নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//
ইতিহাসের পাতাই নজর বুলিয়ে অাসি। দেখা যাক অাতিতের বাংলার রাজনৈতিক চিত্র কেমন ছিলো।
খ্রিষ্টীয় পূর্ব ৩২৭-২৬ অাব্দে গ্রীক বীর অালেকজান্ডারের ভারত বিজয়। অবশেষে ফিরে যাওয়ার পর পরই সারা ভারত বর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল অাবার স্বাধীন হতে শুরু করে। মূলত ভারত বর্ষের ইতিহাস খ্রিষ্টীয় পূর্ব ৩২৭ অাব্দ থেকেই জানা যায়। তার অাগে এভাবে ইতিহাস লিখা ছিলো না। অার এই ইতিহাস মূলত বিভিন্ন গ্রীক লেখকের লেখনি থেকে পাওয়া যায়। গ্রীক লেখকদের কথাই তখন বাংলাদেশকে "গঙ্গারিডই" বলা হতো। গঙ্গারিডই এক শক্তিশালী রাজ্য ছিল।
মৌর্য শাসনের সময়(২৬৯-২৩২খ্রিস্টপূর্ব) বাংলা মৌর্য শাসনের অধিনে অাসে। ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ৩২০ খ্রিষ্টাব্দে, তখন বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো।
৫২৫-৬০০ খ্রিষ্টাব্দে গোচন্দ্র,ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করতেন।
৭৫০- ১১৬১ পাল বংশের শাসনের সময় বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন রাজ বংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
★৭ম শতক খড়গ বংশ রাজধানী কর্মান্ত বাসক(কুমিল্লা)-রাজত্ব- ত্রিপুরা, নোয়াখালী অঞ্চল।
★৮ম শতক দেব বংশ রাজধানী দেবপর্বত(কুমিল্লা)-রাজত্ব- সমগ্র সমতট অঞ্চল।
★৯ম শতক কান্তিদেবের বংশ রাজধানী বর্ধমানপুর(অজ্ঞাত অঞ্চল)-রাজত্ব- সিলেট অঞ্চল।
★১০ম শতক চন্দ্র বংশ -লামাই পহাড় ছিল মূল কেন্দ্র-রাজত্ব- বঙ্গ ও সমতট অঞ্চল। পরে রাজ্য অারো বিস্তার লাভ করে, তখন রাজধানী হয় মুন্সিগজ্ঞ জেলার বিক্রমপুর।
★১১শ শতক বর্ম বংশ রাজধানী মুন্সিগজ্ঞ জেলার বিক্রমপুর।
১০৬১-১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ সেন বংশ বাংলা শাসন করে।
১২০৪-১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় মুসলিম শাসনের সুত্রপাত হয়।এ সময় অনেক শাসকই নিজেদেরকে স্বাধীন হিসেবে দাবি করেন।
ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীীন বারানী বাংলাদেশের নাম দিয়েছিলেন "বুলগাকপুর" এর অর্থ বিদ্রোহের নগরী।
১৩৩৮-১৫৩৮ বাংলার স্বাধীন সুলতানী অামল।
১৫৩৮-১৫৭৬ বারভূঁইয়াদের শাসন অামল।এই সময় মুঘলদের অধিকার না মেনেনিয়ে "বার ভূঁইয়ারা" বাংলায় স্বাধীনভাবে জমিদারি করেছেন।
১৫৭৬- -১৭৫৭ মুঘল শাসন অামল। এসময় মুর্শিদ কুলী খানের(১৭০০- -১৭২৭) হাত ধরেই মুলত বাংলার স্বাধীন শাসন ব্যবস্থা চালু হয়। মুঘল সম্রাটের অনুমদনে নয় বরং বাহুবলে বাংলার ক্ষমতা দখল করেন অালীবর্দী খান( ১৭৪০- ১৭৫৬)।
১৭৫৭-১৯৪৭ ব্রিটিশ শাসন অামল।অাঠারো ও উনিশ শতকের ব্রিটিশ বিরোধী অান্দোলনের সুত্রপাত করে বাংলার কৃষক ও সাধারন মানুষ।এমনকি মনে করা হয় ব্রিটিশ বিরোধী অান্দোলনে বাংলা প্রদেশের বেশি ভূমিকা রাখা বঙ্গ ভঙ্গের অন্যতম কারন।একবার অামাদের ক্লাস চলা কালে ম্যামকে প্রশ্ন করেছিলাম। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পড়তে গেলে কেন বাঙালিদের কথা কেন বেশি অাসে? ম্যাম বলেছিলেন অনেকে বলেন বাঙালিরা যেটা বোঝে ভারতের অন্য প্রদেশ তা একশত বছর পরে বোঝে। জানিনা কথাটা কতটুকু সত্য।
যাহোক, বাংলা প্রাগঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলা ধনভান্ডারে ভরপুর থাকাই অনেকে এখানে এসে হামলা করেছে।অাবার হয়েছে বাংলা স্বাধীন। দেখা যায় কেন্দ্রীয় শাসনের অধিনে বাংলার জনপদ বেশিদিন থাকেনি। বারবার করেছে বিদ্রোহ হয়েছে স্বাধীন।
সর্বশেষ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাই পূর্ণ স্বাধীনতা। হয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাবছিলাম বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা কেন্দীদীক কিছু লিখবো। তাই ইতিহাস থেকে একটু লিখলাম।
অাপনার পরামর্শটা ভালোলেগেছে
[sd]জানুয়ারী মাসে কত বাচ্ছা প্রথমবার স্কুলে যাবে, সেটা নিয়ে কথা বলুন; আলেকজান্ডার পান্ডার দিয়ে আমরা কি করবো এখন[/sd]
অবশ্যই চেষ্টা করবো
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
জানুয়ারী মাসে কত বাচ্ছা প্রথমবার স্কুলে যাবে, সেটা নিয়ে কথা বলুন; আলেকজান্ডার পান্ডার দিয়ে আমরা কি করবো এখন?