নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
আমাদের ক্রিকেটের একসময়ের নায়ক এভাবে যে খলনায়ক বনে যাবেন ভাবিনি কোনদিন । অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি নিয়ে বিশ্বের কনিষ্ঠতম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষিক্ত বিস্ময়বালক আশরাফুল আমার চোখেও পানি এনে দিয়েছিল অনেকবার । অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের ইনিংসটিতে যেমন আবেগে আপ্লুত হয়েছিলাম, আজও আবেগ আমাকে পেয়ে বসেছে । এতদিন ভাবতাম, আমাদের ক্রিকেট গরিব হতে পারে, কিন্তু নিজেকে বিকিয়ে দেয় না ।আজ দেখছি সবই ছিল ভুল!
সত্যি বলতে কি, ২০০৭ এর পর আশরাফুলের তেমন কোন খেলাই আমার ভালো লাগে নি । কেন যেন মনে হতো, এই ছেলেটি আসবে আর প্রথম বলেই সুন্দর করে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যাবে! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতোও তাই । তখন ভাবতাম, এটা হয়তো তাঁর অপারগতা । এখন তো সন্দেহ হচ্ছে, সেগুলোও নিজেকে আর দেশকে বিকিয়ে দেয়া ছিল নাতো?
আশরাফুল তো সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছেন । ক্ষমা চেয়েছেন । হয়তো অতি অল্প বয়সেই দেশের ক্রিকেটের কাণ্ডারি বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার ক্ষমা পেয়েও যাবেন । বাঙ্গালিরা আবেগপ্রবণ, আবেগের তাড়নায়ই ক্ষমা করে দেবে । কিন্তু, যদি তিনি সত্যিই দেশকে বিকিয়ে দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে কি ক্ষমা করে দেয়াটা উচিৎ হবে? আর ক্ষমা করে দিলেই কি সব কলঙ্ক ঘুচে যাবে? দেশের ক্রিকেটের গায়ে যে কালিমালেপন হল, তা কি মুছে যাবে? যাবে না ।
কাজেই, জাতি আজ প্রকৃত ঘটনা জানতে চায় । আরও কে কে জড়িত ছিল সবার বিচার চায় । আর যেন কেউ এমন করার চিন্তাও না করতে পারে । দেশকে বিকিয়ে দেয়ার অধিকার আমরা কাউকে দেইনি । আশার কথা, বিসিবি সভাপতির সুস্পষ্ট বক্তব্য আপাতত সেই কঠোরতার ইঙ্গিতই দেয় ।
কিন্তু প্রিয় তারকা আশরাফুল, কেন আপনি এমনটি করলেন?
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৪
...নিপুণ কথন... বলেছেন: তা ঠিক আছে । জড়িত সবার নাম ফাঁস করে দিয়েছে । এরপর আর কেউ এই পথে হাটার আগে দশবার ভাববে । কিন্তু ভাই, ভবিষ্যৎ তো পরে । ঐ ঘটনায় যে কালিমা লেপে গেছে, সেটি মুছতে পারবো কি? যা ক্ষতি হবার তাতো অলরেডি হয়ে গেছে!
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: তাঁর পারফর্মেন্স খারাপ ছিল এটা মানি। কিন্তু সে ইচ্ছা করে সব ম্যাচগুলোতে বাজে খেলেননি। আর যে কয়টা ম্যাচে স্পট ফিক্সিং ছিল সেই ম্যাচগুলোতে জয়-পরাজয়ের কোনো প্রভাব ছিলনা এই ফিক্সিং এর জন্য।
আর বিপিএল এ ফ্রাঞ্চাইজি মালিক তাঁকে বাধ্য করেছিল খারাপ খেলতে।
বরং তাঁকে সাধুবাদ জানানো উচিত কারণ সে সত্যি কথা স্বীকার করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচগুলোতে স্পট ফিক্সিং এর কথা সে স্বীকার না করলে আইসিসি'র বাপেরও ক্ষমতা ছিলনা সেটা তদন্ত করে বের করার।
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৬
...নিপুণ কথন... বলেছেন: তাই নাকি? আপনার কি ধারণা পাকিস্তানের আসিফও তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছিল প্রথম দিনেই? আইসিসি এর কোন ক্ষমতা নাই?
এই ঘটনার সাথে জড়িত সে যেই হোক, সাজা হওয়া উচিৎ । যাতে এই পথে আর কেউ হেটে দেশের গায়ে কালিমা লেপন না করতে পারে, বুঝে হোক বা না বুঝে ।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: হাহাহা। আসিফ, বাটদের ফিক্সিং এর ব্যাপারে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং প্রমাণ হাতে ছিল। তাদের ফোনালাপ, এবং সবচেয়ে বড় কথা বুকি মাজিদের সাথে সাক্ষাতের মুহুর্তটি সিসি ক্যামের মাধ্যমে ফাস হয়ে গিয়েছিল।
আর আশরাফুলের বিপিএলের ম্যাচে এত কিছু লাগে নাই। এই ম্যাচগুলো খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায় এখানে কোনো গন্ডগোল আছে। তাই সে সহজেই স্বীকার করে নিয়েছে বিপিএলের এই ম্যাচগুলোর ফিক্সিং এর কথা।
কিন্তু পুরোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পট ফিক্সিং এর কাহিনী উদ্ঘাটন করা প্রায় অসম্ভব।
একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, স্পট ফিক্সিং এর বিষয়টা সাথে সাথে ধরা না গেলে পরে আর তদন্ত করে ধরা যায় না। আর এই কাজগুলো সবচেয়ে ভাল পারে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয়ে যাবার পরে স্পট ফিক্সিং এর কাহিনী কোনো ধরনের ম্যাচে বের করা যায়নি। কারণ এখানে তাৎক্ষনিক সাক্ষ্য প্রমান লাগে যা পরে যোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
ক্রিকেটের অতীত ইতিহাস ঘাটলে তাই পাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৩
আই এইচ কমল বলেছেন: আমি তো ব্যাপার টা পজেটিভ ভাবে নিয়েছি, হয়ত ভবিযৎ ত্রিকেটের কথা চিন্তা করে যাতে কেউ আর এ পথে হাত না বাড়ায়।