নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ছেলেবেলা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

একটু ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করা যাক । স্কুলে বেশ কয়েক বছর ক্লাস-ক্যাপ্টেন ছিলাম । স্যারেরা আমাকে পাঠাতেন ছোট কাণ্ডের লতা-গুল্মগাছ ডাল ছেটে বেত বানিয়ে আনতে । আনার পর ঐ বেত আমার সহপাঠী বন্ধুদের পিঠে আর হাতে ভাঙ্গা হতো । আমি পড়া পারতাম, তাই ভালো ছাত্রদের কাতারে থাকতাম, তাই মার খেতে হতো না ।



একদিন স্যার বেত বানিয়ে আনতে বললেন । আমার খুব মায়া হল বন্ধুদের জন্য । সেদিন বেশিরভাগ ছাত্রই পড়া পারে নি । এরা সবাই আজ মার খাবে! স্যারের কথার অবাধ্য হইনি কখনও, তাই পুকুরপাড়ে গেলাম বেত বানিয়ে আনতে । এসে দেখি স্যার প্রায় সবক'টাকে দাড় করে রেখেছেন । ওদের সবার দৃষ্টি আমার হাতের দিকে । উদ্দেশ্য- বড় বেত নাকি ছোট বেত এনেছি তাই দেখা । ছোট বেত হলে সুবিধা- ৫/৬ জনকে মারলেই বেত ভেঙ্গে যায় । এরপর আর বেত আনতে নাও বলতে পারে স্যার । একটা সম্ভাবনা আর কি!



তো হয়েছে কি, স্যার তো আমার হাতে ছোট সাইজের বেত দেখে কাছে ডেকে সুধালেন- "কিরে দেব দুলাল? বেতের সাইজ ছোট কেন?" আমি সহজ-সরলভাবে জবাব দিলাম- "স্যার, এই যে প্রতিদিন আপনি আমার হাত দিয়ে বেত আনিয়ে আমার সহপাঠীদেরকে মারেন, বন্ধুদেরকে মারেন, এতে আমার খুব কষ্ট হয় স্যার । ওদের ব্যাথা পাওয়া আমি দেখতে পারিনা ।" স্যার সঙ্গে সঙ্গে বললেন, "হাত পাত!" আমি তো অবাক! আমি তো পড়া পেরেছি, তবে আমি কেন হাত পাতবো? জিজ্ঞেস করতে পারিনি । হাত পাততেই লাল বানিয়ে দিয়েছিলেন স্যার । বলেছিলেন- বন্ধুদের জন্য এতো দরদ? আজ একটু নিজে চেখে দেখ, বন্ধুদের কষ্টের ভাগীদার হ!"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.