নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহাতো সমাচার

মাহাতোদের নিয়ে কাজ করতে চাই

নিমাই চন্দ্র মাহাতো

I am an indigenous people

নিমাই চন্দ্র মাহাতো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডা: গজন্দ্রে নাথ মাহাতো রায়গঞ্জ, তাড়াশের জনগণরে জন্য আরো কাজ করতে চান

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

[sb]পঞ্চম আদিবাসী কৃতি শিক্ষার্থী ও সদ্য সরকারী চাকুরী প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান - ২০১৩ ইং





আজ হতে প্রায় ২০০/২৫০ বছর আগে যখন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্থান ভারতবর্ষ নামে পরিচিত ছিল তখন মাঝে মাঝে মাঝ রাতে হাজার হাজার লোক হারিয়ে যেত। পরে জানা যায় কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছে নেপাল, পাকিস্থান কেউ বা পুর্ব বাংলায়। উল্লেখ করা যেতে পারে সে সময় বিহার, হাজারীবাগ ও রাচিতে ভূমির অনাবাদির ফলে নানা রকম অভাব বিরাজ করছিল। যাহাতে অনেকেই ভেবেছিল যে হয় তো বা লক্ষ লক্ষ লোক অনাহারে মারা যেতে পারে । যদিও জানা যায় তৎকালীন শাসকগন বারবার আঃশ্বস্ত করেছিলেন যে, খাদ্যের অভাব পূরণ করা হবে। তারপরও মানুষ আঃশ্বস্থ হতে না পেরে একটি অংশ পাড়ি জমায় বাংলাদেশে (পূর্ব বাংলায়)। সে থেকেই শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। কখনো প্রকৃতির সাথে কখনো বৈরি পরিবেশে। যখন এই আদিবাসীরা দেশ ত্যাগ করে বাংলদেশে আসে সাথে তারা ব্রাহ্মণ, ধোপা ও নাপিত নিয়ে আসেন। আজও তারা আমাদের সাথে মিলে মিশে বসবাস করছে। ইতিহাস হতে জানা যায় যখন তারা এদেশে এসেছিল তখন এদেশে বিভিন্ন জায়গায় বন ও জঙ্গলে পরিপূর্ন ছিল। তারা ফল, মূল সংগ্রহ করতো, মাছ ও পশু শিকার করতো। এ কাজে তারা পারদর্শী হলেও মাঝে মাঝে বাঘের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়েছে তাদের। আসতে আসতে বন জঙ্গল পরিস্কার করে উচু নিচু সমান করে তারা চাষাবাদ শুরু করে। এভাবেই আদিবাসীদের বিচরন এদেশে। আদিবাসীরা অতি সহজ সরল তারা কখনো মানুষের সাথে দ্বন্দ বা কলহ করতে চাই না। জমি চাষ করে ফসল ফলিয়ে জীবন যাপনই তাদের মূল কাজ। যখন এই ভারত বর্ষ ব্রিটিশ শাসন করতো তখনও আদিবাসীদের ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। যে আন্দোলন সিধু ও কানুর সেই তীর ও ধনুক যাহা ব্রিটিশ সরকারের ভীতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আদিবাসীরা কোন দিন অন্যায়ের সাথে আপস করেনি। ১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ ছেড়ে চলে যেতে থাকে তখন তারা ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করে দেয় ভারত (হিন্দুস্থান) ও পাকিস্থান নামের দুটি দেশে। কিন্তু ব্রিটিশ যেন ভবিষৎ এ আবারো নাক গলানোর সুযোগ পায় সে কথা মাথায় রেখে তারা ঠান্ডা মাথায় এই বিভক্তি করে রাখে। যেমন কাশ্মিরের অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান হলেও এর একটি অংশ ভারতের একটি অংশ তিব্বতের ও একটি অংশ পাকিস্থানে চলে যায়। কাশ্মিরের অধিবাসীরা মুলত পাকিস্থানের অংশ হবার কথা কারন দেশ বিভক্ত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিত্বে। আর পাকিস্থানের দাবি অবশ্যই মুসলিম অধ্যূষিত সকল এলাকা । আরও গড়মিল দেখা যায় যখন দেখি অধিাকাংশ লোক অমুসলিম হলেও বৃহত্তর পার্বত্য জেলা রয়ে যায় পাকিস্থানের অধীনে। এ সকল বিষয় বিশ্লেষন করলে আমরা দেখতে পাই কাশ্মিরের জন্য যে সকল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তাতে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। যে কারনে আজও ভারত ও পাকিস্থান একে অপরের মহাশত্রু। ভারতের মাটিতে পাকিস্থানে জঙ্গি সংগঠনের হামলায় অগনিত মানুষের প্রান হানি ঘটেছে।



আরও একটু পূর্বের কথা বলতে হয়, ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সেই করুন পরিনতির কথা। কিভাবে ক্ষমতার লোভে মোহিত হয়ে মির্জাফর বৃট্রিশদের হাতে হাত মিলিয়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার অধিপতিকে পরাজিত করেছিল। মূলত পাহাড়ের অধিবাসীরা একই কারনে আজও আন্দোলন সংগ্রাম করছে।

পাকিস্থান সরকার যে অমানবিক আচরণ দিয়ে পাহাড়ীদের উপর অত্যাচার করেছে তা আলোচনা করতে চাই। বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামকে সকলেই কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প নামে চেনেন। যখন এই প্রকল্প স্থাপন করা হয় তখন ঐ বাধের উজানে হাজার হাজার বাড়ি ও আবাদ যোগ্য ভূমি পানির নীচে তলিয়ে যায়। অসহায় মানুষ তাদের বাড়ি ঘর হারিয়ে ভূমি হারিয়ে কেউ বা পাড়ি জমায় এিপুরা কেউ বা অন্য কোথাও । যদিও তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাদের পুনর্বাসনের আস্বাস দিলেও তাহা ছিল তাদের আন্দোলোন বাঁধা গ্রস্থ করার একটি কৌশল মাত্র। যদিও গাঁজা খরি গল্পের মতো ১২০০ মাইল ব্যবধান দুইটি অঞ্চলকে একটি দেশ বলে উল্লেখ করা হয়। চলতে থাকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থনের দন্দ্ব। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন ও ১৯৬৪ সালে ৬ দফা আন্দোলন ধারা বাহিকতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ যা ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হলো মহান স্বাধীনতা ও বিজয়, রচিত হলো সংবিধান বিশ্ব মানচিত্রে একটি দেশ লাল সবুজের পতাকা খচিত বাংলাদেশ।

সংবিধানের মূল মন্ত্র ছিল :

১। ধর্ম নিরপেক্ষতা

২। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ

৩। গনতন্ত্র

৪। সমাজতন্ত্র



এখানে উল্লেখ করতে হয় প্রয়াত নেতা এম,এন, লারমা যিনি সংবিধান প্রনয়নের সময় অনুুরোধ করেছিলেন সবাইকে বাঙ্গালী উল্লেখ না করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ করার জন্য। সাথে সাথে পিছিয়ে পড়া জাতি ও শ্রমিক, ক্ষেতমজুর কৃষকের কথা উল্লেখ করার জন্য বারবার অনুনয় বিনিময় করে ছিলেন। কিন্তু ততকালীন শাসক গোষ্ঠি তার কথা না রাখলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং জনতার কাতারে গিয়ে অবুঝ শিশুর মতো কেঁদেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন বড় আশা করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আশা করেছিলাম এবার আমাদের সবার সম অধিকার রক্ষিত হবে কিন্তু তা হয়নি। যখন সংবিধানে স্থান না পাওয়ার বেদনায় আদিবাসীরা দিশেহারা তখন নতুন করে আদিবাসীদের উপর শুরু হয় এক ষড়যন্ত্র। পাহাড়ে সেটেলার বসানো শুরু করে যাহা অদ্যবধি অব্যহত আছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বরবোরচিত হত্যার পর যে সরকার আসে তাদের সাথে আর আলোচনার সুযেগ না থাকায় এক সময় সংগ্রামে নামতে হয় পার্বত্য বাসীদের যাহা সমাপ্ত হয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি ১৯৯৭ এর মাধ্যমে। কিন্তু সেই চুক্তি বাস্তবায়নে রয়েছে নানা বিধ জটিলতা যা পাহাড়কে আবারো অশান্ত করতে পারে বলে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়।

১৯৭৫ পরবর্তী সরকার গণতান্ত্রিক না হওয়ায় আর আলোচনা এগিয়ে নিতে পারেনি তাহা যেমন সত্য তেমনি সত্য সমতলে বসবাসরত আদিবাসীদের নানা বঞ্চনা ও নির্যাতন যেন দৈনন্দিন এর একটি ঘটনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আদিবাসীরা দেশে ফিরে আসে তখন ঘরের টিন, গোলার ধান, গোয়ালের গরু বলে কিছুই ছিল না। আসতে আসতে আবার সেই মাটির সাথে লড়াই করে ফসল ফলিয়ে আবারো ঘুুরে দাড়ানোর চেষ্টা। একটি শ্রেনী যারা সবসময় সংখ্যালঘুদের নানা কৌশলে নির্যাতন করতো। যার ফল শ্রুতিতে আদিবাসীরা দেশ ছাড়তে অনেকে বাধ্য হয়েছে। এ সকল কথাগুলো আমি শুনেছি এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন শ্রী নরেন্দ্র নাথ মাহাতো ক্ষিরতলা , পঞ্চানন মাহোতো বাটিকামারী , আনন্দ মোহন মাহাতো গোতিথা , মনিন্দ্র লাল মাহাতো ক্ষিরতলা , ধীরেন্দ্র নাথ মাহাতো ধামাই নগর যারা অনেক অত্যাচারে জড়জড়িত হয়ে এ দেশ ত্যাগ করেছে । নব্বই দশক যখন আমি নিজে বুঝতে শিখি দেখলাম প্রতি ২/৪ দিন পর পর দুই বাড়ীতে লোক দেশ ত্যাগ করেছে । আমি জানতে চেষ্টা করি কেন তারা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে কোন উত্তর খুজে পায় না । আমি বিষয়টি নির্মল কুমার মাহাতো তখন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র তাহার সাথে আলোচনা করি । তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেন এবং করনিয় কি তাও টিক করতে বলেন । আমরা প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যায় এবং মানুষের কথা শুনি এবং আমরা তাদের পাশে থাকার কথা বলি । অনেকে আশ্বস্ত হন আবার অনেকে আনন্দিত হন । অনেকেই উপহাস করেছেন ।

মূলত আদিবাসীদের জাগরণ শুরু হয়েছিল নিমগাছীতে স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে । যারা এই প্রতিষ্ঠান গঠনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করি । তাদের জন্য পরপারে শান্তি কামনা করি । শুনেছি এখানে প্রতিষ্ঠান যেন না হয় সে জন্যও ছিল একটি মহল তৎপর। উদ্দেশ্য যেন এই আদিবাসীরা শিক্ষা অর্জন করতে না পারে। স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য পুরো ভূমি দান করেছিলেন স্বগীয় গোকুল মাহাতো (ভাটার পাড়া)। কষ্ট হয় তখন যখন এই প্রতিষ্ঠানের কোথাও গোকুল মাহাতোর কোন ছবি আমরা দেখতে পায় না। আজ বলতে কোন কার্পন্নতা নেই যে এই প্রতিষ্ঠানের অবদানেই আস্তে আস্তে আদিবাসী সহ এই অঞ্চলে বসবাস রত সাধারণ জনগণ শিক্ষা অর্জন করে চলেছেন।

১৯৯৮ সাসে আমরা প্রথম একটি অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলি। সেই ঘটনার প্রেক্ষপট অনেকেরই জানা যারা নতুন শুধু তাদের উদ্দেশ্য আবারো বর্ণনা করছি ।

মধ্য বয়সী তারা মাহাতো ছেলে মেয়ে স্ত্রী সহ একান্ন ভুক্ত পরিবারে বসবাস করতেন। নিয়মিতই তিনি বাজারে যেতেন চা- পান খেতে। একদিন সন্ধ্যায় আসার পথে তারা মাহাতোকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। চলতে থাকে মুক্তিপন চাওয়ার দেন দরবার। বিষয়টি আমাকে বেনু মাহাতো (গোতিথা) জানান এবং কী উপায়ে তাহাকে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে খোজ খবর নিতে বলেন। আমরা প্রথমে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কারও সঙ্গে তার বিরোধ আছে কিনা তা জানতে চেষ্টা করি। এরপর আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি। তখন স্বগীয় কালীচরণ মাহাতো , স্বগীয় সুশিল কুমার মাহাতো বেঁচে ছিলেন। আমরা যখন কিছু আচ করতে পারি যে একটি মহল এই ঘটনার সাথে জড়িত আছে আমরা নানা ভাবে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকি। ইতি মধ্যে প্রশাসন তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। সর্বক্ষণ আমাদের কাছে খবর আসতে থাকে তাকে হত্যা করে গুম করা হতে পারে। আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি , কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ আমার সহযোগীরা। সে সময় এমনই এক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল প্রতি ৩/৪ মাস পরপর একটি করে গুমের ঘটনা ঘটত এবং মুক্তিপন দিলেই তাদের মুক্তি দেওয়া হত। আদিবাসীদের জীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিসহ কোন উপায় না পেয়ে আমরা এ সকল ঘটনার প্রতিবাদে থানা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সকলেই আমাদের আশ্বস্ত করেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন মোঃ নাসিম সাহেব। আমরা তার সাথেও সাক্ষাত করি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায়। তিনি অতি মনোযোগ সহকারে আমাদের বক্তব্য শোনেন এবং পুলিশ সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আমরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে রাজপথ অবরোধের কর্মসুচী গ্রহণ করি। অপহরণকারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ঐ দিন রাতেই তারা মাহাতোকে তার গ্রামের স্কুল মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়।এই আন্দোলনে আমাদের সহযোগীতা করেছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির তৎকালীন নেতা প্রদীপ কুমার ভৌমিক ও মোস্তফা নুরুল আমিন সহ তাদের দলের অসংখ্য কর্মি। আমরা তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।

আদিবসীদের ভূমি সমস্যা অতি পুরাতন। যখন তখন আদিবাসীদের ভূমি দখল যেন এক শ্রেণির মানষের (ভূমি দস্যু) স্বভাব। বিভিন্ন কায়দায় আদিবাসীদের ভূমি তারা দখল করে ।

তাদের কয়েকটি কৌশল আমি উল্লেখ করতে চাই। যার কিছু পৈত্রিক সম্পতি আছে তাকে সর্ব প্রথম তাস খেলায় অভ্যস্ত করা হয়। এরপর ঐ ভূমি দস্যুর সাজানো লোক তার সঙ্গে তাস খেলতে থাকে। এক সময় টাকা শেষ হলে তাকে সুদে টাকা নেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখায় । সেও না বুঝে উচ্চ সুদে টাকা নেয়। এক সময় সুদে আসলে টাকা বাড়তে থাকে। সুদের হার প্রতি ১০০০ টাকায় ১০ টাকা প্রতিমাস আরও আছে প্রতি ৫০০০ টাকায় ২০০০ টাকা ১৪ দিন পর পর। কেউ বিশ হাজার টাকা নিলে ৩/৪ মাসে সুদ নাতি সুদ আসলে লক্ষাধিক টাকা দাবি করা হয়। উপায় না দেখে ভূমি বিক্্ির করে টাকা পরিশোধ করে পথের ফকিরে পরিণত হয়। আজ যারা ছাএ আগামী দিনে তারাই এই সমাজের নেতৃত্বে আসবে আমি তাদের অনুরোধ করব এই সকল জালে পা না দেওয়ার জন্য। এ রকম হাজারও কৌশল ঐ ভূমি দস্যুদের কাছে আছে। আজ আমি ছাএদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই শিক্ষাকে হাতিয়ার করে তোমরা এ জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পোঁছাবে। তোমরা প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত লেখাপড়া করে আবার সকালে ঘুম থেকে উঠবে এবং গুরু মন্ত্র পড়ে বলবে -

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি

সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি

আদেশ করেন যাহা মোর গুরু জনে

আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে

আজ আমাদের গর্বে বুক ভরে যায় যখন দেখি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছোট ভাই -বোনেরা সফলতা অর্জন করছে। শিক্ষা শেষে তারা বিভিন্ন সরকারী চাকুরিতে যোগ দান করছে তখন মনে হয় আমরাও একদিন উন্নতির শিখরে পৌঁছাব।

এখানে উল্লেখ না করলেই নয় - ডা:প্রবীণ কুমার মাহাতো সফলতার সাথে গইইঝ পাশ করে । সরকারী চাকুরীর সাথে সাথে ঋঈচঝ পেপার ১ পাশ করেছে , ডা: র্নিমল কুমার মাহাতো গইইঝ পাশ করে ঋঈচঝ প্রথম পর্ব পাশ করেছে। ডা: মোহন লাল মাহাতো ডেন্টাল সার্জারী পাশ করে তার পেশাগত জীবন সফলতার সাথে কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে । প্রদীপ কুমার মাহাতো বিদ্যৎ উন্নয়ন বোর্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চট্টগ্রামে কর্মরত। রবীন্দ্র নাথ মাহাতো রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে (সিলেট) এবং সম্প্রতি সে ইঝঈ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেছে ।

আমরা গর্বিত হয়েছি আমাদের অনেক ছোট ভাই-বোনেরা সরকারী হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করছে। আমার আজ মনে হয় সুযোগ পেলে আমাদের ছেলেরা একদিন আমাদের হারিয়ে যাওয়া সকল গৌরব আমাদের ফিরিয়ে দিবে।

এ ছাড়াও সদ্য পুলিশ সহ বিভিন্ন বাহিনীতে তারা যোগদান করে আমাদের গর্বিত করেছে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন আজ কোঠা সুবিধা বিদ্যমান থাকায় এ সকল সুযোগ ভোগ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে হলে সবাই কে সুসংগঠিত থাকতে হবে এবং অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামিল হতে হবে।



পরিশেষে আজ যারা সরকারী চাকুরীজীবী হিসেবে সম্বর্ধিত হয়েছে বা আমার ছোট ভাই-বোনেরা যারা মিসাব সংগঠিত করেছে তারা সবাই যেন উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে পারে তার জন্য ঈশ্বরের শক্তি প্রাথনা করছি ।



যে সকল অতিথি আমাদের সম্বর্ধনাকে সাফল্য মন্ডিত করতে শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে আমাদের কে সময় দিয়েছেন তাদের আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ও মিসাবের সকলের পক্ষথেকে জানাচ্ছি সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।

ধন্যবাদান্তে

ডা:গজন্দ্রে নাথ মাহাতো

কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.