![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,
বাঞ্ছা করি দেখব তারে
(আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।
কি বলব পড়শীর কথা,
হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে
ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর
(ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,
যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
উপরে উল্লেখিত লালন শাহের এই বিখ্যাত গানটির অন্তর্নিহিত অর্থ অনুধাবন করতে গিয়ে ও লালন গীতির নানা রুপক শব্দের মূল অর্থ সম্পর্কে আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে কিছু জ্ঞানার্জন করতে গিয়ে আমার ভেতরে জন্ম নেওয়া এক একান্ত অনুভুতির কথা শেয়ার করার ইচ্ছা হলো।
লালন ফকিরের জীবন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না। তার সবচেয়ে অবিকৃত তথ্যসুত্র তার নিজের রচিত অসংখ্য গান। লালনের কোন গানে তার জীবন সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়া নেই বলে জানা যায়। তিনি একজন বাঙালী যার জন্মস্থান বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার হারিশপুর গ্রামে।[৬] লালন শাহের জাতি বা সম্প্রদায় নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। এই প্রশ্ন তাঁর জীবদ্দশায়ও বিদ্যমান ছিল। পারিপার্শ্বিক প্রচলিত থেকে অনুমিত হয়েছে যে কথিত আছে যে, তিনি হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন, কিন্তু ছেলেবেলায় জলবসন্ত রোগে অসুস্থ অবস্থায় তাঁর পরিবার তাঁকে ভেলায় ভাসিয়ে দেয়। তখন মলম শাহ এবং তার স্ত্রী মতিজান নামের এক মুসলমান দম্পতি তাঁকে আশ্রয় দেন এবং সুস্থ করে তোলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গেলে তার পরিবার তাকে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান। লালন ফিরে আসে মলম শাহের কাছে । মলম সাহ তাকে কুর'আন ও হাদিস শিক্ষা দেন এবং ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ফকির সিরাজ সাঁই নামের একজন ফকিরের কাছে পাঠান।
বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।
লালনের এই গানটির মহা আধাত্নিক দিকের বহু বর্ণনা ও আত্ম উপলদ্ধ কথন বহু গুণীজন দিতে পারবেন তাদের মত করে , নানা দিক, নানা তত্ব বিশ্লেষন করে। কিন্তু আমার চোখে যখন ভেসে ওঠে লালন সুস্থ হয়ে যখন তার বাড়ি হারিসপুরে ফিরে যান তখন তার পরিবার পরিজন তাকে পরিত্যাগ করে। লালন ফিরে আসে মলম শাহের কাছে। সেখান থেকে তার বাড়ির দূরত্ব বেশী ছিলোনা বলতে গেলে কাছকাছি।আমার চোখে ভাসে অভিমানী লালন তার বাড়ির কাছে আরশীনগর বলতে বুঝি হারিসপুরের কথায় বলেছিলেন তার গানে। আর তার বাড়ি বলতে ছেউড়িয়ার আখড়া বা মলম শাহের বাড়ি যেখানে তার আশ্রয় জুটেছিলো। এক ঘর পড়শী বুঝি তারই প্রিয়জনেররা , একদিনও না দেখতে পাওয়া বুঝি তাদের সাথে লালনের বিচ্ছদের দুঃখ বা আক্ষেপ।
বুঝতে পারছি আমার এই আজগুবি বোধন বা নিজের মত করে বুঝে নেওয়ার কাহিনী শুনে জেন ভাই মুখ টিপে আর শতদ্রু ভাই হো হো করে হাসছে তবুও মনের কথা আমি বলবোই।
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,
বাঞ্ছা করি দেখব তারে
(আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।
আমার মন বলে এই পানি বুঝি গড়াই নদীর পানি। তরণী, কিনারা সবই ছিলো তার শুধু সেখানে যাবার পথ খোলা ছিলোনা লালনের তাই এই হাহাকার।
কি বলব পড়শীর কথা,
হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে
ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর
(ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।
এইখানে এসে আমি অবশ্য একটু তালগোল হারাই। পড়শী মানে আমার ভাষায় যারা তার আপনজন যদি হয় তাদের হস্ত পদ কর্ন মাথা নাই কেনো? তবে কি ইনি সেই পরমেশ্বর যার কোনো আকার নেই , যিনি নিরাকার। কিন্তু লালন তো কোনো ইশ্বরে বিশ্বাস করতেন না তাহলে কে সে? শূন্যের উপর থাকে আবার নীরে ভাসে? আমার এখানে মনে হয় এটা লালন নিজেই। শুন্যে ভাসে ভাবনায় আর চোখের জলে ভাসে তিনি নিজেই।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,
যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
এখানে এসে আমি আমার মত করে আবার নিশ্চিৎ হয়ে যাই এই পড়শী তার আপন জনেরা যাদের বিহনে লালনের মনে এখ অপার যাতনা যাকে লালন বলেছেন যম যাতনা।
সে আর লালন এক ঘরে রয় , লক্ষ্য যোজন ফাক রে...... এখানে পড়শি লালনের মনেই রয়েছে, একই মনের ঘরে দুজনে তবুও তাদের দৃশ্যমান দেখা নেই, তাদের মাঝে লক্ষ্য যোজন ফাঁক।
আমার কাছে লালনের এই গান কেনো যেন তার একান্ত মনের হাহাকার আর দুঃখকেই মনে হয় যা তার পরিবার পরিজনের সাথে চিরবিচ্ছেদের এক গীতিরূপ। আমার নিজের মত করে এই গান নিয়ে ভাবনা দেখে সবাই হাসবে জানি। আমি নিজেও জানি এই সব ভাবনা নিজের মত করে ভেবে নেওয়াটা খুবই হাস্যকর তবুও কেনো যেন খুব ছোটবেলায় যখন লালনের জীবনি পড়ে কেদে বুক ভাসিয়েছি। ভেবেছি আহা লালন আর কখনও তার নিজের পরিজনদের কাছে ফিরে যেতে পারলোনা এটা ভেবে তখনই এই গানটা নিয়ে এমন উপলদ্ধি হয়েছে আমার।
এই গানের প্রভাব আমার জীবনেও আছে, আছে তার ছায়া কিংবা ছোঁয়া।
সে যাই হোক, মহাসাধক জেনভাই, সর্ববিদ্যা পারদর্শী শতদ্রুভাই, আরেক মহাজ্ঞানী গুনিজন রিকি আপা আর গুনী চিত্রশিল্পী ও টেড়িবেড়ি করলে নাক ফাটিয়ে দেওয়া উর্বী আপাকে আমার এই পোস্ট পরে, বোকার মত ভাবনা শেয়ার করা দেখে হাাসার জন্য আমন্ত্রন জানালাম।
হাসাহাসি শেষ হলে এই উদ্ভট মস্তিস্ক প্রসুত কল্পনা নিয়ে রচিত পোস্ট খানি মুছে দেবো।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬
নীলনীলপরী বলেছেন: যে যাই হাসুক আমার এমনটাই মনে হত ছোটবেলায় এবং সেই ভাবনা এখনও অটুট আছে।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
জেন রসি বলেছেন: ভাবনা একটা আপেক্ষিক বিষয়।
ধরেন যখন আপনার মহাকালের রহস্যকে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করবে এবং আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন যে আপনি পারছেন না কারন মানুষ হিসেবে আপনার রয়েছে সীমাবদ্ধতা।তখন সেই মহাকালকেই পরশী মনে হবে। আবার যখন এমন মানুষের কথা মনে হবে যারা একসময় খুব কাছেই ছিল কিন্তু এখন লক্ষ যোজন দূরে তখন তারাও ঠিক পরশীর মত।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
নীলনীলপরী বলেছেন: হুম এই পড়শীকে দেখা যায়না ধরাও যায়না। মহাকাল বা মহাশূন্য অধরা থাকুক ক্ষতি নেই কিন্তু কাছের মানুষ যখন অধরা হয় তখন সে কষ্টের কথা বলে বা লিখে বুঝানো যায়না।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
জেন রসি বলেছেন: বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।
আবার মানুষের নিজের ভিতরেই অনেক রকম মানুষের বাস।মানুষ কখনও নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না।মাঝেমাঝে সে নিজেই নিজের কাছে অচেনা।তাই একজন মানুষ নিজেই নিজের ভিতর পড়শীর মত বাস করতে পারে।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪০
নীলনীলপরী বলেছেন: তাইলে হতো বাড়ির ভেতর আরশী নগর ......
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
জেন রসি বলেছেন: গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,
বাঞ্ছা করি দেখব তারে
(আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।
আমাদের অনেক সময় অনেক কিছুকেই জানতে ইচ্ছে করে।অজানাকে জয় করার বাসনা মানুষের আদিম স্বভাব। কিন্তু ইচ্ছে করলেই সব কিছু জয় করা যায় না। তার জন্য সাধনা দরকার। আবার অনেক সময় দেখা যায় সাধনার পরও আরেকটু পথ বাকি থাকে। সেই পথে হাঁটার আর কোন উপায় খুঁজে পাওয়া যায় না।লালনও তার আরাধ্য পথে গিয়ে হয়তোবা পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন।যে পথের অনুসন্ধান করছিলেন হয়তোবা খুঁজে পাননি সে পথের দিশা!
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫২
নীলনীলপরী বলেছেন: সে পথের দিশা হাজার বাঞ্ছা করেও কেউই পায়না । লালনও পায়নি।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গত দুই ঘন্টা ধইরা চ্যাট আর ফোনে বিজি, এখনো তাই। তাই পড়লামনা। প্রশ্ন হইলো, হুট করে লালনের হিট এতো বাইড়া গ্যালো ক্যান?
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
নীলনীলপরী বলেছেন: দুই ঘন্টা ফোন আর চ্যাটের পরে কি অপরপ্রান্তের ব্যাক্তি এখনও জীবিত আছেন? সন্দেহ হইতেছে। ভাই এই কথা আর প্রকাশ্যে বইলেন না শেষে আপনার অজান্তেই আপনি খুনের দায়ে পড়তে পারেন।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫১
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: গানটা আমার একান্ত প্রিয় কিন্তু আপনার মনের ভাবধারা আর লালনের ভাবধারা এক একথা ভাবা ঠিক হবে কিনা আমার জানা নাই। তবে এই কথা গুলোর মধ্যে দিয়ে যে, লালন ফকির তার সৃষ্টি কর্তার যে সন্ধান সে করেছেন, তাতে কোন সন্দেহ আমার নাই।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
নীলনীলপরী বলেছেন: লালন মানবধর্মবাদী হওয়া সত্বেও সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান করেছেন। অবাক লাগে। আমিও আপনার সাথে একমত। তবে গানটা নিয়ে আমার ভাবনাটা শেয়ার করেছি মাত্র।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাইলে হতো বাড়ির ভেতর আরশী নগর ......
যখন কোন কিছুকে স্পষ্ট ভাবে উপলব্ধি করা যায় না তখন সেটা আর নিজের ভেতরের কিছু মনে হয় না।বাড়ির পাশের কিছুর মতই মনে হয় যা কাছে থেকেও লক্ষ যোজন দূরে।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০২
নীলনীলপরী বলেছেন: বলছে?
কে বলে গেছে আপনারে?
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলছে?
কে বলে গেছে আপনারে?
নিজের মনের ভেতরে একবার উঁকি দিয়ে দেখুন।দেখবেন, অনেক কিছুকেই আপনার অচেনা মনে হচ্ছে। মনে হবে আপনি নিজেকেই নিজে চিনতে পারছেন না।
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
নীলনীলপরী বলেছেন:
নিজেরে চিনিনা ?
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০০
জেন রসি বলেছেন: লালনের ঈশ্বরতত্ত্ব, কোন প্রাতিস্ঠানিক ধর্মের সৃষ্টিকর্তার মত অযৌক্তিক কিংবা সীমাবদ্ধ কাঠামোতে আবদ্ধ ছিলনা।তাঁর গানে আমরা পরম সত্ত্বা সম্পর্কিত যে চেতনা দেখতে পাই তা অনেকটা হীনযান পন্থী বৌদ্ধদের মত আকারের ভেতর নিরাকার স্বত্বাকে ধারন করার মতই।তিনি মনে করতেন মানুষের নিজের ভেতরেই সৃষ্টির উৎস বিরাজমান।তাই নিজের ভেতরেই খুঁজে ফিরতেন সৃষ্টির রহস্য। লালন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছিলেন ধর্মের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই আছে বিভেদের এমন সুর যা মানুষকে নিজের উৎস থেকে আরো দূরে সরিয়ে নেয়।তাই তিনি সেই উৎস সন্ধানে কোন প্রথাগত কাল্পনিক ঈশ্বরের বন্দনায় নিমগ্ন থাকেননি।বরং মানুষের ভেতর মহাকালের মতই যে কাল্পনিক স্বত্বা আছে তার অনুসন্ধান করেছিলেন।
তাই তিনি মানবধর্মের চর্চা করতেন।কোন তথকথিত গ্রন্থে পরমশক্তিকে না খুঁজে তিনি মানবের মাঝেই সেই শক্তির উৎস খুঁজে ফিরতেন।অজানাকে না জানার সীমাবদ্ধতা থেকেই ধর্ম কিংবা ঈশ্বরের যে কাল্পনিক ধারনা মানুষে মানুষে বিভেদের দেয়াল তৈরি করেছে লালনের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিকশিত গান সেই প্রথাগত ভ্রান্ত সাম্প্রদায়িক বিশ্বাসের মূলে আঘাত করেছিল।
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
নীলনীলপরী বলেছেন: বাহ!
তালিয়া। আপনারে জেন সাধকের পদক দেওয়া হইলো।
১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৪৬
উর্বি বলেছেন: মাটির মানুষ
মাটির গান
লালন
সে এক
অসাধারন
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
নীলনীলপরী বলেছেন: উর্বিআপা ধন্যবাদ।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
উর্বি বলেছেন: স্বাগতম
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
নীলনীলপরী বলেছেন:
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৭
উর্বি বলেছেন: মিসিং ইউ আপি
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২
নীলনীলপরী বলেছেন: উর্বি !!!
মন খারাপ কেনো?
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫২
উর্বি বলেছেন: বুঝতেসি না! এই জুলাই মাস্ক টা আমার ধৈর্য এর বাধ ভেংগে যাচ্ছে
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৩
নীলনীলপরী বলেছেন: ধৈর্য্য রাখেন উর্বি। ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গানটি যতবার শুনি বা এর লিরিক পড়ি এক অদ্ভুত ঔদাস্যে ভরা ভালো লাগা ঘিরে ধরে। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
নীলনীলপরী বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। লালনের গান আমাদর মনে অন্য রকম ভাবের আবেগ ছড়ায়।
১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৩
উর্বি বলেছেন: কই চলে গেসে??
২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
নীলনীলপরী বলেছেন: আছি তো উর্বি। ঈদের ছুটি কাটাইতে গেসিলাম।
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৫
উর্বি বলেছেন: মিস ইউ আপি
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
নীলনীলপরী বলেছেন: উর্বি ডু নট মিস মি। আলাদীনের প্রদীপে ঘষা দিলেই আমি হাজির হবো/
১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫১
উর্বি বলেছেন:
ইয়েসসসসসস।। আইসা পড়সে আপি। আর লিখা কই?
২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
নীলনীলপরী বলেছেন: আর লিখা নাই।
আমি তো কম কম লিখি জানোনা?
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: লালনের উপর লেখা পোষ্ট পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
নীলনীলপরী বলেছেন: এইটা আমার নিজের অনুভুতি মানে গান রিভিউ।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
কাবিল বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্ট আমার চোখের আড়াল হইল কেমনে বুঝলাম না।
যাই হোক অনেক ভাল লাগলো, বিশেষ করে @জেন রসি ভাইয়ের মন্তব্যে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
লালন বিষয়ক তেমন কোন ধারনা নাই আমার জ্ঞানহীন মস্তিষ্কে।
তবে আমি এতটুকু বুঝি, যখন কোন সাধক গান লিখে তখন গানটাকে বাহ্যিক ও আভ্যান্তরিক দুটো দিকই মিল রাখে।
বাহ্যিক দিকটা সহজেই বোঝা যায়। আভ্যান্তরিক দিকটা যে যে ভাবে বুঝে উপল্বধি করতে পারে।
আমরা যেটা নিয়ে ভাবব সেটাই সঠিক হবে।
এই গানটার শেষের দিকটা আমার ভাবনায় বলি।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,
যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
সাধকরা বেশির ভাগই মানুষ রুপে আকারের মধ্যে নিরাকার সৃষ্টি কর্তা খুজে বেড়াই।
তাই আমার মধ্যে যে নিরাকার সৃষ্টি কর্তা লুকায়িত আছে তাঁকে যদি পড়শী বলি,
সেই পড়শী যদি আমায় ছুঁতো ( আমার উপর রহম করত) যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
তাই লালন আক্ষেপ করেই বলেছেন
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।
এখানে মানবাত্মা ও বিশ্ব আত্মার যে ফাঁক রয়েছে লালন হয়তো বা সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
নীলনীলপরী বলেছেন: এখানে মানবাত্মা ও বিশ্ব আত্মার যে ফাঁক রয়েছে লালন হয়তো বা সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
১০০% ঠিক ভাইয়া। তবে আমি আমার ভাবনা বলেছিলাম।
২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: লালনের গান এক একজন নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে।যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পারি আমরা।এভাবে বিভিন্নজনের বিভিন্ন ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে একরকম বিতর্কের সৃষ্টি হয়, যার দ্বারা পাঠক আরো ভালোভাবে নিজেকে লালনদর্শন বুঝতে পারে নিজেকে ঋদ্ব করতে পারে।
যাইহোক আপনার ভাবনা খুব গভীর থেকে ব্যাখ্যা করেন নাই, তবুও ভালো লাগল পড়ে
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
নীলনীলপরী বলেছেন: হাহা ঠিক তাই আমার ভাবনা আমি বলেছিলাম সেদিন। গভীর থেকে ভেবে আবার একদিন বলবো।
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম সেই সঙ্গে আমার আইডিতে চায়ের নিমন্ত্রণ রইল।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম কিন্ত। ধন্যবাদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
নীলনীলপরী বলেছেন: ব্লগ তো লেখার জন্য মানে পড়ার জন্যও । এখানে চাও খাওয়া যায় নাকি!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৪
জেন রসি বলেছেন: লালনের গানের অনেক রকম অর্থ করা যায়।তার গানে বিচিত্র রকমের উপলব্ধির ব্যাপার থাকে।তাই যে কেউ তার জীবনের সাথে অনুভূতিগুলো মিলিয়ে নিতে পারে।এই গানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেউ বলেছেন তিনি পরম সত্ত্বার অনুসন্ধান করতে যেয়ে এই উপলব্ধিকে গানে রূপায়িত করেছেন আবার কেউ বলে থাকেন তিনি রবি ঠাকুরকে নিয়ে এই গান রচনা করেছেন।তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের জীবনে যা কিছু অধরা তা এই গানের পরশীর মত আমাদেরকে স্পর্শ করে না বলেই আমরা এক ধরা অধরার খেলার মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলি। তার একসময়ের আপনজনরাও তার কাছে অধরা থেকে গেছে। তাই গানে তাদের স্পর্শের জন্য এক ধরনের আকুলতা থাকতে পারে।

আপনার উপলব্ধি পড়ে হেসেছি।
তবে সেটা তৃপ্তির হাসি।