![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশিদিন আমি যেনো কার আশায় আশায় থাকি...
অসম্ভব ভালো লাগায় আমাকে তুমি বন্দি করে রাখো তোমার পায়ের পাতায়। নাম না-জানা স্বর্গীয় ঘ্রাণে মাতাল হয়ে থাকি তোমারই অধরে।
কী বিপুল মুগ্ধতায় আমাকে ধরে রাখো তুমি। একটু যেনো নিস্তার নেই!
একটা আলাদা স্বত্ত্বা ভাবতে পারিনা নিজেকে। তোমার মাঝে-
আমি অস্তিত্বহীন হয়ে থাকি। আমার সব অস্তি-মজ্জা তোমাতেই মিশে যায় তোমারই নি:শ্বাসে, তোমার চাপা হাসির ছন্দে...
ভালোবাসার শরীর ছিলোনা কোনো কালে। আমি তবু তোমাকেই ভেবে নিই- ভালোবাসার অদেখা শরীর। মনে মনে গর্বে ফুলে উঠি; যাক, আর কেউ তো দেখেনি!
ভালোবাসার জন্য তো প্রত্যেকটা প্রাণীর নিদারুণ হাহাকার; সবাই যদি জেনে যেতো এই তুমিটাই সেই ভালোবাসা! হায়, সত্যিই আমি অস্তিত্ব হারাতাম! চিরদিনের তরে!
কেউ জানেনি।
কেউ শুনেনি।
তুমি তাই শুধু আমার। অন্তরে-বহিরাঙ্গে, তুমি শুধু আমার।
০২
এই যে আমার অসীম রকম অন্ধ মুগ্ধতা; তোমাকেও হয়তো একটু আধটু গর্বের রেখা দেখায়।
তুমিও অন্ধ হয়ে যেতে চাও।
তুমিও অন্ধ হতে থাকো.... এবং
তুমিও অন্ধ হয়েই যাও!
আমাকেই ধ্রুবতারার আলোতে দেখো। আমাকেই ছুঁতে চাও ধ্রুবতারা ছোঁয়ার কৌতুহলে! আমার মুগ্ধতার শেষে তুমি আরো গভীর খাদ বানিয়ে ছাড়ো... আমার মুগ্ধতায় সে খাদের একটা কোণাও ভরেনা!
মুগ্ধতা আমার এবার সত্যি সত্যিই অসীমতা লাভ করে। তোমার মাঝে আমি- একাধারে মুগ্ধ হই,
স্তব্ধ হই,
বাকরুদ্ধ হই...
হতেই থাকি...
হতেই থাকি... আমার কোনো কিছুই এখন আর সীমায় আবদ্ধ না। আমি তাই চলতেই থাকি সীমাহীন পথে... তোমার ভালোবাসার মসৃণতা ধরে...
কিন্তু...
একটা কিন্তু এসে মাঝেই মাঝেই পথে পাথর ছড়ায়! সে পাথরে তোমার চোখ পড়েনা। সে পাথর তোমার চিন্তাকে ছোঁয়না। শুধু আমিই মাথাটা ব্যাথা করে ছাড়ি! তোমার কান ঝালাপালা করে ছাড়ি! তুমি তবু নিরুত্তাপ! নিস্তব্ধ! একটু হয়তো বেখেয়ালীও!
০৩
হঠাৎ করেই খেয়াল হয় তোমার। তুমি পাথর সব বুকে ছুঁড়ে মারো!
তোমার গায়ে যেনো তেলাপোকা পড়ে!
তেলাপোকা পড়লে তুমি যেমন দিকভ্রান্ত-মস্তিষ্কশূন্য হয়ে আমাকে খাবলে ধরতে, তেলাপোকাটাকে হাতের ডলায় গালিয়ে-গুলিয়ে ছাড়তে! নখের আচড়ে আমার নাক-মুখে মানচিত্র আঁকতে... ঠিক তেমনই হয়ে গেলে তুমি! সব পাথর তেলাপোকার মতো করে ছিঁড়ে-ছুঁড়ে আমার মাঝে মাখিয়ে ফেললে...
শুধু নখের আচড়ে মানচিত্র আঁকলে অন্য কোথাও! তোমার নখের খাতাটা বদলে গেলো...
সব কিছু খুব দ্রুতই ঘটে গেলো। একটা মাত্র রাত, কিংবা কয়েকটা মাত্র দিন... এতেই তুমি সরে গলে অযুত নিযুত আলোকবর্ষ দূরে! ভাবনার সীমা এখানে আবদ্ধ হলো।
আমার মুগ্ধতা হোঁচট খেলো।
আমার দৃষ্টি শূন্য হলো।
আমার অস্তিত্ব নড়ে উঠলো।
অসীমতা হারিয়ে আমি সংকোচিত হতে শুরু করলাম। যে সংকচোন চিরকালীন হয়ে যাচ্ছে... একটু একটু করে।
মেঘ থেকে যেভাবে বৃষ্টি-ফোঁটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ঠিক তেমনি-
তুমিও ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে গেলে আমার থেকে... অথবা, তুমি হয়তো তোমার থেকেই ঝেড়ে ফেলে দিলে আমায়। যেভাবে তোমার ভেজা চুল থেকে পানি ঝড়াও... কিংবা হয়তো যেভাবে তুমি প্রতি সকালে হাতের কচলানিতে চোখের ঘুম তাড়াও, ঠিক তেমনি করেই আমাকে দুমড়ে-মুচড়ে তাড়িয়ে দিলে...
০৪
তুমি কী মায়ায় যেনো আমার জন্য খুলে দিলে-
বোধের নতুন নতুন দোয়ার। আমি আমাকে খুঁজতে লাগলাম তোমার ধূলো লাগা পথে... খুজতেই লাগলাম...
... একটা সময় আমি আমাকে পেয়েও গেলাম;
তোমার উচ্ছিষ্ট এই হাত দুটিতে।
তোমার উচ্ছিষ্ট এই দুই ঠোটে।
তোমার উচ্ছিষ্ট এই গালে-কপালে... এবং একই সাথে আমার সারাটা শরীরে।
আমার শরীরে আমি আমাকেই লেপটে থাকতে দেখলাম। নতুন বোধ সৃষ্টি হলো আমার অস্তিত্ব নিয়ে। উন্মোচিত এই নতুন বোধে তুমি নেই... তোমার আহ্লাদী ভালোবাসাও নেই। আছে শুধু- আমার সব সময়ের অন্বেষা; প্রেম।
কী আজব! প্রেমের জন্য তোমাকে পাওয়া, প্রেম এখনও আছে; কিন্তু তুমি হাওয়া...
০৫
সব মুগ্ধতার শেষ রেখা আমার হাতে ধরিয়ে তুমি চলে গেলে। গলে যাওয়া মরা তেলাপোকা-স্মৃতিরা আমাতেই খুজলো পরম আশ্রয়।
ভালোবাসার শরীর বলে আসলেই কিছু নেই। তুমি প্রমাণ করে গেলে অন্ধ মুগ্ধতা যেমন ভালো নয়, তেমনি ভালো নয়; সত্যি সত্যি অন্ধ হয়ে যাওয়াটাও।
আমার কাছে থেকে গেলো প্রেম। এ প্রেম হয়তো নতুন কাউকে বধ করবে ঠিক, তবে তোমার ফ্লেভার এই প্রেমে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে। তোমার শিখিয়ে যাওয়া ভনিতায় আমি পথ চলবো। তোমার শেখানো বাকচতুরতাও ঠিকঠাক কাজে লাগাবো... নতুন প্রেম তাই উপভোগ্য হয়ে উঠবে খুব...
প্রেম ফুরোয়না।
প্রেম আবার এক নারীতে নিষ্ঠও থাকেনা। তুমি যেভাবে নখের আচড়ে নতুন খাতায় রাত চলার মানচিত্র আঁকো, আমিও তেমনি করে নতুন নখের সামনে মুখ বাড়িয়ে দেই- আচড়ে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার নেশায়...
তোমাতে সমর্পিত অস্তিত্ব তুমিই ফিরিয়ে দিয়েছো। তাই বলে এটাও কি ভেবে নিয়েছো যে, এ অস্তিত্ব আর কুল পাবেনা! হা হা হা ... নাহ, ঠিকই নতুন একটা খাচায় এ অস্তিত্ব ঢুকে পড়বে। ঠিকই নতুন সুখের একটা দীর্ঘশ্বাসের বাড়ি ঠিকই তৈরি হয়ে উঠবে...
০৬
অনুভূতির এই অধ্যায়টা তোমার জন্য...
১৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০৩
নীলতারা বলেছেন: ধন্যবাদ অনিক...
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আমার মুগ্ধতা হোঁচট খেলো।
আমার দৃষ্টি শূন্য হলো।
আমার অস্তিত্ব নড়ে উঠলো।
অসীমতা হারিয়ে আমি সংকোচিত হতে শুরু করলাম। যে সংকচোন চিরকালীন হয়ে যাচ্ছে...
একটু একটু করে।
ভাল লাগার আবেশ ছড়ানো , শব্দের গাঁথুনিতে ছন্দময় এই লেখাটি খুব বেশী ভাল লাগল।
১৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০৩
নীলতারা বলেছেন: জোছনাকে তাই
খুব বেশি
করে-
ধ ন্য বা দ . . . !
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:২২
শায়মা বলেছেন: তুমি আমার একজন প্রিয় লেখক ভাইয়া।
১৯ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
নীলতারা বলেছেন: !!!
অনেক ধন্যবাদ আপিন!
এই লেখাটার কোন কোন জায়গা ভালো লেগেছে, শুনি??
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
অনিক বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো। শব্দের গাঁথুনিতে যেন মোলায়েম এক কবিতার কিছু স্তবক।
শুভ কামনা রইলো।