নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরিকল্পিতভাবে যেমন সুন্দর বাগান তৈরী সম্ভব নয়,\nতেমনি অপরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটা সুন্দর জাতী তৈরী সম্ভব নয়।\nআগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়- কর্মমুখী,নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা চাই,\nবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির বোঝা তৈরী হয়, সম্পদ নয়।\n\

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

টুকরো চিন্তা ২৮/৫

২৮ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৫৬

চিন্তা করছেন কি
এবার ঈদে গ্রামে যাওয়ার পর খুব কষ্ট অনুভব করেছি। সেই মানুষগুলো এখন আর সাদামাটা নেই তারা রঙিন হয়ে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে বড় বড় এন্ড্রয়েড মোবাইল। গ্রামে প্রবেশ করেছে ওয়াইফাই লাইন। সেই ওয়াইফাই লাইন কে কেন্দ্র করে বাচ্চাদের জোট লেগে যাচ্ছে। এমবি কেনার টাকার জন্য এইট নাইন এর ছাত্ররা খেতে কামলার কাজ করছে। অনেকে কামলা দিয়ে মোবাইল কিনে ফেলেছে। অনেক বেশি চিন্তিত হয়েছি গ্রামের মানুষ সুদের সাথে একাকার হয়েগেছে। ক্ষুদ্রঋণ অথবা যেটা সাপ্তাহিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। এমন ঋণের কারণে গ্রাম ছেড়েছে মানুষ। কতিপয় মানুষ ভালো আছে কেমন ভালো আছে সুদের কারবারি করে। টাকা ফেরত জমি বন্ধক রাখা এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশের অন্য জেলাগুলোতে আছে কিনা জানিনা কিন্তু আমাদের অঞ্চলে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মনে করেন আপনার এক বিঘা জমি আছে হঠাৎ আপনি অভাবে পড়েছেন (এমনতো অবস্থায় গ্রামগুলোতে এখন আর কর্জ/হাওলাদের প্রবণতা নাই) এই অভাব থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই রাস্তা অবশিষ্ট আছে সেটা হল আপনার ওই জমি টাকা ফেরত বন্ধক দেওয়া। এটার জন্য আপনাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হবে। যিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনাকে দিচ্ছেন যতদিন আপনি ঐ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দিতে না পারবেন ততদিন আপনার জমি তার হস্তগত থাকবে। অনেকে আছে ১০-১৫ বছরেও জমি ফেরত নিতে পারে নাই।
এই ব্যবসা করে অনেকেই জমি কিনছেন। গ্রামে আমাকে একজন পরিসংখ্যান দিয়েছিল এই পদ্ধতির বাইরে দু-পাঁচ জন থাকতে পারে কতিপয় মানুষ টাকার বিনিময়ে বন্ধক নিচ্ছে অসংখ্য মানুষ দিচ্ছে। গ্রামের মধ্যম শ্রেণীর মানুষ ক্ষুদ্রঋণ এবং বন্ধকী জমি থাকার কারণে নাচতে-নাবত হয়ে যাচ্ছে। এর উত্তরণের রাস্তা কেউ দেখাচ্ছেনা। ওয়াজীন বক্তা সুদ হারাম বলে এক ঘন্টা বক্তব্য দিয়ে কিছু টাকা বকশিস নিয়ে চলে যাচ্ছে। উত্তরনের রাস্তা কেউ বলছে না। এবার ঈদের আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল যতটুকু সম্ভব সুদ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম । কারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়ের মধ্যে সুদ ঢুকে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পেরেছিলাম কর্জে হাসানা ফান্ড এর মাধ্যমে সুদ নিধনের ক্ষুদ্র প্রয়াস অনেক জায়গাতেই চালু হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে চিন্তা করেছি ১০০ জনের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে স্থায়ী দান হিসেবে নিব আমাদের ফান্ড হবে এক লক্ষ টাকা এই টাকা দিয়ে কর্জে হাসানা চালু হবে। এতটুকু ক্ষুদ্র ১০০০ টাকা দিয়ে কত বড় চিন্তা করতে পারছি । যদি ধনীদের কাছ থেকে যাকাত নিয়ে দরিদ্রদের দেওয়া যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। সুদ নিধনের জন্য আপনার এলাকায় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন আশা করি অর্থের অভাব হবে না ইনশাআল্লাহ।

কপি
আতিকুর রহমান

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর।
এই নিয়মক সব গ্রামে চালু হলে ভালো।

২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ বড়ভাই

২| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখক ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সুদের কারণে সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হয়। সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রুপান্তরিত করার জন্য সমবায় বা অনুরুপ উদ্যোগ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেয়া উচিত।

২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: রাষ্ট্র কি আর এসব ভাবে এখন!

৩| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অযথা খরচ বলে মনে হচ্ছে!

২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: মনে হতেই পারে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.