নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
একটু আগে যে রাত শেষ হয়ে কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোর এলো, সেই রাতটি একইসাথে বিশাল কিছু হারিয়ে ফেলার নিকষ আঁধার বেদনার এবং নতুন কিছু পাওয়ার আনন্দের। বেদনার বলছি কেন সেটা আপনারা জানেন। আমাদের দেশবরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী মারা গেছেন হঠাৎ করেই, বলা নেই-কওয়া নেই, এমন একজন শিল্পী স্রেফ নাই হয়ে গেলেন। এটা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অবশ্যই এক শোকের রাত। কিন্তু, এই রাতটি আবার কিছু পাওয়ারও। কেউ কি ভাবতে পেরেছিল, এমন আধুনিক যুগে হঠাৎ করেই হারিয়ে যাওয়ার পথের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এভাবে আবার পুনরায় জেগে উঠবে, জাগাবে অন্যদের, ঘটাবে বিপ্লব? তবে জেনে রাখুন, এই রাতে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের আয়োজনে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ হাজার (সূত্র: আয়োজক কর্তৃপক্ষ)। এটা কি নি:সন্দেহে আমাদের জন্য বড় পাওয়া নয়?
একদিন যারা উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের নাম শুনে নাক শিটকাতো, আজ তারা সদলবলে এই সঙ্গীত উপভোগ করতে যায়, সারারাত মুগ্ধতা নিয়ে জাগে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। গত রাতে স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য বিশাল বিশাল লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়ানো হাজারো মানুষের হাসিমাখা মুখগুলি যদি আপনি দেখতেন! এতটুকু ক্লান্তি নেই। আজকাল ব্যান্ডের কনসার্টেও এমন ভিড় হয় কিনা সন্দেহ। এই জনস্রোত, এই রুচিবোধ, এই ভালোলাগাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
কৌশিকীর কন্ঠ- উফ কী দারুণ! তিনি দেখতেও অনেক সুন্দর। আর হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার কথা আর কিছু বলার নেই। গুরু মেনেছি। আমি একইসাথে হেসেছি, আবার কেঁদেছি তাঁর বাঁশির সুরে। সত্যিই অসাধারণ।
অনুষ্ঠান শেষে, ঘরমুখি মানুষের ঢলে মুগ্ধ শ্রোতাদের ভিড়ে, আমার বিশ্বাস কাইয়ুম চৌধুরীও ছিলেন। এই আয়োজনে এসেই তো চিরনিদ্রায় গেলেন, এই আয়োজন, এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, বাংলার এই শিল্পবোদ্ধা সমাজে তিনি বেঁচে থাকবেন। কিন্তু কী শেষকথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি? সেটা তো জানা হলো না!
©somewhere in net ltd.