নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
শীতের রাত ঘুমানোর জন্য খুবই উপযোগী, আরামদায়কও বটে । লেপের নিচে ওমের ভেতর ঘাপটি মেরে পরে থাকতে কার না ভালো লাগে? তবে ভার্সিটির বখাটে ছেলেদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা । বিশেষ করে হলের ছেলেপেলে । হলের মাঠে নেট টাঙ্গিয়ে রাতভর চলে ব্যাডমিন্টন খেলা । খেলায় খেলায় মন ভালো রাখা, আর গা গরম করার এর চেয়ে ভালো উপায় আর কি হতে পারে?
আরেকটি মজার ব্যাপার হল বন্ধুদের আড্ডা । ঘন কুয়াশার রাতে সোডিয়াম আলোয় ঘেরা মায়াবী ক্যাম্পাসের এখানে-ওখানে জটলা পাকিয়ে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয় । কারো হাতে গিটার, আর বাকিরা খালি গলায়... রাতের নির্জনতা ভেদ করে সেই গান ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় । গলা ছেড়ে বন্ধুরা মিলে গান গাইতে মজা । এর মাঝে যদি থাকে চা-কফি, তাহলে তো কথাই নেই! বন্ধু, আড্ডা, গান... আর কি লাগে?
তবে খারাপ লাগে ফুটপাথের মানুষগুলোর জন্য । অধিকাংশেরই শীতের উপযোগী গরম কাপড় নেই । সেদিন রাতে পলাশীর মোরে দেখলাম একজন মহিলা শীতে কাঁপছে, আর পাগলের মতো প্রলাপ বকছে । খুব মায়া হয়েছিল দেখে । কিন্তু, প্রকৃতির নিয়ম বড়ই বিচিত্র! যার সামর্থ্য আছে, তাঁর মন নেই । আর যার মন আছে, তাঁর সামর্থ্য থাকে না! (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে) আমিও তাই কিছু করতে পারলাম না । আশা করলাম কোন এক সামর্থ্যবান মানুষ হয়তো তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসবেন । আর, মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম- আমার যদি কোনদিন অনেক টাকা হয়, এসব অসহায়দের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা আমি করব ।
বাবাকে দেখতাম রাস্তা থেকে গরিব-দুখী, এমনকি পাগল ধরে নিয়ে আসতো বাসায়! এনে খাবার দিত, পুরাতন কাপড়, এমনকি সাধ্যমত আর্থিক সাহায্যও করতো । বাবার মনটা অনেক বড় ছিল । তাই হয়তো স্রষ্টা তাঁর সামর্থ্য কম করে দিয়েছিলেন । বাবা তাঁর সীমিত সাধ্যের মাঝেই সবার জন্য কারার চেষ্টা করতো । আজকাল বাবাকে খুব বেশী মিস করি তাই!
©somewhere in net ltd.