নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//
" কি আর কবো, কলি কতা (কথা) গল্পো হয়,
এ কতাতো গল্পো নয় -আঞ্চলিক প্রবাদ
আজ, সকালে নাস্তাটা চা বিস্কিট দিয়েই শুরু হয়।
এতোটাই বিজি যে ভাত রুটি খাওয়ার সুযোগ হলো না।
দুপুরেও ভরপুর খাওয়া হলো না। কাজের প্রচুর চাপ, সাথে টেনশান -যদি ঘুম চলে আসে!
বিকালে, শরিরটা বড্ড ক্লান্ত। ঠিক তখনই একজন চা খাওয়ালেন। (আমার আবার না করার অভ্যাস নেই ) খাওয়ার সময় যে যা বলে বলুক, আগে খাওয়া
একটু পর...
নিষেধ করা সত্ত্বেও ২টা সিংগাড়া নিয়ে আসলো বড় ভাই আব্দুল বাতেন। সেটাও খাওয়ার দাওয়াত গ্রহণ করা লাগলো।
এরপর চা না খেলে কেমন হয়ে যায়। তাই আরও একটা চা...
চলে আসবো...
উঠে পড়েছি প্রায়...
আব্দুর রশিদ ভাইঃ - "ভাই, এ্যাপ্সে ভালো কাজ করছে না একটু দেখেন তো....।
আবার ২০ মিনিট...
দেরিতো হয়েই গেলো আরও একটা চা... (আগে কিন্তু বলেছি আমার আবার না করার অভ্যাস নেই )
স্বভাবজাত ভাবে গলধকরণ হলো।
এরপর বাজারে ফেরা। কাজ শেষ করে বাসায় ফিরবো।
কলিগ বোরহানঃ ভাইয়া একটা চা খেয়ে যান। আবারও একটা দুধ চা...
রাত ১১:০০PM
আর ভাত রুটি খাওয়া সম্ভব নয়, গ্যাসে পেটটা ভরপুর হয়ে আছে
এখন,অন্য কিছু খেতে হবে।
কিছু শুকনা খাবার হলে মন্দ হয়না। বাজার থেকে কিছু শুকনা খাবার নিলাম।
যাহোক, বাসায় ফিরলাম।
বাসায় এসে কয়টা আমের উপর নজর গেলো।
আহ, বেচারা প্রতি বেশি শখ করে সুন্দর সুন্দর, নাদুস নুদুস ৫টা আম দিয়েছিলেন।
টসটসা, দেখতে সেই সুন্দর। লোভ কি আর সামলানো যায়।
(আমাদের বাসার আমের কথা আবার মনে পড়েগেলো। কি যে সুস্বাদু, আলহামদুলিল্লাহ কামড় দিলেই মিষ্টিতে শরিরটা ঠান্ডা হয়ে যায়।)
যাহোক, ভাত রুটি তো খয়নি। তাই ভাবছি, প্রতিবেশির দেওয়া টসটসে আমগুলো আর রেখে দিয়ে লাভ কি?
-৩টা আম বেসিন থেকে ধুয়ে নিলাম।
দিলাম কামড় বাহ মিষ্টি।
তাকিয়ে দেখি খোসার নিচে পোকা। তবে ওই যে সাদা কিলবিল করে সেই পোকা কিন্তু নয়। এমনেই পোকার ঘর। হয়তো পোকা ঘরছেড়ে পালিয়েছে। যেদিকে কামড় দিই, সেদিকেই পোকা। কি একটা আজব ব্যাপার।
বিয়ার গেলের মতো পোকা খাওয়ার অভ্যাসটা নেই। তা হলে হয়তো আমেরিকা চলে যেতাম। পোকা খেতে
পানি দিয়ে কুলি করে মুখটা পরিস্কার করলাম।
ভালোবাসার আমটা ফালায়ে দিলাম। প্রতিবেশীর ভালোবাসা আর রাখতে পারলাম না।
এবার, দ্বিতীয়টা মন ভরে খাবো, চিন্তা করছি।
ওকি, এওতো দেখি একই হাল।
খোসা ভালো হলেও ভিতরের অবস্থা মারাত্মক খারাপ। যেদিকে কামড়ায় সেদিকেই পোকা।
-এভাবে ৫টা আমের একই অবস্থা...
তবে প্রতিবেশির মন ছিলো। সে চেষ্টা করেছেন।
তবে আমি কিন্তু কম চেষ্টা করিনি
জীবনের প্রথম এতো পোকা যুক্ত আম দেখলাম।
এবং খাওয়ার চেষ্টা করলাম ও খেলাম।
সম্ভবত এই গাছের এমনই সমস্যা। সব আম এমনই।
নতুন এক অভিজ্ঞতা হলো।...
২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পাঠ ও মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ওগুলা সংশোধন করে দিলাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
২| ২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: খাওয়াই জীবন । সবাই তো একদিন মরেই যাবো খেয়েই মরি ।
কী আর করা, যা আসে সামনে সব খেতে হবে !
২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে কিছু কিছু সময়, অনেক কিছুই করার সুযোগ থাকে না।
শুভেচ্ছা জানবেন
৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা
৪| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ছুডো কালে মুরুব্বিরা কইতো পোকায় ধরা আম খাইলে সাতার শিখন যায়। তখন বহুত পোকা আম খাইছি
মাশাল্লাহ সাতারও শিখ্যালাইছি।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: তাহলে আরও চেষ্টা শুরু করি....
শুভকামনা রইল
৫| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
উম্মে হানী কারিমা বলেছেন: আমাদের এদিকে একটা কথা আছে, "আম পোকা দুধে বায়, কাঁঠাল পোকা গাঙে যায়।" যেটার অর্থ আমে পোকা থাকলে আম সাধারণত মিষ্টি হয়। আপনি চাইলে খেতেও পারতেন। ছবির তথ্যমতে অত বেশিও ছিল না। তবে যাই হোক, এমন ভাগ্যের জন্য আপনাকে সমবেদনা জানাই। আশা করি পরের বার প্রতিবেশী ভালো মিষ্টি আম খাওয়াবেন
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন আপুনি।
একটা আমে ৪/৫টা করে পোকার ঘরের দরজা
ধন্যবাদ, প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা ভালোদিক থাকে। হয়তো এরও আছে।
৬| ২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০৮
উম্মে হানী কারিমা বলেছেন: জ্বি
২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: সারাদিন এভাবে অসময়ে উলটা পাল্টা খাবার আর চা খেলে গ্যাসের ব্যারাম'তো আছেই- ডায়াবেটিসের সমূহ সম্ভাবনা। সাবধান হউন।
যা হোক, তারপর, কি আর করা - এই শব্দ তিনটে মুদ্রাদোষের মত হয়ে গেছে।