নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপরিকল্পিতভাবে যেমন সুন্দর বাগান তৈরী সম্ভব নয়,\nতেমনি অপরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটা সুন্দর জাতী তৈরী সম্ভব নয়।\nআগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়- কর্মমুখী,নৈতিকতা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা চাই,\nবর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির বোঝা তৈরী হয়, সম্পদ নয়।\n\

সামিউল ইসলাম বাবু

যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//

সামিউল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূরে থেকেও কাছে আসা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬


বেশ কয়েকবার শহীদ ওসমান হাদিকে লিখতে গিয়ে, সেই লেখা আবার মুছে দিয়েছি।
প্রথমে ভাবলাম একটা কবিতা লিখি। ৮/১০ লাইন কবিতা লিখে আর লিখিনি।কারণ তার বেক্তিত্বের সাথে সেই ভাবে মেলাতে পারিনি।
তাকে নিয়ে একটা পোস্ট করবো সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটাও আর শেষ করতে পারিনি। লিখে ড্রাফট করে রেখে দিয়েছি।

আসলে শহীদ ওসমান হাদী ভাইয়ের চলে যাওয়াটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনি।
ওসমান হাদীর কথা মাঝে মাঝে শুনতাম। কথা গুলো যৌক্তিক তাই মন দিয়ে শুনতাম। কিন্তু যখন গালাগালি করতো তখন একটু খারাপ লাগতো। পরে আর শুনতাম না। স্কিপ করে চলে যেতাম।
মাঝে মাঝে মনে হতো এই ছেলে হতো সমস্যাই পড়বে। কেও না কেও হয়তে এরে বিপদে ফেলবে। কারণ আবরারকেও শহীদ করা হয়েছিলো একই কারণে।
কিন্তু সেটা এভাবে হবে এতো দ্রুত হবে বুঝিনি কখনো। তাই মনটাকে কোন ভাবেই বোঝাতে পারিনি।

কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অনলাইনে আসা হয়নি। সন্ধায় ফেসবুকে ঢুকে দেখি হাদী ভাই গুলি খেয়েছে। বিশ্বাস করেন, এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনি। সারা রাত এবং পরের দিনও মন খারাপ।

কেন মন খারাপ, কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। রাতে ঘুমের ঔষধ খেলাম। তাতেও কোন ফল হলো না। সকালে ফ্লুপেন্টিকজল খেলাম, দুপুরের পরে দেখি একটু মাথা ঠান্ডা হলো।

আসলে আমি হাদিকে কখনো ওইরকম গুরুত্ব দেয়নি। কারণ সে কিছু করতে পারবে বলে মনে হয়নি।
কারণ বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এবং পলিটিক্যালি সচেতন - রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হওয়াই যা বুঝি এবং উপমহাদেশের রাজনীতি নিয়ে একটা আলাদা অনুসন্ধান ও ইন্টারেস্ট থাকায় যা দেখেছি ও বুঝেছি- এর অভিজ্ঞতা ভালো ছিলো না।

তাই হাদী ভাই যে কিছু একটা করতে পারবে বিশ্বাস হয়নি।

কিন্তু হাদী ভাই গুলি খাওয়ার পরে এবং তার শাহাদাতের পরে যতটুকু জেনেছি, শুনেছি এবং ভিডিওতে তার যা আলোচনা দেখেছি, তাতে আমার অবজারভেশন হলো তিনি তার সিদ্ধান্ত ও চিন্তার ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলেন এবং চ্যালেঞ্জ ছেড়ে দোওয়া লোক তিনি নন। কাওকে পরোয়া করতেন না। যারা শহীদ হতে চান তারাকি কাওকে পরোয়া করেন? "এই গুনগুলোই তাকে একজন কিংবদন্তি মানুষ করে তুলেছে, এবং অল্প সময়ের মধ্যে দেশের তথা সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদীদের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত করে তুলেছে"।
আহ্ ভাবতেই কষ্ট লাগে, আমরা এক অমূল্য রতন হারিয়ে ফেললাম।

এমন মানুষ আরও পাওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য হবে এবং জাতি পরবর্তী শতাব্দীতে আর একটা হাদী পাবে কিনা সন্দেহ।

তবে, কথা হচ্ছে -হাদীর এই চীন্তা সকল সচেতন, দেশ প্রেমিক জ্ঞানী মানুষের মনে দাগ কেটে দিবে এবং আগামীর ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এই ত্যাগ এক বিরাট ভূমিকা রাখবে। যা এখন কল্পনাও করা অসম্ভব

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২০

বাকপ্রবাস বলেছেন: অল্প বয়সে অল্প সময়ে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে গোটা দেশ

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১১

সাইবার পথিকৃৎ বলেছেন: হাদির আদর্শে আদর্শিত হন, ফটোগ্রাফির, ভিডিও ইডিটের কোর্স করেন, দামী দক্ষতা অর্জন করেন, তাইলেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.