নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন সন্ধ্যায় কোন বাবা-মায়ের আশ্রয় যেন বৃদ্ধাশ্রম না হয় ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪

সব বাবা-ই চান, তাঁর সন্তান যেন তাঁর ভালো দিকগুলো পায় । সে যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবার নাম উজ্জ্বল করে । সে যেন সবসময় সত্যের পথে থাকে, সে যেন পড়ালেখা করে বড় হয়ে সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ এর অধিকারী হয় ।



একজন বাবা হিসেবে, তিনি তাঁর ছেলের ভালোর জন্য সবকিছু করতে তৈরি থাকেন, সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করেন না । তবেই তিনি বাবা । পৃথিবীর সব বাবারাই কমবেশি এমন । কিন্তু, তাঁদের মাঝে সবাই সন্তানের চোখে "নায়ক" হতে পারেন না । যারা পারেন, তাঁরা ভাগ্যবান । তাঁদের ত্যাগ সার্থক ।



দিনের পর দিন, শুধু সন্তানের মুখের পানে চেয়ে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেয়া সেইসব বাবা ও মাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করি ও শ্রদ্ধা জানাই । সাথে সাথে আশা করি, পৃথিবীর সব সন্তান যেন বাবা-মায়ের স্নেহ পায় । কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, কেউ যেন অভিশাপ পাওয়ার মতো কাজ না করে । বাবা-মায়ের জীবনের বিকেলবেলায়,সন্তান যেন তাঁদের পাশে ছায়া হয়ে থাকে, যেমনটি ছোটবেলায় তাদের বাবা-মা থাকেন । জীবন সন্ধ্যায় কোন বাবা-মায়ের আশ্রয় যেন বৃদ্ধাশ্রম না হয় । বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের এই স্বর্গীয় সম্পর্ক অমর হোক ।



সবাই ভালো থাকুন । শুভরাত্রি ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

মামুন_চট্টগ্রাম বলেছেন: সহমত। সকল ধর্মই সে কথা বলে। মানুষ যখন বাবা মা হয় তখনই সে বাবা-মার কষ্ট অনুভব করতে পারে। আর তখন হয়ত কিছুই করার থাকে না। অমিতাভ বচ্চনের বাগভান ছবিটা একটা সুন্দর উদাহরণ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ঠিক বলেছেন । ছবিটি আমারও প্রিয় ।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সহমত।

বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের এই স্বর্গীয় সম্পর্ক অমর হোক

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনার প্রোফাইলের বর্তমান ছবিটি সুন্দর ।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

সুমন কর বলেছেন: ভাল বলেছেন। যারা ঐসব করে, তারা সন্তান নামের বদনাম!!

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

িফল্ড মার্শাল বলেছেন: প্রিয় সন্তান,

আমি যখন বার্ধক্য উপনীত হবো…আমি আশা করবো..”তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সাথে ধৈর্যশীল হবে”

ধরো আমি যদি হঠাৎ থালা ভেঙ্গে ফেলি,অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি…..কারণ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হরিয়ে ফেলছি….আশা করি তুমি আমার প্রতি চিৎকার করবে না

বয়স্ক মানুষ খুব স্পর্শকাতর……….

তুমি যখন চিৎকার করে কথা বলো তখন তারা নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যায় , অসহায় আর অপরাধী মনে করে নিজেকে।।

যখন আমার শ্রবণশক্তি শেষ হয়ে আসছে…এবং আমি শুনতে পাচ্ছি না তুমি কী বলছ!!

তোমার তখন আমাকে “বধির” বলা উচিৎ নয়।
দয়া করে তুমি পুনরায় বলো অথবা লিখে দেখাও

আমি দুঃখিত বাবা………….আমি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি……..আমার পা দুর্বল হয়ে আসে

আমি মনে মনে চাই তোমার সে ধৈর্য থাকবে আমাকে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য।
যেভাবে আমি তোমার পাশে ছিলাম, যখন তুমি ছোট ছিলে……… হাঁটতে শিখছিলে পা পা করে….

আমার কথা শুনো…….

যখন আমি অসহায়ের মত তোমার নিকট কথা বলবো…. ভাঙা রেকর্ডের মতো ….

আমি চাইবো তুমি শুধু আমার কথাটুকু শুনবে..
আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করো না…. অথবা আমার কথা শুনে বিরক্ত হয়ো না……….

তোমর মনে আছে??

তুমি ছোট থাকতে আমার কাছে একটা বেলুন চেয়েছিলে!!!!!
সেটা না পাওয়া পর্যন্ত তুমি বারবার আমাকে সেটাই বলতে….. সারাক্ষণ জিজ্ঞেস করতে.. “কখন দেবে কখন দেবে…………..”

এবং আমার গন্ধ সহ্য করো
বৃদ্ধের মতই আমার গন্ধ হবে…..
এজন্য….

দয়া করে আমাকে গোসল করার জন্য জোর করোনা
আমার শরীর দুর্বল
ঠাণ্ডায় বয়স্ক মানুষেরা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে….
আমার আশা আমি তোমকে অমার্জিত করি নি

তুমি যখন ছোট ছিলে…আমাকে তোমার পেছনে দৌড়াতে হতো… কারণ তুমি গোসল করতে চাইতে না
আমি যখন সহজে রেগে যাই..
এটা বয়স্ক হবার একটা সাধারণ দোষ,

বার্ধক্য আসলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।।
আর যখন তোমার অলস সময় থাকবে

আমি আশা করবো তুমি আমার সাথে একটু সময়ের জন্য হলেও কথা বলো……..
আমি এ সময়ে সর্বদা একাকীত্বে ভুগি এবং কথা বলার মানুষ পাই না ।
আমি জানি তুমি ব্যস্ত থাকো কাজের মাঝে..
যদিও তুমি আমার কথায় ও গল্পে আনন্দ না পাও..
আমার জন্য কিছু সময় রেখো

তুমি যখন ছোট ছিলে তোমার কী মনে পড়ে??
তোমার টেডি বিয়ারের কথাও আমি শুনতাম….

যখন সময় আসবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়বো এবং
বিছানায় শায়িত হয়ে পড়বো
তুমি কী আমার যত্ন করার মতো ধৈর্য রাখবে??

আমি আশা করি তুমি এটুকু ধৈর্য রাখবে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে আমাকে দেখে রাখার জন্য…

আমি আর বেশিদিন বেঁচে থাকব না,
………..
যাই হোক………..
যখন আমার মৃত্যু আসবে..
তুমি কী আমার হাত ধরে থাকবে না; যা আমাকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য সাহস যোগাবে।

এবং চিন্তা করোনা….
যখন আমার সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা হবে….
আমি তার কানে অবশ্যই বলবো….

তোমকে অনুগ্রহ করতে………..

কারণ তুমি তোমার বাবা-মাকে ভালবেসেছিলে………
তোমার যত্ন ও সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ………
আমরা তোমাকে ভালোবাসি।।।।

আরও ভালোবাসার সাথে……

-বাবা-মা ।

( সামু থেকে নেয়া আমার জীবনের একটি চিঠি যা আমি আমার ছেলেকে দিয়েছি । চিঠিটি আমার লেখা নয় । মূল লেকক কে তা ও জানি না )

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন: অনন্য একটি চিঠি । অসাধারণ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.