নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
চায়ের কাপগুলো আস্তে আস্তে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে । এতটুকু চা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা যায় না, আড়মোড়া ভাঙ্গে না । সতেজ হতে চাই একটা ন্যূনতম পরিমাপের কাপে ভালো লিকারের চা । রাস্তার সাধারণ চায়ের দোকানদারের সেদিকে লক্ষ্য করার সময় কই?
আজ পলাশীতে চায়ে লিকার কম হয়েছে । আদা দেয়া হয়েছে পরিমাণমত । চোঙের মত কাপগুলোর তিনটিতে চা পান করছি আমরা । এই কাপগুলোতে চা দিলে মনে হয় মালিকের ব্যাপক লাভ হয় । প্রতি কাপ চা ছয় টাকা । আজ দেখি দারুচিনির ছিটে ফোঁটাও নেই! কফির প্যাকেটের এক কোনায় করা ক্ষুদ্রতর ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে কফির বাতাস চায়ের কাপের ওপরে দর্শনের ও ঘ্রাণের পুলক ছড়ায় না এখন । এ ভীষণ অন্যায় । এই চা খেলে পুরাই লস প্রজেক্ট । ছেলেটাকে ডেকে বললাম, “শোন, একটু দারুচিনি দিয়ে নিয়ে আয় তো! স্বাদ লাগছে নারে!” ওর মুখটা দেখে মনে হল আমি যেন ওর কাছে ওর প্রেমিকার মোবাইল নাম্বার চেয়েছি । নিতান্ত অনিচ্ছা সত্বেও চায়ে একটু দারুচিনির ছিটে পড়লো । এরপর দিলাম দুই চুমুক । অমনি ফুড়ুৎ! চা শেষ । এইটুকু সময়ে আড্ডা শেষ হল না । ঢের বাকি । ফেরার পথেই একপা দুপা করে গল্পে গল্পে ফেরা হল। সাথের বন্ধু দুজন এসেছে অন্য হল থেকে । রাত-বিরাতে হন্টনের অভ্যাসটা আমি কিছুটা ছাড়তে পারল ওরা পারে নি । নিচে এসেই ফোন দিয়ে আমাকে ডেকে নামিয়েছে । ক্লান্ত শরীর নিয়ে হেলেদুলে নামলাম । অতঃপর ভালোই কাটল সময়টা । আজ তেমন একটা শীত পড়েনি । তেমন একটা শীতের জামা পড়ারও প্রয়োজন হয়নি তাই । সেদিন এক বড় ভাই বলেছেন, আমার নাকি সাপের রক্ত, শীত লাগে না! কিন্তু, রাতে ঘুমাতে গেলে আমিও কিন্তু লেপের নিচেই মাথা গুঁজি! অতঃপর বপ্ন দেখি এবং যথারীতি সকালে সেই স্বপ্নের কথা দিব্যি ভুলে যাই!
বল, আমি এমন কেন?
©somewhere in net ltd.