নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুদিন পর ঢাবি ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরিত হল আজ । শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার অপচেষ্টাকারীদের প্রতি রইল ধিক্কার

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের গেটের সামনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় । কার্জন হলের সামনেও একই ঘটনা ঘটে । আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ক্যাম্পাস । আমি এক ছোট ভাইকে নিয়ে সেই মুহূর্তে গেটের দিকেই যাচ্ছিলাম, পথে কিছু বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে যাওয়ায় আড্ডা দিতে দিতে ৫ মিনিট দেরি হয়ে গেল । এই ৫ মিনিটে আমাদের হলের গেটে থাকার কথা ছিল এবং ককটেলটি আমাদের গায়ে পরলেও পরতে পারতো ।



গতকাল ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়ি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনার পর আজ সারাদিন ঢাকার যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো । সচিবালয় থেকে শুরু করে গোটা ঢাবি ক্যাম্পাস নিরাপত্তার চাদরে মোরা । এতটা নিরাপত্তার বেড়াজালেও যদি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে ।



ঘটনার পরপরই হলের ছাত্রদের সমন্বিত প্রতিরোধ এবং ককটেল বিস্ফোরণকারীকে ধরার চেষ্টা ছিল চোখে পরার মতো । এমন অবস্থায় দেখার দরকার নেই তারা কারা, কিংবা কোন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী । তারা সবাই ছাত্র; হলের নিরাপত্তা রক্ষায় যদি তারা লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণকারীকে ধাওয়া করে, তাতে দোষের কিছু নেই । এখানে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার প্রশ্ন, ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রশ্ন জড়িত । তাই, কাল যদি কোন পত্রিকায় এদেরই কারো লাঠিহাতে ছবি প্রথম পাতায় ছাপা হয়, আর সেখানে শিরোনাম হয়- "ক্যাম্পাসে ছাত্র...র তাণ্ডব/অস্ত্রহাতে মহড়া"... তাহলে সেটা নিতান্তই দুঃখের ও লজ্জার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে ।



সবশেষে, যারা এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত, যারা আমার সুন্দর-প্রাণচঞ্চল ক্যাম্পাসটিকে অস্থির করে তোলার অপচেষ্টায় মত্ত, তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই । ধিক্কার জানাই নিরাপত্তা বিঘ্নকারী ককটেল বিস্ফোরণকারীদের, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগকারীদের প্রতি । ধিক্কার জানাই এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির দেশের শান্তি-বিনষ্টের সকল অপচেষ্টার প্রতি । শান্ত ক্যাম্পাকে অশান্ত করার চেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

ঘূণে পোকা বলেছেন: আমাদের কাম্পাস শান্ত করতে যা হাতে নেয়া লাগে আমি তাই নিতে রাজি আছি......।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬

উদাসীফাহিম বলেছেন: apnar moto dol kana khubi kom ase....19 january jcd du te gesilo...chapati ligue bada deyni.onustan kore fere eseche.ekhon badha dichche tai somossa hochche.,,,,,,,,,................................apnader mathay somossa na ///somossar utso dekhenna ba dekhar chesta korenna

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

শার্লক বলেছেন: এতো ফুলিশ তাইলে কি করছিল? কারা বোমা ফাটাইলো ধরতে পারলো না ক্যান না কি তারা খোশ গল্পে মশগুল ছিল? না কি যারা বোমা মারছে ওরা আগে থেকে ঘোষনা দেয়নি বলে ধরতে পারে নাই। আজকেও তো দেখলাম গাড়ি ভাংচুর করছে আজকে কেন আগে থেকে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নাই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২

...নিপুণ কথন... বলেছেন: এসব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই ।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: পুলিশের যত বিক্রম বিএনপি নেতা আর অসহায়শিক্ষক দের কাছে দেখায়। জামাতি দের সাথে েন পেরে উঠছে না। আসলে সরকার জামাতিদের নিয়ে কোন এক গোপন ষড়যন্ত্রের চাল চালছে। পুলিশ কে োণঠাসা বানিয়ে chattroleague কে রাস্তায় নামানোর পায়তারা চলছে। দেশে মনে হচ্ছে জরুরি অবস্থা আসন্ন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ছাত্রলীগকে নামাতে চাইলে অনেক আগেই নামাতে পারতো ।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ফকির সাইঁ বলেছেন: Support it

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০

অন্ধ তীরোন্দাজ বলেছেন: আজ তৃতীয় দিন চলছে।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

ফকির সাইঁ বলেছেন: শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার অপচেষ্টাকারীদের প্রতি রইল ধিক্কা----Support it

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.