নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
সরিষার তেল দিয়ে চানাচুর-মুড়িমাখা জিভে জল আনবেই। আবার ভাতের সাথে আলু ভর্তাতেও সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। গ্রামে অনেকে শীতকালে গায়ে সরিষার তেল মেখে গোসলে যান, ঠান্ডায় বাচ্চাদের নাক জমে গেলে সেখানে অনেকে নাকে সরিষার তেলও দেন। এতে নাকি নাক পরিষ্কার হয়! যদিও এটা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
আমাদের ছেলেবেলায়, সরিষার তেলে ঝাঁঝ ছিল, অল্প নয় ভালো পরিমাণেই ছিল। "আলু-ভাতে" কিংবা "চানাচুর মাখা"তে অল্প পরিমাণ সরিষার তেলেই নাকে "ধক" বা ঝাঁঝ লাগতো। এখন আর সেই ঝাঁঝ নেই। সেদিন রুমের এক ছোটভাই খুব আক্ষেপ করে বলছিল, "কি দিয়ে যে মাখতেছি কে জানে? সরিষার তেলে এখন আর ঝাঁঝ পাই না ক্যান?"
টিভিতে একটা পরিচিত কোম্পানির সরিষার তেলের বিজ্ঞাপন দেখায়। শুরুতে দেখায়, কিভাবে "ঝাঁঝযুক্ত কেমিক্যাল" তেলে মিশিয়ে তেলকে ঝাঁঝযুক্ত করা হয়। তারপর বলা হয়, "ঝাঁঝ খুঁজে কেমিক্যালযুক্ত সরিষার তেল নয়, সুস্থ থাকতে চাইলে অমুক কোম্পানির খাঁটি সরিষার তেল খান"
আমি কোন তর্কে যাব না। শুধু বলব, এখন শিল্পোন্নয়নের যুগে কেমিক্যাল ছাড়া আবার কিছু হয় নাকি? আর সব কেমিক্যাল তো খারাপ নয়! ম্যাংগো চকলেট যে আমরা খাই, তাতে কি আদৌ কোন আমের ছিটেফোঁটা আছে? নাকি তাতে আমের ফ্লেভার তথা কেমিক্যাল দেয়া হয়? আর, খঁটি সরিষার তেল হলে তো তাতে এমনিতেই ঝাঁঝ থাকার কথা। আগেকার সময়ে তো এদেশে এতো শিল্প ছিল না। তখন কেমিক্যাল মেশাতো কে,যে তাতে ঝাঁঝ আসতো? একটা সিদ্ধান্তেই আসা যায়, সরিষার তেলের যদি সঠিক পরিমাণে সরিষা থাকে, ভেজাল বা অন্য উপাদান কম থাকে, তবে সেটা স্বভাবতই ঝাঁঝ হওয়ার কথা। আমার অন্তত সেটাই মনে হয়। আমি অবাক হই, কত সহজে এদেশে মানুষকে বোকা বানানো যায়! আচ্ছা, আমরা কি আসলেই এমন বোকা?
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আপনার কি মনে হয় ?
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২০
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভেজালের ভীড়ে আপনার এই লেখাটার ঝাঁঝে ক্যামিকেল আছে কিনা, কে জানে
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩১
তারা চাঁন বলেছেন: খাটি সরিষার তেলে কোন ঝাঁজ থাকেনা। কারন আমরা নিজেরা সরিষা উৎপাদন করি এবং সেই সরিষা ভাঙ্গিয়ে তেল ব্যবহার করি। তবে বিদেশী সরিষা অর্থাৎ বড় দানার সরিষার তেলে কিছুটা ঝাঁজ পাওয়া যায়।
এক ড্রাম সরিষার তেলে কয়েক ফোঁটা কেমিক্যাল মেশালেই প্রচণ্ড রকম ঝাঁজ পাওয়া যায়, আবার কিছু কিছু মিলে সরিষা ভাঙ্গানোর সময় সরিষার সাথে পেঁয়াজ মিশিয়ে ঝাঁজ বাড়ানো হয়।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১
ফিজিও নাছির উদ্দিন বলেছেন: যতটা প্রকৃতির কাছে থাকবেন ততটা ভাল থাকবেন । ভেজালেও বাঙালী ভেজালদেয় । পামতেলে কেমিকেল মেরে নাকি সরিষা বানানো যায়
৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৭
মোঃ আবদুল লতিফ সবুজ বলেছেন: Allyl isothiocyanate কম থাকলে ঝাঁঝ কম হবে, আর শুদ্ধ সরিষার তেল ঝাঁঝাল ঠিক কিন্তু অনেক ঝাঁঝাল না... সরিষা পুরানো হলে Allyl isothiocyanate এর অনুপাত বাড়বে, তেল ও ঝাঁঝ হবে...
৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫০
মোঃ আবদুল লতিফ সবুজ বলেছেন: Allyl isothiocyanate কম থাকলে ঝাঁঝ কম হবে, আর শুদ্ধ সরিষার তেল ঝাঁঝাল ঠিক কিন্তু অনেক ঝাঁঝাল না... সরিষা পুরানো হলে Allyl isothiocyanate এর অনুপাত বাড়বে, তেল ও ঝাঁঝ হবে...
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
নিলু বলেছেন: ভালই তো বললেন , লিখতে থাকুন