![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুরা আমি তানভীর রেজোয়ান। ভার্চুয়াল দুনিয়ার অলি-গলি ঘুরে বেড়াই । এই চলার পথের ভাল লাগা মন্দ লাগা টুকু ভাগ করে নেব একসাথে এইখানে। স্বাগতম আমার ব্লগ এ।
সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের গুরুতর মানসিক রোগ, কিশোর-বিশোরী, নারী-পুরুষ সবাই আক্রান্ত হতে পারে। তবে ১৫-২৫ বৎসরের ছেলে মেয়েদের মধ্যে বেশি হতে পারে। রোগীরা বুঝতে পারে না কি তার সমস্যা, কেন ওষুধ খাচ্ছে, কেন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে। মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। আমাদের দেশে প্রায় ০.০৬% লোক সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।
আমাদের দেশে মানসিক রোগীরা ঝাড়-ফুক, পানি পড়া, তেলপড়া,পানিতে চুবানো, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ও বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসার শিকার হয়ে আসছে। তার মধ্যে বেশি কুসংস্কার ও অপচিকিৎসার শিকার হয় সিজোফ্রেনিয়া রোগীগুলো। কীভাবে বুঝাবেন আপনার আত্মীয় সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে কিনা? এবং রোগের কি এবং লক্ষণ সমূহ।
প্রধান লক্ষণ হলো :
১। চিন্তারমধ্যে গণ্ডগোল।
২। আচরণের সমস্যা।
৩। অনুভূতির সমস্যা।
চিন্তার মধ্যে হরেক রকম অসংলগ্নতা দেখা দিতে পারে। যেমন :
অহেতুক সন্দেহ করা : রাস্তা দিয়ে মানুষ যাচ্ছে মনে হচ্ছে তার দিকে বিশেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তাকে দেখে হাসছে, সমালোচনা করছে।
ভ্রান্তবিশ্বাস করা : এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রকাশভঙ্গি বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এটা রোগীর বয়স, ধর্মীয় চেতনারোধ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। যেমন-আশপাশেরলোকজন তার ক্ষতি করছে, খাবারে ও পানিতে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যাকরার চেষ্টা করছে, তাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
হ রোগীর মনের গোপন কথা না বললেও আশপাশের লোকজন জেনে যায়Ñ কেউকেউ তারের মাধ্যমে ফোনের মাধ্যমে, টেলিস্কোপের মাধ্যমে অথবা অন্য কোন অজানা যন্ত্রের মাধ্যমে জেনে যায়।
হ রোগীর কাজকর্ম, চিন্তাচেতনা এগুলো তার নিজের না বাইরে থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে।
হ মঙ্গলগ্রহ থেকে কেউ যেন তার সঙ্গে কথা বলছে।
হ সে স্বপ্নের মধ্য দিয়ে ওপর থেকে বিশেষ ক্ষমতা লাভ করছে আর তাকে নির্দেশ দিয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য।
হ তার নিজের বিশেষ ক্ষমতা আছে, কারণ সে অমুক ফেরেস্তা কিন্তু রোগীর পোশাক পরিচ্ছদ ও চালচলন ঐ রকম নয়।
হ অনেকে বলে আমার সঙ্গে পরীর যোগাযোগ আছে।
হ এমনও দেখা গেছে নিজের বাবার নাম পরিবর্তন করে অন্য একজনের নাম বলে কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর আবার নিজের বাবার নাম ঠিক বলছে।
আচরণের সমস্যা।
১। এই হাসছে আবার কোন কারণ ছাড়াই কাঁদছে।
২। হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া মারতে উদ্যত হওয়া।
৩। বকাবকি ও গালিগালাজ করা।
৪। বাথরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা।
৫। মানুষের সঙ্গে মিশতে না চাওয়া
৬। একা ঘরের মধ্যে সীমাবন্ধ জীবনযাপন করা।
৭। হঠাৎ করে কাপড় বা অন্য কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেয়া।
৮। বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানো (দিনের পর দিন) অথচ আগে এমন আচরণ ছিল না।
৯। হারিয়ে যাওয়া যেমন ব্রিজের নিচে, মাজারে, গোপন জায়গায় লুকিয়ে থাকা।
১০। আত্মহত্যার চেষ্টা করা।
১১। উল্টা পাল্টা আচরণ করা ও কথা বলা।
১২। গায়ের কাপড় চোপড় সবার সামনে খুলে ফেলা।
১৩। নিজের পায়খানা প্রসাব মুখে দেয়া ও দেয়ালে লাগানো।
১৪। নিজের খাওয়া দাওয়া ঘুম ও শরীরের প্রতি খেয়াল না রাখা।
অনুভূতির সমস্যা।
১। গায়েবী আওয়াজ শোনা : আশপাশে কোন লোকজন নেই, অথচ রোগীরা কথা শুনতে পায়। কেউকেউ একদম স্পষ্ট কথা শুনতে পায় ২/৩ জন লোক রোগীর উদ্দেশ্য করে কথা বলছে।
২। আবার কখন ফিসফিস আওয়াজ পাখির ডাকের মতো শব্দ শুনতে পায়। এ কথা শোনার কারণে অনেকে কানে তুলা বা আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকে।
৩। নাকে বিশেষ কিছুর গন্ধ পাওয়া।
৪। চামড়ার নিচে কি যেন হাঁটছে, এরকম অনুভূতি লাগা। উপরের লক্ষণ গুলোর কারণে রোগীর যদি শিক্ষা জীবন, পারিবারিক জীবন, কর্মজীবন ও সামাজিক জীবনের ব্যাঘাত ঘটে এবং লক্ষণ গুলো ৬ মাসের অধিক সময় থাকে, তখন তাকে আমরা সিজোফ্রেনিয়া হিসাবে ধারণা করতে পারি। সঠিক চিকিৎসা ও পরিবারের আন্তরিকতার মাধ্যমে রোগীগুলো ফিরে পেতে পারে কর্মজীবন ও সংসার জীবন।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৯
অস্থির ভবঘুরে বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৬
নিলু বলেছেন: ভালো তত্ত দিয়েছেন , লিখে যান
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩০
অস্থির ভবঘুরে বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৩
কাঠ পাতা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।