নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরিকল্পিতভাবে যেমন সুন্দর বাগান তৈরী সম্ভব নয়,\nতেমনি অপরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটা সুন্দর জাতী তৈরী সম্ভব নয়।\nআগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়- কর্মমুখী,নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা চাই,\nবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির বোঝা তৈরী হয়, সম্পদ নয়।\n\

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাঙ্গামাটি ভ্রমন(২)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৫

প্রথম অংশের পরঃ



রিজার্ভ বাজারে দুই দিন থাকার পর এরপর যাত্রাশুরু হলো বরকলের উদ্দেশ্যে। রিজার্ভ বাজার থেকে লঞ্চে উঠলাম। ঘাটে এক পত্রিকাওয়ালা দেখা মিললো। সবগুলো একদিন অাগের পত্রিকা। লঞ্চের মধ্যে উঠে দেখি এক বৃদ্ধা মহিলা বিড়ি ফুকছেন। তার সামনেই ত্রিশ বস্তা বিড়ি। সেই বস্তা কিন্তু ছোট নয় অনেক বড়।

কিছু দুর যাওয়ার পর শুভলংয়ের ঝর্ণা চোখে পড়লো।তার পাশেই বিরাট একটা পাহাড় চোখে পোড়লো যাত্রা শেষ হওয়ার পরও সেই বড় পাহাড় চোখে পড়লো। মনে হচ্ছে মেঘ জমে অাছে পাহাড়ের মাথাই। এটা কালো পাহাড়। নানা ভাই গল্পো বললেন,প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন পাহাড়ে বাঙালী নিয়ে অাসেন। তখন কালো পাহাড়ের উপর সেনা ক্যাম্প তৈরীতে বড় বড় পাথর ব্যবহার করতো। এই পাথরের ওজন ছিলো এক একটি দুইমন করে। নিচ থেকে পাহাড় বয়ে পাহাড়েন উপর এই পাথর নিতে হতো। একটা পাথর উঠাতে পারলে ৫০ টাকা মজুরি দিতো সরকার। একটা পাথর উঠাতে ৪ জন মানুষের অর্ধেক দিন পার হয়ে যেতো।

লঞ্চ থেকে নেমে এক পাহাড়ি বাঙালির বাসাই উঠলাম। সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করলাম। পাহাড়ি স্থানীয় বাজারে ঘুরতে গোলাম। পাহাড়ের মাঝে একটা ছোট্ট মসজিদ চোখে পড়লো। পাশ্বেই একটা টিউবওয়েল। টিউবওয়েল থেকে পানি উঠাতে গিয়ে অামার ঘাম ছুটে গেলো। পাহাড়ী মুরগী ও নদীর মাছ দিয়ে খাওয়া দাওয়া হলো। স্বাদটা একটু অন্যরকম। যে বাড়ীতে উঠেছিলাম সেই বড়ীর একটা ছেলেকে বললাম, কালো পাহাড়ে উঠতে হবে, সে বলছে ওখানে অপরিচিত মানুষ গেলে ফিরে অাসা কষ্ট হয়ে যায়।পাহাড়ী চাকমা মেয়েরা খুব খারাপ হয়।

অাবার যাত্রা শুরু হলো রিজার্ভ বাজারের দিকে। নদীর পাশদিয়ে অাসতে গিয় পাহাড় গুলো এতো সুন্দর লাকছিলো। মনে হচ্ছে যেনো কেও সুন্দর করে পাহাড় কেটে নদীর সাথে লাগায়ে রেখেছে। না দেখলে অাসলে বুঝানো কষ্ট।


রিজার্ভ বাজারে অাবারও তিন দিন থাকা হলো। রাঙ্গামাটি এসেই একটি সমস্যাই পড়ে গেছিলাম। সেটা হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকা। কারন জানতে চাইলে এক বাঙ্গালি দোকানদার বললো, ভাই ভারত থেকে গোয়েন্দা প্রবেশ করেছে, চাকমাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং অনেক ভারতের গয়েন্দা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। একটা বড় সমস্যা তৈরী করবে এমন একটা সংবাদ প্রশাসনের কাছে অাছে। তাই সকল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ। বাসাই ফোন করার জন্য ফোনে দোকান খুজতে লাগলাম কোথাও দোকান নেই। একটা দোকান পেলাম। যার একটা ভাঙ্গা টেলিফোন অাছে অার সিটিসেল মোবাইল দিয়ে অামাকে কথা বলিয়ে দিলো।ঐ দুকানির সাথে বেশ ভালোই ভাবজমে যায়। অামাকে একদিন দোকানে রেখে অাসছি বলে প্রায় ২ঘন্টা পার করে দেয়। যখন ফেরে তখন অামি বললাম ভাই অামারে তো রেখে গেলেন। অামার চিনেন না। অামি যদি সব নিয়ে চলে যেতাম। তখন বলছে, ব্যবসা করতে গেলে সব সময় বিশ্বাস রাখতে হয়। বিশ্বাস ব্যবসার অন্য তম হাতিয়ার।

ঝুলন্ত সেতুর নাম শুনেছি, মনে মনে ভেবেছি সেটা অাবার কেমন খুটি বাদে সেতু। তাই দেখতে গেলাম ঝুলন্ত সেতু।

রাঙ্গামাটি ভ্রমনটা অনেক ভালোলেগেছিল। কিন্তু কষ্টের বিষয় অামার নানাভাই ২০১৪ তে পৃথিবি থেকে চীরবিদায় নিয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

টাইম টিউনার বলেছেন: ভালো :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.