![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে ,সব সংগীত গেছে ইংগিতে থামিয়া - তবু বিহঙ্গ ওরে বিহঙ্গ মোর এখনি অন্ধ বন্ধ করনা পাখা-----
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা সাহিত্যে এম এ সম্পন্নকারী আমার সহকর্মী কয়েকদিন আগে আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফোক ফেস্টিভ্যাল উপভোগ করে এসে আমাদের জ্ঞান বিতরণ করছেন - ওখানে না গেলে জীবন বৃথা , জানাই যাবে না কত বৈচিত্র্য লুকিয়ে আছে ভিনদেশী লোক সংগীতে ! আর আমাদের সংস্কৃতি হইল ফইন্নি মার্কা সংস্কৃতি --তিনি বাংলার সবকিছুতেই ফইন্নি ভাব খুঁজে পান । তার জন্ম আবার ভাটিয়ালী , জারি -সারি , সোজন বাদিয়া আর মহুয়া সুন্দরীর দেশে ! তার কথা শুনি আর মনে মনে ভাবি আহা যদি তাকে একবার দেখাতে পারতাম বাংলাসংস্কৃতির অপরূপ রুপ ----
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু !
আবহমান বাংলার সংস্কৃতিতে ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে মেলবন্ধন ঘটেছে বিভিন্ন জাতির । বাঙালি সংকর জাতি হিসেবে পরিচিত হলেও এদেশের মাটির রূপ - রস -গন্ধে তাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা , কর্মকে ঘিরে যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তার জুড়ি মেলা ভার । বলা হয়ে থাকে আমুদে উৎসব প্রিয় বাঙালির বারমাসে তের পার্বন । খুব বেশি দিন আগের কথা নয় মাত্র ২০-২৫ বছর আগেও বাংলার যে রুপ,লোকাচার আর সংস্কৃতি প্রাণভরে উপভোগ করেছিলাম কোথায় আজ সে সব !
চলুন পৌষের হিম হিম এবেলায় প্রথমেই দেখে নিই তের পার্বণের একটি !
চলছে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি ---
গাছি শীতের সকালে বয়ে নিয়ে আসছে সুমিষ্ট খেজুর রস ।
ঢেঁকিতে বানানো হচ্ছে চালের গুঁড়ি - চাল কলের আগমনে হারিয়ে গেছে চমৎকার ছন্দময় এ যন্ত্রটি । হারিয়ে গেছে ভারানিদের গান । ছোটবেলায় দাদাবাড়িতে ঘুম ভেঙ্গেই কানে আসতো ঢেঁকির ধান ভানার শব্দ ।
শীতের পিঠা সম্ভার !
আছে গরম গরম ভাপা পিঠা --
পিঠা খেতে নাইওর আসছে মেয়ে - জামাইরা । ওকি গাড়িয়াল ভাইয়ের ভাওয়াইয়া গান , গরুর গাড়ির চাকার ছন্দময় আওয়াজ , গাড়োয়ানের হুরুর ডাকের শৈল্পিক শব্দও আর কানে আসে না । দাদাবাড়িতে বেড়াতে গেলে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতো গরুর গাড়ি - তা দেখে যে আনন্দ হতো এখন নতুন মডেলের কোন ঝকঝকে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও সে পুলক আর জাগবে না ।
পালকি চলে হুহুম না , পালকি চলে হুহুম না - পালকির সাথে সাথে হারিয়ে গেছে কাহার সম্প্রদায়ও !
তোরা কে যাস রে ভাঁটি গাঙ বাইয়া , আমার ভাইধনরে কইও নাইওর নিত বইলা --তোরা কে যাস , কে যাস -----কানে আসে না আর ভাটিয়ালির উদাস গানের সুর ।
রাতের উৎসবে রয়েছে যাত্রা- পালার আয়োজন । আছে বাউল গানও ---
চলছে জামাই আদর ---
এ সময় আরও একটি অনুষ্ঠান হতো আধুনিক গেট টু-গেদার টাইপ । দাদাবাড়িতে(গাইবান্ধা) একে বলা হতো শাগাইমিলানি (শাগাই-মেহমান,মিলানি-মিলনী) । ছোট বেলায় দাদির সাথে এ রকম দুই - তিনটা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম ।
আছে মেলারও আয়োজন -----আমি মেলা থেকে তালপাতার এক বাঁশি কিনে এনেছি ।
এত গেল শুধু এক পার্বণের বর্ণনা ! এবার চলুন সামগ্রিকভাবে দেখে নিই আর কি কি ছিল / আছে এ বাংলায় -
ভোজন রসিক বাঙালির পাত--
বাংলার পদ্মার বিখ্যাত ইলিশ তাই দিয়ে ইলিশ পাতুরি , ইলিশ ভাজা আর মজার মজার ভর্তা। খাবারে এত বৈচিত্র্য আর কোথাও আছে কিনা জানা নেই ।
বাঙালির সাজপোশাক -
এ অপরূপ সাজ আর এত রঙ , ঢঙ কোথায় মিলে !
পোশাক শিল্পে বাঙালির পারদর্শিতা সেই আদ্যিকাল থেকে -
মসলিনতো সেই কবেই হারিয়ে গেছে ! সগর্বে এখনও টিকে আছে জামদানি আর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তা বয়ন শিল্পে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেের তালিকায় স্থান লাভ করে।
বাংলার নকশীকাঁথা -
আমাদের মৃৎ শিল্প -
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল !
বাঙালির খেলাধুলা -
খা খা খা বক্কিলারে খা --- দেশদ্রোহীরে খা !
আমাদের গর্ব -
ফকির লালন শাঁ - যার গান আমাদের এনে দিয়েছে বিশ্ব পরিচিতি , লাভ করেছে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা । এছাড়াও রয়েছে সিলেটের মরমী সাহিত্য ,ভাওয়াইয়া ,ভাটিয়ালি , গম্ভীরা ,কবিগান ,জারিগান, মৈমনসিংহ গীতিকা ,পূর্ববঙ্গ-গীতিকা , সিলেট গীতিকা , লোকগল্প প্রভৃতি ।
সর্বশেষ ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা । ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা বা ইনট্যানজিবল (ইং: Intangible ) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে । ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ অশুভ শক্তির বিরূদ্ধে শান্তি, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতিসত্বার ঐক্যের প্রতীক। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরের প্রথম দিনে ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’’ মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ কল্যাণময় ভবিষ্যতের আশা ব্যক্ত করে চলেছে। এমন সৌহার্দ্য -সম্প্রীতির বন্ধন আর কোথায় মেলে !
ছোটবেলায় রচনায় পড়তাম - ' দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য , লও হে এ নগর ' অথবা , ' বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ , কেড়ে নিয়েছে আবেগ ' - তখন এ কথা গুলোর মর্মার্থ বুঝিনি । এখন বুঝি জীবনে গতি আনতে আর সুসভ্য হতে আমাদের কি কি বিসর্জন দিতে হয়েছে । আসুন বিজয়ের এ মাসে সবাই একবার ফিরে যাই শিকড়ের কাছে , মাটির টানে ---
'ও আমার বাংলা মা তোর আকুল করা রূপের সুধায়
হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে---যায় জুড়িয়ে-- এ---
ও আমার বাংলা মা ----'
ছবি : অন্তর্জাল
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
আলোরিকা বলেছেন: ভাল বলেছেন --- 'আমরা এমনই'। তাই আমরা এমনই থেকে যাই, আমাদের উন্নতি হ্য় না
ভাল থাকুন । অনেক অনেক শুভকামনা ।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুমন কর বলেছেন: শাগাইমিলানি'র নাম আগে শুনিনি। চমৎকার পোস্ট !!
মনে পড়ে যায়, সে ছোটবেলার কথা ! এখন আর সেসব দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভালো লাগা রইলো।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
আলোরিকা বলেছেন: শাগাইমিলানি অনুষ্ঠানটি সাধারণত হতো তিনদিনব্যাপী ।এ অনুষ্ঠানে মহিলারাই বেশী যোগদান করতেন । দূরদূরান্ত হতে নির্দিষ্ট এক আত্মীয়ের বাড়িতে তারা সমবেত হতেন । আসার সময় যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে আসতেন । তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে রান্নাবান্না গল্প গুজব হৈ চৈ করে সময় কাটাতেন । ছেলেবেলায় আমার দাদীর বাবার বাড়ি এবং আমার মামাতো বোনের শ্বশুর বাড়িতে এ রকম অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম সেখানে একটি মিষ্টি মেয়ের সাথে বন্ধুত্বও হয়েছিল । চমৎকার সে সময় !
সময় করে পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৫
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: শাগাইমিলানি। জি এটা এখনো অাছে অামার এলাকায় রংপুর ও দিনাজপুরে।
পরিশেষে বলবো ছবি সহ পোষ্টটি অামারে অাউলা বাউলা বানায়া দিছেরে ভাই।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬
আলোরিকা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা । ভাল থাকুন
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
জগতারন বলেছেন:
আমি বৃহত্তর ফরিদপুরের পোলা।
আমি বারো ক্লাশ পর্যন্ত প্রামের পরিবেশে বড় হয়েছি।
আমাদের এলাকায় এই শাগাইমিলানি-এর পার্বণের ব্যপার অপরিচিত।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
জগতারন বলেছেন:
তবে এখানে অন্যান্য যে সমস্ত পার্বণের সৌহার্দ্য -সম্প্রীতির বন্ধন ও খাদ্য, অনুষ্ঠান এখানে বর্ণিত তার সবগুলি আমাদের এলাকায় এখনো বিদ্যমান।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২
আলোরিকা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জগতারন ! আপনাদের এলাকাতো সাংস্কৃতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ । গ্রাম-বাংলায় এখনও কিছু কিছু ঐতিহ্যের দেখা মেলে আর বেশিরভাগই তো পশ্চিমা রোগে আক্রান্ত । ভাল থাকুন । শুভ কামনা
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
ক্লে ডল বলেছেন: খুব ভাল লাগল। বাংলার মাটির সোঁদা গন্ধ আছে যেন এই পোষ্টে!
খা খা খা বক্কিলারে খা --- দেশদ্রোহীরে খা !
ভাল থাকুন সর্বদা।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
আলোরিকা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ক্লে ডল ! আপনিও ভাল থাকুন সবসময়
৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথা লাগে, ইচ্ছে করে আমার সেই প্রিয় বাংলায় ফিরে যেতে........পোষ্টে অনেক অনেক ভালোলাগা
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ ----মানুষ !
৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: যথার্থ শিরোনাম, হৃদয় মন স্পর্শ করে যাওয়া কথা ও ছবি।
অভিনন্দন আলোরিকা, বিজয়ের মাসে এমন একটা বাংলার মাটির সোঁদা গন্ধ (ক্লে ডল, ৬ নং মন্তব্য) মাখা স্মৃতিচারণের জন্য।
এ ব্লগে বিভিন্ন বয়সের সুধী পাঠক রয়েছেন। অনুমান করতে পারি, তার মধ্যে আমি সহজেই প্রবীণদের দলে পড়বো। আমার শৈশবের স্মৃতি তো আরো প্রাচীন বলা যায়। মনে পড়ে, শৈশবে ডিসেম্বর মাসে বাৎসরিক স্কুল ছুটির সময় নানা বাড়ী, দাদা বাড়ী যেতাম কু... ঝিক ঝিক... করা কালো কয়লার ইঞ্জিন টানা রেলগাড়ীতে চড়ে। নানাবাড়ী লালমনিরহাট জংশন, রেলওয়ের ডিভিশন হবার সুবাদে শহুরে সুবিধাদি ছিল। স্টেশন থেকে বের হয়ে রিক্সায় চড়তাম, তবে মহিলাদের রিক্সাগুলোর সামনের অংশটুকু শাড়ী দিয়ে ঘেরা থাকতো। দাদাবাড়ী এখনকার আদিতমারী উপজেলা, তখন ঘোর মফস্বল, রিক্সাও ছিলনা। আপনি যেমনটি বলেছেন, আগেই খবর দেয়া থাকতো, তাই গরু কিংবা মহিষের গাড়ী প্ল্যাটফর্মের বাইরে অপেক্ষমান থাকতো। সেসব গাড়ীতেও ছই এর সামনের অংশটুকু শাড়ী দিয়ে ঘেরা থাকতো। সেখানে শুধু মহিলা ও শিশুরা জায়গা পেত। কিশোর বালকেরা এবং পুরুষেরা হাঁটা পথে কিংবা সাইকেলে রওনা হতো।
আহা! ঢেকি কিংবা উরুন গাইনের সেই সঙ্গীতসম শব্দ! চিড়া বানানো, মুড়ি বানানোর জন্য, পিঠা বানানোর জন্য মা খালা চাচী ফুফুদের সে কি কর্মযজ্ঞ! বিলের জল শুকাতে শুরু করলে দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া, ঢোঁঢ়া সাপ মারা, শিং মাছের, এমন কি ছোট ছোট চিংড়ী মাছের কাঁটার গুতো খাওয়া, ইত্যাদি মধুময় স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল!
শাগাইমিলানি এর কথা শুনেছি, তবে দেখিনি কখনো। হাতের তালুর উপর লাটিম ঘুরানোর খেলাটা বেশ ভাল পারতাম। ফিতে দিয়ে সরাসরি হাতে ঘূর্ণায়মান লাটিম তুলতে পারতাম, লাটিমটাকে মাটিতে স্পর্শ না করিয়েই। এগুলো আজ সবই শুধুই স্মৃতি!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
আলোরিকা বলেছেন: আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সে সব দিনে আমার ছেলে কে নিয়ে ----------ছেলের ল্যাপটপ আর টিভি কেন্দ্রিক জীবন দেখে ভীষণ কষ্ট হয় ! ভাল থাকুন । অনেক অনেক শুভ কামনা
৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: যান্ত্রিক দুষ্টতায় একই মন্তব্য দু'বার চলে গেল! যে কোন একটা মুছে দিলে খুশী হবো।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
আলোরিকা বলেছেন: মুছে দিলাম
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
জেন রসি বলেছেন: নগরায়ন এবং প্রযুক্তির বিকাশের কারনে অনেক কালচারাল চর্চা কমে আসছে। ভাঙ্গা আর গড়ার আয়োজন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
আলোরিকা বলেছেন: অদূর ভবিষ্যতে এসব শুধু জাদুঘরেই শোভা পাবে । ভাল থাকুন । হ্যাপি নিউ ইয়ার
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
বিজন রয় বলেছেন: চমৎকার সমৃদ্ধ পোস্ট।
আবহমান বাংলা ফুটে উঠেছে।
++++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
আলোরিকা বলেছেন: ধন্যবাদ । শুভ হোক নতুন বছর
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা ,
২০-২৫ বছর আগেও বাংলার যে রুপ,লোকাচার আর সংস্কৃতি ছিলো তা আছে আজও তবে গাঁয়ের সেই বঁধূটির মতো সরল স্নিগ্ধতা আর হয়তো নেই । তার গায়ে লেগেছে আধুনিকতার হাওয়া , মুখে প্রসাধনী , শাড়ীতে এসেছে বাহারী চুমকির চকমকি । এসবই হয়েছে আমাদেরই অবিমৃষ্যকারীতায়, অন্যের দেখাদেখি আমাদের সহজ-সরল গ্রাম্য বঁধূটিকে আধুনিকতার সাজে সাজাতে গিয়ে করা আহাম্মকিতে । তখন সে না ঘরকা , না ঘাটকা । তা দেখেই হয়তো আপনার সহকর্মীর কাছে তা "ফইন্নি মার্কা সংস্কৃতি" মনে হয়েছে ।
ভাটিয়ালী , জারি -সারি , সোজন বাদিয়া আর মহুয়া সুন্দরীর যে দেশে আর যে সময়ে তার জন্ম , সেসময়ে ঘরের বাইরে দুইপা ফেলিয়া তার হয়তো দেখা হয়নি কিছুই । আপনিও আক্ষেপ করছেন এই বলে - ...."কোথায় আজ সে সব ! "
কিন্তু এখানে ছবিতে যে সুন্দরের সমাহার করেছেন , আছে আছে তা ও আছে । শুধু ঘরের বাইরে দু'পা ফেলে দেখে আসার অপেক্ষা । একদম ফুঁরিয়ে যাইনি আমরা আজও ।
এখনকার মঙ্গল শোভাযাত্রা সেই বাঙলার সমস্ত সংস্কৃতিকেই একসুতোয় গেঁথে দিয়েছে ।
এখনও গাঁয়ে সাঁঝের উলুধ্বনি বাজে , পিঠা-পুলির সুবাস ভাসে বাতাসে । এখনও মসজিদে ওঠে ভোরের আযানের সুর , মন্দিরে ঘন্টা ধ্বনি ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১
আলোরিকা বলেছেন: আমার মোটামুটি বছরে একবার/ দু'বার গ্রামে যাওয়া হয় -- শৈশবের সে গ্রাম আর নেই ভাইয়া । মানুষের হৃদ্যতা , সরলতা ---আবহমান বাংলার রুপ -রস কিছুই নেই ভাইয়া । যান্ত্রিক এ যুগে সবাই যান্ত্রিক , শহুরে হতে চায় । শহুরে কেতায় বাড়িতে বাড়িতে দেয়াল , গেট --------নেই ঢেঁকি , গরুর গাড়ি , হাঁস -মুরগীর পাল । বাড়ির পাশে পুকুর রেখে তারাও ফ্রিজের মাছ-মাংস খাওয়ায় !
এজন্যই বলেছি কোথায় সে সব! ------- সহকর্মীকে দোষ দিয়েছি ঠিকই ( কারণ তিনি এসবের মাঝেই বেড়ে উঠেছেন ) কিন্তু মনে শঙ্কা নিজেদের দিউলিয়াত্বের জন্য কিভাবে নিজেকে প্রবোধ দিব ? আমি নিজে যে সব দেখেছি আমার ছেলের কাছে মনে হবে রূপকথা ! হয়তো এটাই সৃষ্টির খেলা ।
ভাল থাকুন ভাইয়া । হ্যাপি নিউ ইয়ার
১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: আবহমান বাংলার চিত্র ফুটে উঠেছে ছবি আর লেখায় আলোরিকা । মন ছুয়ে যাওয়া পোষ্ট ।
+
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
আলোরিকা বলেছেন: নিজেকে খুঁজে ফেরা আপু ! ধন্যবাদ । হ্যাপি নিউ ইয়ার
১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে চমৎকার এক পরিশ্রমী পোস্ট ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
আলোরিকা বলেছেন: যা আমাদের একান্ত নিজস্ব তা এখন আমাদের পরিশ্রম করেই খুঁজে বের করতে হয় !
হ্যাপি নিউ ইয়ার ভাইয়া । ভাল থাকুন
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বৈচিত্রপূর্ণ। তবে পাশ্চ্যেতের আগ্রাসনে এর স্বকীয়তা হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
বাংলার সংস্কৃতি জেগে উঠুক, বেচেঁ থাকুক হাজার বছর!
পোস্টে প্লাস!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
আলোরিকা বলেছেন: আমাদের আগ্রাসী মনোভাবও কম দায়ী নয় ! পোস্টে ঢুঁ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকুন
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধতা!!!
পড়েছি আগেই।
মন্তব্যে এলাম দীর্ঘদিন পর।
প্রিয়তে থাকছে।
অনেক অনেক শুভকামনা। সবসময়।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
আলোরিকা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা দাদাভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
আহলান বলেছেন: আমরা বিদেশী বিষয়ে বেশী আগ্রহী ... নিজ দেশের কিছু্ই ভালো লাগে না, ভালো রাখতে জানি না ... বিদেশের ঝকঝকে তকতকে পরিবেশ দেখে মূর্ছা যাই, অথচ চিপস, বাদামের খোসা, কলার চোচা, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট সহ নানান হাবিজাবি জিনিষ রাস্তায় বা জানালা দিয়ে কারোর ব্যলকনিতে ফেলে নোংরা করতে বিন্দু মাত্র বিবেকে বাঁধে না .....
আমরা এমনই ....