নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
রাতটা একরকম এপাশ-ওপাশ করতে করতেই কেটে গেলো। ভোর হয়ে যাবে একটু পরেই। আজ হঠাৎ এতো গরম পড়েছে কেন? কে বলবে আজকের রাতটাও শীতের রাত? কে বলবে, এইতো টানা বেশ ক'দিন সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা যায়নি? সেসব দিনগুলিতে, কুয়াশার চাদর মুরি দিয়ে প্রকৃতি ঘুমাচ্ছিল যখন, আমি তখন লেপের নিচে! ঘুম ভেঙ্গেছে অনেক দেরীতে। লেপের ভেতর থেকে চোখ পিটপিট করে খানিকটা আলো দেখে নিয়ে বেলা আন্দাজ করে, ঘুমিয়েছি আবার! আসলেই, ঘুমানোর জন্য শীতের জুড়ি নেই। এরপর বলতে হয় বর্ষার কথা। টিনের চালে রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে কত্ত ঘুমিয়েছি ছোটবেলায়! এখন, এই বড়বেলায়, যান্ত্রিক ঢাকার চার দেয়ালের মাঝে তেমনটি আর পাই কই?
আজ রাতটা কাটিয়ে দিলাম বই পড়ে আর গান শুনে। আজকের রাত ছোটগল্পের রাত। মাথার এক পাশে বাবু শরৎচন্দ্র, আর অন্যপাশে ও হেনরি। একটার পর একটা পড়েছি এতক্ষণ। এখন বিরতি। এক কাপ চা খেয়ে কি এই ভোরের ঘুমটাও মাটি করে দেব? নাহ, থাক! সারাটা দিন ঝিমুতে ঝিমুতে যাবে, ভালো লাগবে না সেটা।
আমাকে কেউ কাল সকালে গ্রামে নিয়ে চল। শীত তো আর বেশিদিন থাকবে না। আমি গ্রামে যাব,ভাপা পিঠা খাব, খেজুরের রস খাব। গরম গরম চিতই পিঠা মুরগির মাংসের ঝোলে ভিজিয়ে ভিজিয়ে খাব! এই রে! জিভে জল এসে গেলো যে! এখন উপায়? রুমে বিস্কিট আছে। আপাতত এতেই কাজ সারা যাক। একটু পরে, ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে পিঠাপুলি খাব ক্ষণ!
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ। এই গল্পটি যে আমার, সেটা ঠিক। কিন্তু লেখাটি ফেসবুকে দেয়ার পর অনেকে নক করে এবং কমেন্টে জানিয়েছে, তারাও জেগে আছে এবং তাদের গল্পটাও এমন। তাই যখন ব্লগে দিলাম, শুধু আর আমার গল্প হিসেবে না লিখে একে আরো অনেকের গল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিলাম। এবার বুঝলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার ধরন তো বেশ চমৎকার। তবে মাফ করবেন, লেখাটার শিরোনামের সাথে ভেতরের কথাগুলো ঠিক মিলাতে পারি নি। শিরোনামে যে তোমার কথা বলা আছে, তাকে রিলেট করতে পারছি না।