![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে ,সব সংগীত গেছে ইংগিতে থামিয়া - তবু বিহঙ্গ ওরে বিহঙ্গ মোর এখনি অন্ধ বন্ধ করনা পাখা-----
এখন রাতের ঘুমানোর আগের সময়টুকু আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় ! এ সময় আমার ছোট্ট বাবাই সোনা আমার গলা জড়িয়ে কোল ঘেঁষে শুয়ে রাজ্যের গল্প টুক টুক করে করতে থাকে তারপর কখনও ও আগে বা আমি ঘুমিয়ে পড়ি ।বেশির ভাগ গল্পই প্রশ্নোত্তর টাইপ । আজকের বিষয় - মা তুমি বুড়ো হলে তোমাকে কে দেখে রাখবে ? আমি বললাম , বাবা তুমি বল - উত্তর এল আমি তোমাকে দেখে রাখব মা ( হয়ত কখনও বলেছিলাম সেটাই সে মনে রেখেছে !) ।তারপরের প্রশ্ন - বাবা বুড়ো হলে ? আমি বললাম , তোমাকেই দেখে রাখতে হবে সোনা । আমাকে সবাইকে দেখে রাখতে হবে! জী বাবা তোমাকেই সবাইকে দেখে রাখতে হবে । কিছুক্ষণ পর - মা , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে ?( বেশ একটা দুঃখ দুঃখ ভাব নিয়ে ) আমার বুকের কাছে কেমন একটা দলা পাকিয়ে ওঠে , কিছুক্ষণ সময় নিয়ে উত্তর দিলাম -তোমার ছেলেমেয়েরা দেখে রাখবে বাবা ! (বলতে পারলে খুব ভাল লাগত , আমি তোমাকে দেখে রাখব বাবা । ) তারপর পর্ব দীর্ঘায়িত হতে থাকে ......
স্নেহ নাকি নিম্নগামী ! তা যে কতটা সত্যি , আমার ছেলেকে দেখে বুঝতে পারি ।না হলে ‘আমাকে কে দেখে রাখবে মা ’কথাটি শুনে কেন বুকের মধ্যে এত হাহাকার জন্মাবে ? আমার বাবার বয়স সত্তরের কাছাকাছি , মা পঁয়ষট্রিই হবে। এ বয়সেও তারা সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে চলেছে । নিজের চাকরি , সাংসারিক দায়িত্ব এসব পালন করে পারছিনা তাদের প্রাপ্য সময়টুকু দিতে । তারাও নিজেদের সংসার ছেড়ে এসে থাকতে পারছেন না আমার কাছে । ভাবি , দু’বোন তো আছে তাদের পাশে তারা নিশ্চয়ই ঠিকঠাক দেখে রাখবে ।
আজকাল একটি বিষয় বেশ ভাবায় , এইযে আমার মত শিক্ষিত নারী (?) যারা পড়াশুনা করে চাকরি করছে , নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে , নারী অধিকার / নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে - আমরা আসলে কতটুকু সফল হয়েছি ? আমি আমার জীবন এবং চারপাশ থেকে যা দেখেছি তা হচ্ছে , আমার জন্মের পর থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত আমার মা যেমন আমার সব দায়িত্ব পালন করতেন , বিয়ের পরও সন্তান জন্মাবার পর যেহেতু আমি চাকরি করি আমার বাচ্চাদের , সংসার আগলে রাখার দায়ও যেন তারই ।এমনি ভাবেই হ্য় মা , নয় শাশুড়ি মা অথবা বাসার সাহায্যকারী মানুষটির বিনিময়ে আমি আমার চাকরির সুযোগটুকু পাচ্ছি অথবা বলা যায় আরেকটা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করে !
এদেশে এখনও আমরা নারীদের কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারিনি । সরকারিভাবে মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস হলেও বেসরকারি অনেক ক্ষেত্রেই এখনও ০৩ মাস অথবা নেই , অনেককে চাকরিও ছেড়ে দিতে হয় । সরকারি / বেসরকারি ভাবে ডে কেয়ার সহায়তাও তেমন নেই , নেই পার্ট টাইম কাজের সুযোগ অথবা পিতৃত্বকালীন ছুটি ! যাতে বাবা - মা সমানভাবে শিশু সন্তানটির যত্ন নিতে পারে । তাই স্বামী -স্ত্রী দুজনই যখন চাকুরীজীবী হন তখন বাচ্চার দেখা - শোনার ভার দাদা-দাদি , নানা -নানি অথবা বাসার সাহায্যকারী মানুষটির উপরই বর্তায় - তারপরও অনিশ্চয়তা থেকেই যায় । যেখানে দাদা-দাদি বা নানা - নানির তাদের নাতি- নাতনির সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর কথা সেখানে তা তাদের উপর অর্পিত হচ্ছে দায়িত্ব হিসেবে !
জীবনের শেষ সময়টুকু সবাই চায় সুন্দরভাবে পার করতে এবং তাই হওয়া উচিত । বাবা - মার জন্য কতটুকু করতে পেরেছি / পারব জানিনা , নিজের জন্য যা ভাবি তা হচ্ছে ,যা দিনকাল পড়েছে , আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর কি হবে কে জানে ? শেষ আশ্রয় হয়তো বৃদ্ধাশ্রমই হবে ! কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? - তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেনে !
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
আলোরিকা বলেছেন: যৌথ পরিবার আমার খুব পছন্দের - দাদা-দাদি , এক গাদা ভাইবোনের পাশাপাশি বেড়ে ওঠা , হৈ হুল্লোড় , প্রাণ -প্রাচুর্য ! এক জনের দুঃখে সবার কাঁদা , সুখে হাসা - স্বপ্নের মত মনে হয় আজকাল । দাদা- দাদির খুনসুটি , রাতের বেলা এক বিছানায় শুয়ে গল্প শোনা বড়ই রোম্যান্টিক !
অপর দিকে বিচ্চু নাতির পিছনে খাবার নিয়ে ছোটা , তার মর্জি মত চলা - এসব করতে গিয়ে ষাটোর্ধ নানি / দাদির হাঁপিয়ে ওঠা , নিজের নাওয়া -খাওয়া , বিশ্রাম ঠিক মত না হওয়া বেশ কষ্টদায়ক । তারা হয়তো এটাকে কষ্ট নাও মনে করতে পারেন ।আমার মনে হয় দাদা- দাদি ,নানা-নানি সব শিশুদের ঘিরে থাকুক গভীর মায়ায় , সম্পর্ক টি হোক ভালবাসার - ভাল লাগার দায়িত্বের নয় !
মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ । আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি মাত্র - ভাল থাকবেন
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
মানুষ বলেছেন: হুম
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
আলোরিকা বলেছেন: হুম
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭
মানবী বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখাটির জন্য ধন্যবাদ আলোরিকা।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী , ভাল থাকবেন
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? - তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেনে !
দারুন অভিব্যক্তি.....ভাল লাগল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় , শুভ কামনা
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: জীবনের শেষ সময়টুকু সবাই চায় সুন্দরভাবে পার করতে এবং তাই হওয়া উচিত । বাবা - মার জন্য কতটুকু করতে পেরেছি / পারব জানিনা , নিজের জন্য যা ভাবি তা হচ্ছে ,যা দিনকাল পড়েছে , আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর কি হবে কে জানে ? শেষ আশ্রয় হয়তো বৃদ্ধাশ্রমই হবে ! কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? - তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেনে !
-অনেক সুন্দর হৃদয় স্পর্শ করা কথা! পড়তে পড়তে তো প্রচন্ড আবেগে ভেসে যাচ্ছিলাম! লেখার ভিতরে কিন্তু সবাই আবেগ সঞ্চার করতে পারে না? তবে আপনার পোস্টটা পড়ে সত্যিই অনেক ভাল লেগেছে!
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
আলোরিকা বলেছেন: আমি যখন গান শুনি , সুন্দর গায়কীর চেয়ে আবেগটাকেই খুঁজি - পড়ার ক্ষেত্রেও তাই । কিন্তু আমার একটা আক্ষেপ কেন আমি এমন লিখতে পারিনা - যা হৃদয়গ্রাহী / স্পর্শী !
সত্যিই কি হচ্ছে ?
অসংখ্য ধন্যবাদ হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যে । ভাল থাকুন সব সময় , শুভ কামনা
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার লেখাটা অন্য কারও কাছে কেমন লেগেছে সেটা আমি বলতে পারবো না! তবে আমার কাছে কেমন লেগেছে সেটা তো আমি আগেই বলে দিয়েছি। সবার কাছে কিন্তু সব কিছু ভাল লাগে না? তেমনি সবাই সব কিছু ভালও বাসে না!
তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, লেখাটাকে আপনি যথেষ্ট আবেগ ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন! যেটা আসলেই অনেক হৃদয়স্পর্শী! সুন্দর পোস্টের জন্য আবারও ধন্যবাদ!
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা ,
তেমন স্নেহ শুধু নিম্নগামী নয় সর্বত্রগামীও বটে ।
মা তুমি বুড়ো হলে তোমাকে কে দেখে রাখবে ?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আপনাকে আমার লেখা নীচের লিংকের পোষ্টটির কথাই বলতে হয় -
বেলাশেষের দিনগুলি .....
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২১
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29883871
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
আলোরিকা বলেছেন: অসাধারণ ! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার লিংকটির জন্য - ভাল থাকুন সব সময় ,শুভ কামনা
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছোট্ট লেখাটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপার উঠে এসেছে যা অনেকের অভিজ্ঞতার সাথেই মিলে যাবে। নিম্নগামী স্নেহ, কর্মজীবি মা-বাবার পরিবারে নানী-দাদীদের ভূমিকা, বৃদ্ধ বয়সের পরিণতির জন্যে শঙ্কা, এসব আমাদেরও ভাবনার উপকরণ।
শুভেচ্ছা।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২
আলোরিকা বলেছেন: শুভেচ্ছা
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: জীবনের শেষ সময়টুকু সবাই চায় সুন্দরভাবে পার করতে এবং তাই হওয়া উচিত । বাবা - মার জন্য কতটুকু করতে পেরেছি / পারব জানিনা , নিজের জন্য যা ভাবি তা হচ্ছে ,যা দিনকাল পড়েছে , আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর কি হবে কে জানে ? শেষ আশ্রয় হয়তো বৃদ্ধাশ্রমই হবে ! কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? - তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেন !
ভাল লাগল আপু, আপনার এই হৃদয় স্পর্শ করা লেখাটি!!
৩০/৩৫ বছর পরে যদি আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে যেতেই হয়, তখন কিন্তু জীবন আর ছোট মনে হবে না!!
তখন মনে হবে এই জীবনের শেষ কোথায়, শেষ হয় না কেন !!!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
আলোরিকা বলেছেন: সহমত । এখন ছেলের মায়ায় মনে হচ্ছে ,জীবন এত ছোট কেন ! তখন মনে হবে এত বড় কেনে ! এটাই বাস্তবতা
নাতি - নাতনি পরিবেষ্টিত হয়ে আমরা সবাই যেন একটি সুস্থ - সুন্দর জীবন পার করতে পারি - এই কামনা । শুভেচ্ছা
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২১
প্রামানিক বলেছেন: খোকার প্রশ্ন শুনে আমারও মাথার ভিতর চিন্তা ধরে গেল। ছেলে মেয়ে যত আধুনিক হচ্ছে বাবা মা তত বৃদ্ধাশ্রমে যা্চেছ। বৃদ্ধকালে ছেলে মেয়েদের আদর যত্ন তো দূরের কথা মরার আগে তদের মুখটাও দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে না। সুন্দর একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
প্রামানিক বলেছেন: আপনার বাড়ি বামন ডাঙা জেনে খুশি হলাম। লিখতে থাকেন আমি আপনাদের পাশেই আছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া , শুভ কামনা
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমি বুড়ো হলে কে আমাকে দেখে রাখবে ////////????
বাবা মা তোমাদের অনেক ভালবাসি ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
আলোরিকা বলেছেন: বাবা - মাও আপনাকে অনেক ভালবাসে
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
জুন বলেছেন: নিজের জন্য যা ভাবি তা হচ্ছে ,যা দিনকাল পড়েছে , আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর কি হবে কে জানে ? শেষ আশ্রয় হয়তো বৃদ্ধাশ্রমই হবে মনটা আদ্র হয়ে উঠলো এই লাইন কটি পড়ে আলোরিকা । যৌথ পরিবার ভেঙ্গে পরেছে সব খানে।
আমার এক বৃদ্ধ বিধবা আত্নীয়া যথেষ্ট ধনী, একমাত্র ছেলের সাথে আছেন তারপর ও সেদিন কথায় কথায় বল্লো, " বুঝলি বেশিদিন বেচে থাকাটাও যেন এক লজ্জার ব্যাপার" । মনটা ছাৎ করে উঠলো নিজের ভবিষ্যত ভেবে ।
+
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
আলোরিকা বলেছেন: ' মনটা ছাৎ করে উঠলো নিজের ভবিষ্যত ভেবে । ' -
আমরা তো আপু সবাই যার যার মত করে প্ল্যান করি....... একজন যে মাস্টার প্ল্যানার আছে তার কথা মাঝে মাঝে ভুলেই যাই । তিনিই ঠিক করে দেবেন যা আমাদের জন্য ভাল !
আপাতত নগদ যা আছে হাত পেতে নাও , বাকীর খাতায় শুন্য থাক ....... Smileeeeee
১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লেখা। খুব ভালো লাগল। এটা আসলেই সত্য ঘটনা।
আমার বড় বোন ও দুলাভাই দু'জনই সরকারী চাকরী করে। তাই তাদের সন্তান হবার পর, আমার মা'র কাছেই ছিল এবং এখন আমার কাছে থাকে।
কর্মব্যস্ততা আমাদের যন্ত্র বানিয়ে দেয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে একজনের সীমিত আয়ে সংসার চালনা কষ্টকর। যদি মা'দের চাকরী করার সুযোগ, তবে অবশ্যই সেটা ভালো। কিন্তু ছেলেমেয়েদে এবং দাদু-দীদা'র জন্য একটু কষ্ট হয়।
পোস্টে ভালো লাগা।
অ.ট: জীবন এত ছোট কেনে লেখার শেষে এমন একটি সস্তা বাক্য ভালো লাগে না। এতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হালকা হয়ে যায়। তাহলে জীবন এত ছোট কেন-ই লিখে দিন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০১
আলোরিকা বলেছেন: 'জীবন এত ছোট কেনে ! ' - আঞ্চলিক টানে উচ্চারিত ছোট্ট মিষ্টি এ বাক্যটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবি উপন্যাসের নায়ক কবির । আমার পছন্দের একটি উপন্যাস । আমার মনে হয়, ছোট্ট মিষ্টি এ বাক্যটিতে ফুটে উঠেছে জীবনের প্রতি গভীর ভালবাসা , বেঁচে থাকার আকুলতা । রবি ঠাকুরের ভাষায় যা -
মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই!
আমার লেখাটিতে অন্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি আমার বাবাই সোনার জন্য দুঃখবোধ টাই মুখ্য ছিল - তার বুড়ো বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকব না জানি কিন্তু সেই আকুলতাটি প্রকাশ করার জন্যই বাক্যটি বেছে নিয়েছি ।
আপনার সমালোচনাধর্মী মন্তব্যটি অনেক ভাল লেগেছে । ভবিষ্যতে এরকম আরো ফিডব্যাক আশা করছি । শুভ কামনা ।
১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২
গোর্কি বলেছেন:
সুন্দর লেখায় ভাললাগা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
আলোরিকা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে ভাললাগা গোর্কি । আপনার নিকটা / নাম অনেক সুন্দর শুনলেই কেমন বিদ্রোহ বিদ্রোহ লাগে ! অনেক শুভ কামনা
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? - তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেনে !
আপুনি!!!!!!!!!! বাবাই এর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি , আমাদের মা ছেলের পক্ষ থেকে তোমার জন্য অনেক শুভ কামনা ও ভালবাসা
১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
আলোরিকা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্পর্শিয়া ! আপনার জন্য অনিঃশেষ শুভ কামনা
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমনি ভাবেই হ্য় মা , নয় শাশুড়ি মা অথবা বাসার সাহায্যকারী মানুষটির বিনিময়ে আমি আমার চাকরির সুযোগটুকু পাচ্ছি অথবা বলা যায় আরেকটা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করে !
অসাধারণ জীবন বোধ!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া , শুভ কামনা
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জীবনের শেষ সময়টুকু সবাই চায় সুন্দরভাবে
পার করতে এবং তাই হওয়া উচিত । বাবা - মার
জন্য কতটুকু করতে পেরেছি / পারব জানিনা ,
নিজের জন্য যা ভাবি তা হচ্ছে ,যা দিনকাল
পড়েছে , আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর পর কি হবে কে
জানে ? শেষ আশ্রয় হয়তো বৃদ্ধাশ্রমই হবে !
কিন্তু সাড়ে তিন বছর বয়সী বাচ্চার মুখে যখন
শুনি , আমি বুড়ো হলে কে দেখে রাখবে মা ? -
তখন বুকের মধ্যে কেমন তোলপাড় হয় । আহারে
আমার বুড়ো খোকাটাকে যদি এভাবেই বুকে
আগলে পারতাম । জীবন এত ছোট কেনে !
সত্যি চিন্তার খোরাক জোগায় এরকম অসাধারন লিখনি।
আমরা সবাই যেন মিলেমিশে শান্তিতে জীবন কাটাতে পারি এটাই কামনা
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
আলোরিকা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কবি রুদ্রকে , শুভ কামনা
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১০
জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: আসলেই, জীবন এত ছোট কেনে !?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
আলোরিকা বলেছেন:
২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার তীর্থ খুব কিউট করে কথা বলে। বাচ্চাদের ভাবনার জগতে এমন কিছু বিষয় থাকে বা চলে আসে, তাৎক্ষণিক ভাবে হয়ত আমরা সেসবের উত্তরও দিতে পারি না।
আমার ছেলে অপেক্ষায় আছে কবে বড় হবে, আমাকে আর ওর বাবাকে কই কই ঘুরাতে নিয়ে যাবে ইত্যাদি কত ভাবনা, কবে ও দাদা-নানা হবে সেটা নিয়ে ভাবে।
চাকুরীজীবী মা হলে বা হবার দরুন একটা ব্যাপার খুব টাচ করে আমার বাচ্চার, যখন ও বলে সিয়ামের আম্মু তো সিয়াম কে স্কুলে দিয়ে আসে, কাননের আম্মু তো ও নিয়ে কোচিং এ যায়, তুমি তো আমাকে একদিনও দিয়ে আসো না। তখন খুব খারাপ লাগে। ইচ্ছে করে চাকুরি ছেড়ে দেই। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবনা আসে, গৃহিনী হয়েই কি জীবন কাটাতে চেয়েছিলাম! নিজেকে স্বার্থপর মনে হয়। অবশ্য আমার ছেলে আবার তার ফ্রেন্ডদের গর্ব করে বলে, আমার আম্মু কিন্তু জব করে! সবই কন্ট্রাডক্টরি!
ভালো থাকুন । শুভকামনা রইলো
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
আলোরিকা বলেছেন: ' আমার ছেলে অপেক্ষায় আছে কবে বড় হবে, আমাকে আর ওর বাবাকে কই কই ঘুরাতে নিয়ে যাবে ইত্যাদি কত ভাবনা, কবে ও দাদা-নানা হবে সেটা নিয়ে ভাবে।' -
আমার ছেলেও এসব বলে আপু । ওদের ভাবনা - চিন্তা এত সহজ - সরল , কথা শুনলেই মন ভাল হয়ে যায় ।
ভাল থাকবেন আপু । অনেক শুভ কামনা
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার পোষ্টে ভাবার খোরাক অনেক।
''এমনি ভাবেই হ্য় মা , নয় শাশুড়ি মা অথবা বাসার সাহায্যকারী মানুষটির বিনিময়ে আমি আমার চাকরির সুযোগটুকু পাচ্ছি অথবা বলা যায় আরেকটা নারীর অধিকার লঙ্ঘন করে ! ''
তবে আমি আরেকভাবে ভাবি, এই ব্যাপারটা না থাকলে একক পরিবারের কারণে হয়ত নানী দাদীরা তাদের উত্তরপ্রজন্মের সাথে কোন বন্ধন তৈরীর সুযোগ পেতেন না। সারাজীবন ব্যস্ততায় কাটিয়ে শেষ বয়সে এসে নিজেকে সমাজে অবাঞ্চিত মনে করতেন।
শুভেচ্ছা রইলো।