নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাম্পাসে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন

১১ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঘণ্টাখানেক আগে পলাশীর মোড়ে ছোটখাটো একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে গেলো । দ্রুত গতিতে একটি রিক্সা আসছিল বুয়েট থেকে, যাত্রী দুজন মহিলা । বুয়েটের গেটের কাছে এসে রিকশাওয়ালা ব্রেক চাপলো না, বরং আগের গতিতেই চলতে লাগলো । হঠাৎ সামনে একজন পথচারী চলে এলো, যে কিনা রাস্তা পার হচ্ছিল (তাকে দোষ দেয়া যায়না, কারণ সে সঠিক পথ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছিল) ; অবস্থা বুঝে রিকশাওয়ালার উচিৎ ছিল ব্রেক চেপে ধরা । কিন্তু সে তা করলো না, বরং বামে চাপ দিল ।বামে ছিল আরেকটি রিক্সা । সেই রিক্সার সাথে বেধে আগের রিক্সার সামনের চাকা ঘুরে গেলো । যেহেতু আগের রিক্সাটি দ্রুত গতিতে চলছিলো, কাজেই রিক্সাটা রাস্তার প্রায় মাঝখানে উল্টে গেলো ।যাত্রী দুজন ছিটকে পড়লেন রাস্তায় ।



অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক (২৫-৩০) মহিলাটি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেলেন (রিক্সাটি তার দিকেই উল্টেছিল ) এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গা কেটে ছিঁড়ে গেলো ।ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি শব্দ করে কেঁদে উঠলেন । আশেপাশের লোক জড় হয়ে গেলো । অনেক খুঁজেও রিকশাওয়ালাকে পাওয়া গেলো না । রিক্সা উল্টানোর সাথে সাথেই সে দৌড়ে পালিয়েছে! এদিকে আহত মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো দরকার । একটু দূরে একটা মেয়ে দাঁড়ানো ছিল, সম্ভবত বুয়েটে পড়ে । তাকে হেল্প করার জন্য অনুরোধ করলাম । মেয়েটি এসে মহিলাকে হাত ধরে টেনে তুলে আরেকটি রিক্সায় বসিয়ে দিল । আরেক মহিলা ঢামেক চেনেনা! রিকশাওয়ালার ভরসাতেই ছাড়তে হল । আর আগর সেই রিক্সাটি বুয়েটের গেটের দারোয়ানের কাছে রেখে বলে এলাম, কেউ রিক্সা নিতে এলে যেন থানায় সোপার্দ‌ করা হয় ।



দুর্ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কিছু কথা না বললেই নয় । এমন দুর্ঘটনা ক্যাম্পাসে নতুন নয় । ঢাবি-বুয়েট এর মত দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে ।রাস্তায় একটু পর পর বিট দেয়া থাকলেও সেগুলোতে কাজ হচ্ছে না । যানবাহনের গতি কমছে না । কাজেই ঝুঁকি বেড়েই চলেছে ।



রিক্সা ও বাইকগুলো বেশী বিপদজনক । এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে । প্রয়োজনে নতুন কঠোর আইন করতে হবে । আর পাবলিককেও সতর্ক থাকতে হবে । যেখানেই দেখবেন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে যানবাহন চলছে সাথে সাথে প্রতিরোধ করুন । উত্তম মাধ্যম দিন এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্তদের কাছে হস্তান্তর করুন । আর হেলাফেলার সময় নেই । কে জানে, হয়তো একদিন এর ভিক্টিম আপনিও হতে পারেন!একটু আগে পলাশীর মোড়ে ছোটখাটো একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে গেলো । দ্রুত গতিতে একটি রিক্সা আসছিল বুয়েট থেকে, যাত্রী দুজন মহিলা । বুয়েটের গেটের কাছে এসে রিকশাওয়ালা ব্রেক চাপলো না, বরং আগের গতিতেই চলতে লাগলো । হঠাৎ সামনে একজন পথচারী চলে এলো, যে কিনা রাস্তা পার হচ্ছিল (তাকে দোষ দেয়া যায়না, কারণ সে সঠিক পথ দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছিল) । অবস্থা বুঝে রিকশাওয়ালার উচিৎ ছিল ব্রেক চেপে ধরা । কিন্তু সে তা করলো না, বরং বামে চাপ দিল ।বামে ছিল আরেকটি রিক্সা । সেই রিক্সার সাথে বেধে আগের রিক্সার সামনের চাকা ঘুরে গেলো । যেহেতু আগের রিক্সাটি দ্রুত গতিতে চলছিলো, কাজেই রিক্সাটা রাস্তার প্রায় মাঝখানে উল্টে গেলো ।যাত্রী দুজন ছিটকে পড়লেন রাস্তায় ।



অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক (২৫-৩০) মহিলাটি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেলেন (রিক্সাটি তার দিকেই উল্টেছিল ) এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গা কেটে ছিঁড়ে গেলো ।ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি শব্দ করে কেঁদে উঠলেন । আশেপাশের লোক জড় হয়ে গেলো । অনেক খুঁজেও রিকশাওয়ালাকে পাওয়া গেলো না । রিক্সা উল্টানোর সাথে সাথেই সে দৌড়ে পালিয়েছে! এদিকে আহত মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো দরকার । একটু দূরে একটা মেয়ে দাঁড়ানো ছিল, সম্ভবত বুয়েটে পড়ে । তাকে হেল্প করার জন্য অনুরোধ করলাম । মেয়েটি এসে মহিলাকে হাত ধরে টেনে তুলে আরেকটি রিক্সায় বসিয়ে দিল । আরেক মহিলা ঢামেক চেনেনা! রিকশাওয়ালার ভরসাতেই ছাড়তে হল । আর আগর সেই রিক্সাটি বুয়েটের গেটের দারোয়ানের কাছে রেখে বলে এলাম, কেউ রিক্সা নিতে এলে যেন থানায় সোপার্দ‌ করা হয় ।



দুর্ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কিছু কথা না বললেই নয় । এমন দুর্ঘটনা ক্যাম্পাসে নতুন নয় । ঢাবি-বুয়েট এর মত দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে ।রাস্তায় একটু পর পর বিট দেয়া থাকলেও সেগুলোতে কাজ হচ্ছে না । যানবাহনের গতি কমছে না । কাজেই ঝুঁকি বেড়েই চলেছে ।



রিক্সা ও বাইকগুলো বেশী বিপদজনক । এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে । প্রয়োজনে নতুন কঠোর আইন করতে হবে । আর পাবলিককেও সতর্ক থাকতে হবে । যেখানেই দেখবেন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে যানবাহন চলছে সাথে সাথে প্রতিরোধ করুন । উত্তম মাধ্যম দিন এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্তদের কাছে হস্তান্তর করুন । আর হেলাফেলার সময় নেই । কে জানে, হয়তো একদিন এর ভিক্টিম আপনিও হতে পারেন

Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হেডস্যার বলেছেন:
আমার জানামতে ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলার কোন অনুমোদনই নেই....হাজার হাজার ব্যাটারি চালিত রিকশা রাস্তায়।
নিয়ম নাই শৃংখলা নাই, যে যার মত বানাইতেছে...রাস্তায় নামাইতেছে....ইচ্ছা মত ভাড়া নিতেছে।
এগুলা দেখার দায়িত্ব কার? চোখের সামনে যে কতবার এই রিকশা থেকে মানুষকে ছিটকে পড়তে দেখলাম... :(

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭

...নিপুণ কথন... বলেছেন: সেটাই । এগুলোকে আইনের আওতায় আনা জরুরী । লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.