নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
পূজা শুরু হবার বেশ আগে, যেদিন থেকে ডেকোরেশনের লোকগুলো পল্টুদের পাড়ায় মণ্ডপ সাজাতে এলো, সেদিন থেকে ওর ঘুম নেই । বাড়ির একেবারে সামনেই বারোয়ারি পূজা মণ্ডপ, তাই ওর উৎসাহটাও বেশী । সামনে পরীক্ষা । বাবার কড়া নির্দেশ- মন দিয়ে এই কয়দিন না পড়লে পূজার ক’টা দিন ইচ্ছেখুশি মতো ঘুরাঘুরি করা যাবে না, পড়তে হবে । তাই, আগে ভাগে পরীক্ষার পড়া গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে ও । তবে আসল উদ্দেশ্য বাবার মন জয় করা । বাবা ওর কাছে দেবতাতুল্য । এই দেবতার রাগ যেমন বেশী, কথা না শুনলে যেমন বকা দেয়, ঠিক তেমনি আদরের সময় বুকে জড়িয়ে নিতেও এক মুহূর্ত দেরী হয় না ।
আজ মহাষ্টমী । দুর্গা পূজার যাকে বলে প্রধান আনন্দের দিন । সেই সকালে উপোষ থেকে অঞ্জলি দিতে ভুল হয়নি পল্টুর । এখন রাত । পাড়ায় আরতি প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে ও । নাচ যে খুব একটা ভালো দখলে আছে ওর, তা নয় । কিন্তু, সমবয়সী কিংবা বড়দেরকে নাচতে দেখে ওর দেহেও তাল ওঠে । ওরও একটু-আধটু নাচতে ইচ্ছে করে । ঢাকের তালে ধূপতি হাতে একটু হাত-পা ছুড়ে আরতি করতে বেশ ভালোই আনন্দ লাগে ওর । বাবাও বাধা দেন না । যদিও ধূপতির আগুন গায়ে না পড়ে কিংবা হাতে না লাগে –এই ভয়ে তিনি ওকে সবসময় চোখে চোখে রাখেন ।
এইমাত্র মাইকে ঘোষণা হল- “যারা যারা আরতি প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে ইচ্ছুক, তারা এখনি পূজা মণ্ডপের সামনে মাইক হাতে দেবু দাদার সাথে দেখা করে নাম দাও । কেউ খালি হাতে ফিরবে না । সবার জন্যই আছে পুরস্কার...” পল্টু নাম দিল । সিরিয়ালে এখন ওর নাচের সময় । পল্টুর ছোট্ট বুকটা দুরু দুরু কাঁপছে । ও পারবে তো? মা দুর্গার মুখের দিকে তাকিয়ে সাহস পায় ও । মায়ের মুখে তখন মিষ্টি হাসি । সেই হাসিকে সম্বল করে ধূপতি হাতে তুলে নেয় ও । ঢুলি ঢাক বাজানো শুরু করেছে- ঢ্যাম কুর কুর... ঢ্যাম কুরাকুর...
Click This Link
©somewhere in net ltd.