নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//
মানুষের মনে কুপ্রবৃত্তি আসার সংগে সংগে - লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়ুল আজীম - আয়ুযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তনির রজিম।
-আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই, আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর দরবারে সাহায্য চাইতেছি -বলে বামদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেলার মাধ্যমে- মনের কুচিন্তা দূর করা সম্ভব। এর জন্য দরকার মনের দৃঢ়তা ও ঐকান্তিক ইচ্ছা ।
সকাল-বিকাল কুরআন তিলাওয়াত এবং তাহাজ্জুদের নামাজ মানুষের মনের কুপ্রবৃত্তি দমনে সাহায্য করে।
নাফস মানে প্রবৃত্তি আর হাওয়া মানে কুপ্রবৃত্তি। দেহের যাবতীয় দাবিকে এক সাথে নাফস বলে।
মানুষের নফস মজ্জাগত ও স্বভাবগতভাবেই আম্মারাতুন বিছ-ছু অর্থাৎ পাপ কাজের দিকে আসক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু ইমান, সৎকর্ম ও সাধনার বলে সে নফসে লাওয়ামাহ হয়ে যায় এবং মন্দকাজ ও ত্রুটির কারণে অনুতপ্ত হতে শুরু করে। কিন্তু মন্দকাজ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয় না। এরপর সৎকর্মে উন্নতি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে করতে যখন শরীয়তের আদেশ-নিষেধ প্রতিপালন তার মজ্জাগত ব্যাপার হয়ে যায় এবং শরীয়ত বিরোধী কাজের প্রতি স্বভাবগত ঘৃণা অনুভব করতে থাকে তখন এ নফসই ‘মুতমায়িন্নাহ’ উপাধি প্রাপ্ত হয়।
নফসের এ স্তরভিত্তিক বর্ণনায় সুস্পষ্ট যে, নফস মোট তিন প্রকার।
১. নফসে আম্মারা (প্রতারক আত্মা)- যা মানুষকে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে অর্থাৎ যে নফস মানুষকে কুপ্রবৃত্তি ও জৈবিক কামনার দিকে আকৃষ্ট করে।
আল্লাহ বলেন- "আর আমি নিজকে নির্দোষ মনে করিনা, কেননা নিশ্চয় মানুষের নাফস খারাপ কাজের নির্দেশ দিয়েই থাকে(১), কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার রব দয়া করেন(২)। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"( সূরা ইউসুফ-৫৩) ।
২. নফসে লাওয়ামাহ (অনুশোচনাকারী আত্মা) - যে নফস অন্যায় করার পর মানুষের হৃদয়ে অনুশোচনার উদ্রেক করে। কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন নফসে লাওয়ামাহ- এর কথা উল্লেখপূর্বক কসম খেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি শপথ করি কিয়ামাহ দিবসের আরও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়। ( সুরা কিয়ামাহ: ১-২)।
হজরত হাসান বসরি (রাহ.) নফসে লাওয়ামাহ- এর তাফসির করেছেন, 'নফসে মুমিনা'। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! মুমিন তো নিজেকে সর্বদা সর্বাবস্থায় ধিক্কায় দেয়। সৎকর্মসমূহেও সে আল্লাহর শানের মোকাবেলায় আপন কর্মে অভাব ও ত্রুটি অনুভব করে। কেননা আল্লাহর হক পুরোপুরি আদায় করা সাধ্যাতীত ব্যাপার। ফলে তার দৃষ্টিতে ত্রুটি থাকে এবং তার জন্যে নিজেকে ধিক্কার দেয়।
৩. নফসে মুতামায়িন্নাহ (প্রশান্ত আত্মা)- যে নফস সকল কালিমা থেকে মুক্ত এবং যাবতীয় মহৎ ভাবনায় পরিতৃপ্ত। প্রশান্ত এ আত্মা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, 'হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তুোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ করো।' (সুরা ফজর: ২৭-৩০)। তাফসিরে নফসে মুতামায়িন্নাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ আত্মা আল্লাহর প্রতি তার সৃষ্টিগত ও আইনগত বিধি-বিধানে সন্তুষ্ট এবং আল্লাহও তার প্রতি সন্তুষ্ট। মহান রাব্বুল আলামিন এসব প্রশান্ত আত্মাকে সম্ভোধন করে বলেন, আমার বিশেষ বান্দাদের কাতারভুক্ত হয়ে যাও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ করো ।
"নি:সন্দেহে সফল হলো সে যে নিজের নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে, ব্যর্থ হলো সে যে তাকে দাবিয়ে দিয়েছে। ( শামস-৯,১০)"।
আল্লাহ আমাদের সকলকে নফসে মুতামায়িন্নাহ (প্রশান্ত আত্মা) নিয়ে তার দরবারে হাজির হওয়ার তৌফিক দান করুন, আমিন।
(ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম ভাই এর সংগ্রহ থেকে নিয়ে কিছুটা বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা )
২| ০১ লা জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগ ট্যাকনিকাল পারসনদের কাজ নাই তারা এখন বিস্তর হতাশায় ভুগছেন এই লেখা ইহার প্রতিচ্ছবি।
একজন ইঞ্জিনিয়ারের ভাবনা শক্তি এতো সীমিত কেনো হবে।
আমার এক নানা বলতেন কি মিয়া ছুরি দেখিয়ে ডাক্তারি পাস করছোনি?
৩| ০১ লা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২০
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে এগুল অচল মাল।
আধুনিক কাচামাল সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নাই।
৪| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ১১:১১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনারা দুইজন মিলে মোল্লাদের ভাত মারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এক ইন্জিনিয়ারের লেখা থেকে ইহা নিয়েছেন? ইহা কি ইন্জিনিয়ারিং'এর উপর লেখা? এসব তো যেকোন মোল্লাই লিখতে পারে।