নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় ম্যারাডোনা, মেসি-নেইমারকে দেখে শেখো!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে নেইমার তাঁর বার্সালোনা টিমমেট বন্ধু মেসিকে শুভকামনা জানিয়ে বলেছেন "মেসি একটি বিশ্বকাপ ডিজার্ভ করে । আমি চাইব এবারের বিশ্বকাপটি মেসির হাতেই উঠুক, সাউথ আমেরিকান দেশ আর্জেন্টিনা পাক ।" আমাদের কথাও সেটাই । মেসির হাতে একটা বিশ্বকাপেরই শুধু কমতি, সেটা উঠুক তাই চাই । আমরা প্রতিপক্ষকে যোগ্য সম্মান দিতে জানি । যে যা পাবার যোগ্য, তাঁকে সেটা দিতে চেষ্টা করি । আর্জেন্টিনার খেলা দেখি পরীক্ষার আগের রাতেও, রাত জেগে । জিতলে অভিনন্দনও জানাই ঘটা করে । কিন্তু, দেখুন, নেইমারের মতো মাত্র ২২ বছরের ছেলেটি যে কাজ করলো, ম্যারাডোনা কি সে কাজটি করতে পারতেন না? ব্রাজিলের পরাজয়ে আনন্দ-উল্লাস না করে তিনি কি পারতেন না সমবেদনা জানাতে? তিনি কি পারতেন না ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতে? এতে তাঁর সম্মান কমতো না বাড়ত? ম্যারাডোনার এই আচরণ নিয়ে লিখতে ম্যারাডোনার সমপর্যায়ের হতে হয় না, মনে সামান্য মানবতা থাকলেই চলে । ম্যারাডোনার অন্ধ সমর্থকেরা এখন কি বলবেন? কি স্বার্থ আছে নেইমারের এই শুভকামনা জানানোয়? অন্যদিকে নেইমারের ইনজুরিতে দেখুন মেসিও শুভকামনা জানিয়েছে । সাধুবাদ জানাই ।



দু:স্বপ্নের এক রাতে দলের প্রধান দুই ভরসাকে ছাড়া মাঠে নেমে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহভাবে হেরে বসলো জার্সিতে পাঁচ তারকার অধিকারী একমাত্র দল ব্রাজিল। ডি বক্সের সামনে অধিনায়ক ও দলের প্রধান ডিফেন্ডার যে নেই, সেকথা যেন হঠাৎ ভুলে গেল বাকি সবাই। যেখানে মুলারকে গার্ডে রাখার কথা সিলভার, সেই জায়গাটিতে মুলার একা দাঁড়িয়ে! উৎপল শুভ্রদা ঠিকই বলেছেন, স্কুল ফুটবলেও এমনটি ভাবা যায়না। একজন স্ট্রাইকার কল্পনাতেও আনতে পারেনা এমন দৃশ্য, যেখানে সে একদম গোলপোস্টের সামনে আনমার্কড থাকবে। সেই শুরু। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই, নিজেদের সামলে নেয়ার আগেই, সুযোগ বুঝে যেন ব্রাজিলের জালে কিক নেয়া প্রাকটিস করলো জার্মানরা! ব্রাজিলের এমন অবস্থায় মুষড়ে পড়ল সবাই, দল, দেশ পেরিয়ে সারা বিশ্বের ফুটবলবোদ্ধাগণ। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেউ- কিভাবে কি হয়ে গেল? গ্যালারিতে শোকের মাতম দেখে জার্মানির সমর্থকদের দেখা গেল প্রতিপক্ষের সমর্থকদেরকে বুকে জড়িয়ে স্বান্তনা দিতে! এক ব্রাজিলিয়ান খুব সাধ করে এনেছিলেন ফিফা ট্রফির একটা রেপ্লিকা, হেরে বসে এক জার্মানের হাতে তুলে দিয়েছেন সেটি । কী সুন্দর সৌহার্দ!

ব্রাজিলের এই পরাজয়ের অনেক রকম ব্যাখ্যাই দেয়া যায় । প্রথমত, যাকে ঘিরে এবারের হেক্সাজয়ের স্বপ্ন আবর্তিত, সেই নেইমারকে অনেকটা ইচ্ছেকৃত ফাউল করে ছিটকে ফেলা হয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। ও থাকলে তিনজন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ওকে মার্ক করতে ব্যস্ত থাকতো। তবুও আশা করা যায় নেইমার গোল পেতো । থিয়াগো সিলভা থাকলে রক্ষণভাগ একেবারেই পাল্টে যেত। সবচেয়ে বড় কথা, এরা দুজন থাকলে ব্রাজিল দলের চেইন কম্পলিট হতো, আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলত। ব্রাজিল হয়তো তবুও হারতো, কিন্তু এমনভাবে নিশ্চয়ই হারতো না । আর, 'বিগ ফিল' স্কলারির উচিৎ ছিল দলে কাকা, রোনালদিনহো, রবিনহোদের রাখা । এমন বিপদে তাঁদের কেউ দলে থাকলে নিশ্চিত সামলে নিতে পারতো । এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা, যেটা তাঁদের আছে ।



যাহোক, এসব কথা তো এখন আর বলে কোন লাভ নেই । যা হবার হয়ে গেছে । তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে ব্রাজিলের কাছে কোন চাওয়া নেই । চোখ থাকবে আগামী রাশিয়া বিশ্বকাপের দিকে । আর, সবশেষে, আবারও চাইব মেসির হাতে একটি বিশ্বকাপ উঠুক । তবে জার্মানরা মনে হয়না এত সহজে তাঁদের হাতে তাঁদের স্বপ্ন ছেড়ে দেবে ।



Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.