশু জুডাস’কে বিভিন্ন ধর্মীয়ে কাজে পাঠিয়েছেন। তাহলে একবারের জন্যও যীশুর সাথে জুডাসের কোন কথোপকথন প্রচলিত গস্পেলগুলিতে নেই কেন?
তাহলে পরে কি সেগুলি কেটে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে?
মেরীর ম্যাগডালিনের ঘটনার মতো?

সাথিদের টাকাপয়সা দেখে রাখার দায়িত্বও জুডাসের কাছে দেয়া হয়েছিল। সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে বিশ্বস্ত তার কাছেই তো সাধারণত কোষাধ্যকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাহলে কি জুডাস ১২ জন সাথিদের মাঝে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিলেন?
Though Judas isn’t mentioned nearly as much during Jesus’ ministry as others like Peter, James, and John, the Bible does record that he was the treasurer for the disciples (John 12:6; John 13:29).

জুডাসের চরিত্র নিয়েও গস্পেলগুলি মাঝে আরেক কূহেলিকা! এক গস্পেলেই একেক জায়গায় একেক কথা। কোন দিকে যাবো?

John 12:6 states, “he was a thief; as keeper of the money bag, he used to help himself to what was put into it.”
শেষ পর্যন্ত এটাও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে যে যীশু একজন চোর’কে তার সাথি বানিয়ে ছিলেন যে সবসময় তার সাথে সাথে ঘুরতো চুরি করার জন্য অথচ যীশু সেটা জানতেনই না!!!

John 12 opens on a dinner scene. There, the Bible records that Jesus’ friend Mary took a large quantity of expensive perfume, poured it over Jesus’ feet, and wiped His feet with her hair as an act of worship.
Judas objected. “Why wasn’t this perfume sold and the money given to the poor? It was worth a year’s wages” (John 12:5).
বারোজন উপস্থিত শিষ্যের মধ্যে একমাত্র জুডাসেরই এত সাহস হলো যীশুর কাজের বিরোধিতা করার? নিশ্চয় যীশুর কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা আছে দেখেই জুডাস এটা সবার সামনে বলার মতো সাহস পেয়েছে?

জেসাসের ক্রুসিফাইড হবার দৃশ্য আসলে কয়জন নিজের চোখে দেখেছে তা নিয়ে অনেক বির্তক আছে। প্রায় সবধরণের লেখা থেকেই পাওয়া যায়, ঠিক ঐসময়ে যখন জেসাস’কে ধরে নেবার জন্য রোমান সৈন্যরা ভিতরে প্রবেশ করে, তখন উনার প্রায় সব সাথিরাই প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পরে। সবাই যখন লুকিয়ে পরেছে তখন কে দেখেছে সৈন্যরা আসলে কাকে কী পরিচয়ে ধরে নিয়ে গেছে?

মুসলিমরা কুরআন শরীফের দেয়া তথ্যমতে কোনভাবেই হযরত ঈশা (আলাইহিস সালাম) এর ক্রুসিফাইড হবার ঘটনা বিশ্বাস করে না। মুসলিমরা বিশ্বাস করে ঠিক সেই মুহূর্তে হযরত ঈশা (আলাইহিস সালাম)’কে আসমানে ফেরেস্তা দ্বারা উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উনি এখনও জীবিত আছেন এবং কিয়ামতে আগে উনি আবার এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন, মানুষ হিসেবে মৃত্যু হবে তার। কিন্তু কুরআন শরীফে এই ঘটনা সর্ম্পকে বিস্তারিত কিছু বর্ণনা করা হয় নি। এর ফলে বিভিন্ন তাফসির আমাকে ঘাটতে হয়েছে এই বিষয়ে ইসলামিক চিন্তাধারাগুলি কী জানার জন্য। এই সর্ম্পকে খুব দারুন একটা লেখা নীচে শেয়ার করছি। ইচ্ছে করেই বঙ্গানুবাদ করলাম না, ভাষা পরিবর্তন করলে লেখার মূল ভাব নষ্ট হয়ে যায়!

Imam as-Sarkhasi (may Allah have mercy on him) said:
What they quote as evidence of reports from the Jews and Christians about the killing and crucifixion of the Messiah is an illusion, because there are no reliable and widely reported accounts concerning that.
The Christians only narrated that from four individuals who were with the Messiah in a house, because the disciples had gone into hiding or scattered when the Jews wanted to kill them.
The Jews only transmitted that from seven individuals who had entered the house where the Messiah was, and it is possible that those people had come to an agreement to tell a lie. It was narrated that they did not really recognize the Messiah until a man called Judas pointed him out to them, who had been his companion before that… This is not widely report and does not reach the level of reliability.
The matter of the crucifixion was only narrated by a small number of people, then all the people who narrated it from them said that the one who was crucified was So and so, but they were looking at him from afar, without looking closely at him, because naturally people would be averse to looking closely at one who was being crucified… Secondly, the widely-reported account that speaks of the killing and crucifixion of a man they called ‘Eesa may reach the level of certainty, but the man was not ‘Eesa; rather he was caused to look like him, as Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning): “but the resemblance of ‘Eesa (Jesus) was put over another man” [an-Nisa’ 4:157].
It is narrated that ‘Eesa (peace be upon him) said to those who were with him: Whoever among you would like to meet Allah, he will be made to resemble me and be killed, and Paradise will be his. A man said: I will do that. So Allah caused him to resemble ‘Eesa and he was killed, and ‘Eesa was taken up into heaven.
“End quote from Usool as-Sarkhasi (1/285-286)”

প্যাঁচ খোলার আপ্রাণ চেষ্টাঃ
পুরোপুরি এবার প্যাঁচ লেগে গেছে তাই না? প্যাঁচ আরও আছে। খ্রীষ্টানদের ভিতরেও এই প্যাঁচের জট এত বছরে এখনও খুলেনি-
Robert Cargill, assistant professor of classics and religious studies at the University of Iowa and editor of Biblical Archaeology Review [সূত্র ২২২] কি বলেছেন দেখুন-
“The truth is we don't know why Judas did what he did,” notes Cargill. “The grand irony, of course, is that without [Judas’s betrayal], Jesus doesn't get handed over to the Romans and crucified. Without Judas, you don't have the central component of Christianity—you don't have the Resurrection.”

আরেকটা প্যাঁচ দেই। প্রথম সারির চারটা গস্পেল দেখি জুডাসের এই বেইমানী কি জন্য করলো?
Mark doesn’t tell us Judas’ motive. In Mark’s version of events, Judas appears to offer to betray Jesus without even asking for money, but the chief priests promise to pay him. The other gospels provide us with two motives, one natural, the other supernatural, which worked together to turn Judas against Jesus. [এখানে সুপার-ন্যাচারাল বলতে শয়তান দেহে প্রবেশ বুঝানো হয়েছে]

Luke and Matthew are more precise about Judas’ financial incentive. In Matthew, Judas straight up asks the chief priests, “What are you willing to give me if I deliver him over to you?” (Matthew 26:14–15).
Luke tells us that the chief priests “agreed to give him money” (Luke 22:5), implying that Judas suggested it, or there was some discussion about it.
John doesn’t mention the money at all, but like Luke, he does give us another reason why Judas betrayed Jesus. Satan “entered him”
Luke and John both write that Satan entered Judas and influenced him to betray Jesus. At the end of Jesus’ temptation in the desert, Luke tells us that the devil left him “until an opportune time (Luke 4:13). Judas provided both the time and the opportunity.
Luke records that it happened just before he spoke with the chief priests (Luke 22:3), and John writes that the devil prompted him to betray Jesus before the Last Supper (John 13:2), but that Satan entered him in the moment Judas touched a piece of bread:
“Jesus answered, ‘It is the one to whom I will give this piece of bread when I have dipped it in the dish.’ Then, dipping the piece of bread, he gave it to Judas, the son of Simon Iscariot. As soon as Judas took the bread, Satan entered into him.” — (John 13:26–27)
This almost seems to shift some of the blame from Judas, perhaps suggesting that he was “doomed to destruction” because he was most vulnerable and available to Satan’s influence.

এত্ত বড় একটা ঘটনা অথচ কেউ নিশ্চিত নয় আসলে কি ঘটেছে? কি আজব ব্যাপার? দোষ শয়তানের ঘাড়ে দিয়ে আবার জুডাসকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টাও করা হয়েছে। গস্পেলগুলির লেখক কিন্তু যেই নামে গস্পেল আছে তারা অনেকেই সেটা নন বলে আগেই অভিযোগ আছে। অর্থাৎ গস্পেল মার্ক নামে যে মার্কই লিখেছে সেটার শক্ত কোন প্রমাণও নেই, পুরোটাই বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যারা এই কথা বিশ্বাস করতে চান না তাদের জন্য নীচেই প্রমাণ দিয়ে দিলাম, এদের কেউ কী স্বচক্ষে যীশুকে দেখে গস্পেল লেখেছেন?
“Having become the interpreter of Peter, Mark wrote down accurately whatever he remembered. However, he did not relate the sayings of deeds of Christ in exact order. For he neither heard the Lord nor accompanied Him. But afterwards, as I said, he accompanied Peter.”Papias (c. 120, E), 1.155, as quoted by Eusebius.
সূত্রঃ Click This Link

গস্পেল লেখক কিংবা অন্য সাথিদের কোন ধারণাই ছিল না আসলে কি ঘটছে বা ঘটবে? সেটা না হলে সবার মতামত অবশ্যই একই হতো!
“After he had said this, Jesus was troubled in spirit and testified, ‘Very truly I tell you, one of you is going to betray me.’ His disciples stared at one another, at a loss to know which of them he meant. One of them, the disciple whom Jesus loved, was reclining next to him. Simon Peter motioned to this disciple and said, ‘Ask him which one he means.’ Leaning back against Jesus, he asked him, ‘Lord, who is it?’
Jesus answered, ‘It is the one to whom I will give this piece of bread when I have dipped it in the dish.’ Then, dipping the piece of bread, he gave it to Judas, the son of Simon Iscariot. As soon as Judas took the bread, Satan entered into him.
So Jesus told him, ‘What you are about to do, do quickly.’ But no one at the meal understood why Jesus said this to him. Since Judas had charge of the money, some thought Jesus was telling him to buy what was needed for the festival, or to give something to the poor.” (John 17:21–29)
শেষ লাইনে কি লেখা আছে দেখুন? জুডাস’কে দিয়েই যীশু কত কাজ করাতেন! এত বড় চোর এবং বিশ্বাসঘাতক’কে কি কেউ নিজের কাছে রাখে? ধর্মীয় কাজকর্ম করায়?

জুডাসের ঘটনার মধ্যে যে বিরাট একটা প্যাঁচ আছে সেটা বিখ্যাত সেইন্ট পোল কিন্তু খুব ভালো করেই বুঝেছিলেন। দেখুন উনি নিজে কী উপদেশ দিয়েছেন-
Paul puts it this way in his first letter to the church in Corinth. “No, we declare God’s wisdom, a mystery that has been hidden and that God destined for our glory before time began. None of the rulers of this age understood it, for if they had, they would not have crucified the Lord of glory.” (1 Corinthians 2:8–9)

পবিত্র কুরআন শরীফে সুরা আলে ইমরানে বর্ণিত আছেঃ যীশুর অনন্য কিছু মোজেজা বা ক্ষমতা ছিল যেমন, তিনি মাটি দিয়ে পাখির আকৃতি বানিয়ে সেটাতে ফুঁ দিলে সেটা জীবিত পাখি হয়ে যেত, জন্মান্ধ’কে ফুঁ দিইয়ে একদম সুস্থ করে দিতে পারতেন, কুষ্ঠ রোগী’কে একদম সুস্থ করে দিতে পারতেন, কেউ ঘরে কী খেয়ে এসেছে সেটা বলে দিতে পারতেন, মৃত মানুষ’কে জীবিত করতে পারতেন। অথচ উনার সাথে একজন চোর মিথ্যুক লোভী বেইমান চলাফেরা করে সেটা উনি জানতে পারেন নি?

যীশু অবশ্যই জানতেন যে জুডাস একজন বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু একবারও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। খটকা লাগে না? হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) কিন্তু বলে দিতেন কে কে তার সময় মুনাফিক আছেন! সাহাবীরাও জানতেন যে অমুক অমুক হল মুনাফিক। কিন্তু যীশু (হযরত ঈসা আলাহিস সালাম) তাঁর ক্ষেত্রে কেন বললেন না? তাহলে কি কাহিনী আসলে একটু বেশিই গভীর?
Judas’s life story is a tragic one, but it points to God in powerful ways.
Multiple prophecies hundreds of years before Judas’s birth predicted his betrayal. Zechariah predicted Jesus would be betrayed for 30 pieces of silver (Zechariah 11:12-14). Psalm 41:9 predicted that Jesus’ betrayer would share his bread, which Jesus directly referenced in John 13:18 and acted out in John 13:26-28.

জুডাসের নামের অর্থ কি সেটা তো জানেন? স্রষ্টার প্রশংসা। গ্রেট আইরনী বা দুর্দান্ত কূহেলিকা, তাইনা?

আমি এখন কিছু ঘটনা একদম অন্যভাবে সবাই’কে চিন্তা করতে বলবোঃ
যীশু’কে ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে আর তাঁকে আকাশে তুলে নেয়া হবে এটা তিনি নিজেই জানতেন, গস্পেলগুলি দাবী করে উনি সেগুলির অনেকবার ভবিষ্যৎবাণীও করেছেন। উনি যে উপরের আকাশে উঠে যাবেন সেটাও জানতেন। এখন বলুন তো উনার কী দরকার? উনার দরকার হলো প্রক্সি, বদলী বা substitute যিনি কিনা দেখতে একদম তার মতো হবে যেন সবাই তার প্রক্সিকে নিয়েই বিভ্রান্ত হয়। ইয়াহুদীরা এই প্রক্সিকে ধরে নিয়ে শূলে চড়িয়ে দিয়ে তৃপ্তি পাবে, মনে করবে তারা সফল হয়েছে। যীশুর পক্ষে কে এই কাজ সবচেয়ে সফল ভাবে পারবে, কে যীশুর প্রক্সি সবচেয়ে ভালোভাবে দিতে পারবে? কে যীশুর সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিল? কে যীশুর সাথে বেইমানী করবে না? পিটারের মতো ধরা পরার ভয়ে প্রকাশ্যে অস্বীকারও করবে না, বাকিদের মতো যীশুকে একা ফেলে কোনভাবেই পালিয়ে চলে যাবে না?

এমন কি হতে পারে যে যীশু আসল খবর জানতেন, আর তাই আগে থেকেই জুডাসের সাথে গোপনে কথা বলে রেখেছিলেন? কাকে যীশু সবচেয়ে বেশী পছন্দ করতেন, আদর করে কাছে কাছে রাখতেন? কার পা লাস্ট সাপারের আগে প্রথম ধুয়ে দিয়েছিলেন? কিয়ামতের সময় কে তার সাথে প্রথম থাকবে? জুডাস যদি সত্যই এতবড় পাপী হয় যীশু কি তার পা ধুয়ে কিয়ামতের সময় তার সাথে থাকার ব্যবস্থা করতেন? জুডাস কি যীশুর কথা মতোই কাজ করেননি? ঠিক যেমন করে Zechariah [হযরত যাকারিয়া আলাহিস সালাম] তার ধর্মীয় পুস্তকে অনেক আগেই বলে গেছেন?

খটকা লাগছে? আমার কথা বিশ্বাস হয় নি? জুডাসের আত্মহত্যার কাহিনী যেটা ম্যাথিউ’তে দেয়া আছে সেটা যদি ঠিক হয় তাহলে নীচের গস্পেলের লাইনগুলি ভুল! সর্বপ্রথম "evening of the first day of the week" (i.e. at the evening of what we call "Easter Sunday") তে কি ঘটেছিল দেখুন?

"Now Thomas, called the twin, one of the twelve, was not with them when Jesus came." (John 20:24)
এখানে বলা হয়েছে একই দিন সন্ধ্যাবেলায়, সপ্তাহের প্রথম দিন, ইয়াহুদীদের ভয়ে যীশুর শিষ্যরা সেখানে একত্রিত হয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে, যীশু এসে তাঁদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেন, 'তোমরা শান্তিতে থাকো"। এখানে জনের এই গস্পেলে সুস্পষ্ট ভাবে কে কে ছিলেন সেটা বলা আছে। যীশু যখন এসেছিলেন তখন বারোজনের একজন যমজ নামে পরিচিত থমাস শুধুমাত্র তাঁদের সাথে ছিলেন না।" একমাত্র লাইন কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাত্পর্যপূর্ণ চিন্তা করুন? জন যদি সত্য কথা বলেন তাহলে ম্যাথুউ এবং লুক অবশ্যই ভুল কথা বলেছেন যে, জুডাস ইতিমধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন!

জন নিজেই আবার গস্পেলে কি বলেছে দেখুন?
"The other disciples therefore said to him, "we have seen the Lord." So he said to them, "Unless I see in his hands the print of the nails, and put my finger into the print of the nails, and put my hand into his side, I will not believe" And after eight days his disciples were again inside, and Thomas with them. Jesus came, the doors being shut, and stood in the midst, and said, "peace to you" (John 20:25-26)
যে শিষ্য থমাস প্রথমদিন ছিল না এবার উনি উপস্থিত ছিলেন বলে স্পষ্টভাবে লেখা আছে। জুডাস যে নেই সেটা কি লেখা আছে? ভালো করে পড়ে দেখুন তো?

জনের এই লাইনগুলি যদি সত্য হয় তাহলে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হওয়ায় মারা গিয়েছিলেন এবং তিনি পুনরুত্থানের পরেও জুডাস বেঁচে ছিলেন। তাহলে যীশু কেন তাকে এত বড় বেইমানী করার জন্য কিছু বললেন না?

এবার হযরত ইবন কাসিরের (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) একটা অত্যন্ত মূল্যবান লেখা পাঠকদের জন্য নীচে দিলাম-
When the king’s deputy in Jerusalem received these orders, he went with some Jews to the house that `Isa was residing in, and he was then with twelve, thirteen or seventeen of his companions. That day was a Friday, in the evening. They surrounded `Isa in the house, and when he felt that they would soon enter the house or that he would sooner or later have to leave it, he said to his companions, “Who volunteers to be made to look like me, for which he will be my companion in Paradise.”’ A young man volunteered, but `Isa thought that he was too young. He asked the question a second and third time, each time the young man volunteering, prompting `Isa to say, “Well then, you will be that man.” Allah made the young man look exactly like `Isa, while a hole opened in the roof of the house, and `Isa was made to sleep and ascended to heaven while asleep. Allah said, “O `Isa! I will take you and raise you to myself.” When `Isa ascended, those who were in the house came out. When those surrounding the house saw the man who looked like `Isa, they thought that he was `Isa. So they took him at night, crucified him and placed a crown of thorns on his head. They then boasted that they killed `Isa and some Christians accepted their false claim, due to their ignorance and lack of reason. As for those who were in the house with `Isa, witnessed his ascension to heaven, while the rest thought that the Jews killed `Isa by crucifixion. They even said that Maryam sat under the corpse of the crucified man and cried, and they say that the dead man spoke to her. All this was a test from Allah for His servants out of His wisdom. Allah explained this matter in the Glorious Quran which He sent to His honorable Messenger, whom He supported with miracles and clear, unequivocal evidence. Allah is the Most Truthful, and He is the Lord of the worlds Who knows the secrets, what the hearts conceal, the hidden matters in heaven and earth, what has occurred, what will occur, and what would occur if it was decreed (সূত্রঃ Kathir I. , Tafsir Ibn Kathir).

ইবন কাসির (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাফসিরও যদি সত্য বলে ধরে নেই তাহলেও একটা বিরাট সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। পবিত্র তাওরাতের বাণী অনুযায়ী “যে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মরল, সে অভিশপ্ত”। আর ঠিক এই কারণেই ইয়াহুদীরা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে মেরে ফেলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল উনি আসলেই অভিশপ্ত যেটা আল্লাহ নিজেই ভন্ডুল করে দিয়ে উনাকে আসমানে তুলে নিয়ে যান। এখন বাকি রইলো জুডাস। একে ইয়াহুদীরা খুশি মনে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য। তাফসির মোতাবেক জুডাস তো নিষ্পাপ ব্যক্তি যিনি নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছেন তার বিশ্বাসের জন্য, একজন নবীর জন্য। কিন্তু জুডাস যদি ক্রুশেই মারা যায় তাহলে তো প্রমাণিত হবে, সে আসলেই খারাপ। আসলেই বিশ্বাসঘাতক অপরাধী। চলুন দেখে আসি কী আসলে ঘটেছিল সেই ক্রুশবিদ্ধ হবার সময়!

তুরিনের কাপড় কী এবং কোথা থেকে এসেছে এটা নিয়ে ব্লগে অনেক পোস্ট দেয়া হয়েছে। তাই আর এটা নিয়ে নতুন করে কিছু লিখলাম না। যারা জানে না তারা এটা ইন্টারনেটে পড়ে আসুন। সংক্ষেপে এটা হলো আপাত দৃষ্টিতে যীশুর মৃতদেহে পেঁচানো কাফনের কাপড়।

তুরিনের এই কাপড় নিয়েও তুঘলকি কান্ড ঘটেছে। কাফনের কাপড় নিশ্চয় মৃত মানুষের দেহের জন্য তাইনা! কিন্তু জুডাস কী আসলেও তখন ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন? তুরিনেই কাপড় নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে, অনেক রকম অজানা তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে। আমি শুধু এই লেখার সাথে সর্ম্পকীত কিছুই সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়েই আলোচনা করবো-

১। ক্রুশে যীশুর সেই তথাকথিত মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হবার জন্য একজন সৈন্য তাঁকে বর্শা দিয়ে খোঁচা দিলেন। প্রবল বেগে দেহ থেকে রক্ত বেরিয়ে এলো। খ্রিস্টানরা বলে, মৃত লাশ থেকে জীবিতের মতো রক্তের প্রবল বেগ প্রমাণ করে এটা যীশুর মিরাকল। কিন্তু আমরা তো জানি সেখানে যীশু ছিলেনই না, ছিলেন জুডাস। তাহলে কী তখনও জুডাস জীবিত ছিলেন? শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুধুই অজ্ঞান হয়ে পরেছিলেন?

২। একজন মৃত ব্যক্তির গা থেকে রক্ত বের হতেই পারে। এটা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু মজার ঘটনা হলো তুরিনের সেই কাপড় বা কাফন বিশ্লেষণ করে যেটা দেখা গেছে মৃতদেহের প্রায় ২৮টি জায়গা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বডিতে বিভিন্ন ইঞ্জুরির জন্য। এভাবে রক্ত কখনই বের হবে না যদি, আবার বলছি যদি হৃদপিন্ড সচল না থাকে, হার্ট বিট না থাকে, সিস্টোলিক ডায়াস্টোলিক প্রেসার না থাকে। তাহলে ঘটনা কী?

৩। ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কিন্তু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অর্থাৎ হুট করেই কেউ এটাতে মারা যায় না। এটা শাস্তিমূলক মৃত্যু। কষ্ট সহ্য করতে করতে ক্ষুধায়, দুর্বলতায় আস্তে আস্তে মারা যায় যেন এই ভয়ংকর শাস্তি হারে হাড়ে টের পায়। সেদিন সাথে আরও দুজনকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো যীশুর মৃতদেহ বলে যেই দেহটা নামানো হয়েছিল পাশেরগুলি কিন্তু তখনও জীবিত ছিল। একটা কমন মেডিক্যাল ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলি। Rigor Mortis কী জানেন তো? মারা যাবার প্রায় ৩০মিনিট পর থেকে মৃতদেহ শক্ত হতে শুরু করে। গস্পেলের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে সেই মৃতদেহে এইরকম কোন লক্ষণই ছিল না। তাকে ইচ্ছে মতন এই তুরিনের কাপড় পরানোর সময় নড়াচড়া করানো গেছে। আরেকটা ভয়ংকর তথ্য দেই, মৃতদেহ তো অবশ্যই পঁচবেই, তাইনা? কিন্তু এই কাফন পরীক্ষা করে অদ্ভুত ঘটনা দেখা গেল এতে পঁচনের কোন চিহ্ন পর্যন্ত নেই!

৪। কেউ মারা গেলে দেহে তাপ তৈরি হওয়া বন্ধ যায়, যেটা থার্মাল ইমেজে পরিষ্কার বুঝা যায়। তাহলে এই তুরিনের কাপড়ে ইমেজ ফর্ম হল কীভাবে? মৃতদেহে তো কোন হিট জেনারেট হতে পারে না।
গবেষকরা বলছেন, এটা একটা হিট ইমেজ। দেহ থেকে যে তাপ নির্গত হয় সেটা ইমেজ ফর্ম করে এই ইমেজ তৈরি হয়েছে। গবেষকরা এই ইমেজ মার্ক করে দেখিয়েছেন নাকের ছিদ্রের অংশ বেশি স্পষ্ট। মানে, ওখানে বেশি হিট পড়ছিল। কারন, লাশ যে শ্বাস নিচ্ছিল!! গরম নিঃশ্বাস বরং পরিষ্কার ইমেজ তৈরি করেছে। কী বুঝলেন?

৫। ২০০৪ সালের আরেকটা গবেষণায় কাফনের কাপড়ে আরেকটা মুখের ছাপ স্পষ্টভাবে পাওয়া গেছে। এক কাফনে তো দুইটা লাশ থাকতে পারে না, সুতরাং এই মৃতদেহ তার মাথা নড়াচড়া করেছিল। তাই আরেকটা পজিশনেও নতুন ইমেজ তৈরি হয়েছে। গবেষকরা এই ব্যাপারে সর্ম্পূণ একমত, সেটা লাশ ছিল না। অর্থাৎ দেহ কিন্তু জীবিতই ছিল।

প্যাঁচ আরও দেই?
সহী হাদিস মোতাবেক যীশু ৩৩ বছর বয়সে আকাশে উত্তোলিত হন। খ্রীষ্টানদের ক্যালেন্ডার মোতাবেক ক্রুশের ঘটনা ঘটে ০০৩০ সালে। তার মানে অবশ্যই যীশু ০০০০ সালে জন্ম নেন নি। “খ্রিস্টাব্দ=খ্রিস্টের অব্দ” তার মানে সম্পূর্ণ ভুল বেসিস এর উপর গড়া। খ্রিস্টপূর্ব অন্তত ৩ বা ৪ সালে খ্রিস্টের জন্ম হয়। ভ্যাটিকান এখনও এটা অফিসিয়ালি মেনে নেয় নি। এখন এদের ক্যালেন্ডার মোতাবেক ক্রশের ঘটনার পরেও কী তাহলে যীশু আরও ৩ বছর জীবিত ছিলেন?

[উল্লেখ্য যীশু বা হযরত ঈশা (আলাহিসস আলাম) ৩৩ বছর বয়সেই আবার পৃথিবীতে নেমে আসবেন এবং বাকি জীবন একজন মানুষের মতো জীবনযাপন করে স্বাভাবিক মৃত্যু হবে উনার। বুখারি শরিফের হাদিস বলছে, হযরত ঈসা (আলাহিস সালাম) ফিরে এসে আরও ৪০ বছর জীবনকাল কাটাবেন। মোট বয়স হবে তাহলে ৭৩ বছর। তাঁর কবর দেয়া হবে মদিনায়, হযরত মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম) পাশে।]

লেখাটা শেষ করবো পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্টভাবে হযরত ঈসা (আলাহিস সালাম) এর অর্ন্তধান নিয়ে যা বলা আছে সেটা দিয়ে-
“And because of their saying ‘We killed Messiah ‘Eesa (Jesus), son of Maryam (Mary), the Messenger of Allah,’ - but they killed him not, nor crucified him, but the resemblance of ‘Eesa (Jesus) was put over another man (and they killed that man), and those who differ therein are full of doubts. They have no (certain) knowledge, they follow nothing but conjecture. For surely; they killed him not (i.e. ‘Eesa (Jesus), son of Maryam / Mary)
But Allah raised him (‘Eesa (Jesus)) up (with his body and soul) unto Himself (and he is in the heavens). And Allah is Ever All Powerful, All Wise” [Sura Nisa’ 4:157, 158].


পাঠকদের কাছে তাই আমার খুঁজে পাওয়া সব তথ্য এক জায়গায় দিয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম, জুডাস ইস্কারিওট – ইতিহাসে পাতায় লেখা নায়ক না ভিলেন?


সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল ২০২০

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

বিড়ি বলেছেন: মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেও বোঝার চেস্টা করছি অনেক ধন্যবাদ এমন ইন্টারেস্টিং বিষয়ে আলোকপাতের জন্যে । তুরিনের কাপড়ে ইমেজ ফর্ম এর ব্যাপারে বিস্তারিত কোথায় জানতে পারি?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে সুস্বাগতম।
আমি ইচ্ছে করেই এই তুরিনের বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত লিখিনি।
এই ব্লগেই শের শায়রী ভাই ৩ পর্বের একটা দারুন সিরিজ পোস্ট দিয়েছেন তুরিনের উপর।
আমি নীচে উনার ১ম পর্বের লিংক দিয়ে দিলাম-
শ্রাউড অভ তুরিন অথবা যীশুর কাফন (প্রথম পর্ব)
ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। ভালো লাগলো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,





অনেক পড়াশোনা করে খাটাখাটনির পোস্ট।
আসলে এইসব নিয়ে নানা সময়ে নানা মতের, নানা তর্কের, নানা বিশ্বাসের, নানা অবিশ্বাসের কাহিনী ঘটবেই। ইতিহাসের পাত্রপাত্রীরাও যে সময় ও ঘটনার নিরপেক্ষ বয়ান করে যাবেন এমন হবার কথা নয় স্বাভাবিক কারনে। প্রত্যেকেই ঘটনাগুলিকে নিজ নিজ দৃষ্টিকোনে দেখে থাকেন। তাই দু্ই বা ততোধিক অংশগ্রহনকারী বা পর্যবেক্ষকের সাফাই বা বক্তব্য একই রেখায় চলবেনা কখনোই। কোথাও একটু বাঁকানো হবে সে রেখা, কোথাও এবড়োথেবড়ো হবে, কোথাও অস্পষ্ট হতেই হবে।

তাই সত্যের কাছাকাছি কোনটি তা নিজের নির্মোহ বিচার বুদ্ধি দিয়েই করতে হবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
প্রথমেই ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
একইসাথে বিপরীতমূখী বিভিন্ন তথ্য আর উপাত্ত দেখে আমি নিজে বিশাল প্যাচে পড়ে গিয়েছিলাম।
এমনকি খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থেও প্রচুর অসংংলগ্ন কথাবার্তা।
পোল নিজেও স্বীকার করে গেছেন এই সত্য কেউ কখনই জানবে না।
ইঞ্জীল এরা পরিবর্তন করেই এত সব সমস্যা সৃষ্টি করেছে। না হলে আজকে এত কনট্রোভার্সি তৈরি হতো না।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: @বিড়ি ,




এখানটাতে দেখতে পারেন --রহস্যময় এক চাদর “দ্য তুরিন শ্রাউড” (X-file )

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী আপনার এই পোস্ট আমি নিজেই দেখিনি। লেখাটা এখন পড়বো।
লিংক এখানে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

বিড়ি বলেছেন: @ নীল আকাশ এবং @আহমেদ জী এস : অনেক ধন্যবাদ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আবার ফিরে আসার জন্য।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সব কিছু পড়ে তো নায়কই মনে হচ্ছে। আমার এই বিষয়ে জানা শোনা কম। কিছু কিছু ধারণা পেলাম। ধন্যবাদ

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: আপ্নার মতো আমারও এই প্যাচ লেগে গেছে। সত্যতা যাচাই করার কোন উপায়ও নেই। আমি প্রচুর ঘাটাঘাটি করেছি কিন্তু কোন সদুত্তর পাই নি। তাই সবার কাছে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য লেখাটা তুলে দিলাম। শের শায়রী ভাই এবং গুরুজী জী এস ভাইয়ের লেখা ২টাও পড়ে দেখুন। অবিশ্বাস্য কাহিনী।
কালের অতলে মনে হয় আসল সত্য হারিয়েই গেছে।
ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: জুডাসকে নায়ক না ভিলেন- এই সরল সমীকরণে না ফেলাই ভালো। অর্থাৎ তার একটা ক্যারেক্টার দাঁড় করাতেই হবে-- এর কোন দরকার নাই। জেসাস জানতেন জুডাস বিশ্বাসঘাতকতা করবে, আর জুডাসকে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তুমি যা করবে আমি জানি, তুমিও তোমার কাজ করে যাও। জেসাস জানতেন ক্রুসিফিক্সনে তাঁর মৃত্যু হবে এবং তিনি তার নিয়তিকে গ্রহণ করেছিলেন; কারণ সবই লর্ডের ইচ্ছা, সবই তাঁরই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন যেগুলো সাধারণ মানুষের বোধের অগম্য। জুডাসের ভূমিকা আসলে অনেকটা হ্যারি পটারের সেভেরাস স্নেইপ ক্যারেক্টারের মতন যে মানসিক অন্তর্দ্বন্ধে বিপর্যস্ত একটি চরিত্র কারণ তাকে প্লে করতে হচ্ছে ডুয়েল ক্যারেক্টার। সার্বিক সিচুয়েশন যখন ভিলেনের পক্ষে তখন যে নিজের ক্যারেক্টার ফর্ম পাল্টে ভিলেনের চর হয়ে যাচ্ছে, আবার শেষপর্যন্ত তার মানবিক বোধ তাকে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নায়ক হ্যারি পটারের পক্ষেই কাজ করাচ্ছে। তাই জুডাস-কে নায়ক না ভিলেন-- এভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা না করে, একটি অনিবার্য ইতিহাসের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া একজন মানুষ হিসেবে চিন্তা করা যায় যে স্রেফ নিজের রোল প্লে করে গিয়েছিলো। যেমনটা জেসাসের গুরু ব্যাপ্টিস্ট জন বলেছিলো তার মৃত্যুর আগে, "এভরি ম্যান হ্যাজ হিজ রোল। জেসাস হ্যাজ কাম, অ্যান্ড মাইন ইজ ফিনিশড নাও।"

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন। একদিক থেকে ভাবলে এইভাবেই জুডাস'কে চিহ্নিতকরণ করা যায়।

তবে সমস্যা হলো মুসলিম'রা ধর্মীয় কারণে জেসাসের ক্রুশবিদ্ধকরণ বিশ্বাস করে না। যেখানে আল্লাহ নিজে বলেছেন এটা হয়নি তখন এটা মেনে নেয়াও সম্ভব না।
আমি তাই নিজে কোনই সিদ্ধান্ত দেই নি। পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
আমার ব্লগে আপ্নাকে সুস্বাগতম।
শুভ কামনা রইলো।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ইন্জিনিয়ার, আপনার তো পড়ালেখা করার কথা 'পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল' নিয়ে, এবং সেগুলো নিয়ে ব্লগে লেখার কথা; আপনি এসব অপদার্থ রূপকথা কেন পড়ছেন? ইন্জিনিয়ারিং পড়েছেন, নাকি মাদ্রাসায় পড়ে তাবলীগ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল এইসব সাবজেক্ট তো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের বিষয়। আমার বিষয় তো অন্য।
আমি ধর্মীয় ইতিহাসের বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে পছন্দ করি।
মাদ্রাসা কিংবা তাবলীগ থেকে শত হস্ত দূরে থাকি।
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: বিশাল লেখা, অনেক ধন্যবাদ। আরও একবার পড়ে দেখতে হবে পরে, কারণ আমি প্যাঁচ খেয়ে গেছি :(

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: আমার নিজের প্যাচ খুলতে না পেরে আপনাদের দিয়েছি। সব সূত্র দিয়ে দিয়েছি। ভালো করে আবার পড়ে দেখুন। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যের প্যাচ মনে হয় এটাই।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কখনও নায়ক, কখনও ভিলেন ছিলেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: হুম, পুরোটাই একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বলেছেন: স্রাউড অফ তুরিন ভুয়া হবার সম্ভবনা ৯৯.৯৯৯৯%

খৃস্টান ধমে যীষূর যেই চরিত্র আকা হয়েছে সেটা কয়েক শত বছরের আকা।

যীযূ র এবং খৃস্টান ধম` তৌরি হয়েছিলো ততকালিন সম্রাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে।

ধমীয় কাহিনিতে অনেক অলৌকিক বিষয় থাকে ।

জুডাসের বিশ্বাসঘাতকতা যদি যীষু জানতেন তবে হয় তিনি ভবিষ্যত জানতেন নতুবা জুডাসকে নিজের ডামি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

একজন পথপ্রদশকের জীবনের ঝুকির জন্য মিথ্যা বলে ধোকা দিয়ে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করতে পারেন না।

আর উনি যদি তখন পরিকল্পনা করেও থাকেন তিনি কি জানতেন যে সৃস্টিকতা তাকে উপরে নিয়ে গিয়ে আবার পৃথিবিতে নিয়ে আসবেন?

অবশ্য যীষু বেচে ছিলেন এবং তিনি পরে ভারতের কাস্মীরে চলে গিয়েছিলেন এমন একটা কাহিনি আছে। যেটাতে কিন্তু অলৌকিক বিষয় নেই, যথেস্ঠ বাস্তবতা আছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: নতুন ভাই,
দুর্দান্ত মন্তব্য করেছেন । সময় নিয়ে এইজন্য প্রতি মন্তব্য করলাম।

১। স্রাউড অফ তুরিন ভুয়া হবার সম্ভবনা ৯৯.৯৯৯৯% ।
-আমিও সেটাই মনে করি। এটা সত্যই হতেই পারে না। অনেক কনট্রাডিকশন এসে যায় তাহলে।

২। খৃস্টান ধমে যীষূর যেই চরিত্র আকা হয়েছে সেটা কয়েক শত বছরের আকা।
-নিকেশিয়া কাউন্সিল এবং এর পরেরটাতে মানব যীশুকে খোদা বানানো হয়েছে।

৩। যীযূর এবং খৃস্টান ধম` তৌরি হয়েছিলো ততকালিন সম্রাজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে।
-অনেকটা সেইরকম তবে এতে অনেক কাটাছেড়া করা হয়েছে।

৪। ধমীয় কাহিনিতে অনেক অলৌকিক বিষয় থাকে ।
-যীশু কিছু অলৌকিক ক্ষমতা থাকলেও বেশ কিছু কাহিনী বিশ্বাস যোগ্য মনে হয়নি। অসম্ভব লেগেছে। ক্রুশিফিকশনে যেয়ে সবার পাপ নিজে নেয়া ১০০% চাপাবাজি।

৫। জুডাসের বিশ্বাসঘাতকতা যদি যীষু জানতেন তবে হয় তিনি ভবিষ্যত জানতেন নতুবা জুডাসকে নিজের ডামি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
-আমার ধারণা ডামি বানিয়েছেন। এই সত্য চার্চ গোপণ করে ফেলেছে। না হলে যীশুকে খোদা বানানো এবং ক্রুশিফিকশন কাহিনী ভুল প্রমাণ হবে।

৬। একজন পথপ্রদশকের জীবনের ঝুকির জন্য মিথ্যা বলে ধোকা দিয়ে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করতে পারেন না।
-একদম সত্য কথা বলেছেন। ঈমান তাহলে কই গেল?

৭। আর উনি যদি তখন পরিকল্পনা করেও থাকেন তিনি কি জানতেন যে সৃস্টিকতা তাকে উপরে নিয়ে গিয়ে আবার পৃথিবিতে নিয়ে আসবেন?
-আমার মনে হয় যীশু এটা জানতেন। আর তাই ডামি আগেই বানিয়ে রেখেছিলেন জুডাস'কে দিয়ে।

৮। অবশ্য যীষু বেচে ছিলেন এবং তিনি পরে ভারতের কাস্মীরে চলে গিয়েছিলেন এমন একটা কাহিনি আছে। যেটাতে কিন্তু অলৌকিক বিষয় নেই, যথেস্ঠ বাস্তবতা আছে।
-এটাতে আবার কাদিয়ানীরা জড়িত আছে শুনেছিলাম। মেরির কবর আছে নাকি কাশ্মীরে! একট বই আছে। পুরোটা পড়া হয়নি। পড়া হলে একটা পোস্ট দিতে পারবো।

প্রিয় ভাই, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল কঠিন বিষয়, অবশ্যই; রূপকথার প্যাঁচ খুলছেন বসে বসে, সহজ বিষয়; এসব প্যাঁচ খোলার জন্য জাতি আপনাদেরকে ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছে; ভালো

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমি লেখাপড়া শেষ করেছি প্রায় আঠারো বছর আগে।
কাকে কী বলছেন আপনি? মাথা ঠিক আছে?

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: জুদাসকে যদি ভিলেন বলেন, তাহলে রোমানদের কি বলবেন? যদিও এটা ঠিক পন্টিয়াস পাইলেটের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হলো, সাধারণ ইহুদিরা আশায় ছিলো তাদের বহু প্রতীক্ষিত মেসায়াহ বা ত্রাণকর্তার যে এসে উদ্ধার করবে রোমানদের অধীনে শাসিত দুর্দশাগ্রস্থ ইহুদীদের, কিন্তু এ কী! তারা কি দেখলো? সাধারণ আলখেল্লা-পরা নাজারেথের জেসাস এসে বলছে সাম্য, মহানুভবতা, মৈত্রী আর ধৈর্য-ধারণের কথা যখন তাদের প্রয়োজন ছিলো রোমানদের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী যোদ্ধার। সুতরাং, ইহুদীদের র‍্যাবাই "কায়াফাস"- রোমান পন্টিয়াসের "কানভারি" করে "বিশ্বাসঘাতক" জুডাসের সাহায্য নিয়ে শেষপর্যন্ত ক্রশে ঝোলালো জেসাসকে। তাই ভিলেনের চরিত্রে আমরা কিন্তু মূলতা জিউ-রোমান মৈত্রীকেই দেখছি। অথচ দেখুন, এ ঘটনার প্রায় তিনশো বছর পরে সেই সময়ের রোমান সম্রাট কনস্ট্যানটাইন যদি বাইজেন্টাইনে খ্রীস্টান ধর্মকে প্যাগান ধর্মের পাশাপাশি স্বীকৃতি না দিতেন, তাহলে আজকের বাস্তবতা অন্যরকম হতো, খ্রীস্টানরাও কোনদিন আজকের মতন বিশ্বের বৃহৎ ধর্মগোষ্ঠী হতো না, ইউরোপ-আমেরিকার ধর্মীয় ইতিহাসও খ্রীস্টান ধর্মকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো না। দেখুন রোমানদের অধীনে জেসাসের ক্রসিফিক্সন হয়েছিলো, আবার রোমানরাই খ্রীস্ট ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করেছিলো বিশ্বে (যদিও সেটা নিজ সাম্রাজ্যের অখন্ডতা রক্ষার্থে)। তাই বলি কি, ঘটনাটা কে ভিলেন কে নায়ক এরকম জেনারাইলজড্ হয়তো না, হয়তো এটা ইতিহাসের প্রবহমান প্রক্রিয়া যার মধ্যে সবাই-কেই তৎকালীন বাস্তবতার নিরীখে দেখতে হবে। জুডাসের অর্থ প্রয়োজন ছিলো (জুডাস যে মেয়েকে ভালোবাসতো সে বিপদে পড়েছিলো) একটি মেয়েকে বাঁচানোর জন্য, আর ভালোবাসার খাতিরে সে নিজের গুরুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। এরকম একটি গল্প আছে, কতটুকু অথেন্টিক জানি না। শেষপর্যন্ত তাই জুডাস বিতর্কিত, জুডাস বিশ্বাসঘাতক, জুডাস অবশ্যই আত্নদ্বন্ধে জর্জরিত একজন ব্যক্তি। তবে তার বিশেষত্ন এখানেই যে, জেসাসের ভাষ্যে-- সবকিছু পিতার ইচ্ছায় ঘটছে, জেসাসের নিজের নিয়তিও তার পিতা কর্তৃক নির্ধারিত যার মধ্যে সমর্পিত হওয়া ছাড়া জেসাসের সামনে ভিন্ন কোন পথ নেই আর জুডাস লর্ডের সেই মহান ইচ্ছার বাস্তবায়নকারী মাত্র- সুতরাং জুডাস নির্দোষ।

আমি যা বলেছি তা খ্রীস্টিয়দের চোখ দিয়ে দেখা, মুসলিমদের দৃষ্টিকোন হতে ব্যাপারটা ভিন্ন। ভালো থাকবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় বিপ্লব ভাই,
জুডাসের অর্থ প্রয়োজন ছিলো (জুডাস যে মেয়েকে ভালোবাসতো সে বিপদে পড়েছিলো) একটি মেয়েকে বাঁচানোর জন্য, আর ভালোবাসার খাতিরে সে নিজের গুরুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। এরকম একটি গল্প আছে, কতটুকু অথেন্টিক জানি না।
এটা মনে হয় অথেন্টিক না। আমি এই ঘটনার কোন সূত্র বা লেখা পাই নি।
দৃষ্টিকোন অবশ্যই বিশাল ফ্যাক্টর। আমি তার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তই নেই নি। সব পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়েছে।
আপনার ২টা মন্তব্যই খুব সুন্দর হয়েছে। কৃতজ্ঞতা রইলো। আশা করছি নিয়মিতই আপনাকে আমার ব্লগে পাবো।
শুভ কামনা রইলো।

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুন বলেছেন: নীল আকাশ বড়ই জটিল বিষয় । পড়তে পড়তে মাথা আউলায়া যাওয়ার অবস্থা । কেরী সাহেবের মুন্সী উপন্যাসটি পড়ার সময় ম্যাথিও লিখিত সুসমাচার কথাটি আমি পাদ্রী কেরীর মুখে অনেকবার উল্লেখ করতে শুনেছি ।
তবে জুডাসের চরিত্রটি আমার কাছে জুলিয়াস সিজারের হত্যাকারী ব্রুটাসের মতই লাগে যাকে উদ্যত ছুরি হাতে দেখে বিস্মিত সিজার বলেছিল Et tu, Brute অর্থাৎ তুমিও ব্রুটাস !!
+

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
বাইবেলগুলি সবচেয়ে কনফিউজিং। একেকজন একেক রকম চিন্তাভাবনা নিয়ে লিখে গেছে। কারও সাথে কারও মিল খুজে পাবেন না জটিল কোন বিষয়ে। এরা কেউ নিজের চোখেই জেসাস'কে দেখেনি। আসল সত্যের লেশমাত্রও নেই!
নিজেরা যেমন বিভ্রান্ত, যারা পড়বে তারাও বিভ্রান্তই হবে।
ধন্যবাদ।

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১০

শের শায়রী বলেছেন: পুরা লিখাটা পড়তে গিয়ে দারুন এক প্লট পাইলাম দ্য ডা ভিঞ্চি কোডের মত। ধর্ম বা প্যাচ খোলার থেকে আমার মাথায় হেভী এক প্লট ঘুরতাছে, বিশাল এক প্লট। তবে আমাকে দিয়ে কাজ হবে না এটার জন্য লাগবে ড্যান ব্রাউন মার্কা কাউকে, ভেবে দেখুন যে জুডাস কে ইতিহাসে সবাই বেঈমান হিসাবে জানে সেই কিনা এত বড় অপবাদ মেনে নিল শুধু যীশুর প্রতি আত্মোৎসর্গ করে, যীশুর জায়গায় নিজেকে ক্রুশে বিদ্ধ করে, লিখব নাকি মানে লেখার অপচেষ্টা চালাব নাকি একটা ফ্যান্টাসি!

দারুন পাঠে মুগ্ধ। অনেক কিছু এক জায়গায় আনতে অনেক পরিশ্রম গেছে ভাই। ভালো থাকুন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: বড়ই দুঃসাহসিক একটা কাজের লোভ দেখাচ্ছেন!!!
আমি এটা নিয়ে একটা পৌরাণিক গল্প লেখার ইতিমধ্যেই প্লট দাড়া করেছি। দেখা যাক!
আমার এই লেখার মূল উৎসাহ কিন্তু আপনার কাছেই পেয়েছি। অনেকটা আপনার তুরিনের লেখার পরের লেখা!
ভালো, সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুন প্রিয় ভাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনিও একটা লিখুন, আমিও চেষ্টা করি। দেখা যাক কেমন হয়!

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হুম, পুরোটাই একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ করোনার ভিড়ে অন্য রকম একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্য।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আবার ফিরে আসার জন্য।
সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুন ভাই।

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



যীশু ছিলেন একজন বিপ্লবী ইহুদী, যিনি রোমানদের ও জেরুসালেমের গ্রান্ড রাবাই'এর বিরোধীতা করেছিলেন; তিনি জেরুসালেমের চাননি যে, জেরুসালেমের রাবাইরা রোমানদের পোষা হয়ে থাকুক; রোমানরা উনাকে নিয়ে মাথা ঘামাতে চাহেনি, কিন্তু উনার নিজের কিছু ভুল ষ্টেইমেন্ট ও রাবাইদের রোষে পড়ে রোমানদের হাতে ক্রুশবিদ্ধ হন।

উনি কোনদিনও আর আসবেন না; মানুষের মৃত্যু হলে কোন মানুষ আবার আসার সম্ভাবনা নেই; যারা বলে মৃত মানুষ ফিরে আসবে, তারা বেকুবের হদ্দ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু কিছু একদম ভুল বলেন নি। ইয়াহুদীরা এবং নব্য খ্রিস্টানরা উনার সাথে বেঈমানী না করলে ইতিহাস হয়তো অন্যভাবেই লেখা হতো।
কিন্তু আমার লেখার মূল থীম ধরতে পারেন নি। গস্পেলগুলির মাঝে বিশাল কিছু ফাঁক আছে, কিছু শূণ্যস্থান আছে। যেটা খ্রিস্টানরা অনেক চেষ্টা করেও মিলাতে পারেনি।
আপনার যদি আগ্রহ থাকে তাহলে নিকেশিয়া কাউন্সেল নামে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন যেখানে মানুষ জেসাস'কে কিভাবে প্রভু/সৃষ্টিকর্তা বানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৭

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: অসাধারণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, "কিন্তু আমার লেখার মূল থীম ধরতে পারেন নি। গস্পেলগুলির মাঝে বিশাল কিছু ফাঁক আছে, কিছু শূণ্যস্থান আছে। যেটা খ্রিস্টানরা অনেক চেষ্টা করেও মিলাতে পারেনি। "

-আপনার পোষ্টে কোন থিমও নেই, কোন ভিমও নেই; সব যোগ করলে খ্রিষ্টানদের ১ কোটীর বেশী পিএইচডি/মাষ্টার্স ছিলো থিওলোজীতে; আপনি কি ওদের চেয়ে জ্ঞানী হয়ে গেছেন? আপনি তাবলীগের ম্যাঁওপ্যাঁও হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মের গোসপেল নিয়ে পন্ডিতি করছেন? খ্রিষ্টানদের একা ভেটিকানে যেসব পিএইচডি আছে, আপনি ওদের জ্ঞানের কাছে রাখাল বালক।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট না পড়ে আন্দাজে মন্তব্য করার অভ্যাস গেল না আপনার!
পোস্টে দেখেছেন, কানাডিয়ান বাইবেল স্কলার ক্লাসেন কী বলেছে?
সারাদিন ধরে ব্লগে ম্যাওপ্যাও পোস্ট দিতে দিতে নিজেই প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন হয়ে
গেছেন।
পোস্ট আগে ভালো মতো পড়ুন। সেইন্ট পল কী বলেছে সেটা দেখে আসুন!
আপনি তো দেখি সেইন্ট পলের চেয়েও খ্রীস্ট ধর্ম বেশি বুঝেন!
সব জায়গায় আন্দাজে মন্তব্য করবেন না।

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাব্বাস। কতদিন লাগলো আপনার এই পোস্টটি তৈরি করতে? মানে ঘেঁটে ঘ করে ছেড়েছেন। আপনার পোস্টের কল্যাণে জানলাম জুডাসের আদি বৃত্তান্ত। কিন্তু তবুও পরিষ্কার হলো না জুডাস আসলে কে? সে তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ দিয়েছে ;আবার সে বিশ্বাসঘাতকতার শিরোপাও পেয়েছে। অথচ সে যে বিশ্বাসঘাতকতা করবে ওহী প্রাপ্ত যীশুর তা জানার কথা। আর জেনেও তাকে 12 জন সাথীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সাথীতে পরিণত করেছিলেন। অথচ গসপেল গুলিতে এ সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সব মিলিয়ে জুডাস প্রশ্নটা অমীমাংসিত থেকে গেল।

তথ্যবহুল পরিশ্রমী পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।


১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলাম। এই বিষয়টা আমাকে কনফিউজড করেছে মারাত্মক।
মূল সমস্যা হলো, যেই জায়গা থেকে আসল কাহিনী পাওয়া যেত, সেই বাইবেলগুলি এত বেশি পরিবর্তন করে ফেলেছে যে আসল সত্য ইতিহাসের পাতায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।
কেউ আর সেই আসল সত্য জানতে পারবে না।
ধন্যবাদ রইলো।

২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়লাম, সেই সাথে প্রিয়তে। অসুস্থ আছি। চেষ্টা করবো পরে কোন এক সময় বিস্তারিত মন্তব্যে আসার।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে মন খারাপ হলো।
নিজের যত্ন নিবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

২২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঈসা (আ:) সম্পর্কে ইসলাম ধর্ম ও কুরআন যা বলেছে তাই সঠিক। ++++++

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সেটাই কোন রকম তর্ক ছাড়াই বিশ্বাস করতে হবে।
ধন্যবাদ।

২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৯

Rajibrpsoft বলেছেন: পৃথিবীটা আসলে টিকেই আছে বিশ্বাসের জোরে...অনেক কষ্ট করেছেন এতটা লিখতে পেরেছেন এর জন্য অসংক্ষ্য ধন্যবাদ । আমরা সবাই বলতে গেলে দেখবেন এখানেও বাংলার প্যাচ লেগে গেছে। তাই মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করে চলি ঈসা (আ:) বেচে আছে।

সবাই বলছে আমিও বলে যাই বেশ আগে শুনেছিলাম কোনদিন এর সত্যতা মাপতে যায়নি ঐ সময় রোমানদের মাঝে একজন বীর যোদধা ছিলেন এবং তিনি বেশ নিদ'য় ও ছিলেন নাকি...উনাকেই বলা হ্য় যে ঈসা(আ) কে মেরে ফেলতে । সে তার দলবল নিয়ে মেরে ফেলতে গেলে জুদাস এই ব্যক্তিটি বলে দিয়েছিল বাকিরা সবাই পালিয়ে গেছে আর উনি ঘরেই আছেন ... সেই রোমান সেনা অন্যদের ঘরের বাইরে থাকতে বলে আর বলে আমিই ওকে নিয়ে আসছি ..কিন্তু ততক্ষনে আল্লাহ তালা উনাকে উঠাই নেন সে সেনা ঘরে গিয়ে দেখে কেউ নেই আর সে মনের কষ্টে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে কিন্তু এর ভেতর উনার চেহারা যে পরিবত;ন হয়ে গেছে তা আর সে বুঝতে পারেনি । সবাই তাকে ঈসা ভেবে পাকরাও করে সবাই মনে করে ঈসা (আ) তাদের সেনাকে মেরে ফেলেছে তাই অন্য সব সেনারা তাকে জোর পূব;ক নিয়ে গিয়ে ক্রুশবিদ্দ করে

ভাই আবারো বলছি শোনা কাহিনী ....দয়া করে হাসবেন না

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: রাজিব ভাই,
আপনি যেটা লিখেছেন এটাও একটা প্রচলিত কাহিনী। তবে সবগুলির মাঝে ইবন কাসীরের মতামত'টাই (লেখার মাঝে আমি যেটা দিয়েছি) কেন যেন আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। পড়ে দেখুন আরেকবার। সব গিট্টূ একবারে খুলে যাবে।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর সকল ধর্ম ইতিহাস ঘটনার শত শত বছর পর লিখিত হয়েছে।
ধর্মকে ব্যবহার করে সুবিধাবাদি ধর্মিয় গোষ্ঠিরা যার যার সুবিধামত কাহিনী পরিবর্তিত করেছে, অলৌকিকতা আমদানি করেছে। এমনকি নতুন চরিত্রও শৃষ্টি করেছে।
পরস্পরের সাথে সংঘাতে লিপ্ত ইসলামি গোষ্ঠিও এর ব্যাতিক্রম নহে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাই,
আপনার এই কথা বাইবেল বা গস্পেলের ব্যাপারে ১০০% সঠিক। সামান্য কিছু সূত্র খুজে যেয়েই আমার মাথা খারাপ অবস্থা!
ভ্যাটিক্যানের সূত্র মতে লূক নিজেই কোনদিন জেসাস'কে দেখেন নি। না দেখেই পোলের মুখে শুনে এই গস্পেল লিখে ফেলেছেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইসব গসপেল পড়ার টাইম নাই। আপনি যখন এতো কষ্ট করে লিখেছেন.....ইন্টারেস্টিংই হবে। বড় লেখা, সময় নিয়ে পড়তে হবে (বাংলা অংশ......ইংরেজি পড়ে বুঝতে অসুবিধা হয় :(( )। হোম অফিসের যন্ত্রণায় বাচি না.....মহা ঝামেলার মধ্যে আছি। :(

ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তো!! কেয়ারফুল থাইকেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাবছি আপনার জন্য বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে নতুন একটা বাংলিশ ভাষা বানানো যায় কি না?
আপনিও খুব সাবধানে আর নিরাপদে থাকবেন।
আচ্ছা রহমান লতিফ ভাঈয়ের কোন হদিস জানেন? উনি তো আপনাদের ওখানেই থাকেন।

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ভাল লিখেছেন । পুরো লিখাটা ৩ বার পড়লাম । মাথায় অলরেডি প্যাচ লেগে গেছে । এই বিষয়ে বাংলায় লিখালিখি কম । আপনার এই লিখা সমৃদ্ধ করবে আমাদের ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। আমি অনেক পড়াশুনা করেছি এটা নিয়ে। কিন্তু এটার প্যাঁচ খুলতে পারি নি। কোন কিছু গোপন করা হয়েছে এখানে। তাই আপনাদের পড়তে দিলাম।
তবে আমার কাছে ইবন কাসীরের দেয়া লেখাটাই বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,

জটিল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন এবং অবশ্যই সময়
করে পড়ে নিয়ে আবার আসবো । আপাতত উপস্থিত জানিয়ে গেলাম অনেকদিন পর আসলাম তো -তাই ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকে সময় পেয়ে আপনার লেখাটা বিস্তারিত পড়লাম।

আপনি অনেক প্যাচ আবিস্কার করেছেন। প্যাচ থাকাটাই স্বাভাবিক। দু'হাজার বছর আগের ঘটনার সেই সময়কালীন স্পেসিফিক বর্ণনা যদি না থাকে, কিংবা তখন থেকেই বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক বর্ণনা থাকে, তাহলে আজকের মানুষ এর ঠিক-বেঠিক বুঝবে কিভাবে? নো চান্স। লজিক বলছে, জুডাস ক্রিমিনাল ছিল না। বাকীটা আল্লাহই ভালো জানেন। আপনার অনুসন্ধানের চেষ্টা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। গুড জব!!

ব্লগার ল এর নাম্বার বলেছিলেন আপনার কাছে আছে। আমার ই-মেইল এড্রেসও আপনাকে দিয়েছিলাম। নাম্বার না পাঠালে খবর কিভাবে নিবো? আমার তো কোনও অতিন্দ্রীয় ক্ষমতা নাই!!! B-)

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: স্যরি ভাই। নাম্বার এখানেই দিয়ে দিচ্ছি।
+৪৪৭৯০৩১৫৫৭৫৫
আমি কাওসার ভাইয়ের কাছে পেয়েছি। আপনাকে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
আমি নিজেই বিশ্বাস করি জুডাস নিজেকে যীশুর জন্য সাক্রিফাইস করে গেছেন।
লতিফ ভাইয়ের খোজ পেলে আমাকে জানাবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ই-মেইল এড্রেসও আপনাকে দিয়েছিলাম।
স্যরি, ভুলে গেছি। কষ্ট করে কী আবার দেবেন? পাবার পর মন্তব্য মুছে দেবো আপনি বললে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.